বক্তব্যধর্মী নাটক লিখে প্রশংসিত নাট্যকার অর্পনা রানী রাজবংশী। সারা বছরই নাটক লেখার কাজে ব্যস্ত থাকেন তিনি। তবে বিভিন্ন উৎসব আয়োজনে তার কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি পায়। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষ্যে তিনটি নাটক লিখেছেন তিনি। নাটকগুলো হলো- ‘সর্বপ্যাথি ডাক্তার’, ‘বিশিষ্ট চিন্তাবিদ’, ‘টনিং ম্যান’। নাটক তিনটি পরিচালনা করেছেন নাজনীন হাসান খান।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে দেখা যাবে- আখম হাসান, মৌসুমী হামিদ, তারিক স্বপন, আঁখি চৌধুরী, কাজী রাজু, রেশমা আহমেদ, জামাল রাজা, জুলফিকরার চঞ্চল,ফরিদ হোসাইন, প্রমুখ।
গল্পে দেখা যাবে, আলিম বিশ্বাস করে জীবনে চলতে গেলে সবকিছু প্ল্যানিং করে চলতে হয়। তার যুক্তি, এক জীবনে যা ইনকাম সবই যদি খেয়ে ফেলে তাহলে সন্তান মানুষ করবে কিভাবে। এই নিয়ে প্রায় তার স্ত্রী রত্নার সাথে ঝগড়ার সৃষ্টি হয়।
আলিম প্ল্যানিং করে আগরবাতি ভেঙ্গে ব্যবহার করলে সেটা বেশিদিন ব্যবহার করা যাবে। সে চিন্তা করে আগরবাতি যদি ভেঙ্গে ব্যবহার করা হয় তাহলে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে। সে ঘুমানোর আগে ঘড়িতে এলার্ম দেয় এবং ঘুম থেকে উঠে ঘড়ির ব্যাটারি খুলে রাখে, তার ভাবনা তাতে করে ঘড়ির ব্যাটারি সাশ্রয় হবে। কিন্তু পরক্ষণেই তার চিন্তা ভেস্তে যায়। কারণ, সেই ঘড়ির সময় ঠিক করার জন্য বাজার বা অন্য কোথাও যেতে হয়।
নাটকগুলোর প্রসঙ্গে অর্পনা রানী রাজবংশী বলেন, আমি সবসময় বক্তব্যনির্ভর নাটক লেখার চেষ্টা করি। তা ছাড়া উৎসব আয়োজনের নাটকগুলোতেও আনন্দের ছোঁয়া যেন থাকে, সেদিকে খেয়াল থাকে আমার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আশা করছি নাটকগুলো উপভোগ্যই হবে।
এর মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী একটি গল্প ‘সর্বপ্যাথি ডাক্তার’। শ্যামল যখন খুব ছোট, তখন বাবা বিনে চিকিৎসায় মারা যায়। তার ইচ্ছে ছিল ডাক্তার হওয়া। ওষুধ দোকানে পার্ট টাইম চাকরি করে পড়াশোনাও করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগও পায়, কিন্তু টাকার অভাবে আর পড়াশোনা হয় না। এরপর বিভিন্ন বই-পুস্তক, ইউটিউব-গুগল রিসার্চ করে চিকিৎসা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে গ্রামের মানুষের সেবা প্রদান করা শুরু করে। পশু-পাখি-মানুষ সর্বপ্রকার চিকিৎসা করায় হয়ে ওঠেন সর্বপ্যাথি ডাক্তার। নামমাত্র টাকার বিনিময়ে কিংবা বিনে টাকায়ও চিকিৎসা প্রদান করে শ্যামল। ইলা শ্যামলকে অনেক ভালোবাসে, কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে টাকার অভাবে বিয়ে করতে পারে না, চাপ দেয় ইলা।
/রিয়াজ