ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

ফ্যাশনে নতুন রূপ

প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪২ পিএম
আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:১৭ পিএম
ফ্যাশনে নতুন রূপ
মডেল: আসিন, পোশাক: ক্লাব হাউজ, ছবি: আদিব আহমেদ

২০২৪ সাল শেষ হতে চলেছে, এ বছর দেশীয় ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এবং আন্তর্জাতিক ফ্যাশন জগতে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এবং পোশাকে নতুন ট্রেন্ড দেখা গেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানেরর পর  পোশাকে ফুটে উঠেছিল প্রতিবাদের ভাষা। যা বাংলাদেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে। এছাড়া আরামদায়ক ফ্রেবিকে উজ্জ্বল রঙের পোশাকের আধিপত্য দেখা গেছে।  চলতি ধারার পোশাকের ফ্যাশনের ডিজাইন ও মোটিফ নিয়ে হয়েছে বিভিন্ন কাটাছেঁড়া। 

                                                             হ্যান্ড পেইন্টের শাড়ি 

শাড়িতে বিভিন্নতা

শাড়ির প্রতি নতুন প্রজন্মের আগ্রহ এবং শাড়িকে নতুন আঙ্গিকে পরার ধারা দেখা গেছে। নতুন প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোর ডিজাইনাররা বিভিন্ন ডিজাইনে শাড়ি নকশা করেছিলেন। কাপড়ের বুনন ও নকশায় এনেছে বৈচিত্র্য। রঙের ব্যবহারে ছিল নতুনত্ব। সুতির শাড়িতে হাতের কাজ, মেশিনের কাজ, স্ক্রিন বা ব্লক প্রিন্ট, হ্যান্ড পেইন্ট নকশা আলোচনায় ছিল বছরজুড়ে। এমনকি ফ্লোরাল ও জিওমেট্রিক প্যাটার্নও শাড়ির জমিনে জনপ্রিয়তা  অনেক বেড়ে গিয়েছিল। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পরার জন্য মসলিন শাড়ির কদর  লক্ষ্য করা গেছে। এবারের শাড়িতে সুতি, লিনেন, ভয়েল, স্লাব, ভিসকসের মতো আরামদায়ক ফেব্রিক ব্যবহার করে ফ্লোরাল প্রিন্ট, ট্রপিক্যাল প্রিন্ট, আবার ছিমছাম পলকা ডট কিংবা সাধারণ জ্যামিতিক মোটিফ ফুটে উঠেছিল।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পর  ফ্যাশন 

আমাদের ফ্যাশনে জুলাইয়ের পর যুক্ত হয়েছে গণআন্দোলন অনুপ্রাণিত পোশাক। যা আমাদের শিখিয়েছে, ফ্যাশন শুধু বাহ্যিক স্টাইল নয়, এটি পরিবেশ এবং মানুষের প্রতি দায়িত্বশীলতারও প্রতীক। আমাদের দেশের ডিজাইনাররা মোটিফ তুলে ধরেছেন  জুলাইয়ের আন্দলনের শহিদদের রঙিন পোর্ট্রেট, আন্দোলনে নিহতদের বিভিন্ন ডায়ালগ গুলো রিকশা পেইন্ট এবং গামছার মতো ঐতিহ্যবাহী উপকরণে মাধ্যমে  তুলে ধরা হয়েছে।  

                                                       নতুন রূপে খাদি

সাসটেইনেবল ফ্যাশন

এ বছর আমাদের দেশে সাসটেইনেবল ফ্যাশনের দিকে মনোযোগ বেড়েছে। সাসটেইনেবল ফ্যাশন এবং লোকশিল্পের পুনরুত্থানের মতো বিষয়গুলো বারবার উঠে এসেছে দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলোর ক্যাম্পেইনগুলোতে। পাশাপশি আমাদের কারুশিল্পের প্রতি বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। দেশের অনেক ডিজাইনাররা টেকসই ও পরিবেশবান্ধব উপকরণ নিয়ে পোশাক ডিজাইন করেছে।  সেইসঙ্গে জামদানি, নকশিকাঁথা, রাজশাহী সিল্ক এবং খাদি নিয়ে নতুন ভাবে কাজ করছেন । আন্তর্জাতিক মঞ্চে জামদানি ও নকশিকাঁথাকে তুলে ধরেতে দেখা গেছে। যা আমাদের জন্য ছিল গর্বের বিষয়। 

জেন-জিদের নতুন পোশাক 

হালে বিশ্বজুড়ে জেন-জি প্রজন্ম বদলে দিচ্ছে ফ্যাশনের সংজ্ঞা, পোশাকের পরিভাষা। ভিনটেজ, রেট্রো, অতিরিক্ত বড় আকারের পোশাক এবং টেকসই কাপড়ের মধ্য দিয়ে বৈচিত্র্যকে উপস্থাপন করেছে। লিঙ্গ নিরপেক্ষ পোশাকের চাহিদা বেড়েছে। পোশাকে নারী-পুরুষের সীমানা মুছে দিচ্ছে তারা। এটাও ফ্যাশনের নতুন ধারা। তাদের পোশাক, জুতা, অনুষঙ্গ- সবকিছুতেই দেখা গেছে আশির দশকের প্রভাব। ফিউশন, ইউনিসেক্স কিংবা কিছুটা ওল্ড স্কুল ফ্যাশন সবই ছিল এ বছরে জেন-জি ফ্যাশনের অন্তর্ভুক্ত। 

                                                         জেন জি ট্রেন্ড

ঢিলেঢালা এবং ওভারসাইজড ফ্যাশন

এ বছরও ঢিলেঢালা পোশাক ট্রেন্ডে ছিল। কামিজ বা কুর্তিতে ওভারসাইজড বা ফ্রি সাইজ ছিল ফ্যাশনের আরেক নাম। পোশাকে কমফোর্ট খোঁজেন যারা, তাদের জন্য ওভারসাইজড পোশাক ছিল পছন্দের ফ্যাশন। সামনে কুচি দেওয়া ফ্রক প্যাটার্নের ঢিলা পোশাক, কাফতান বা কুর্তিতে স্বাচ্ছন্দ্য খুঁজে নিয়েছেন ফ্যাশন সচেতনরা। 

কো-অর্ডের আধিপত্য 

পোশাকের ফ্যাশনধারায় এ বছর কো-অর্ড সেট বেশ জনপ্রিয় ছিল। স্টাইল ফ্যাশন দুনিয়ায় কো-অর্ড সেট ছিল বেশ রমরমা। কো-অর্ড নতুন কিছু নয়। তবে সময়ের সঙ্গে বদলেছে শুধু প্যাটার্ন আর কাট। সাদা, বেবি পিংক, আকাশি, ধূসর, হলুদ বা যেকোনো প্যাস্টেল শেডের কো-অর্ডগুলোয় দেখা গেছে নিত্যনতুন সব রূপ।

নকশায় আধুনিকতা 

এ বছরের পোশাকের নকশা বা প্যাটার্নে নানা ধরনের ধারা দেখা গেছে। পাঞ্জাবি ও কামিজের প্যাটার্নে পরিবর্তন বিশেষ লক্ষণীয়। ট্র্যাডিশনাল মোটিফে সমসাময়িক আধুনিক প্যাটার্নে কাজ হয়েছে। শাড়িতে বুননে, সারফেস অর্নামেন্টেশন ও লে-আউটে, মোটিফের ব্যবহার এবং কালারের বিন্যাসে বৈচিত্র্য ছিল। আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো যার যার নিজস্ব ধারা ব্যবহারে করে স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্যের পোশাক ডিজাইন করেছে। যা বিভিন্ন উৎসবে নিয়ে এসেছিল উৎসবের আমেজ। 

                                                         ফলের রঙের পোশাক 

উজ্জ্বল রঙের প্রাধান্য

পুরো বছর ধরে উজ্জ্বল রঙের রাজত্ব করতে দেখা গেছে। ক্যাজুয়াল থেকে বিয়ের পোশাক- সবকিছুতেই দেখা গেছে উজ্জ্বল উপস্থিতি। লাল, সাদা ও বাসন্তী এ ধরনের চিরাচরিত রংগুলোর বাইরে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত রংগুলোর ঝলকও দেখা গেছে। এ ছাড়া ছেলেমেয়েদের পোশাকে প্যাটার্নের ওপর ভিত্তি করেও অনেক নকশা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ বছর প্রিন্টের পাশাপাশি এমব্রয়ডারির কাজ বেশ দেখা গেছে।  

ম্যাচিং পোশাক

দুজনে মিলিয়ে পোশাক পরার ফ্যাশন পুরোনো। তবে এবারও বিশেষ উৎসবে জুটি বেঁধে পোশাক পরতে দেখা গেছে। কখনো রং মিলিয়ে তো কখনো মিল নকশায়, মোটিফে। আবার বৈপরীত্যেও মিল খুঁজে পেয়েছেন অনেক ডিজাইনার। শুধু যে দুজনেই সীমাবদ্ধ ছিল তা না, পরিবারের সবাই মিলে, বন্ধুরা কিংবা সহকর্মীরা মিলেও একই রকম পোশাক পরতে দেখা গেছে। 

কুর্তি ও টপস

দেশীয় পোশাকে বিদেশি বিভিন্ন নকশা, কাট ও প্যাটার্নের ফিউশন পোশাক ছিল। টপস, কাফতান, জিন্স, টি-শার্ট, ফিউশনের মতো পোশাকগুলো বছরজুড়ে ছিল আলোচনায়। হালকা ও উজ্জ্বল রঙের সংমিশ্রণে তৈরি এ পোশাকগুলো তাদের স্টাইলিশ বৈচিত্র্যের জন্য সবার নজর কেড়েছে। ক্লাস, আড্ডা, হ্যাংআউট, টিউশন, বেড়ানো– সব পরিবেশে সহজে পরা যায় বলে সবাই, এমন পোশাকেই সাচ্ছন্দ্য বোধ  করেছে। এছাড়া  পালাজ্জোর সঙ্গে লং, শর্ট বা রাউন্ড যেকোনো কুর্তি ছিল আকর্ষণের কেন্দ্র। স্কার্ট পালাজ্জো, হারেম প্যান্ট, পাতিওয়ালা সালোয়ার ইত্যাদি সব ধরনের প্যান্ট ট্রেন্ডে ছিল।

                                                   বিভিন্ন কাটের পায়জামা 

ভিন্ন কাটের স্কার্ট

স্কার্ট জনপ্রিয় অনেক আগে থেকেই। স্কার্টে দেখা যাচ্ছে নতুন রূপ। জায়গা বুঝে সহজে মানিয়ে যায় বলে স্কার্ট সব বয়সী মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় পেয়েছে। স্কার্টের সঙ্গে টি-শার্ট, ফতুয়া তো পরা হয়ই- বাড়তি আকর্ষণ যোগ করেছিল বিভিন্ন কাটের কামিজ। স্কার্ট পোশাক হিসেবে আরামদায়ক। স্কার্টের মধ্যে বোহেমিয়ান বা জিপসি স্কার্ট বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। এগুলোর ঘের ও কুঁচি বেশি থাকায় খাটো টপের সঙ্গে ভালো মানিয়ে গেছে। 

ম্যাক্সিমালিজমের রাজত্ব

বিশ্বে মিনিমালিজম পোশাক  রাজত্ব করেছে দীর্ঘদিন। এই বছর মিনিমালিজম পোশাকের ট্রেন্ড নতুন ভাবে দেখা গেছে। মিনিমালিজমের পাশাপাশি  ম্যাক্সিমালিজমের পোশাক নিয়ে এসেছিল নতুনত্ব । উৎসবের তো বটেই, দৈনন্দিন পোশাকও মুখর ছিল ম্যাক্সিমালিজমে। টেকসই তত্ত্বের যোগাযোগের খোঁজ পাওয়া যায় মিনিমালিস্টিক ফ্যাশনের সঙ্গে। 

পুরোনো কাপড় পুনর্ব্যবহার

আমাদের দেশে পুরোনো কাপড় দিয়ে পোশাক বানানো নতুন কিছু নয়। তবে বিশ্ব ফ্যাশনে পুরোনো কাপড় নতুন কবে ব্যবহার বেশ দেখা গেছে। ফলে আমাদের দেশে তরুণ উদ্যোক্তারা পুরোনো কাপড় পুনর্ব্যবহার করে নতুন পোশাক তৈরি করছেন। পুরোনো জামাকাপড় দিয়ে শার্ট, গাউন, টপস, ফতুয়া বানিয়ে পোশাকে নিয়ে এসেছিল নতুনত্ব।

পায়জামার নতুনত্ব

পায়জামার হেমলাইন, নকশা এবং কাটছাঁটেও এসেছিল পরিবর্তন। ঘেরওয়ালা পায়জামা বা ধুতি-পায়জামা তো বটেই, সোজা কাটের পায়জামা ও পালাজ্জোর মতো ঢিলেঢালা পায়জামায় দেখা গেছে। পালাজ্জোতে স্কার্টের মতো ঘের, কম ঘের ও মাঝামাঝি ঘের রেখে ডিজাইন করা হয়েছিল। কয়েক স্তরের কুঁচি দেওয়া সারারা ছাড়াও ডিজাইন করা হয়েছে বায়াস কাটের সারারা। এ ছাড়া কুঁচি দেওয়া একাধিক স্তরের পায়জামা ডিজাইন করা হয়েছে,  যা ছিল খুবই ফ্যাশনেবল।

 কলি

 

 

ঈদের দিনের রেসিপি

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:২০ পিএম
ঈদের দিনের রেসিপি
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। ঈদের  সময় অতিথি আপ্যায়নে কিংবা পরিবারের সদস্যদের জন্য নানা পদের রান্নার আয়োজন থাকে। 

চিকেন সালাদ 

উপকরণ
শসা ২ কাপ, গাজর ১ কাপ, টমেটো ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, চাট মসলা ১ চা চামচ, চিনা বাদাম আধা কাপ, লবণ ও বিট লবণ আধা চা চামচ করে, চিকেন ভাজা ১ কাপ, লেবুর রস ১ চা চামচ, চিনি আধা চা চামচ। 

চিকেনের জন্য 
জুলিয়ান কাট চিকেন ১ কাপ, আদাও রসুন বাটা ১ চা চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া আধা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, ডিম অর্ধেকটা, সয়াবিন তেল ভাজার জন্য।

ভাজার প্রণালি 
ডিম, কর্নফ্লাওয়ার ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে ডিম, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে আবারও হালকা করে মাখিয়ে গরম তেলে একটা একটা ছেড়ে সব একসাথে ভেজে নিন। হয়ে গেল চিকেন ভাজা।

প্রণালি
সব সবজি জুলিয়ান কাট করে কেটে নিন। পরে সবজি, লবণ, চিনি লেবুর রস, বাকি মসলা, চিকেন ভাজা, চাট মসলা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল চিকেন দিয়ে সালাদ মাখা।

বাদাম, খেজুর ভরা দুধ সেমাই

উপকরণ 
দুধ ২ লিটার, চিনি দেড় কাপ, চিকন হলুদ সেমাই ১ কাপ, এলাচ ও দারুচিনি ৩-৪ টা করে, জাফরান সামান্য, কাঠ বাদাম ৪ টেবিল চামচ, খেজুর ৪টি, পেস্তা বাদাম ২ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ৪ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ। 

প্রণালি
হাঁড়িতে দুধ ফুটে উঠলে চিনি দিন। পরে এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন। কড়াইয়ে চিকন হলুদ সেমাই ভেজে ধুয়ে নিন। পরে গরম দুধে সেমাই দিয়ে নেড়ে রান্না করুন ঘন হওয়ার আগ পর্যন্ত। তারপর ঘি, বাদাম, জাফরান দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন। এবার সার্ভিং ডিশে রেখে খেজুর, বাদাম, জাফরান ছড়িয়ে নরমাল ফ্রিজে রাখুন। তৈরি হয়ে গেল বাদাম, খেজুর ভরা দুধ সেমাই।

বোরহানি

উপকরণ
টক দই ১ কেজি, ধনে ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, পোস্তদানা ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, বিট লবণ আধা চা চামচ, পুদিনা পাতা বাটা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১/৪ কাপ, লবণ, স্বাদ মতো পানি, ২ কাপ বরফ কুচি ১ কাপ। 

প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে চেলে নিন। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

ঈদে মানানসই গহনা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
ঈদে মানানসই গহনা
মডেল: দিশা, ছবি: আদিব আহমেদ

মুসলমান ধর্মাবলম্বী নারীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ঈদে খুব বেশি জাঁকজমক সাজ যেমন মানানসই নয় তেমনি আড়ম্বরহীন, সাধারণ লুকেও হারায় ঈদের জৌলুস। ঈদে আভিজাত্য সাজে ফুটিয়ে তুলতে নারীরা পোশাকের সঙ্গে বেছে নেন রুচিশীল গহনা। 

পোশাকের সঙ্গে গহনা মানানসই না হলে পুরো সাজই যেন বৃথা। তাই নিজের সংগ্রহে যতই গহনা থাকুক না কেন শৌখিন নারীদের ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন গহনা কেনাই লাগে। গরম ও আভিজাত্যের কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদে সালোয়ার কামিজ, শাড়ি ও ওয়েস্টার্ন পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে প্যাস্টেল এবং গাঢ় রং।

প্যাস্টেলের ভেতর দেখা গেছে পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার, মিন্ট গ্রিনের প্রাধান্য। এ ছাড়া লাল, গাঢ় সবুজ, মেরুন রং রয়েছে শীর্ষে। প্যাস্টেল রঙের প্রাধান্যের সঙ্গে মিলিয়ে এবার ঈদে ট্রেন্ডে রয়েছে রুপা, মুক্তা ও কুন্দনের গহনা। আবার গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে গোল্ডেন কপারের ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মিশেলে গহনা এনেছেন ডিজাইনাররা। এক্সপেরিমেন্টাল গহনা হিসেবে এবার প্রাধান্য পেয়েছে কড়ি, কাপড়, পাথর, রেজিন ও ক্লে দিয়ে তৈরি গহনা। মিনিমালিস্টিক এসব গহনার নান্দনিক ও নতুন ধারার উপস্থাপন নজর কেড়েছে তরুণ-মধ্যবয়স্ক সব বয়সী নারীদের।

এবারের ঈদে পেনডেন্ট, ব্রেসলেট জাতীয় গহনায় আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন ডিজাইনাররা

ঈদের দিনের সকালে নারীরা সাধারণত স্নিগ্ধ সাজেই থাকতে ভালোবাসেন। সকালের সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিতে পারেন মুক্তার লকেট যুক্ত চিকন চেইন অথবা রুপার ছোট গহনা। এবারের ঈদে পেনডেন্ট, ব্রেসলেট জাতীয় গহনায় আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন ডিজাইনাররা। এক হাতে ব্রেসলেট কিংবা কানে আধুনিক ডিজাইনের লম্বা দুল পরলে গলায় গহনা না পরলেও ঈদের দিন সকালে দেখতে বেশ সতেজ লাগবে। ঈদ ও পরবর্তী কয়েকদিন দাওয়াত, পার্টি ও উৎসব আয়োজন থাকে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিতে পারেন সাবেকি ধাঁচের কিছুটা ভারী গহনা।

এক্ষেত্রে কপার গোল্ডেন চোকার, পার্লের লেয়ার যুক্ত নেকলেস, কুন্দনের গহনা বেশ মানানসই। আবার পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে জ্যামিতিক শেপের লম্বা দুল, রেজিনের তৈরি নেকলেস পরলে আর কিছু পরার প্রয়োজন পড়ে না। মিনিমাল গহনাতেই সাজে পরিপূর্ণতা আসে। গহনা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিন পোশাকের ছাট ও নিজের শারীরিক গড়নকেও। পোশাকে ভি শেপ যুক্ত গলার ডিজাইন হলে বেছে নিন চোকার জাতীয় ছোট আকারের গহনা। আবার গোল গলার লম্বা জামা হলে বেছে নিতে পারেন চেইনযুক্ত নেকলেস।

কোথায় পাবেন, কেমন দাম
একটা সময় ছিল ঈদের গহনা কিনতে বেশির ভাগ নারী ভিড় জমাতেন নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনি চক এলাকায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বড় হয়েছে গহনার দোকানের পরিসর। দোকান, মার্কেটের বদলে এখন অনেকেই বেছে নেন অনলাইন কেনাকাটা। সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক গহনার ব্র্যান্ড সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, গ্লুড টুগেদার, কারখানা তাদের  নতুনত্ব ও বাহারি শৈলীর জন্য তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

বিভিন্ন অনলাইন ব্র্যান্ড এ সুযোগ থাকে নিজের প্রয়োজনমতো গহনার রং, পাথর ও আকার পরিবর্তন করে নেওয়ার। অনলাইনে ব্যতিক্রমী ধাঁচের এসব গহনার দাম কিছুটা বেশি। ঈদে পরার উপযোগী গহনার সেটগুলো কিনতে দাম পড়বে সাধারণত আড়াই থেকে ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মিনিমাল ডিজাইনের সোনা, রুপা, পার্ল ও কাপড়ের তৈরি বিভিন্ন গহনা নান্দনিক ও জনপ্রিয়।

ঈদকে উপলক্ষ করে বরাবরই নতুন শৈলীর গহনা তৈরি করা হয়। হাতে বেশ কিছুদিন সময় থাকলে চাঁদনি চকের গহনার দোকানগুলোতেও তৈরি করে নিতে পারবেন নিজের পছন্দের নকশা অনুযায়ী তামা ও রুপার সাবেকি ধাঁচের গহনা। এখানে গহনা কিনতে পারবেন তুলনামূলক সুলভ মূল্যে।

 কলি

শিশুদের ঈদের সাজ

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
শিশুদের ঈদের সাজ
ছবি ও পোশাক: সেইলর

ঈদের খুশি বড়দের তুলনায় ছোটদের একটু বেশিই থাকে। শুধু প্রজাপতির মতো ডানা মেলে ছুটে চলা। কাজের কোনো তাড়া নেই, সুন্দর পোশাক পরে ঘোরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু শিশুদের ভালো লাগা ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনের জন্য বাবা-মা সর্বদাই ব্যস্ত থাকেন। ঈদের উৎসবে বাসার ছোট সদস্যদের সাজসজ্জা ও পোশাকের ক্ষেত্রে থাকে বাড়তি সতর্কতা। 

শিশুর পরিপাটি পোশাক 
শিশুর পোশাক আরামদায়ক হতে হবে। শিশুরা খুব চঞ্চল হয় বলে তাদের খুব লম্বা অথবা খুব ছোট পোশাক না পরানোই ভালো। শিশুদের পোশাক এবং জুতো অবশ্যই মাপমতো কিনতে হবে। মাপে বড় বা ছোট হলে তা শিশুদের জন্য অস্বস্তির কারণ হবে। পোশাকের ক্ষেত্রে বাতাস চলাচল করতে পারে- এমন ঢিলেঢালা পোশাকের সঙ্গে সুতি বা লিনেনের ফ্রক, শার্ট, টি-শার্ট, টপস ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন। হালকা সুতা, পুঁতি বা সিকুইন কাজের বাহারি ডিজাইন করা পোশাক শিশুদের ভালো মানায়।

এ ছাড়া নানা কাটের গাউন, টপ ও শর্ট স্কার্ট, ব্লক ও এমব্রয়ডারি করা সালোয়ার-কামিজ ও লং-স্কার্ট মানানসই। ঈদের দিনে ছোট-বড় সব বয়সী ছেলেদের কাছে পাঞ্জাবি প্রথম পছন্দ। ছোট শিশুর জন্য আরামদায়ক কাপড়ের পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া সুতি আর ভিসকস কাপড়ের ফুলহাতা শার্ট, হাফহাতা শার্ট, টি-শার্ট আর পোলো শার্ট পরাতে পারেন। পাঞ্জাবির সঙ্গে স্লিপার, স্যান্ডেল সু, ক্যাজুয়াল সু আর কেডস পরলে ভালো দেখাবে। স্লিপার, বেল্ট ও বেল্টহীন স্যান্ডেল বেশ মানায় শিশুদের পায়ে।


 
নানা অনুষঙ্গ
শিশুরা এমনিতেই সুন্দর। সুন্দর বর্ণিল জামা-জুতা তাদের আরও উজ্জ্বল করে তোলে। মেয়েশিশুদের নতুন জামা-জুতার পাশাপাশি চুলের ক্লিপ, রাবার ব্যান্ড, চুড়ি, মালা আংটিসহ সাজসজ্জার নানা অনুষঙ্গ রাখতে হয়। অনেকেই শিশুদের চুড়ি পরাতে পছন্দ করেন।  শিশুর হাতে কাচের চুড়ি না পরানো ভালো। হাত কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বর্ণ, রুপা বা ডায়মন্ডের মতো দামি কোনো কিছু পরানো থেকে বিরত থাকতে হবে। মেটালের চুড়ি পরাতে পারেন। রঙিন হালকা পুঁতির মালা বেছে নিতে পারেন। ছোট ছেলেদের ক্ষেত্রে ঘড়ি আর চশমা দিয়ে ষোলোকলা পূর্ণ করতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা ও ব্যাগ রাখতেই হয়। বিভিন্ন ধরনের পুতুল, কার্টুনের ছবি আছে এমন ব্যাগ শিশুদের সঙ্গে দিতে পারেন, তাকে সুন্দর লাগবে।

শিশুর সাজ 
শিশুরা বড়দের সাজতে দেখে নিজেও সাজার বায়না করে। শিশুর সাজের ক্ষেত্রে তার সুস্থতা এবং নিরাপত্তার দিকটি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। বড়দের প্রসাধনী ব্যবহার করা শিশুদের স্পর্শকাতর ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকর। সাজতে চাইলে মেকআপ ছাড়াই শিশুকে সুন্দরভাবে সাজানো যায়। শিশুদের ত্বকে ফাউন্ডেশন, আইলাইনার, মাশকারা ব্যবহার করা যাবে না। শিশুকে খুশি রাখতে ছোট কিছু পরিবর্তনই যথেষ্ট। শিশুর উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ও বেবি পাউডার লাগিয়ে দিতে পারেন। খুব বেশি বায়না করলে গালে হালকা ব্লাশঅন লাগিয়ে নিতে পারেন। নেলপলিশে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না বলে নখ রাঙাতে বাধা নেই শিশুদের। ঠোঁটে চাইলে একদমই হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। এতে শিশুদের দেখতে সুন্দর লাগবে। শিশুর চোখে অনেকে কাজল পরিয়ে থাকেন। এসবে কোনো ক্ষতি নেই। তবে কারও কারও কাজলে অস্বস্তি হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে কাজল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

চুলের সাজ 
চুলের জন্য পোশাকের সঙ্গে মানায় এমন হেয়ারস্টাইল বেছে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর চুলে যেন টান না লাগে। তাতে ব্যথা লাগবেই, চুলও ছিঁড়ে আসবে। বড় চুলে পনিটেল বা বেণি বা ঝুঁটি করে দিতে পারেন। এ ছাড়া চুল খোলা রেখে রাউন্ড ব্যান্ডও ব্যবহার করতে পারেন। একটু অন্যরকম করে চুল আঁচড়ে দিতে পারেন। যাদের লম্বা চুল, তাদের সামনের চুলগুলো পেঁচিয়ে বা নানারকম বেণির বুনন করে ছোট ছোট ক্লিপ দিয়ে বাঁধা যায়। যাদের ছোট চুল বাঁধা যায় না, তারা প্লাস্টিক, ধাতব কিংবা কাপড়ের তৈরি ক্লিপ বা রাউন্ড ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে ঈদের আগে চুলে একটি সুন্দর কাট দিতে পারেন। 

 কলি

 

আতর-টুপি পাবেন যেখানে

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
আতর-টুপি পাবেন যেখানে
ছবি: আদিব আহমেদ

ঈদের দিনে শুধু নতুন পাঞ্জাবি-পায়জামা নয়, সঙ্গে সুগন্ধি আতর ও বাহারি রঙের টুপি না হলে ঈদ ঠিকমতো জমে না। নতুন পোশাক কেনার পর সবাই ভিড় জমায় টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে। বিভিন্ন এলাকায় টুপি, জায়নামাজের পসরা নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া বিভিন্ন অভিজাত বিপণিবিতানে চলে আতর, টুপি ও তসবিহর বেচাকেনা। ঈদের দিন নতুন পোশাকের সঙ্গে মাথার টুপি এবং শরীরের সুবাস না থাকলে সাজে পূর্ণতা আসে না। তাই নতুন কাপড়ের পাশাপাশি মাহে রমজানের শুরু থেকে বিক্রি বেড়েছে আতর-সুগন্ধি, টুপির।

আতর 
ঈদের নতুন কাপড়ের ঘ্রাণটাকে আরও তীব্র করে তুলতে সবার কাছে অ্যালকোহলমুক্ত, হালাল সুগন্ধি আতরের বিকল্প যেন শুধুই আতর। দেশি আতরের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এমনকি ভারত ও পাকিস্তানের আতর বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ দোকানে ৩ মিলির ছোট বোতলে ভরে আতর বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মিলির দাম ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা। সবচেয়ে দামি আতর কস্তুরির প্রতি তোলার (১২ মিলি) দাম ২০ হাজার টাকা। বাংলাদেশে আতর বিক্রির বড় কেন্দ্র রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট। সেখানে আতরের কয়েক ডজন দোকান আছে। তার বাইরে আতর বিক্রি হয় কাঁটাবন মসজিদ মার্কেটে, হাতিরপুলে, চকবাজারে।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে আতর আর পারফিউমের বড় পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া রাজধানীর নিউমার্কেট, চকবাজার, কাকরাইল মসজিদ মার্কেট, চাঁদনী চক, এলিফ্যান্ট রোড, মৌচাক মার্কেটসহ বিভিন্ন ফুটপাতের সুগন্ধির দোকানগুলোর ভিড় চোখে পড়ার মতো। মানভেদে একেক জায়গায় আতরের দাম একেক রকম হয়ে থাকে। ফুটপাতের দোকানগুলোয় ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ছোট আকারের বোতলে বিভিন্ন রকমের আতর পাওয়া যায়। দেশীয় আতরের মধ্যে গোলাপ, বেলি, হাসনাহেনা ও রজনীগন্ধার চাহিদা কিছুটা বেশি। আর একটু ভালো মানের আতর কম দামে নিতে চাইলে যাওয়া যেতে পারে বায়তুল মোকাররমের সামনে। সেখানে দেশীয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের আতর। যেমন- আম্বার, হুগোবস, গুচি, রোমান্স, সিলভার, মেশক আম্বার, জান্নাতুল ফেরদৌস ইত্যাদি। আর যারা দামি আতর কিনতে চান তারা ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে আতর পেয়ে যাবেন এসব মার্কেটে।

টুপি 
ঈদের দিনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো নতুন পাঞ্জাবির সঙ্গে নতুন টুপি। সারা বছর টুপি ব্যবহার করলেও ঈদের দিনে নতুন জামা কাপড়ের সঙ্গে নতুন টুপি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন সবাই। আতরের মতো রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটেই টুপি পাওয়া যায়। মার্কেটে নানা নামের ও দামের টুপি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আছে ব্রুনেই টুপি, রুমি টুপি, ওমানি টুপি, সৌদি টুপি, পাগড়ি টুপি, আফগান টুপি, ইন্দোনেশিয়ান টুপি, পাকিস্তানি সিন্ধি টুপি, মিসরীয় টুপি। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে জরির কাজ করা তুর্কি টুপি। ফেব্রিক্স, ডিজাইন, নানা ধরন ও মানের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দামের টুপি পাওয়া যায়। দেশে তৈরি টুপিগুলো পাবেন ৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানা ধরনের বিদেশি টুপিও পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি, আফগান, চীনা, তুর্কি, ভারতীয় ও দুবাইয়ের টুপি। কম দামে বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের টুপির চাহিদা বেশি। কাপড় ভেদে ৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দামের টুপি পাওয়া যায়। এ ছাড়া বসুন্ধরা, যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে গুলিস্তান, নিউমার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে বাহারি রকমের টুপি।

জায়নামাজ
বাজারে দেশি জায়নামাজের পাশাপাশি তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত ও বেলজিয়ামে তৈরি জায়নামাজ পাওয়া যায়। বৈচিত্র্যময় নকশার জায়নামাজ নিজের পছন্দমতো কিনে নিতে পারেন। জায়নামাজের বুনন, কোমলতা ও নকশার ওপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়। দেশীয় জায়নামাজ কিনতে চাইলে ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা দাম পড়বে। তুরস্কের জায়নামাজ ৪৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা, পাকিস্তানি জায়নামাজ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বেলজিয়ামে তৈরি জায়নামাজ পাবেন ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়, ভারতে তৈরি জায়নামাজ পাবেন ৪ হাজার টাকার মধ্যে।

 কলি

ঈদে খাবারের স্বাদে ভিন্নতা

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
ঈদে খাবারের স্বাদে ভিন্নতা
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

ঈদে সবার বাড়িতে থাকে নানা আয়োজন। অনেকে বিরিয়ানির সঙ্গে খাওয়ার জন্য রান্না করেন মাংসের বিভিন্ন পদ। মাছও রাখেন অনেকে। পানীয়টা ঘরে তৈরি করেন। সব আইটেম চাইলে একটু ভিন্নভাবে রান্না করতে পারেন। ঈদের দিন খাবারের স্বাদে ভিন্নতা আনবে।

খাসির মাংসের বিরিয়ানি

উপকরণ
খাসির মাংস ১ কেজি, বাসমতি চাল ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা ও রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, গরম মসলা ১ চা চামচ, এলাচ ও দারুচিনি ২-৩ পিস করে, কাঁচা মরিচ ১০-১২টি, সয়াবিন তেল আধা কাপ, গুঁড়া দুধ ৪ টেবিল চামচ টক দই ১/৩ কাপ, শিমের বিচি আধা কাপ, বেরেস্তা ৪ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, মিঠা আতর ২ ফোঁটা। 

প্রণালি
খাসির মাংস ধুয়ে নিন। এবার বাটিতে মাংস, টক দই, লবণ, ধনে ও জিরা গুঁড়া, আদা ও রসুন বাটা, দিয়ে ১-২ ঘণ্টা ম্যারিনেট করে রাখুন। বাসমতি চাল ধুয়ে ১ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ সোনালি করে ভেজে নিন। এবার এলাচ ও দারুচিনি দিন। পরে ম্যারিনেট করা মাংস, কাঁচা মরিচ দিয়ে ঢাকনাসহ রান্না করুন সেদ্ধ হওয়া পর্যন্ত। সেদ্ধ হলে চালের ডাবল পানি দিন। ফুটে উঠলে চাল, শিমের বিচি, গুঁড়া দুধ, ঘি, মিঠা আতর, গরম মসলা দিয়ে রান্না করুন ১০ মিনিট। পরে নেড়ে চুলার তাপ কমিয়ে দমে রান্না করুন ১৫ মিনিট। সার্ভিং ডিশে রেখে পেঁয়াজ বেরেস্তা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন, তৈরি হয়ে গেল খাসি মাংসের বিরিয়ানি।

টুনা মাছের জালি কাবাব

উপকরণ
টুনা মাছ সেদ্ধ ১ কাপ, আলু সেদ্ধ ১ কাপ (গ্রেড করা), মিহি পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ২ চা চামচ ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ধনে ও পুদিনা পাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টা কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল, লেবুর রস ১ চা চামচ। 

প্রণালি
টুনা মাছ, লবণ, পানি দিয়ে সেদ্ধ করে কাটা ছাড়িয়ে নিন। আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে গ্রেড করে নিন। এবার একটি পাত্রে ডিম ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভর্তার মতো বানিয়ে নিন। হাতে তেল লাগিয়ে কাবাব তৈরি করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর একটি পাত্রে ডিম ফাটিয়ে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে পেস্ট করে নিন। কড়াইতে তেল গরম হলে কাবাব ডিমে চুবিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। সার্ভিং ডিশে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল টুনা মাছের জালি কাবাব।

তিলে ঝাল মিষ্টি চিকেন

উপকরণ
মুরগি ১টা (১২ পিস), পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা ও রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ, সাদা তিল বাটা ২ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ ও চিনি স্বাদমতো টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, ঘি ১ টেবিল চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া ১/৪ চা চামচ, সয়াবিন তেল আধা কাপ।

প্রণালি 
মুরগি কেটে ধুয়ে রাখুন। পরে মুরগির মাংস, আদা ও রসুন বাটা, সাদা তিল বাটা, ধনে ও জিরা, লবণ, সয়াসস, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া দিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে দিন। পরে কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কেটে বেরেস্তা করে নিন। এবার ম্যারিনেট করা মাংস দিয়ে ১০ মিনিট রান্না করুন। সেদ্ধ হলে টমেটো সস, ঘি, চিনি, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া, দিয়ে কম তাপে রান্না করুন। তেল ঘি ভেসে উঠলে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল তিলে ঝাল মিষ্টি চিকেন।

 কলি