
হলিউড অভিনেত্রী টিয়া মাউরি সম্প্রতি তার শিশু অভিনেত্রী হিসেবে বেড়ে ওঠা এবং সেই অভিজ্ঞতা তার জীবনে কী প্রভাব ফেলেছে, সে বিষয়ে মুখ খুলেছেন। পিপল ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অভিনেত্রী ও রিয়েলিটি তারকা তার ইনস্টাগ্রামের একটি প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব নিয়ে কথা বলেন।
৪৬ বছর বয়সী এই তারকাকে এক অনুসারী অভিনেত্রীর বর্তমান সফলতার জন্য তার অভিজ্ঞতা কীভাবে সাহায্য করেছে তা জানতে চান। উত্তরে টিয়া বলেন, ‘শিশুশিল্পী হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার অবশ্যই কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে। এটার একটা ভালো দিক হলো, এটা আমাকে ছোটবেলা থেকেই দায়িত্ববোধ শিখিয়েছে। কলেজে পড়ার সময় আমি জানতাম কাজের জন্য সময়মতো আসা, ফোন করা এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকা কাকে বলে।’
তবে এই পথ এতটা সহজ ছিল না বলে এ অভিনেত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করে যাওয়া কঠিন ছিল। কেননা সেই বয়সে তুমি তখনো খুঁজে ফিরছ তুমি কে, আর সবাই তোমার সম্পর্কে মতামত দিচ্ছে। ব্যাপারটা অবশ্যই খুব সহজ হওয়ার কথা না।’
মাউরি আরও জানান, তার পরিবার এবং যমজ বোন তামেরা মাউরি তাকে স্থির থাকতে সাহায্য করেছেন। ‘আমি কৃতজ্ঞ যে আমার পরিবার আমাকে ভিত্তি গড়ে দিতে সাহায্য করেছে’- বলেন তিনি। তবে একই সঙ্গে কাজের ব্যস্ততার কারণে শৈশবকে পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেননি বলেও জানান টিয়া মাউরি। বিশেষ করে সামাজিক সম্পর্ক ও ডেটিংয়ের মতো অভিজ্ঞতাগুলো থেকে তাকে বঞ্চিত হতে হয়েছে।
টিয়া আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, বাচ্চাদের শুধু তাদের শৈশব উপভোগ করতে দেওয়া উচিত। এই বয়সে তাদের নিজেদের পরিচয় গড়ার জায়গা থাকা প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, দুই যমজ বোন টিয়া মাউরি ও তামেরা মাউরি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত প্রচারিত জনপ্রিয় এবিসি সিটকম ‘সিস্টার, সিস্টার’-এ একসঙ্গে অভিনয় করেন। এ ছাড়া তারা ডিজনির জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘সেভেনটিন অ্যাগেইন’, ‘টুইচেস’ এবং ‘টুইচেস অ্যাগেইন’ সিনেমাতেও একসঙ্গে কাজ করেছেন।
/এমএস