ঢাকা ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ওয়ালপেপারে বর্ণিল দেয়াল

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ পিএম
ওয়ালপেপারে বর্ণিল দেয়াল

বাড়ির দেয়ালের সাজসজ্জা ঘরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে। আগে দেয়াল মানেই ছিল প্লাস্টার, ঘরে থাকত একই রঙের ব্যবহার। ধীরে ধীরে ঘরের দেয়ালে এল পরিবর্তন। দেয়ালে বৈচিত্র্য আনতে ব্যবহার করা শুরু হয় ওয়ালপেপারের। নানা রঙের ওয়ালপেপার ঘরের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। অন্দরের দেয়াল সাজাতে ওয়ালপেপার ব্যবহার নিয়ে লিখেছেন মোহাম্মদ আল আমিন

বসার ঘর
বসার ঘরে নান্দনিকতা ফুটিয়ে তুলতে ওয়ালপেপারের কদর বেশি। এই ঘরের জন্য ওয়ালপেপার নির্বাচন করার সময় দেয়ালের রঙ, টেক্সচার এবং আসবাবপত্রের নকশার প্রতি বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। আসবাবের সঙ্গে মানিয়ে যায় এমন জ্যামিতিক ডিজাইন এবং সমৃদ্ধ রঙের প্যালেটগুলো ভালো লাগবে। হালকা রঙের কাঠের আসবাব হলে উজ্জ্বল ফিরোজা, নীল বা সবুজ ওয়ালপেপার বেছে নিতে পারেন।

এ ছাড়া ফুলেল নকশার ওয়ালপেপার এই ঘরে ভালো দেখাবে। ঘরের সিলিং ছোট বা কম হলে, হালকা রঙের ওয়ালপেপার নির্বাচন করলে ঘরটিকে বড় এবং ছাদকে উঁচু দেখাবে।এ ছাড়া ছোট ঘরকে বড় দেখাতে সাদা বা যেকোনো হালকা রঙের ব্যবহার করতে পারবেন। ঘর বড় হলে কমলা ও হলুদের মাঝামাঝি কোনো রং বেছে নিতে পারেন। তবে হিজিবিজি নকশার ওয়ালপেপার এড়িয়ে যাওয়া ভালো। বসার ঘর উজ্জ্বল দেখাতে চাইলে গ্লিটার ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে পারেন। সোনালি বা রুপালি রঙের মেটালিক ওয়ালপেপারগুলো দিয়ে দেয়াল সাজালে বেশ সুন্দর দেখায়। 

খাবার ঘর 
খাবার ঘরে হালকা রঙের ওপর গাঢ় রঙের ফ্লোরাল নকশার ওয়ালপেপার ব্যবহার করলে ভালো। না হলে ঘর অন্ধকার ও ছোট দেখাবে। চাইলে যেকোনো একটা দেয়ালে ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন। এ ছাড়া বেসিন লাগায়ো একটা দেয়ালে মেটালিক নকশার ওয়ালপেপার বেছে নিতে পারেন। যেহেতু ওয়ালপেপার প্রিন্টের ওপরে একটা তরল ভিনাইল আবরণ থাকে যা খুবই টেকসই হয়, এ কারণে ওয়ালপেপারগুলো সহজে পরিষ্কার করা যায়। 
বারান্দার ড্যাম্প ঢাকতে ওয়ালপেপার বেছে নিতে পারেন। চেকার বোর্ড কিংবা স্ট্রাইপের চাহিদাটা একটু বেশি। বারান্দা একটু উজ্জ্বল রঙের হলেও ওয়ালপেপার ভালো লাগে। তবে বারান্দায় আলোর পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকলে ভালো লাগবে। 

শোবার রুম
প্রাকৃতিক দৃশ্য আছে এমন ওয়ালপেপার বেডরুমে লাগালে ভালো হয়। তাহলে একটা সজীব অনুভূতি আসবে। সাধারণত বেডরুমে একটু হালকা আর কম নকশার ওয়ালপেপার লাগানোই ভালো। 

শিশুদের ঘর
শিশুদের ঘরে ওয়ালপেপার লাগানোর ক্ষেত্রে কার্টুনের ওয়াল পেপার বেছে নিতে পারেন। বাজারে এখন অনেক কার্টুন চরিত্রের ওয়ালপেপার পাওয়া যায়। শিশুর ঘরে কিছু লাগানোর আগে তার পছন্দ জেনে নেওয়া ভালো। এতে সে খুশি হবে, তার মানসিক বিকাশেও সাহায্য করবে। শিশুর ঘর গোলাপি রঙের হলে গোলাপি অথবা গোলাপি-সাদার মিশ্রণের ওয়ালপেপার দিয়ে সাজালে মানানসই হবে। 

দরদাম
সিল্ক,পলিয়েস্টার, ফাইবার ইত্যাদি নানা উপাদানের ওয়ালপেপার পাওয়া যায়। তবে সব থেকে বেশি দামি হলো সিল্ক ওয়ালপেপার। সাধারণত ওয়ালপেপার স্কয়ার ফুট হিসেবে কিনতে হয়। ৩০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামের ওয়ালপেপার রোল পাবেন। ঢাকার হাতিরপুল,এলিফ্যান্ট রোড, মহাখালী, বনানী থেকে ওয়ালপেপার কিনতে পারবেন। এ ছাড়া ঢাকার গ্রিন রোডে গ্রিন সুপার মার্কেটেও যেতে পারেন। তবে শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেট কিংবা নিজের ইচ্ছামতো বানিয়ে নিতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটেও খোঁজ নিতে পারেন।

কলি

আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম
ছবি: সংগৃহীত

আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রকল্প ‘সাগরিকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম। এই ইকো উন্নয়ন প্রকল্পটি কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩.২ কিলোমিটার দূরে গঙ্গামতিতে অবস্থিত। আরডিএল সমুদ্র থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে ১৪৪ একর জমিতে এই অভুতপূর্ব প্রকল্পটি তৈরি।

 এই ৪০০ মিটার জায়গায় রয়েছে কুয়াকাটার ঘন ম্যানগ্রোভ বন। এই নির্দিষ্ট ভূমিটি প্রকৃতির এক অনন্য বিস্ময় কারন এটি বিশ্বের কেবল দ্বিতীয় স্থান যেখানে আপনি একই স্থান থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় উভয়ই পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

রাজধানীর গ্রেগরিয়ান অ্যালামনাই ক্লাবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আমিনুল্লাহ, চিফ মার্কেটিং অফিসার শমিত এম শাহাবুদ্দিন, সিনিয়র আর্কিটেক্ট সিহাম শহীদ ও সাবরীন সুলতানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আরডিএল প্রকল্পের চারপাশে বন্যজীবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মানবজাতির অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসন সেখানে জীবন্ত ইকোচক্রকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই এই পর্যটন গ্রামটি সহ-অবস্থিত বন্য জীবনের সাথে হাত মিলিয়ে গড়ে উঠবে। আরডিএল এর পরিকল্পনা হলো প্রকৃতি এবং প্রকল্পের মধ্যে থেকেই শক্তি উৎপাদন, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং উপযোগ সংগ্রহ করা। সমস্ত পরিকল্পনা প্রকৃতি এবং বন্যজীবনের স্তরকে বিরক্তনা করে বিদেশী এবং দেশীয় সার্কিট থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য করা হবে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম উপযুক্ত ইকোগ্রাম প্রকল্প হতে পারে।

 কলি

 

বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে
ছবি: সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের বৈশ্বিক বায়ু মান প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম থাকলেও, ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশের নাম শীর্ষে উঠে আসে। আর নগর হিসেবে বিশ্বে বায়ুদূষণে ঢাকার দ্বিতীয় অবস্থান । বায়ুদূষণের এই সমস্যা এখন পুরো বাংলাদেশে। যেসব এলাকায় বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কারখানার উপস্থিতি রয়েছে, রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতের কাজ চলমান, মেট্রোরেলের কাজ চলমান, ফ্লাইওভারের কাজ চলছে এবং কয়েকটি রাস্তার সংযোগ যেখানে ঘটেছে সেসব জায়গায় মাত্রাতিরিক্ত হারে বায়ুদূষণ হচ্ছে। বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বড় হুমকিস্বরূপ। এ দূষিত বায়ুর কারণে সর্দি-কাশি, এলার্জি, ফুসফুসের সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোক, মানসিক অবসাদ, হৃদরোগ ও নিউমোনিয়ার মতো নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে-

মাস্ক সবসময়
বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে মাস্ক ব্যবহার করা। তবে কেমন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন, সেটা দেখাও জরুরি। সার্জিক্যাল মাস্ক, এন ৯৫ মাস্ক খুব কাজ করে। বাহারি, ফ্যাশনেবল মাস্ক সেই কাজ করতে পারে না। পাশাপাশি সার্জিক্যাল মাস্ক একদিন ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া বাসা থেকে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে বের হলেও মুখে মাস্ক থাকা চাই।

এয়ার ফিল্টার কিনুন
ইন্ডোর এয়ার ফিল্টার বায়ুদূষণের সঙ্গে মোকাবিলা করার সেরা উপায়গুলোর মধ্যে একটি। এই পিউরিফায়ারগুলো কেবল ক্ষতিকারক দূষিত বায়ু এবং অ্যালার্জেনগুলো আটকায় না বরং সামগ্রিক বায়ুর গুণমানকে উন্নত করে। কিছু এয়ার ফিল্টার সুন্দর সুগন্ধযুক্ত হয়, যা আপনাকে ফ্রেশ বাতাস নিতে সাহায্য করে। এইচইপিএ ফিল্টারযুক্ত এয়ার পিউরিফায়ারগুলো সবচেয়ে কার্যকর বলে পরিচিত।

ঘরে-বাইরে, অফিসে গাছ লাগান
ঘর ও অফিসের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য অনেকেই ছোট ছোট গাছ রোপণ করেন। সেখানে প্রাধান্য পেতে পারে বায়ু বিশুদ্ধকরণ উদ্ভিদ। অ্যালোভেরা, আইভি, স্পাইডার প্লান্ট জাতীয় গাছ বায়ু বিশুদ্ধকরণ উদ্ভিদ হিসেবে জনপ্রিয়। এতে ঘরের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেল, তেমনই ঘরে সুস্থ পরিবেশও বজায় থাকল।

শরীরের টক্সিন দূর করার জন্য যেসব পানীয় পান করবেন
শরীরের টক্সিন করতে বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করতে পারেন। পানির সঙ্গে আখের গুড় ও তেঁতুলের ক্বাথ মিশিয়ে পান করতে পারেন। আখের গুড়ে দূষণ প্রতিরোধী ক্ষমতা থাকে। এই দুইয়ের মিশ্রণে যে পানীয় তৈরি হয় তা শরীরে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। পানির মধ্যে কয়েকটা তুলসীপাতা, আদা, চামচ আখের গুড় প্রাকৃতিকভাবেই জীবাণুনাশক। এই মিশ্রণ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে দু’বেলা খালি পেটে গরম গরম খেতে পারেন। এ ছাড়া শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে দারুণ কাজ করে গ্রিন টি বা সবুজ চা। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুধু ত্বকের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, টক্সিন দূর করে শরীরকে বিষমুক্ত রাখে।

ভিটামিন-সি গ্রহণ করুন
বায়ুদূষণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে সহায়তা করে ভিটামিন-সি। ভিটামিন-সি উৎকৃষ্ট অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে ও ক্যানসার সৃষ্টিকারী ভাইরাসকেও কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে পারে। লেবু, আমলকি, পেয়ারা, জাম্বুরা, আনারস, আমড়া, আম, আঙুর, কাঁচা মরিচ, জলপাই, বরই, কামরাঙা, টমেটো, বাঁধাকপি, কমলালেবু ইত্যাদি ভিটামিন-সির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়া ভিটামিন-সি আমাদের দেহে লৌহ বা আয়রন শোষণে সাহায্য করে। মাছ বা মাংস অর্থাৎ আমিষজাতীয় খাবার খাওয়ার সময় সঙ্গে লেবু খেলে দেহের লৌহ শোষণ ক্ষমতা বাড়ে।

জানালা বন্ধ রাখুন
বাসায় যেহেতু জানালা দিয়েই মূলত ধুলা এবং দূষিত বাতাস ঘরে আসে, তাই জানালা বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। এই দূষিত বাতাস আপনার নাকে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্ট এবং ক্রমাগত হাঁচির সমস্যা হতে পারে। আপনার বাথরুমের একটি জানলা খোলা রাখুন যাতে ঘরে ভালোভাবে বাতাস যাতায়াত করে। আর্দ্রতা রুখতে বাথরুমের ভেন্টিলেশন খোলা রাখুন।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ধুলার অ্যালার্জি থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে। বাড়ি ফেরার পর সর্বদা মেডিকেটেড সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে আপনার হাত ধুয়ে নিন। এ ছাড়া ময়লা এবং দূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি হট শাওয়ার নিন।

ধূমপান থেকে বিরত থাকুন 
ধূমপান বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। যতদূর সম্ভব ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এতে যেমন ধূমপায়ী নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি আশপাশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমানভাবে।

 কলি

শীতের আমেজে, আমরি ঢাকার বিশেষ বাংলা নাশতা

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ পিএম
শীতের আমেজে, আমরি ঢাকার বিশেষ বাংলা নাশতা
ছবি: আমারি ঢাকা

দেশের ভোজন রসিকদের বৈচিত্র্যময় বাংলার খাবারের স্বাদ দিতে 'আমারি' ঢাকায় শুরু হয়েছে শীতের সকালের নাশতার আয়োজন। বাংলার সেরা স্বাদে ভরপুর এই নাশতা  উপভোগ করতে পারবেন আমায় ফুড গ্যালারিতে। 

মাত্র ২,৯৯৯/- টাকায় ২ জনের জন্য। এই অফারটি পাবেন আচারি খিচুড়ি, সুস্বাদু হাসের মাংস ,পিঠা, ছিট্ রুটি, কষা মাংস ,খাসির পায়া, কলিজা ভুনাসহ আরও অনেক কিছু। রয়েছে বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি অফার। প্রিয়জনের সঙ্গে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিতে দিতে উপভোগ করতে পারেন আমরী ঢাকার এই বিশেষ আয়োজনটি। 

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন 

 কলি 

যুগপূর্তিতে টুয়েলভ ক্লদিংয়ের বিশেষ মূল্য ছাড়

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২০ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:২১ পিএম
যুগপূর্তিতে টুয়েলভ ক্লদিংয়ের বিশেষ মূল্য ছাড়
ছবি: টুয়েলভ ক্লদিং

পোশাক জগতে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড টুয়েলভ ক্লদিং ১ যুগ পার করেছেন। এই যুগপূর্তিতে টুয়েলভের পক্ষ থেকে ক্রেতা ও শুভানুধ্যায়ীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ। নিজেদের ১২ বছর পূর্তিতে সকল ক্রেতাদের জন্য রয়েছে বিশেষ আয়োজন নিয়ে এসেছে টুয়েলভ। 

১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ দিন ব্যাপী টুয়েলভের আউটলেটে যেকোন ধরনের কেনাকাটায় ক্রেতারা পাচ্ছেন ২৪% মুল্যছাড়। ডিসেম্বরের ১২ অর্থাৎ ১২.১২ (বারো বারো) নামেই এই ৩ দিনের বিশেষ ক্যাম্পেইন চালু করেছে টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি নির্দিষ্ট পরিমান কেনাকাটায় বছরব্যাপী ডিসকাউন্ট উপভোগের জন্য ক্রেতাদের সুবিধার্থে ফ্যামিলি কার্ড অর্জনের ব্যবস্থাও রেখেছে তারা। শীতের পোশাকসহ ফ্যাশনেবল কেনাকাটায় দারুণ সমারোহ সাজিয়েছে টুয়েলভ। দেশব্যাপী ৪০টি আউটলেটেই একযোগ এই ছাড়সহ বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন ক্রেতারা। 

 কলি 

শিশুকে ঘরের কাজ শেখাবেন কখন থেকে

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
শিশুকে ঘরের কাজ শেখাবেন কখন থেকে
মডেল:তৃণা, সায়না। ছবি: আদিব আহমেদ

শিশুকে ছোটবেলা থেকেই সব ধরনের কাজ শেখানো উচিত। শিশুর বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ঘরের কাজ শেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাওয়া,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, এগুলো সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের অপরিহার্য অংশ। অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষের কারও ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। পিতা-মাতার দায়িত্ব নিজের সন্তানকে শারীরিক পরিশ্রম এবং কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ সৃষ্টি করা। এ ছাড়া সংসারের কাজে হাত লাগানোর অভ্যাস শিশুকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করে। এ কারণে বাড়ির ছোটখাটো কাজে শিশুকে উৎসাহিত করুন। 

সূচনালগ্ন
দুই বা তিন বছর বয়স থেকে তাকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে শুরু করতে হবে। খেলার ছলেই শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। তার নিজের খাবার তার নিজের হাতে খেতে দেওয়া যেতে পারে। শক্ত খাবার বাটিতে নিয়ে এবং পানীয় জাতীয় খাবার মাম পটে ভর্তি করে পট শিশুর হাতে ধরিয়ে দেবেন। এতে সে নিজ হাতে খাওয়া শিখবে এবং চামচ, বাটি এসব কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তারও কিছু কিছু কৌশল শিখে যাবে। 

সচেতনভাবে শুরু
দুই বছরে শিশুরা কোনো কিছুই বুঝে করে না, তাই এগুলো যে কাজ তা সে বুঝতে পারে না। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে শিশুকে নিজের খেলনা গুছিয়ে রাখা, খেলার সময় নিজ হাতে খেলনা নেওয়া ইত্যাদি কাজ করা শেখাতে হবে। এ ছাড়া পানি নিজের হাতে ঢেলে পান করা, খাওয়ার পরে বাটি, চামচ বেসিনে রেখে আসা, কোনো কিছু এগিয়ে দেওয়া এ জাতীয় কাজগুলো করাতে হবে। নিজে দাঁত মাজা, নিজ হাতে খাওয়া এ সময়ই শিখবে। এই কাজগুলোর মাধ্যমে সে সচেতনভাবে জানতে পারবে এটা কাজ এবং এটা নিজের হাতে করতে হবে। 

অগ্রসর ধাপ
সাধারণত ৬-১০ বছর বয়স পর্যন্ত এ ধাপ চলমান থাকবে। এ সময় শিশুরা নিজেদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, গোছগাছ এসব শিখবে। নিজের ব্যাগ নিজে গোছানো, মাথা আচড়ানো, নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা, পড়াশোনার জন্য বই খাতা বেছে নেওয়া ও পড়া শেষে বই গুছিয়ে সঠিক জায়গায় রাখা ইত্যাদি এই ধাপে করবে। শিশুরা কাজ শুরুর দিকে কিছু ভুল করবে তাতে পিতা-মাতার উচিত হবে বিচলিত না শিশুকে নিজের কাজটি করতে দেওয়া। 

চলমান ধাপ
১০ বছরের পর থেকে এই ধাপ চলতে থাকবে এবং এ সময় শিশু পরিবারের সামগ্রিক কিছু কাজে হাত লাগাবে। যেমন- ৬-১০ বছর পর্যন্ত শিশু তার ব্যক্তিগত পরিচর্যা আর নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে শেখে। ১০ বছরের পর শিশুকে পারিবারিক শ্রমবণ্টনের মধ্যে নিতে হবে তাকে দিয়ে ঘর পরিষ্কার করানো বয়স্কদের কাজে সহযোগিতা করা এবং পুরো পরিবারের সদস্যদের বিছানা পরিষ্কার করা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া এবং মোছার মতো কাজগুলো করা। বাড়িতে যদিও সহায়ক গৃহকর্মী থাকেও তার ছুটির দিনগুলোয় শিশুকে এসব কাজ করতে দিতে হবে। এতে শিশুরা শ্রমের মর্যাদা ও বুঝতে পারবে আবার তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। 

শিশুকে দিয়ে নানা ছোটখাটো কাজ করানোর অভ্যাস করতে হবে

পূর্ণাঙ্গ শিখন
১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে শিশুকে সব ধরনের কাজ করতে শেখাতে হবে। রান্না, মাঝে মধ্যে নিজের জন্য নুডলস বা নাশতা তৈরি করা এবং রোগীর পরিচর্যা করা। তবে রান্নার কাজ ও কাটা বাছার কাজ করার সময় অবশ্যই বড়দের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে যাতে শিশুরা কোনো দুর্ঘটনার শিকার না হয়। আর টুকটাক দুর্ঘটনা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সমাধান করতে হবে। এভাবে ধাপে ধাপে কাজ শেখালে শিশুরা কাজ করতে আগ্রহী হবে।

কাজের অভ্যাস গড়ে তুলুন
শিশুকে দিয়ে নানা ছোটখাটো কাজ করানোর অভ্যাস করতে হবে। বিশেষ করে তার কাছে কাজের সময় গুরুত্বটা বেশি বেশি করে তুলে ধরতে হবে। কাজটি সঠিকভাবে শেষ করলে প্রশংসা করুন যাতে তার নিজেকে এই কাজের জন্যে বিশেষ কিছু মনে করে। এভাবে আপনার সঙ্গেও শিশুর একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। নতুন নতুন কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। 

দায়িত্ব দিন বয়স বুঝে
এক্ষেত্রে শিশুর বয়স বিবেচনা করে দায়িত্ব ভাগ করে দেবেন। নতুন নতুন কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। তাতে একঘেয়েমি আসবে না। 

নিজ পরিকল্পনায় শামিল করুন
ঘর গুছানোর কাজের পরিকল্পনায় শিশুদের গুরুত্ব দিতে হবে। বাজারে গেলে তাদের সঙ্গে নিয়ে যান। ফলে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভাববে এবং কাজ করতে আগ্রহ পাবে। 

ছোট ভাইবোনদের দায়িত্ব নিতে দিন
বাসায় একাধিক সন্তান থাকলে বয়সে বড়জনকে ছোট সন্তানের দায়িত্ব দিন। ওদের ভেতর যেন দ্বন্দ্ব না থাকে তা নিশ্চিত আপনাকেই করতে হবে। এভাবে আপনার সন্তান ঘরের কাজও দলবদ্ধভাবে করবে। সংসারে টুকিটাকি কাজে অন্তর্ভুক্তি শিশুকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করতে সাহায্য করে।

টিম ওয়ার্কের বিকল্প নেই
একসঙ্গে কাজ করতে গেলে যে আনন্দ তা শিশুকে বোঝাতে হবে। দলবেঁধে শিশুর সঙ্গে কাজ করলে আপনার সঙ্গে শিশুর কিছু চমৎকার মুহূর্ত তৈরি হবে।

 কলি 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });