
জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশা। তার সহকারী আল আমিন। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গুলিতে মারা যান তিনি। ইতোমধ্যেই মৃত্যুর সাত মাস পার হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রয়োজনে এবার আল আমিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
গত সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এবং উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা-পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে আল আমিনের লাশ উত্তোলন করা হয়। তবে মৃত্যুর সাত মাস পর আল আমিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের খবরে ভীষণ মর্মাহত তানজিন তিশা।
আল আমিনের লাশ উত্তোলনের খবরটি শোনার পর গত মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে এক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তানজিন তিশা। তিনি লিখেছেন, ‘আল আমিন শুধু সহকারী নয়, সে আমার ভাই, যে আমার সঙ্গে পাঁচটি বছর ছিল। যে ছিল নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং সে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়।
সাত মাস পর আল আমিনের মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না। এই কর্মের মাধ্যমে কী লাভ হবে? শুধু ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো বিষয়টা আমি জানার পর বিষয়টি আমার কাছে মেনে নেওয়া অনেক কষ্টদায়ক। এর পেছনে যে বা যারা জড়িত, তারা কোন উদ্দেশ্যে এ কাজটি করেছে, আমি চিন্তা করে খুবই হতবাক বিষয়টি নিয়ে। ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।’
এর আগে আল আমিনের মৃত্যুর খবর শোনার পর সাত মাস আগে প্রতিক্রিয়ায় তিশা জানিয়ে ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘আল আমিন সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো আমার পাশে বসে থাকত। আমার কত পরিকল্পনা ছিল ওকে নিয়ে! ওকে ড্রাইভিং শেখাব! জোর করে বলতাম, পড়াশোনাটা নিয়মিত করতে, পরীক্ষাটা দিতে। কত বকা দিয়েছি, আবার একটু পর ঠিকই বোঝাতাম, আবার মন খারাপও করে থাকত।’
এদিকে পরিবার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আল আমিন। পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তী সময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। ঘটনার চার মাস পর ডিসেম্বরে আল আমিনের বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেন।
/শাকিল