ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

বসন্ত ভালোবাসায়

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
বসন্ত ভালোবাসায়
অভিনেত্রী সাফা কবির। ছবি: সংগৃহীত

আজ পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। বসন্তবরণ বাঙালির সংস্কৃতির এক অনন্য উৎসব। ঋতুরাজ বসন্তের আগমনকে স্বাগত জানানোর জন্য উদযাপিত হয় এই উৎসব। প্রথম ফাল্গুনকে বরণ করে নেওয়ার পাশাপাশি প্রিয়জনদের সঙ্গে ভালোবাসা ভাগাভাগি করে নেবেন সাধারণ মানুষ থেকে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। এসব বিষয় নিয়ে আয়োজন করা হয়ে খবরের কাগজের আজকের রঙ। তারকাদের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন এ মিজান।

অভিনেতা সোহেল রানা । ছবি: সংগৃহীত


আমাদের সময় প্রপোজ করতেই ৫ বছর লেগে যেত: সোহেল রানা
বিশ্ব ভালোবাসা নিয়ে বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক শফিক রেহমান যখন ‘লাল গোলাপ’ শো শুরু করেন তখন আমি তার বিরোধিতা করেছিলাম। সে সময় পত্রিকাতেও আমি এসবের বিরুদ্ধে কথা বলেছিলাম তাকে নিয়ে। কারণ এসবের জন্য আমাদের সংস্কৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদেশি কালচার আমাদের কালচারে প্রভাব বিস্তার করেছে। বাঙালির সংস্কৃতি অনেক বেশি সমৃদ্ধ। ১২ মাসে ১৩ পার্বণের দেশ বাংলাদেশ। বৈশাখ, চৈত্রসংক্রান্তি, ফাল্গুনসহ বাঙালিদের নানা রঙিন সংস্কৃতি রয়েছে। বিদেশি সংস্কৃতির বিভিন্ন ডে দিয়ে আমাদের সংস্কৃতি আজ ধ্বংসপ্রায়। তাদের আবেগ আর আমাদের আবেগ এক নয়। বিদেশিরা লিভ টুগেদার করেন। বিয়ের আগেই তাদের ছেলেমেয়ে হয়।

১৮ বছর বয়স হলেই ছেলেমেয়েরা মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা থাকে। এটা আমাদের সংস্কৃতিতে ভাবাই যায় না। আমরা পরিবারনির্ভর। পরিবার আমাদের সারা জীবনের জন্য। আমরা পারিবারিক ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চাই। আমরা ঘরের বাইরে গেলেও বাবা-মাকে বলে যেতাম। তাদের ভালোবাসা সব সময় আমার মাথার ওপর ছিল। এখন কে কোথায়, কার সঙ্গে যায় এসব নিয়ে কেউ খবর রাখেন না। সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। আর ভালোবাসা নিয়ে বিশেষ কোনো দিবস আমার খুবই অপছন্দের। ভালোবাসার বিশেষ কোনো দিবস কেন থাকবে? প্রিয় মানুষকে আমরা সব সময়ই ভালোবাসব। প্রতিদিনই ভালোবাসার দিন আমাদের। ভালোবাসার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ বা সময় থাকা উচিত না।

এখন ভালোবাসা বিষয়টি ঠুনকো হয়ে গেছে। এখন মানুষ অর্থ এবং এনজয় করাতেই বেশি বিশ্বাসী। সবকিছু একেবারেই রোবোটিক হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স। আমাদের সময় প্রোপজ করতেই ৫ বছর লেগে যেত। কাউকে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করা ছিল অনেক কঠিন বিষয়। এখন প্রথম দিনেই কফি ডেট, প্রথম দিনেই তুমি সম্বোধন। সবকিছু কেমন যেন এলোমেলো লাগে। প্রজন্ম অনেক আবেগহীন হয়ে যাচ্ছে। কেউ মারা গেলেও এখন আর সবাই কাঁদেন না। কিছু মানুষ কাঁদেন, আর কিছু মানুষ যেন দায়িত্ব পালন করতেই ছুটে যান। সবকিছুই আর্টিফিশিয়াল। আমি পর্দায় অসংখ্য প্রেম করেছি। কিন্তু ব্যক্তিজীবনে প্রেমের অভিজ্ঞতা ভালো না। কারণ আমার সব সময় ফোকাস ছিল আমার ক্যারিয়ার নিয়ে। আমি রাজনীতি করেছি, খেলাধুলা করেছি। পড়াশোনা নিয়েও তুমুল ব্যস্ত থাকতাম। ব্যস্তময় জীবনে ওইভাবে প্রেম করা হয়নি। তবে আমি আমার প্রিয় মানুষদের অনেক ভালোবাসি। দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি আমার ভালোবাসা আছে এবং থাকবে। সবার জন্যই অনেক ভালোবাসা ও শুভকামনা।

অভিনেত্রী ববিতা। ছবি: সংগৃহীত

 

ভালোবাসার চেয়ে মূল্যবান কিছু নেই: ববিতা
বিশেষ দিন বা সময় ভালোবাসার জন্য নির্ধারণ করা উচিত নয়। ভালোবাসা হচ্ছে সাংঘাতিক একটা ব্যাপার। এর চেয়ে সত্য, সুন্দর ও চিরন্তন কিছু নেই। ভালোবাসার চেয়ে মূল্যবান আর কিছু নেই। সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের ভালোবাসা, স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা, ভাই-বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা, প্রেমিক-প্রেমিকার ভালোবাসা- সবকিছু মিলিয়ে ভালোবাসাটা স্বর্গীয় একটা বিষয়। এই পৃথিবীতে ভালোবাসা না থাকলে পৃথিবী এত সুন্দর হতো না। আমাদের সময় যে ভালোবাসা ছিল, আর এখন বর্তমান সময়ে ভালোবাসার যে ধরনের ভালোবাসা দেখি তা হচ্ছে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। আমাদের সময়ে ভালোবাসা ছিল আস্থার, শ্রদ্ধা ও একে অপরের প্রতি দারণ বিশ্বাসের। ভালোবাসা এখনো আছে কিন্তু তার পরও এখনকার ছেলেমেয়েরা কীসের পেছনে যেন ছুটে বেড়ায় সব সময়। এক ধরনের অস্থিরতা দেখি তাদের মাঝে। ভালোবাসা নিয়ে আমার বেশ স্মৃতি আছে। আমি যদি বলি আমার ভালোবাসা ছিল না, তাহলে ভুল বলা হবে। তবে বিভিন্ন পত্রিকায় তখন বিভিন্নজনের সঙ্গে আমার গসিপ লেখা হতো। এগুলো পড়ে আমি হাসতাম।

ছোট বয়সেই মিডিয়ায় কাজ শুরু করেছিলাম। আমার ক্যারিয়ারে অনেক নায়কের সঙ্গেই কাজ করেছি। কিন্তু জাফর ইকবালের প্রতি আমার একটা ভালোলাগা ছিল। সেটা ভালোবাসাও বলতে পারেন। জাফর ইকবাল ছিল ভীষণ স্মার্ট, গুড লুকিং। অভিনয়ও যেমন দারুণ করতেন আবার গানও গাইতেন চমৎকার। কেউ কেউ বলেন, ভালোলাগার তীব্রতা নাকি জাফর ইকবালের বেশি ছিল। আমারও কিন্তু ভালোই ছিল। অভিনয়ের কারণে অসংখ্য ভক্তের ভালোবাসা পেয়েছি। অনেক ভক্ত আমার সঙ্গে দেখা করার জন্য পাগলামীও করেছেন। একবার প্রেস ক্লাবের সামনে এক ভক্ত মশারি টাঙিয়ে বসে গেলেন আমার জন্য। তার দাবি ছিল আমার সঙ্গে দেখা করে ভালোবাসার কথা প্রকাশ করবেন। সে সময় এ ঘটনা পত্রিকাগুলো ফলাও করে ছাপিয়েছিল। পুলিশ নাকি বুঝিয়ে সেই ভক্তকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। আমি কী কারণে যেন সেই ভক্তের কাছে যেতে পারিনি। এখনো অনেক মানুষ আমার বাসার নিচে এসে দেখা করতে চায়। সবার সঙ্গে তো আর দেখা করা সম্ভব নয়, তবে আমি চেষ্টা করি ভক্তদের অনুরোধ রাখতে। কোথাও গেলে ভক্তদের কারণে আমি কখনই বিরক্ত হই না। কারণ তাদের ভালোবাসার জন্যই আমি ববিতা হতে পেরেছি। আমি দোয়া করি সবাই সবার ভালোবাসার মানুষগুলো নিয়ে সুখে থাকুক। সবাইকে ভালোবাসা দিবসের শুভেচ্ছা। কারণ ভালোবাসা সুন্দর হলেই মানুষগুলো ভালো থাকে। ভালোবাসায় ভালো থাকুন পৃথিবীর সব মানুষ।

আমি হলুদ শাড়ি পরব: সাফা কবির
প্রতিদিনই আমার কাছে ভালোবাসার দিন। তারপরও ভালোবাসার জন্য একটি বিশেষ দিন থাকলে এটা আরও বেশি উপভোগ্য হয়। আমার কাছে মনে হয়, ভালোবাসা মানে শুধুই প্রেমিক-প্রেমিকা এমনটি নয়। ভালোবাসার মানুষ মা-বাবা, ভাইবোন, বন্ধুরা যে কেউই হতে পারেন। তবে যেকোনো বিশেষ দিন বা সময় আমার ভালো লাগে। পহেলা ফাল্গুন ও ভালোবাসা দিবসের পরিকল্পনা হয়ে গেছে। আমি দুপুরে হলুদ শাড়ি পরব, আর রাতে লাল পোশাক পরে সেলিব্রেট করব। আমার কাছে ভালোবাসার মানে  হচ্ছে ‘ওপেন টু লাভ’। ভালোবাসার দিনে সবাই ভালো থাকুক সেই কামনা করি। সবাই তার ভালোবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে দিনটি ভালোভাবে উদযাপন করুক। 

অভিনেত্রী মুমতাহিনা টয়া। ছবি: সংগৃহীত

 

শুধু মুখে বলে দিলেই ভালোবাসা হয় না : মুমতাহিনা টয়া
আমার কাছে ভালোবাসা দিবসের বিশেষ পরিকল্পনা নেই। প্রতিদিনই প্রিয় মানুষদের ভালোবাসার দিন। ভালোবাসার দিনে আমি একটা বার্তা দিতে চাই, সেটা হলো ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে সেটা রক্ষা করাটা বেশি কঠিন। ভালোবাসা মেইনটেইন করতে হয়। আমি তোমাকে ভালোবাসি শুধু মুখে বলে দিলেই ভালোবাসা হয় না। কাজে ও ব্যবহারে বোঝাতে হয়। নিজের পার্টনারকে অথবা পরিবারের মানুষকে যাকেই ভালোবাসেন, কাজ দিয়েই তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে, আপনি আসলে কতটা ভালোবাসেন। 

সংগীতশিল্পী ইমরান মাহমুদুল। ছবি: সংগৃহীত

 

ভালোবাসা শুধু একটা শ্রেণিতে আবদ্ধ নয় : ইমরান
ভালোবাসা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমরা এটাকে আসলে প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলি। এটা সঠিক নয়, প্রেমিক-প্রেমিকা ছাড়াও ভালোবাসা হচ্ছে মা-বাবার প্রতি, দেশ, সমাজের প্রতি বিশেষ অনুভূতি। ভালোবাসা মানে সংগ্রাম ও সেক্রিফাইস। ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের মাস। ভাষার জন্য অনেকেই রক্ত দিয়েছেন। ভাষার প্রতি যারা জীবন দিয়েছেন তাদের এই ভালোবাসাটা শ্রদ্ধা ও সম্মানের। তাই ভালোবাসা দিবস শুধু একটা শ্রেণিতে আবদ্ধ নয়। ভালোবাসা দিবস আমি গানে গানে ভক্তদের সঙ্গে উদযাপন করব। এই মাসে আমার অনেক শো আছে। তাই ভালোবাসা দিবস নিয়ে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা করতে পারিনি। তবে একজন শিল্পী হিসেবে ভক্তদের সঙ্গে ভালোবাসা শেয়ার করার যে সুযোগ পাচ্ছি, এটাই আমার অনেক বড় প্রাপ্তি।

/আবরার জাহিন

নতুন প্রেমিকাকে নিয়ে প্রকাশ্যে আমির খান

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১১ পিএম
নতুন প্রেমিকাকে নিয়ে প্রকাশ্যে আমির খান
আমির খান ছবি: সংগৃহীত

বেশ কিছুদিন যাবৎ বলিউড সুপারস্টার আমির খানের নতুন প্রেমের খবর নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে নেটদুনিয়ায়। প্রেমের খবর জানাজানি হওয়ার পর প্রেমিকা গৌরী স্প্র‍্যাটের সঙ্গে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে এসেছেন আমির খান।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) মুম্বাইয়ে এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের অফিসের বাইরে আমির ও গৌরীকে দেখতে পাওয়া যায়।

গৌরী অফিস থেকে বের হচ্ছিলেন এবং বাইরে অপেক্ষা করছিলেন আমির। এ সময় ক্যামেরার দিকে তিনি আন্তরিকভাবে হাত নাড়েন। 

গত ১৪ মার্চ ৬০ বছরে পা দিয়েছেন আমির খান। এর আগের দিন ১৩ মার্চ তিনি অনানুষ্ঠানিক মিট অ্যান্ড গ্রিট ইভেন্টে নিজের সঙ্গীকে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে জানান, এক বছরেরও বেশি সময় তারা একসঙ্গে রয়েছেন। 

তখন তিনি বলেন, ‘আমরা এখন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং আমরা একে অপরের সঙ্গে যথেষ্ট সুরক্ষিত অনুভব করেছি। আর এটা ভাল যে আমাকে এখন থেকে আর কিছু লুকাতে হবে না। আমি ভেবেছিলাম এটা তোমাদের সবার সঙ্গে ওর আলাপ করিয়ে দেওয়ার একটা সুন্দর উপলক্ষ্য। ও গতকাল রাতেই (১২ মার্চ) শাহরুখ খান ও সালমান খানের সঙ্গেও দেখা করেছে।’

এ ছাড়া তিনি বলেন, 'দেখুন, আমরা পুরোপুরি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমি দুবার বিয়ে করেছি। আর ৬০ সাল কি উমর মে শাদি শায়েদ মুঝে শোভা নেহি দেগি (৬০ বছর বয়সে বিয়ে আমার বিয়ে করা আর শোভা পায় না)। তবে দেখা যাক।'

গৌরী বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ে একটি বিব্লান্ট সেলুন চালাচ্ছেন। তার ছয় বছরের একটি সন্তান রয়েছে এবং আমিরের সঙ্গে তার ২৫ বছরের পরিচয়।

মেহেদী/

ঢালিউড সিনেমায় কাজ করতে ঢাকায় আসছেন বলিউডের রাহুল

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:০২ পিএম
ঢালিউড সিনেমায় কাজ করতে ঢাকায় আসছেন বলিউডের রাহুল
ছবি: সংগৃহীত

বলিউড ও দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা রাহুল দেব। এবার এই অভিনেতা প্রথমবারের মত বাংলাদেশি সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন। পরিচালক আসিফ ইকবাল জুয়েলের আসন্ন ‘ফোর্স’ শিরোনামের একটি সিনেমায় কাজ করবেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছবিটির পরিচালক নিজেই। 

কিছুদিন আগেই ছবিটিতে অভিনয়ের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন জনপ্রিয় পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী জারা আহমেদ। এবার আসিফ জানালেন, ছবিটিতে বলিউড অভিনেতা রাহুল দেবও থাকছেন। এই প্রথম বাংলাদেশি কোন সিনেমায় কাজ করতে যাচ্ছেন তিনি। 

সিনেমা কাজ প্রসঙ্গে পরিচালক জানান, এখন সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে। আগামী ১০ এপ্রিল থেকে এফডিসিতে এটির শুটিং শুরু হবে। ছবিটিতে নায়ক হিসেবে থাকছেন বাংলাদেশের ম্যাক দিদার এবং নায়িকা হিসেবে কাজ করবেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী জারা আহমেদ।

ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হওয়া নিয়ে রাহুলের ম্যানেজার রাম দেশের এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফোর্স ছবিতে রাহুল দা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আগামী এপ্রিলে এটির শুটিংয়ে অংশ নিতে তিনি বাংলাদেশে যাবেন। 

/শাকিল  

ওয়েব সিরিজে মৌমিতা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৫ এএম
ওয়েব সিরিজে মৌমিতা
ছবি: সংগৃহীত

বেশকিছু দিন অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌমিতা মৌ। সর্বশেষ তার অভিনীত সিনেমা ছিল গুণী চলচ্চিত্র নির্মাতা ছটকু আহমেদ পরিচালিত ‘আহারে জীবন’ সিনেমাটি। এর পর তাকে আর কোনো সিনেমাতে অভিনয়ে দেখা যায়নি। নতুন কোনো নাটকেও অভিনয় করেননি ‘আহারে জীবন’ মুক্তির পর। 

মৌমিতা মৌ’র ভাষ্যমতে, তিনি নিজেকে সময় দিয়েছেন। কাজে খুব একটা আগ্রহ পাননি বিধায় নতুন কাজেও নিজেকে যুক্ত করেননি। তবে একের পর এক নিজেকে কাজ থেকে একটু দূরে সরিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত মৌমিতাকে তার ভালো লাগার স্থানেই ফিরতে হলো। অর্থাৎ অভিনয়েই ফিরতে হলো তাকে। কারণ অভিনয়ের প্রতি তার একটা অন্য রকম ভালো লাগা রয়েছে। যে কারণে ক্যামেরার সামনে থেকে খুব বেশিদিন নিজেকে বিরত রাখতে পারেননি।

এরই মধ্যে মৌমিতা মৌ মাবরুর রশীদ বান্নাহর পরিচালনায় ধারাবাহিক নাটক ‘ব্যাডবাজ পোলাপাইন’-এ অভিনয় করেছেন। নাটকটি রচনা করেছেন মোসাব্বের হোসেন মুঈদ। নাটকটির কাজ সম্পন্ন করেছেন তিনি। এই নাটকটি আগামী ঈদের পর প্রচারে আসবে বলে জানান মৌমিতা মৌ। এ ছাড়াও আজ থেকে মৌমিতা মৌ কমল সরকারের রচনায় তাজু কামরুলের পরিচালনায় একটি ওয়েব সিরিজেও কাজ করবেন বলে জানান মৌমিতা। ওয়েব সিরিজটির নাম ‘রিটার্ন’। এতে মৌমিতাকে কবিতা চরিত্রে অভিনয়ে দেখা যাবে। 

মৌমিতা মৌ বলেন, ‘কোনো কারণ ছাড়াই বেশকিছু দিন অভিনয় থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলাম। নিজের মতো করে কিছুটা দিন সময় কাটিয়েছি। এর মধ্যে বেশকিছু নাটক-সিনেমাতেও কাজ করার প্রস্তাব এসেছিল। সবকিছু মিলিয়ে কেন জানি আমার ভালো লাগছিল না, কাজও করা হয়ে ওঠেনি। কিন্তু শেষমেষ বান্নাহ ভাইয়ের নির্দেশনায় ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেই ফেললাম। কারণ গল্পটা এবং আমার চরিত্রটি আমার কাছে ভালো লেগেছে।

আর তাজু কামরুল ভাইও অনেক দিন ধরেই বলছিলেন একটি নতুন কাজ করার জন্য। যেহেতু রিটার্ন একটি মিনি ওয়েব সিরিজ এবং গল্প শ্রদ্ধেয় কমল সরকার দাদার লেখা। কবিতা চরিত্রটিও ভালো লেগেছে আমার। যে কারণেই কাজটি করছি। আজ থেকে গাজীপুরের ম্যাকভ্যালি রিসোর্টে রিটার্নের শুটিং শুরু হবে। আশা করছি কাজটি ভালো হবে। বাকিটা প্রচারে এলেই বোঝা যাবে।’

মৌমিতা মৌ ভালো গল্পের সিনেমায় কাজ করতে বেশি আগ্রহী। মৌমিতা মৌকে প্রথম কালাম কায়সারের ‘তোমারই আছি তোমারই থাকবো’ সিনেমায় অভিনয়ে দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে তাকে ‘তুই শুধু আমার’, ‘মাটির পরী’, ‘মাস্তানী’, ‘অন্তর্জাল’ সিনেমায় অভিনয়ে দেখা যায়। 

/শাকিল  

 

ইয়াশ-তটিনীর সঙ্গে তাহসিন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
ইয়াশ-তটিনীর সঙ্গে তাহসিন
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি ঢাকায় এসেছিলেন লাক্স সুন্দরী সিফাত তাহসিন। দেশে ফিরে ঈদের নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের প্রযোজনায় ‘অগ্নিশিখা’য় দেখা যাবে তাকে। এতে তাহসিনের দুই সহশিল্পী ইয়াশ রোহান ও তানজিম সাইয়ারা তটিনী। গল্পের প্রধান তিনটি চরিত্রে থাকছেন তারা। 

দীর্ঘ সাত বছর পর দেশের নাটকে কাজ করা প্রসঙ্গে সিফাত তাহসিন বলেন, ‘আমাদের শুরুর সময় শুটিং হতো একভাবে। এখন কাজ করে মনে হলো পিকনিকে মেজাজে ছিলাম! পুরান ঢাকার মতো অতিজনাকীর্ণ জায়গায় কাজ করলেও সেই আবহ টের পাইনি! মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজের ইউনিটের সবকিছুই দারুণ গোছানো ছিল। তিনি প্রযোজক হিসেবে সবার যত্ন নেন। এতে আমি মুগ্ধ। পরিচালক রানা ফুরফুরে মানুষ। আর ‘অগ্নিশিখা’ চমৎকার একটি গল্প। সব মিলিয়ে মনের মতো একটি কাজ করেছি।’ 

২০০৯ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পরিচিতি পান সিফাত তাহসিন। সেরা পাঁচে জায়গা করে নেন তিনি। অভিনয়ে নিয়মিত ছিলেন তিনি। বেশকিছু নাটকে ও বিজ্ঞাপনচিত্রে দেখা গেছে তাকে। ২০১৮ সালে বিয়ে করে বিদেশে পাড়ি জমান তাহসিন। ২০১৯ সালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত হয় তার সর্বশেষ নাটক।

সিফাত তাহসিন স্বামী ও চার বছর বয়সী কন্যাসন্তান নিয়ে কানাডার টরন্টোতে থাকেন। গত জানুয়ারি মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে একটি নাটকের শুটিং করেছেন তিনি। এবার দেশে এসে অভিনয় করলেন। 

‘অগ্নিশিখা’ রচনা ও পরিচালনা করেছেন কেএম সোহাগ রানা। তাহসিনের অভিনয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সিফাত তাহসিন মানুষ হিসেবে দারুণ। আমাদের মনেই হয়নি প্রথমবার একসঙ্গে কাজ করছি। কানাডার ফ্লাইটে ওঠার আগের দুই দিন ‘অগ্নিশিখা’র শুটিং করেছেন তিনি। শুটিংয়ের ফাঁকে তার মুখে ইউনিট নিয়ে প্রশংসা শুনেছি। এমনকি বিমানে উঠে মেসেজ দিয়ে নিজের ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন তিনি।’

নিজের নতুন নাটক প্রসঙ্গে কেএম সোহাগ রানা বলেন, ‘এটি একটি ভালোবাসার গল্প। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা নয়; ভাইবোন, মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনসহ সবার সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধন মানুষকে ইতিবাচক রাখে। আমার এই গল্পের মূল বক্তব্য হলো, যেকোনো পরিস্থিতিতেই ভালোবাসার মানুষের বিপক্ষে যাওয়া উচিত নয়।’ 

নাটকটিতে আরও অভিনয় করেছেন শিল্পী সরকার অপু, ফখরুল বাশার, মিলি বাশার, বড়দা মিঠু, এমএনইউ রাজু। পুরান ঢাকার সূত্রাপুর ও বুড়িগঙ্গায় এর শুটিং হয়েছে। চিত্রগ্রহণে ফুয়াদ বিন আলমগীর। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ইউটিউবে সিনেমাওয়ালা চ্যানেলে মুক্তি পাবে ‘অগ্নিশিখা’। 

/শাকিল  

 

মিউজিক ভিডিওতে মিলা হোসেন ও সাঞ্জু জন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৩ পিএম
মিউজিক ভিডিওতে মিলা হোসেন ও সাঞ্জু জন
ছবি: সংগৃহীত

এক সময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী মিলা হোসেন। ২০০০ সালে তিনি ‘লাক্স আনন্দধারা ফটোজেনিক’ হয়েছিলেন। ফটোজেনিক হয়েই তিনি একজন মডেল হিসেবে কাজ করে সেই সময় জনপ্রিয়তা লাভ করেন। নাটকে অভিনয় করেও বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। 

ঢাকার আজিমপুরের মেয়ে দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন স্বামী জাকারিয়া মাসুদ জিকোর সঙ্গে। তবে নিয়ম করে প্রতিবছরই মিলা হোসেন একবার হলেও দেশে আসার চেষ্টা করেন। আর যখন দেশে আসেন তখন কোনো না কোনো কাজ করার চেষ্টা করেন তিনি। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও মিলা হোসেন নতুন একটি কাজ করেছেন।

তবে এবার বিজ্ঞাপনের মডেল কিংবা নাটকে অভিনয় নয়। এবার তিনি মিউজিক ভিডিওর মডেল হিসেবে কাজ করেছেন। মারুফ আহমেদের লেখা ও উজ্জ্বল সিনহার সুর-সংগীতে ‘তোমার চোখে চোখ পড়তেই’ গানে মডেল হয়েছেন তিনি। গানটির মিউজিক ভিডিওতে মিলা হোসেনের সঙ্গে মডেল হয়েছেন এই প্রজন্মের নায়ক, মডেল সাঞ্জু জন। 

গত ১২ মার্চ মিউজিক ভিডিওটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। মিউজিক ভিডিওটির গল্প ও নির্দেশনা দিয়েছেন বিপ্লব সাহা। গানটি গেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত গায়িকা কোনাল ও বিপ্লব সাহা। 

মিলা হোসেন বলেন, ‘বিপ্লব দাদা এবং কোনালের গাওয়া তোমার চোখে চোখ পড়তেই গানটি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। একটা মিষ্টি প্রেমের রোমান্টিক গান। গানের কথা ও সুর শ্রোতাদের মুগ্ধ করবে। কোনাল তো নিঃসন্দেহে খুব ভালো গায়। তার সঙ্গে বিপ্লব দাদাও যথেষ্ট ভালো গাইবার চেষ্টা করেছেন। আর নিজের গানের মিউজিক ভিডিও বিপ্লব দাদা ভীষণ যত্ন নিয়েই নির্মাণ করার চেষ্টা করেছেন। আমার যারা শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের জন্য সুখবর এই যে, অনেক দিন পর আমাকে একটু অন্য রকমভাবে এই মিউজিক ভিডিওতে দেখা যাবে। আশা করছি সবার ভালো লাগবে। আর সাঞ্জু জন বেশ ভালো করার চেষ্টা করেছে। সব মিলিয়েই আমরা আশাবাদী এই মিউজিক ভিডিওটি নিয়ে।’

সাঞ্জু জন বলেন, ‘আমার পরম সৌভাগ্য যে আমি মিলা আপুর সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। এ জন্য অবশ্য বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই বিপ্লব দাদাকে। কারণ তার আন্তরিকতায় তারই উদ্যোগে একটি চমৎকার কাজ হলো। দুজনে গানটি গেয়েছেনও দারুণ। একদম সময়োপযোগী একটি গান। আশা করছি শ্রোতা দর্শকের মন ভরে যাবে।’

উল্লেখ্য, মিলা হোসেনকে সর্বশেষ ‘প্রবাস যাপন’, ‘আপন ভুবন’ নাটকে অভিনয়ে দেখা যায়। 

/শাকিল