ঢাকা ৪ মাঘ ১৪৩১, শনিবার, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫

আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ পিএম
আরডিএল ‘সাগিরকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম
ছবি: সংগৃহীত

আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেডের প্রকল্প ‘সাগরিকা’র সঙ্গে যুক্ত হলেন দেশবরেণ্য স্থপতি রফিক আজম। এই ইকো উন্নয়ন প্রকল্পটি কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় ৩.২ কিলোমিটার দূরে গঙ্গামতিতে অবস্থিত। আরডিএল সমুদ্র থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে ১৪৪ একর জমিতে এই অভুতপূর্ব প্রকল্পটি তৈরি।

 এই ৪০০ মিটার জায়গায় রয়েছে কুয়াকাটার ঘন ম্যানগ্রোভ বন। এই নির্দিষ্ট ভূমিটি প্রকৃতির এক অনন্য বিস্ময় কারন এটি বিশ্বের কেবল দ্বিতীয় স্থান যেখানে আপনি একই স্থান থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয় উভয়ই পর্যবেক্ষণ করতে পারেন।

রাজধানীর গ্রেগরিয়ান অ্যালামনাই ক্লাবে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আরডিএল প্রপার্টিজ লিমিটেড ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মো. আমিনুল্লাহ, চিফ মার্কেটিং অফিসার শমিত এম শাহাবুদ্দিন, সিনিয়র আর্কিটেক্ট সিহাম শহীদ ও সাবরীন সুলতানা প্রমুখ।

উল্লেখ্য, আরডিএল প্রকল্পের চারপাশে বন্যজীবনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মানবজাতির অপ্রয়োজনীয় আগ্রাসন সেখানে জীবন্ত ইকোচক্রকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই এই পর্যটন গ্রামটি সহ-অবস্থিত বন্য জীবনের সাথে হাত মিলিয়ে গড়ে উঠবে। আরডিএল এর পরিকল্পনা হলো প্রকৃতি এবং প্রকল্পের মধ্যে থেকেই শক্তি উৎপাদন, বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং উপযোগ সংগ্রহ করা। সমস্ত পরিকল্পনা প্রকৃতি এবং বন্যজীবনের স্তরকে বিরক্তনা করে বিদেশী এবং দেশীয় সার্কিট থেকে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য করা হবে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম উপযুক্ত ইকোগ্রাম প্রকল্প হতে পারে।

 কলি

 

এই সময়ে স্টাইলিশ লুক

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
এই সময়ে স্টাইলিশ লুক
মডেল: নাঈমা ও খুশবু ,মেকআপ: রিভাইভ, ছবি: আদিব আহমেদ

মেয়েদের শীতকালীন পোশাকে দেখা যায় রং-নকশার চমক। সহজেই জ্যাকেট কিংবা সোয়েটারের মাধ্যমে তুলে ধরা যায় অভিজাত এবং স্টাইলিশ লুক। বেশ কয়েক বছর আগেও শীতের পোশাকে এত বৈচিত্র্য ছিল না। ফ্যাশনের পরিসর এখন বেশ বিস্তৃত। ডিজাইনারা নতুন নতুন নকশার সঙ্গে আবার ফিরিয়ে আনছেন পুরোনো ট্রেন্ডও। সংগ্রহে থাকা পোশাকগুলো একটু উল্টে-পাল্টেই তৈরি করা সম্ভব আলাদা আলাদা স্টাইল। 

 শীতের পোশোক হিসেবে ব্লেজার, সোয়েটার, টপ, পঞ্চো তরুণীদের আকৃষ্ট করছে। 

শীতের কাপড়ের ক্ষেত্রে তরুণীদের কাছে কাপড়ের উষ্ণতা, স্টাইল ও আরাম সমানভাবে বিবেচিত হয়। সাটিন, ভেলভেট, জিনস, বিশেষ করে ডেনিমের ব্যবহারে হালকা নকশার শীতপোশাকই বেশি তৈরি হচ্ছে। আলাদা করে নয়, বরং মূল পোশাকেই ব্যবহার করা হচ্ছে এমন উপাদান, যা শীতের জন্য আরামদায়ক। আবার ফ্যাশনের সঙ্গেও বেশ যায়। ব্লেজার, সোয়েটার, টপ, পঞ্চো তরুণীদের আকৃষ্ট করছে। ফ্যাশনের ধারার বদল না হলেও কাটছাঁটে এসেছে ভিন্নতা। পাশ্চাত্যের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রাচ্যের ফিউশন। তরুণীদের মধ্যে পাশ্চাত্য ধারার পোশাকের সঙ্গে দেশীয় ভাবধারার মিশেলে তৈরি পোশাকের চাহিদা রয়েছে। দেশি মোটিফের ওভারকোট পোশাকটি শাড়ির সঙ্গেও সহজে মানিয়ে যায়। 

শীতে ডেনিমের জনপ্রিয়তা ও চাহিদা কখনো শেষ হয় না। রং এবং ওয়াশের কারণে ডেনিম স্টাইলে আনে ভিন্নতা। শীতের এই সময়টাতে ডেনিমে তৈরি শার্টের চাহিদা বেশি চোখে পড়ে। হুডির সঙ্গে ক্ল্যাসিক ডেনিম জ্যাকেটের লেয়ার আপ তরুণীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। পাশাপাশি একরঙা সোয়েটারের ওপর ক্রপ জ্যাকেটও পরছেন তারা। ক্যাজুয়াল শীতকালীন পোশাক হিসেবে সুতি, উল, নিট কাপড়ের জ্যাকেটের মতো ভারী ফুলস্লিভ টি-শার্ট পরা যেতে পারে।

এ ধরনের শীতপোশাক আরামদায়ক হয় বলে স্বচ্ছন্দে সারা দিন পরে থাকা যায়। একটু ঢিলেঢালা সোয়েটার ক্যাজুয়াল পোশাক হিসেবে পছন্দ করছেন অনেকে। এ ছাড়া দিনে দিনে আমাদের দেশে ওভারকোট বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। শীতে ওয়েস্টার্ন আউটফিটের সঙ্গে একরঙা লংকোটের জুরি মেলা ভার। স্টাইল করতে কিন্তু শর্টস্কার্টের সঙ্গেও পরতে পারেন ওভারকোট। নিজের ভিন্ন লুক পেতে ফ্লোরাল কোট পরতে পারেন। মোটা কাপড়ের থ্রি-পিসের সঙ্গে জেগিংস পরে পাতলা চাদর জড়িয়ে নিতে পারেন।

নকশায় ভিন্নতা 
টপ, কুর্তি, সোয়েটারের হাতায় আর ঘেরে জ্যামিতিক নকশা দিয়ে আনা হয়েছে ভিন্নতা। বন্ধ ও গোল গলার পাশাপাশি থাকছে হাই নেকের শীতের পোশাক। রঙেও থাকছে নতুনত্ব। লাল, কালো, সবুজের মতো মূল রংগুলোর পাশাপাশি নানা ধরনের শেড রাখা হয়েছে। এ ছাড়া শ্যাওলা রং, পাউডার ব্লু, ট্যানজি অরেঞ্জ, রোজ পিঙ্ক, মিন্ট গ্রিন, অ্যাকোয়া ব্লু বেশি থাকছে পোশাকের রঙে৷ 

নানা রঙের সোয়েটার 
টারটেল নেক বা হাইনেক সোয়েটারগুলো শরীর উষ্ণ রাখে। কিছু সোয়েটারে হাতার দিকে আলাদা রং থাকে, যা সোয়েটারে নিয়ে আসে ভিন্নতা। রঙের ক্ষেত্রে লাল, কালো, সাদা, বাদামি, অফ হোয়াইট, সাদা-কালোর শেডসহ দু-রঙের মিশ্রণ, চেকসহ গাঢ় রং চলছে। এ সময় সোয়েটারের সঙ্গে নানা স্টাইলের জিন্সের চলটাই সবচেয়ে বেশি। তবে এর পাশাপাশি গ্যাবার্ডিন প্যান্ট বেশ জনপ্রিয়। যারা শীতের পোশাককে উজ্জ্বল করতে চান, তারা স্কার্ফ পরতে পারেন। এটা স্টাইলে শুধু ভিন্নতা আনবে না, বরং পোশাকে উষ্ণতাও আনে। মার্জিত সিল্ক, উল এবং কাশ্মিরি স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন।

অনুষ্ঠানে যা পরবেন
অভিজাত ও উষ্ণ— দুটি শব্দ জড়িয়ে থাকে সিল্ক বা রেশমের পোশাকের সঙ্গে। এককালে সিল্ক ছিল রাজকীয় পরিধেয় বস্ত্র। এখন সময় পাল্টেছে। রাশভারী সাজসজ্জার সুযোগ কিংবা আয়োজন না থাকলেও, এখনো সিল্কের পোশাক ব্যবহারে কোনো কমতি নেই। বিভিন্ন পোশাকের সঙ্গে সমানভাবে মানিয়ে গেছে সিল্ক। বেছে নিতে পারেন মনের সবুজ, নেভি ব্লু, ম্যাজেন্টা, খয়েরি, লাল, বেগুনি, কালো, সোনালি রঙের যেকোনো সিল্কের পোশাক। তবে দিনের বেলার যেকোনো পার্টিতে বেছে নিন একটু হাল্কা রঙের সিল্ক শাড়ি।

পরতে পারেন গেরুয়া, সাদা, কলাপাতা রং, কমলা, নীল, গোলাপি, আকাশি ও কুসুম হলুদ রঙের পোশাক। এ ছাড়া প্যাচওয়ার্ক নকশার পোশাক বেশ জনপ্রিয়। টুকরো কাপড়ে জোড়াতালির নকশায় তৈরি হয়েছে হুডি, জ্যাকেট ও চাদর; যা ছেলেমেয়ে উভয়ই পরতে পারবে। বিভিন্ন রঙের প্রিন্ট ও উইভিং ডিজাইনেও তৈরি করা হয়েছে চাদর, যা শাড়ি বা অন্যান্য পোশাকের সঙ্গে মিলিয়েও পরা যাবে। শুধু শীতের পোশাক বলেই নয়, ফ্যাশন অনুষঙ্গ হিসেবে শালের রয়েছে আলাদা কদর, যা আজকের প্রজন্মের কাছেও বেশ জনপ্রিয়।

পায়ের জুতা
শীতে পা ঢাকাটা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি ফ্যাশন করাও জরুরি। মেয়েদের বুট জুতা বেশ জনপ্রিয়। এসব বুট জুতা চামড়ার তৈরি। বিভিন্ন কাটের নকশার পাওয়া যাচ্ছে। পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গে একজোড়া বুট জুতা পরে নিলেই স্টাইলে চলে আসবে নতুনত্ব।  কেডস, লোফার, স্নিকার্স পরতে পারেন। সৌন্দর্য ও চলতি ধারার ফ্যাশনের মিশেলে তৈরি পাটের জুতা পরতে পারেন। বিশেষ করে শীতে পাটের জুতা ব্যবহার করলে আরাম ও উষ্ণতা দুটোই পাওয়া যাবে।

 কলি

আর্কা ফ্যাশন উইক বর্ণিল আয়োজনে শুরু তৃতীয় আসর

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম
বর্ণিল আয়োজনে শুরু তৃতীয় আসর
আর্কা ফ্যাশন উইকের উদ্বোধনী দিনের থিম ছিল ডেমিন। ফ্ল্যাশ রানওয়েতে ক্যাটওয়ার করেন ডেমিন পোশাকে মডেলরা। ছবি: আদিব আহমেদ

‘সবার জন্য ফ্যাশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শুরু হয়েছে আর্কা ফ্যশন উইকের বর্ণিল আসর। চারদিনের এই আয়োজন আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। 

নতুন ডিজাইনার ও ব্রান্ডগুলোকে একটা প্লাটফর্ম করে দেয়াও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য। তৈরি পোশাক শিল্পের পণ্য বিপনন থেকে রপ্তানি, সেখান থেকে ফ্যাশন ব্রান্ডের পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উপস্থাপন, ক্রেতাদের আকর্ষণ করা ও দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত করা ‘আর্কা ফ্যাশন উইকের’ মূল লক্ষ্য।

এবারের আয়োজনে রয়েছে রানওয়ে শো, মাস্টারক্লাস, শীর্ষ ডিজাইনার ও ব্রান্ডের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন শো। এই আয়োজনের মাধ্যমে মত বিনিময়, নিজেদের গল্প ভাগ করে নেবে সবার সঙ্গে, যাতে করে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনকে অনুষঙ্গ হিসেবে সবাই গ্রহণ করতে পারে।

তৃতীয় এই আসরে প্রতিদিন থাকছে একেকটি থিম। গতকাল প্রথম দিন ডেনিম। আজ দ্বিতীয় দিন থাকছে ‘মডার্ন কন্টেপোরারি’। আগামীকাল শনিবার থাকবে ফিউশন এবং আর সমাপনী দিনে থাকেব ‘সাস্টেইনেবলিটি’। এই বিষয়গুলো কেবল আয়োজনের  বৈচিত্র্যময়তাকে তুলে ধরে না। এর মাধ্যমে দেশীয় ঐতিহ্য, অভিনবত্ব, পরিবেশের প্রতি অনুরাগও প্রকাশ পাবে।

প্রতিবারের মতো গ্লাসহাউসে আছে ডিজাইন ল্যাব। যেখানে আপনার পছন্দমতো একটি প্লেইন টি-শার্ট, টোট ব্যাগ, স্কার্ফ ও হ্যাট কিনে নিজের পছন্দমতো ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডপেইন্ট, প্যাচওয়ার্ক করানো যাবে বিনা মূল্যে। এ ছাড়া অতিথিদের জন্য আছে ফেসপেইন্টিং, হেয়ার ব্রেইডিং ও পোর্ট্রেট আঁকার ব্যবস্থা।

দ্বিতীয় আসরের মতো এবারও প্রথম দিন কোন শো ছিল না। আজ দ্বিতীয় দিন থেকে থাকছে ফ্যাশন শো। প্রতিদিন চারটি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে ফ্যাশন শো। প্রতি পর্বে থাকবে একাধিক ব্র্যান্ড বা ডিজাইনার লেবেলে উপস্থাপনা। এবার মোট ২৩টি শো অনুষ্ঠিত হবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছে।

এবারের রানওয়েতে আজ দ্বিতীয় দিন থাকছে বাংলা পাঙ্ক, এজেড, ট্যাপারড, দানিয়া, রয়েল বেঙ্গল কতুর, ওয়ান পারসেন্ট ক্লাব, ঢেউ বাই সারা, আমি ঢাকা ও কাঁঠাল।

আগামীকাল তৃতীয় দিন থাকবে ফ্যাশন ডিজাইনার শিক্ষার্থীদের ডিজাইনে ফ্যাশন শো, গ্লি ও আমিরা। সমাপনী দিন থাকবে ঢং, তাসা, ফ্রেন্ডশিপ কালারাস অব দ্য চরস–ইন্ডি, গ্রিশো বাই সৌহার্দ্য, ব্লিস ক্লদিং, উড়ুক্কু বাংলাদেশ, তান, অরণ্য ও কুহু। সব মিলিয়ে থাকছে বারোটি ফ্যাশন কিউ।
যাঁরা কেনাকাটা করতে চান, তাঁদের জন্য আছে মার্কেটপ্লেস। আড়ং ও আমিরার মতো বড় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি আছে ব্র্যান্ড নুজার্ট, ঢাকা ভিন্টেজ, হাউস অব সুই, তাসা, প্রতিভা যেমন তেমনি নতুন ব্র্যান্ড রংস অ্যান্ড রেবেলস।

আর্কা ফ্যাশন উইক’র প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, প্রথমবারের মত আর্কা ফ্যাশন উইকে থাকছে বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে মাস্টারক্লাস। ফ্যাশন শিক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই মাস্টারক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। চারদিনে মোট ছয়টি মাস্টারক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে। কাঁথা স্টিচ মাস্টারক্লাসে শেখাবেন নকশাকার আফসানা ফেরদৌসি, স্ক্রিন প্রিন্টিং শেখাবে বাংলা পাংক, কারচুপি ও জারদৌজির মাস্টারক্লাসটিতে থাকছে হাউজ অফ আহমেদ, ন্যাচারাল ডাই শেখা যাবে ম্যারিগোল্ড অ্যান্ড catechu’র সঙ্গে, আপসাইক্লিং শেখানোর ব্যবস্থা করবে রিসাইক্লিং ও আপসাইক্লিং ব্র‍্যান্ড উড়ুক্কু। 

তিনি আরও বলেন, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পকে আধুনিক ফ্যাশন জগতের সঙ্গে একীভূত করার এক অনন্য সুযোগ তৈরি করবে মাস্টারক্লাস গুলো।  এই ইভেন্টে আয়োজিত মাস্টারক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষ কারিগরদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার সুযোগ পাবেন এবং শীতল পাটি, ব্লক প্রিন্টিং, কারচুপি ও জারদোজি, রিকশা পেইন্টিং এবং ইন্ডিগো টাই-ডাই ও শিবোরি ডাইয়ের মতো ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম শিখবেন। এসব কর্মশালা শুধু

ঐতিহ্যবাহী কৌশল শেখার ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং কীভাবে সেগুলো আধুনিক ডিজাইন ও ফ্যাশনে প্রয়োগ করা যায়, তা সম্পর্কেও মানুষকে জানতে সাহায্য করবে।

ভোজনরসিকদের জন্য দোতলার ‘ফুড জোনে’ থাকছে মুখরোচক খাবারের পসরা নিয়ে অ্যারাবিকা, জাস্ট জুস, স্লারপস, ওয়াফেল আপ, ফ্রুটসিকলস, কাউচ পটেটো, কড়া ফ্রাই, বিরিয়া স্টপ, সেই নেহারি, ইজাকায়া, কনা ক্যাফে ও লিয়র বেকারি।

বহুমুখী এ আয়োজনটি প্রতিদিন বেলা ১১টায় শুরু হয়ে চলবে রাত ১০টা পর্যন্ত। পুরো দিনের আয়োজন শেষে রাতে থাকছে সঙ্গীতায়োজন। অংশ নিচ্ছে আর্কা এক্স ভাই ভাই টেকওভার, আরসি বিডি, সাইতারা, রেদোয়ান, জলের গান, ইন্দালো ও কন্যা দে দ্য ডেস্ট্রয়ার।

আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফ্যাশন শিল্পের বিস্তৃতি আর নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার বিন্যাসের লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫। এই ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)।

রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১১ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে চারদিনব্যাপী এই আয়োজন। 
ফ্যাশন উইক উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘আর্কা ফ্যাশন উইক’র প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, এবারের আয়োজনের নতুন বিষয় হল ‘মাস্টারক্লাস’। ফ্যাশন বিষয়ক এই ওয়ার্কশপে প্রতিটি সেশনে থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন তরুণ ডিজাইনার। 

আর্কা ফ্যাশন উইক ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার। ছবি: খবরের কাগজ

তিনি আরও বলেন, দেশীয় পোশাক ডিজাইনারদের নানান সংগ্রহ মেলে ধরতে আয়োজনে থাকছে ফ্যাশন শো। শুধু একটা পোশাকের মেলা নয়, ফ্যাশন সম্পর্কিত সব ধরনের বৈচিত্র্যময় আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের আসরে যথারীতি থাকছে ‘মার্কেটপ্লেস’। যেখানে মিলবে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনের সব ধরনের অনুষঙ্গ। আয়োজনের মধ্যে আরও থাকছে- ডিজাইন ল্যাব, ফ্ল্যাশ রানওয়ে, আয়োজনের দ্বিতীয় দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত কনসার্ট, ফুডজোন ইত্যাদি।

আয়োজক কমিটি’র অন্যতম সদস্যা, মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এবার প্রায় ৬শ’ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১শ’ জন বাছাই করে চূড়ান্তভাবে ২৫ জন নতুন মডেল উপস্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচিত মডেলদের উপস্থাপনাও দেখা যাবে।

আয়োজক সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫-এর সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবার চারদিন চারটি বিষয়বস্তু ধরে আয়োজনের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। সেগুলো হল- প্রথম দিন ‘ডেনিম’, দ্বিতীয় দিন ‘মডার্ন কনটেম্পোরারি’, তৃতীয় দিন ‘ফিউশিন’ এবং চতুর্থ দিন ‘সাস্টেইনেবিলিটি’। 

উৎসবের প্রথম দিন বেলা সাড়ে ৩টায় থাকছে ফ্ল্যাশ রানওয়ে। দ্বিতীয় দিন থেকে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত থাকছে বাংলা পাংক, আমি ঢাকা, আমিরা, ঢং, তাশা, অরণ্য ইত্যাদি প্রায় ২৫টি ব্র্যান্ডের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো। 

এখানে জুনিয়র-সিনিয়র ডিজাইনাররা যেমন তাদের নতুন সংগ্রহ উপস্থাপন করবেন, তেমনি ‘স্টুডেন্ট রানওয়েতে’ নবীন ও প্রতিভাধর অনেক ফ্যাশনিস্তা নিজেদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

এবারের আসরের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে ‘মাস্টারক্লাস’। এটি মূলত একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ স্পেস। ধারণাটি হলো, এখানে যে কেউ আসবেন একটি ক্যানভাস কেনার মতো করে। আর এই ক্যানভাস হতে পারে প্লেইন টি-শার্ট, টুপি, টোট ব্যাগ বা স্কার্ফের মতো পণ্য। এরপর সেই ক্যানভাসে তারা ব্লক প্রিন্টিং, স্ক্রিন প্রিন্টিং, হ্যান্ডপেইন্ট, অ্যাপলিক আর প্যাচওয়ার্কের মতো কোনো না কোনো মাধ্যমে ভ্যালু অ্যাড করে নিতে পারবেন নিজের মতো করে।

গত দুই আসরে ‘মার্কেটপ্লেস’ ঘিরে তরুণদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, এবারও যার ব্যত্যয় ঘটবে না। এখানে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ব্র্যান্ড। নিজেদের প্রকাশের সুযোগ এরা সব সময় পায় না। এই ব্যবধান দূর করে বাংলাদেশের অনন্য সব স্থানীয় ব্র্যান্ডকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার প্রচেষ্টা ফুটে ওঠে আর্কা ফ্যাশন উইকে।

এছাড়াও থাকছে সীমিত পরিসরে ট্যাটু, মেহেদি, ফেসপেইন্টিং বা মেকওভারের আয়োজন। ফুড জোন আর প্রতিদিন রাত আটটার পর কনসার্ট। 

হাসান

আজ ‘গরম চা’ দিবস

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
আজ ‘গরম চা’ দিবস
ছবি: এ আই

চা পান বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালিরা চা ছাড়া একটি দিনেও ভাবতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক কাপ ধূমায়িত চা দিয়ে বহু মানুষের দিন শুরু হয়। এ ছাড়া বন্ধু বা পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডার হুল্লোড়েই হোক আর পাড়ার মোড়ে বা গ্রামের বাজারে উত্তপ্ত রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে, চায়ের কাপে ঝড় তোলে।

চা মূলত চীনা ‘টেই’ শব্দ থেকে ‘চা’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করে থাকেন। বিভিন্ন তথ্যের আলোকে বলা যায়, চীনা ইতিহাসবিদ চেন শৌ (২৩৩-২৯৭) তার ‘স্যান কুহ চিহ’ নামের ইতিহাসগ্রন্থে চায়ের প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে চা-সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে সুদূর অতীতকাল থেকে। পৃথিবীব্যাপী গরম কড়া পানীয় হিসেবে চায়ের কদর অনেক দিন ধরেই বজায় আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- গরম চায়ের জন্যও দিবস রয়েছে। ১২ জানুয়ারি বিশ্বের অনেক দেশে গরম চা দিবস বা হট টি ডে পালিত হয়। ১৯৫০ যুক্তরাষ্ট্রের চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ২০১৬ সালে এই কাউন্সিল হট টি ডে প্রচলন করে।

প্রাচীন ইতিহাস বলে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে চীনা এক সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নিচে বসেছিলেন। তখন বাগান থেকে উড়ে আসা একটা পাতা পড়ে সেই গরম পানিতে। সম্রাট খেয়াল করে দেখেন, পাতাটা পড়ার পর পানির রং বদলে সুন্দর লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। সেখান থেকে মিষ্টি একটা সুগন্ধও বেরোচ্ছে। এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের নিবিড় বন্ধন গড়ে ওঠে, আজও কফি, এনার্জি ড্রিংক বা অন্য কোনো লোভনীয় পানীয় এ সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারেনি।  

ইউরোপে ১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা আমাদের বাংলাদেশে চা বাগান ও চা-শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটিশরাজের উদ্যোগে। এ ছাড়া দুধ-চা পান করার সংস্কৃতিও ব্রিটিশদের অবদান। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে হংকং আর ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ চা হয়ে ওঠে এক অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতি। তবে বাজারে এখন চা হরেক রকমের পাওয়া যায়। লেবু চা, কিংবা স্বাস্থ্য সচেতনদের গ্রিন টি, ব্ল্যাক টির পাশাপাশি মানুষের মনে বর্তমানে জায়গা করে নিয়েছে বাদাম চা, মালাই চা, পনির চা, মসলা চা, অপরাজিতা ফুলের চা, মাল্টা চায়ের মতো বৈচিত্র্যময় সব চা।

আজ হট টি ডে উদযাপনের জন্য আজ চায়ের দোকানে গিয়ে নতুন স্বাদের কোনো চা পরখ করে দেখতে পারেন। কিংবা ‘চা-খোর’ প্রিয় মানুষকে দিতে পারেন বাজারে আসা নতুন কোনো ব্র্যান্ডের এক প্যাকেট চা।

 কলি 

পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন
ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির কল্যাণে দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। কেনাকাটা থেকে শুরু করে পড়াশোনা-গবেষণা সবই এখন হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। ফলে মানুষের সময় যেমন বাঁচে, তেমনি থাকেন ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ। তেমনি একটি প্ল্যাটফর্ম ম্যারেজ সলিউশন বিডি ডটকম (marriagesolutionbd.com)।

এ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘরে বসে খুব সহজেই যোগ্য ও বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে বিয়েবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ৬টি শাখা রয়েছে। এছাড়া খুব শিগগিরই তাদের আরও নতুন নতুন শাখার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ অনলাইন ও অফলাইন দুই প্ল্যাটফর্মেই তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মূলত বিয়ের বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধানদাতা এবং বিয়ে সংক্রান্ত কাউন্সিলিং করাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল সেবা কার্যক্রম। এরই মধ্যে এ ফ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সফলভাবে অসংখ্য বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

কেন এমন প্রতিষ্ঠান শুরু করলেন? উত্তরে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি সৎকর্ম এবং সাদাকা। এ চিন্তা থেকেই ব্যক্তি পর্যায়ে কয়েকটি পরিবারকে বিয়ের কাজে সহযোগিতা করি। পরবর্তী সময়ে সামাজিক কল্যাণের কথা ভেবে ২০০৮ সাল থেকে এ বিষয়ে কাজ করা শুরু করি। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সব মিলিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স ১৬ বছর অতিক্রম করল।

শুভ আরও বলেন, আসলে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত কাঙিক্ষত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পাওয়া একটু কষ্টকর। মূলত সেই কষ্টকর কাজটিকেই সহজ করতে এবং একই সঙ্গে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে আমাদের প্ল্যাটফর্মে পাত্র-পাত্রীর বিশাল ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়েছি। এসব পাত্র-পাত্রীর তথ্য সাজানো হয়েছে, পেশা, ধর্ম এবং অন্যান্য বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে, যাতে আগ্রহীদের খুঁজতে সহজ হয়।

কলি