ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা নুসরাত হিমু (৩৮) আত্মহত্যা করেছেন। এই অভিনেত্রীর আত্মহত্যার পেছনে ছিলেন তার কথিত বয়ফ্রেন্ড মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬)। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা চার্জশিটে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন এ চার্জশিট দাখিল করেছেন। আদালতে গত ৯ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দাখিল করা হলেও গতকাল বুধবার বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
জানা গেছে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদার আদালতে উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই সাব্বির হোসেন এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। এতে আসামি করা হয় হিমুর ‘বন্ধু’ জিয়াউদ্দিন রুফিকে। তার সঙ্গে দ্বন্দ্বেই আত্মহত্যা করেছিলেন অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু।
চার্জশিটে বলা হয়, ছোট পর্দার অভিনেত্রী হুমায়রা হিমু থাকতেন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১০ নম্বর সেক্টরে। দুই দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছিল নানা চড়াই-উতরাই। বিয়ে করলেও সংসার ঠিকঠাক করা হয়ে ওঠেনি। একপর্যায়ে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। হিমুর ঘনিষ্ঠজন, কথিত প্রেমিক বা বয়ফ্রেন্ড ছিলেন মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওরফে রুফি (৩৬) নামের এক ব্যক্তি। আত্মহত্যার ৬ মাস আগে থেকে হিমুর বাসায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন রুফি। জানা যায়, ওই বাসায় মঝেমধ্যেই রাতে থাকতেন তিনি। তাদের সম্পর্কের একপর্যায়ে হিমু তার বয়ফ্রেন্ড রুফির মোবাইল নম্বর ও বিগো আইডি ব্লক করে দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়।
রুফি ভিকটিম হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেন। পরে রাগে ও অভিমানে গত বছরের ২ নভেম্বর হিমু বাথরুমে ঢুকে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় ২ নভেম্বর রাতেই হিমুকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মামা নাহিদ আক্তার বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
উল্লেখ্য, হুমায়রা হিমু ২০০৬ সালে মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন। টেলিভিশনে হিমুকে প্রথম দেখা যায় ‘ছায়াবীথি’ নাটকে। একই বছর ‘প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর’ নামে একটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেন তিনি। তারপর ‘বাড়ি বাড়ি সারি সারি’, ‘হাউজফুল’, ‘গুলশান এভিনিউ’সহ নাটকগুলোতে অভিনয় করে আলোচিত হন এই অভিনেত্রী।
জাহ্নবী