ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

হেমন্তের নিমন্ত্রণে

প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪২ পিএম
আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম
হেমন্তের নিমন্ত্রণে
মডেল: আকসা, মেকআপ: রেড বিউটি স্টুডিও অ্যান্ড স্যালন, পোশাক:অঞ্জন’স, ছবি: আদিব আহমেদ।

হেমন্ত এসেছে। এই ঋতুতে না থাকে গরম, না থাকে ঠাণ্ডা, একটি মিষ্টি হাওয়া বিরাজ করে আবহাওয়াজুড়ে। এ আবহাওয়ার কারণে পোশাক ও সাজসজ্জায় আসে পরিবর্তন। এই সময় নিমন্ত্রণ রক্ষায় সহজ সাজে রাঙিয়ে নেওয়া যায় নিজেকে। তবে এমন পোশাক বেছে নিতে হবে, যা ট্রেন্ডি এবং দাওয়াতে পরে যাওয়ার জন্য উপযোগী। তাই আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখেই বিভিন্ন পোশাকে সেজে উঠেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।

কেমন হবে পোশাক

দাওয়াতে মূলত আবহওয়া, সময় ও স্থানের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিতে হয় পোশাক। নিজের রুচি অনুযায়ী শাড়ি, কুর্তি সালোয়ার-কামিজ, লেহেঙ্গা, টপস ও ফতুয়া বেছে নিতে পারেন। এই সময়ে পোশাক হতে হবে স্টাইলিশ ও আরামদায়ক। তাই যে পোশাকই পরেন না কেন, সেটা যেন আপনাকে সহজে মানিয়ে যায় এবং আরামদায়ক হয়। দুপুরে দাওয়াত থাকলে খুব বেশি জমকালো পোশাক না পরাই ভালো। এই দাওয়াতে সহজ নকশার চিরায়ত প্যাটার্নের পোশাক পরতে পারেন। জমজমাট আড্ডার আয়োজনে ঢিলেঢালা নরম পোশাক বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া টপ-বটম, স্কার্ট, ম্যাক্সি ড্রেস, জাম্প স্যুট বেশ মানিয়ে যাবে। 

যদি সুতির তৈরি পোশাক বেছে নেন, তাহলে তার সঙ্গে মানানসই টাইটস বা জিন্সের প্যান্ট পরতে পারেন। জিন্সের সঙ্গে পুরো হাতার টি-শার্টও পরতে পারেন। সোজা কাটের প্যান্ট বা পালাজ্জোও ভালো লাগবে। রাতের দাওয়াতে জমকালো ভাব নিয়ে আসতে চাইলে সিল্কের পোশাক পরতে পারেন। এখন সময়োপযোগী ওয়ান পিস কামিজ পরতে পারেন। দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের ওয়ান পিস পাওয়া যাচ্ছে। ক্যাজুয়াল বা আধা আনুষ্ঠানিক পোশাক হিসেবে তারা কামিজগুলো তৈরি করছেন। চাপা কাটের প্যান্ট, সঙ্গে একটু লম্বাটে ধাঁচের কামিজ বা শার্ট কামিজ বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া ঢোলা কাটের প্যান্টের সঙ্গে মানিয়ে যাবে তুলনামূলক খাটো কাটের কামিজগুলো। ফ্যাশন ব্র্যান্ড অঞ্জন’স অনুষ্ঠানে পরার জন্য বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে এসেছে।

এই সময়ে পোশাক হতে হবে স্টাইলিশ ও আরামদায়ক।

অঞ্জন’সের প্রধান নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ জানান, তারা সব সময় ঋতু উপযোগী ডিজাইন করে থাকেন। মূলত তারা পোশাকের কাপড়, রং, নকশার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। এই সময়ের আবহাওয়ার কারণে সুতি, ভয়েল, লিনেন, সিল্ক, মসলিন- এ ধরনের কাপড় বেশি ব্যবহার করে পোশাক তৈরি করা হয়েছে। প্যাটার্নে এসেছে নতুনত্ব। তাদের হেমন্তের কালেকশনে শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, ওড়না, ফতুয়া, টপস, স্কার্ফসহ হ্যান্ড মেইড জুয়েলারির পাশাপাশি টপস, ফ্রক ও ওড়না ডিজাইন করা হয়েছে। অলিভ, কফি, বাদামি, সাদা, লাল, সবুজ ও মেরুন রং গুরুত্ব পেয়েছে। 

এই সময় অনুষ্ঠানে নানা ধরনের স্কার্টও পরতে পারেন। হাঁটুঅব্দি ফ্লেয়ার স্কার্টের সঙ্গে সুতি টপ, চাপা স্কার্টের সঙ্গে স্মার্ট টপ বা হাঁটু পর্যন্ত স্কার্ট ড্রেস- তিন ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে। স্কার্ট পরলে পোশাকে আসবে ভিন্নতা। দাওয়াতে পরার জন্য অনেকের কাছে শাড়ি প্রথম পছন্দ। তারা শাড়ির সঙ্গে নানা কাটের ব্লাউজ পরতে পারেন। শাড়ি হিসেবে শিফন, কোটা ও সুতিই আদর্শ। রাতের দাওয়াতের জন্য একটু গর্জিয়াস পোশাক পরতে চাইলে হালকা জারদৌসি কাজের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। তবে ইদানীং ব্রোকেট ও কাতানের শাড়ি এবং সঙ্গে ফুলহাতা বা কোয়ার্টার হাতা ব্লাউজ অথবা ফ্যাশনেবল কোটি বা টপস বেছে নিতে পারেন। দেখতে ভালো লাগবে। রঙের ক্ষেত্রে লাল, কালো, সবুজের মতো মূল রংগুলোর পাশাপাশি শ্যাওলা, পাউডার ব্লু, ট্যানজি অরেঞ্জ, রোজ পিঙ্ক, মিন্ট গ্রিন, অ্যাকোয়া ব্লু যেকোনো রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন।

হেমন্তে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে, তাই বুঝেশুনে মেকআপ করতে হবে। 

সাজসজ্জা

হেমন্তে ওয়াটারবেজড সাজসজ্জাই মানানসই বেশি। রাতে বেজড মেকআপে তরল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে পারেন। তবে আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিতে হবে। মেকআপ ভালোমতো বসানোর জন্য মুখে বুলিয়ে নিতে হবে ফিনিশিং পাউডার। যেহেতু হেমন্তে আবহাওয়া শুষ্ক থাকে, তাই মেকআপ হতে হবে শাইনি ও শিমারি। চোখ যদি জমকালো হয়, ঠোঁটে থাকবে হালকা রং। এ ঋতুর আদর্শ গ্লসি লিপস্টিক। সেগুলো হতে হবে একটু চকচকে, ফ্রস্টেড ও মৃদু রঙের। ত্বক টেনে গেলে তৈলাক্ত ও শিমারিবেজড মেকআপ করা যেতে পারে। চোখের সাজ হতে পারে স্মোকি। হেমন্তে ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার না করাই ভালো। খুব গ্লোসি আর ময়েশ্চারাইজারসমৃদ্ধ লিপস্টিক ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে। চাইলে ন্যুড সাজ সাজতে পারেন। ন্যুড হলেও জমকালো ভাবটিও ফুটে উঠবে। এ ধরনের হালকা সাজের সঙ্গে গ্লসি লিপস্টিক মানিয়ে যাবে। চুল ব্লো-ড্রাই করে খুলে রাখতে পারেন। এক পাশে সিঁথি করে রাখতে পারেন। ধুলোবালি আর দূষণ থেকে রক্ষা পেতে দিনের বেলায় চুলগুলোকে ডোনাট বান, পনিটেইল বা স্টাইলিশভাবে বেঁধে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বছরের এই সময়টায় যেহেতু প্রচুর ধুলোবালি থাকে, তাই চুল বেঁধে নেওয়াই ভালো।  

গহনায় বৈচিত্র্য

পোশাকে অল্প কারুকাজ হলে হালকা গহনা পরতে পারেন। খুব চকচকে বা ঝলমলে গহনা এড়িয়ে যান। পোশাকের সঙ্গে ব্রেসলেট হোক বা কানের দুল- সবটাই যেন হয় ছিমছাম। আর ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের গহনা পরুন। যা হবে পোশাকের সঙ্গে মানানসই। শাড়ি পরলে গহনায় বিভিন্নতা আনতে স্বর্ণের পাশাপাশি গোল্ড প্লেটেড, মেটাল, স্টোন, পুঁতিসহ নানা ধরনের গহনা ব্যবহার করতে পারেন। ফ্যাশনে এখন চোকার, লেয়ার নেকলেস, লহরি মালা, বিভিন্ন ধরনের কাটিং গহনা বেশ জনপ্রিয়। চাইলে  সেখান থেকে বেছে নিতে পারেন। এই গহনাগুলো আপনার নিজস্ব আভিজাত্য ধরে রাখবে।

পোশাক পাবেন যেখানে

ওয়েস্টার্ন আউটফিটের জন্য যেতে পারেন ক্যাটস আই, এক্সট্যাসি, সারা এসব ফ্যাশন ব্র্যান্ডে বিভিন্ন কাটিংয়ের পোশাক পাবেন। এ ছাড়া দেশীয় ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙ, অঞ্জন’স, জেন্টল পার্ক-এ পাবেন পছন্দের দাওয়াতের পোশাক। বিদেশ থেকে আমদানি করা নন-ব্র্যান্ডের পোশাক পাবেন বসুন্ধরা সিটি, নর্থ টাওয়ার, যমুনা ফিউচার পার্ক, নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজের বিপরীতে বদরুদ্দোজা মার্কেটে।

 কলি

 

রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৫:৩৩ পিএম
রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপায়
ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক জীবনে প্রায় সব বয়সী মানুষই এখন ঘুমের সমস্যায় ভুগেন। যার প্রভাব পড়ে মন, স্বাস্থ্য ও দৈনন্দিন কাজকর্মের উপর। ঘুমের সমস্যা মানেই তা ইনসমনিয়া পর্যায়ে পৌঁছে গেছে এমনটা নয়। ছোটখাটো কিছু অভ্যাস পরিবর্তন ও পদ্ধতি মেনে চললে চাইলে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায়।

ঘুমের সময় নির্ধারণ রাখুন
তাড়াতাড়ি ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে জরুরি হল ঘুমাতে যাবার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা। শহুরে জীবনে কাজের ব্যস্ততা কিংবা গল্পগুজব করতে করতে প্রায়ই বিছানায় যেতেই আমাদের দেড়ি হয়ে যায়। যত বেশি রাতে ঘুমের প্রস্তুতি নিবেন অনিদ্রাও কিন্তু ততটাই চেপে বসবে। তাই দ্রুত ঘুমানোর জন্য রাত নয়টা থেকে এগারোটার মধ্যবর্তী একটি সময় নির্ধারণ করুন। তাছাড়া কিছুদিন নির্দিষ্ট একটি সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস করলে মস্তিষ্ক এতে অভ্যস্ত হয়ে যায়। এতে করে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমিয়ে পড়া সহজ হয়।

ব্লু লাইট দূরে রাখুন
ব্লু লাইট মূলত স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বিভিন্ন প্রযুক্তি মাধ্যম থেকে বেরিয়ে আসা নীল আলো। এই নীল আলো শুধু আমাদের দেখতেই সাহায্য করে না সেই সঙ্গে আমাদের ঘুম নিয়ন্ত্রণকারী মেলাটোনিন হরমোনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে রাতের বেলাও আমাদের মস্তিষ্কে দিনের মতো উদ্দীপনা অনুভব হয় এবং ঘুমের চাহিদা কমে যায়। তাই রাতে ঘুমাতে যাবার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।

ঘুমের পরিবেশ তৈরি করুন
অনেকে  যেকোনো জায়গায় যেকোনো সময় চাইলেই ঘুমিয়ে পড়তে পারেন। কিন্তু যারা ঘুমের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বিষয়টি মোটেই এমন সহজ নয়। সেক্ষেত্রে ঘুমানোর জন্য হালকা রঙের বিছানা, বালিশ ব্যবহার করুন। ঘর অন্ধকার এবং শব্দহীন থাকলে সহজে ঘুম চলে আসে। ঘুম না আসলেও চোখ বন্ধ করে রাখার অভ্যাস তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারেন আই মাস্ক। সঙ্গে শুনতে পারেন প্রাকৃতিক কিংবা স্বস্তিদায়ক কোনো সুর। এভাবে কিছুক্ষণ ঘুমানোর জন্য অপেক্ষা করলে সহজে ঘুম চলে আসবে।

ব্রেদিং মেডিটেশন করুন
পরিবেশ, সময়, ব্লু লাইট এর ব্যবহার এসবকিছু ঠিক রাখার পরও যদি ঘুমাতে দেড়ি হয় তাহলে করতে পারেন ব্রেদিং মেডিটেশন। এটি ৪-৭-৮ পদ্ধতি নামেও পরিচিত এবং জনপ্রিয়। ব্রেদিং মেডিটেশন এর জন্য প্রথমে ঘুমের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে বিছানায় যান। এরপর আপনার জিহবার সামনের অংশ উপরের দাঁতের পেছন অংশে লাগিয়ে জোরে নিঃশ্বাস নিয়ে ছেড়ে দিন। পরে ঠোঁট বন্ধ করে আবার ৪ সেকেন্ড সময় নিয়ে জোরে শ্বাস নিন। ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত নিঃশ্বাস ধরে রেখে ৮ সেকেন্ডের মাথায় ধীরে ছেড়ে দিন। এভাবে তিনবার শ্বাস-প্রশ্বাস এর ব্যায়াম করলে স্নায়ুতন্ত্র ঠান্ডা হয় এবং দ্রুত ঘুম আসে।

গরম দুধ পান করুন
সুন্দর ত্বক ও পুষ্টির জন্য অনেকে নিয়মিত দুধ পান করে থাকেন। প্রতিদিনের এক কাপ দুধ যদি ঘুমাতে যাবার আগে আগে খাওয়ার অভ্যাস করেন তাহলে দ্রুত ও ভালো ঘুম হবার ক্ষেত্রেও উপকার পাবেন। দুধ খেলে শরীরে সেরোটোনিন নামক হরমোন উতপাদন বেড়ে যায় যা মস্তিষ্ক শান্ত করে ঘুম পেতে সাহায্য করে। দুধে থাকা বিভিন্ন উপাদান মেলাটোনিন হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে রাতের ঘুমের চক্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

 

ক্লাসিক কাট বুটিক সেলুনের যাত্রা শুরু

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০২:১১ পিএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ০২:১২ পিএম
ক্লাসিক কাট বুটিক সেলুনের যাত্রা শুরু
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে উদ্বোধন হয়েছে ক্লাসিক কাট বুটিক সেলুনের। শুক্রবার (৩০ মে) সন্ধ্যায় এই সেলুনের উদ্ধোধন করা হয়। রাজধানীর গুলশান ২-এর আর এম সেন্টারে সেলুনটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিত্র নায়ক শিপন মিত্র, অভিনেতা ও মডেল ইমরান খান, মাসুদ রানা ও আরজে নিরবসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

পাঁচজন স্বপ্নবাজ তরুণের উদ্যোগে এই সেলুনে স্থাপন করা হয়েছে। উদ্যোক্তরা জানান, রূপচর্চা এখন আর বিলাসিতা নয়। সৌন্দর্য চর্চা একজন পুরুষকে আত্নবিশ্বাসী করে তোলে। লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

 কলি

ঈদের আগে ফ্রিজ পরিষ্কার

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
ঈদের আগে ফ্রিজ পরিষ্কার
মডেল: রাইসা

ফ্রিজ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা জরুরি। এতে ফ্রিজ ভালো থাকে অনেক দিন। কিন্তু নানা ব্যস্ততায় অনেকেই ফ্রিজ পরিষ্কার করেন না। ফ্রিজের ভেতরে মাছ বা মাংসের রক্ত জমে থাকতে পারে। এই জমে থাকা রক্ত থেকে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে। কোরবানির তাজা মাংস সংরক্ষণের পরও অনেক সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা দিতে পারে। ঈদের আগে ফ্রিজ পরিষ্কারে করে নিতে হবে।  

ফ্রিজ পরিষ্কার করার আগে পুরোনো খাবারগুলো খেয়ে নিতে হবে। যদি সম্ভব না হয় তাহলে ফ্রিজ পরিষ্কারের দুই থেকে তিন ঘণ্টা আগে খাবারগুলো বাইরে বের করে রাখতে হবে।

ফ্রিজ পরিষ্কার করার আগে বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করতে হবে। নাহলে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ছাড়া বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা থাকলে খুব সহজেই ফ্রিজ থেকে বরফ আলাদা হয়ে যাবে। তখন বরফ তুলতে কষ্ট হবে না। এরপর ফ্রিজের ভেতর থেকে তাকগুলো বের করে নিতে হবে এবং ড্রয়ারগুলো খুলে ফেলতে হবে। তারপর ডিটারজেন্ট মেশানো হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। একটি ব্রাশ দিয়ে ফ্রিজের রাবারগুলো ও কোনাগুলো ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নেবেন। পরিষ্কার করা হয়ে গেলে খেয়াল রাখবেন তাক, ড্রয়ারগুলো যেন শুকনো থাকে। ভেজা অবস্থায় তাক, ড্রয়ারগুলো ফ্রিজের ভেতর রাখবেন না।

দরকার হলে তোয়ালে ভিজিয়ে পুরো ফ্রিজ মুছে নিয়ে তাক, ড্রয়ারগুলো ফ্রিজে রাখতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় ফ্রিজ চালু থাকলেও খাবার ঠাণ্ডা হয় না। সেক্ষেত্রে প্রথমেই লক্ষ করতে হবে টেম্পারেচার সুইচ প্রয়োজনমতো বাড়ানো আছে কি না। মাঝে মাঝে দরজায় লাগানো প্লাস্টিকের প্যাডে ফাটল ধরলেও এ সমস্যা হতে পারে। প্রয়োজনে সার্ভিসিং করে নিতে হবে।

যাদের ম্যানুয়াল ডিফ্রস্ট ফ্রিজ রয়েছে, তাদের এটি পর্যায়ক্রমে ডিফ্রস্ট করা প্রয়োজন। কারণ বরফ জমা হওয়া ফ্রিজের শীতল করার ক্ষমতাকে হ্রাস করে। তাই ফ্রিজে বরফ জমে গেলে, তা নির্দিষ্ট সময় পরপর গলিয়ে ফেলা প্রয়োজন।

ফ্রিজের দরজার কোণায় থাকা রাবারটি আঠালো হয়ে গেলে পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে কাপড় ও ব্রাশের সহায়তায় ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এরপর ভিনেগার মেশানো পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ফ্রিজের বাইরের অংশটাও ভালোভাবে মুছে পরিষ্কার করে নিতে পারেন।

যদি আপনার ফ্রিজে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে তাহলে পানিতে বেকিং সোডা ও লেবুর রস মিশিয়ে মুছে নিতে পারেন। এ ছাড়া ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে এক কোণে খাবার সোডা রাখতে পারেন। সামান্য ভিনেগার এক টুকরো কাপড়ে মেখে ফ্রিজে রেখে দিলে দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন।

মাংস সংরক্ষণের সময় চর্বি ও ময়লা ফেলে ফ্রিজে মাংস রাখবেন। প্রতিদিনের জন্য আলাদা আলাদা করে ভাগ করে রাখতে পারেন। এতে খুঁজে পেতে সহজ হবে। রান্না করার অন্তত ১৫ মিনিট আগে ডিপ ফ্রিজ থেকে মাংস বের করে নেবেন।

 কলি

কোরবানির ঈদে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০১:৩২ পিএম
কোরবানির ঈদে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
ছবি: এ আই

কোরবানির ঈদ মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিনে আল্লাহর নামে পশু কোরবানি করা হয় এবং সেই মাংস আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিতরণ করা হয়। ঈদ আনন্দ ও উৎসবের বার্তা নিয়ে এলেও, পশু কোরবানি করা, মাংস কাটাকুটি ও বিতরণের কারণে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠে। সঠিকভাবে পরিষ্কার  না করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও দূষণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধু ঈদের দিন নয়, আগাম প্রস্তুতি ও পরবর্তী করণীয় মিলিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা থাকলে ঝামেলা এড়ানো যায় সহজে।

কোরবানির কয়েক দিন আগে থেকে পুরো বাড়ি পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নিন। বিশেষ করে রান্নাঘর ভালোভাবে পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করা প্রয়োজন, যেখানে মাংস কাটা ও রান্না করা হবে। মেঝে পরিষ্কার রাখতে হবে। রান্নার জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখলে ঈদের দিন কাজের সুবিধা হবে।

ঈদের আগে বাজারের একটি তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতার সামগ্রী কিনে রাখুন। শেষ মুহূর্তে তাড়াহুড়ো এড়াতে আগে থেকে ডিটারজেন্ট, জীবাণুনাশক (যেমন- ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন), গার্বেজ ব্যাগ ও গ্লাভস কিনে রাখা ভালো।

পশু জবাইয়ের স্থান নির্বাচনে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। সম্ভব হলে পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি করুন। যদি বাড়িতে কোরবানি করতে হয়, তবে এমন একটি খোলা জায়গা নির্বাচন করুন, যা সহজে পরিষ্কার করা যায় এবং যেখানে জনসাধারণের চলাচল কম থাকে। জবাইয়ের স্থানটিতে পাটি বিছিয়ে নিলে রক্ত সরাসরি মাটি বা মেঝেতে লাগবে না। রক্ত ধুয়ে ফেলার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানির ব্যবস্থা রাখুন।

রক্ত ও অন্যান্য বর্জ্য জমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে এবং রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। প্রথমে প্রচুর পরিমাণে পানি দিয়ে জবাইয়ের স্থানটি ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর জীবাণুনাশক যেমন ব্লিচিং পাউডার, স্যাভলন বা ডেটল পানির সঙ্গে মিশিয়ে সেই স্থানে ব্যবহার করলে জীবাণু ও দুর্গন্ধ দূর হবে। গরম পানি ব্যবহার করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যায়। কোনো জমাট বাঁধা রক্ত বা আবর্জনা থাকলে তা ঝাড়ু বা ব্রাশ দিয়ে ঘষে তুলে ফেলতে হবে। খোলা জায়গায় কোরবানি করা হলে ধোয়ার পর ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিন।

কোরবানির পশুর বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণ করা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভব হলে বাড়ির আশপাশে গর্ত করে বর্জ্য মাটি চাপা দিন। শহরাঞ্চলে যেখানে মাটি চাপা দেওয়ার সুযোগ নেই, সেখানে বর্জ্যগুলো শক্ত গারবেজ ব্যাগে ভরে সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত স্থানে ফেলুন। কোনোভাবেই খোলা জায়গায়, ড্রেনে বা জলাশয়ে বর্জ্য ফেলবেন না।

মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত ছুরি, বঁটি এবং অন্যান্য সরঞ্জাম সাবান ও গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্লিচের হালকা দ্রবণ ব্যবহার করা যেতে পারে অথবা কিছুক্ষণ গরম পানিতে ফুটিয়ে নেওয়া যেতে পারে। লোহার সরঞ্জাম ধোয়ার পর ভালোভাবে মুছে শুকিয়ে রাখুন, নাহলে মরিচা ধরতে পারে।
কোরবানির ঈদের পরে ঘরের ভেতর পরিষ্কার করুন। মাংস ঘরে আনার পর যেখানে কাটা-বাছা করা হয়েছে, সেই স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। প্রথমে রক্তের দাগ বা মাংসের টুকরা সরিয়ে ফেলতে হবে। এরপর সাবান ও গরম পানি দিয়ে সেই স্থান ধুয়ে পরিষ্কার করুন।

মেঝেতে রক্তের দাগ লাগলে ঠাণ্ডা লবণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে দাগ সহজে উঠে যায়। পানি ও ট্যালকম পাউডার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে দাগের ওপর লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ঘষে ধুয়ে ফেললেও রক্তের দাগ দূর হয়। ভিনেগারও কাপড়ে রক্তের দাগ তোলার জন্য খুব কার্যকর। দাগের ওপর ভিনেগার স্প্রে করে কিছুক্ষণ ঘষে নিলে দাগ উঠে যায়। গরম পানির সঙ্গে ডিটারজেন্ট মিশিয়ে মেঝে পরিষ্কার করলে মাংসের আঠালো ভাব ও রক্তের দাগ দূর হয়ে যায়।

মাংসের গন্ধ দূর করার জন্য হাতে লেবুর রস ঘষলে উপকার পাওয়া যায়। ঘরের দরজা-জানালা খুলে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা করলে মাংসের গন্ধ দূর হয়। এ ছাড়া ভিনেগার ফুটিয়ে বা বাটিতে করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে রাখলে দুর্গন্ধ শোষণ করে নেয়। পরিষ্কার করার পর এয়ার ফ্রেশনার ব্যবহার করা যেতে পারে। মেঝের তেলতেলে ভাব দূর করতে গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে মেঝে মোছা যেতে পারে। মাংস প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত থালা-বাসন লিকুইড ডিশওয়াশার ও গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

 কলি

 

ঢাকায় শুরু হলো দেশীয় আমের মেলা

প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
ঢাকায় শুরু হলো দেশীয় আমের মেলা
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবি হাসান হাফিজ । ছবি: সংগৃহীত

প্রতি বছরের মতো এবারও কামাল এগ্রো ফার্ম ঢাকায় আয়োজন করেছে দেশীয় আমের মেলা। ধানমন্ডির কলাবাগান ক্লাব মাঠের সামনে এ মেলা শরু হয়েছে। আজ শনিবার (৩১ মে) দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে এ মেলার উদ্বোধন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কবি হাসান হাফিজ বলেন, বাংলাদেশের আমের সুনাম রয়েছে বিশ্বজুড়ে। অনেক দেশে বাংলাদেশের আম রপ্তানি হচ্ছে। সেজন্য বলা যায়, বিশ্বজুড়ে আম আমাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। এ ছাড়া আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতিতেও আমের উল্লেখ রয়েছে ব্যাপকভাবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কামাল এগ্রো ফার্মের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম ছরোয়ার লিটন বলেন, বাবার হাত ধরেই আমাদের ব্যবসার যাত্রা। ২০০৪ সাল থেকে ঢকায় আমরা ফরমালিনমুক্ত আম মেলার আয়োজন করে আসছি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লেখক-গবেষক গাজী মুনছুর আজিজ, কামাল এগ্রো ফার্মের পরিচালক মো. ওমর ফারুক, নারী উদ্যোক্তা উর্মি আক্তার ভূঁইয়া, শবনম পারভীন, নুসরাত জাহান, শিল্পী তালুকদার প্রমুখ।

মেলায় পর্যায়ক্রমে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সাতক্ষীরা, চুয়াডাঙ্গা, রংপুর, নওগাঁসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নানা প্রজাতির আম পাওয়া যাবে। মেলা চলবে ৩১ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত। খোলা থাকবে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলার পাশাপাশি ফোনে অর্ডার করে ঘরে বসেও আম কেনা যাবে।

 কলি