
মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান দেশের একজন অভিজ্ঞ ব্যাংকার। এই খাতে তার অভিজ্ঞতা ৪১ বছরেরও বেশি। তিনি ২০১৪ সাল থেকে মার্কেন্টাইল ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন। বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে ব্যাংকটির এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি ২৬ বছর অতিক্রম করেছে ব্যাংকটি। এই দীর্ঘ যাত্রার পথপরিক্রমা, সমস্যা ও সম্ভাবনাসহ ব্যাংক খাতের নানা দিক নিয়ে খবরের কাগজের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মৃত্তিকা সাহা।
খবরের কাগজ: মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গত ২৬ বছরের যাত্রা কেমন ছিল? এ সময়ে ব্যাংকটির বড় অর্জন কী?
মতিউল হাসান: আমাদের ব্যাংক অনেক খাতেই গত ২৬ বছরে সফলতার স্বাক্ষর রেখেছে। ১৫২টি শাখা, ৪৭টি উপশাখা, ১৮৮টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট, ২০০টি এটিএম বুথ, ৪টি সিআরএমসহ বিশাল নেটওয়ার্ক নিয়ে সারা দেশে গ্রাহকদের পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারছে। এ ছাড়া ৩টি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি রয়েছে। ইউকে এক্সচেঞ্জ হাউস সাফল্যের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের ব্যাংকে ইসলামী পরিসেবা চালু আছে। ৪৫টি ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডো আছে। দিলকুশায় ১টি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকিং শাখা আছে। প্রায় ১৫ লাখ গ্রাহক, ৩৪ হাজার কোটি টাকার ডিপোজিট, ৩০ হাজার কোটি টাকার অ্যাডভান্সসহ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ব্যালেন্স শিটের আকার এখন ৪৫ হাজার কোটি টাকা। গত ২৬ বছরে ব্যাংকিং খাতে রক্তক্ষরণের মুহূর্তে গ্রাহকের আমানতের আস্থা ধরে রাখতে পেরেছে আমাদের ব্যাংক। এটাই গত ২৬ বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন।
খবরের কাগজ: দেশের ব্যাংকিং খাতে সংকট চলছে। এ অবস্থায় আপনাদের ব্যাংক কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে?
মতিউল হাসান: ব্যাংকিং খাতে সংকট চলছে, এটা সত্যি। এর মধ্যে মার্কেন্টাইল ব্যাংক সুদৃঢ় অবস্থানে আছে। আমরা গ্রাহকের আমানতের দাবি পরিপূর্ণভাবে পালন করতে পেরেছি। প্রায় ২০০ শাখা-উপশাখায় গত দুই যুগে আমানতকারীর কাছ থেকে কোনো অভিযোগ আসেনি।
খবরের কাগজ: কর্পোরেট থেকে বের হয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংক গত কয়েক বছর সিএমএসএমই, কৃষিসহ ছোট ঋণে গুরুত্ব দিয়েছে। এক্ষেত্রে অগ্রগতি কতটুকু?
মতিউল হাসান: গ্রাহকের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংক পণ্য ও সেবা, যেমন- চাকা, নারী উদ্যোক্তা ঋণ- অনন্যা, সমৃদ্ধি, মৌসুমি, সঞ্চালক, উন্মেষ, উদয়ন, কৃষি ঋণ- নবান্ন ইত্যাদি চালু করেছে। এসএমই এবং কৃষি খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে বেড়েছে ১২১ দশমিক ৫ এবং ২২ দশমিক ৫ শতাংশ। ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের ২৫ শতাংশ এসএমই খাতে বিতরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সে লক্ষ্যে পৌঁছার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি খাতে বিতরণের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে যে লক্ষ্য দিয়েছিল, মার্কেন্টাইল ব্যাংক তার চেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে।
খবরের কাগজ: দেশে বড় আকারের বিনিয়োগে ধীরগতি চলছে। এ অবস্থায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য সিএমএসএমই খাতে বাড়তি মনোযোগ ও সহায়তার প্রয়োজন আছে কী?
মতিউল হাসান: কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য বড় আকারের বিনিয়োগের চেয়ে এমএসএমই খাতের বিনিয়োগ বেশি ভূমিকা পালন করে। এই খাতে দক্ষ, কমদক্ষ বা অদক্ষ শ্রমিকেরও কর্মসংস্থান সম্ভব। দেশের শিল্প খাতের মোট কর্মসংস্থানের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশই এমএসএমই খাতে হয়। মানুষের কর্মসংস্থান বাড়লে আয় বাড়ে, আয় বাড়লে সামষ্টিক অর্থনীতিতে একটা গুণিতক প্রভাব কাজ করে যা প্রবৃদ্ধি বাড়ায়। তবে ফরওয়ার্ড লিংকেজ হিসাবে এসএমই খাতের বিকাশের জন্য বড় আকারের বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের মতো শ্রমঘন দেশের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে এমএসএমই খাতকে একটা অপরিহার্য খাত বলা যেতে পারে। তাই এই খাতে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে। আমাদের দেশে সিএমএসএমই খাতে অর্থায়ন এখনো ব্যাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত অনুপাত অর্জন করতে পারেনি। এ খাতে আরও অর্থায়নের সুযোগ রয়েছে।
খবরের কাগজ: এমএসএমই খাতের অনেক উদ্যোক্তা এখনো ব্যাংকঋণ পাচ্ছেন না। তাদের জন্য ঋণের সুবিধা নিশ্চিত করতে আপনাদের ভাবনা বা উদ্যোগ কেমন?
মতিউল হাসান: পর্যাপ্ত তথ্য এবং সহায়ক জামানতের অভাব এমএসএমই উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণ সুবিধার বাইরে থাকার অন্যতম কারণ। তথ্য সরবারহের বিষয়ে ব্যাংকিং ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারও কিছু ভূমিকা পালন করতে পারে। জামানতের বিষয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন ভূমিকা পালন করতে পারে। এ ছাড়া ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের মতো ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও কিছু স্কিম চালু করা যেতে পারে যা জামানতের বিকল্প হিসাবে কাজ করবে। তবে এক্ষেত্রে গ্রাহকদেরও ভূমিকা রয়েছে। ঋণ পরিশোধে গ্রাহকদের আরও নিষ্ঠাবান হতে হবে, যা তাদেরকে পরবর্তী ঋণ প্রাপ্তিতে সহয়তা করবে।
খবরের কাগজ: এ মুহূর্তে ব্যাংকের কোন দিকগুলোর অগ্রগতিকে বেশি প্রধান্য দিচ্ছেন?
মতিউল হাসান: ব্যাংকের মূল লক্ষ্য হলো দেশের আপামর জনসাধারণকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় এনে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান করা। সে লক্ষ্যে শুরু থেকেই আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করছি। মার্কেন্টাইল ব্যাংককে আরও এগিয়ে নিতে আমাদের যেসব নতুন পরিকল্পনা রয়েছে তার মধ্যে অগ্রাধিকার খাতগুলো হচ্ছে- শ্রেণিকৃত ঋণ আদায় জোরদার করা। আর্থিক খাতে বিদ্যমান ঝুঁকি মোকাবিলায় দক্ষতার সঙ্গে ব্যাংক তহবিল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। অত্যাধুনিক ডিজিটাল পণ্য ও সেবার মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা সহজীকরণ করা। ঋণ বিতরণে কৃষি ও এসএমই খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং প্রান্তিক এলাকায় উপশাখা ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনা।
খবরের কাগজ: খেলাপি ঋণের উচ্চহার দেশের ব্যাংক খাতের বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অবস্থা কেমন?
মতিউল হাসান: দেশের অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জের কারণে ২০২১ সাল থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে। এর প্রভাবে কয়েক বছর ধরেই ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বাড়ছে। মার্কেন্টাইল ব্যাংকও এ ঝুঁকি থেকে শতভাগ মুক্ত নয়। তবে আমরা এ ঝুঁকি মোকাবিলার সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। শ্রেণিকৃত ঋণের বিপরীতে আমরা শতভাগ সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে পেরেছি। আমাদের ব্যাংকের কোনো মূলধন ঘাটতি নেই। এতে ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনায় শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে। খেলাপি ঋণকে ভালো ঋণে রূপান্তর করতে আমরা বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছি। জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন, নেগোসিয়েশনের মাধ্যমে ঋণ আদায়, পুনঃতফসিলীকরণের মাধ্যমে ঋণের গুণগত মান ভালো রাখার লক্ষ্যে আমরা একযোগে কাজ করছি।
খবরের কাগজ: মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসির ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু বলেন।
মতিউল হাসান: মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিং যাত্রা শুরু করে ২০২০ সালের ২৯ জুন, ১০টি ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে। ‘তাক্বওয়া’ নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে যার স্লোগানটি হচ্ছে, ‘ধর্মীয় আস্থায় ব্যাংকিং’। ‘মার্কেন্টাইল ব্যাংক ইসলামিক ব্যাংকিং’-এর কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য দেশের খ্যাতনামা শরীয়াহ্ স্কলারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি স্বতন্ত্র শরীয়াহ সুপারভাইজরি কমিটি রয়েছে। উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং সেবা প্রদান করার মাধ্যমে গ্রাহকদের ভালো সাড়া পাওয়ায় আমরা বর্তমানে একটি পূণার্ঙ্গ ‘ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা’ ও ৪৫টি ইসলামিক ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করে আসছি। চট্টগ্রামে আরও একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা (খুলশি শাখা) চালু হতে যাচ্ছে যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে বর্তমানে এই শাখাটিতে প্রচলিত ব্যাংকিং থেকে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তা ছাড়া ঢাকার দিলকুশায় অবস্থিত আমাদের পূণার্ঙ্গ ইসলামিক ব্যাংকিং শাখার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে সারা দেশে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সকল শাখা ও উপ-শাখায় ইসলামিক ব্যাংকিং সার্ভিস ডেস্কের মাধ্যমে অনলাইনভিত্তিক ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারণ করেছি। বর্তমানে ১৫২টি শাখা ও ৪৭টি উপশাখার মাধ্যমে আমরা ইসলামিক ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছি। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
খবরের কাগজ: মার্কেন্টাইল ব্যাংক ঘিরে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মতিউল হাসান: মার্কেন্টাইল ব্যাংকের স্লোগান হলো ‘বাংলার ব্যাংক’। গত ২৬ বছরে ব্যাংকটি ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড়াতে পেরেছে। দীর্ঘ এ সময়ে ব্যাংকটি গ্রাহকদের আস্থা ও নিরাপত্তার প্রতীক হতে পেরেছে। প্রযুক্তিতে মার্কেন্টাইল ব্যাংক বড় ধরনের বিনিয়োগ করেছে। এ প্রযুক্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা ভবিষ্যতে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট চালু করতে পারব। নিরবচ্ছিন্ন আইটি সার্ভিস নিশ্চিত করতে ধানমন্ডিতে নিজস্ব ভবনে এমবিএল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। ডিজিটাল অ্যাপ ‘রেইনবো’ দিয়ে আমরা গ্রাহকদের ১৬টি সেবা দিতে পারি, যা বাংলাদেশে শীর্ষ ডিজিটাল ব্যাংকগুলোর সেবার সমকক্ষ। আমাদের পরিকল্পনা হলো সারা দেশের আনাচে-কানাচে তথা সব এলাকার মানুষ যেন ব্যাংকিং সেবা পায় সেই প্রচেষ্টা চালু রাখা। এটি এ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই স্বপ্ন ছিল। আগামীতে তার সফল বাস্তবায়ন হবে। ২০২৫ সালের মধ্যেই আমরা পুরোপুরি সেন্ট্রালাইজেশন মডেলে নিয়ে আসতে চাই।
খবরের কাগজ: মার্কেন্টাইল ব্যাংকের আমানতকারীসহ গ্রাহকদের উদ্দেশে আপনার বক্তব্য কি?
মতিউল হাসান: ২০২৫ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমরা আশাবাদী। আমাদের কর্মকৌশলের মূলে থাকবে সর্বাধুনিক সেবা নিশ্চিত করা, গ্রাহককেন্দ্রিকতা, পরিচালন দক্ষতা, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও ডিজিটাল রূপান্তর। দক্ষ মানবসম্পদ বৃদ্ধির মাধ্যমে ঝুঁকি ও মুনাফার মধ্যে সামঞ্জস্য রেখে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সুদৃঢ় অবস্থান আরও সুসংহত করার প্রয়াস চালিয়ে যাব। এ লক্ষ্যে ঋণ ও অগ্রিমের ক্ষেত্র বিকেন্দ্রীকরণ নীতি অনুসরণ অব্যাহত থাকবে। তারল্য ব্যবস্থাপনায় ব্যাংক সুষম আমানত কাঠামো মজবুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। এক্ষেত্রে রিটেইল আমানত বৃদ্ধির মাধ্যমে করপোরেট আমানতের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোয় জোর দেওয়া হবে। আমরা ব্যাংকের যেসব ব্যয় নিয়ন্ত্রণের কথা বলেছিলাম, তা কমিয়েছি এবং ফি ও কমিশনভিত্তিক ব্যবসার ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, শুরু থেকেই মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সাফল্য ও প্রবৃদ্ধির পেছনে গ্রাহকই অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছেন এবং সামনের দিনগুলোয় তাদের এ সহযোগিতা ও আস্থা অব্যাহত থাকবে। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মূল স্লোগান হচ্ছে ‘বাংলার ব্যাংক’। বাংলার আপামর জনসাধারণ, আমানতকারী ও ব্যবসায়ীদের আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিতে চাই।