ঢাকা ১৭ কার্তিক ১৪৩১, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪

হেনস্তার শিকার ভূমি পেডনেকার

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
হেনস্তার শিকার ভূমি পেডনেকার
ভূমি পেডনেকার। ছবি: সংগৃহীত

বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেডনেকার। এবার হেনস্তার কথা জানালেন তিনি। আর এই হেনস্তার কথা এতদিন মনের মধ্যে পুষে রেখেছিলেন এই অভিনেত্রী।

কলকাতার আরজি করের ঘটনায় টলিউড থেকে শুরু করে বলিউডের নামিদামি তারকারা প্রতিবাদ করেছিলেন। এ ঘটনায় একেবারেই নীরব ছিলেন ভূমি পেডনেকার। এ ঘটনার জেরে নতুন করে নারী সুরক্ষা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছে, তার জবাব দিয়েছেন ভূমি। সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন তিনি। সেখানেই লিঙ্গবৈষম্য, নারী নির্যাতন নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তাকে। উত্তরে অভিনেত্রী বলেছেন, ‘যুগ যুগ ধরে চলে আসা অত্যাচারে জর্জরিত নারী। এক কথায় সেই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কিন্তু মেয়েদের এবার মুখ খুলতে হবে। মুখ বুজে সহ্য করার বদলে মুখ খুলতে হবে। তাদের সঙ্গে প্রতি মুহূর্তে ঘটে যাওয়া অত্যাচারের কথা সমাজকে জানাতে হবে। তবে সমাজকে পাশে পাবেন তারা।’

নিজের জীবনের উদাহরণ দিয়ে ভূমি বলেন, ‘দেশের প্রত্যেকটি পরিবারের মেয়েরা কোনো না কোনোভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন। আমিও আক্রান্ত হয়েছি। দিনের পর দিন সেই ঘটনা মনের মধ্যে পুষে রেখেছি। যার ছাপ এবং চাপ পড়েছে জীবনযাত্রার ওপর, যা কাম্য নয়।’

তার মতে, একে তো হেনস্তার শিকার, তার ওপর লোকলজ্জায় নীরব থাকা। মেয়েদের ওপরে এ যেন সাঁড়াশি আক্রমণ! যার ভারে মেয়েরা জর্জরিত, ক্লান্ত। তবু তার সমাধান নেই।

ভূমি আরও বলেন, ‘ঘর থেকেই বদল শুরু হোক। নারী যেমন পুরুষকে সম্মান করবেন, তেমনই পুরুষও সম্মান করতে শিখুন নারীকে। তবেই লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে।’

জাহ্নবী

নতুন গানের ব্যস্ততা

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৭ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৯ পিএম
নতুন গানের ব্যস্ততা
মৌসুমী আক্তার সালমা। ছবি: সংগৃহীত

ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মৌসুমী আক্তার সালমা। তার গাওয়া অনেক গানই হয়েছে জনপ্রিয়। ফোক গানে আলাদা এক জায়গা তৈরি করেছেন তিনি। বর্তমানে নতুন নতুন গানে কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত স্টেজ শোতে অংশ নিচ্ছে এই গায়িকা। গত বৃহস্পতিবার চ্যানেল নাইনের ‘ক্লাব নাইন’ অনুষ্ঠানে সরাসরি সংগীত পরিবেশন করেছেন তিনি। এরই মধ্যে মাছরাঙা টিভির নিয়মিত শো ‘রূপকথা’ অনুষ্ঠানেরও রেকর্ডিংয়ের কাজ শেষ করেছেন সালমা।

এ ছাড়া সম্প্রতি সালমার কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে নতুন একটি মৌলিক গান। গানের শিরোনাম ‘লক্ষ্মী ভাবীজান’। গানটি লিখেছেন সুহেল খান, সুর সংগীত করেছেন আকাশ মাহমুদ। গানটিতে সালমার সহশিল্পী হিসেবে আছেন এইচ আর ফারদিন খান ও রুমী খান। শিগগিরই আরও নতুন একটি গান প্রকাশ করবেন সালমা। গানের শিরোনাম ‘মনের নাগর’। গানটি লিখেছেন ও সুর করেছেন স্বাধীন বাবু।

সংগীতায়োজন করেছেন এম রহমান। গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৌমিত্র ঘোষ ইমন। প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে ‘দিলে লাগে টান’ শিরোনামের আরও একটি গান। এই গানের কথা লিখেছেন ও সুর করেছেন ওয়াহিদ হাসান। গানটিতে সালমার সঙ্গে গেয়েছেন জাকির হোসেন। এ ছাড়া এরই মধ্যে আরও চার-পাঁচটি মৌলিক গানের রেকর্ডিংয়ের কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি। 

সালমা বলেন, ‘স্টেজ শোতে গাইতেই আমি বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কারণ, স্টেজ শোতে সরাসরি দর্শকের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। আবার শিল্পী হিসেবে নতুন মৌলিক গান প্রকাশেও আমার ধারাবাহিকতা রাখার চেষ্টা করি। গানের মাঝেই আপনাদের ভালোবাসার সালমা বেঁচে থাকতে চায়। কারণ গানইতো আমার প্রাণ।’

 কলি

গ্রামের বাড়িতে সমাহিত হলেন মাসুদ আলী খান

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪০ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
গ্রামের বাড়িতে সমাহিত হলেন মাসুদ আলী খান
প্রয়াত অভিনেতা মাসুদ আলী খান। ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদকপ্রাপ্ত খ্যাতিমান অভিনেতা মাসুদ আলী খান না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন গত ৩১ অক্টোবর বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে। রাজধানীর কলাবাগানে নিজের বাসাতেই মারা যান বর্ষীয়ান এই অভিনেতা। তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। গতকাল মানিকগঞ্জের নিজ গ্রামে সমাহিত করা হয়েছে তাকে। এ তথ্য জানিয়েছে তার পরিবার।পরিবার জানায়, ১ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জোহর মানিকগঞ্জের খান বানিয়াপাড়া গ্রামে মাসুদ আলী খানের জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন মাসুদ আলী খান। শারীরিক অসুস্থতার জন্য অনেকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা চলছিল তার। সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে পরপারে চলে গেলেন এই বরেণ্য অভিনেতা।

উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালের ৬ অক্টোবর মানিকগঞ্জের পারিল নওধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন মাসুদ আলী খান। বাবা আরশাদ আলী খান ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী। তার মায়ের নাম সিতারা খাতুন। ১৯৫২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন তিনি। দুই বছর পর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করেন।

১৯৬৪ সালে ঢাকায় টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হওয়ার পর নূরুল মোমেনের ‘ভাই ভাই সবাই’ নাটকের মাধ্যমে টিভি নাটকে অভিষেক হয় তার। সাদেক খান পরিচালিত ‘নদী ও নারী’ দিয়ে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি। পাঁচ দশকের অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় ৫০০ নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০২৩ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন মাসুদ আলী খান।

 কলি

তাসনিয়া ফারিণের চক্র ২

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ পিএম
তাসনিয়া ফারিণের চক্র ২
অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ছবি: সংগৃহীত

এই সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। চলচ্চিত্র, ওয়েব সিরিজ এবং নাটকে সব মাধ্যমেই নিজেকে মেলে ধরেছেন আপন মহিমায়। একের পর এক কাজ করে নিজের জায়গা পাকা করেছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। গত মাসে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আই স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ফারিণ ও তৌসিফ মাহবুব অভিনীত নতুন ওয়েব সিরিজ ‘চক্র’। এটি মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের মাঝে বেশ আলোচিত হয়েছে। কারণ এটি নির্মিত হয়েছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে।

১৬ বছর আগে ময়মনসিংহের একটি পরিবারের ৯ জন সদস্য আত্মহত্যা করেছিল। দেশব্যাপী তোলপাড় করা সেই ঘটনার অনুপ্রেরণায় ‘চক্র’ নির্মিত হয়। এটি নির্মাণ করেছেন ভিকি জাহেদ।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ‘চক্র’ টিম কেক কেটে এর সাফল্য উদযাপন করেছে। ওই অনুষ্ঠানেই ‘চক্র ২’ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন নির্মাতা ভিকি জাহেদ।

নির্মাতা জানান, পরিকল্পনা রয়েছে আগামী ২০২৫ সালের মার্চ-এপ্রিল নাগাদ দর্শকদের ‘চক্র ২’ দেওয়ার। যেটি সাত পর্বের সিরিজ হিসেবে আসবে। সিজন ২ নিয়ে দর্শকের আগ্রহ রয়েছে এবং গল্পটা যেখানে রয়েছে সেখান থেকে নতুন সিজন আসবে। প্রথম সিজনে ২০ পর্ব হলেও সম্পূর্ণ গল্প দেখানো যায়নি। কারণ প্লট অনেক বিস্তৃত। পরের গল্পটি আমার মাথায় রয়েছে।

তাসনিয়া ফারিণ বলেন, “‘চক্র ২’ হতে যাচ্ছে। আমি খেয়াল করেছি পুরো সিরিজ দেখে অনেক দর্শক এরপর কী হবে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। দর্শক চাহিদার জন্যই সিজন ২ আসছে। এটা একেবারে অন্য রকম ধাঁচের একটা কাজ, যা সচরাচর করার সুযোগ হয় না। আশা করি ‘চক্র’র মতো ‘চক্র ২’ সবার ভালো লাগবে।”

এদিকে চক্র’র মাধ্যমে ওটিটিতে অভিষেক হয়েছে তৌসিফের। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমার ওটিটির প্রথম কাজটিই ‘সিজন ২’ আসছে। এর মানে দর্শক পছন্দ করেছেন।‍‍‍ দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’”অনুষ্ঠানটিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘চক্র’সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীরা।

 কলি

আবুল হায়াতের কর্মময় ৮০

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পিএম
আবুল হায়াতের কর্মময় ৮০
বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াত। ছবি: সংগৃহীত

একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। অভিনয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ার তার। এখনো কাজ করছেন নিয়মিত। অভিনয় থেকে শুরু করে পরিচালনা সবই চালিয়ে যাচ্ছেন কিংবদন্তি এই অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা।

গত ১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন তিনি। এর নামকরণ করেছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে তার এই আত্মজীবনীমূলক বই। আজ (২ নভেম্বর) বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।

‘রবি পথ- কর্মময় ৮০’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছে টেলিভিশন অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। এ ছাড়া আরও উপস্থিত থাকবেন বরেণ্য অভিনয়শিল্পীদের পাশাপাশি খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।
আবুল হায়াতের আত্মজীবনী রবি পথের প্রচ্ছদ এঁকেছেন তার বড় মেয়ে নন্দিত অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত। বইটি প্রকাশ হচ্ছে সুবর্ণ প্রকাশনী থেকে।

আত্মজীবনী সম্পর্কে আবুল হায়াত বলেন, ‘জন্ম থেকে এই পর্যন্ত যেসব কথা মনে হয়েছে বলা দরকার, বলেছি। আবার অনেক কথা হয়তো বলা দরকার ছিল, কিন্তু বলা হয়নি। লিখতে গেলে বোঝা যায়, কোনটা লেখা দরকার, আবার কখনো মনে হয় অনেক বিষয়ে না লিখলেই ভালো। তবু, সব মিলিয়ে নিজেকে প্রকাশের চেষ্টা করেছি এই বইয়ে। আমার বিশ্বাস পাঠকদের ভালো লাগবে। এই বইয়ের মাধ্যমে আমাকে পুরোপুরি জানতে পারবে সবাই।’

১৯৬৯ সালে ‘ইডিপাস’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে তার অভিনয়ের অভিষেক হয়। তারপর থেকে টিভি নাটক, সিনেমায় আর বিজ্ঞাপনে সফলতার সঙ্গে অভিনয় করে আসছেন তিনি। জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত অনেক নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন। ‘মিসির আলি’ চরিত্রে অভিনয়টি তার বিশেষ কাজ। এর বাইরে ‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’ ধারাবাহিকগুলোতে আবুল হায়াতের অভিনয় ছিল অনবদ্য। তার অসংখ্য খণ্ড নাটকও মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।

অভিনয়ের মতো পরিচালনাতেও সফল হয়েছেন আবুল হায়াত। বেশ কিছু খণ্ড নাটক নির্মাণ করে তিনি প্রশংসা পেয়েছেন। তার পরিচালনায় ‘জোছনার ফুল’ নাটকটি বিটিভিতে দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছিল। পরিচালনার পাশাপাশি নাটকটিতে অভিনয়ও করেছেন তিনি। একজন মঞ্চ অভিনেতা হিসেবেও আবুল হায়াত পেয়েছেন দর্শকদের ভালোবাসা। তার বেশ কিছু নাটক নতুনদের সৃষ্টিশীল অভিনয়ে উৎসাহ দেয়। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আসাদুজ্জামান নূরের চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় বিদেশি নাটক অবলম্বনে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকটি। ১৯৭৮ সালে এতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন আবুল হায়াত।

আবুল হায়াত সাহিত্যিক হিসেবেও পরিচিত। তার লেখা প্রথম উপন্যাসটি বের হয় ১৯৯১ সালের বইমেলায়। উপন্যাসটির নাম ছিল ‘আপ্লুত মরু’। এরই ধারাবাহিকতায় একে একে বের হয় ‘নির্ঝর সন্নিকট’, ‘এসো নীপ বনে’ (তিন খণ্ড), ‘অচেনা তারা’, ‘জীবন খাতার ফুট নোট’, (দুই খণ্ড) ও ‘জিম্মি’।

 কলি 

যে পথে হাঁটবেন না কৃতি শ্যানন

প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পিএম
যে পথে হাঁটবেন না কৃতি শ্যানন
কৃতি শ্যানন। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের টাইগার দিদি কৃতি শ্যানন। তার অভিনীত সর্বশেষ ‘দো পাট্টি’ সিনেমা বলিউডে বেশ সাড়া ফেলার পর দারুণ সময় পার করছেন তিনি। তবে এবার তিনি শিরোনাম হলেন মেয়েদের বোটক্স ও কসমেটিক সার্জারি বিষয়ে মন্তব্য করে। 

কয়েক দিন আগে বলিউড পাড়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছিল, আলিয়া ভাট কসমেটিক সার্জারি করে নিজের চেহারা পরিবর্তন করেছেন। এ কারণে চেহারার এক পাশ কিছুটা বেঁকেও গিয়েছিল তার। সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারের এক সাক্ষাৎকারে কৃতির কাছে বোটক্স ও কসমেটিক সার্জারির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে সোজাসাপ্টা উত্তর দিলেন কৃতি শ্যানন।

তিনি জানান, ভালো দেখোনোর ক্রমাগত চাপ এবং সমালোচনা এড়াতে তিনি সচেতনভাবে এমন লোকদের সঙ্গে নিজেকে জড়ান না, যারা তাকে নিরাপত্তাহীনতায় ফেলে। তবে বোটক্স ও কসমেটিক সার্জারিকে কৃতি দোষের কিছু মনে করেন না। 

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে অনেকেই বোটক্স ট্রিটমেন্ট নিচ্ছে। আমি মনে করি, প্রত্যেকের নিজস্বতা রয়েছে। আপনি যদি মনে করেন, নিজের কিছু অংশ পরিবর্তন করবেন, আর তাতে আরও আত্মবিশ্বাসী হবেন, সেটা দোষের কিছু নয়। এটা আপনার সিদ্ধান্ত। আপনার জীবন, আপনার শরীর, আপনার মুখ। আপনার যা ইচ্ছে তাই করতে পারেন। এটার প্রতি কারও কোনো বিচার করা উচিত নয়।’  

তবে অল্পবয়সী মেয়েদের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি চাই না অল্পবয়সী মেয়েরা সব সময় নিখুঁত না হওয়ার চাপ অনুভব করুক। কাউকে সব সময় নিখুঁত দেখায় না, আমাকেও সব সময় নিখুঁত দেখায় না।’

সার্জারির পথে হাঁটবেন কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে কৃতি বলেন, ‘এটি আমাকে সেই স্তরের অনিরাপত্তাবোধ করায় না যে আমি মনে করব আমার কিছু পরিবর্তন করা দরকার। আর কিছু পরিবর্তন করতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। আমি এখানে ১০ বছর ধরে আছি।’

হাসান