দক্ষিণী চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি এবং বলিউড ভক্তদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় এক নাম পূজা হেগড়ে। তবে যেই তেলেগু ইন্ডাস্ট্রি থেকে রুপালি পর্দায় উত্থান হয়েছিল এই তারকার, সেই তেলেগু সিনেমাতেই বেশ কিছুদিন ধরে অনুপস্থিত এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি ‘আলা ভাইকুণ্ঠপুরামুলু’খ্যাত পূজা টলিউড সিনেমায় তার না থাকার কারণগুলো তুলে ধরে ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন যে, ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে দূরে রাখার কোনো পরিকল্পনা তার নেই।
বর্তমানে অভিনেত্রী তার আসন্ন তামিল ছবি ‘রেট্রো’-এর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ছবিটিতে দক্ষিণী সুপারস্টার সুরিয়ার বিপরীতে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ছবিটির প্রচারও শুরু করেছেন।
‘ওয়ানটুথ্রিতেলেগু’র একটি প্রতিবেদন অনুসারে তেলেগু ছবি থেকে বিরতির কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘কখনই টলিউড থেকে সরে আসার ইচ্ছা আমার নেই। বরং আমি আমার সৃজনশীল প্রত্যাশা পূরণে সঠিক চিত্রনাট্যের জন্যই আসলে অপেক্ষা করছি।’
যদিও তিনি সম্প্রতি বলিউড এবং কলিউডের ওপর মনোযোগ দিচ্ছেন। পূজা নিশ্চিত করেছেন, তিনি একটি নতুন তেলেগু ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। পূজা আরও জানান, সময় হলে তিনি নিজেই বাকি খবর জানাবেন।
উল্লেখ্য, পূজার শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত তেলেগু ছবি ছিল ‘আচার্য’ যেটা দুর্ভাগ্যবশত বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। পরে অন্যান্য ছবিতে তিনি মনোযোগ দেন যেখানে বেশ কয়েকটি বড় বড় কাজের অংশ ছিলেন এই তারকা। তা সত্ত্বেও তেলেগু ভক্তরা এখনো অধীর আগ্রহে তার প্রত্যাবর্তনের জন্য অপেক্ষা করছেন।
প্রসঙ্গত, কার্তিক সুব্বারাজ পরিচালিত আসন্ন ‘রেট্রো’ ছবিতে সুরিয়ার বিপরীতে দেখা যাবে এই অভিনেত্রীকে। রোমান্টিক অ্যাকশন ঘরানার এ ছবিটি চলতি বছরের ১ মে বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।
হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিককে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সিদ্দিককে মারধর করে থানায় নিয়ে যাওয়ার একাধিক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে সিদ্দিককে মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানায় নিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় তারা আওয়ামী লীগের দোসর উল্লেখ করে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। ভিডিওতে একজন বলছিলেন, ‘আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে পুলিশে হস্তান্তর করছি।
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের শাহজাদপুর এলাকার নিজ বাড়ি দেলোয়ার টাওয়ারে অবস্থান করছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক। এ খবর পেয়ে তাকে আটকের জন্য বাড়ির সামনে অবস্থান নেন স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীসহ ১৮ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি। লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে স্থানীয় বন্ধু ও তার দুলাভাই দ্রুত পালানোর পরামর্শ দিলে সিদ্দিক কৌশলে পালিয়ে যান। পরে বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বিষয়টি টের পাওয়ার পর বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখতে পান স্থানীয় অধিবাসী এবং সিদ্দিকের কথিত দুলাভাই জামিল আহম্মেদ তাকে গাড়িতে পালিয়ে যেতে সাহায্য করে। এর পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলবল নিয়ে জামিল আহম্মেদের বাড়িতে হামলা চালায়। বাসায় তখন জামিল আহম্মেদ ছিলেন না।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিদ্দিক একাধিকবার ঢাকার গুলশান ও টাঙ্গাইলের মধুপুর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
হৃদয়ছোঁয়া একটি সামাজিক গল্প ‘জোনাকী’। যা মনে করিয়ে দেয়- টাকা বা সম্পত্তি দিয়ে সত্যিকারের সুখ মাপা যায় না, বরং সুখ নির্ভর করে ভালোবাসা, সহমর্মিতা আর সুন্দর সম্পর্কের উপর।
শরাফ আহমেদ জীবনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন নাহিদ হাসনাত।
এতে অভিনয় করেছেন শরাফ আহমেদ জীবন, সালহা খানম নাদিয়া, আরিবা আহসান শ্রেষ্ঠা, নাদের চৌধুরী ও জাবেদ গাজী।
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, এক পরিশ্রমী বাবা ও তার আদরের মেয়ের সম্পর্কের ব্যবচ্ছেদ নিয়ে। যেখানে ফুটে উঠেছে এমন একটি পৃথিবী, যেখানে ছোট ছোট মুহূর্ত, সহানুভূতির স্পর্শ, জন্মদিনের হাসি, কিংবা বাবার আনন্দ— পৃথিবীর যেকোনো কিছুর চেয়ে মূল্যবান। কিন্তু যখন অহংকার আর বৈষম্যের নির্মম বাস্তবতা তাদের সুখের ভেতর আঘাত হানে, তখন গফুর মিয়ার সাহস আর ভালোবাসা নতুনভাবে জ্বলে ওঠে। যা প্রমাণ করে দেয়, মানুষের আন্তরিক সম্পর্কই জীবনের আসল সম্পদ।
‘জোনাকী’ নাটকটি প্রচার হচ্ছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় আগামী ৩ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় থিয়েটার মঞ্চস্থ করবে আলোচিত নাটক ‘দ্রৌপদী পরম্পরা’। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন প্রবীর দত্ত। এতে অভিনয় করেছেন প্রবীর দত্ত, রফিকুল ইসলাম, রানা মাসুদ, বাদল, লেলিন, মৌসুমী, ঐন্দ্রিলা, ইউশাসহ আরও অনেকে।
এই নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রায় ২০ বছর পর আবারও মঞ্চ নাটকে অভিনয় করতে যাচ্ছেন এ সময়ের জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্র নির্মাতা রানা মাসুদ। এই নাটকে তার চরিত্রের নাম রংগরাজ। সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র গোপী গাইন বাঘা বাইনের রাজার চরিত্রের আদলে তৈরি হয়েছে চরিত্রটি। বর্তমানে রানা মাসুদ থিয়েটারের প্রচার ও দপ্তর সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
নাটকে দেখা যাবে: মহাভারতে দ্রৌপদী একটি নারী চরিত্র। যাকে অর্জুন ভালোবেসে বিয়ে করে। কিন্তু ঈশ্বরের নির্দেশে দ্রৌপদী তার পাঁচ ভাইয়ের সঙ্গে সংসার করতে বাধ্য হয়। তখন অর্জুন রাগ করে বনবাসে চলে যায়। এদিকে দ্রৌপদী অর্জুনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
একসময় অর্জুন দ্রৌপদীকে রক্ষা করতে আবার পৃথিবীতে চলে আসে। ধর্মের দোহাই দিয়ে নারীদের নানা রকম নির্যাতনের শিকার হওয়াকে কেন্দ্র করেই নাটকটি এগিয়ে যায়। রঙ্গভূমির রাজা রঙ্গরাজের দুই ধর্মগুরু একজন মুসলমান আরেকজন হিন্দু দুজনের বুদ্ধিতেই রাজা স্বয়ং দ্রৌপদীর বস্ত্র হরণ করে সতীত্বের প্রমাণ করতে যায়। তখন অর্জুন পৃথিবীতে এসে দ্রৌপদীকে রক্ষা করে।
২০ বছর পর মঞ্চনাটকে ফেরা প্রসঙ্গে রানা মাসুদ বলেন, ‘এর আগে আমি থিয়েটারে সাত ঘাটের কানাকড়ি, জমিদার দর্পণ, রুপভান, সাদী সিরাজের পালা, বটবৃক্ষের ধরম করম, জননী বর্তমান, আদিম, একটি অবাস্তব গপ্পো। ইত্যাদি নাটকে অভিনয় করেছি। মঞ্চনাটকের মাধ্যমেই ক্যারিয়ার শুরু করেছিলাম। মঞ্চ আমার প্রাণের জায়গা।
এরপর নির্মাণে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় মঞ্চে অনিয়মিত হয়ে পড়ি। কিন্তু মঞ্চের প্রতি ভালোবাসাটা সব সময়ই ছিল। তাই এবার মনে হলো প্রিয় জায়গায় আবারও কাজ শুরু করি। সেই ভাবনা থেকেই মঞ্চে ফিরছি। আশা করি দর্শকদের সাপোর্ট ও ভালোবাসা পাব।’
মাহিরা খান, আতিফ আসলাম এবং হানিয়া আমির। ছবি: সংগৃহীত
কাশ্মীর হামলা নিয়ে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব এখন চরমে। দুই দেশের কূটনৈতিক বৈরিতা যেন বেড়েই চলেছে। দুই দেশের সরকারই এ ঘটনায় একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে। নিজেদের মধ্যকার বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতাও বাতিল করছে। নানা বিষয়ে একে অন্যকে নিষেধাজ্ঞা দিতে ব্যস্ত তারা। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণও নিজ নিজ দেশের সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে, যা থেকে বাদ গেল না দুই দেশের শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও।
এরই মধ্যে কাশ্মীর হামলার জেরে পাকিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বের নীতি ত্যাগ করেছে মোদি সরকার। ফলে ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজের ব্যাপারে আবারও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ভারতে পাকিস্তানি তারকাদের অভিনয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা বলেছে ভারতের ফিল্ম ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনেমা (এফডব্লিউআইসি)।
ফলে জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমিরের আসন্ন পাঞ্জাবি সিনেমা ‘সরদারজি ৩’-এর মুক্তি স্থগিত হয়ে গেছে। সংগীতশিল্পী দিলজিৎ দোসাঞ্জের বিপরীতে ‘সরদারজি ৩’ শিরোনামের এক পাঞ্জাবি সিনেমার মধ্য দিয়ে ভারতীয় সিনেমায় অভিষেক হওয়ার কথা ছিল এই পাকিস্তানি অভিনেত্রীর।
ফাওয়াদ খান। ছবি: সংগৃহীত Caption
এ ছাড়া আরেক পাকিস্তানি অভিনেতা ফাওয়াদ খানও আসন্ন বলিউড সিনেমা ‘আবির গুলাল’-এর প্রেক্ষাগৃহে আগামী ৯ মে মুক্তি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটিও এখন অনিশ্চিত। এই সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘ তিন বছর পর বলিউডে প্রত্যাবর্তনের পথে ছিলেন এ পাকিস্তানি তারকা। কিন্তু ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এক সূত্র থেকে জানা গেছে, কাশ্মীর হামলার জেরে মন্ত্রণালয় থেকে ছবিটির মুক্তিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এই সিনেমায় ফাওয়াদের সহ-অভিনেত্রী হিসেবে প্রধান চরিত্রে আছেন ভারতীয় অভিনেত্রী বাণী কাপুর।
পরিচালক অমিত কাসারিয়ার ‘লাভ স্টোরি অব নাইন্টিজ’ সিনেমায় পাকিস্তানি গায়ক আতিফ আসলামের গাওয়ার কথা থাকলেও সেটাও এখন অনিশ্চিত। যদিও কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার পর সামাজিক মাধ্যমে শোক প্রকাশ করে সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন হানিয়া আমির ও ফাওয়াদ খান। তবে এতেও পাকিস্তানি শিল্পীরা আঁধার কাটিয়ে আলোর মুখ দেখবে কি না, তা আপাতত বলা যাচ্ছে না। ভারতের বিনোদন ইন্ডাস্ট্রিকে পাকিস্তানি শিল্পীদের সঙ্গে কাজ না করার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
পাকিস্তানি শিল্পী ও কলাকুশলীদের বলিউডে নিষেধাজ্ঞার ঘটনা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন লেগেই আছে। এর আগে ২০১৬ সালে উড়ির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর ভারতে পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ফলে দীর্ঘদিন আতিফ আসলাম, রাহাত ফতেহ আলী খান, ফাওয়াদ খান, শাফকাত আমানত আলীসহ পাকিস্তানি শিল্পীরা বলিউড থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। পরে ২০২৩ সালে গিয়ে শিল্পীদের ওপর দেওয়া সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।
ফলে ধীরে ধীরে আবারও ভারতীয় সিনেমায় পাকিস্তানি শিল্পীদের অংশগ্রহণ স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও কাশ্মীরের পাহালগামে এই হামলার ঘটনায় ফের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারেন প্রতিবেশী দেশটির শিল্পীরা। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সব পাক শিল্পীর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি মোদি সরকার।
তবে সব সময় ভারতই যে কেবল পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞার খাঁড়া চালিয়েছে, বিষয়টি এমন নয়। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমান হামলার পরিপ্রেক্ষিতে নিজ দেশে ভারতীয় সিনেমা ও টেলিভিশন চ্যানেল নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান। সে বছরের মার্চে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেলে ভারতীয় সিনেমা, বিজ্ঞাপন, সিরিয়ালসহ দেশটির সব ধরনের অনুষ্ঠান প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এমন সিদ্ধান্তে তখন পাকিস্তানের দর্শকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছিল। বলা হয়ে থাকে, সেবারের নিষেধাজ্ঞায় পাকিস্তানই নাকি বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছিল। কেননা সিনেমা হলগুলো নিজ দেশের সিনেমার থেকে বলিউড সিনেমার ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল।
এদিকে পাহালগামে হামলার জেরে দেশটিতে পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডন, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ, জিও নিউজ, সুনো নিউজ, রাফতার এবং বোল নিউজের মতো সংবাদমাধ্যমগুলোর ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়েছেন সাংবাদিক ইর্শাদ ভাট্টি, উমর চিমা, মুনিব ফারুক এবং আসমা শিরাজির ইউটিউব চ্যানেলও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, ২২ এপ্রিল পাহালগামে হামলার পর থেকেই সাম্প্রদায়িক ও উসকানিমূলক কথা প্রচারের অভিযোগে পাকিস্তানের মোট ১৬টি ইউটিউব চ্যানেল সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। ফলে ভারত থেকে এই চ্যানেলগুলোতে বর্তমানে আর প্রবেশ করা যাচ্ছে না। বলিউড শিল্পীরা কাশ্মীর হামলার প্রতিবাদ জানালেও পাকিস্তানি শিল্পীরা এই নিষেধাজ্ঞার খেলায় অংশ নেননি। জল আর কত দূর গড়ায়, এবার সেটিই দেখার বিষয়।
হলিউড অভিনেত্রী ইভা লঙ্গোরিয়া। অভিনয় ছাড়াও প্রযোজক, পরিচালক এবং ব্যবসায়ী হিসেবে বেশ সুনাম রয়েছে এই আমেরিকান তারকার। এ বছরের মার্চেই ৫০ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারে এত এত সফলতার পরও এই তারকা এখনো ভীষণ স্বপ্নবিলাসী। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, তার এখনো অনেক স্বপ্ন পূরণ করার বাকি।
‘হ্যালো! ম্যাগাজিন’-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে লঙ্গোরিয়া বলেন, ‘আমি খুবই ইতিবাচক এবং আশাবাদী মানসিকতার একজন মানুষ। আমার অনেক স্বপ্ন পূরণ করার আছে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘জীবনের সবকিছুই কৃতজ্ঞতার ওপর নির্ভরশীল। আমার জীবনের জন্য এবং আমি যে জীবনটি পেতে যাচ্ছি তার জন্য আমি ভীষণ রকমের কৃতজ্ঞ।’
পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী থেকে প্রযোজক এবং পরিচালক হয়ে ওঠা ইভা লঙ্গোরিয়ার ক্যামেরার পেছনে অভিষেক হয় ২০২৩ সালে ‘ফ্লেমিন হট’ ছবির মধ্য দিয়ে। তার বর্তমান যে সফলতা তার কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, এই অগ্রগতির জন্য দৃঢ় সংকল্প এবং আগ্রহ স বথেকে বেশি ভূমিকা রেখেছে। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আমার জন্য কাজগুলো স্বাভাবিক হয়ে ওঠে, কারণ আমি চেষ্টা করি, আমি আমার সব বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করি, যাতে সেগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি।’
একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে লঙ্গোরিয়া জানান, তার সৃষ্টি করার প্রতি ভালোবাসা তাকে উদ্যোক্তা হিসেবে সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যবসায়িক জগৎ এবং জিনিসপত্র তৈরি করতে ভালোবাসি। এটি একটি টিভি সিরিজ বানানো হোক, একটি সিনেমা তৈরির জন্য একটি দল হোক বা আমার কাসা দেল সোল টাবিলার মতো একটি ব্র্যান্ড হোক, কোন কিছু তৈরিতে আমার খুব আগ্রহ।’
বর্তমানে লঙ্গোরিয়া নতুন পারিবারিক কমেডি ঘরানার একটি ছবি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি এই অভিনেত্রী যে নিজের শিকড় ভুলে যাননি, সেটিও যেন কথার একপর্যায়ে বুঝিয়ে দিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমার জন্য, আমি কোথা থেকে এসেছি তা কখনো ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। আমার পরিবারের সঙ্গে থাকা, টেক্সাস থেকে আসা, মেক্সিকান-আমেরিকান হওয়া... এসব জিনিসই আমাকে ব্যাখ্যা করে। এগুলোই আমাকে এই শিল্পে ভিত্তি করে দিয়েছে। আপনি যদি না জানেন যে আপনি কোথা থেকে এসেছেন, তাহলে আপনি কোথায় যাচ্ছেন তা জানা কঠিন।’