ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

আপাতত প্ল্যাটফর্মটি আর বন্ধ করছি না: বাপ্পা মজুমদার

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম
আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম
আপাতত প্ল্যাটফর্মটি আর বন্ধ করছি না: বাপ্পা মজুমদার
বাপ্পা মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক বাপ্পা মজুমদার। গানবিষয়ক নিয়মিত আলোচনা করার জন্য ‘মিউজিক্যাল মাইন্ডস’ নামে গড়েছেন একটি প্ল্যাটফর্ম। হঠাৎ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্ল্যাটফর্মটি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এসব বিষয় ও অন্যান্য কাজ নিয়ে খবরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন এই জনপ্রিয় গায়ক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন এ মিজান।

মিউজিক্যাল মাইন্ডস বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন। শুধুই রেসপন্স কম পাচ্ছেন এ জন্যই নাকি বিশেষ কোনো কারণ আছে?

অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আমি এই প্ল্যাটফর্মে কাজ শুরু করেছিলাম। এটাতে আসলে আমার কোনো লাভ নেই। তার পরও নতুনদের কথা চিন্তা করে, সবার যাকে উপকার হয় সেই ভাবনা থেকেই কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু এই কাজটিতে যে ধরনের রেসপন্স পাওয়া দরকার তা পাইনি। একেবারে যে রেসপন্স পাইনি তেমনটি নয়, তবে আমার প্রত্যাশা অনুযায়ী সাড়া পাইনি। তাই আমার মন খারাপ হয়েছে। এ জন্য এমন ঘোষণা দিয়েছি।

তাহলে কি বন্ধ করে দেবেন কাজটি?

একটা ভিডিও নির্মাণ করতে আমার কমপক্ষে ৫০ ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়। কারণ শুট করার পর এডিটে সময় দিতে হয়। এত সময় ব্যয় করেও যদি মনের মতো ফলাফল না পাই, তবে খারাপ লাগে। এর ভিউ যা আছে সেটা পুরোপুরি অর্গানিক। আমি এক টাকাও বুস্ট করিনি। তবে স্ট্যাটাসটি দেওয়ার পর অসংখ্য মানুষ আমাকে কাজটি চালিয়ে যেতে বলেছেন। আমার সংগীতাঙ্গনের অনেক গুণীজনও আমাকে কাজটি বন্ধ না করার জন্য বলেছেন। এই বিষয়টি আমার ভালো লেগেছে। তাই আপাতত প্ল্যাটফর্মটি আর বন্ধ করছি না। সবার ভালোবাসায় কাজটি নিয়মিত চালিয়ে যেতে চাই। 

এটা কি বাণিজ্যিকভাবে করতেন?

এটা সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই শুরু করেছি। এর পেছনে বাণিজ্যিক কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। আমি গানের মানুষ, আমাকে অনেকেই পছন্দ করেন, তাই আমার সংগীতবিষয়ক কোনো আলোচনায় কারও উপকারে এলে আমার ভালো লাগবে।

তরুণ প্রজন্মের জন্য কতটা উপকার হচ্ছে?

আমার মূল ভাবনার জায়গা হচ্ছে, যারা নতুন মিউজিক করতে চাচ্ছেন বা মিউজিক করছেন তাদের নিয়ে। যারা নতুন কাজ করছেন, তাদের শেখার একটা জায়গা আমার এই আয়োজন। এখানে গান বানানোর টেকনিক্যাল বিষয়গুলো প্রাধান্য পায়। গান, মিউজিক, কম্পোজিশন, মিউজিক্যাল টিপস ছাড়াও মিউজিকের নানা বিষয়ে কথা বলে থাকি। কীভাবে একটা গান কম্পোজিশন করা হয়, সেটাও দেখাই।

বর্তমানে কী কী কাজ করছেন?

আমি একটি গজলের অ্যালবাম করছি। এই অ্যালবামে মোট ৮টি গান থাকবে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু গানের কাজ শেষ করেছি। রুনা লায়লা ম্যাম একটি, আমি দুটি, কোনাল একটি, তানভীর আলম সজীব একটি, টিনার জন্য একটি গানের কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া ইউসুফের গানের কাজ চলছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে টিনার গানটি প্রকাশিত হবে।

গানগুলো কি অ্যালবাম আকারে প্রকাশ পাবে?

ইচ্ছা আছে গজলের এই গানগুলো ফিজিক্যাল অ্যালবাম আকারে প্রকাশ করব। পাশাপাশি ডিজিটাল বিভিন্ন ম্যাধ্যমেও প্রকাশ পাবে।

শেষ কবে এভাবে অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন?

২০১৬ সালে হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল ভাইয়ের অ্যালবাম করেছিলাম। এরপর এভাবে আর কোনো অ্যালবাম করা হয়নি। এখন গানগুলো ডিজিটাল মাধ্যমেই বেশি প্রকাশ পায়। এত বছর পর আবারও পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম প্রকাশ করব, এটা ভেবেই আনন্দ লাগছে।

রুনা লায়লায় সঙ্গে প্রথমবার গান করলেন। কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?

রুনা লায়লা ম্যামের সঙ্গে গান গাইতে পেরে আমি ভীষণ আনন্দিত। ওনার মতো এমন একজন বড় মাপের শিল্পীর কাছে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। গানটা যখন তৈরি করে ওনাকে পাঠালাম, উনি ৭-১০ দিন শুধু শুনেছেন। এরপর আমি ওনার বাসায় গিয়ে গানটা তুলে দিয়েছি। রুনা ম্যাম আমার স্টুডিওতে এসে ভয়েস দিলেন। স্টুডিওতে উনি ২ মিনিট দেরিতে আসায় খুব বিনয়ী হয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। আহা কী দারুণ বিনয়, কী অসাধারণ তিনি।

গানটি রুনা আপার একাই গাওয়ার কথা ছিল। স্টুডিওতে এসে উনি বললেন এটা দ্বৈত হলে ভালো হবে। তিনিই আমাকে গাইতে বললেন। এই স্মৃতি আমার ক্যারিয়ারে অনন্য হয়ে থাকবে।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

এখন গজলের অ্যালবামটি করছি আর দলছুটের স্টেজ পারফর্ম নিয়ে ব্যস্ততা।

জনপ্রিয় গান উপহার দেওয়ার পরও চলচ্চিত্রে নিয়মিত গান করছেন না কেন?

আমার কাছে সিনেমার গান খুব কম আছে। মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের পরিচালনায় ‘বনলতা সেন’-এর আবহ সংগীতের কাজ শেষ করেছি। এর মধ্যে নতুন সিনেমায় কোনো গান করিনি।

এখন অনেক শিল্পী এখন ভাইরালমুখী। গান হিট হচ্ছে কিন্তু টিকছে না। এর কারণ কী বলে মনে করেন?

গানের এত সাপ্লাই হলে কী করবেন শ্রোতারা। গান তো শোনার মতো সময় দিতে হবে তাই না? একের পর এক গান এলে মানুষ তো গানটা শুনতে পারে না। শত শত হাজার হাজার গান যদি প্রতিদিন রিলিজ হয়, তবে মানুষ কয়টা গান শুনবে। এখন গান হিট হচ্ছে কিন্তু গানগুলো বেশি দিন থাকছে না। আসলে শ্রোতাদের কাছে গানগুলো পৌঁছানোর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় দিতে হবে। আর এখন হিট হওয়ার গান তৈরি হচ্ছে। গান নিয়ে যে ধরনের ভাবনা দরকার, এর পেছনে সেভাবে সময় দিচ্ছে না কেউ।

হাসান

শিশুদের পরিবেশনায় নাটক

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
শিশুদের পরিবেশনায় নাটক
ছবি সংগৃহীত

আগামী ২২ ও ২৩ ফেব্রুয়ারি থিয়েটার ইনস্টিটিউট চট্টগ্রামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিশু প্রতিষ্ঠান ফুলকির শিশুদের পরিবেশনায় ‘পোচতা (ডাকঘর)’ নাটকের দুটি মঞ্চায়ন হবে। রবীন্দ্রনাথের ‘ডাকঘর’ নাটকের অনুবাদ উইলিয়াম রাদিচের লেখা ‘দ্য পোস্ট অফিস’ বইয়ের ভূমিকা অবলম্বনে গবেষণা, দৃশ্যভাবনা ও পাণ্ডুলিপি নির্মাণ করেছে ফুলকির শিশুরাই। সম্পাদনা ও নির্দেশনায় মুবিদুর রহমান সুজাত। নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফুলকির বিভিন্ন প্রকল্পের শিশুরা। রয়েছে বড়দের চরিত্রও। 

মঞ্চে অভিনয় করবেন- স্বপ্নময় মোহর, ঋদ্ধিমান রোদ্দুর, অরিত্র বড়ুয়া, সারাহ, শেখ রেহেনুমা মাহনূর, দেবর্ষী দীপ্র, রোহান রাজ, আযরা দীপান্বিতা তিতলী, দেবস্মিতা দাশ, রুযাইনা ওয়াফিয়া, জুবিয়া রহমান, রেহনুমা তাসনীম, সুরঞ্জনা তলাপাত্র, প্রজ্ঞা প্রিয়া হালদার, নয়নিকা নাথ, শ্রীজা মজুমদার, দীপ্র ওঙ্কার সোফি, শ্রেয়সী বড়ুয়া, সুহিতা দে, শারদ প্রত্যুষ বল, জয়ন্ত ঘোষ শশী, স্বস্তিক দাস, অনিরুদ্ধ পাল, জারিন আনজুম, অরিত্র ঘোষ, অনুপ্রিয় বড়ুয়া, আদিত্য বড়ুয়া প্রমুখ।

ডাক্তার ইয়ানুশ কোরচেক। পোল্যান্ডের শিশু বিশেষজ্ঞ। শিশুদের ‘বুড়ো ডাক্তার’, ‘পেন ডক্তার’। প্রায় দুই শ এতিম শিশুকে নিয়ে তার অনাথ আশ্রম ও তার সংসার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নৃশংসতায় তাদের ধরে আনা হয় ওয়ারশ ঘেটোর এক পরিত্যক্ত দালানে। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কোরচেক শিশুদের মানস বিকাশে নানা কার্যক্রম চালু রাখেন। একবার স্বপ্নে দেখেন রবীন্দ্রনাথ তাকে ডাকঘর বইটা দিয়েছেন শিশুদের নিয়ে নাটকটি মঞ্চায়নের উদ্দেশ্যে। নাটকে অসীমের পানে যাত্রার দর্শনের সঙ্গে মিলে যায় বুড়ো ডাক্তারের শিশুদের নিশ্চিত গন্তব্য। ১৯৪২-এ ওয়ারশ ঘেটোতে সেই শিশুদের নিয়ে মঞ্চায়িত হয় নাটক ‘ডাকঘর’। নাটক মঞ্চায়নের আড়াই সপ্তাহ পর কোরচেকসহ শিশুদের নিয়ে যাওয়া হয় কুখ্যাত ত্রেবলিংকা কারাগারে। এরপর এ পৃথিবীতে শিশুগুলোর আর দেখা মেলেনি কোথাও, কোনোদিন। এমনই সত্য ঘটনা নিয়ে এগিয়ে যায় নাটকের গল্প। 

/ তাসনিম তাজিন

তিশার বসন্তবৌরি

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
তিশার বসন্তবৌরি
তানজিন তিশা। ছবি: সংগৃহীত

তানজিন তিশা অভিনীত নতুন নাটক ‘বসন্তবৌরি’। এতে তিশা অভিনয় করেছেন শিমু চরিত্রে। আর তিশার বিপরীতে শিমুল চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল বাসার। জাহান সুলতানার গল্পে নাটকটি নির্মাণ করেছেন মিশুক মিঠু। গতকাল মঙ্গলবার কে এস এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে নাটকটি।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, নতুন ভাড়াটিয়া এসেছে পলাশদের পাশের বাসায়। তাদের একটি মেয়ে অ্যাডমিশন টেস্ট দেবে, নাম শিমু। সে একটা মোরগ পালে, সেটার নাম দিয়েছে আইনস্টাইন। সকালবেলা পলাশের ঘুম ভাঙে শিমুর চিৎকার করে তাপ গতিবিদ্যার সূত্র মুখস্থ করার শব্দ শুনে।

পলাশ কানে বালিশচাপা দিয়েও কূল পায় না। পলাশের সামনে অ্যাডমিশন টেস্ট, সে কিছুই পড়ে না। তখন পলাশ বলে, এই মেয়ে পড়াশোনা করে না, ষাঁড়ের মতো চেঁচায়। এরপর দুজনের পরিচয় হয় আর তাদের মধ্যে ঘটতে থাকে অদ্ভুত সব কাণ্ড। ‘বসন্তবৌরি’ নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সমু চৌধুরী, মিলি বাশার প্রমুখ।

কলি

 

বাংলাদেশে আসছেন জুনুন ব্যান্ডের আলী আজমত

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
বাংলাদেশে আসছেন জুনুন ব্যান্ডের আলী আজমত
পাকিস্তানি ব্যান্ড জুনুনের ভোকাল আলী আজমত। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে বেড়েছে পাকিস্তানি শিল্পীদের পরিবেশনা। গত বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশে পারফর্ম করে গেছেন সংগীতশিল্পী আতিফ আসলাম, আব্দুল হান্নান, রাহাত ফতেহ আলী খান এবং ব্যান্ড জাল। এবার বাংলাদেশের শ্রোতাদের গান শোনাতে আসছেন পাকিস্তানি ব্যান্ড জুনুনের ভোকাল আলী আজমত। আগামী ২ মে রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশনে আয়োজিত এক কনসার্টে গাইবেন তিনি।

১৯৯১ সালে প্রকাশ পায় সুফি ঘরানার ব্যান্ড জুনুনের প্রথম অ্যালবাম ‘জুনুন’। এরপর ‘তালাশ’, ‘ইনকিলাব’, ‘আজাদি’সহ মোট নয়টি অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে ব্যান্ডটির। আজাদি অ্যালবামের ‘সাইওনি’ গানটি বিশ্বব্যাপী আলোড়ন তোলে। শুরু থেকেই জুনুনের সঙ্গে আছেন আলী আজমত।

ব্যান্ডের পাশাপাশি তিনি এককভাবে গেয়েছেন বলিউডেও। প্রথম গান ২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পাপ’ সিনেমার ‘গরজ বরাজ’। এরপর ২০১২ সালে ‘জিসম টু’ সিনেমার ‘মওলা’ ও ‘ইয়ে জিসম হ্যায় তেরা’ দুটি গানে কণ্ঠ দেন আলী আজমত। গানের বাইরে অভিনয়েও দেখা গেছে তাকে। সবশেষ তাকে দেখা গেছে পাকিস্তানের আলোচিত ‘দ্য লিজেন্ড অব মওলা জাট’ সিনেমায়।

এর আগে জুনুন ব্যান্ডের সঙ্গে দুবার বাংলাদেশে এলেও এবারই প্রথম একক কনসার্ট করতে আসছেন আলী আজমত। ‘আলী আজমত (দ্য ভয়েজ অব জুনুন) লাইভ ইন ঢাকা’ শিরোনামের কনসার্ট আয়োজন করবে অ্যাসেন বাজ। সম্প্রতি ফেসবুক পেজে কনসার্টের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ২ মে বিকেল ৪টায় শুরু হবে কনসার্ট। তবে আলী আজমতের সঙ্গে দেশের কেউ গাইবে কি না এবং এই কনসার্ট দেখতে কত খরচ করতে হবে, তা জানায়নি অ্যাসেন বাজ। কনসার্টের বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

 কলি

‘আই কিংস’ নিয়ে ব্যস্ত তারা

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৮ পিএম
‘আই কিংস’ নিয়ে ব্যস্ত তারা
‘আই কিংস’ ব্যান্ডের সদস্যরা । ছবি: সংগৃহীত

এ প্রজন্মের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। আজ থেকে এক দশকেরও বেশি সময় আগে ইমরান, জনি, জিতু, মিঠু ও কাইয়ূম- এই পাঁচজন মিলে ব্যান্ড দল ‘আই কিংস’ গঠন করেছিলেন। এরপর থেকে যখন যেখানে ইমরান স্টেজ শোতে পারফর্ম করতে গেছেন নিজের দলকে সঙ্গে নিয়েই পারফর্ম করেছেন এবং দেশ-বিদেশের সংগীতপিপাসুদের গানে গানে মুগ্ধ করেছেন।

আই কিংস প্রথম স্টেজ শো করেছিল মালয়েশিয়ায়। পরে জাপান, আমেরিকা, লন্ডন, ভারত, কানাডা, অস্টেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, বাহরাইন, থাইল্যান্ডসহ বহু দেশে শো করেছে আই কিংস। দেশের মধ্যে প্রায় ৫০টি জেলায় শো করেছে আই কিংস। গতকালও ঢাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পারফর্ম করে আই কিংস।

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের জেলাগুলোয় স্টেজ শোতে ব্যস্ত থাকবে আই কিংস। দলের ড্রামার সজল কুমার সাহা মিঠু জানান, চলতি বছর তাদের দলে লিড গিটারিস্ট হিসেবে মো. শাহরিয়ার সাঈদ (শুভ্র) যোগ দিয়েছেন। এর আগে এই স্থানে ছিলেন জিতু। দলে ভোকালিস্ট হিসেবে আছেন মো. মাহমুদুল হক ইমরান (ইমরান মাহমুদুল), বেজ গিটারে আছেন জাহাঙ্গীর আলম জনি, ড্রামসে আছেন সজল কুমার সাহা মিঠু, কি-বোর্ডে আছেন মো. কাইয়ূম খান ও লিড গিটারে আছেন মো. শাহরিয়ার সাঈদ শুভ্র।

আই কিংসের এই সেটআপ আগামী ঈদে অর্থাৎ আগামী ৩১ মার্চ কাতারে, ১৯ এপ্রিল মালয়েশিয়া, ২৭ এপ্রিল সিঙ্গাপুর, ১ ও ৮ মে সৌদি আরবে স্টেজ শোতে পারফর্ম করবে। এ ছাড়া ইউরোপ-আমেরিকায় স্টেজ শোতে পারফর্ম করা নিয়ে আলাপ চলছে। আই কিংসের ভোকালিস্ট ইমরান বলেন, ‘জিতু ভাই আমেরিকা চলে যাওয়ার কারণে তার স্থলাভিষিক্ত হলেন শুভ্র। তা না হলে আমাদের দল যা ছিল ঠিক তাই থাকত। তার পরও আই কিংস নতুন উদ্যমে যাত্রা শুরু করেছে এ বছর থেকে। আগামী ঈদ থেকে আই কিংস দেশের বাইরে স্টেজ শোতে পারফর্ম শুরু করবে।

 কলি

বুবলীকে বই উৎসর্গ করলেন শিমুল খান

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম
বুবলীকে বই উৎসর্গ করলেন শিমুল খান
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী ও অভিনেতা শিমুল খান। ছবি: সংগৃহীত

অভিনেতা, লেখক ও কবি শিমুল খান তার দ্বিতীয় বই ‘চল্লিশ হাওয়া (Forty Winds)’ সহকর্মী চিত্রনায়িকা শবনম বুবলীকে উৎসর্গ করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) পরীবাগে অবস্থিত সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন শবনম বুবলী। বইটির মোড়ক উন্মোচনের পরেই বুবলী জানতে পারেন বইটি তাকে উৎসগ করা হয়েছে।

বইটি হাতে নিয়ে বুবলী সাংবাদিকদের সামনে নিজের মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। শিমুল খান বলেন, ‘আদর্শ সহকর্মী ও মানুষ হিসেবে বুবলী অতুলনীয়। তার প্রতিটি পদক্ষেপে চলচ্চিত্র শিল্পের প্রোডাকশন বয় থেকে শুরু করে পরিচালক, প্রযোজক পর্যন্ত সবাই মুগ্ধ হয়েছে। তার পথচলাকে অনুপ্রাণিত করতে আমি আমার দ্বিতীয় বইটি তাকে উৎসর্গ করেছি।’

ঢাকাই চলচ্চিত্রের খ্যাতিমান পোস্টার ডিজাইনার সাজ্জাদুল ইসলাম সায়েমের ডিজাইন করা প্রচ্ছদযুক্ত ‘চল্লিশ হাওয়া’ বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। বইটি সপ্তর্ষি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে, যার মূল্য ২০০ টাকা। এটি বইমেলার ৪২৬/৪২৭ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।