
হলিউডের কমেডি জনরার ক্ল্যাসিক সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’। ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তিন জনপ্রিয় তারকা মার্গট রবি, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও এবং ব্র্যাড পিট। পর্দার বাইরে ডিক্যাপ্রিও এবং পিটের বন্ধুত্বের কথা সবারই জানা। তবে জানা গেছে, ছবিটিতে কাজ করতে গিয়ে অভিনেত্রী মার্গট রবির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন এই দুই বন্ধু। এমনকি অভিনেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গিয়ে ঝগড়ায়ও জড়িয়ে পড়েছিলেন তারা।
বিষয়টি গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর অবশ্য তারা কখনোই এ নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে সিনেমার পর বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে অভিনেতাদের রবির সঙ্গে ফ্লার্ট করতে দেখা গেছে। বিষয়টি নিয়ে মার্কিন এক গণমাধ্যম প্রতিবেদন করেছিল, ‘মার্গট রবির মনোযোগ আকর্ষণ করতে ব্র্যাড পিট ও ডিক্যাপ্রিও আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন। এমনকি এই বিষয়টি তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছিল। এ ছাড়া কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে রবি এবং ডিক্যাপ্রিওকে একসঙ্গে আনন্দঘন মুহূর্ত কাটাতে দেখা গেছে। পিট নিজেও এমন প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন।’
বিষয়টি নিয়ে ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানিয়েছিল, লিও সব সময়ই রবির প্রিয় অভিনেতা হিসেবে পরিচিত থাকলেও তার থেকে পিটের সঙ্গে এই অভিনেত্রীর বেশি ঘনিষ্ঠভাব ছিল। কাহিনিগুলো তখন ইন্টারনেট এবং ভক্তদের মধ্যে তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি করেছিল।
তবে ধারণা করা হয়, গণমাধ্যমে আসা এই সংবাদের পুরোটাই ছিল গুজব। কেননা সে সময়ে টাইটানিক’খ্যাত অভিনেতা ডিক্যাপ্রিও মডেল ক্যামিলা মরোনের সঙ্গে প্রেম করতেন। আর ব্র্যাড পিটের মুখপাত্রের দাবি, মার্গট রবির সঙ্গে পিটের সম্পর্ক ছিল সম্পূর্ণ পেশাদার ও বন্ধুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে, অভিনেত্রী মার্গট রবি নিজেও ২০১৬ সাল থেকে টম অ্যাকারলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ আছেন।
এই অভিনেত্রীকে নিয়ে একই সংবাদমাধ্যম আরেকটি গুজব ছড়িয়েছিল যে, তার স্বামী তাকে ‘ওয়ান্স আপন আ টাইম ইন হলিউড’ সিনেমায় কাজ করতে নাকি বাধা দিয়েছিলেন। এমনকি তাকে নিয়ে পিট-ডিক্যাপ্রিওর ঝগড়ার বিষয়টিও গুজব হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এই সিনেমার পর বেশকিছু সাক্ষাৎকারে তাদেরকে একে অপরের প্রশংসা করতে দেখা গেছে।