
বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সুরকার ও সংগীত পরিচালক জাহিদ নিরব। জনপ্রিয় ব্যান্ড দল চিরকুট থেকে সদ্য সাবেক হয়েছেন তিনি। বর্তমানে এককভাবে সংগীত পরিচালনার কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংগীতের এই তরুণ তুর্কি। তার কাজের ব্যস্ততা ও নানা বিষয় নিয়ে খবরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাহমুদ শাকিল
চিরকুট থেকে সরে আসার কারণ কী ছিল?
যেকোনো সংযোজন কিংবা বিয়োজন নতুন সম্ভাবনার জন্ম দেয়। একটা প্রচলিত কথা আছে ‘একমাত্র পরিবর্তনই স্থায়ী, বাকি সব পরিবর্তনশীল’। আমি ভাঙনের চর্চা না করে গড়ার চর্চা করতে চাই। ঠিক নদীর কূলের মতো।
সামনে আর কোনো ব্যান্ডে বা নিজের কোনো ব্যান্ড দল করার পরিকল্পনা আছে কি না?
ব্যান্ড নিয়ে আমার কোনো পরিকল্পনা নেই। তবে সংগীত কিংবা সুর নিয়ে অনেক আছে। যেকোনো ফরম্যাটেই হোক সুরের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।
নতুনদের নিয়ে আপনি অনেক কাজ করছেন। এ নিয়ে যদি কিছু বলতেন?
আমরা সবাই নতুন। আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আমি সংগীতের ছাত্র। প্রতিনিয়ত নতুনত্বের সন্ধানে থাকি। তবে হ্যাঁ, আমার যেকোনো জিঙ্গেল কিংবা গানে তুলনামূলক নতুনদের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করি। আমি একটা ছোট গল্প বলি তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে- গত সপ্তাহে আমি ১০ বছর বয়সী একজন মিউজিক প্রোডিউসারের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি। ওর নাম নীড়। ও পুরো একজন কম্পোজারের মতো ভাবে। ফ্রিকোয়েন্সি সাউন্ড ওকে অন্যভাবে ভাবায়। আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছি ওর সঙ্গে সময় কাটিয়ে। আর একটি বিশেষ কাজ সেটা হচ্ছে গানের স্কুল, ওটা নিয়ে আমি দীর্ঘ আলোচনা করব। তবে আরেকটু অগ্রসর হয়ে তারপর।
সামনে আপনার নতুন কী কী কাজ আসছে?
সামনে বেশ কিছু কাজ আসবে। উল্লেখযোগ্য- কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘হাউ সুইট’, অমিতাভ রেজা চৌধুরী পরিচালিত ‘বোহেমিয়ান ঘোড়া’, ‘বেস্ট ফ্রেন্ড ২’। বর্তমানে এগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কাজ করছি। এ ছাড়া সমেশ্বর অলি ভাইয়ের রচনায় জাকারিয়া সৌখিন পরিচালিত নাটকে ‘প্রজাপতি’ শিরোনামে একটি গান আসছে ভ্যালেনটাইন ডে উপলক্ষে। সঙ্গে চলছে বিজ্ঞাপন।
এখন পর্যন্ত করা আপনার সবচেয়ে পছন্দের কাজ কোনটি?
আমার নিজের কাজের একটা পার্সোনাল প্লেলিস্ট আছে। একটা মেনশন করা কঠিন। তবে যেহেতু ‘মহানগর’-এর জন্য এত এত অ্যাপ্রিসিয়েশন পেয়েছি। তাই ‘মহানগর’ একটা বিশেষ কাজ আমার জন্য। এ ছাড়া ‘সাবরিনা’, ‘দেশান্তর’, ‘পুনর্মিলনে’, ‘পরাণ’, ‘টান আমার প্রিয়’ কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম।
বর্তমানে আপনার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
ভ্যালেনটাইনের কাজগুলো নিয়েই আপাতত ব্যস্ততা। তবে একটু বেশি ব্যস্ত নিজের স্বপ্নের স্টুডিও গড়া নিয়ে। এমন একটা জায়গা তৈরি করতে চাই, যেটা হবে মিউজিশিয়ানদের ভালোবাসার জায়গা। নাম দিয়েছি SOS (Sound Of Silence)।
ভবিষ্যতে মিউজিক নিয়ে আপনার পরিকল্পনা কী?
ভবিষ্যৎ নিয়ে পার্টিকুলার কিছু বলতে পারব না। তবে চেষ্টা, পরিশ্রম অব্যাহত রাখব। বাংলাদেশ মিউজিক সিনের জন্য কিছু করতে চাই। নতুন আর্টিস্ট তৈরি করতে চাই। দেশের শেকড়ের মিউজিক নিয়ে আরও গভীরভাবে কাজ করতে চাই।
হাসান