
ঈদকে কেন্দ্র করে সবারই বাড়তি কিছু করার তাগিদ থাকে। প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদ আয়োজনেও পরিচালক নাজনীন হাসান খান নির্মাণ করলেন ছয়টি নাটক। এর মধ্যে সাত দিনব্যাপী ঈদের বিশেষ আয়োজনে থাকছে সাত পর্বের নাটক ‘ভেজাল কাদের’। ভিন্ন ভিন্ন গল্পে রয়েছে আরও পাঁচটি একক নাটক। নাজনীন হাসান খান প্রতিবারই তার নির্মাণশৈলীতে ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে হাজির হন। নাটকগুলো লিখেছেন নাট্যকার রাজীব মণি দাস ও অপর্ণা রানী রাজবংশী।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তার নির্মিত নাটকগুলো হলো- ‘ভেজাল কাদের’, ‘দারোগা বউ জামাই আসামী’, ‘সর্বপ্যাথি ডাক্তার’, ‘বিশিষ্ট চিন্তাবিদ’, ‘আধুনিক চোর’, ‘টনিক ম্যান’।
এর মধ্যে ব্যতিক্রমধর্মী একটি গল্প ‘সর্বপ্যাথি ডাক্তার’। নাটকের গল্পে দেখা যাবে, শ্যামল যখন খুব ছোট, তখন বাবা বিনে চিকিৎসায় মারা যায়। তার ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়া। ওষুধ দোকানে পার্ট টাইম চাকরি করে পড়াশোনাও করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগও পায়, কিন্তু টাকার অভাবে আর পড়াশোনা হয় না। এরপর বিভিন্ন বইপুস্তক, ইউটিউব-গুগল রিসার্চ করে চিকিৎসা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে গ্রামের মানুষের সেবা দেওয়া শুরু করে। পশু-পাখি-মানুষ সব ধরনের চিকিৎসা করায় হয়ে ওঠেন সর্বপ্যাথি ডাক্তার। নামমাত্র টাকার বিনিময়ে কিংবা বিনে টাকায়ও চিকিৎসা দেন শ্যামল। ইলা শ্যামলকে অনেক ভালোবাসে, কিন্তু ভালোবাসার মানুষকে টাকার অভাবে বিয়ে করতে পারে না।
নাটকগুলো নির্মাণ প্রসঙ্গে পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, ‘যে গল্পে মেসেজ থাকে না, তেমন গল্প নির্মাণে আমার আগ্রহ জাগে না। নাটক হবে বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমাজ গঠনের হাতিয়ারও।’ কমেডি নাটক নির্মাণ করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কমেডি গল্প নির্মাণ করি, কিন্তু কমেডির নামে ভাঁড়ামি গল্প আমার একদমই পছন্দ না। দর্শককে আমি হাসাব, তবে সেটা অবশ্যই শালীনতা এবং সামাজিক মূল্যবোধ ঠিক রেখে।’
/রিয়াজ