ঢাকা ৪ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

পাটের বাহার

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৮ পিএম
পাটের বাহার
নানা ধরণের জিনিসপত্র সহজেই পাওয়া যায়। ছবি: আদিব আহমেদ

নকশা, রূপে অন্য উপাদানের পণ্যের চেয়ে কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই পাটের তৈরি পণ্য। ঘরের সাজে বৈচিত্র্য আনতে ঘর সাজানোর উপকরণ হিসেবে পাটজাত পণ্য ব্যবহার করা হচ্ছে। পাটের তৈরি পণ্যগুলো ঘরের সাজে দেশীয় একটা লুক নিয়ে আসে। ড্রয়িংরুম, বেডরুম এমনকি বারান্দাকে নান্দনিক করে তোলে। এ ছাড়া আমাদের দেশীয় ফ্যাশনেও দিনে দিনে পাটের তৈরি নানা পোশাকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে। এটি আমাদের দেশে সহজলভ্য হলেও সস্তা নয়। তবে পরিবেশের বন্ধু।

ঢাকার মতিঝিলে পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী ও স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্রে হরেক রকমের পাটজাত পণ্য সুলভ মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পাটপণ্য নিয়ে কাজ করছে তারা। অন্যান্য উপাদানে তৈরি পণ্যের মতো পাটের তৈরি পণ্যগুলো ফ্যাশনেবল এবং যুগোপযোগী। যেকোনো ধরনের পাটপণ্যই সুন্দর নকশার আর রঙের হয়ে থাকে।

আমাদের দেশীয় ফ্যাশনেও দিনে দিনে পাটের তৈরি নানা পোশাকের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে

অন্দরের নানা কিছু
কাঁচা পাট, পাটের সুতা ও কাপড়ের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করে নান্দনিক নকশায় গৃহস্থালি ও নিত্যপণ্য, বাসাবাড়িতে বাগান করার সরঞ্জাম, ফ্লোর কভার, প্যাকেজিং বা মোড়কীকরণ পণ্য, সাজসজ্জার উপকরণ, অফিসে ব্যবহার্য কয়েক ধরনের পণ্য প্রস্তুত করা হয়েছে। শোবার ঘরের বিছানার চাদর, পর্দা থেকে শুরু করে ম্যাট্রেস, চশমার বাক্স, হট প্লেস ম্যাট, পাপোশ, টেবিল ম্যাট, ছোট ও বড় ঝুড়ি, টিস্যু বক্স, ঢাকনা, টেবিল ল্যাম্প, রানার, গোলাকৃতির বাতি, কুশন কাভার, মোবাইল কাভার, ল্যাপটপ ব্যাগ, পার্স, শপিং ব্যাগ, বোতল ব্যাগ, নকশি বা ফেন্সি ব্যাগ, জায়নামাজ, ফ্লোর ম্যাট, দেয়ালের ম্যাট, পাটের কাগজ এবং কাগজের পণ্য, শুভেচ্ছা কার্ড, ফুলদানি, গহনা, আমন্ত্রণপত্র, শতরঞ্জি, চাবির রিং, মানিব্যাগ, পাটের তৈরি খেলনা, শোপিস, ল্যাম্পশেডসহ সবকিছুই মিলবে। ভিন্নতা আনতে পাটের টেবিল ক্লথেই রয়েছে এমব্রয়ডারির কাজ।

পুঁতি, লেস, বোতাম বসানো কুশন কাভার। কোনোটায় আবার লাল-সাদা কিংবা কালোর মধ্যে গাঢ় নীলের নকশা করা হয়েছে। এগুলো অন্যান্য পণ্য থেকে একটু বেশি দামি হলেও দেখতে আকর্ষণীয় আর পরিবেশবান্ধব। 

পাটের জুতা ব্যবহারে রয়েছে আরাম ও উষ্ণতা

পরার জন্য 
পাটের নিজস্ব সৌন্দর্য ও চলতি ধারার ফ্যাশনের মিশেলে তৈরি পাটের জুতার জনপ্রিয়তা এখন অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে শীতে পাটের জুতা ব্যবহারে রয়েছে আরাম ও উষ্ণতা। মেয়েদের জুতার মধ্যে রয়েছে হাই হিল, হাতে সেলাই ও ছাপা নকশার স্লিপার, পাম্প শু, ফিতা দেওয়া স্যান্ডেল ও নাগরা। এ ছাড়া ছেলেদের জন্য কনভার্স জুতা, ফরমাল শু, চপ্পল, স্যান্ডেল ও স্নিকার দেখা গেছে। রঙের মধ্যে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে লাল, গোলাপি, কালো, সাদা, আকাশি ও পাটের প্রাকৃতিক রং। পোশাকের মধ্যে জ্যাকেট, ওভার কোট, ব্লেজার, টপ, প্যান্ট, কোট ইত্যাদি সৌন্দর্য ও নান্দনিকতার কারণে সবার নজর কেড়েছে। পাটের আঁশ দিয়ে কাপড় তৈরি করে সেখানে চামড়া বা মেটালের ব্যবহার করা হয়েছে।

আরও নতুনভাবে তুলে ধরতে কোলাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিনপ্রিন্ট বা কনট্রাস্ট রঙে নকশা করা হয়েছে। এ ছাড়া পাটের তৈরি শাড়ি বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পাটের আঁশকে মেশিনে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে তুলার চেয়ে নরম করে নানা ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করা হয়েছে। আরামদায়ক হওয়ায় সব বয়সী নারীর কাছে বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মূলত পাটের শাড়ির সঙ্গে ফ্যাশন সচেতনদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা শাড়িগুলোকে বাজারজাত করা হচ্ছে। পাটের এসব জিনিসপত্রের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা হয় না। ধীরে ধীরে পাটপণ্যের হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসছে। দেশের মানুষ সচেতনভাবে পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য ব্যবহারে আগ্রহী হয়ে উঠছে বলে বিভিন্ন দোকানে পাটের অনেক রকম পণ্য পাওয়া যাচ্ছে।

নানা দামের পণ্য কিনতে পারবেন

দরদাম
বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ৪০০ থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত। টিফিন ব্যাগ ১০০ থেকে ৩০০ টাকা, লেডিস ব্যাগ ২০০ থেকে ৫৫০, মোবাইল ব্যাগ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, ওয়ালম্যাট ২০০ থেকে ২২০, শোপিস ৮০ থেকে ৪০০ টাকার মধ্যে পাবেন। চুড়ি ২০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, দুই থেকে আড়াই ফুট লম্বা কার্পেট ২০০০ টাকা, জুতার দাম ৩৫০ থেকে ১০০০ টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন দামের গহনা রয়েছে। 

ঠিকানা 
পাটজাত পণ্য প্রদর্শনী ও স্থায়ী বিক্রয়কেন্দ্র ৯৯, মতিঝিল (দ্বিতীয় তলা), করিম চেম্বার, ঢাকা (মতিঝিল মেট্রোরেল স্টেশন সংলগ্ন)। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

আর্কা ফ্যাশন উইক বর্ণিল আয়োজনে শুরু তৃতীয় আসর

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
বর্ণিল আয়োজনে শুরু তৃতীয় আসর
আর্কা ফ্যাশন উইকের উদ্বোধনী দিনের থিম ছিল ডেমিন। ফ্ল্যাশ রানওয়েতে ক্যাটওয়ার করেন ডেমিন পোশাকে মডেলরা। ছবি: আদিব আহমেদ

‘সবার জন্য ফ্যাশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে আর্কা ফ্যশন উইকের বর্ণিল আসর। চারদিনের এই আয়োজন আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। 

নতুন ডিজাইনার ও ব্রান্ডগুলোকে একটা প্লাটফর্ম করে দেয়াও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য। তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য বিপনন থেকে রপ্তানি, সেখান থেকে ফ্যাশন ব্রান্ডের পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উপস্থাপন, ক্রেতাদের আকর্ষণ করা ও দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত করা ‘আর্কা ফ্যাশন উইকের’ মূল লক্ষ্য।

এবারের আয়োজনে রয়েছে রানওয়ে শো, মাস্টারক্লাস, শীর্ষ ডিজাইনার ও ব্রান্ডের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন শো। এই আয়োজনের মাধ্যমে মত বিনিময়, নিজেদের গল্প ভাগ করে নেবে সবার সঙ্গে, যাতে করে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনকে অনুষঙ্গ হিসেবে সবাই গ্রহণ করতে পারে।

তৃতীয় এই আসরে প্রতিদিন থাকছে একেকটি থিম। গতকাল প্রথম দিন ডেনিম। আজ দ্বিতীয় দিন থাকছে ‘মডার্ন কন্টেপোরারি’। আগামীকাল শনিবার থাকবে ফিউশন এবং আর সমাপনী দিনে থাকেব ‘সাস্টেইনেবলিটি’। এই বিষয়গুলো কেবল আয়োজনের  বৈচিত্র্যময়তাকে তুলে ধরে না। এর মাধ্যমে দেশীয় ঐতিহ্য, অভিনবত্ব, পরিবেশের প্রতি অনুরাগও প্রকাশ পাবে।

প্রতিবারের মতো গ্লাসহাউসে আছে ডিজাইন ল্যাব। যেখানে আপনার পছন্দমতো একটি প্লেইন টি-শার্ট, টোট ব্যাগ, স্কার্ফ ও হ্যাট কিনে নিজের পছন্দমতো ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডপেইন্ট, প্যাচওয়ার্ক করানো যাবে বিনা মূল্যে। এ ছাড়া অতিথিদের জন্য আছে ফেসপেইন্টিং, হেয়ার ব্রেইডিং ও পোর্ট্রেট আঁকার ব্যবস্থা।

দ্বিতীয় আসরের মতো এবারও প্রথম দিন কোন শো ছিল না। আজ দ্বিতীয় দিন থেকে থাকছে ফ্যাশন শো। প্রতিদিন চারটি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ফ্যাশন শো। প্রতি পর্বে থাকবে একাধিক ব্র্যান্ড বা ডিজাইনার লেবেলে উপস্থাপনা। এবার মোট ২৩টি শো অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছে।

এবারের রানওয়েতে আজ দ্বিতীয় দিন থাকছে বাংলা পাঙ্ক, এজেড, ট্যাপারড, দানিয়া, রয়েল বেঙ্গল কতুর, ওয়ান পারসেন্ট ক্লাব, ঢেউ বাই সারা, আমি ঢাকা ও কাঁঠাল।

আগামীকাল তৃতীয় দিন থাকবে ফ্যাশন ডিজাইনার শিক্ষার্থীদের ডিজাইনে ফ্যাশন শো, গ্লি ও আমিরা। সমাপনী দিন থাকবে ঢং, তাসা, ফ্রেন্ডশিপ কালারাস অব দ্য চরস–ইন্ডি, গ্রিশো বাই সৌহার্দ্য, ব্লিস ক্লদিং, উড়ুক্কু বাংলাদেশ, তান, অরণ্য ও কুহু। সব মিলিয়ে থাকছে বারোটি ফ্যাশন কিউ।
যাঁরা কেনাকাটা করতে চান, তাঁদের জন্য আছে মার্কেটপ্লেস। আড়ং ও আমিরার মতো বড় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি আছে ব্র্যান্ড নুজার্ট, ঢাকা ভিন্টেজ, হাউস অব সুই, তাসা, প্রতিভা যেমন তেমনি নতুন ব্র্যান্ড রংস অ্যান্ড রেবেলস।

আর্কা ফ্যাশন উইক’র প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, প্রথমবারের মত আর্কা ফ্যাশন উইকে থাকছে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে মাস্টারক্লাস। ফ্যাশন শিক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই মাস্টারক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। চারদিনে মোট ছয়টি মাস্টারক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। কাঁথা স্টিচ মাস্টারক্লাসে শেখাবেন নকশাকার আফসানা ফেরদৌসি, স্ক্রিন প্রিন্টিং শেখাবে বাংলা পাংক, কারচুপি ও জারদৌজির মাস্টারক্লাসটিতে থাকছে হাউজ অফ আহমেদ, ন্যাচারাল ডাই শেখা যাবে ম্যারিগোল্ড অ্যান্ড catechu’র সঙ্গে, আপসাইক্লিং শেখানোর ব্যবস্থা করবে রিসাইক্লিং ও আপসাইক্লিং ব্র‍্যান্ড উড়ুক্কু। 

তিনি আরও বলেন, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পকে আধুনিক ফ্যাশন জগতের সঙ্গে একীভূত করার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করবে মাস্টারক্লাস গুলো।  এই ইভেন্টে আয়োজিত মাস্টারক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষ কারিগরদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং শীতল পাটি, ব্লক প্রিন্টিং, কারচুপি ও জারদোজি, রিকশা পেইন্টিং এবং ইন্ডিগো টাই-ডাই ও শিবোরি ডাইয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম শিখবেন। এসব কর্মশালা শুধু

ঐতিহ্যবাহী কৌশল শেখার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কীভাবে সেগুলো আধুনিক ডিজাইন ও ফ্যাশনে প্রয়োগ করা যায়, তা সম্পর্কেও মানুষকে জানতে সাহায্য করবে।

ভোজনরসিকদের জন্য দোতলার ‘ফুড জোনে’ থাকছে মুখরোচক খাবারের পসরা নিয়ে অ্যারাবিকা, জাস্ট জুস, স্লারপস, ওয়াফেল আপ, ফ্রুটসিকলস, কাউচ পটেটো, কড়া ফ্রাই, বিরিয়া স্টপ, সেই নেহারি, ইজাকায়া, কনা ক্যাফে ও লিয়র বেকারি।

বহুমুখী এ আয়োজনটি প্রতিদিন বেলা ১১টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। পুরো দিনের আয়োজন শেষে রাতে থাকছে সঙ্গীতায়োজন। অংশ নিচ্ছে আর্কা এক্স ভাই ভাই টেকওভার, আরসি বিডি, সাইতারা, রেদোয়ান, জলের গান, ইন্দালো ও কন্যা দে দ্য ডেস্ট্রয়ার।

আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফ্যাশন শিল্পের বিস্তৃতি আর নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার বিন্যাসের লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫। এই ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)।

রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১১ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে চারদিনব্যাপী এই আয়োজন। 
ফ্যাশন উইক উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘আর্কা ফ্যাশন উইক’র প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, এবারের আয়োজনের নতুন বিষয় হল ‘মাস্টারক্লাস’। ফ্যাশন বিষয়ক এই ওয়ার্কশপে প্রতিটি সেশনে থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন তরুণ ডিজাইনার। 

আর্কা ফ্যাশন উইক ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার। ছবি: খবরের কাগজ

তিনি আরও বলেন, দেশীয় পোশাক ডিজাইনারদের নানান সংগ্রহ মেলে ধরতে আয়োজনে থাকছে ফ্যাশন শো। শুধু একটা পোশাকের মেলা নয়, ফ্যাশন সম্পর্কিত সব ধরনের বৈচিত্র্যময় আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের আসরে যথারীতি থাকছে ‘মার্কেটপ্লেস’। যেখানে মিলবে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনের সব ধরনের অনুষঙ্গ। আয়োজনের মধ্যে আরও থাকছে- ডিজাইন ল্যাব, ফ্ল্যাশ রানওয়ে, আয়োজনের দ্বিতীয় দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত কনসার্ট, ফুডজোন ইত্যাদি।

আয়োজক কমিটি’র অন্যতম সদস্যা, মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এবার প্রায় ৬শ’ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১শ’ জন বাছাই করে চূড়ান্তভাবে ২৫ জন নতুন মডেল উপস্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচিত মডেলদের উপস্থাপনাও দেখা যাবে।

আয়োজক সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫-এর সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবার চারদিন চারটি বিষয়বস্তু ধরে আয়োজনের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। সেগুলো হল- প্রথম দিন ‘ডেনিম’, দ্বিতীয় দিন ‘মডার্ন কনটেম্পোরারি’, তৃতীয় দিন ‘ফিউশিন’ এবং চতুর্থ দিন ‘সাস্টেইনেবিলিটি’। 

উৎসবের প্রথম দিন বেলা সাড়ে ৩টায় থাকছে ফ্ল্যাশ রানওয়ে। দ্বিতীয় দিন থেকে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত থাকছে বাংলা পাংক, আমি ঢাকা, আমিরা, ঢং, তাশা, অরণ্য ইত্যাদি প্রায় ২৫টি ব্র্যান্ডের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো। 

এখানে জুনিয়র-সিনিয়র ডিজাইনাররা যেমন তাদের নতুন সংগ্রহ উপস্থাপন করবেন, তেমনি ‘স্টুডেন্ট রানওয়েতে’ নবীন ও প্রতিভাধর অনেক ফ্যাশনিস্তা নিজেদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

এবারের আসরের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে ‘মাস্টারক্লাস’। এটি মূলত একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ স্পেস। ধারণাটি হলো, এখানে যে কেউ আসবেন একটি ক্যানভাস কেনার মতো করে। আর এই ক্যানভাস হতে পারে প্লেইন টি-শার্ট, টুপি, টোট ব্যাগ বা স্কার্ফের মতো পণ্য। এরপর সেই ক্যানভাসে তারা ব্লক প্রিন্টিং, স্ক্রিন প্রিন্টিং, হ্যান্ডপেইন্ট, অ্যাপলিক আর প্যাচওয়ার্কের মতো কোনো না কোনো মাধ্যমে ভ্যালু অ্যাড করে নিতে পারবেন নিজের মতো করে।

গত দুই আসরে ‘মার্কেটপ্লেস’ ঘিরে তরুণদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, এবারও যার ব্যত্যয় ঘটবে না। এখানে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ব্র্যান্ড। নিজেদের প্রকাশের সুযোগ এরা সব সময় পায় না। এই ব্যবধান দূর করে বাংলাদেশের অনন্য সব স্থানীয় ব্র্যান্ডকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার প্রচেষ্টা ফুটে ওঠে আর্কা ফ্যাশন উইকে।

এছাড়াও থাকছে সীমিত পরিসরে ট্যাটু, মেহেদি, ফেসপেইন্টিং বা মেকওভারের আয়োজন। ফুড জোন আর প্রতিদিন রাত আটটার পর কনসার্ট। 

হাসান

আজ ‘গরম চা’ দিবস

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
আজ ‘গরম চা’ দিবস
ছবি: এ আই

চা পান বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালিরা চা ছাড়া একটি দিনেও ভাবতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক কাপ ধূমায়িত চা দিয়ে বহু মানুষের দিন শুরু হয়। এ ছাড়া বন্ধু বা পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডার হুল্লোড়েই হোক আর পাড়ার মোড়ে বা গ্রামের বাজারে উত্তপ্ত রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে, চায়ের কাপে ঝড় তোলে।

চা মূলত চীনা ‘টেই’ শব্দ থেকে ‘চা’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করে থাকেন। বিভিন্ন তথ্যের আলোকে বলা যায়, চীনা ইতিহাসবিদ চেন শৌ (২৩৩-২৯৭) তার ‘স্যান কুহ চিহ’ নামের ইতিহাসগ্রন্থে চায়ের প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে চা-সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে সুদূর অতীতকাল থেকে। পৃথিবীব্যাপী গরম কড়া পানীয় হিসেবে চায়ের কদর অনেক দিন ধরেই বজায় আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- গরম চায়ের জন্যও দিবস রয়েছে। ১২ জানুয়ারি বিশ্বের অনেক দেশে গরম চা দিবস বা হট টি ডে পালিত হয়। ১৯৫০ যুক্তরাষ্ট্রের চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ২০১৬ সালে এই কাউন্সিল হট টি ডে প্রচলন করে।

প্রাচীন ইতিহাস বলে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে চীনা এক সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নিচে বসেছিলেন। তখন বাগান থেকে উড়ে আসা একটা পাতা পড়ে সেই গরম পানিতে। সম্রাট খেয়াল করে দেখেন, পাতাটা পড়ার পর পানির রং বদলে সুন্দর লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। সেখান থেকে মিষ্টি একটা সুগন্ধও বেরোচ্ছে। এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের নিবিড় বন্ধন গড়ে ওঠে, আজও কফি, এনার্জি ড্রিংক বা অন্য কোনো লোভনীয় পানীয় এ সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারেনি।  

ইউরোপে ১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা আমাদের বাংলাদেশে চা বাগান ও চা-শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটিশরাজের উদ্যোগে। এ ছাড়া দুধ-চা পান করার সংস্কৃতিও ব্রিটিশদের অবদান। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে হংকং আর ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ চা হয়ে ওঠে এক অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতি। তবে বাজারে এখন চা হরেক রকমের পাওয়া যায়। লেবু চা, কিংবা স্বাস্থ্য সচেতনদের গ্রিন টি, ব্ল্যাক টির পাশাপাশি মানুষের মনে বর্তমানে জায়গা করে নিয়েছে বাদাম চা, মালাই চা, পনির চা, মসলা চা, অপরাজিতা ফুলের চা, মাল্টা চায়ের মতো বৈচিত্র্যময় সব চা।

আজ হট টি ডে উদযাপনের জন্য আজ চায়ের দোকানে গিয়ে নতুন স্বাদের কোনো চা পরখ করে দেখতে পারেন। কিংবা ‘চা-খোর’ প্রিয় মানুষকে দিতে পারেন বাজারে আসা নতুন কোনো ব্র্যান্ডের এক প্যাকেট চা।

 কলি 

পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন
ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির কল্যাণে দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। কেনাকাটা থেকে শুরু করে পড়াশোনা-গবেষণা সবই এখন হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। ফলে মানুষের সময় যেমন বাঁচে, তেমনি থাকেন ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ। তেমনি একটি প্ল্যাটফর্ম ম্যারেজ সলিউশন বিডি ডটকম (marriagesolutionbd.com)।

এ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘরে বসে খুব সহজেই যোগ্য ও বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে বিয়েবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ৬টি শাখা রয়েছে। এছাড়া খুব শিগগিরই তাদের আরও নতুন নতুন শাখার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ অনলাইন ও অফলাইন দুই প্ল্যাটফর্মেই তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মূলত বিয়ের বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধানদাতা এবং বিয়ে সংক্রান্ত কাউন্সিলিং করাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল সেবা কার্যক্রম। এরই মধ্যে এ ফ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সফলভাবে অসংখ্য বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

কেন এমন প্রতিষ্ঠান শুরু করলেন? উত্তরে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি সৎকর্ম এবং সাদাকা। এ চিন্তা থেকেই ব্যক্তি পর্যায়ে কয়েকটি পরিবারকে বিয়ের কাজে সহযোগিতা করি। পরবর্তী সময়ে সামাজিক কল্যাণের কথা ভেবে ২০০৮ সাল থেকে এ বিষয়ে কাজ করা শুরু করি। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সব মিলিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স ১৬ বছর অতিক্রম করল।

শুভ আরও বলেন, আসলে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত কাঙিক্ষত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পাওয়া একটু কষ্টকর। মূলত সেই কষ্টকর কাজটিকেই সহজ করতে এবং একই সঙ্গে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে আমাদের প্ল্যাটফর্মে পাত্র-পাত্রীর বিশাল ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়েছি। এসব পাত্র-পাত্রীর তথ্য সাজানো হয়েছে, পেশা, ধর্ম এবং অন্যান্য বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে, যাতে আগ্রহীদের খুঁজতে সহজ হয়।

কলি

 

আঙুর খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আঙুর খাওয়ার উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

শীতকালীন ফলের ভেতর সবার পছন্দের ফল আঙুর। এই ফল শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়। বরং রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। আঙুর খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা জেনে নিন এই লেখায়।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে আঙুরে থাকা রেসভেরাট্রল উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া কালো আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশী শক্তিশালী করে ও রক্ত সঞ্চালন ঘটায়। এ ছাড়া শরীরে কোলেস্টরল কমাতেও সাহায্য করে আঙুর ফল।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আঙুরে রয়েছে ভিটামিন এ, কে সি, বি ১, বি ৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এসব উপাদানই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এ ছাড়া এগুলো ইনফেকশন প্রতিরোধেও সহায়তা করে। নিয়মিত আঙুর খেলে শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। শীতকালে আমরা ঠাণ্ডাজনিত অনেক রোগে আক্রান্ত হই। এসব রোগ প্রতিরোধে কিংবা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে আঙুর কার্যকরী।

বার্ধক্য কমায়
আঙুরে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে ও ত্বক টানটান করে। ফলে সহজে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। এ ছাড়া আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

ক্যানসার প্রতিরোধক
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আঙুরের মধ্যে এমন সব উপাদান রয়েছে যেগুলো ক্যানসার কোষ সৃষ্টিকারী উপাদানকে প্রতিহত করে। নারীদের জন্য আঙুর ফল বিশেষ উপকার‌ী। আমাদের দেশে নার রোগীদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের অবস্থান দ্বিতীয়। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে আঙুর খেতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

চোখের স্বাস্থ্য
যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা খাদ্যতালিকায় আঙুর রাখুন। এই ফলে আছে ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়াম, যা চোখের জন্য উপকারী। আঙুর চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

মস্তিষ্কের উর্বরতা
আঙুরে আছে এমন এক উপাদান যা মস্তিষ্কের উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এই ফলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সঙ্গে নিয়মিত আঙুর খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো হয়।

ডিটক্সিফিকেশন
ডিটক্সিফিকেশন মূলত শরীর থেকে টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ করার উপায়। আঙুরে থাকা পানি শরীরকে হাইড্রেট করে এবং শরীরকে পরিশোধিত করে। তা ছাড়া এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বর্জ্য পরিশোধনে কাজে লাগে।

 কলি