ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ পিএম
আল্লু অর্জুন গ্রেপ্তার
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুন। ছবি: সংগৃহীত

হায়দ্রাবাদের সন্ধ্যা থিয়েটারে পদতলিত হয়ে নারীর মৃত্যুতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা আল্লু অর্জুন।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) গ্রেপ্তার হন এই বিখ্যাত অভিনেতা। ছিক্কাডপালি পুলিশের একটি দল জুবলি হিলের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে।

৪ ডিসেম্বর অর্জুন অভিনীত ব্যয়বহুল সিনেমা ‘পুষ্পা ২: দ্য রুল’-এর শুভমুক্তি অনুষ্ঠানে পদতলিত হয়ে প্রাণ হারান ৩৯ বছর বয়সী রেবতি। এই দুর্ঘটনায় তার ছেলে গুরুতর আহত হয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যেই তাকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

৪ ডিসেম্বর ভক্তদের চমকে দিতে কোনো ঘোষণা না দিয়েই থিয়েটারে উপস্থিত হলে অর্জুনের দিকে ছুটে আসেন তারা।
তবে ভিড়ে নিঃশ্বাস আটকে ও আঘাত পেয়ে রেবতি প্রাণ হারান। পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। 

রেবতির ছেলেও গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ভুক্তভোগীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেন অর্জুন।

তিনি  বলেন, ‘ভক্তদের ভালোবাসা সব তারকাই চায়। তবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আরও জরুরি।’

দুর্ঘটনার পর আল্লু অর্জুন, তার নিরাপত্তাকর্মী ও সন্ধ্যা থিয়েটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করে স্থানীয় প্রশাসন। 

তাদের অভিযোগ এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না চাইলে অর্জুনের নিরাপত্তাদল আগে থেকেই তার উপস্থিতির বিষয়ে জানিয়ে রাখতে পারতো।

পরিস্থিতি সামলাতে ব্যর্থ হওয়ায় থিয়েটারের কর্মচারীদেরও আটক করেছে পুলিশ।

এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে পুষ্পা ২ সিনেমার প্রযোজনা সংস্থা মাইথ্রি মুভি মেকার্স।

এই ঘটনার পর ভারতের বড় অনুষ্ঠানগুলোতে ভিড় সামলানোর ক্ষেত্রে আয়োজকদের অবহেলা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সূত্র: দ্য গালফ নিউজ

নাইমুর/অমিয়/

রামচরণের ‘গেম চেঞ্জার’ বাজেট উঠাতে পারবে?

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম
রামচরণের ‘গেম চেঞ্জার’ বাজেট উঠাতে পারবে?
ছবি: সংগৃহীত

গত ১০ জানুয়ারি মুক্তি পেয়েছে দক্ষিণি সুপারস্টার রামচরণ ও জনপ্রিয় বলিউড অভিনেত্রী কিয়ারা আদভানি অভিনীত সিনেমা ‘গেম চেঞ্জার’। চার দিন হয়ে গেলেও জনপ্রিয় নির্মাতা এস সংকর পরিচালিত এ সিনেমাটি তেমন সফলতা পাচ্ছে না। সিনেমা বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, খুব শীগ্রই সিনেমাটি ফ্লপের দিকে এগুচ্ছে।

এর আগে রামচরণ অভিনীত প্যান ইন্ডিয়া সিনেমা ‘আরআরআর’ বক্স অফিসে ব্যাপক সফলতা পায়। এসএস রাজামৌলি পরিচালিত সেই সিনেমায় ছিলেন জুনিয়র এনটিআরও। এবার সবাই আশা করেছিল, রামচরণের এ সিনেমাটিও ব্যাপক ধামাকা আনবে। তবে সাম্প্রতিক হাল দেখে মনে হচ্ছে, সিনেমাটির বাজেট উঠানোও কষ্টকর হয়ে যাবে।

ওপেনিং ডেতে ‘গেম চেঞ্জার’ আয় করেছিল ৫১ কোটি রুপি। এটিই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সংগ্রহ। এরপর থেকে প্রতিদিনই সিনেমাটির আয় নিম্নমুখী। এই রাজনৈতিক অ্যাকশন থ্রিলারধর্মী ছবিটির আয় শনিবার ৫৭ শতাংশ পড়ে গিয়ে ২১ দশমিক ৬০ কোটি আয় করেছিল। রোববার এই আয়ের অঙ্ক ২৬ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। ‘গেম চেঞ্জার’ এদিন মাত্র ১৫ কোটি ৯০ লাখ আয় করেছিল। আর সোমবার আয় পড়ে গিয়েছিল ৫২ শতাংশ। মুক্তির চতুর্থ দিন রামচরণের এই ছবি ৭ দশমিক ৬১ কোটি ব্যবসা করেছিল। ছবিটি মুক্তির চার দিন পরও ১০০ কোটি ক্লাবের সদস্য হতে পারেনি। এ পর্যন্ত মোট আয় করেছে ৯৬ দশমিক ১৫ কোটি রুপি।

‘গেম চেঞ্জার’ সিনেমাটি নির্মাণ করতে নির্মাতারা ৪৫০ কোটি খরচ করেছেন। তাই এই সিনেমার ভবিষ্যৎ এক বড়সড় প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে আছে।

এদিকে পাইরেসি কবলে পড়েছে ‘গেম চেঞ্জার’। মুক্তির আগে প্রযোজকের কাছে মোট অংকের চাঁদা দাবি করেছিল দুর্বৃ্ত্তরা। তাদের দাবি আদায় না হলে সিনেমাটি অনলাইনে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। নির্মাতা এস সংকর অভিযোগ করেছেন, চাঁদা না দেওয়ায় সিনেমাটি এরই মধ্যে অনলাইনে ফাঁস করা হয়েছে।

হাসান

ফ্ল্যাট থেকে ‘ফসিলস্’ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
ফ্ল্যাট থেকে ‘ফসিলস্’ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় সঙ্গীত ব্যান্ড ‘ফসিলস্’ এর সাবেক সদস্য চন্দ্রমৌলি বিশ্বাস মারা গেছেন। গত রবিবার কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ‘ফসিল্স’ ছাড়াও ‘গোলক’, ‘জ়ম্ব্ কেজ কন্ট্রোল’ নামের ব্যান্ডের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি।

কলকাতার ওয়েলিংটন এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ৪৮ বয়সী এ বাদ্যযন্ত্রশিল্পী। রবিবার এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তার বাবা-মা। ফাঁকা বাসায় তিনি আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর শিল্পীকে তারই ব্যান্ডের এক সদস্য মহুল চক্রবর্তী প্রথম ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় থানায় খবর দেন।

চন্দ্রমৌলি বিশ্বাসের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ‘ফসিলস্’ এর অনুরাগীদের মধ্যে।

উল্লেখ্য, ২০০০ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১৮ বছর ফসিলস্ ব্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চন্দ্রমৌলী।

হাসান

দাবানলের ধ্বংসলীলা দেখে আমি ভেঙে পড়েছি: প্রীতি

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
দাবানলের ধ্বংসলীলা দেখে আমি ভেঙে পড়েছি: প্রীতি
প্রীতি জিনতা। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে পুরো এলাকা। হাজার হাজার বসতবাড়ি-স্থাপনা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাবানলে। পুড়ে গেছে হলিউডের অনেক তারকার ঘরও। এবার জানা গেল দাবানলের আগুন থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী প্রীতি জিনতা ও তার পরিবার। মানসিকভাবে কিছু ভেঙে পড়লেও এই অভিনেত্রী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের নিরাপদ থাকার খবর জানিয়েছেন। বিয়ের পর থেকেই লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাস করছেন প্রীতি জিনতা। জেনে গুডএনাফের সঙ্গে সেখানকার বাংলোয় সুখের সংসার পেতেছেন তিনি। দুই সন্তানও রয়েছে তাদের।

নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) প্রীতি জিনতা লিখেছেন, ‘এরকম একটা দিন দেখার জন্য বেঁচে থাকতে হবে জীবনেও ভাবিনি। দাবানলের গ্রাসে আমাদের লস অ্যাঞ্জেলেসের পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব, পরিজনরা গৃহহারা সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছেন। চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আকাশ ধোঁয়াচ্ছন্ন, সর্বত্র ছাই। তুষারপাতের মতো আকাশ-বাতাসে ছাই ভেসে বেড়াচ্ছে। এরকম পরিস্থিতি চলতে থাকলে বাচ্চা এবং বয়স্কদের জন্য সমস্যা আরও বাড়বে। চারপাশের এই ধ্বংসলীলা দেখে আমি ভেঙে পড়েছি। তবে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ আমরা যে এখনো সুরক্ষিত।’

প্রীতি আরও লিখেছেন, ‘এই অগ্নিকাণ্ডে বাস্তুচ্যুত এবং সর্বস্ব হারানো মানুষের জন্য প্রার্থনা করছি প্রতিটা মুহূর্তে। আশা করি, শিগগিরই বাতাসের দাপট কমে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসবে। দমকল বিভাগ, অগ্নিনির্বাপক কর্মী এবং যারা যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন, তাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নিরাপদে থাকুন সবাই।’

হাসান

এটিভি ইউএসএ’র ‘থিম সং’ এ অর্ধশত শিল্পী!

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
এটিভি ইউএসএ’র ‘থিম সং’ এ অর্ধশত শিল্পী!
আসিফ আকবর, কোনাল, তানভীর তারেক ও ইশতিয়াক। ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাভিত্তিকি টিভি চ্যানেল এটিভি ইউএসএ’র থিম সং গাইলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর, কোনালসহ ১৮ জন কণ্ঠশিল্পী। তানভীর তারেকের সুর,সঙ্গীত, ভিডিও পরিকল্পনা ও পরিচালনায় থিম সংটির কথা লিখেছেন ইশতিয়াক আহমেদ।

১১ টি দেশে চিত্রায়িত ও অর্ধশত শিল্পীর অংশগ্রহণে এই থিম সংটি তৈরি হয়েছে। তানভীর তারেক বলেন,‘টানা ২ মাস ধরে আমরা এই থিম সংটির ভিডিও প্ল্যান করি। সেখানে বাংলাদেশের মফস্বলের টং দোকান থেকে শুরু করে হলিউড শহর লস এঞ্জেলেসেও আমরা শুটিং করেছি। এই পরিশ্রমলব্ধ কাজটি একারণেই উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি, যাতে আমাদের থিম সংয়ের মর্মার্থ সারাবিশ্বের বাঙালিয়ানা কালচারকে যে আমরা এক করার চিন্তা করেছি তা প্রকাশ পায়।’

গানটিতে সহশিল্পী হিসেবে কণ্ঠ দিয়েছেন ঢাকা-নিউইয়র্কের আরো ১৬ জন কণ্ঠশিল্পী। নিউইয়র্ক স্টুডিওতে কণ্ঠ দিয়েছেন কামরুজ্জামান বকুল, শামীম সিদ্দিকী, চন্দ্রা রায়, নাজু আখন্দ, কৃষ্ণা তিথি, মরিয়ম মারিয়া, শাহ মাহবুব, সৌরভ। ঢাকার ধ্রুব মিউজিক স্টেশন স্টুডিওতে কণ্ঠ দিয়েছেন ৮ তরুণ কণ্ঠশিল্পী। তারা হলেন অংসুক রায়, সুকল্যান মুখার্জি, নয়ন দাস, রুদ্র দাস, তিথি মজুমদার, নন্দিতা সাহা, সোনালী সাহা ও সম্বিতা তালুকদার লতা। 

গানটির সাউন্ড ডিজাইন, কম্পোজিশন ও মিক্স মাস্টারিং হয়েছে ঢাকা, নিউইয়র্ক ও লাস ভেগাসের স্টুডিওতে। কাজ করেছেন লাস ভেগাসের টিএফপি স্টুডিওর এলেক্স, নিউইউয়র্কের তানভীর তারেক ও অভিজিৎ চক্রবর্তী জিতু, ঢাকার মার্সেল। 

ভিডিও প্রডাকশনের সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছেন ইয়ামিন ইলান,  তার ই-মিউজিক টিম ও কোলাহল কমিউনিকেশন। সম্পাদনা ও কালার গ্রাফিক্স এসএম তুষার। কারিগরি সহযোগিতায় আরও ছিলো বায়োস্কপ ফিল্মস।  ঢাকার ২০ জন নৃত্যশিল্পী এই থিম সংয়ে অংশ নিয়েছেন। নৃত্যশিল্পীদের কোরিওগ্রাফার হিসেবে ছিলেন এ মাহবুব হোসেন। 

এ প্রসঙ্গে এটিভি ইউএসএর কর্ণধার আকাশ রহমান বলেন,‘আমরা শুরু থেকেই শুধু কমিউনিটি টেলিভিশনের ভেতরেই এটিকে সীমাবদ্ধ রাখতে চাইনি। কারণ এখন কোনোকিছুই আর লোকাল নেই। গ্লোবাল বাজারেই ফাইট দিতে হয়। এটিভি ইউএসএ আমাদের নিজস্ব অ্যাপ ও ডিজিটাল প্লাটফর্মে একইভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ’

সেলিম আল দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
সেলিম আল দীনের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা বিখ্যাত নাট্যকার সেলিম আল দীন। ছবি: সংগৃহীত

নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার । ২০০৮ সালের এই দিনে (১৪ জানুয়ারি) মারা যান তিনি। দিনটি উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ, নাট্য সংগঠন ঢাকা থিয়েটার, স্বপ্নদল নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের আয়োজনে স্মরণ শোভাযাত্রা ও সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় রয়েছে আলোকচিত্র প্রদর্শনী। ১১টা ৪০ মিনিটে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘এসো আলোক তীর্থে’। পরে রয়েছে ‘তাঁহার কথামালা’। নির্দেশনায় ড. সোমা মুমতাজ। বেলা সাড়ে ১২টায় রয়েছে স্বপ্নীল সোহেলের পরিবেশনায় ‘ভেনট্রিলোকুইজম’। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃৎমঞ্চে দুপুর ১টায় নাট্যস্লাতকদের পরিবেশনায় হবে ‘যেমন খুশি তেমন করো’। বেলা ৩টায় বিভাগের সেটল্যাবে ‘সেলিম আল দীনের নাটক: প্রসঙ্গ ভাষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ৪৯তম আবর্তনের পরিবেশনায় মঞ্চায়ন হবে নাটক ‘ধাবমান’। এটি নির্দেশনা দিয়েছেন আনন জামান। 

ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার যৌথভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় সকাল ১০টায়। মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তারা আগামী ১৭ জানুয়ারি শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় মঞ্চায়ন করবে নাটক ‘নিমজ্জন’। ১৮ জানুয়ারি বিকেলে থাকছে সেমিনার ‘যুগচলতি রীতিবিরোধী কথাকারুকার: সেলিম আল দীন’। 

শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে আয়োজিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন স্বকৃত নোমান। ১৯ জানুয়ারি রাত ১০টায় ঢাকা থিয়েটার ও বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ফেসবুক পেজে ভিডিও মাধ্যমে দেখানো হবে সেলিম আল দীনের কীর্তি-কর্মের উপস্থাপনা ‘বহুমাত্রিক সেলিম আল দীন’।

স্বপ্নদল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ১৭-১৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করেছে ‘নাট্যাচার্য সেলিম আল দীন স্মরণোৎসব-২০২৫’। ‘চিত্রাঙ্গদা’র দুটি এবং নাট্যাচার্য সেলিম আল দীনকে উৎসর্গ করে নির্মিত বাঙলা মূকাভিনয়রীতির মূকনাট্য ‘ম্যাকবেথ’-এর দুটি প্রদর্শনী হবে। এ ছাড়াও থাকছে স্মরণ-শোভাযাত্রা, সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ, নাট্যাচার্যের প্রতিকৃতি সহকারে শিল্পকলা চত্বর সজ্জা, নাট্যাচার্যের জীবন-কর্ম-দর্শন নিয়ে আলোচনা। 

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মারা যান সেলিম আল দীন। ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাট্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিজ নাট্যে প্রয়োগের মাধ্যমে বাংলা নাটকের আপন বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছেন তিনি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা তার হাত ধরেই। নাট্যাঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নান্দিকার পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কারসহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।