
ডালিম দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। তবে ডালিম খুব একটা সস্তা না হওয়াতে অনেকে এটি এড়িয়ে চলেন। ডালিমে রয়েছে অসংখ্য উপকারিতা। এক বাটি (১৪৪ গ্রাম) ডালিমে ৯৩ ক্যালরি শক্তি, ২ দশমিক ৩০ গ্রাম প্রোটিন, ২০ দশমিক ৮৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ০ দশমিক ১৪ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এছাড়া ডালিমে প্রচুর পরিমাণে ফাইবারসহ ভিটামিন কে, সি ও ভিটামিন বি এর পাশাপাশি আয়রন, পটাশিয়াম, জিঙ্ক ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের মতো প্রচুর মিনারেল উপস্থিত ডালিমে। এগুলো শরীরকে চাঙা রাখতে একান্ত উপকারী। ডালিমের বীজেও রয়েছে উপকার।
ডালিম কি কি উপকার করে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ডালিমের রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সুস্থ থাকতে চাইলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ, রক্তচাপ কম বা বেশি হলে নানা রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে নিয়মিত ডালিমের রস খেতে পারেন।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখে
ডালিম সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি রোধ করে ত্বককে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এতে আছে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের যাবতীয় জীবাণুকে অপসারণ করে। ডালিমের মধ্যকার অ্যালার্জিক এসিড ত্বকে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা কমায়।
হাড়ের ব্যথা দূর করে
যারা হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ডালিম খেলে উপকার পাবেন। কারণ ডালিমে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান আথ্রাইটিস ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এটি হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা হলে তাও উপশম করতে সাহায্য করে।
ত্বককে রাখে তারুণ্যদীপ্ত
ত্বকের উপকারেও ডালিমের ভূমিকা বলে শেষ করা যাবে না। ত্বকের কোষের গঠনে ডালিম বেশ উপকার করে। এটি কোলাজেন ও অ্যালাস্টিন উৎপাদনেও সাহায্য করে। ত্বকের রূপ, লাবণ্য ধরে রাখতে কাজ করে। এছাড়া ত্বকের বলিরেখা, কালো ছোপ দূর করে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে ত্বককে সজীব ও তরুণ রাখে।
চুল পড়া রোধ করে
ডালিম মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় ও চুলপড়া কমায়। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝরঝরে ভাবও এনে দেয়।
ওজন কমায়
প্রতিদিন ডালিম খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান পুষ্টি প্রবেশ করে ও এর মধ্যকার উপাদান শরীরে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না। ফলে শরীরের ওজন ও বাড়ে না।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
ডালিমের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্ত প্রবাহের ধারা ঠিক রেখে হৃদপিন্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ধমনীতে অতিপ্রবাহ কমায় এবং রক্তচাপ হ্রাস করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই আয়ূর্বেদে ডালিমের রস পান করতে দেয়া হয় হার্টের রোগীদেরকে।
হিমোগ্লোবিন বাড়ায়
আয়রন, ক্যালসিয়াম, শর্করা ও আঁশ (ফাইবার) সমৃদ্ধ ডালিম রক্তে হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধি করে দেহে রক্ত চলাচল সচল রাখে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ হচ্ছে, প্রতিদিন মাঝারি আকৃতির একটি ডালিম খাওয়ার চেষ্টা করুন। অথবা এক গ্লাস ডালিমের রস খান।
আমাশয় রোগের জন্য উপকারী
ডালিমের কাঁচা ও শুকনো উভয় খোসা আমাশয় রোগের জন্য উপকারী। ডালিমের খোসা সিদ্ধ করে আমাশয় রোগীরা খেলে ভালো ফলাফল পায়। এজন্য ডালিম খাওয়ার পরও ডালিমের খোসা শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে পারেন।
কলি