তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় গায়ক ও কুঁড়েঘর ব্যান্ডের প্রধান তাসরিফ খান। শুধু গানের জগৎ নয়, সমাজের বিভিন্ন অসংগতি নিয়েও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও সরব থাকেন সব সময়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন তিনি। এর পরই দেশের বন্যাদুর্গতদের সাহায্যে হাত বাড়িয়ে দেন। তবে এবার তাসরিফ ও তার ব্যান্ড কুঁড়েঘর বাজে অভিজ্ঞতার শিকার হলেন। কনসার্টের আমন্ত্রণ জানিয়ে গান গাইতে দেওয়া হলো না তাকে।
আর এই অভিজ্ঞতার কথা গত রবিবার নিজের ফেসবুকে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার শুরু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জেলাভিত্তিক ছাত্র কল্যাণ সমিতির আমন্ত্রণে কনসার্টে পারফর্ম করতে গিয়ে। তবে রাত দীর্ঘ হতে থাকলেও তাদের পারফর্মের জন্য মঞ্চে ডাকা হয়নি। সেখান থেকে কুঁড়েঘরের বাকি সদস্যদের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে তাসরিফ খান লেখেন, ‘রাত ৩টা বেজে ৪ মিনিট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আমার শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে লেখা শুরু করছি। মাঝে মাঝে কথা বলা উচিত, কথা বলতে হয়।’
এরপর তিনি লেখেন, “কুঁড়েঘর ব্যান্ডের ৮ বছরের যাত্রায় আজকের রাতের মতো বাজে অভিজ্ঞতার শিকার আমরা এর আগে হইনি। মূলত এই কনসার্টের আয়োজক ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতি’। প্রথমে আমাদের স্টেজ টাইম জানানো হয় ১০ তারিখ রাত ৮টায়। শোর আগের দিন আয়োজকরা আমাদের বলেন আমরা স্টেজে উঠব রাত ১১টায়। ওনাদের জানানো সময় অনুযায়ী আমরা রাত ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাই। এসেই শুনি ওনাদের প্রোগ্রামে মিস ম্যানেজমেন্ট হচ্ছে, আমাদের আরও পরে ওঠানো হবে। সময় গড়াতে গড়াতে রাত ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে আমরা জানতে পারি তাদের মিস ম্যানেজমেন্টের জন্য আমাদের পারফর্ম করা হচ্ছে না। এখানে কয়েকটা ব্যাপার ঘটল।’
নিজেদের পাশাপাশি তাসরিফ কুঁড়েঘর ব্যান্ড ভক্তদের কষ্টের কথা উল্লেখ করে লেখেন, ‘আপনারা যে শুধু একটা ব্যান্ডকে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে পারফর্ম করতে দেননি ব্যাপারটা তা নয়, আপনারা সবচেয়ে বেশি কষ্ট দিয়েছেন আমাদের শ্রোতাদের। তাদের অনেকেই এই পোস্ট না দেখলে হয়তো এটাও জানত না যে কুঁড়েঘর এসেছিল এবং তাদের মতোই অপেক্ষা করে ছিল তাদের গান শোনাতে!’ সবশেষে তাসরিফ শ্রোতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে এবং আয়োজকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে লেখেন, ‘আজকে যারা আমাদের শ্রোতা হয়ে অপেক্ষা করেছেন, আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পরম ভালোবাসার একটি প্রতিষ্ঠান। নিশ্চয়ই আবার দেখা হয়ে যাবে আপনাদের সঙ্গে।’
হাসান