
সানজিদা কানিজ নাটকের প্রিয় একজন মুখ হয়েই উঠছিলেন। শুরু করেছিলেন একের পর এক ভালো গল্পের নাটকে অভিনয় করা। কিন্তু একটা সময় অভিনয় থেকে তাকে বিরতি নিতে হয়। অভিনয়ে একজন অভিনেত্রীর প্রায় এক যুগের বিরতি থাকলে হয়তো অভিনয়ের প্রতি আর ভালোবাসাটাই থাকে না। কিন্তু সানজিদা কানিজের ক্ষেত্রে হয়েছে পুরো উল্টো। তিনি যেন অভিনয়ের প্রতি আরও ভালোবাসা ও অধ্যবসায় নিয়ে অভিনয়ের দুনিয়ায় ফিরেছেন।
অভিনয়ের সানজিদা কানিজের শুরুটা হয়েছিল ২০০৮ সালে। অনুপম আইচের নির্দেশনায় ‘আতঙ্ক’ নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এটি বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। এরপর সানজিদা কানিজকে ‘ছায়াঘাতক’, ‘অবশেষে তারা’, ‘রইচউদ্দিনের স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন’, ‘সুন্দরীতমা’সহ আরও বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায়। একের পর এক নাটকে অভিনয় করে সেই সময় বেশ দর্শকপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তবে ২০১২ সালে আরটিভিতে প্রচারিত সেই সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘বয়রা পরিবার’ ধারাবাহিকই ছিল তার অভিনীত শেষ নাটক। এরপর মাঝখানে এক যুগের বিরতি ছিল। বিরতির পর আবার ফিরে এলেন তিনি ২০২৪ সালে সোহেল আরমানের বিটিভিতে প্রচারিত নাটক ‘রূপ না মন’ দিয়ে। এরপর একে একে তিনি ইদ্রিস হায়দারের ‘পাজি শাশুড়ি’, ‘কোটিপতির কালো বউ’, ‘সহজ শর্তে ঋণ’, ‘চোরের সুন্দরী বউ’, ‘স্ত্রীর মর্যাদা’, ‘নায়িকা হতে চাই’, ‘মায়ের লটারী’, ‘সিনেমা’, ‘বউ’ নাটকে অভিনয় করেন।
এটিএন বাংলায় প্রচার চলতি ধারাবাহিক মুরাদ পারভেজ পরিচালিত ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’ ধারাবাহিকেও অভিনয় করেন তিনি। এ ছাড়া সানজিদা কানিজ অভিনয় করছেন নাসির উদ্দিন মাসুদের ‘টাট্টু ঘোড়ার দল’ নাটকেও। আগামী ঈদে তাকে দেখা যাবে হাসান জাহাঙ্গীরের সাত পর্বের নাটক ‘ব্ল্যাক মানি’। ইতোমধ্যে আগামী ঈদে বিটিভিতে প্রচারের জন্য সোহেল আরমান পরিচালিত ‘জলপরী’ টেলিফিল্মেও অভিনয় করেছেন তিনি। তিনি ঢাকার দি পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স সম্পন্ন করেছেন।
আবার অভিনয়ের দুনিয়া ফেরা এবং ব্যস্ত হওয়া প্রসঙ্গে সানজিদা কানিজ বলেন, ‘সত্যি বলতে কী অভিনয়ের ক্ষুধাটা ছিল আমার মাঝে। যদিও গত এক যুগ আমি সংসার, সন্তান নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলাম। কিন্তু বাসায় বসে বসে যখন টিভি স্ক্রিনে আমারই সহশিল্পীদের কাজ দেখতাম, মন খারাপ হতো। একটা সময় সোহেল আরমান ভাইয়ের কাজ দিয়েই আবার অভিনয়ে ফেরা আমার। একজন সত্যিকারের অভিনয়শিল্পী হওয়ারই স্বপ্ন আমার। যে কারণে এখন আরও দ্বিগুণ আগ্রহ নিয়ে কাজ করছি। যতটা শ্রম দেওয়ার দিচ্ছি। আর যারা আমাকে নিয়ে এখন নিয়মিত কাজ করছেন তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’
/রিয়াজ