ছোট পর্দার ব্যস্ত অভিনেতা নিলয় আলমগীর। ভিন্ন ঘরানার গল্পের নাটকে নিলয় আলমগীরের অনবদ্য অভিনয় দর্শককে মুগ্ধ করছে। রিয়েলিটি শো ‘সুপার হিরো সুপার হিরোইন’-এর মাধ্যমে মিডিয়ায় তার পথচলা শুরু। এর পর বিজ্ঞাপনে, নাটকে কাজ করেই চলছেন নিলয়।
তবে যে নাটকটিতে তার অভিনয় দর্শকের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয় সেটি হলো চ্যানেল আইতে প্রচারিত সালাহ উদ্দিন লাভলু পরিচালিত ‘সোনার পাখি রুপার পাখি’ ধারাবাহিক নাটকটি। এই নাটকে সেলিম চরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয় নিলয়ের ক্যারিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হয়। আর এর পরপরই নাটকের একজন অভিনেতা হিসেবে নিলয়ের কাজ বাড়তে থাকে, পাশাপাশি তার জনপ্রিয়তাও বাড়তে থাকে।
বিগত কয়েক বছরে নাটক ইন্ডাস্ট্রিতে নিলয় হয়ে ওঠেন একজন চাহিদা সম্পন্ন অভিনেতা, যাকে নিয়ে কাজ করার জন্য প্রযোজক পরিচালকের মধ্যে আগ্রহের সৃষ্টি হয়।
এই মুহূর্তে দেশের পাঁচটি সর্বাধিক ভিউয়ের নাটকের মধ্যে নিলয়ের দখলে রয়েছে দুটি নাটক। নাটক দুটি হলো মোহিন খানের ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ ও ‘সংসার আমার ভাল্লাগে না’। শুধু তাই নয়, এই সময়ে নিলয় অভিনীত যেসব নাটক দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘তরী’, ‘আদরে থেকো’, ‘পাপ’, ‘এক জনমে ভালোবেসে’, ‘সামির’, ‘মামার বাড়ি’, ‘মানুষ দেখতে কেমন’, ‘পাখির মতো মন’, ‘বদনাম’, ‘একসাথে’, ‘মন মাজার’, ‘ওয়াদা’, ‘বাহাদুরী’ ইত্যাদি।
নিলয় বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আমার বাবা-মায়ের দোয়ায় আমি আজকের অবস্থানে আসতে পেরেছি। আমার অবস্থান নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কৃতজ্ঞ আমার সব নাটকের প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পীদের প্রতি। এটা সত্যি যে ট্রেন্ডি গল্পের বাইরেও ভালো গল্পের নাটক বিশেষত পারিবারিক গল্পের নাটকেও অভিনয় করি। কিন্তু সেসব নাটক দর্শক খুব কমই দেখেন। আমরা কিন্তু দর্শকের জন্য অভিনয় করি। আর দর্শক যে নাটক দেখেন সেটা কিন্তু এই সময় ভিউ দিয়েই বিবেচিত হয়। দর্শকের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে বা পেজ-এ আপনাদের অভিমত জানাবেন। আমরা দর্শকের অভিমতকে খুব গুরুত্ব দিই।’
নিলয় শিগগিরই মোহন খান, এস আর মজুমদার, প্রীতি দত্ত, মোহন আহমেদ, জুবায়ের ইবনে বকর, জুলফিকার শিশিরসহ কয়েকজন পরিচালকের নাটকে অভিনয় করবেন।
হাসান