ঢাকা ৩ মাঘ ১৪৩১, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫

উষ্ণতায় শাল

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৯ পিএম
আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
উষ্ণতায় শাল
মডেল:বর্ণি, ছবি: আদিব আহমেদ

শীতের ফ্যাশনে বিভিন্ন সময় পরিবর্তন আসলেও বহুকাল ধরেই শাল ফ্যাশনে রাজত্ব করে আসছে। ঘরের কাজেই হোক আর অফিস যাওয়ার সময়ই হোক, শাল প্রচলিত শীতপোশাক। এই পোশাকে কালের ধারায় এসেছে নতুনত্ব, ফ্যাশন ধারায় এনেছে বৈচিত্র্য। আজকাল শাল এতটাই ফ্যাশনেবল যে, উৎসব-আয়োজনেও তা পরা যায় অনায়াসে। হ্যান্ড প্রিন্টের শালগুলো নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে পরতে দেখা যায়। 

শালের বাহার 
হালকা শীত থেকে শুরু করে তীব্র শীত, যেকোনো সময় নিজেকে শালে জড়িয়ে নেওয়া যায়। দেশীয় নকশা আর উপকরণে বানানো শালগুলো পাশ্চাত্য সাজপোশাকের সঙ্গেও পরা যায়। দেশভেদে চাদর পরায় রয়েছে ভিন্নতা। বাংলাদেশে গায়ে জড়িয়ে চাদর পরা হয় বেশি। পাশ্চাত্যে আকারে ছোট চাদরগুলোকে স্কার্ফের মতো করে পরা হয়। শালের মাঝে শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে উলের শালের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। এ ছাড়া খাদি কাপড়ের, সুতি কাপড়ের, সিল্ক, পশমি সুতা, আদিবাসী শাল, পশমিনা শাল, আর কাশ্মীরি শাল তো আছেই। এসব শালে আবার হাতের কাজ করা হয় খুব নিপুণভাবে। কোনো কোনো শালে পুঁতি দিয়ে, স্টোন বসিয়েও কাজ করা হয়। তা ছাড়া নানা ধরনের লেসের কাজের বাহার থাকে শাল জুড়ে। কারও কারও পছন্দের কথা মাথায় রেখে শালে প্রিন্টের কাজ করা হয়।

রঙের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে এক রঙা। তবে বর্তমান সময়ের শাল দুই রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। এতে খুব সহজেই এক পাশ ভাঁজে রেখে অন্য পাশ ব্যবহার করা যাবে এবং নতুনত্বের ছোঁয়া পাওয়া যাবে। অন্যদের চেয়ে আলাদা দেখাতে ভিন্ন ধাঁচের রং বেছে নিতে সুন্দর এসব শালে সাজতে পারেন নানাভাবে। এ ছাড়া শালের রং নির্বাচনের ক্ষেত্রে কালো, খয়েরি, কমলা, ম্যাজেন্টা, বাদামি, নীল রঙের বেশি দেখা যায়। এসব শাল বেশ নরম, ব্যবহারে ফ্যাশেনেবল আর সহজে নিজের সঙ্গে বহন করা যায় বলে শীতের সময় শালের চাহিদা থাকে অন্যসব শীতের পোশাকের থেকে বেশি। তবে এক্ষেত্রে রং, নকশা, কারুকাজের পাশাপাশি ওমের বিষয়ে নজর দিতে হবে। তবেই মিলবে ফ্যাশন আর স্টাইলের পাশাপাশি বাড়তি উষ্ণতা।

নতুনত্বে আভিজাত্য
বর্তমানে হ্যান্ড প্রিন্টের শাল সব বয়সী নারীর কাছে বেশ জনপ্রিয়। শাড়ি, কামিজ বা জিনস, টপ- সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই মানিয়ে যায় বলে এর চাহিদা ব্যাপক। হ্যান্ড প্রিন্টের শালগুলোয় কালো, মেরুন বা নীল রং ছাপিয়ে ফ্যাশন ধারায় উঠে এসেছে হালকা বেগুনি, সি-গ্রিন, পিচ গোলাপি, জলপাই-সোনালি, পেস্ট, সর্ষে-হলুদ, হালকা ছাই রং আর সুরমা রং। একটু ভিন্ন ধারার শাল নকশা করেছেন লিনা’স সিগনেচার নামে ফেসবুকের ফ্যাশন ব্র্যান্ডটি। লিনা’স সিগনেচারের স্বত্বাধিকারী নাজমুন নাহার লিনা জানান নিজ হাতে পেইন্ট করা শখ অনেক আগে থেকেই। এই শীতে তিনি বিভিন্ন ডিজাইনের শাল নকশা করেছেন।

তার ডিজাইনে ফুলের প্রাধান্য বেশি থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সাদা, লাল, গোলাপি, কচি সবুজ, ম্যাজেন্টা রঙের ভিসকস কাপড়ের ওপর আকাশি, বেগুনি, বাঙ্গি, গোলাপি, ইন্ডিগো ব্লু, হরিতকির সোনালি, জলপাই রং দিয়ে শালগুলোয় ফুলেল নকশা ফুটিয়ে তুলেছেন হ্যান্ড প্রিন্টের মাধ্যমে। যা যেকোনো পোশাকের সঙ্গে পরলে সাধারণ পোশাকও হয়ে উঠতে পারে জমকালো। দেশীয় হালকা নকশার বা একরঙা শালগুলো ঘরের পাশাপাশি ঘুরতে যাওয়া বা কর্মক্ষেত্রে খুব সহজে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া বিয়ে বা জমকালো যেকোনো পার্টির ক্ষেত্রে শালগুলো গর্জিয়াস লাগবে। 

ফেসবুকে LinA's Signature পেজে পেয়ে যাবেন একেবারে আলাদা ধরনের শালগুলো। ভিসকস সফট শালগুলো ডিজাইন ও সাইজ ভেদে বিভিন্ন  দামের হয়ে থাকে। শালগুলো ১৫৫০ থেকে ২৪৭০ টাকার মধ্যে পরবে। হ্যান্ড পেইন্টের এই শালগুলো রঙ ও ডিজাইন অনুযায়ী কাস্টমাইজ করার সুবিধা রয়েছে।

 কলি 

আর্কা ফ্যাশন উইক শুরু আজ

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ এএম
আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:১৪ পিএম
আর্কা ফ্যাশন উইক শুরু আজ
আর্কা ফ্যাশন উইকের উদ্বোধনী দিনের থিম ছিল ডেমিন। ফ্ল্যাশ রানওয়েতে ক্যাটওয়ার করেন ডেমিন পোশাকে মডেলরা। ছবি: আদিব আহমেদ

দেশের ফ্যাশন শিল্পের বিস্তৃতি আর নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার বিন্যাসের লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর্কা ফ্যাশন উইক-২০২৫। 

বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়াির) শুরু হতে যাচ্ছে ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসর। রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে চার দিনব্যাপী এই আয়োজন। 

সম্প্রতি আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ‘আর্কা ফ্যাশন উইক’-এর প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, “এবারের আয়োজনের নতুন বিষয় হলো ‘মাস্টারক্লাস’। ফ্যাশনবিষয়ক এই ওয়ার্কশপে প্রতিটি সেশনে থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন তরুণ ডিজাইনার। দেশীয় পোশাক ডিজাইনারদের নানান সংগ্রহ মেলে ধরতে এই আয়োজনে থাকছে ফ্যাশন শো। শুধু একটা পোশাকের মেলা নয়, ফ্যাশন-সম্পর্কিত সব ধরনের বৈচিত্র্যময় আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের আসরে যথারীতি থাকছে ‘মার্কেটপ্লেস’। যেখানে মিলবে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনের সব ধরনের অনুষঙ্গ।”

আসাদ সাত্তার আরও জানান, এবারের আয়োজনের মধ্যে আরও থাকছে ডিজাইন ল্যাব, ফ্ল্যাশ ও রানওয়ে। আয়োজনের দ্বিতীয় দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে কনসার্ট। দর্শকদের জন্য থাকবে ফুডজোন।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য, মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘এবার প্রায় ৬০০ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১০০ জনকে বাছাইয়ের পর চূড়ান্তভাবে ২৫ জন নতুন মডেলকে উপস্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচিত মডেলদের উপস্থাপনাও দেখা যাবে।’

আয়োজক সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান আর্কা ফ্যাশন উইকের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বলেন, “এবার চার দিন চারটি বিষয়বস্তুকে উপজীব্য করে আয়োজনের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। সেগুলো হলো, প্রথম দিন ‘ডেনিম’, দ্বিতীয় দিন ‘মডার্ন কনটেম্পোরারি’, তৃতীয় দিন ‘ফিউশন’ এবং চতুর্থ দিন ‘সাস্টেইনেবিলিটি’।” 

উৎসবে আজ বেলা সাড়ে ৩টায় থাকছে ফ্ল্যাশ রানওয়ে। দ্বিতীয় দিন থেকে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত থাকছে বাংলা পাংক, আমি ঢাকা, আমিরা, ঢং, তাশা, অরণ্য ইত্যাদি প্রায় ২৫টি ব্র্যান্ডের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো। এতে জুনিয়র-সিনিয়র ডিজাইনাররা যেমন তাদের নতুন সংগ্রহ উপস্থাপন করবেন, তেমনি ‘স্টুডেন্ট রানওয়েতে’ নবীন ও প্রতিভাধর অনেক ফ্যাশনিস্তা নিজেদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

আয়োজকরা জানান, এবারের আসরের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে ‘মাস্টারক্লাস’। এটি মূলত একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ স্পেস। ধারণাটি হলো, এখানে যে কেউ আসবেন একটি ক্যানভাস কেনার মতো করে। আর এই ক্যানভাস হতে পারে প্লেইন টি-শার্ট, টুপি, টোট ব্যাগ বা স্কার্ফের মতো পণ্য। এরপর সেই ক্যানভাসে তারা ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডপেইন্ট, অ্যাপলিক আর প্যাচওয়ার্কের মতো কোনো না কোনো মাধ্যমে ভ্যালু অ্যাড করে নিতে পারবেন নিজের মতো করে।

আয়োজকরা জানান, গত দুই আসরে ‘মার্কেটপ্লেস’ ঘিরে তরুণদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, এবারও যার ব্যত্যয় ঘটবে না। এখানে অংশগ্রহণকারীদের বেশির ভাগই মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ব্র্যান্ড। নিজেদের প্রকাশের সুযোগ এরা সব সময় পায় না। এই ব্যবধান দূর করে বাংলাদেশের অনন্য সব স্থানীয় ব্র্যান্ডকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার প্রচেষ্টা ফুটে ওঠে আর্কা ফ্যাশন উইকে। একই সঙ্গে চার দিনের এই আয়োজনে সীমিত পরিসরে সংযোজন করা হয়েছে ট্যাটু, মেহেদি, ফেসপেইন্টিং বা মেকওভারের আয়োজন। 

আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৫ পিএম
আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে বৃহস্পতিবার
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফ্যাশন শিল্পের বিস্তৃতি আর নতুন প্রজন্মের চিন্তাধারার বিন্যাসের লক্ষ্য নিয়ে চলতি বছর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫। এই ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের পর্দা উঠবে আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)।

রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোডে অবস্থিত আলোকি কনভেনশন সেন্টারে সকাল ১১ থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে চারদিনব্যাপী এই আয়োজন। 
ফ্যাশন উইক উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আলোকি কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ‘আর্কা ফ্যাশন উইক’র প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার বলেন, এবারের আয়োজনের নতুন বিষয় হল ‘মাস্টারক্লাস’। ফ্যাশন বিষয়ক এই ওয়ার্কশপে প্রতিটি সেশনে থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন তরুণ ডিজাইনার। 

আর্কা ফ্যাশন উইক ২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন প্রতিষ্ঠাতা আসাদ সাত্তার। ছবি: খবরের কাগজ

তিনি আরও বলেন, দেশীয় পোশাক ডিজাইনারদের নানান সংগ্রহ মেলে ধরতে আয়োজনে থাকছে ফ্যাশন শো। শুধু একটা পোশাকের মেলা নয়, ফ্যাশন সম্পর্কিত সব ধরনের বৈচিত্র্যময় আয়োজন নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া এবারের আসরে যথারীতি থাকছে ‘মার্কেটপ্লেস’। যেখানে মিলবে লাইফস্টাইল ও ফ্যাশনের সব ধরনের অনুষঙ্গ। আয়োজনের মধ্যে আরও থাকছে- ডিজাইন ল্যাব, ফ্ল্যাশ রানওয়ে, আয়োজনের দ্বিতীয় দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত কনসার্ট, ফুডজোন ইত্যাদি।

আয়োজক কমিটি’র অন্যতম সদস্যা, মডেল ও কোরিওগ্রাফার আজরা মাহমুদ এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, এবার প্রায় ৬শ’ আবেদনকারীর মধ্য থেকে ১শ’ জন বাছাই করে চূড়ান্তভাবে ২৫ জন নতুন মডেল উপস্থাপন করা হচ্ছে। পাশাপাশি পরিচিত মডেলদের উপস্থাপনাও দেখা যাবে।

আয়োজক সদস্য ও সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সাইফুর রহমান আর্কা ফ্যাশন উইক’ ২০২৫-এর সার্বিক বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এবার চারদিন চারটি বিষয়বস্তু ধরে আয়োজনের সমন্বয় সাধন করা হয়েছে। সেগুলো হল- প্রথম দিন ‘ডেনিম’, দ্বিতীয় দিন ‘মডার্ন কনটেম্পোরারি’, তৃতীয় দিন ‘ফিউশিন’ এবং চতুর্থ দিন ‘সাস্টেইনেবিলিটি’। 

উৎসবের প্রথম দিন বেলা সাড়ে ৩টায় থাকছে ফ্ল্যাশ রানওয়ে। দ্বিতীয় দিন থেকে একেবারে শেষ দিন পর্যন্ত থাকছে বাংলা পাংক, আমি ঢাকা, আমিরা, ঢং, তাশা, অরণ্য ইত্যাদি প্রায় ২৫টি ব্র্যান্ডের অংশগ্রহণে ফ্যাশন শো। 

এখানে জুনিয়র-সিনিয়র ডিজাইনাররা যেমন তাদের নতুন সংগ্রহ উপস্থাপন করবেন, তেমনি ‘স্টুডেন্ট রানওয়েতে’ নবীন ও প্রতিভাধর অনেক ফ্যাশনিস্তা নিজেদের কাজ তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

এবারের আসরের অন্যতম আকর্ষণ হতে যাচ্ছে ‘মাস্টারক্লাস’। এটি মূলত একটি ইন্টারঅ্যাকটিভ স্পেস। ধারণাটি হলো, এখানে যে কেউ আসবেন একটি ক্যানভাস কেনার মতো করে। আর এই ক্যানভাস হতে পারে প্লেইন টি-শার্ট, টুপি, টোট ব্যাগ বা স্কার্ফের মতো পণ্য। এরপর সেই ক্যানভাসে তারা ব্লক প্রিন্টিং, স্ক্রিন প্রিন্টিং, হ্যান্ডপেইন্ট, অ্যাপলিক আর প্যাচওয়ার্কের মতো কোনো না কোনো মাধ্যমে ভ্যালু অ্যাড করে নিতে পারবেন নিজের মতো করে।

গত দুই আসরে ‘মার্কেটপ্লেস’ ঘিরে তরুণদের ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে, এবারও যার ব্যত্যয় ঘটবে না। এখানে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মূলত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বা ই-কমার্স ও এফ-কমার্স ব্র্যান্ড। নিজেদের প্রকাশের সুযোগ এরা সব সময় পায় না। এই ব্যবধান দূর করে বাংলাদেশের অনন্য সব স্থানীয় ব্র্যান্ডকে একটি প্ল্যাটফর্ম দেওয়ার প্রচেষ্টা ফুটে ওঠে আর্কা ফ্যাশন উইকে।

এছাড়াও থাকছে সীমিত পরিসরে ট্যাটু, মেহেদি, ফেসপেইন্টিং বা মেকওভারের আয়োজন। ফুড জোন আর প্রতিদিন রাত আটটার পর কনসার্ট। 

হাসান

আজ ‘গরম চা’ দিবস

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:১৫ পিএম
আজ ‘গরম চা’ দিবস
ছবি: এ আই

চা পান বাঙালি জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালিরা চা ছাড়া একটি দিনেও ভাবতে পারেন না। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর এক কাপ ধূমায়িত চা দিয়ে বহু মানুষের দিন শুরু হয়। এ ছাড়া বন্ধু বা পরিবারের সবার সঙ্গে আড্ডার হুল্লোড়েই হোক আর পাড়ার মোড়ে বা গ্রামের বাজারে উত্তপ্ত রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে, চায়ের কাপে ঝড় তোলে।

চা মূলত চীনা ‘টেই’ শব্দ থেকে ‘চা’ শব্দটির উদ্ভব হয়েছে বলে অনেকে মনে করে থাকেন। বিভিন্ন তথ্যের আলোকে বলা যায়, চীনা ইতিহাসবিদ চেন শৌ (২৩৩-২৯৭) তার ‘স্যান কুহ চিহ’ নামের ইতিহাসগ্রন্থে চায়ের প্রথম উল্লেখ করেছিলেন। চীনা সংস্কৃতির সঙ্গে চা-সংস্কৃতি জড়িয়ে আছে সুদূর অতীতকাল থেকে। পৃথিবীব্যাপী গরম কড়া পানীয় হিসেবে চায়ের কদর অনেক দিন ধরেই বজায় আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে- গরম চায়ের জন্যও দিবস রয়েছে। ১২ জানুয়ারি বিশ্বের অনেক দেশে গরম চা দিবস বা হট টি ডে পালিত হয়। ১৯৫০ যুক্তরাষ্ট্রের চা কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর ২০১৬ সালে এই কাউন্সিল হট টি ডে প্রচলন করে।

প্রাচীন ইতিহাস বলে প্রায় ৫ হাজার বছর আগে চীনা এক সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নিচে বসেছিলেন। তখন বাগান থেকে উড়ে আসা একটা পাতা পড়ে সেই গরম পানিতে। সম্রাট খেয়াল করে দেখেন, পাতাটা পড়ার পর পানির রং বদলে সুন্দর লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। সেখান থেকে মিষ্টি একটা সুগন্ধও বেরোচ্ছে। এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের নিবিড় বন্ধন গড়ে ওঠে, আজও কফি, এনার্জি ড্রিংক বা অন্য কোনো লোভনীয় পানীয় এ সম্পর্কে চিড় ধরাতে পারেনি।  

ইউরোপে ১৬০০-এর দশকে ইংল্যান্ডের মানুষ এই সুস্বাদু পানীয়টির প্রেমে পড়তে শুরু করেন এবং এটি আধুনিক শ্রেণির জনপ্রিয় পানীয় হয়ে উঠতে শুরু করে। ভারতীয় উপমহাদেশ তথা আমাদের বাংলাদেশে চা বাগান ও চা-শিল্প প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ব্রিটিশরাজের উদ্যোগে। এ ছাড়া দুধ-চা পান করার সংস্কৃতিও ব্রিটিশদের অবদান। পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ উপনিবেশ হিসেবে হংকং আর ভারতীয় উপমহাদেশে দুধ চা হয়ে ওঠে এক অবিচ্ছেদ্য সংস্কৃতি। তবে বাজারে এখন চা হরেক রকমের পাওয়া যায়। লেবু চা, কিংবা স্বাস্থ্য সচেতনদের গ্রিন টি, ব্ল্যাক টির পাশাপাশি মানুষের মনে বর্তমানে জায়গা করে নিয়েছে বাদাম চা, মালাই চা, পনির চা, মসলা চা, অপরাজিতা ফুলের চা, মাল্টা চায়ের মতো বৈচিত্র্যময় সব চা।

আজ হট টি ডে উদযাপনের জন্য আজ চায়ের দোকানে গিয়ে নতুন স্বাদের কোনো চা পরখ করে দেখতে পারেন। কিংবা ‘চা-খোর’ প্রিয় মানুষকে দিতে পারেন বাজারে আসা নতুন কোনো ব্র্যান্ডের এক প্যাকেট চা।

 কলি 

পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
পাত্র-পাত্রীর খোঁজে ম্যারেজ সলিউশন
ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তির কল্যাণে দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। কেনাকাটা থেকে শুরু করে পড়াশোনা-গবেষণা সবই এখন হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে। ফলে মানুষের সময় যেমন বাঁচে, তেমনি থাকেন ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ। তেমনি একটি প্ল্যাটফর্ম ম্যারেজ সলিউশন বিডি ডটকম (marriagesolutionbd.com)।

এ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘরে বসে খুব সহজেই যোগ্য ও বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি পাওয়া যাবে বিয়েবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ৬টি শাখা রয়েছে। এছাড়া খুব শিগগিরই তাদের আরও নতুন নতুন শাখার কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। অর্থাৎ অনলাইন ও অফলাইন দুই প্ল্যাটফর্মেই তাদের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। মূলত বিয়ের বিশ্বস্ত পাত্র-পাত্রীর সন্ধানদাতা এবং বিয়ে সংক্রান্ত কাউন্সিলিং করাই এ প্রতিষ্ঠানের মূল সেবা কার্যক্রম। এরই মধ্যে এ ফ্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সফলভাবে অসংখ্য বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে।

কেন এমন প্রতিষ্ঠান শুরু করলেন? উত্তরে ম্যারেজ সলিউশন বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন শুভ বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন ও ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি একটি সৎকর্ম এবং সাদাকা। এ চিন্তা থেকেই ব্যক্তি পর্যায়ে কয়েকটি পরিবারকে বিয়ের কাজে সহযোগিতা করি। পরবর্তী সময়ে সামাজিক কল্যাণের কথা ভেবে ২০০৮ সাল থেকে এ বিষয়ে কাজ করা শুরু করি। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়। সব মিলিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বয়স ১৬ বছর অতিক্রম করল।

শুভ আরও বলেন, আসলে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য দ্রুত ও ঝামেলামুক্ত কাঙিক্ষত পাত্র-পাত্রীর সন্ধান পাওয়া একটু কষ্টকর। মূলত সেই কষ্টকর কাজটিকেই সহজ করতে এবং একই সঙ্গে বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে আমাদের প্ল্যাটফর্মে পাত্র-পাত্রীর বিশাল ভান্ডার নিয়ে হাজির হয়েছি। এসব পাত্র-পাত্রীর তথ্য সাজানো হয়েছে, পেশা, ধর্ম এবং অন্যান্য বৈচিত্র্যের ভিত্তিতে, যাতে আগ্রহীদের খুঁজতে সহজ হয়।

কলি

 

আঙুর খাওয়ার উপকারিতা

প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আঙুর খাওয়ার উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

শীতকালীন ফলের ভেতর সবার পছন্দের ফল আঙুর। এই ফল শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়। বরং রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। আঙুর খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা জেনে নিন এই লেখায়।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য
আঙুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। বিশেষ করে আঙুরে থাকা রেসভেরাট্রল উপাদান হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়া কালো আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশী শক্তিশালী করে ও রক্ত সঞ্চালন ঘটায়। এ ছাড়া শরীরে কোলেস্টরল কমাতেও সাহায্য করে আঙুর ফল।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা
আঙুরে রয়েছে ভিটামিন এ, কে সি, বি ১, বি ৬, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। এসব উপাদানই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। এ ছাড়া এগুলো ইনফেকশন প্রতিরোধেও সহায়তা করে। নিয়মিত আঙুর খেলে শরীরে অনেক রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। শীতকালে আমরা ঠাণ্ডাজনিত অনেক রোগে আক্রান্ত হই। এসব রোগ প্রতিরোধে কিংবা শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে আঙুর কার্যকরী।

বার্ধক্য কমায়
আঙুরে বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। ত্বকের কোষ পুনর্গঠন করে ও ত্বক টানটান করে। ফলে সহজে ত্বকে বলিরেখা পড়ে না। এ ছাড়া আঙুরে থাকা ফাইটো কেমিক্যাল ও ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

ক্যানসার প্রতিরোধক
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে আঙুরের মধ্যে এমন সব উপাদান রয়েছে যেগুলো ক্যানসার কোষ সৃষ্টিকারী উপাদানকে প্রতিহত করে। নারীদের জন্য আঙুর ফল বিশেষ উপকার‌ী। আমাদের দেশে নার রোগীদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের অবস্থান দ্বিতীয়। স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে আঙুর খেতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

চোখের স্বাস্থ্য
যাদের চোখের সমস্যা রয়েছে তারা খাদ্যতালিকায় আঙুর রাখুন। এই ফলে আছে ভিটামিন এ এবং ক্যালসিয়াম, যা চোখের জন্য উপকারী। আঙুর চোখের দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

মস্তিষ্কের উর্বরতা
আঙুরে আছে এমন এক উপাদান যা মস্তিষ্কের উর্বরতা বৃদ্ধি করে। এই ফলে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডস আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সঙ্গে নিয়মিত আঙুর খেলে স্মৃতিশক্তি ভালো হয়।

ডিটক্সিফিকেশন
ডিটক্সিফিকেশন মূলত শরীর থেকে টক্সিন বা বর্জ্য পদার্থ করার উপায়। আঙুরে থাকা পানি শরীরকে হাইড্রেট করে এবং শরীরকে পরিশোধিত করে। তা ছাড়া এই ফলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের বর্জ্য পরিশোধনে কাজে লাগে।

 কলি