ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

মা হোক বন্ধু

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
মা হোক বন্ধু
মডেল: তাসনুভা ও তার মেয়ে সামারা, ছবি: আদিব আহমেদ

মা-মেয়ের সম্পর্ক দারুণ এক সম্পর্ক। বেশির ভাগ মেয়েরই সবচেয়ে কাছের বন্ধু তার মা। মায়ের সঙ্গেই তাদের সখ্য সবচেয়ে বেশি। মেয়ে তার আবদার, চাওয়া-পাওয়া, ভালো লাগা, মন্দ লাগা ভাগাভাগি করে নেয় মায়ের সঙ্গে। অনেক সময় ব্যতিক্রমও দেখা যায়। মা ও মেয়ের সম্পর্ক ভালো না হলে মা কিছু বললেই মেয়ে ঝাঁজিয়ে উঠবে। কথায় কথায় তর্ক করবে, সব ব্যর্থতার জন্য মাকে দায়ী করবে এবং মায়ের কোনো নির্দেশ সে পালন করতে চাইবে না। মায়ের বিরোধিতা করাই হবে তার প্রধান কাজ। তাই তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হওয়া জরুরি। 

পাশে থাকুন, কথা শুনুন

মেয়ে জীবনে অনেক ভুল করবে, এটাকে স্বাভাবিক ধরে নিতে হবে। ভুলের কারণে মানসিক বা শারীরিক শাস্তি  দেওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। সবসময় তাকে দোষারোপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। তার সব কর্মকাণ্ড নিয়ে কটূক্তি, সমালোচনা বন্ধ করতে হবে। সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করতে হবে। মেয়েদের নানা বয়সে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তার কথা শোনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিবন্ধকতার সমাজে কোনো মেয়ে তার আস্থাশীল জায়গায় মাকে যদি না পায় তাহলে তার সুন্দরভাবে বিকশিত হওয়া খুব সহজ হবে না। তাই মা হিসেবে সবসময় চেষ্টা করতে হবে মেয়ের পাশে থাকার। মাকে এমন হতে হবে যেন মেয়ে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো বিষয় মাকে শোনাতে পারে। কোনো ভুল করে থাকলে, প্রথমে সাহায্যের জন্য মায়ের কাছে আসতে পারে। 

মায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব

মায়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক হতে হবে সহজ এবং সাবলীল। বয়ঃসন্ধিকালীন সামাজিক ব্যবস্থায় মা-মেয়ের সম্পর্ক কিছুটা শীতল থাকে। এ সময় তাদের মধ্যে একটা মানসিক ও সম্পর্কগত দূরত্ব তৈরি হয়। এ সময় মাকে মেয়ের সঙ্গে বন্ধুর মতো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। যাতে মেয়ে মায়ের সঙ্গে যেকোনো বিষয় নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারে। মা-মেয়ের সম্পর্ক সাবলীল রাখার চেষ্টা করতে হবে। মেয়ে যেভাবে পৃথিবী দেখতে চায় তা জানার চেষ্টা করতে হবে। কৈশোর সময়ে সম্পর্ক কঠিন থাকলে পরবর্তী সময়ে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে সম্পর্ক স্বাভাবিক অবস্থায় আনা কঠিন হয়ে পড়ে। তাই মা-মেয়ে দুজন দুজনকে বুঝতে হবে। তাহলেই মেয়ে যতই বড় হোক না কেন, চিরজীবন সে মায়ের আঁচলেই সব শান্তি, স্বস্তি, সাহস আর সবটুকু সুখ খুঁজে পাবে।

আরও পড়ুন:ফোনে কথা বলার আদবকেতা

শিখতে-জানতে অনুপ্রাণিত করতে হবে 

মেয়েকে শেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। শৈশব থেকেই চেষ্টা করতে হবে তাকে সৃজনশীল কাজে যুক্ত করতে। স্কুল-কলেজের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেওয়া যাবে না। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। বই পড়া, ম্যাগাজিন পড়া, স্কুল-কলেজে স্কাউটিং-গার্লস গাইডের মতো সহ-শিক্ষামূলক কাজে যুক্ত হতে অনুপ্রাণিত করতে হবে। মেয়েকে একাকী পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে তাকে নানান কৌশল জয় করার কৌশল শেখাতে হবে। গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে সে যেন পাহাড় জয় করতে পারেন এমনভাবে তৈরি করতে হবে। বাস্তব দুনিয়ার নানান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে মাকেই মানুষ হিসেবে তাকে পথ চেনাতে হবে। 

নিজের চাপ চাপিয়ে না দেওয়া

অনেক মা নিজের চাওয়া মেয়ের ওপরে চাপিয়ে দেন। নিজের অপূর্ণ স্বপ্ন মেয়ের মাধ্যমে পূরণ করতে চান। আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বা আশা তাদের সন্তানের মাধ্যমে অর্জন করতে চাওয়া, এটা ঠিক না। মেয়ে যা করতে চায়, মায়ের উচিত তাকে করতে দেওয়া। মনে রাখতে হবে, প্রতিটি মানুষই মেধাবী, তবে ধরনটা শুধু আলাদা। বাস্তবতা মেনে তার পছন্দকে গুরুত্ব দিতে হবে। মেয়ের পছন্দ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা যাবে না। বরং তার পরিবেশকে নতুনভাবে গ্রহণ করতে হবে। মা যদি মেয়ের পছন্দকে গুরুত্ব দেন, মেয়েও তার মায়ের পছন্দকে গুরুত্ব দেবে। এভাবেই তাদের সম্পর্ক হবে মজবুত। 

মা-মেয়ের সম্পর্ক হওয়া উচিত বন্ধুর মতো।

অতিরিক্ত কঠোর না হওয়া 

কোনো সন্তানের ভুল ধরিয়ে দেওয়া কিংবা সমালোচনা করাটা মোটেই খারাপ কিছু নয়। তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে কঠোরতার মাত্রা ছাড়িয়ে না যায়। ছোটখাটো বিষয়ে অতিরিক্ত কঠোর হলে তার মনে তা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় মায়ের কঠোরতার কারণে মেয়ের জেদ কাজ করতে পারে। তাই সে একই ভুল বারবার করবে। মায়ের উচিত হবে মেয়ের এমন আচরণ মাথায় রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। তার ছোটখাটো ভুলগুলো মাফ করে দিয়ে বুঝিয়ে বলা। 

মানসিক দিক খেয়াল রাখতে হবে

মেয়ের মধ্যে কোনো মানসিক চাপ বা দ্বন্দ্ব রয়েছে কি না, জানার চেষ্টা করতে হবে। বাড়িতে, স্কুলে বা অন্যত্র সে কোনো ধরনের নিপীড়নের শিকার হয়েছে কি না সেই সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। মেয়ের মধ্যে যদি কোনোরকম বিষণ্নতা, উৎকণ্ঠা, পারসোনালিটি ডিজঅর্ডার, কনডাক্ট ডিজঅর্ডার, মাদকাসক্তি বা অন্য কোনো মানসিক সমস্যা লক্ষ করেন, তা হলে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে। 

আবেগীয় সম্পর্ক

মেয়ে কারও সঙ্গে আবেগীয় সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত না হয়ে তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলতে হবে। তার অনুভূতিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে। যদি তার এই সম্পর্ক পড়ালেখা বা ক্যারিয়ারের জন্য ক্ষতিকর হয়, তবে তাকে তার সম্পর্ক বুঝতে সহায়তা করতে হবে। সম্পর্কের কারণে মেয়ে কোনো বিপদে পড়ে কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে, বিশেষ করে ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাতে তার ওপর অতিরিক্ত নজরদারি করা যাবে না, যাতে সে নিজেকে আবদ্ধ মনে করে।

কলি

উষ্ণতায় শাল

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
উষ্ণতায় শাল
মডেল:বর্ণি, ছবি: আদিব আহমেদ

শীতের ফ্যাশনে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন আসলেও বহুকাল ধরেই শাল ফ্যাশনে রাজত্ব করে আসছে। ঘরের কাজেই হোক আর অফিস যাওয়ার সময়ই হোক, শাল প্রচলিত শীতপোশাক। এই পোশাকে কালের ধারায় এসেছে নতুনত্ব, ফ্যাশন ধারায় এনেছে বৈচিত্র্য। আজকাল শাল এতটাই ফ্যাশনেবল যে, উৎসব-আয়োজনেও তা পরা যায় অনায়াসে। হ্যান্ড প্রিন্টের শালগুলো নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে পরতে দেখা যায়। 

শালের বাহার 
হালকা শীত থেকে শুরু করে তীব্র শীত, যেকোনো সময় নিজেকে শালে জড়িয়ে নেওয়া যায়। দেশীয় নকশা আর উপকরণে বানানো শালগুলো পাশ্চাত্য সাজপোশাকের সঙ্গেও পরা যায়। দেশভেদে চাদর পরায় রয়েছে ভিন্নতা। বাংলাদেশে গায়ে জড়িয়ে চাদর পরা হয় বেশি। পাশ্চাত্যে আকারে ছোট চাদরগুলোকে স্কার্ফের মতো করে পরা হয়। শালের মাঝে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে উলের শালের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া খাদি কাপড়ের, সুতি কাপড়ের, সিল্ক, পশমি সুতা, আদিবাসী শাল, পশমিনা শাল, আর কাশ্মীরি শাল তো আছেই। এসব শালে আবার হাতের কাজ করা হয় খুব নিপুণভাবে। কোনো কোনো শালে পুঁতি দিয়ে, স্টোন বসিয়েও কাজ করা হয়। তা ছাড়া নানা ধরনের লেসের কাজের বাহার থাকে শাল জুড়ে। কারও কারও পছন্দের কথা মাথায় রেখে শালে প্রিন্টের কাজ করা হয়।

রঙের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে এক রঙা। তবে বর্তমান সময়ের শাল দুই রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এতে খুব সহজেই এক পাশ ভাঁজে রেখে অন্য পাশ ব্যবহার করা যাবে এবং নতুনত্বের ছোঁয়া পাওয়া যাবে। অন্যদের চেয়ে আলাদা দেখাতে ভিন্ন ধাঁচের রং বেছে নিতে সুন্দর এসব শালে সাজতে পারেন নানাভাবে। এ ছাড়া শালের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে কালো, খয়েরি, কমলা, ম্যাজেন্টা, বাদামি, নীল রঙের বেশি দেখা যায়। এসব শাল বেশ নরম, ব্যবহারে ফ্যাশেনেবল আর সহজে নিজের সঙ্গে বহন করা যায় বলে শীতের সময় শালের চাহিদা থাকে অন্যসব শীতের পোশাকের থেকে বেশি। তবে এক্ষেত্রে রং, নকশা, কারুকাজের পাশাপাশি ওমের বিষয়ে নজর দিতে হবে। তবেই মিলবে ফ্যাশন আর স্টাইলের পাশাপাশি বাড়তি উষ্ণতা।

নতুনত্বে আভিজাত্য
বর্তমানে হ্যান্ড প্রিন্টের শাল সব বয়সী নারীর কাছে বেশ জনপ্রিয়। শাড়ি, কামিজ বা জিনস, টপ- সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় বলে এর চাহিদা ব্যাপক। হ্যান্ড প্রিন্টের শালগুলোয় কালো, মেরুন বা নীল রং ছাপিয়ে ফ্যাশন ধারায় উঠে এসেছে হালকা বেগুনি, সি-গ্রিন, পিচ গোলাপি, জলপাই-সোনালি, পেস্ট, সর্ষে-হলুদ, হালকা ছাই রং আর সুরমা রং। একটু ভিন্ন ধারার শাল নকশা করেছেন লিনা’স সিগনেচার নামে ফেসবুকের ফ্যাশন ব্র্যান্ডটি। লিনা’স সিগনেচারের স্বত্বাধিকারী নাজমুন নাহার লিনা জানান নিজ হাতে পেইন্ট করা শখ অনেক আগে থেকেই। এই শীতে তিনি বিভিন্ন ডিজাইনের শাল নকশা করেছেন।

তার ডিজাইনে ফুলের প্রাধান্য বেশি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সাদা, লাল, গোলাপি, কচি সবুজ, ম্যাজেন্টা রঙের ভিসকস কাপড়ের ওপর আকাশি, বেগুনি, বাঙ্গি, গোলাপি, ইন্ডিগো ব্লু, হরিতকির সোনালি, জলপাই রং দিয়ে শালগুলোয় ফুলেল নকশা ফুটিয়ে তুলেছেন হ্যান্ড প্রিন্টের মাধ্যমে। যা যেকোনো পোশাকের সঙ্গে পরলে সাধারণ পোশাকও হয়ে উঠতে পারে জমকালো। দেশীয় হালকা নকশার বা একরঙা শালগুলো ঘরের পাশাপাশি ঘুরতে যাওয়া বা কর্মক্ষেত্রে খুব সহজে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া বিয়ে বা জমকালো যেকোনো পার্টির ক্ষেত্রে শালগুলো গর্জিয়াস লাগবে। 

ফেসবুকে lina’s signature পেজে পেয়ে যাবেন একেবারে আলাদা ধরনের শালগুলো।  ভিসকস সফট শালগুলো ডিজাইন ও সাইজ ভেদে বিভিন্ন  দামের হয়ে থাকে। শালগুলো ১৫৫০ থেকে ২৪৭০ টাকার মধ্যে পরবে। হ্যান্ড পেইন্টের এই শালগুলো রঙ ও ডিজাইন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করার সুবিধা রয়েছে।

 কলি 

পোশাকে লাল সবুজ

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৮ পিএম
পোশাকে লাল সবুজ
মডেল: আঁখি, মেকআপ: পিয়াস, পোশাক: অঞ্জন’স,ছবি: শাহীন

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে এক নতুন দেশ জায়গা করে নেয়, যার নাম বাংলাদেশ। বিজয়ের এ দিনটিকে আমরা প্রতি বছর স্মরণ করি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সঙ্গে। দিবসটিকে সামনে রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউস সেজেছে বর্ণিল রূপে।

দেশমাতৃকার সেবায় যে যেভাবে পারেন সেভাবেই নিজস্ব সামর্থ্যটুকু দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেন। কেউ ছবি এঁকে, কেউ লিখে, কেউ যোদ্ধা হিসেবে, কেউ বোদ্ধা হিসেবে দেশের প্রতি দায়িত্ব পালনের চেষ্টা চালিয়ে যান। আমাদের ফ্যাশন হাউসগুলো এ প্রজন্মকে পোশাকের দিক থেকে করেছে স্বদেশমুখী। ফলে তাদের ডিজাইনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে দেশাত্মবোধের চেতনা। এবারের বিজয় দিবসে আবারও সে চেষ্টাই চালিয়েছে তারা। 

মূলত ফ্যাশনের ধারাটা সময়কে ধারণ করে। স্টাইল, স্মার্টনেস, আউটলুকিংয়ের সামগ্রিক কনসেপ্টে বৈচিত্র্য এলেও ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস), ২৬ মার্চ (স্বাধীনতা দিবস) এবং ২১ ফেব্রুয়ারির (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস) ফ্যাশনে দেশাত্মবোধের ভাবধারাটা উন্মোচিত হয়।

দীর্ঘ আন্দোলন, সংগ্রাম, যুদ্ধের পর এ দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। আর এই অর্জনের ভেতর দিয়েই অন্ধকার সরিয়ে বাঙালির পথচলা শুরু হয়েছে সেই ৫৩ বছর আগে পাওয়া রক্তোজ্জ্বল বিজয়ের আলোয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় এখন ফ্যাশন স্টাইলের অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এ ফ্যাশন-স্টাইলে উৎসবী আমেজ থাকলেও তার থেকে বেশি থাকে দেশাত্মবোধ তথা দেশপ্রেম।

আর সে কারণেই বিজয়, স্বাধীনতা কিংবা ভাষা দিবসে ফ্যাশনের প্রথম চিত্রকল্প হিসেবে পোশাকে, শোপিসে উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্রের চিত্রকর্ম, বঙ্গবন্ধু, রবীন্দ্রনাথের মুখচ্ছবি। ’৭১-এর আত্মত্যাগের বাঙালি ধরনটা যেমন হৃদয়ছোঁয়া, মর্মস্পর্শী, আবেগঘন; তেমনি আনন্দের রেশটাও কম নয়। ফলে দুটি রূপেরই প্রতিফলন ঘটে ১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ এবং ২১ ফেব্রুয়ারির ফ্যাশন কনসেপ্টে। আর এই ফ্যাশন বোধের মর্মকথাটা চিত্রে ও কবিতার পঙ্‌ক্তির মাধ্যমে পোশাকে উৎকীর্ণ করার সফল প্রয়াসটা প্রতি বছরের এই বিশেষ দিনগুলোয় করে থাকেন প্রতিষ্ঠিত আউটলেটগুলোর ডিজাইনাররা।

এবারের বিজয় দিবসও এর ব্যতিক্রম নয়। ইতোমধ্যে দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ফ্যাশন হাউসগুলো বিভিন্ন প্রজন্মের ফ্যাশন সচেতনদের জন্য ডিসপ্লেতে সাজিয়েছে পোশাকের মনোহর পসরা। যেহেতু বিজয় দিবস তাই টি-শার্ট, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, থ্রি-পিস, শাড়িসহ নানা পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে লাল ও সবুজ রং। আমাদের জাতীয় পতাকার রংকে তুলির আঁচড়ে নান্দনিকভাবে পোশাকের গায়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে নান্দনিক আঙ্গিকে। 

বিজয়ের রঙে পোশাক-অনুষঙ্গ
বিজয়ের রঙে সেজেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো। এর মধ্যে অঞ্জন’স, কে ক্রাফট, নগরদোলা, বিশ্বরঙ, রঙ, দেশাল, নিত্যউপহার, আড়ং উল্লেখযোগ্য। শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নয়, দায়িত্ব ও মূল্যবোধ থেকেই বিজয় দিবসের বিশেষ আয়োজন করে থাকে। লাল-সবুজ আমাদের পতাকার রং, আমাদের বিজয়ের প্রতীক। বিজয়ের এই মাসজুড়ে তাই লাল-সবুজকে নিয়েই তাদের যত আয়োজন।

শীতের আগমনে এই আয়োজনে বিজয় দিবসে কিছুটা ভিন্নতা আনা হয়েছে। পোশাকগুলোয় ব্যবহার করা হয়েছে মোটা সুতি ও খাদি কাপড়। শাড়ি, থ্রি-পিস, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, ছেলেমেয়েদের কুর্তা, টি-শার্ট ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে দেশীয় ভাবনা। পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান এসেছে ডিজাইনের অনুষঙ্গ হিসেবে। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাইডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিন প্রিন্ট ইত্যাদি। আর এসব পোশাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই।

কলি

ডাল রান্নার সঠিক উপায়

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০০ পিএম
ডাল রান্নার সঠিক উপায়
ছবি: খবরের কাগজ

বাঙালির সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবারের ভেতর ডাল অন্যতম। অনেকে বাসায় আবার প্রতিদিন ডাল রান্না হয়ে থাকে। ঠিক মতো রান্না না করলে ডালের পুষ্টিমান নষ্ট হয় বা কমে যায়। ফলে খাবারের সঠিক পুষ্টি উপাদান থেকে আমরা বঞ্চিত হই। কিছু বিষয়ে একটু সতর্ক হলেই পুষ্টিমানের অপচয় অনেকটা রোধ করা যায়। ডাল রান্নার কিছু কৌশল দেওয়া হলো 

•    ডাল রান্নার আগে ডাল ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে, না হলে রান্না সময় ডালের রঙ কালো হয়ে যাবে। 

•    ডাল রান্না করার আগে ৪০ মিনিট পর্যাপ্ত পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। ভালো করে সেদ্ধ না করলে ডালের স্বাদ ভালো লাগবে না। মসুর ডাল খেয়ে যারা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে রাখুন তারপর রান্না করুন। 

•    মুগ ডাল ৩০ মিনিট রাখলে ভালো। আবার রাজমা, ছোলা, মটরের মতো শুকনো ডাল হলে কমপক্ষে ১২ ঘণ্টা মতো ভিজিয়ে রাখুন। সেদ্ধ করার জন্য প্রেসার কুকার ব্যবহার করতে পারেন।

•    ডাল সেদ্ধ করার সময় লবণ, হলুদ ও ২ চামচ তেল মিশিয়ে দিন। এতে ডালের রঙ ও স্বাদ হবে চমৎকার। এছাড়া কাঁচা মরিচ চিড়ে দিতে পারেন।

•    ডালের স্বাদ অনেকটাই নির্ভর করে ফোঁড়নের উপর। প্রতিটি ডালের ভিন্ন ভিন্ন ফোঁড়ন হয়। মুগ ও মসুর ডালে জিরা, শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দিন। ছোলার ডালে জিরা, শুকনা মরিচ, তেজপাতার ফোঁড়ন দিন। টক ডালে সরিষা, শুকনা মরিচের ফোঁড়ন দিলে স্বাদ ভালো হবে।

•    ফোঁড়ন দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাল ঢেকে দেবেন এবং খুব বেশিক্ষণ চুলায় রাখবেন না।

•    ডালে সব সময় কুসুম গরম পানি মেশাবেন। ঠান্ডা পানি মেশালে ডালের স্বাদ ভালো হয় না।

•    স্বাদ বাড়ানোর জন্য কয়েক ধরনের ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে রান্না করতে পারেন।

•    স্বাদে ভিন্নতা আনতে ডালে পেঁপে, লাউ, কুমড়ার মতো সবজি দিতে পারেন।

•    ভাজা মুগ ডাল ও ছোলার ডাল রান্নার ক্ষেত্রে ডাল নামানোর একটু আগে অল্প পরিমাণে কাঁচা আদা বাটা দিয়ে ফুটিয়ে নামান। স্বাদে পরির্তন আনবে। 

•    ডাল চুলা থেকে নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি দিয়ে দিন। চুলা  নিভিয়ে একটু ঢেকে রাখলে সুন্দর গন্ধ আসবে। 

কলি

 

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট এর আয়োজন

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৬ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৫ পিএম
‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট এর আয়োজন
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের সকল কর্মচারীর স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য গত ৭ই ডিসেম্বর বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের সাথে ক্লিনিক্যাল মেডিকেল কেয়ার ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের কর্পোরেট অফিসে এই ইভেন্ট এর আয়োজন করা হয়েছিল। 

এই ইভেন্টে বিডিএন পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ, রক্তে শর্করার পরীক্ষা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেশনের একটি সিরিজ অন্তর্ভুক্ত ছিল। 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডিজিএইচএস) এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. শাহজাহান বিশ্বাস। ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগ পরিচালনায় প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা এবং জীবনধারা পরিবর্তনের গুরুত্বের উপর জোর দেন ডঃ বিশ্বাস। 

বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক নেটওয়ার্ক (বিডিএন) এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ এস এম আকমল আলী গোলাপ এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক নেটওয়ার্ক (বিডিএন) পল্লবী ডায়াবেটিস সেন্টারের উপদেষ্টা ডাঃ আমানুল্লাহ যারা দেশে ডায়াবেটিসের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ এবং নিয়মিত ডায়াবেটিসের তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্সের ডেপুটি ডিরেক্টর জনাব ফয়জুর রহমান নুরী এবং ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের গ্রুপ অপারেশনের সিনিয়র ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার জনাব এ.কে.এম. মাহমুদুল হাসান শুভ। 

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ তাসিবুল আলম তাসিব। অনুষ্ঠানে তিনি কোম্পানির কর্মীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন। 

এই ধরনের প্রোগ্রামের প্রচারের মাধ্যমে ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপ স্বাস্থ্যকর কর্মশক্তি এবং বর্ধিত উত্পাদনশীলতার মধ্যে যোগসূত্রকে স্বীকৃতি দিয়ে কর্পোরেট দায়িত্বের একটি শক্তিশালী উদাহরণ স্থাপন করে চলেছে। দীর্ঘমেয়াদী সাফল্যের কৌশলের অংশ হিসেবে কোম্পানিটি তার কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য নিবেদিত।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান। 

এরইমধ্যে ‘স্নোটেক্স’ আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। গ্রীন ফ্যাক্টরি এওয়ার্ড, বাংলাদেশ বিজনেস এওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ড সহ প্রতিষ্ঠানটি সেরা করদাতা হিসেবে ট্যাক্স কার্ড সম্মাননা-২০২২, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরষ্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরী এ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি এ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্রাকটিস এ্যাওয়ার্ড-২০১৮, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১ ও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক ২০২২’ এ বিশেষ পুরস্কার অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এখন প্রায় ২০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে।

কলি

আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম
ছবি: সংগৃহীত

আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রকল্প ‘সাগরিকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম। এই ইকো উন্নয়ন প্রকল্পটি কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩.২ কিলোমিটার দূরে গঙ্গামতিতে অবস্থিত। আরডিএল সমুদ্র থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে ১৪৪ একর জমিতে এই অভুতপূর্ব প্রকল্পটি তৈরি।

 এই ৪০০ মিটার জায়গায় রয়েছে কুয়াকাটার ঘন ম্যানগ্রোভ বন। এই নির্দিষ্ট ভূমিটি প্রকৃতির এক অনন্য বিস্ময় কারন এটি বিশ্বের কেবল দ্বিতীয় স্থান যেখানে আপনি একই স্থান থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় উভয়ই পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

রাজধানীর গ্রেগরিয়ান অ্যালামনাই ক্লাবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আমিনুল্লাহ, চিফ মার্কেটিং অফিসার শমিত এম শাহাবুদ্দিন, সিনিয়র আর্কিটেক্ট সিহাম শহীদ ও সাবরীন সুলতানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আরডিএল প্রকল্পের চারপাশে বন্যজীবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মানবজাতির অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসন সেখানে জীবন্ত ইকোচক্রকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই এই পর্যটন গ্রামটি সহ-অবস্থিত বন্য জীবনের সাথে হাত মিলিয়ে গড়ে উঠবে। আরডিএল এর পরিকল্পনা হলো প্রকৃতি এবং প্রকল্পের মধ্যে থেকেই শক্তি উৎপাদন, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং উপযোগ সংগ্রহ করা। সমস্ত পরিকল্পনা প্রকৃতি এবং বন্যজীবনের স্তরকে বিরক্তনা করে বিদেশী এবং দেশীয় সার্কিট থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য করা হবে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম উপযুক্ত ইকোগ্রাম প্রকল্প হতে পারে।

 কলি

 

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });