ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

ঘর সাজাতে কার্পেট

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
ঘর সাজাতে কার্পেট
ছবি: সংগৃহীত

ঘর সাজাতে অনেকে কার্পেট ব্যবহার করেন। নানা ধরনের বর্ণিল নকশার কার্পেট ঘরের সৌন্দর্য বহু গুণ বৃদ্ধি করে। শীতকালে মেঝের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষা পেতে কমবেশি সবাই মেঝেতে রংবেরঙের কার্পেট ব্যবহার করেন। কার্পেট ঘরে যেমন উষ্ণতা এনে দেয়, তেমনি এগুলো ঘর বৈচিত্র্যময়ও করে তোলে। কোন ঘরের জন্য কেমন কার্পেট হবে। 

কোন ঘরে কেমন কার্পেট
আমাদের দেশে সাধারণত শুধু বসার ঘরেই কার্পেট ব্যবহার করা হয়। তবে অনেকে বসার ঘরের পাশাপাশি শোবার ঘরেও কার্পেট ব্যবহার করেন। ঘর ও ঘরের ব্যবহারভেদে কার্পেট ব্যবহার করা উচিত। কার্পেট নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঘরের আকার, দেয়ালের রং, আসবাবপত্র ও পর্দার রং ইত্যাদি বিষয়গুলো মাথায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে দেয়ালের রং ও আসবাবপত্রের রঙের সঙ্গে কার্পেটের রং সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে তা ভালো দেখাবে না। ঝামেলা এড়ানোর জন্য ব্রাউন, কফি, মেরুন বা সবুজাভ রংগুলো কার্পেটের ক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন। এ রঙের কার্পেটগুলো প্রায় সব ধরনের দেয়াল ও আসবাবপত্রের সঙ্গে মানিয়ে যায়। এ ছাড়া ঘরের রঙের বিপরীত রং নির্বাচন করতে পারেন। সাধারণত শোবার ঘরে বিছানার পাশে ও দরজার সামনে ছোট বা মাঝারি আকারের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। আবার অনেকে ড্রেসিং টেবিলের সামনে, ইজি চেয়ার বা ঘরের ছোট সোফার সামনে কার্পেট ব্যবহার করেন সেটাও ভালো দেখায়। শোবার ঘরের বিছানার পাশে লম্বা কার্পেট ব্যবহার করলে চলাফেরা ও কাজকর্মে সুবিধা হয়। বসার রুমের সোফার সামনে ও সেন্টার টেবিলের চারপাশে কার্পেট রাখলে দেখতে ভালো লাগে আর ঠাণ্ডাও কম লাগে।

রঙিন কার্পেটও ব্যবহার করতে পারেন। 

ঘরের জন্য কার্পেট নির্বাচন
কার্পেট নির্বাচনের ক্ষেত্রে ঘরের আকারও একটি বিবেচ্য বিষয়। সাধারণত কার্পেট ব্যবহার করা হয় চারকোনা, আয়তাকার, গোলাকার ও ডিম্বাকার। আকারে বড় কক্ষে চারকোনা কার্পেটই ভালো লাগবে। চওড়া কম কিন্তু লম্বা ঘরে আয়তাকার বা ডিম্বাকার কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। গোল কার্পেট সেন্টার কার্পেট হিসেবে শোবার ঘরেই বেশি মানানসই। বেড সাইড ছোট রাখতে চাইলে ডিম্বাকার কার্পেট বেশি ভালো লাগবে। কার্পেট শুধু দেখতে সুন্দর হলেই হবে না, তার ওপর দিয়ে হাঁটাচলা যেন আরামদায়ক হয় সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এজন্য উলের তৈরি কার্পেট বেছে নিতে পারেন। শোবার ঘরে এমন কার্পেট আরাম ও নান্দনিকতা যোগ করবে। এখন প্রাকৃতিক ফাইবারের তৈরি কার্পেট ব্যবহার বেড়েছে। পাট, উল যুক্ত করে তৈরি হচ্ছে নতুন ধরনের কার্পেট। কার্পেটগুলোও বেশ নরম। ইনডোর-আউটডোর- দুই জায়গাতেই বিছাতে পারেন কার্পেট। একরঙা প্যাটার্নের কার্পেটগুলোও চলছে বেশ। ঘরের আসবাবের সঙ্গে মিলিয়ে বিছিয়ে দিলে অভিজাত ভাব চলে আসে। ফাইবার ও সিল্কের তৈরি কার্পেটের ব্যবহারও চোখে পড়ার মতো। বারান্দা কিংবা ছাদবাগানে কৃত্রিম ঘাসের কার্পেট বা গ্রাস কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন ম্যাটেরিয়ালের গ্রাস কার্পেট রয়েছে।

ইনডোর-আউটডোর- দুই জায়গাতেই বিছাতে পারেন কার্পেট।

এর মধ্যে পাট, রেক্সিন, প্লাস্টিক, পাতলা রাবার ও সিনথেটিকের কার্পেট অন্যতম। শিশুরা যেহেতু মেঝেতে বসে খেলাধুলা করে তাই তাদের ঘরে সম্পূর্ণ কার্পেটের ব্যবস্থা করলে ভালো হয়। তাদের ঘরে রঙিন নকশাদার সুতি বা পাটের কার্পেট আদর্শ। কারণ সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এসি ছাড়া ঘরে কার্পেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সিনথেটিক ও পাতলা রাবারের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন। বসার ঘরের দেয়াল আকর্ষণীয় করার জন্য এবং ঘরে সম্পূর্ণ দেশিভাব ফুটিয়ে তোলার জন্য পাটের কার্পেট ব্যবহার করা যেতে পারে। এ ছাড়া সিল্কের কাশ্মীরি বা পার্শিয়ান কার্পেট বেছে নিতে পারেন। বসার ঘরের জায়গা বড় হলে পুরোটাই কার্পেট দিতে চাইলে বড় একটি কার্পেট না দিয়ে মাঝারি দুই বা তিনটি কার্পেট বিছানো যেতে পারে। এতে ঘর ও কার্পেট পরিষ্কার করা সহজ ও কম কষ্টসাধ্য হবে।

কার্পেটের যত্নে
কার্পেটে ধুলো জমা একটা সমস্যা। বাড়ির কারও যদি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকে, তাহলে কার্পেটের ধুলোয় সমস্যা হতে পারে। আর শীতের সময় তো এ ধরনের সমস্যা একটু বেশিই হয়। তাই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা থাকলে কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো। করলেও নিয়মিত কার্পেট পরিষ্কার রাখবেন। কার্পেটের যত্নে এটি নিয়মিত ব্রাশ করা প্রয়োজন এবং সপ্তাহে অন্তত এক দিন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করা উচিত। যদি সম্ভব হয় মাসে অন্তত দুবার কার্পেট রোদে দেওয়া ভালো।

কোথায় পাবেন
রাজধানীর পল্টন, গুলিস্তান, এলিফ্যান্ট রোড, বায়তুল মোকাররম, নিউমার্কেট, গাউছিয়া, রাজধানী সুপার মার্কেট, বঙ্গবাজার, উত্তরা ও গুলশান মার্কেটে কার্পেট পাবেন। পিস, ফুট, গজ হিসেবে কার্পেট বিক্রি হয়। তুরস্ক, ইরান, চীন, বেলজিয়াম, দুবাইয়ের কার্পেট পাওয়া যায় এখানে। বাহারি, বুনন মজবুত ও টেকসই হয়। দেখতে সুন্দর ও দামও বেশি পড়বে। দেশীয় পাটের কার্পেটের চাহিদাও প্রচুর। ঘরে দেশীয় আমেজ তৈরি করতে পাটের কার্পেট ব্যবহার করতে পারেন।

 কলি 

আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফ্যাশন শিল্পের বিস্তৃতি আর নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার বিন্যাসের লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫। এই ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)।

রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১১ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে চারদিনব্যাপী এই আয়োজন। 
ফ্যাশন উইক উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘আর্কা ফ্যাশন উইক’র প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, এবারের আয়োজনের নতুন বিষয় হল ‘মাস্টারক্লাস’। ফ্যাশন বিষয়ক এই ওয়ার্কশপে প্রতিটি সেশনে থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন তরুণ ডিজাইনার। 

আর্কা ফ্যাশন উইক ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার। ছবি: খবরের কাগজ

তিনি আরও বলেন, দেশীয় পোশাক ডিজাইনারদের নানান সংগ্রহ মেলে ধরতে আয়োজনে থাকছে ফ্যাশন শো। শুধু একটা পোশাকের মেলা নয়, ফ্যাশন সম্পর্কিত সব ধরনের বৈচিত্র্যময় আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের আসরে যথারীতি থাকছে ‘মার্কেটপ্লেস’। যেখানে মিলবে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনের সব ধরনের অনুষঙ্গ। আয়োজনের মধ্যে আরও থাকছে- ডিজাইন ল্যাব, ফ্ল্যাশ রানওয়ে, আয়োজনের দ্বিতীয় দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত কনসার্ট, ফুডজোন ইত্যাদি।

আয়োজক কমিটি’র অন্যতম সদস্যা, মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এবার প্রায় ৬শ’ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১শ’ জন বাছাই করে চূড়ান্তভাবে ২৫ জন নতুন মডেল উপস্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচিত মডেলদের উপস্থাপনাও দেখা যাবে।

আয়োজক সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫-এর সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবার চারদিন চারটি বিষয়বস্তু ধরে আয়োজনের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। সেগুলো হল- প্রথম দিন ‘ডেনিম’, দ্বিতীয় দিন ‘মডার্ন কনটেম্পোরারি’, তৃতীয় দিন ‘ফিউশিন’ এবং চতুর্থ দিন ‘সাস্টেইনেবিলিটি’। 

উৎসবের প্রথম দিন বেলা সাড়ে ৩টায় থাকছে ফ্ল্যাশ রানওয়ে। দ্বিতীয় দিন থেকে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত থাকছে বাংলা পাংক, আমি ঢাকা, আমিরা, ঢং, তাশা, অরণ্য ইত্যাদি প্রায় ২৫টি ব্র্যান্ডের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো। 

এখানে জুনিয়র-সিনিয়র ডিজাইনাররা যেমন তাদের নতুন সংগ্রহ উপস্থাপন করবেন, তেমনি ‘স্টুডেন্ট রানওয়েতে’ নবীন ও প্রতিভাধর অনেক ফ্যাশনিস্তা নিজেদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

এবারের আসরের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে ‘মাস্টারক্লাস’। এটি মূলত একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ স্পেস। ধারণাটি হলো, এখানে যে কেউ আসবেন একটি ক্যানভাস কেনার মতো করে। আর এই ক্যানভাস হতে পারে প্লেইন টি-শার্ট, টুপি, টোট ব্যাগ বা স্কার্ফের মতো পণ্য। এরপর সেই ক্যানভাসে তারা ব্লক প্রিন্টিং, স্ক্রিন প্রিন্টিং, হ্যান্ডপেইন্ট, অ্যাপলিক আর প্যাচওয়ার্কের মতো কোনো না কোনো মাধ্যমে ভ্যালু অ্যাড করে নিতে পারবেন নিজের মতো করে।

গত দুই আসরে ‘মার্কেটপ্লেস’ ঘিরে তরুণদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, এবারও যার ব্যত্যয় ঘটবে না। এখানে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ব্র্যান্ড। নিজেদের প্রকাশের সুযোগ এরা সব সময় পায় না। এই ব্যবধান দূর করে বাংলাদেশের অনন্য সব স্থানীয় ব্র্যান্ডকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার প্রচেষ্টা ফুটে ওঠে আর্কা ফ্যাশন উইকে।

এছাড়াও থাকছে সীমিত পরিসরে ট্যাটু, মেহেদি, ফেসপেইন্টিং বা মেকওভারের আয়োজন। ফুড জোন আর প্রতিদিন রাত আটটার পর কনসার্ট। 

হাসান

আজ ‘গরম চা’ দিবস

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
আজ ‘গরম চা’ দিবস
ছবি: এ আই

চা পান বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালিরা চা ছাড়া একটি দিনেও ভাবতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক কাপ ধূমায়িত চা দিয়ে বহু মানুষের দিন শুরু হয়। এ ছাড়া বন্ধু বা পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডার হুল্লোড়েই হোক আর পাড়ার মোড়ে বা গ্রামের বাজারে উত্তপ্ত রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে, চায়ের কাপে ঝড় তোলে।

চা মূলত চীনা ‘টেই’ শব্দ থেকে ‘চা’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করে থাকেন। বিভিন্ন তথ্যের আলোকে বলা যায়, চীনা ইতিহাসবিদ চেন শৌ (২৩৩-২৯৭) তার ‘স্যান কুহ চিহ’ নামের ইতিহাসগ্রন্থে চায়ের প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে চা-সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে সুদূর অতীতকাল থেকে। পৃথিবীব্যাপী গরম কড়া পানীয় হিসেবে চায়ের কদর অনেক দিন ধরেই বজায় আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- গরম চায়ের জন্যও দিবস রয়েছে। ১২ জানুয়ারি বিশ্বের অনেক দেশে গরম চা দিবস বা হট টি ডে পালিত হয়। ১৯৫০ যুক্তরাষ্ট্রের চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ২০১৬ সালে এই কাউন্সিল হট টি ডে প্রচলন করে।

প্রাচীন ইতিহাস বলে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে চীনা এক সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নিচে বসেছিলেন। তখন বাগান থেকে উড়ে আসা একটা পাতা পড়ে সেই গরম পানিতে। সম্রাট খেয়াল করে দেখেন, পাতাটা পড়ার পর পানির রং বদলে সুন্দর লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। সেখান থেকে মিষ্টি একটা সুগন্ধও বেরোচ্ছে। এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের নিবিড় বন্ধন গড়ে ওঠে, আজও কফি, এনার্জি ড্রিংক বা অন্য কোনো লোভনীয় পানীয় এ সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারেনি।  

ইউরোপে ১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা আমাদের বাংলাদেশে চা বাগান ও চা-শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটিশরাজের উদ্যোগে। এ ছাড়া দুধ-চা পান করার সংস্কৃতিও ব্রিটিশদের অবদান। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে হংকং আর ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ চা হয়ে ওঠে এক অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতি। তবে বাজারে এখন চা হরেক রকমের পাওয়া যায়। লেবু চা, কিংবা স্বাস্থ্য সচেতনদের গ্রিন টি, ব্ল্যাক টির পাশাপাশি মানুষের মনে বর্তমানে জায়গা করে নিয়েছে বাদাম চা, মালাই চা, পনির চা, মসলা চা, অপরাজিতা ফুলের চা, মাল্টা চায়ের মতো বৈচিত্র্যময় সব চা।

আজ হট টি ডে উদযাপনের জন্য আজ চায়ের দোকানে গিয়ে নতুন স্বাদের কোনো চা পরখ করে দেখতে পারেন। কিংবা ‘চা-খোর’ প্রিয় মানুষকে দিতে পারেন বাজারে আসা নতুন কোনো ব্র্যান্ডের এক প্যাকেট চা।

 কলি 

পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন
ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির কল্যাণে দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। কেনাকাটা থেকে শুরু করে পড়াশোনা-গবেষণা সবই এখন হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। ফলে মানুষের সময় যেমন বাঁচে, তেমনি থাকেন ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ। তেমনি একটি প্ল্যাটফর্ম ম্যারেজ সলিউশন বিডি ডটকম (marriagesolutionbd.com)।

এ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘরে বসে খুব সহজেই যোগ্য ও বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে বিয়েবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ৬টি শাখা রয়েছে। এছাড়া খুব শিগগিরই তাদের আরও নতুন নতুন শাখার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ অনলাইন ও অফলাইন দুই প্ল্যাটফর্মেই তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মূলত বিয়ের বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধানদাতা এবং বিয়ে সংক্রান্ত কাউন্সিলিং করাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল সেবা কার্যক্রম। এরই মধ্যে এ ফ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সফলভাবে অসংখ্য বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

কেন এমন প্রতিষ্ঠান শুরু করলেন? উত্তরে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি সৎকর্ম এবং সাদাকা। এ চিন্তা থেকেই ব্যক্তি পর্যায়ে কয়েকটি পরিবারকে বিয়ের কাজে সহযোগিতা করি। পরবর্তী সময়ে সামাজিক কল্যাণের কথা ভেবে ২০০৮ সাল থেকে এ বিষয়ে কাজ করা শুরু করি। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সব মিলিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স ১৬ বছর অতিক্রম করল।

শুভ আরও বলেন, আসলে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত কাঙিক্ষত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পাওয়া একটু কষ্টকর। মূলত সেই কষ্টকর কাজটিকেই সহজ করতে এবং একই সঙ্গে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে আমাদের প্ল্যাটফর্মে পাত্র-পাত্রীর বিশাল ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়েছি। এসব পাত্র-পাত্রীর তথ্য সাজানো হয়েছে, পেশা, ধর্ম এবং অন্যান্য বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে, যাতে আগ্রহীদের খুঁজতে সহজ হয়।

কলি

 

আঙুর খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আঙুর খাওয়ার উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

শীতকালীন ফলের ভেতর সবার পছন্দের ফল আঙুর। এই ফল শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়। বরং রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। আঙুর খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা জেনে নিন এই লেখায়।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে আঙুরে থাকা রেসভেরাট্রল উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া কালো আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশী শক্তিশালী করে ও রক্ত সঞ্চালন ঘটায়। এ ছাড়া শরীরে কোলেস্টরল কমাতেও সাহায্য করে আঙুর ফল।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আঙুরে রয়েছে ভিটামিন এ, কে সি, বি ১, বি ৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এসব উপাদানই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এ ছাড়া এগুলো ইনফেকশন প্রতিরোধেও সহায়তা করে। নিয়মিত আঙুর খেলে শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। শীতকালে আমরা ঠাণ্ডাজনিত অনেক রোগে আক্রান্ত হই। এসব রোগ প্রতিরোধে কিংবা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে আঙুর কার্যকরী।

বার্ধক্য কমায়
আঙুরে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে ও ত্বক টানটান করে। ফলে সহজে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। এ ছাড়া আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

ক্যানসার প্রতিরোধক
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আঙুরের মধ্যে এমন সব উপাদান রয়েছে যেগুলো ক্যানসার কোষ সৃষ্টিকারী উপাদানকে প্রতিহত করে। নারীদের জন্য আঙুর ফল বিশেষ উপকার‌ী। আমাদের দেশে নার রোগীদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের অবস্থান দ্বিতীয়। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে আঙুর খেতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

চোখের স্বাস্থ্য
যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা খাদ্যতালিকায় আঙুর রাখুন। এই ফলে আছে ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়াম, যা চোখের জন্য উপকারী। আঙুর চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

মস্তিষ্কের উর্বরতা
আঙুরে আছে এমন এক উপাদান যা মস্তিষ্কের উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এই ফলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সঙ্গে নিয়মিত আঙুর খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো হয়।

ডিটক্সিফিকেশন
ডিটক্সিফিকেশন মূলত শরীর থেকে টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ করার উপায়। আঙুরে থাকা পানি শরীরকে হাইড্রেট করে এবং শরীরকে পরিশোধিত করে। তা ছাড়া এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বর্জ্য পরিশোধনে কাজে লাগে।

 কলি 

হাঁসের হরেক পদ

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
হাঁসের হরেক পদ
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

শীতকালই হলো হাঁসের মাংস খাওয়ার সময়। শুধু ভুনা বা ঝোল নয়, নানা স্বাদে রান্না করা যায়। বাড়িতে রান্না করতে পারেন হাঁসের মাংসের নানা রকম পদ। হাঁসের মাংসের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা।

আস্ত রসুনের হাঁসের ঝাল

উপকরণ
দেশী হাঁস ২টি, বড় আস্ত রসুন ৫-৬টি, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, মরিচ, হলুদ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ও দারুচিনি ২-৩ পিস করে, তেজপাতা ২টি, সয়াবিন তেল আধা কাপ। 

প্রণালি 
হাঁস পরিষ্কার করে কেটে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। পরে হাঁসের মাংস দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। পরে পরিমাণমতো ঝোলের পানি দিন। ফুটে উঠলে এলাচ ও দারুচিনি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া আর আস্ত রসুন দিয়ে আরও কিছু সময় রান্না করুন কম তাপে ঢাকনাসহ, ঝোল ঘন হলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল আস্ত রসুনে হাঁসের ঝাল।

নতুন আলু দিয়ে হাঁসের ঝোল/রসা

উপকরণ
হাঁস ২টি, আলু ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পেঁয়াজ বাটা ২ কাপ, আদা ও রসুন বাটা ৪ টেবিল চামচ হলুদ মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ টেবিল চামচ করে, জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ  স্বাদমতো, এলাচ, দারুচিনি ২-৩ পিস করে, লবঙ্গ ও তেজপাতা ৩-৪ পিস কার, আস্ত রসুন ২-৩টি, সয়াবিন তেল ২ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি
হাঁস পরিষ্কার করে মাঝারি টুকরো করে ধুয়ে নিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ ও দারুচিনি ফোড়ন দিন। পরে পেঁয়াজ সামান্য ভেজে নিন। এবার অল্প পানি দিয়ে পেঁয়াজ বাটা, আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে হাঁসের মাংস দিন। পরে নেড়ে সব মসলা মিশিয়ে আবারও ঝোলের পানি দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন। সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। তারপর আস্ত আলু, আস্ত রসুন দিয়ে আবারও রান্না করুন। নামানোর আগে জিরা গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, ঘি দিয়ে নেড়ে আরও দমে রাখুন ৫-৭ মিনিট। তৈরি হয়ে গেল দারুণ স্বাদের নতুন আলু দিয়ে হাঁসের ঝোল/রসা।

হাঁসের ঝাল ভুনা

উপকরণ
হাঁস ১টি, পেঁয়াজ কুচি ১ কাপ, আদাও রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে জিরা ও গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, এলাচ ও দারুচিনি ২ পিস করে, সয়াবিন তেল ২ কাপ।

প্রণালি 
হাঁস ভালো করে পরিষ্কার করে ১২ পিস করে কেটে নিন। এবার ধুয়ে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি সোনালি করে ভেজে পানি দিন। পরে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া, আর লবণ দিয়ে কষিয়ে দিন। কষানো মসলায় হাঁসের মাংস দিয়ে ঢাকনাসহ কম তাপে রান্না করুন। সেদ্ধ হলে আবারও সামান্য পানি দিন। ফুটে উঠলে এলাচ ও দারুচিনি, জিরা গুঁড়া, গরম মসলা গুঁড়া, গোল মরিচ গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ রান্না করুন। লালচে রং হলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। চিতই পিঠা আর ধনেপাতা ভর্তা দিয়ে পরিবেশন করুন ঝাল ঝাল হাঁসের ভুনা।

 কলি