দাম্পত্য জীবনে মানুষের নানান টানাপোড়েন থাকে। কিন্তু তার পরও কী অদ্ভুত মায়ায় মানুষ দুজন দুজনকে ভালোবেসে মায়ার বাঁধনে থেকে যায়, কাটিয়ে দেয় সারাটা জীবন। এমন গল্পকে উপজীব্য করেই নির্মিত হয়েছে ওয়েবফিল্ম ‘মায়া’। মূলত মাদক, নারীর সংগ্রাম, পারিবারিক টানাপোড়েনসহ সমাজের নানান বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে ফিল্মটি। যাতে দুটি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন ইমন ও সারিকা সাবরিন। ‘তুফান’ ছবির সাফল্যের পর নির্মাতা রায়হান রাফীর ওটিটির চমক হচ্ছে এই মায়া।
সোমবার বিঞ্জ ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে বিউটি ব্র্যান্ড লিলি নিবেদিত ওয়েবফিল্ম ‘মায়া’। আড়ম্বপূর্ণ প্রিমিয়ার শোর আয়োজন করেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে বিঞ্জে। যে আয়োজন ছিল তারকায় ঠাসা। মায়ার মামনুন ইমন, সারিকা সাবরিন ও রায়হান রাফী ছাড়াও রিমার্ক এইচবির সিনিয়র অপারেটিভ ডিরেক্টর হাসান ফারুকসহ লিলি টিমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন চিত্রনায়িকা বিদ্যা সিনহা মিম, প্রার্থনা ফারদিন দীঘি, সামিরা খান মাহি, রোকাইয়া জাহান চমকসহ অনেকেই।
অনুষ্ঠান শেষে রিমার্ক-হারল্যানের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও মায়ার অভিনেতা ইমন বলেন, ‘এটি আমার প্রথম ওটিটি কনটেন্ট। তাই আমার জন্য, মায়া সত্যিই মায়াময়। রায়হান রাফী তার অপূর্ব নির্মাণশৈলী দিয়ে দর্শকদের নিয়ে গেছেন এক সম্পূর্ণ ভিন্ন আবহে। আমি আশা রাখি, মায়া দর্শকদের ভালোবাসায় একটি সুপারহিট ওটিটি কনটেন্ট হিসেবে জায়গা করে নেবে। লিলিকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য।’
নিজের ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে এসে রাফী বলেন, ‘এটা আমার একদমই অন্য রকম একটা ছবি। আপনারা জানেন, আমি সিনেমার পাশাপাশি ওয়েবফিল্ম বানাই। এটি তুফানের আগেই বানিয়েছিলাম। এটা বানানোর আগে চিন্তা করছিলাম এই সিনেমাতে আমি এমন দুজনকে কাস্ট করব- যারা এক সময়ে বড় স্টার ছিল, অনেক জনপ্রিয় ছিল এবং এখনো কাজ করছে। চিন্তামতো ওই সময়ের একটা জনপ্রিয় জুটিকে নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করেছি।
তারা হলেন ইমন-সারিকা। আমার চ্যালেঞ্জ ছিল যে এই দুজনকে নতুন করে আবিষ্কার করার। সেটা আমি করেছি। এখন বাকিটা দর্শক দেখে জানাবেন। তবে আমি বলব, যারা তুফান দেখেছেন তারা মায়া দেখবেন। ওটিটির হলেও এটি দারুণ ও মানবিক গল্পের ছবি। যে গল্প দেখে কখনো আপনি আবেগপ্রবণ হবেন, আশপাশের অনেক কিছুর সঙ্গে মিল পাবেন।’
জাহ্নবী