
লাক্স সুপারস্টার আজমেরী হক বাঁধন। অভিনয়গুণে জয় করেছেন দেশ-বিদেশের হাজারও দর্শক হৃদয়। বিশেষ করে কান চলচ্চিত্র উৎসবের মাধ্যমে তার বৈশ্বিক যাত্রা ঘটে। এরপর ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ সুবাদে তিনি অভিনেত্রী হিসেবে বিশ্বের নানা প্রান্তের উৎসবে ছুটে চলেছেন। তিনি বরাবরই বলেন, এ ধরনের উৎসবগুলো তাকে সব সময় টানে। এবার তার সফলতার ঝুলিতে যোগ হয়েছে নতুন আরেকটি পালক।
সুখবরটি হলো, নিজ দেশের সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের অন্যতম জুরি বা বিচারক হিসেবে নিজের নামটি লেখাতে পেরেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অভিনেত্রী নিজেও। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এটা আনন্দের ও সম্মানের বিষয়। আগেও আমি দুটি উৎসবে জুরি হিসেবে কাজ করেছি। তবে সেটি অনলাইনে ঘরে বসে। ভিসা জটিলতার কারণে তখন সরাসরি যেতে পারিনি। এবারই প্রথম সরাসরি জুরির কাজটি করতে পারব। তাও আবার নিজ দেশের উৎসব।’
আগামী ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ২৩তম আসর। ৯ দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫ দেশের ২৫০টির মতো সিনেমা। সেই উৎসবের ‘নারী নির্মাতা’ বিভাগের অন্যতম জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আজমেরী হক বাঁধন। গত বৃহস্পতিবার উৎসবের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এই উৎসবে ‘নারী নির্মাতা’ বিভাগে জুরি হিসেবে আজমেরী হক বাঁধনের সঙ্গে আরও থাকছেন লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশের অভিনেত্রী ও নির্মাতা লিসা গাজী, চীনের মেই পো রেইনবো ফং এবং ইরানি অভিনেত্রী হুদা মোগাদ্দাম মানিশ।
এর আগে অনলাইনে বসে ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ‘আই অ্যাম টুমরো’ চলচ্চিত্র উৎসব এবং ভারতের ‘বেঙ্গালুরু চলচ্চিত্র উৎসব’-এ জুরি হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাঁধনের। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশে কাজ থাকায় ২০২৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত ব্রাসেলসের আই অ্যাম টুমরো ফেস্টিভ্যালে অনলাইনে যুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছিলাম। এ ছাড়া ভিসা না দেওয়ার কারণে ভারতের বেঙ্গালুরু উৎসবে জুরি হিসেবে উপস্থিত হতে পারিনি। ফলে এবারই প্রথম সশরীরে জুরি হিসেবে ফেস্টিভ্যালে থাকতে পারব। অন্য জুরিদের সঙ্গে পরিচিত হতে পারব। এটা আমার জন্য আনন্দের বিষয়।’
পৃথিবীর যেকোনো চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতি বাঁধনের আগ্রহ বেশ। যার শুরুটা হয়েছিল ২০২১ সালে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’-এর মাধ্যমে ফ্রান্সের কান চলচ্চিত্র উৎসবে সরাসরি অংশ নিয়ে। বাঁধন বলেন, ‘কান উৎসব থেকে শুরু করে পৃথিবীর বড় বড় উৎসবে শিল্পী হিসেবে অংশ নিয়েছি। তবে একজন বিচারক হিসেবে ফেস্টিভ্যালে সরাসরি উপস্থিত থাকা, সিনেমা দেখা, সেগুলো বিচার করা খুব চ্যালেঞ্জিং। নতুন নতুন অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচয় হবে, এটাও ভীষণ আনন্দের। সব মিলিয়ে আমি সম্মানিতবোধ করছি ঢাকা উৎসবের জুরি হিসেবে মনোনীত হয়ে।’
/আবরার জাহিন