
বলিউডের হালের সফলতম অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যেই শাহরুখ খান, হৃতিক রোশন, রণবীর কাপুর, রণবীর সিংয়ের মতো তারকাদের সঙ্গে সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। অথচ তিনিই কি না একটা সময়ে আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন। মানসিকভাবে এই অভিনেত্রী এতটাই হতাশ ছিলেন যে, তার আর বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছাই ছিল না।
মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’ নামে একটি পডকাস্ট চালু করা হয়েছে। সেখানে সবশেষ পর্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন জনপ্রিয় এই বলিউড তারকা। পর্বে হতাশার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত লড়াই এবং কীভাবে এমন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠেছিলেন সে সম্পর্কে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান দীপিকা।
হতাশার দিনগুলোর কথা বলতে গিয়ে জাওয়ানখ্যাত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি স্কুলজীবন শেষ করে খেলাধুলায় যোগ দিয়েছিলাম। তারপর মডেলিং থেকে অভিনয়ে এসেছিলাম। আমি তখন নিজেকে ক্রমাগত চাপের মধ্যে রাখতাম। কিন্তু ২০১৪ সালে হঠাৎ একদিন অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে বুঝতে পারি, আমি বিষণ্নতার সঙ্গে লড়াই করছি। এটি এমন একটি বিষয় যেটা আপনি দেখতে পাবেন না। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষই আছেন যারা বিষণ্নতায় ভুগছেন। অথচ বাইরে থেকে দেখলে তাদের অনেক হাসি-খুশি মনে হয়, স্বাভাবিক মনে হয়।’
নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি কীভাবে বুঝতে পারলেন দীপিকা? এ সম্পর্কে তিনি জানান, দীপিকার মা প্রথম বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাকে একজন মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে দেখা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এ সম্পর্কে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘মা প্রথম আমার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির বিষয়টি ধরতে পারেন। তিনি আমার কাজ সম্পর্কে নানা ধরনের প্রশ্ন করেছিলেন যার জবাবে আমি কেবল এটুকুই বলেছিলাম, আমি জানি না। আমার কোনো আশা নেই, আমি ভীষণ অসহায় বোধ করছি। আমি বাঁচতে চাই না।
এসব শুনে মা আমায় একজন মনোবিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলেন। পরবর্তী সময়ে আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পেরেছিলাম। এটি এমন এক সমস্যা যেটা যে কাউকে প্রভাবিত করতে পারে। সবার উচিত এ ধরনের সমস্যা হলে সেটা অন্যের সঙ্গে শেয়ার করা। এতে ব্যক্তি মানসিকভাবে হালকা বোধ করবেন।’ সম্প্রতি দীপিকা ক্যারিয়ারে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা এই অভিনেত্রী শিগগিরই প্রভাসের বিপরীতে ‘কাল্কি ২’ সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নেবেন।
/ফারজানা ফাহমি