ঢাকা ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, রোববার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায়

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৩ পিএম
মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মশা-মাছির উপদ্রবও বাড়ে। মাছির কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য সচেতনতা প্রয়োজন। মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচতে অনেকে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন। তাতে আপাতদৃষ্টিতে মাছি নিধন হলেও তা পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই ঘরোয়াভাবে কোনোরকম রাসায়নিক ব্যবহার না করেও মাছি তাড়াতে পারেন।

পরিষ্কার রাখা
মাছি তাড়াতে ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। ফল, শাকসবজি ভালোভাবে ধুয়ে রাখতে হবে। ঘরে বেশি পাকা ফল থাকলে তা সঙ্গে সঙ্গে খেয়ে ফেলতে হবে, সামান্য পচন ধরলেও বাড়িতে না রেখে তা ফেলে দিতে হবে। অধিক পাকা ফল মাছিদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করে। এ ছাড়া ফ্রিজের নিচে বা আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে, যাতে এখানে কোনোভাবে খাবার পড়ে থেকে মাছিদের আকৃষ্ট করতে না পারে।

ভিনেগার 
মাছি তাড়াতে ভিনেগার বেশ কার্যকর। ঘরের কোনায় নিয়ম করে ভিনেগার স্প্রে করলে মাছি দূর হবে। এ ছাড়া ঘর মোছার পানিতে অল্প পরিমাণ ভিনেগার মিশিয়ে ঘর মুছলেও মাছির উপদ্রব কমবে। চাইলে একটি স্বচ্ছ কাচের বয়ামে অ্যাপল সিডার ভিনেগার সেলোফেন পেপারে লাগিয়ে নিন। এর পর পেপারের মাঝে একটি ফুটো করে নিলে সেখানে ভিনেগারের মিষ্টি গন্ধে আকৃষ্ট হয়ে মাছি ভেতরে ঢুকে আটকে যাবে, আর বের হতে পারবে না। যে স্থানে সবচেয়ে বেশি মাছির আনাগোনা থাকে, সেখানে এটি রাখে দিন।

অয়েল 
ল্যাভেন্ডার বা লেবুর গন্ধযুক্ত অ্যাসেনশিয়াল অয়েল সপ্তাহে এক দিন স্প্রে করলে ঘরের মাছি দূর হয়।

কর্পূর
মাছি তাড়াতে কর্পূর বেশ উপকারী। অনেক সময় ঘরে মাছির উপদ্রব বেশ বেড়ে যায়। তখন ঘরের চারপাশে একটু কর্পূর ছড়িয়ে দিন। কর্পূরের গন্ধে মাছি আর আসবে না।

বেকিং সোডা
মাছি থেকে মুক্তি পেতে এক চামচ বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। একটি বোতলে পরিমাণমতো পানি নিয়ে এক চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। সে পানি বাড়ির যেকোনো পাশে রেখে দিন। বেকিং সোডার গন্ধে মশা-মাছি কখনোই বাড়িতে আসবে না।

রসুন
বাড়িতে মশা-মাছির উৎপাত ঠেকাতে রসুন ব্যবহার করতে পারেন। একটি রসুন ও লবঙ্গ ভালোভাবে সিদ্ধ করে, সেই পানি একটি বোতলে নিয়ে ঘরের কোনায় কোনায় স্প্রে করলে দ্রুতই মাছি ঘর থেকে বিদায় নেবে।

নিমপাতা ও তুলসী পাতা 
নিমপাতাও মাছির হাত থেকে বাঁচাতে পারে। নিমপাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে ঘর মোছার পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে নিয়মিত ঘর ও খাবার টেবিল মুছলে ঘরে রোগজীবাণুর সঙ্গে মাছিও দূর হবে। এ ছাড়া তুলসী পাতা ঘরের পরিবেশকে জীবাণুমুক্ত ও বিশুদ্ধ রাখতে সাহায্য করে। এর ঝাঁজালো গন্ধ মাছি দূর করে। এ ছাড়া তুলসীর রস প্রাকৃতিক কীটনাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

দারুচিনি 
দারুচিনির তাজা গন্ধে মাছি দূরে থাকবে। ঘরের জানালায় দুই টুকরো দারুচিনি ছড়িয়ে রেখে দিলে সহজেই মাছি তাড়াতে পারবেন।

 কলি 

সুস্বাদু ফুলকপি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৮ পিএম
সুস্বাদু ফুলকপি

বাজারে ফুলকপিতে ভরে গেছে। থরে থরে সাজানো এ সবজির সৌন্দর্য এখন বেশ নজরকাড়া। বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ভরপুর ফুলকপিতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী গুণ। তাই ফুলকপি দিয়ে এ সময় বানাতে পারেন নানা স্বাদের মজার খাবার। ফুলকপি দিয়ে বিভিন্ন রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

 


ফুলকপির রোস্ট

উপকরণ
ফুলকপি ১টি, টক দই আধা কাপ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, ধনে গুঁড়া ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, কাজুবাদাম বাটা ১২-১৫টি, পোস্তদানা বাটা ১ চা চামচ, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, এলাচ, দারুচিনি, লং, শাহি জিরা গোলমরিচ, তেজপাতা ২-৩ পিস করে, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া আধা চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৪-৫টি।

প্রণালি
গরম পানিতে ফুলকপি, লবণ, হলুদ গুঁড়া দিয়ে ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। একটি বাটিতে টক দই ভালো করে ফেটিয়ে নিন। পরে কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, ধনে, জিরা লবণ, চিনি দিয়ে পেস্ট করে কাজুবাদাম, পোস্তদানা বাটা দিয়ে পেস্ট করে নিন। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হয়ে ফুলকপি ৫ মিনিট এপিঠ-ওপিঠ করে হালকা ভেজে নিন। পেস্ট মসলায় ফুলকপি রেখে দিন। সেই কড়াইয়ে আবার সয়াবিন তেল ও ঘি গরম হলে, তেজপাতা, লং, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, শাহি জিরা দিয়ে ফোঁড়ন দিন। পরে পেস্টের মসলা আর ভাজা ফুলকপি দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। পরে গরম মসলা, আদাও রসুন দিয়ে নেড়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন। ঘন হলে কাঁচা মরিচ, সামান্য ঘি দিয়ে দমে রাখুন। তৈরি হয়ে গেল ফুলকপির রোস্ট।


ফুলকপি দিয়ে মাছের ঝাল

উপকরণ
ফুলকপি ১টি, আলু ২টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, চিনি আধা চা চামচ, রুই মাছ ৪ টুকরো, সয়াবিন তেল ৫ টেবিল চামচ। 

প্রণালি
রুই মাছ রিং পিস করে কেটে ধুয়ে নিন। ফুলকপি ও আলু কেটে ধুয়ে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি গরম হলে সামান্য পানি দিন। তারপর আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে রুই মাছ দিয়ে আবারও কষিয়ে অন্য বাটিতে উঠিয়ে রাখুন। এবার আলু দিয়ে ঢাকনাসহ ৫ মিনিট রান্না করে ফুলকপি দিয়ে রান্না করে ঝোলের জন্য পরিমাণমতো পানি দিন। ফুটে উঠলে কষানো মাছ, কাঁচা মরিচ ফালি, জিরা গুঁড়া, চিনি, ধনেপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল ফুলকপি দিয়ে মাছের ঝাল।

ফুলকপি দিয়ে শোল মাছের রসা 

উপকরণ 
শোল মাছ ৬-৭ পিস, ফুলকপি ১টি, আলু ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ এবং ধনিয়া গুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, চিনি ১ চা চামচ। 

প্রণালি
ফুলকপি কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। কড়াইয়ে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং ধনিয়া গুঁড়া, লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে মাছ দিয়ে রান্না করুন। পরে অন্য বাটিতে উঠিয়ে রাখুন। এবার আলু দিয়ে ঢাকনাসহ ৬-৭ মিনিট রান্না করুন। তারপর ফুলকপি দিয়ে নেড়ে পানি দিন। সেদ্ধ হলে কষানো মাছ দিয়ে কাঁচা মরিচ ফালি, ধনেপাতা কুচি, জিরা গুঁড়া, চিনি দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন আরও ২-১ মিনিট। তারপর নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল ফুলকপি দিয়ে শোলমাছের রসা।

 কলি

মিরপুরে নতুন আঙ্গিকে টুয়েলভ ক্লদিং

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৩ পিএম
মিরপুরে নতুন আঙ্গিকে টুয়েলভ ক্লদিং
মিরপুর অঞ্চলে নতুনভাবে আউটলেটটি খুলেছে টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ।

নতুনভাবে সাজানো হয়েছে মিরপুরের সনি স্কয়ার শপিং সেন্টারে থাকা টুয়েলভ ক্লদিংয়ের আউটলেটটি। গত শনিবার মিরপুরের আউটলেটটি স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে নতুন করে উদ্বোধন করা হয়েছে।

এ সময় টুয়েলভের মিরপুর সনি স্কয়ার শপিং মলের আউটলেটে ছিলো ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়।। ক্রেতাদের জন্য নানা অফারে শীতের পোশাক নিয়ে এসেছে তারা তাদের এই কালেকশনে।  এছাড়া ওয়েস্টার্ন এবং এথনিক এই দুই বিভাগে ফ্যাশনেবল, ট্রেন্ডি এবং যুগের সঙ্গে আধুনিক ও মানানসই পোশাক রয়েছে।  শিশুদের পোশাকও রয়েছে বিশেষ কালেকশন। ফ্যাশনেবল ক্রেতাদের  ক্রয় ক্ষমতা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে মিরপুর অঞ্চলে নতুনভাবে আউটলেটটি খুলেছে টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ।

উদ্বোধন সময়ে টুয়েলভের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল রাকিব, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল্লাহ হিল নাকিব, সিওও মোঃ মতিউর রহমানসহ প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টুয়েলভ কর্তৃপক্ষ প্রথম দিনেই ক্রেতাদের জন্য সিনেপ্লেক্সের কাপল টিকিট, সিক্রেট রেসিপির গিফট ভাউচারসহ নানা সুভিনিয়রের ব্যবস্থা করেছে।

হাঁটুন, সুস্থ থাকুন

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
হাঁটুন, সুস্থ থাকুন
মডেল: অভিনেত্রী রিয়া মণি, ছবি: আদিব আহমেদ

নিজেকে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখার জন্য হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করলে শরীরের বাড়তি মেদ কমে যায়। ছোট-বড় যে কারও নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করা উচিত। এ ছাড়া হাঁটলে প্রাণবন্ত অনুভূতি পাওয়া যায়, পেশি সুগঠিত হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে। প্রতিদিন অল্প সময় হাঁটলেও তা শরীরের জন্য উপকার বয়ে আনে। 
 
কখন হাঁটতে হবে
হাঁটা হলো সবচেয়ে নিরাপদ, খরচহীন এবং আরামদায়ক শরীর চর্চা। একজন মানুষ নিয়মিত হাঁটলে সে সুস্থ থাকবেই। একেকজনের কাজের ধরন একেক রকম। তাই তাদের ব্যস্ততার সময়টাও আলাদা। তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আপনি হাঁটার জন্য যখন সময় বের করতে পারবেন, তখনই হাঁটা উচিত। হাঁটার জন্য সবচেয়ে ভালো সময় হলো বিকেল। বিকেল বেলা তরুণ থেকে বয়স্ক যে কেউ প্রতিদিন সময় করে হাঁটতে পারেন।
 
যেভাবে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন 
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকের মতে, প্রাপ্তবয়স্কদের উচিত দৈনিক কমপক্ষে ৩০ মিনিট মাঝারি ও তীব্রতার সঙ্গে হাঁটা। একজন মানুষের সপ্তাহে ১৫০ মিনিট হাঁটা জরুরি। সপ্তাহে পাঁচ দিন ৩০ মিনিট করে ১৫০ মিনিট হাঁটলে সুস্থ থাকবেন। যাদের শারীরিক অবস্থা ভালো, তারা বেশি সময় ধরেও হাঁটতে পারেন। কিন্তু কখনোই ৩০ মিনিটের কম হাঁটা উচিত নয়। কারও যদি একবারে ৩০ মিনিট হাঁটার সক্ষমতা না থাকে, তা হলে তিনবার— প্রতিবার ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারেন। অথবা একবার ২০ মিনিট, অন্যবার ১০ মিনিট করে ৩০ মিনিট। যেভাবে হোক, আপনার ৩০ মিনিট সময় পূরণ করতে হবে। তবে বয়স্ক ব্যক্তিদের হাঁটার বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সন্তানকে স্কুলে দিতে গেলে বাড়িতে ফেরত আসার পথটুকু হেঁটে আসতে পারেন। আবার বাজারে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। মাদের বাড়ির আশপাশেই উপযোগী জায়গায় প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটতে পারেন।

হাঁটার আগে শরীরকে প্রস্তুত করা অত্যন্ত জরুরি

কেন হাঁটবেন
হাঁটা সবচেয়ে সহজ ব্যায়ামের একটি এবং এর উপকারিতা অনেক। হাঁটাহাঁটি মানসিক চাপ কমায় এবং রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে কার্ডিওভাস্কুলারের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, মন উৎফুল্ল রাখে, শক্তি বাড়ায়। হাঁটলে ওজন ঠিক থাকে, মাংসপেশি মজবুত হয় এবং অস্থিসন্ধির নমনীয়তা অটুট থাকে।

হাঁটার আগে ওয়ার্ম-আপ করা 
হাঁটার আগে শরীরকে প্রস্তুত করা অত্যন্ত জরুরি। ওয়ার্ম-আপ করলে পেশি নমনীয় হয়, রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায় এবং আঘাতের ঝুঁকি হ্রাস পায়। ওয়ার্ম-আপ হিসেবে হালকা স্ট্রেচিং বা ধীরগতিতে হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।

হাঁটার উপকারিতা 

   হাঁটার ফলে আমাদের দেহের অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ হয়। এর ফলে আমাদের দেহে চর্বি জমে না এবং আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

•    হাঁটাহাঁটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। দিনভর নানা কাজে ব্যস্ত থাকার পর সন্ধ্যায় হাঁটাহাঁটি আপনার মনকে করবে ফুরফুরে। হাঁটার অভ্যাস সারা দিনের চাপ থেকে আপনাকে মুক্ত করবে।

   নিয়মিত হাঁটায় হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে, রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত হাঁটার বিকল্প নেই।

•    হাঁটা শারীরিক গঠন অটুট রাখতে সাহায্য করে। অনেকেই আছেন যাদের সারা দিন চেয়ারে, সোফায় কিংবা গাড়িতে বসে কাজ করতে হয়। ফলে শারীরিক গঠনে, বিশেষ করে পিঠে ব্যথা হতে পারে। তাই বেশি করে হাঁটা জরুরি।

   হাঁটার অভ্যাস মানসিক অবসাদ দূর করে। বাড়ায় মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল। নতুন নতুন স্মৃতি তৈরি হতে থাকে। এগুলো আপনার অনুভূতি ও সৃজনশীলতাকে প্রভাবিত করে।

   হাঁটা আমাদের সৃজনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি করে, সেটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। 

   স্তন ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও হ্রাস পায়। হাঁটার সময় হৃৎস্পন্দন আর শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বাড়ে। ফলে হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসে রক্ত সরবরাহ বাড়ে। এতে গুরুত্বপূর্ণ এই দুই অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

   উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও প্রতিদিন হাঁটার অভ্যাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হাঁটলে শরীরের পেশিতে ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ে। ফলে রক্তের গ্লুকোজ কমে। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

তথ্যসূত্র: স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টেসকো লিভিং ডটকম ও বিবিসি বাংলা

 কলি 

শীতে ত্বকের সুরক্ষায়

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
শীতে ত্বকের সুরক্ষায়
মডেল: ভিট তারকা অপ্সরা আলী, মেক আপ: তাসনিম তাবাসসুম, ছবি: নিলয় মাসুদ

শীতের আগমন না ঘটলেও হালকা ঠান্ডাই প্রকৃতি জানিয়ে দিচ্ছে শীত আসন্ন। এ সময় ঠোঁট বেশ শুকনো লাগে, হাত-পা খসখসে হয়ে চামড়ায় টান ধরে । ঠিক সময়ে ত্বকের যত্ন না নিলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এখনই আপনার ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। ত্বকের দেখভালের জন্য যেমন সঠিক পণ্য বেছে নেওয়া দরকার, তেমনি সঠিক উপায়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া জরুরি। এ সময় ত্বকের যত্ন কীভাবে নেবেন, তা নিয়ে এবারের আয়োজন।

ত্বক পরিষ্কার
সুস্থ ত্বকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার করা। বাইরের ধুলা-ময়লা মিশে ত্বককে নিষ্প্রাণ করে দেয়। তাই ঋতু বদলের এই আবহাওয়ায় দিনে দুবার ত্বকের খোলা অংশ পরিষ্কার করা জরুরি। এ ছাড়া অবশ্যই প্রতিদিন গোসল করতে হবে।

ক্লিনজার ব্যবহার 
এ সময় ত্বককে সুস্থ রাখতে ত্বকের আর্দ্রভাবও বজায় রাখতে হবে। ফোম-ভিত্তিক অর্থাৎ ফেনাযুক্ত ক্লিনজার ব্যবহার করা এড়িয়ে চলতে হবে। তার পরিবর্তে স্টেরাইল অ্যালকোহলের সঙ্গে সিটাইল-সমৃদ্ধ  ক্লিনজার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন। এগুলো ত্বক যেমন পরিষ্কার করবে, তেমনি ত্বককে হাইড্রেটেডও রাখবে। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার পাশাপাশি ত্বকের তৈলাক্ত ভাবকে কখনো মুছে দেবে না। বাড়িতে কাঁচা দুধে তুলা ভিজিয়ে ঘরোয়াভাবে ত্বক পরিষ্কার করতে পারেন। রাতে ত্বক পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ডাবল ক্লিনজিং করতে হবে। এ জন্য প্রথমে ক্লিনজিং অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। এতে ত্বকের ভেতরের ময়লা ও মৃত কোষ নরম হয়ে ফেসওয়াশের কাজ সহজ হবে। অয়েল ম্যাসাজ হলে টিস্যু দিয়ে বাড়তি তেল মুছে ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। হাত ও পায়ের জন্য ফেসওয়াশের বদলে সোপ ফ্রি বডি ওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। শীতে ত্বকে সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ত্বক বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে।

এখন থেকেই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার শুরু করা জরুরি

এক্সফোলিয়েশন বা ত্বকের মৃত কোষ অপসারণ
শীতে খুব দ্রুত ত্বকে মৃত কোষ তৈরি হয়। ত্বক অনেক বেশি রুক্ষ ও নিস্তেজ দেখায়। ত্বকের জেল্লা বাড়ানোর জন্য এক্সফোলিয়েশন জরুরি। কিন্তু শীতকালে ত্বক খুব বেশি এক্সফোলিয়েট করে ফেললে সমস্যায় পড়তে হয়। তাই হালকা এক্সফোলিয়েট ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে সপ্তাহে দুই-তিন দিন এক্সফোলিয়েট করতে হবে।

অতিরিক্ত শুষ্ক বা স্পর্শকাতর যাদের ত্বক, তাদের মাসে দুবার এক্সফোলিয়েট করা প্রয়োজন। এক্সফোলিয়েশনের জন্য ল্যাকটিক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড বা স্যালিসিলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানও ব্যবহার করা ভালো। 

ময়েশ্চারাইজার
ত্বক ফাটার অন্যতম কারণ শুষ্কতা। এ জন্য এখন থেকেই ত্বকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার শুরু করা জরুরি। অয়েলবেসড ময়েশ্চারাইজারে এ সময় বেশি উপকার পাওয়া যাবে। দিনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন; রাতের জন্য অয়েলবেসড নাইটক্রিম লাগাতে পারেন। অ্যাভোকাডো অয়েল, মিনারেল অয়েল, রোজ অয়েল, আমন্ড অয়েল, শিয়া অয়েলসমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন। এতে ত্বক বেশি আর্দ্র ও কোমল থাকবে। ত্বকের যত্নের জন্য হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের সিরাম বেশ উপকারী। ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগেও হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। এ উপাদানটি পানি ধরে রাখে এবং লক করে আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখবে। এ ছাড়া এ সময় সূর্য খুব বেশি প্রখর না থাকলেও সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি বেশ ক্ষতিকর। প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হয়। সবচেয়ে ভালো হয় এসপিএফ-যুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে। এতে ত্বক আর্দ্র ও সুরক্ষিত থাকবে।

পেট্রোলিয়াম জেলি
ঠোঁট ফাটা রোধে পেট্রোলিয়াম জেলি হতে পারে আপনার নিত্যদিনের সঙ্গী। এ সময় পেট্রোলিয়াম জেলি বা লিপবাম সঙ্গে রাখুন। লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে লিপবাম লাগিয়ে তার পর লিপস্টিক লাগালে দীর্ঘসময় ঠোঁট সতেজ থাকবে। রাতে শোবার আগে গালে হালকা ভ্যাসলিন বা লিপবাম লাগিয়ে নিলে ভালো উপকার পাবেন। এ সময়ে অনেকের ঠোঁট কালো হয়ে গেলে এসপিএফ-সমৃদ্ধ লিপবাম ব্যবহার করতে পারেন। বাইরে বের হলে তো অবশ্যই, ঘরে থাকলেও ঠোঁটে সানস্ক্রিনযুক্ত লিপবাম লাগিয়ে নিলে উপকার পাবেন।

ত্বকের আর্দ্রতায় লোশন বা তেল
ত্বক শুষ্ক হলে অলিভ অয়েল, বডি লোশন ব্যবহার করা যায়। তবে সবচেয়ে উপকারী হলো প্রাকৃতিক অলিভ অয়েল। এতে কোনো ধরনের রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত থাকে না। গোসলের পর অলিভ অয়েল ব্যবহার করা ভালো। তবে সরিষার তেল ব্যবহার করা যাবে না। চাইলে অনেক সময় বিশুদ্ধ নারিকেল তেল ব্যবহার করা যায়। শীতকালে যেহেতু পানি কম ব্যবহার করা হয়, সে কারণে খোসপাঁচড়া বা চুলকানির প্রকোপ বাড়ে, যা অত্যন্ত ছোঁয়াচে। দীর্ঘদিন চুলকানি থাকলে ত্বকে বিভিন্ন ধরনের প্রদাহ হয় এবং জীবাণু সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এ ধরনের চুলকানি হলে দেরি না করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের চিকিৎসা নেওয়া দরকার। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে ত্বকে কালচে দাগের উপস্থিতি চোখে পড়ে। কালচে দাগ দূর করতে নিয়মিত লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।

গ্লিসারিনের ব্যবহার 
ত্বকচর্চায় নিয়মিত গ্লিসারিনের ব্যবহার ত্বকের প্রায় সব সমস্যার সমাধান করবে। এ সময় গ্লিসারিন ব্যবহারের পাশাপাশি গ্লিসারিন মেশানো প্রসাধনীসামগ্রী ব্যবহার করলে আরও ভালো ফল পাওয়া যাবে। গ্লিসারিন ও ভ্যাসেলিন ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রেখে ত্বক কোমল ও নরম করে। যাদের ত্বকের শুষ্কতা বেশি, তাদের ঘন গ্লিসারিন ব্যবহার করা ভালো। একটি স্প্রে বোতলে ৫ : ১ অনুপাতে গোলাপ জল আর গ্লিসারিন ভরে নিন। এই মিশ্রণ মুখের ত্বক থেকে পায়ের ত্বক পর্যন্ত পুরো শরীরের ত্বককে সুরক্ষা দেবে। ত্বক পরিষ্কারের পর ময়েশ্চারাইজার বা লোশন ব্যবহারের আগে ত্বকে গ্লিসারিন-গোলাপ জলের মিশ্রণ স্প্রে করতে পারেন। শুকিয়ে গেলে তার পর ময়েশ্চারাইজার লাগান। এ ছাড়া ফেসপ্যাকে দুই থেকে তিন ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে নিলে এর কার্যকারিতা বেড়ে যাবে অনেক গুণ।

ফেস প্যাক 
এ সময়ে ত্বক ভালো রাখতে ফেস প্যাকের জুড়ি নেই। সপ্তাহে অন্তত দুবার দুধের সর, মধু ও বেসনের মিশ্রণ ব্যবহারে ত্বকের আর্দ্রতা বাড়বে। পাশাপাশি এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও সাহায্য করবে। এ ছাড়া টক দই, বেসন ও হলুদের মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে।

পর্যাপ্ত পানি পান করা 
এ সময়ে পিপাসা কম লাগে। এ জন্য পানি পান কম হয়। এতে ত্বক আরও বেশি রুক্ষ হয়ে ওঠে। আর্দ্র ত্বকের জন্য তো বটেই, শরীর সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা জরুরি। নিয়মিত পানি পান শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থকে বের করে দিতে সাহায্য করে। ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস উষ্ণ লেবুপানি পান করতে পারেন। এ ছাড়া বিভিন্ন ফলের রস, ডাবের পানি ও জুস শীতের জন্য এখন থেকেই সুরক্ষাবলয় গড়ে তুলবে শরীরে। 

গায়ে রোদ লাগানো 
প্রতিদিন কিছুক্ষণ রোদে থাকা দরকার। সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টার মধ্যে ন্যূনতম ১৫ মিনিটের জন্য রোদে যেতে পারেন। এতে শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি পাবে। ভিটামিন ডি ত্বককে সুন্দর ও মসৃণ করে এবং বার্ধক্য রোধ করে।

পোশাক
টাইটফিট এবং সিনথেটিক পোশাক ত্বককে আরও শুষ্ক ও রুক্ষ করে এবং অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। কাজেই আরামদায়ক এবং প্রাকৃতিক তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাক পরুন। পলিয়েস্টার, লিলেন, নাইলন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন।

ডায়েটিং ও শরীরচর্চা
এ সময়ে ত্বক সুন্দর রাখার আরেকটি উপায় হলো নিয়মিত ডায়েটিং ও ব্যায়াম করা। সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে সহজেই শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যায়। খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত তেল ও চর্বি পরিহার করতে হবে। এ সময়ে খাবারের তালিকায় অতিরিক্ত আমিষ না রেখে শাক-সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে। সবুজ শাক-সবজির ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে বেশ কার্যকর। সালাদ স্যুপ বা রান্না করে খেলে শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। প্রতিদিন নিয়ম করে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করতে হবে।  এ ছাড়া যোগব্যায়াম দেহের রক্ত সঞ্চালনকে ত্বরান্বিত করে। ফলে দেহ পায় বাড়তি অক্সিজেন আর উপকারী ফ্রি র‌্যাডিকেল। 

 কলি 

স্বাদে ভিন্নতায় ভেজ ওটস বার্গার

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ পিএম
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ পিএম
স্বাদে ভিন্নতায় ভেজ ওটস বার্গার
ছবি: ফারজানা বাতেন

ওজন কমানো কিংবা স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে ওটসের কদর সব সময়ই।  আঁশযুক্ত এই খাবার আবার কোলেস্টেরল কমাতে ও সাহায্য করে। স্বাদে ভিন্নতা আনতে ওটস দিয়ে তৈরি করতে পারেন ভেজ ওটস বার্গার। রেসিপি ও ছবি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী ফারজানা বাতেন 

উপকরণ 
ওটস ১ কাপ,গাজর কুচি আধা কাপ, বরবটি কুচি আধা কাপ, টমেটো কুচি আধা কাপ, টমেটোর সস ২ টেবিল চামচ, গোল মরিচের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ব্রেডক্রাম ২ টেবিল চামচ ,তেল ও লবন পরিমানমতো, কাচা মরিচ ২টা, লেটুস পাতা ২টি,বার্গার বান ২টি।

প্রণালি
প্রথমে ব্লান্ডারে ওটস গুলি গুঁড়া করে নিতে হবে। এরপর এরমধ্যে, গাজর কুচি, বরবটি কুচি, টমেটো কুচি, লবন, টমেটো সস কাঁচা মরিচ, ব্রেডক্রাম্বসহ সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে হালকা পানি দিয়ে মেখে কাবাবের মতো সাাইজ করে বানাতে হবে। এরপর প্যানে তেল দিয়ে কাবাব গুলো ভেজে নিতে হবে। এক ফাঁকে বার্গারের বানটি মাঝখানে পাশ দিয়ে কেটে একটু সেঁকে নিতে হবে। তারপর নিচের অংশ সস মেখে লেটুস পাতা বিছিয়ে দিয়ে বার্গারের পেটি বসিয়ে দিতে হবে। ওপরে টমেটো সস দিয়ে দিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল স্বাস্থ্যকর ওটস বার্গার এরপর সুন্দর করে সাজিয়ে, সস, মেয়নিজের সঙ্গে বিকেলের নাস্তায় পরিবেশন করতে হবে।

কলি