
স্টেজ শোর এই মৌসুমে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী কিশোর দাস ও ফোক ঘরানার শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী লিলিন মুন। এবারই প্রথম তারা দুজন একসঙ্গে একই মঞ্চে সংগীত পরিবেশন করেছেন। গত মঙ্গলবার কুমিল্লা ক্লাব আয়োজিত পারিবারিক আয়োজনে কিশোর ও লিলিন সংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে সবার প্রিয় শিল্পী কিশোর দাস তার নিজের মৌলিক গান ‘যাচ্ছো দূরে’ দিয়েই শুরু করেন তার পরিবেশনা। এরপর একে একে সবার অনুরোধে বিভিন্ন শিল্পীর জনপ্রিয় গান পরিবেশন করেন। এরপর কিশোর তার প্রিয় শিল্পী কুমার বিশ্বজিতের কিছু গান গেয়ে অনুষ্ঠানে মুগ্ধতা ছড়ান। এই আয়োজনে কিশোরের গানেই আয়োজকরা সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ হন।
কিশোর বলেন, ‘পারিবারিক আয়োজনে গান গাইতে একটা অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করে। কারণ সবকিছু ভীষণ গুছানো পরিপাটি থাকে। শ্রোতারাও হন সমঝদার শ্রোতা। যে কারণে নিজের মনের মতো করেই গান পরিবেশন করা যায়। আর এই আয়োজন যেহেতু কুমিল্লা ক্লাবেরই ফ্যামিলি গেটটুগেদার ছিল, তাই যথাসম্ভব ভালোভাবেই আয়োজন করার চেষ্টা ছিল সবার। আমি আমার নিজের মৌলিক গান দিয়েই আমার পরিবেশনা শুরু করি। প্রথম গান পরিবেশনের পরই একের পর এক গানের অনুরোধ আসতে থাকে। সেসব গান পরিবেশনের পর আমি আমার প্রিয় শ্রদ্ধেয় কুমার বিশ্বজিৎ স্যারের কিছু গান পরিবেশন করি। সবমিলিয়ে একটা দারুণ পারিবারিক সন্ধ্যা কাটালাম। ভীষণ ভালো লেগেছে আমার। আমার সঙ্গে লিলিনও সংগীত পরিবেশন করেছে। লিলিন ভালো গায়।’ কিশোরের সঙ্গে এই আয়োজনে লিলিন মুনও গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। লিলিনও যথারীতি তার নিজের একটি মৌলিক গান দিয়ে পরিবেশনা শুরু করেন। এরপর লিলিন একে একে গেয়ে শোনান ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘ইশারা শীষ দিয়ে আমাকে ডেকো না’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমায় ডেকো না ফেরানো যাবে না’ ইত্যাদি।
লিলিন মুন বলেন, ‘কিছুদিন আগেই কিশোর দাদার সঙ্গে সুবর্ণগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে স্টেজ শোতে পারফর্ম করি। এবার আবারও কুমিল্লায় গাইলাম। কিশোর দাদার গায়কি আমার ভীষণ ভালো লাগে। তিনি ভীষণ দরদ দিয়ে মন দিয়ে সুরে থেকে অসাধারণ গান করেন। তার পরিবেশনার সময় মুগ্ধ হয়ে আমি গান শুনি। কিশোর দাদা আমাকে ভীষণ স্নেহ করেন, আমাকে আরও ভালো করার অনুপ্রেরণা দেন। এটা আমার জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। আর আমি সব সময়ই চেষ্টা করি স্টেজ শোতে নিজের গান গাওয়ার পাশাপাশি যে গানগুলোর প্রতি আয়োজকদের চাহিদা রয়েছে সেসব গান শোনাতে। কুমিল্লা ক্লাবের এই পারিবারিক আয়োজনটি মনে রাখার মতোই একটি আয়োজন ছিল।’
/আবরার জাহিন