ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

শুষ্ক সময় চুলের যত্ন

প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১২ পিএম
আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
শুষ্ক সময় চুলের যত্ন
মডেল: কেয়া পায়েল। ছবি: সংগৃহীত

হেমন্তে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে চুলের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় শুষ্ক আবহাওয়া ও অযত্নে চুল হয়ে যায় প্রাণহীন। এ ছাড়া চুল পড়া, আগা ফাটা তো আছেই। এমন হাজারও সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে চুল পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি। তাই ধরন বুঝে চুলের যত্নে মনোযোগী হওয়া উচিত। এ জন্য চুলের নিয়মিত পরিচর্যার বিকল্প নেই। এ সময় চুলের যত্ন কেমন হতে পারে, সেই সম্পর্কে লিখেছেন তানজিলা মীম 

প্রতিদিন চুল পরিষ্কার করতে হবে 
প্রতিদিন যারা বাইরে বের হন, তাদের উচিত মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করা। বেশির ভাগ সময় ঘরেই থাকেন, তাদেরও ধুলোবালিতে চুল তেমন ময়লা হয় না। তারা এক দিন পরপর চুল পরিষ্কার করতে পারেন। তবে ঘন ঘন শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হয়ে যায়। তাই চুলের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে অতিরিক্ত শ্যাম্পু করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তাই ক্ষার বা সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার না করে ময়েশ্চারাইজারযুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল দীর্ঘ সময় ঝরঝরে থাকবে।

কন্ডিশনার ব্যবহার 
এ আবহাওয়ায় চুল তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে তাই ভালোমতো চুল পরিষ্কারের পর কন্ডিশনিংয়ের প্রয়োজন। চুলের রুক্ষতা দূর করতে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের ক্ষতি কম হবে। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কলা ব্যবহার করতে পারেন। কলা চুলের রুক্ষতা সহজেই দূর করে। এর জন্য একটা পাকা কলার সঙ্গে দুই চা চামচ মধু ও অর্ধেক কাপ নারকেল অথবা আমন্ড তেল মিশিয়ে চুলে ২০ থেকে ২৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে। এ ছাড়া চায়ের লিকারের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলেও চুল মসৃণ হবে। তবে যাদের চুল বেশি রুক্ষ তারা পার্লারে হেয়ার স্পা করাতে পারেন।

চুলের ময়েশ্চার করা 
চুলের ময়েশ্চারকে ধরে রাখতে ডিপ কন্ডিশনিং ট্রিটমেন্ট হতে পারে দারুণ কার্যকরী। বাড়িতেই প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে সহজেই একটা ডিপ কন্ডিশনিং হেয়ার মাস্ক বানিয়ে নিতে পারবেন।  অ্যাভোকাডোর পেস্ট তৈরি করুন। এরপর এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারকেলের দুধ, ১টা ডিম, ১ চা চামচ অলিভ অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এর পর মাস্কটি চুলের গোড়া এবং পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে বাজারে পাওয়া যায় এমন কোনো ভালো মানের কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত একবার এভাবে ব্যবহার করুন, চুল স্বাস্থ্যকর ও মসৃণ থাকবে। 

আরও পড়ুন: কফি দিয়ে রূপচর্চা

চুলে তেল ব্যবহার করুন
এ সময় অনেকেই খুশকি, চুলকানিসহ নানান সমস্যায় ভোগেন। এ সমস্যার সমাধানে চুলে তেল দেওয়ার মতো ঘরোয়া পদ্ধতিই সবচেয়ে কার্যকর। সপ্তাহে দু-এক দিন তেল মাথায় লাগিয়ে নিতে হবে। এর জন্য প্রথমে স্টিলের বাটিতে তেল নিতে হবে। অন্য একটি বড় পাত্রে গরম পানি নিতে হবে। এর ওপর তেলের বাটি রাখতে হবে। তেলটা উষ্ণ হয়ে উঠলে বাটি নামিয়ে নিতে হবে। চাইলে লেবুর রস যোগ করতে পারেন। সব ধরনের চুলের জন্যই তেলে লেবুর রস দেওয়া ভালো। এই তেল ভালোভাবে মালিশ করে নিতে হবে। তেল মালিশের পর গরম পানিতে ভেজানো তোয়ালে মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। যেদিন হেয়ার প্যাক লাগাবেন, সেদিন তোয়ালে সরিয়ে রাখার পর প্যাকটি লাগাবেন। সপ্তাহে অন্তত এক দিন চুলের গোড়ায় এবং পুরো চুলে তেল দিতে হবে। চুল শুষ্ক ও ভঙ্গুর হলে দুদিন পরপর তেল ম্যাসাজ করা ভালো। তেল দিয়ে এক ঘণ্টার মতো রেখে চুল শ্যাম্পু করে ফেলবেন। এতে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলে আলাদা আর্দ্রতা জোগাতে তেল ভালো কাজ করে।

খুশকি দূর করার প্যাক 

স্বাভাবিক চুলের জন্য
১ টেবিল চামচ ত্রিফলার গুঁড়া নিন, সঙ্গে ১ টেবিল চামচ মেথি, আধা কাপ টক দই ও একটি ডিম নিন। সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ড করে প্যাক তৈরি করুন। প্যাক লাগানোর আধা ঘণ্টা পর চুল ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কন্ডিশনারও ব্যবহার করুন। এ ছাড়া ৩ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে ৫ টেবিল চামচ জলপাই তেল মিশিয়ে মাথায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করে চুল স্বাভাবিক উপায়ে ধুয়ে নিন। যাদের চুল শুষ্ক, উপকার পাবেন।

শুষ্ক চুলের জন্য
প্যাক তৈরি করতে প্রয়োজন হবে ১ টেবিল চামচ ত্রিফলার গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ মেথি, আধা কাপ টক দই, অ্যালোভেরার নির্যাস আধা কাপ। সঙ্গে নিন ১টি ডিম। সব উপকরণ ব্লেন্ড করে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। এই প্যাকও আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে। এ ছাড়া সপ্তাহে দুই দিন নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস অথবা নিমপাতার রস মিশিয়ে চুলে ২০-৩০ মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেললে খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। 

চুলে যন্ত্রের ব্যবহার
চুল সাজাতে হেয়ার ড্রায়ার, আয়রন বা কার্লারের মতো অনেক ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। খুব প্রয়োজন না হলে এগুলো ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চুল ড্যামেজ হয়ে যায়। তবে একেবারে বাদও দেওয়া যাবে না। তবে এসব যন্ত্র চুলে ব্যবহার করলে চুলের ওপর দিয়ে ধকল যায়। সে ক্ষেত্রে নিতে হবে বাড়তি যত্ন। নিয়মিত গরম তেল মালিশ এবং চুলের ধরন বুঝে হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে যন্ত্র ব্যবহারের কারণে চুলের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। গরম বাতাসের হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করে ঠাণ্ডা বাতাসেরটি ব্যবহার করতে হবে। আর আয়রন বা হেয়ার কার্লারের তাপ চুলে লাগানোর পর বাড়ি ফিরে ডিপ কন্ডিশনিং করতে হবে। 

সঠিক খাবার-দাবার 
শুধু বাহ্যিক যত্ন করলেই কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে না তাই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ যত্নেরও আছে প্রয়োজন। চুল এবং স্কাল্প হাইড্রেটেড রাখতে প্রচুর পানি, জুস পান করুন। এ ছাড়া কাঠবাদাম, মৌসুমি ফল খাবারের তালিকায় রাখুন। সবুজ শাকসবজি, এ সময় হতে পারে আপনার চুলের বন্ধু। কারণ, এসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ, আঁশজাতীয় পদার্থ ও গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন থাকে, এতে চুল হয়ে উঠবে আরও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও সুন্দর।

 কলি 

পোশাকে লাল সবুজ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
পোশাকে লাল সবুজ
মডেল: আঁখি, মেকআপ: পিয়াস, পোশাক: অঞ্জন’স,ছবি: শাহীন

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে এক নতুন দেশ জায়গা করে নেয়, যার নাম বাংলাদেশ। বিজয়ের এ দিনটিকে আমরা প্রতি বছর স্মরণ করি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে। দিবসটিকে সামনে রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস সেজেছে বর্ণিল রূপে।

দেশমাতৃকার সেবায় যে যেভাবে পারেন সেভাবেই নিজস্ব সামর্থ্যটুকু দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেন। কেউ ছবি এঁকে, কেউ লিখে, কেউ যোদ্ধা হিসেবে, কেউ বোদ্ধা হিসেবে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনের চেষ্টা চালিয়ে যান। আমাদের ফ্যাশন হাউসগুলো এ প্রজন্মকে পোশাকের দিক থেকে করেছে স্বদেশমুখী। ফলে তাদের ডিজাইনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে দেশাত্মবোধের চেতনা। এবারের বিজয় দিবসে আবারও সে চেষ্টাই চালিয়েছে তারা। 

মূলত ফ্যাশনের ধারাটা সময়কে ধারণ করে। স্টাইল, স্মার্টনেস, আউটলুকিংয়ের সামগ্রিক কনসেপ্টে বৈচিত্র্য এলেও ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস), ২৬ মার্চ (স্বাধীনতা দিবস) এবং ২১ ফেব্রুয়ারির (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস) ফ্যাশনে দেশাত্মবোধের ভাবধারাটা উন্মোচিত হয়।

দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম, যুদ্ধের পর এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আর এই অর্জনের ভেতর দিয়েই অন্ধকার সরিয়ে বাঙালির পথচলা শুরু হয়েছে সেই ৫৩ বছর আগে পাওয়া রক্তোজ্জ্বল বিজয়ের আলোয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় এখন ফ্যাশন স্টাইলের অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এ ফ্যাশন-স্টাইলে উৎসবী আমেজ থাকলেও তার থেকে বেশি থাকে দেশাত্মবোধ তথা দেশপ্রেম।

আর সে কারণেই বিজয়, স্বাধীনতা কিংবা ভাষা দিবসে ফ্যাশনের প্রথম চিত্রকল্প হিসেবে পোশাকে, শোপিসে উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্রের চিত্রকর্ম, বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথের মুখচ্ছবি। ’৭১-এর আত্মত্যাগের বাঙালি ধরনটা যেমন হৃদয়ছোঁয়া, মর্মস্পর্শী, আবেগঘন; তেমনি আনন্দের রেশটাও কম নয়। ফলে দুটি রূপেরই প্রতিফলন ঘটে ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ এবং ২১ ফেব্রুয়ারির ফ্যাশন কনসেপ্টে। আর এই ফ্যাশন বোধের মর্মকথাটা চিত্রে ও কবিতার পঙ্‌ক্তির মাধ্যমে পোশাকে উৎকীর্ণ করার সফল প্রয়াসটা প্রতি বছরের এই বিশেষ দিনগুলোয় করে থাকেন প্রতিষ্ঠিত আউটলেটগুলোর ডিজাইনাররা।

এবারের বিজয় দিবসও এর ব্যতিক্রম নয়। ইতোমধ্যে দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশন হাউসগুলো বিভিন্ন প্রজন্মের ফ্যাশন সচেতনদের জন্য ডিসপ্লেতে সাজিয়েছে পোশাকের মনোহর পসরা। যেহেতু বিজয় দিবস তাই টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, শাড়িসহ নানা পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে লাল ও সবুজ রং। আমাদের জাতীয় পতাকার রংকে তুলির আঁচড়ে নান্দনিকভাবে পোশাকের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক আঙ্গিকে। 

বিজয়ের রঙে পোশাক-অনুষঙ্গ
বিজয়ের রঙে সেজেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো। এর মধ্যে অঞ্জন’স, কে ক্রাফট, নগরদোলা, বিশ্বরঙ, রঙ, দেশাল, নিত্যউপহার, আড়ং উল্লেখযোগ্য। শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, দায়িত্ব ও মূল্যবোধ থেকেই বিজয় দিবসের বিশেষ আয়োজন করে থাকে। লাল-সবুজ আমাদের পতাকার রং, আমাদের বিজয়ের প্রতীক। বিজয়ের এই মাসজুড়ে তাই লাল-সবুজকে নিয়েই তাদের যত আয়োজন।

শীতের আগমনে এই আয়োজনে বিজয় দিবসে কিছুটা ভিন্নতা আনা হয়েছে। পোশাকগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে মোটা সুতি ও খাদি কাপড়। শাড়ি, থ্রি-পিস, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, ছেলেমেয়েদের কুর্তা, টি-শার্ট ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে দেশীয় ভাবনা। পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান এসেছে ডিজাইনের অনুষঙ্গ হিসেবে। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাইডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিন প্রিন্ট ইত্যাদি। আর এসব পোশাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই।

কলি

ডাল রান্নার সঠিক উপায়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
ডাল রান্নার সঠিক উপায়
ছবি: খবরের কাগজ

বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের ভেতর ডাল অন্যতম। অনেকে বাসায় আবার প্রতিদিন ডাল রান্না হয়ে থাকে। ঠিক মতো রান্না না করলে ডালের পুষ্টিমান নষ্ট হয় বা কমে যায়। ফলে খাবারের সঠিক পুষ্টি উপাদান থেকে আমরা বঞ্চিত হই। কিছু বিষয়ে একটু সতর্ক হলেই পুষ্টিমানের অপচয় অনেকটা রোধ করা যায়। ডাল রান্নার কিছু কৌশল দেওয়া হলো 

•    ডাল রান্নার আগে ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে, না হলে রান্না সময় ডালের রঙ কালো হয়ে যাবে। 

•    ডাল রান্না করার আগে ৪০ মিনিট পর্যাপ্ত পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ভালো করে সেদ্ধ না করলে ডালের স্বাদ ভালো লাগবে না। মসুর ডাল খেয়ে যারা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন তারপর রান্না করুন। 

•    মুগ ডাল ৩০ মিনিট রাখলে ভালো। আবার রাজমা, ছোলা, মটরের মতো শুকনো ডাল হলে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা মতো ভিজিয়ে রাখুন। সেদ্ধ করার জন্য প্রেসার কুকার ব্যবহার করতে পারেন।

•    ডাল সেদ্ধ করার সময় লবণ, হলুদ ও ২ চামচ তেল মিশিয়ে দিন। এতে ডালের রঙ ও স্বাদ হবে চমৎকার। এছাড়া কাঁচা মরিচ চিড়ে দিতে পারেন।

•    ডালের স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে ফোঁড়নের উপর। প্রতিটি ডালের ভিন্ন ভিন্ন ফোঁড়ন হয়। মুগ ও মসুর ডালে জিরা, শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দিন। ছোলার ডালে জিরা, শুকনা মরিচ, তেজপাতার ফোঁড়ন দিন। টক ডালে সরিষা, শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দিলে স্বাদ ভালো হবে।

•    ফোঁড়ন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাল ঢেকে দেবেন এবং খুব বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না।

•    ডালে সব সময় কুসুম গরম পানি মেশাবেন। ঠান্ডা পানি মেশালে ডালের স্বাদ ভালো হয় না।

•    স্বাদ বাড়ানোর জন্য কয়েক ধরনের ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন।

•    স্বাদে ভিন্নতা আনতে ডালে পেঁপে, লাউ, কুমড়ার মতো সবজি দিতে পারেন।

•    ভাজা মুগ ডাল ও ছোলার ডাল রান্নার ক্ষেত্রে ডাল নামানোর একটু আগে অল্প পরিমাণে কাঁচা আদা বাটা দিয়ে ফুটিয়ে নামান। স্বাদে পরির্তন আনবে। 

•    ডাল চুলা থেকে নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। চুলা  নিভিয়ে একটু ঢেকে রাখলে সুন্দর গন্ধ আসবে। 

কলি

 

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট এর আয়োজন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট এর আয়োজন
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের সকল কর্মচারীর স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য গত ৭ই ডিসেম্বর বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের সাথে ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের কর্পোরেট অফিসে এই ইভেন্ট এর আয়োজন করা হয়েছিল। 

এই ইভেন্টে বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ, রক্তে শর্করার পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেশনের একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. শাহজাহান বিশ্বাস। ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ পরিচালনায় প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের গুরুত্বের উপর জোর দেন ডঃ বিশ্বাস। 

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক নেটওয়ার্ক (বিডিএন) এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ এস এম আকমল আলী গোলাপ এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক নেটওয়ার্ক (বিডিএন) পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের উপদেষ্টা ডাঃ আমানুল্লাহ যারা দেশে ডায়াবেটিসের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ এবং নিয়মিত ডায়াবেটিসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্সের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব ফয়জুর রহমান নুরী এবং ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের গ্রুপ অপারেশনের সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জনাব এ.কে.এম. মাহমুদুল হাসান শুভ। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ তাসিবুল আলম তাসিব। অনুষ্ঠানে তিনি কোম্পানির কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। 

এই ধরনের প্রোগ্রামের প্রচারের মাধ্যমে ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপ স্বাস্থ্যকর কর্মশক্তি এবং বর্ধিত উত্পাদনশীলতার মধ্যে যোগসূত্রকে স্বীকৃতি দিয়ে কর্পোরেট দায়িত্বের একটি শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করে চলেছে। দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের কৌশলের অংশ হিসেবে কোম্পানিটি তার কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিবেদিত।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান। 

এরইমধ্যে ‘স্নোটেক্স’ আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। গ্রীন ফ্যাক্টরি এওয়ার্ড, বাংলাদেশ বিজনেস এওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ড সহ প্রতিষ্ঠানটি সেরা করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড সম্মাননা-২০২২, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরষ্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরী এ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি এ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্রাকটিস এ্যাওয়ার্ড-২০১৮, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১ ও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ২০২২’ এ বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।

কলি

আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম
ছবি: সংগৃহীত

আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রকল্প ‘সাগরিকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম। এই ইকো উন্নয়ন প্রকল্পটি কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩.২ কিলোমিটার দূরে গঙ্গামতিতে অবস্থিত। আরডিএল সমুদ্র থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে ১৪৪ একর জমিতে এই অভুতপূর্ব প্রকল্পটি তৈরি।

 এই ৪০০ মিটার জায়গায় রয়েছে কুয়াকাটার ঘন ম্যানগ্রোভ বন। এই নির্দিষ্ট ভূমিটি প্রকৃতির এক অনন্য বিস্ময় কারন এটি বিশ্বের কেবল দ্বিতীয় স্থান যেখানে আপনি একই স্থান থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় উভয়ই পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

রাজধানীর গ্রেগরিয়ান অ্যালামনাই ক্লাবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আমিনুল্লাহ, চিফ মার্কেটিং অফিসার শমিত এম শাহাবুদ্দিন, সিনিয়র আর্কিটেক্ট সিহাম শহীদ ও সাবরীন সুলতানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আরডিএল প্রকল্পের চারপাশে বন্যজীবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মানবজাতির অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসন সেখানে জীবন্ত ইকোচক্রকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই এই পর্যটন গ্রামটি সহ-অবস্থিত বন্য জীবনের সাথে হাত মিলিয়ে গড়ে উঠবে। আরডিএল এর পরিকল্পনা হলো প্রকৃতি এবং প্রকল্পের মধ্যে থেকেই শক্তি উৎপাদন, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং উপযোগ সংগ্রহ করা। সমস্ত পরিকল্পনা প্রকৃতি এবং বন্যজীবনের স্তরকে বিরক্তনা করে বিদেশী এবং দেশীয় সার্কিট থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য করা হবে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম উপযুক্ত ইকোগ্রাম প্রকল্প হতে পারে।

 কলি

 

বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৩ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২৩ পিএম
বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন কীভাবে
ছবি: সংগৃহীত

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ারের বৈশ্বিক বায়ু মান প্রতিবেদনে ২০২২ সালে বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম থাকলেও, ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশের নাম শীর্ষে উঠে আসে। আর নগর হিসেবে বিশ্বে বায়ুদূষণে ঢাকার দ্বিতীয় অবস্থান । বায়ুদূষণের এই সমস্যা এখন পুরো বাংলাদেশে। যেসব এলাকায় বিভিন্ন ধরনের শিল্প-কারখানার উপস্থিতি রয়েছে, রাস্তা নির্মাণ ও মেরামতের কাজ চলমান, মেট্রোরেলের কাজ চলমান, ফ্লাইওভারের কাজ চলছে এবং কয়েকটি রাস্তার সংযোগ যেখানে ঘটেছে সেসব জায়গায় মাত্রাতিরিক্ত হারে বায়ুদূষণ হচ্ছে। বায়ুদূষণ জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় বড় হুমকিস্বরূপ। এ দূষিত বায়ুর কারণে সর্দি-কাশি, এলার্জি, ফুসফুসের সংক্রমণ, শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোক, মানসিক অবসাদ, হৃদরোগ ও নিউমোনিয়ার মতো নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এটি মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

বায়ুদূষণে নিজেকে সুস্থ রাখবেন যেভাবে-

মাস্ক সবসময়
বায়ুদূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে মাস্ক ব্যবহার করা। তবে কেমন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন, সেটা দেখাও জরুরি। সার্জিক্যাল মাস্ক, এন ৯৫ মাস্ক খুব কাজ করে। বাহারি, ফ্যাশনেবল মাস্ক সেই কাজ করতে পারে না। পাশাপাশি সার্জিক্যাল মাস্ক একদিন ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া বাসা থেকে কিছুক্ষণের জন্য বাইরে বের হলেও মুখে মাস্ক থাকা চাই।

এয়ার ফিল্টার কিনুন
ইন্ডোর এয়ার ফিল্টার বায়ুদূষণের সঙ্গে মোকাবিলা করার সেরা উপায়গুলোর মধ্যে একটি। এই পিউরিফায়ারগুলো কেবল ক্ষতিকারক দূষিত বায়ু এবং অ্যালার্জেনগুলো আটকায় না বরং সামগ্রিক বায়ুর গুণমানকে উন্নত করে। কিছু এয়ার ফিল্টার সুন্দর সুগন্ধযুক্ত হয়, যা আপনাকে ফ্রেশ বাতাস নিতে সাহায্য করে। এইচইপিএ ফিল্টারযুক্ত এয়ার পিউরিফায়ারগুলো সবচেয়ে কার্যকর বলে পরিচিত।

ঘরে-বাইরে, অফিসে গাছ লাগান
ঘর ও অফিসের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য অনেকেই ছোট ছোট গাছ রোপণ করেন। সেখানে প্রাধান্য পেতে পারে বায়ু বিশুদ্ধকরণ উদ্ভিদ। অ্যালোভেরা, আইভি, স্পাইডার প্লান্ট জাতীয় গাছ বায়ু বিশুদ্ধকরণ উদ্ভিদ হিসেবে জনপ্রিয়। এতে ঘরের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেল, তেমনই ঘরে সুস্থ পরিবেশও বজায় থাকল।

শরীরের টক্সিন দূর করার জন্য যেসব পানীয় পান করবেন
শরীরের টক্সিন করতে বিভিন্ন ধরনের পানীয় পান করতে পারেন। পানির সঙ্গে আখের গুড় ও তেঁতুলের ক্বাথ মিশিয়ে পান করতে পারেন। আখের গুড়ে দূষণ প্রতিরোধী ক্ষমতা থাকে। এই দুইয়ের মিশ্রণে যে পানীয় তৈরি হয় তা শরীরে টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। পানির মধ্যে কয়েকটা তুলসীপাতা, আদা, চামচ আখের গুড় প্রাকৃতিকভাবেই জীবাণুনাশক। এই মিশ্রণ কিছুক্ষণ ফুটিয়ে দু’বেলা খালি পেটে গরম গরম খেতে পারেন। এ ছাড়া শরীরকে বিষমুক্ত রাখতে দারুণ কাজ করে গ্রিন টি বা সবুজ চা। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শুধু ত্বকের সৌন্দর্যই বৃদ্ধি করে না, টক্সিন দূর করে শরীরকে বিষমুক্ত রাখে।

ভিটামিন-সি গ্রহণ করুন
বায়ুদূষণের বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঠেকাতে সহায়তা করে ভিটামিন-সি। ভিটামিন-সি উৎকৃষ্ট অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে ও ক্যানসার সৃষ্টিকারী ভাইরাসকেও কার্যকরভাবে প্রতিহত করতে পারে। লেবু, আমলকি, পেয়ারা, জাম্বুরা, আনারস, আমড়া, আম, আঙুর, কাঁচা মরিচ, জলপাই, বরই, কামরাঙা, টমেটো, বাঁধাকপি, কমলালেবু ইত্যাদি ভিটামিন-সির গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়া ভিটামিন-সি আমাদের দেহে লৌহ বা আয়রন শোষণে সাহায্য করে। মাছ বা মাংস অর্থাৎ আমিষজাতীয় খাবার খাওয়ার সময় সঙ্গে লেবু খেলে দেহের লৌহ শোষণ ক্ষমতা বাড়ে।

জানালা বন্ধ রাখুন
বাসায় যেহেতু জানালা দিয়েই মূলত ধুলা এবং দূষিত বাতাস ঘরে আসে, তাই জানালা বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। এই দূষিত বাতাস আপনার নাকে প্রবেশ করলে শ্বাসকষ্ট এবং ক্রমাগত হাঁচির সমস্যা হতে পারে। আপনার বাথরুমের একটি জানলা খোলা রাখুন যাতে ঘরে ভালোভাবে বাতাস যাতায়াত করে। আর্দ্রতা রুখতে বাথরুমের ভেন্টিলেশন খোলা রাখুন।

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করুন
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা ধুলার অ্যালার্জি থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে। বাড়ি ফেরার পর সর্বদা মেডিকেটেড সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে আপনার হাত ধুয়ে নিন। এ ছাড়া ময়লা এবং দূষণ থেকে পরিত্রাণ পেতে একটি হট শাওয়ার নিন।

ধূমপান থেকে বিরত থাকুন 
ধূমপান বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। যতদূর সম্ভব ধূমপান এড়িয়ে চলুন। এতে যেমন ধূমপায়ী নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তেমনি আশপাশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সমানভাবে।

 কলি

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });