
দিন দিন জীবনে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। এটি দেশের রপ্তানি আয়ের অন্যতম খাত। এ শিল্পের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে খবরের কাগজ কথা বলেছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) সভাপতি সামিম আহমেদের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন।
খবরের কাগজ: বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পের বর্তমান অবস্থা কেমন?
সামিম আহমেদ: প্লাস্টিক খাত একটি উল্লেখযোগ্য এবং দ্রুত বর্ধনশীল শিল্প। প্লাস্টিকশিল্প দ্রুত প্রসার লাভ করছে। প্লাস্টিক সেক্টরের ক্রমসম্প্রসারণশীল প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি বাণিজ্যে উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান পরিবর্তন অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা ত্বরান্বিত করছে। প্লাস্টিক খাতের অন্যান্য সাব-সেক্টরগুলোর মধ্যে প্যাকেজিং, পিপি ওভেন, টয়েজ, ক্রোকারিজ, ফার্নিচার, রিসাইক্লিং উল্লেখযোগ্য। ......
অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। এই সেক্টর সরকারের কোষাগারে প্রতিবছর আনুমানিক প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকে। প্লাস্টিক সেক্টরের রপ্তানির পরিমাণ ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ। রপ্তানি প্রতিবছর বাড়ছে। বর্তমানে সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন রপ্তানিতে দেশের প্লাস্টিকশিল্প খাতের অবস্থান ষষ্ঠ। অন্যদিকে দেশে ছোট বড় মিলিয়ে বর্তমানে ৬ হাজার প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে। এই খাতের ওপর ১২ লাখের বেশি মানুষ নির্ভরশীল। প্লাস্টিক পণ্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশসহ সমগ্র ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, ভারত, নেপালসহ ১২৬টি দেশের বাজারে রপ্তানি হয়ে আসছে। প্লাস্টিক খাতের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে।
খবরের কাগজ: বিপিজিএমইএ বর্তমানে কোন কোন ধরনের নীতি-সহায়তা বা সুবিধা প্রয়োজন?
সামিম আহমেদ: সরকার দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে প্লাস্টিক দ্রব্য রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ প্রদান করে আসছিল। কিন্তু বর্তমানে নগদ সহায়তা কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। এতে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এই শিল্পের ক্রমবিকাশ ধরে রাখতে হলে ক্যাশ ইনসেনটিভ বা নগদ-সহায়তা আরও বাড়াতে হবে।
পুরান ঢাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স সমস্যা দীর্ঘদিনের। আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে- যতক্ষণ না পুরান ঢাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো শিল্পনগরীতে স্থানান্তর করা যায় ততক্ষণ ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু যেন অব্যাহত থাকে। মন্ত্রণালয় থেকে পুরান ঢাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়ার প্রেক্ষিতে বিপিজিএমইএ থেকে তৈরি করা প্লাস্টিকশিল্প কারখানার একটি তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেও তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
বিএসটিআই সম্প্রতি একটি প্যাকেজিং অ্যাক্ট প্রণয়ন করেছে। স্টেকহোল্ডারদের কোনো মতামত ছাড়া এ ধরনের আইন বাস্তবায়ন করা দুরূহ হতে পারে। পণ্যের মান, স্থায়িত্ব, মূল্য, প্রাপ্যতা, ব্যবহারের সুবিধা, আন্তর্জাতিক নীতি, সামগ্রিক অর্থনৈতিক সুবিধা, শিল্পায়নের সুবিধা ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে একটি সময়োপযোগী ‘প্যাকেজিং অ্যাক্ট’ বিশেষ প্রয়োজন।
সিরাজদিখানে চলমান কেমিক্যালপল্লিতে সরকার ৯০ একর জমি প্লাস্টিক সেক্টরকে আলাদা প্লাস্টিক জোন স্থাপন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রকল্পের আওতায় জিইটিসি স্থাপনের জন্য ১০ একর জমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, প্রকল্পের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে। ওই প্রকল্পের কাজ ত্বরান্বিত করার অনুরোধ করছি।
খবরের কাগজ: বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিতে কী কী বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে?
সামিম আহমেদ: প্লাস্টিক পণ্য থেকে আয়ের প্রবৃদ্ধি এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ বাধাগ্রস্ত করছে। এই চ্যালেঞ্জগুলোকে উৎপাদন-সম্পর্কিত, নিয়ন্ত্রক, আর্থিক, পরিবেশগত এবং লজিস্টিকাল সমস্যায় শ্রেণিবদ্ধ করা যেতে পারে।
কাঁচামালের ওপর নির্ভরতা এবং উচ্চ ব্যয়, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং উচ্চ জ্বালানি ব্যয়, দক্ষ শ্রম ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির অভাব, পরিবেশগত উদ্বেগ এবং নিয়ন্ত্রক সমস্যা, আর্থিক ও বিনিয়োগ সীমাবদ্ধতা, রপ্তানি বাধা এবং প্রতিযোগিতা, ব্র্যান্ডিং এবং বিপণন কৌশলের অভাব অন্যতম।
এই চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও সঠিক নীতি, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্পের প্রবৃদ্ধির বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। সরকার এবং বেসরকারি খাতকে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, দক্ষ শ্রম ও আধুনিক যন্ত্রপাতিতে বিনিয়োগ এবং শিল্পের বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধির জন্য টেকসই অনুশীলন গ্রহণের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
খবরের কাগজ: প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারে সমস্যাগুলো কী?
সামিম আহমেদ: বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্লাস্টিক খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে পারলে বিশ্ববাজারের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারবে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে আরএফএল ও বেঙ্গলের মতো বড় প্রতিষ্ঠান রিসাইকেল প্ল্যান্ট চালু করছে। এটা ইতিবাচক। তবে ফেলে দেওয়া বা বাসায় অব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহ করে রিসাইকেল প্ল্যান্টে নিয়ে আসা একটা বড় সমস্যা। এর জন্য একটা কার্যকর ইকো সিস্টেম চালু করতে হবে। ব্যবসায়ী ও সরকার মিলে পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের মাধ্যমে এর বাস্তবায়ন করতে হবে। কারণ ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক পণ্য সঠিকভবে সংগ্রহ করতে না পারলে রিসাইকেল প্ল্যান্টগুলো কাজে আসবে না। উন্নত অনেক দেশে ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়ে থাকে।
খবরের কাগজ: রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্লাস্টিক পণ্যের প্রধান বাজার কোন কোন দেশ?
সামিম আহমেদ: প্লাস্টিক পণ্য যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশসহ সমগ্র ইউরোপ এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন চীন, ভারত, নেপালসহ ১২৬টি দেশে রপ্তানি হয়ে আসছে। প্লাস্টিক খাতের প্রবৃদ্ধি ২০ শতাংশ হারে বাড়ছে। প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে ভিন্ন কৌশল নিচ্ছে বাংলাদেশ প্লাস্টিক গুডস্ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ) এ জন্য শুধু পণ্যমেলা নয়, পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানো হচ্ছে।
প্লাস্টিক পণ্যমেলায় প্রতিবছর বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ অংশগ্রহণ করে। রপ্তানি বাড়ানো এই মেলা আয়োজনের লক্ষ্য। এ ছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন বিমসটেক, সাপটা, আসিয়ানের সদস্য দেশগুলোতে যাতে প্লাস্টিক পণ্যের রপ্তানি বাড়ে সেই লক্ষ্যে ওই দেশগুলোর বাণিজ্যিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত আছে। বিপিজিএমইএ সদস্যরা বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহণ করে। একই সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক আলোচনায়ও যাতে রপ্তানি পণ্যে প্লাস্টিক অগ্রাধিকার পায় সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে বিপিজিএমইএ।
দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা সার্ক দেশগুলোর মধ্যে ভারতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ প্লাস্টিক রপ্তানি হয়। কিন্তু নেপাল, ভুটান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় ততটা বাড়েনি। এই দেশগুলোতে রপ্তানি বাড়াতে চেষ্টা চালাচ্ছে সংগঠন। বাংলদেশ থেকে যেসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি হয় বা রপ্তানির তালিকায় যেসব পণ্য প্রথম দিকে রয়েছে তার মধ্যে ১২তম পণ্য হচ্ছে প্লাস্টিক। রপ্তানির তালিকায় এখনো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে তৈরি পোশাক আর দ্বিতীয় স্থানে আছে মাছ। আবাসিক ও অফিস আসবাব, হোম ডেকোরেটর, নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের সামগ্রী তৈরি হয় এমন ছোট বড় মাঝারি সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার প্লাস্টিক কারখানা আছে দেশে। প্রতিবছর কমপক্ষে ২০ শতাংশ করে বাণিজ্য বাড়ছে। এই খাতে কাজ করে ১২ লাখ শ্রমজীবী মানুষ।
বর্তমানে রপ্তানিতে প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ১২তম। কিন্তু প্রচ্ছন্ন রপ্তানির (যার মধ্যে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ উল্লেখযোগ্য) হিসাব এর সঙ্গে যুক্ত হলে রপ্তানিতে প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান হবে ষষ্ঠ। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিগত ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট প্লাস্টিক রপ্তানি ছিল ৬৮ দশমিক ৭৬ মিলিয়ন ডলার। (২০২২-২০২৩) প্লাস্টিক রপ্তানি ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ বেড়েছে।
ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ২০৯ দশমিক ৮৬ মিলিয়ন ডলার, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
খবরের কাগজ: বাংলাদেশে প্লাস্টিক পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ (রিসাইক্লিং) শিল্প কতটা উন্নত?
সামিম আহমেদ: বাংলাদেশে বর্তমানে প্লাস্টিকের বর্জ্য ব্যাপক পরিমাণে রিসাইক্লিং (পুনঃচক্রায়ন) হচ্ছে। দেশে বর্তমানে বিভিন্নভাবে প্রায় ৭০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য সংগৃহীত হয়ে থাকে এবং তা থেকে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে দানা তৈরি করে বিভিন্ন প্লাস্টিক দ্রব্য তৈরি করা হচ্ছে। এতে করে বৈদেশিক মুদ্র সাশ্রয় হচ্ছে। দেশে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহের পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্জের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। এতে রিসাইক্লিং ব্যবস্থার সুন্দর হয়। প্লাস্টিক পচনশীল নয়। তাই এর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পুনঃচক্রায়ন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। বর্তমানে ফেরিওয়ালা, ভ্যান সংগ্রহকারী, ডাস্টবিন টোকাই, ডিসিসি সংগ্রহকারি, ডাম্প টোকাই বর্জ্য সংগ্রহ করে। এদের মাধ্যমে পুরোনো এই পদ্ধতিতে বর্জ্য কালেকশন আশানুরূপ হচ্ছে না। তাই বর্জ্য কালেকশন সিস্টেমকে উন্নত করা প্রয়োজন। প্লাস্টিককে রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বারবার ব্যবহার করা যায়। তবে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সিটি করপোরেশনকে বাস্তবভিত্তিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
খবরের কাগজ: কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে প্লাস্টিক শিল্প কীভাবে ভূমিকা রাখতে পারে?
সামিম আহমেদ: বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (বিআইপিইটি)-এর স্থায়ী ক্যাম্পাস ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ক্যাম্পাসটি ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পানগাঁও কনটেইনার পোর্ট রোড, আইন্তায় ১২৯.৩২ ডেসিমল নিজস্ব জমির ওপর নির্মিত হয়েছে। মেশিনারিসহ প্রশিক্ষণের সরঞ্জাম আংশিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে। শিগগিরই এই স্থায়ী ক্যাম্পাসে ভর্তি ও প্রশিক্ষণ শুরু হতে যাচ্ছে।
বিপিজিএমইএর পল্টন অফিসে সাময়িকভাবে বিপেট প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল এবং ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্লাস্টিকশিল্প প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার জন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েছেন। প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে একক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল তৈরি করা হচ্ছে, যার ফলে দেশের অর্থনীতিতে এই খাতের ভূমিকা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
ভারতের অভিজ্ঞতার আলোকে, ১৯৬৮ সালে ভারতের সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অব প্লাস্টিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (সিআইপিইটি) স্থাপন করা হয়, যা ভারতের প্লাস্টিক খাতে প্রযুক্তিগত সহায়তা, দক্ষ জনবল এবং গবেষণা ও উন্নয়ন নীতিমালার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই অভিজ্ঞতাকে সামনে রেখে বিপিজিএমইএ বিপেট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
বিপেট একটি সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান, যেখানে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (বিটিইবি)-এর অনুমোদিত কারিকুলাম অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। এই প্রশিক্ষণ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।