ঢাকা ৪ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

শিশুকে ঘরের কাজ শেখাবেন কখন থেকে

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
শিশুকে ঘরের কাজ শেখাবেন কখন থেকে
মডেল:তৃণা, সায়না। ছবি: আদিব আহমেদ

শিশুকে ছোটবেলা থেকেই সব ধরনের কাজ শেখানো উচিত। শিশুর বড় হয়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ঘরের কাজ শেখা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাওয়া,পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, এগুলো সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের অপরিহার্য অংশ। অসুস্থ ব্যক্তি ছাড়া কোনো সাধারণ মানুষের কারও ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। পিতা-মাতার দায়িত্ব নিজের সন্তানকে শারীরিক পরিশ্রম এবং কিছুটা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ সৃষ্টি করা। এ ছাড়া সংসারের কাজে হাত লাগানোর অভ্যাস শিশুকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করে। এ কারণে বাড়ির ছোটখাটো কাজে শিশুকে উৎসাহিত করুন। 

সূচনালগ্ন
দুই বা তিন বছর বয়স থেকে তাকে আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলতে শুরু করতে হবে। খেলার ছলেই শিক্ষা দেওয়া যেতে পারে। তার নিজের খাবার তার নিজের হাতে খেতে দেওয়া যেতে পারে। শক্ত খাবার বাটিতে নিয়ে এবং পানীয় জাতীয় খাবার মাম পটে ভর্তি করে পট শিশুর হাতে ধরিয়ে দেবেন। এতে সে নিজ হাতে খাওয়া শিখবে এবং চামচ, বাটি এসব কীভাবে ব্যবহার করতে হবে তারও কিছু কিছু কৌশল শিখে যাবে। 

সচেতনভাবে শুরু
দুই বছরে শিশুরা কোনো কিছুই বুঝে করে না, তাই এগুলো যে কাজ তা সে বুঝতে পারে না। তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে শিশুকে নিজের খেলনা গুছিয়ে রাখা, খেলার সময় নিজ হাতে খেলনা নেওয়া ইত্যাদি কাজ করা শেখাতে হবে। এ ছাড়া পানি নিজের হাতে ঢেলে পান করা, খাওয়ার পরে বাটি, চামচ বেসিনে রেখে আসা, কোনো কিছু এগিয়ে দেওয়া এ জাতীয় কাজগুলো করাতে হবে। নিজে দাঁত মাজা, নিজ হাতে খাওয়া এ সময়ই শিখবে। এই কাজগুলোর মাধ্যমে সে সচেতনভাবে জানতে পারবে এটা কাজ এবং এটা নিজের হাতে করতে হবে। 

অগ্রসর ধাপ
সাধারণত ৬-১০ বছর বয়স পর্যন্ত এ ধাপ চলমান থাকবে। এ সময় শিশুরা নিজেদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, গোছগাছ এসব শিখবে। নিজের ব্যাগ নিজে গোছানো, মাথা আচড়ানো, নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখা, পড়াশোনার জন্য বই খাতা বেছে নেওয়া ও পড়া শেষে বই গুছিয়ে সঠিক জায়গায় রাখা ইত্যাদি এই ধাপে করবে। শিশুরা কাজ শুরুর দিকে কিছু ভুল করবে তাতে পিতা-মাতার উচিত হবে বিচলিত না শিশুকে নিজের কাজটি করতে দেওয়া। 

চলমান ধাপ
১০ বছরের পর থেকে এই ধাপ চলতে থাকবে এবং এ সময় শিশু পরিবারের সামগ্রিক কিছু কাজে হাত লাগাবে। যেমন- ৬-১০ বছর পর্যন্ত শিশু তার ব্যক্তিগত পরিচর্যা আর নিজের জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখতে শেখে। ১০ বছরের পর শিশুকে পারিবারিক শ্রমবণ্টনের মধ্যে নিতে হবে তাকে দিয়ে ঘর পরিষ্কার করানো বয়স্কদের কাজে সহযোগিতা করা এবং পুরো পরিবারের সদস্যদের বিছানা পরিষ্কার করা, ঘর ঝাড়ু দেওয়া এবং মোছার মতো কাজগুলো করা। বাড়িতে যদিও সহায়ক গৃহকর্মী থাকেও তার ছুটির দিনগুলোয় শিশুকে এসব কাজ করতে দিতে হবে। এতে শিশুরা শ্রমের মর্যাদা ও বুঝতে পারবে আবার তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। 

শিশুকে দিয়ে নানা ছোটখাটো কাজ করানোর অভ্যাস করতে হবে

পূর্ণাঙ্গ শিখন
১২ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে শিশুকে সব ধরনের কাজ করতে শেখাতে হবে। রান্না, মাঝে মধ্যে নিজের জন্য নুডলস বা নাশতা তৈরি করা এবং রোগীর পরিচর্যা করা। তবে রান্নার কাজ ও কাটা বাছার কাজ করার সময় অবশ্যই বড়দের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে যাতে শিশুরা কোনো দুর্ঘটনার শিকার না হয়। আর টুকটাক দুর্ঘটনা হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সমাধান করতে হবে। এভাবে ধাপে ধাপে কাজ শেখালে শিশুরা কাজ করতে আগ্রহী হবে।

কাজের অভ্যাস গড়ে তুলুন
শিশুকে দিয়ে নানা ছোটখাটো কাজ করানোর অভ্যাস করতে হবে। বিশেষ করে তার কাছে কাজের সময় গুরুত্বটা বেশি বেশি করে তুলে ধরতে হবে। কাজটি সঠিকভাবে শেষ করলে প্রশংসা করুন যাতে তার নিজেকে এই কাজের জন্যে বিশেষ কিছু মনে করে। এভাবে আপনার সঙ্গেও শিশুর একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে। নতুন নতুন কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। 

দায়িত্ব দিন বয়স বুঝে
এক্ষেত্রে শিশুর বয়স বিবেচনা করে দায়িত্ব ভাগ করে দেবেন। নতুন নতুন কাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিন। তাতে একঘেয়েমি আসবে না। 

নিজ পরিকল্পনায় শামিল করুন
ঘর গুছানোর কাজের পরিকল্পনায় শিশুদের গুরুত্ব দিতে হবে। বাজারে গেলে তাদের সঙ্গে নিয়ে যান। ফলে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ভাববে এবং কাজ করতে আগ্রহ পাবে। 

ছোট ভাইবোনদের দায়িত্ব নিতে দিন
বাসায় একাধিক সন্তান থাকলে বয়সে বড়জনকে ছোট সন্তানের দায়িত্ব দিন। ওদের ভেতর যেন দ্বন্দ্ব না থাকে তা নিশ্চিত আপনাকেই করতে হবে। এভাবে আপনার সন্তান ঘরের কাজও দলবদ্ধভাবে করবে। সংসারে টুকিটাকি কাজে অন্তর্ভুক্তি শিশুকে স্বাবলম্বী ও স্বনির্ভর করতে সাহায্য করে।

টিম ওয়ার্কের বিকল্প নেই
একসঙ্গে কাজ করতে গেলে যে আনন্দ তা শিশুকে বোঝাতে হবে। দলবেঁধে শিশুর সঙ্গে কাজ করলে আপনার সঙ্গে শিশুর কিছু চমৎকার মুহূর্ত তৈরি হবে।

 কলি 

আর্কা ফ্যাশন উইক বর্ণিল আয়োজনে শুরু তৃতীয় আসর

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
বর্ণিল আয়োজনে শুরু তৃতীয় আসর
আর্কা ফ্যাশন উইকের উদ্বোধনী দিনের থিম ছিল ডেমিন। ফ্ল্যাশ রানওয়েতে ক্যাটওয়ার করেন ডেমিন পোশাকে মডেলরা। ছবি: আদিব আহমেদ

‘সবার জন্য ফ্যাশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে আর্কা ফ্যশন উইকের বর্ণিল আসর। চারদিনের এই আয়োজন আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। 

নতুন ডিজাইনার ও ব্রান্ডগুলোকে একটা প্লাটফর্ম করে দেয়াও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য। তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য বিপনন থেকে রপ্তানি, সেখান থেকে ফ্যাশন ব্রান্ডের পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উপস্থাপন, ক্রেতাদের আকর্ষণ করা ও দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত করা ‘আর্কা ফ্যাশন উইকের’ মূল লক্ষ্য।

এবারের আয়োজনে রয়েছে রানওয়ে শো, মাস্টারক্লাস, শীর্ষ ডিজাইনার ও ব্রান্ডের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন শো। এই আয়োজনের মাধ্যমে মত বিনিময়, নিজেদের গল্প ভাগ করে নেবে সবার সঙ্গে, যাতে করে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনকে অনুষঙ্গ হিসেবে সবাই গ্রহণ করতে পারে।

তৃতীয় এই আসরে প্রতিদিন থাকছে একেকটি থিম। গতকাল প্রথম দিন ডেনিম। আজ দ্বিতীয় দিন থাকছে ‘মডার্ন কন্টেপোরারি’। আগামীকাল শনিবার থাকবে ফিউশন এবং আর সমাপনী দিনে থাকেব ‘সাস্টেইনেবলিটি’। এই বিষয়গুলো কেবল আয়োজনের  বৈচিত্র্যময়তাকে তুলে ধরে না। এর মাধ্যমে দেশীয় ঐতিহ্য, অভিনবত্ব, পরিবেশের প্রতি অনুরাগও প্রকাশ পাবে।

প্রতিবারের মতো গ্লাসহাউসে আছে ডিজাইন ল্যাব। যেখানে আপনার পছন্দমতো একটি প্লেইন টি-শার্ট, টোট ব্যাগ, স্কার্ফ ও হ্যাট কিনে নিজের পছন্দমতো ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডপেইন্ট, প্যাচওয়ার্ক করানো যাবে বিনা মূল্যে। এ ছাড়া অতিথিদের জন্য আছে ফেসপেইন্টিং, হেয়ার ব্রেইডিং ও পোর্ট্রেট আঁকার ব্যবস্থা।

দ্বিতীয় আসরের মতো এবারও প্রথম দিন কোন শো ছিল না। আজ দ্বিতীয় দিন থেকে থাকছে ফ্যাশন শো। প্রতিদিন চারটি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ফ্যাশন শো। প্রতি পর্বে থাকবে একাধিক ব্র্যান্ড বা ডিজাইনার লেবেলে উপস্থাপনা। এবার মোট ২৩টি শো অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছে।

এবারের রানওয়েতে আজ দ্বিতীয় দিন থাকছে বাংলা পাঙ্ক, এজেড, ট্যাপারড, দানিয়া, রয়েল বেঙ্গল কতুর, ওয়ান পারসেন্ট ক্লাব, ঢেউ বাই সারা, আমি ঢাকা ও কাঁঠাল।

আগামীকাল তৃতীয় দিন থাকবে ফ্যাশন ডিজাইনার শিক্ষার্থীদের ডিজাইনে ফ্যাশন শো, গ্লি ও আমিরা। সমাপনী দিন থাকবে ঢং, তাসা, ফ্রেন্ডশিপ কালারাস অব দ্য চরস–ইন্ডি, গ্রিশো বাই সৌহার্দ্য, ব্লিস ক্লদিং, উড়ুক্কু বাংলাদেশ, তান, অরণ্য ও কুহু। সব মিলিয়ে থাকছে বারোটি ফ্যাশন কিউ।
যাঁরা কেনাকাটা করতে চান, তাঁদের জন্য আছে মার্কেটপ্লেস। আড়ং ও আমিরার মতো বড় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি আছে ব্র্যান্ড নুজার্ট, ঢাকা ভিন্টেজ, হাউস অব সুই, তাসা, প্রতিভা যেমন তেমনি নতুন ব্র্যান্ড রংস অ্যান্ড রেবেলস।

আর্কা ফ্যাশন উইক’র প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, প্রথমবারের মত আর্কা ফ্যাশন উইকে থাকছে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে মাস্টারক্লাস। ফ্যাশন শিক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই মাস্টারক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। চারদিনে মোট ছয়টি মাস্টারক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। কাঁথা স্টিচ মাস্টারক্লাসে শেখাবেন নকশাকার আফসানা ফেরদৌসি, স্ক্রিন প্রিন্টিং শেখাবে বাংলা পাংক, কারচুপি ও জারদৌজির মাস্টারক্লাসটিতে থাকছে হাউজ অফ আহমেদ, ন্যাচারাল ডাই শেখা যাবে ম্যারিগোল্ড অ্যান্ড catechu’র সঙ্গে, আপসাইক্লিং শেখানোর ব্যবস্থা করবে রিসাইক্লিং ও আপসাইক্লিং ব্র‍্যান্ড উড়ুক্কু। 

তিনি আরও বলেন, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পকে আধুনিক ফ্যাশন জগতের সঙ্গে একীভূত করার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করবে মাস্টারক্লাস গুলো।  এই ইভেন্টে আয়োজিত মাস্টারক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষ কারিগরদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং শীতল পাটি, ব্লক প্রিন্টিং, কারচুপি ও জারদোজি, রিকশা পেইন্টিং এবং ইন্ডিগো টাই-ডাই ও শিবোরি ডাইয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম শিখবেন। এসব কর্মশালা শুধু

ঐতিহ্যবাহী কৌশল শেখার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কীভাবে সেগুলো আধুনিক ডিজাইন ও ফ্যাশনে প্রয়োগ করা যায়, তা সম্পর্কেও মানুষকে জানতে সাহায্য করবে।

ভোজনরসিকদের জন্য দোতলার ‘ফুড জোনে’ থাকছে মুখরোচক খাবারের পসরা নিয়ে অ্যারাবিকা, জাস্ট জুস, স্লারপস, ওয়াফেল আপ, ফ্রুটসিকলস, কাউচ পটেটো, কড়া ফ্রাই, বিরিয়া স্টপ, সেই নেহারি, ইজাকায়া, কনা ক্যাফে ও লিয়র বেকারি।

বহুমুখী এ আয়োজনটি প্রতিদিন বেলা ১১টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। পুরো দিনের আয়োজন শেষে রাতে থাকছে সঙ্গীতায়োজন। অংশ নিচ্ছে আর্কা এক্স ভাই ভাই টেকওভার, আরসি বিডি, সাইতারা, রেদোয়ান, জলের গান, ইন্দালো ও কন্যা দে দ্য ডেস্ট্রয়ার।

আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফ্যাশন শিল্পের বিস্তৃতি আর নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার বিন্যাসের লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫। এই ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)।

রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১১ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে চারদিনব্যাপী এই আয়োজন। 
ফ্যাশন উইক উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘আর্কা ফ্যাশন উইক’র প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, এবারের আয়োজনের নতুন বিষয় হল ‘মাস্টারক্লাস’। ফ্যাশন বিষয়ক এই ওয়ার্কশপে প্রতিটি সেশনে থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন তরুণ ডিজাইনার। 

আর্কা ফ্যাশন উইক ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার। ছবি: খবরের কাগজ

তিনি আরও বলেন, দেশীয় পোশাক ডিজাইনারদের নানান সংগ্রহ মেলে ধরতে আয়োজনে থাকছে ফ্যাশন শো। শুধু একটা পোশাকের মেলা নয়, ফ্যাশন সম্পর্কিত সব ধরনের বৈচিত্র্যময় আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের আসরে যথারীতি থাকছে ‘মার্কেটপ্লেস’। যেখানে মিলবে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনের সব ধরনের অনুষঙ্গ। আয়োজনের মধ্যে আরও থাকছে- ডিজাইন ল্যাব, ফ্ল্যাশ রানওয়ে, আয়োজনের দ্বিতীয় দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত কনসার্ট, ফুডজোন ইত্যাদি।

আয়োজক কমিটি’র অন্যতম সদস্যা, মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এবার প্রায় ৬শ’ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১শ’ জন বাছাই করে চূড়ান্তভাবে ২৫ জন নতুন মডেল উপস্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচিত মডেলদের উপস্থাপনাও দেখা যাবে।

আয়োজক সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫-এর সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবার চারদিন চারটি বিষয়বস্তু ধরে আয়োজনের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। সেগুলো হল- প্রথম দিন ‘ডেনিম’, দ্বিতীয় দিন ‘মডার্ন কনটেম্পোরারি’, তৃতীয় দিন ‘ফিউশিন’ এবং চতুর্থ দিন ‘সাস্টেইনেবিলিটি’। 

উৎসবের প্রথম দিন বেলা সাড়ে ৩টায় থাকছে ফ্ল্যাশ রানওয়ে। দ্বিতীয় দিন থেকে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত থাকছে বাংলা পাংক, আমি ঢাকা, আমিরা, ঢং, তাশা, অরণ্য ইত্যাদি প্রায় ২৫টি ব্র্যান্ডের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো। 

এখানে জুনিয়র-সিনিয়র ডিজাইনাররা যেমন তাদের নতুন সংগ্রহ উপস্থাপন করবেন, তেমনি ‘স্টুডেন্ট রানওয়েতে’ নবীন ও প্রতিভাধর অনেক ফ্যাশনিস্তা নিজেদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

এবারের আসরের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে ‘মাস্টারক্লাস’। এটি মূলত একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ স্পেস। ধারণাটি হলো, এখানে যে কেউ আসবেন একটি ক্যানভাস কেনার মতো করে। আর এই ক্যানভাস হতে পারে প্লেইন টি-শার্ট, টুপি, টোট ব্যাগ বা স্কার্ফের মতো পণ্য। এরপর সেই ক্যানভাসে তারা ব্লক প্রিন্টিং, স্ক্রিন প্রিন্টিং, হ্যান্ডপেইন্ট, অ্যাপলিক আর প্যাচওয়ার্কের মতো কোনো না কোনো মাধ্যমে ভ্যালু অ্যাড করে নিতে পারবেন নিজের মতো করে।

গত দুই আসরে ‘মার্কেটপ্লেস’ ঘিরে তরুণদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, এবারও যার ব্যত্যয় ঘটবে না। এখানে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ব্র্যান্ড। নিজেদের প্রকাশের সুযোগ এরা সব সময় পায় না। এই ব্যবধান দূর করে বাংলাদেশের অনন্য সব স্থানীয় ব্র্যান্ডকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার প্রচেষ্টা ফুটে ওঠে আর্কা ফ্যাশন উইকে।

এছাড়াও থাকছে সীমিত পরিসরে ট্যাটু, মেহেদি, ফেসপেইন্টিং বা মেকওভারের আয়োজন। ফুড জোন আর প্রতিদিন রাত আটটার পর কনসার্ট। 

হাসান

আজ ‘গরম চা’ দিবস

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
আজ ‘গরম চা’ দিবস
ছবি: এ আই

চা পান বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালিরা চা ছাড়া একটি দিনেও ভাবতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক কাপ ধূমায়িত চা দিয়ে বহু মানুষের দিন শুরু হয়। এ ছাড়া বন্ধু বা পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডার হুল্লোড়েই হোক আর পাড়ার মোড়ে বা গ্রামের বাজারে উত্তপ্ত রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে, চায়ের কাপে ঝড় তোলে।

চা মূলত চীনা ‘টেই’ শব্দ থেকে ‘চা’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করে থাকেন। বিভিন্ন তথ্যের আলোকে বলা যায়, চীনা ইতিহাসবিদ চেন শৌ (২৩৩-২৯৭) তার ‘স্যান কুহ চিহ’ নামের ইতিহাসগ্রন্থে চায়ের প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে চা-সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে সুদূর অতীতকাল থেকে। পৃথিবীব্যাপী গরম কড়া পানীয় হিসেবে চায়ের কদর অনেক দিন ধরেই বজায় আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- গরম চায়ের জন্যও দিবস রয়েছে। ১২ জানুয়ারি বিশ্বের অনেক দেশে গরম চা দিবস বা হট টি ডে পালিত হয়। ১৯৫০ যুক্তরাষ্ট্রের চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ২০১৬ সালে এই কাউন্সিল হট টি ডে প্রচলন করে।

প্রাচীন ইতিহাস বলে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে চীনা এক সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নিচে বসেছিলেন। তখন বাগান থেকে উড়ে আসা একটা পাতা পড়ে সেই গরম পানিতে। সম্রাট খেয়াল করে দেখেন, পাতাটা পড়ার পর পানির রং বদলে সুন্দর লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। সেখান থেকে মিষ্টি একটা সুগন্ধও বেরোচ্ছে। এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের নিবিড় বন্ধন গড়ে ওঠে, আজও কফি, এনার্জি ড্রিংক বা অন্য কোনো লোভনীয় পানীয় এ সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারেনি।  

ইউরোপে ১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা আমাদের বাংলাদেশে চা বাগান ও চা-শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটিশরাজের উদ্যোগে। এ ছাড়া দুধ-চা পান করার সংস্কৃতিও ব্রিটিশদের অবদান। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে হংকং আর ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ চা হয়ে ওঠে এক অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতি। তবে বাজারে এখন চা হরেক রকমের পাওয়া যায়। লেবু চা, কিংবা স্বাস্থ্য সচেতনদের গ্রিন টি, ব্ল্যাক টির পাশাপাশি মানুষের মনে বর্তমানে জায়গা করে নিয়েছে বাদাম চা, মালাই চা, পনির চা, মসলা চা, অপরাজিতা ফুলের চা, মাল্টা চায়ের মতো বৈচিত্র্যময় সব চা।

আজ হট টি ডে উদযাপনের জন্য আজ চায়ের দোকানে গিয়ে নতুন স্বাদের কোনো চা পরখ করে দেখতে পারেন। কিংবা ‘চা-খোর’ প্রিয় মানুষকে দিতে পারেন বাজারে আসা নতুন কোনো ব্র্যান্ডের এক প্যাকেট চা।

 কলি 

পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন
ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির কল্যাণে দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। কেনাকাটা থেকে শুরু করে পড়াশোনা-গবেষণা সবই এখন হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। ফলে মানুষের সময় যেমন বাঁচে, তেমনি থাকেন ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ। তেমনি একটি প্ল্যাটফর্ম ম্যারেজ সলিউশন বিডি ডটকম (marriagesolutionbd.com)।

এ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘরে বসে খুব সহজেই যোগ্য ও বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে বিয়েবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ৬টি শাখা রয়েছে। এছাড়া খুব শিগগিরই তাদের আরও নতুন নতুন শাখার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ অনলাইন ও অফলাইন দুই প্ল্যাটফর্মেই তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মূলত বিয়ের বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধানদাতা এবং বিয়ে সংক্রান্ত কাউন্সিলিং করাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল সেবা কার্যক্রম। এরই মধ্যে এ ফ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সফলভাবে অসংখ্য বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

কেন এমন প্রতিষ্ঠান শুরু করলেন? উত্তরে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি সৎকর্ম এবং সাদাকা। এ চিন্তা থেকেই ব্যক্তি পর্যায়ে কয়েকটি পরিবারকে বিয়ের কাজে সহযোগিতা করি। পরবর্তী সময়ে সামাজিক কল্যাণের কথা ভেবে ২০০৮ সাল থেকে এ বিষয়ে কাজ করা শুরু করি। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সব মিলিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স ১৬ বছর অতিক্রম করল।

শুভ আরও বলেন, আসলে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত কাঙিক্ষত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পাওয়া একটু কষ্টকর। মূলত সেই কষ্টকর কাজটিকেই সহজ করতে এবং একই সঙ্গে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে আমাদের প্ল্যাটফর্মে পাত্র-পাত্রীর বিশাল ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়েছি। এসব পাত্র-পাত্রীর তথ্য সাজানো হয়েছে, পেশা, ধর্ম এবং অন্যান্য বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে, যাতে আগ্রহীদের খুঁজতে সহজ হয়।

কলি

 

আঙুর খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আঙুর খাওয়ার উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

শীতকালীন ফলের ভেতর সবার পছন্দের ফল আঙুর। এই ফল শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়। বরং রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। আঙুর খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা জেনে নিন এই লেখায়।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে আঙুরে থাকা রেসভেরাট্রল উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া কালো আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশী শক্তিশালী করে ও রক্ত সঞ্চালন ঘটায়। এ ছাড়া শরীরে কোলেস্টরল কমাতেও সাহায্য করে আঙুর ফল।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আঙুরে রয়েছে ভিটামিন এ, কে সি, বি ১, বি ৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এসব উপাদানই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এ ছাড়া এগুলো ইনফেকশন প্রতিরোধেও সহায়তা করে। নিয়মিত আঙুর খেলে শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। শীতকালে আমরা ঠাণ্ডাজনিত অনেক রোগে আক্রান্ত হই। এসব রোগ প্রতিরোধে কিংবা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে আঙুর কার্যকরী।

বার্ধক্য কমায়
আঙুরে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে ও ত্বক টানটান করে। ফলে সহজে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। এ ছাড়া আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

ক্যানসার প্রতিরোধক
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আঙুরের মধ্যে এমন সব উপাদান রয়েছে যেগুলো ক্যানসার কোষ সৃষ্টিকারী উপাদানকে প্রতিহত করে। নারীদের জন্য আঙুর ফল বিশেষ উপকার‌ী। আমাদের দেশে নার রোগীদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের অবস্থান দ্বিতীয়। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে আঙুর খেতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

চোখের স্বাস্থ্য
যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা খাদ্যতালিকায় আঙুর রাখুন। এই ফলে আছে ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়াম, যা চোখের জন্য উপকারী। আঙুর চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

মস্তিষ্কের উর্বরতা
আঙুরে আছে এমন এক উপাদান যা মস্তিষ্কের উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এই ফলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সঙ্গে নিয়মিত আঙুর খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো হয়।

ডিটক্সিফিকেশন
ডিটক্সিফিকেশন মূলত শরীর থেকে টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ করার উপায়। আঙুরে থাকা পানি শরীরকে হাইড্রেট করে এবং শরীরকে পরিশোধিত করে। তা ছাড়া এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বর্জ্য পরিশোধনে কাজে লাগে।

 কলি