ছবি সংগৃহীত
আগামী ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকির শিশুদের পরিবেশনায় ‘পোচতা (ডাকঘর)’ নাটকের দুটি মঞ্চায়ন হবে। রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’ নাটকের অনুবাদ উইলিয়াম রাদিচের লেখা ‘দ্য পোস্ট অফিস’ বইয়ের ভূমিকা অবলম্বনে গবেষণা, দৃশ্যভাবনা ও পাণ্ডুলিপি নির্মাণ করেছে ফুলকির শিশুরাই। সম্পাদনা ও নির্দেশনায় মুবিদুর রহমান সুজাত। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফুলকির বিভিন্ন প্রকল্পের শিশুরা। রয়েছে বড়দের চরিত্রও।
মঞ্চে অভিনয় করবেন- স্বপ্নময় মোহর, ঋদ্ধিমান রোদ্দুর, অরিত্র বড়ুয়া, সারাহ, শেখ রেহেনুমা মাহনূর, দেবর্ষী দীপ্র, রোহান রাজ, আযরা দীপান্বিতা তিতলী, দেবস্মিতা দাশ, রুযাইনা ওয়াফিয়া, জুবিয়া রহমান, রেহনুমা তাসনীম, সুরঞ্জনা তলাপাত্র, প্রজ্ঞা প্রিয়া হালদার, নয়নিকা নাথ, শ্রীজা মজুমদার, দীপ্র ওঙ্কার সোফি, শ্রেয়সী বড়ুয়া, সুহিতা দে, শারদ প্রত্যুষ বল, জয়ন্ত ঘোষ শশী, স্বস্তিক দাস, অনিরুদ্ধ পাল, জারিন আনজুম, অরিত্র ঘোষ, অনুপ্রিয় বড়ুয়া, আদিত্য বড়ুয়া প্রমুখ।
ডাক্তার ইয়ানুশ কোরচেক। পোল্যান্ডের শিশু বিশেষজ্ঞ। শিশুদের ‘বুড়ো ডাক্তার’, ‘পেন ডক্তার’। প্রায় দুই শ এতিম শিশুকে নিয়ে তার অনাথ আশ্রম ও তার সংসার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নৃশংসতায় তাদের ধরে আনা হয় ওয়ারশ ঘেটোর এক পরিত্যক্ত দালানে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কোরচেক শিশুদের মানস বিকাশে নানা কার্যক্রম চালু রাখেন। একবার স্বপ্নে দেখেন রবীন্দ্রনাথ তাকে ডাকঘর বইটা দিয়েছেন শিশুদের নিয়ে নাটকটি মঞ্চায়নের উদ্দেশ্যে। নাটকে অসীমের পানে যাত্রার দর্শনের সঙ্গে মিলে যায় বুড়ো ডাক্তারের শিশুদের নিশ্চিত গন্তব্য। ১৯৪২-এ ওয়ারশ ঘেটোতে সেই শিশুদের নিয়ে মঞ্চায়িত হয় নাটক ‘ডাকঘর’। নাটক মঞ্চায়নের আড়াই সপ্তাহ পর কোরচেকসহ শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় কুখ্যাত ত্রেবলিংকা কারাগারে। এরপর এ পৃথিবীতে শিশুগুলোর আর দেখা মেলেনি কোথাও, কোনোদিন। এমনই সত্য ঘটনা নিয়ে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প।
/ তাসনিম তাজিন