ঢাকা ৪ ফাল্গুন ১৪৩১, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১

শিশুদের গুড টাচ, ব্যাড টাচ শেখাবেন যেভাবে

প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৩ পিএম
আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
শিশুদের গুড টাচ, ব্যাড টাচ শেখাবেন যেভাবে
মডেল: স্নিগ্ধা ও সানাজ। ছবি: আদিব আহমেদ

যৌন হয়রানি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে আলোচ্য ও ভয়াবহ বিষয়। বিকৃত রুচির মানুষ তাদের যৌনাকাঙ্ক্ষা পূরণে শিশুদের ব্যবহার করতে চায়। যেহেতু শিশুরা এসব বিষয়ে গুছিয়ে বলতে পারে না, তাই তাদের সহজেই ব্যবহার করা যায়। এসব বিষয় সম্পর্কে শিশুদের তেমন জ্ঞান না থাকার কারণে তারা বুঝতে পারে না তাদের সঙ্গে কী হচ্ছে। হয়তো বড় হওয়ার পর বুঝতে পারে তখন তারা অপরাধবোধে ভোগে অথবা মানসিক চাপের মধ্যে পড়ে যায়। অনেক শিশু ভীতু হয়ে বড় হয়। তাই শিশুদের জানাতে হবে যৌন হয়রানি সম্পর্কে। তাদের শেখাতে হবে গুড টাচ ও ব্যাড টাচ কী।

গুড টাচ ব্যাড টাচ কী
স্পর্শ ভালোবাসা প্রকাশের একটা মাধ্যম। স্পর্শের মাধ্যমে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা প্রকাশ হয়। যেসব স্পর্শ শিশুদের ভালোবাসার অনুভূতি দেয় ও নিরাপদ অনুভব করায় তাই গুড টাচ। প্রাপ্তবয়স্ক কোনো ব্যক্তি নিজের বিকৃত যৌনাকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য যদি শিশুকে স্পর্শ করে তাই ব্যাড টাচ। ব্যাড টাচ খুবই অস্বস্তিকর ও মানসিক পীড়াদায়ক। বাড়িতে কাজ করার জন্য বাইরের লোক আসে, এ ছাড়া আত্মীয়-স্বজন আসা-যাওয়া করে তারা হয়তো শিশুর সঙ্গে শুরুর দিকে ভালো সম্পর্ক স্থাপন করে এবং পরিবারের সদস্যদের বিশ্বাস অর্জন করে পরে শিশুদের নানাভাবে হয়রানি করে।

কত বছর বয়স থেকে শিখাবেন
সাধারণত দুই বছর বয়স থেকে শিশুরা তাদের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। আপনি প্রতিদিন একটু একটু করে খেলার ছলে প্রত্যেকটি অঙ্গ সম্পর্কে তাকে চেনান। ছবি এঁকে কোনটি হাত, পা, মাথা, চোখ এভাবেও শিখাতে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে তাকে প্রাইভেট পার্টস সম্পর্কে জানান। কাপড় বদলানো এবং গোসল করার সময়ও তাকে এই ব্যাপারে অবহিত করুন।

আপনার শিশুর মনোভাব অনুযায়ী গুড টাচ ও ব্যাড টাচের শিক্ষা দিন

 

যেভাবে বোঝাবেন ও শিখাবেন
শুধু শিশুকেই নয়, আপনার পরিবারের সদস্যদেরও এই বিষয় সম্পর্কে জানানো এই অংশের অন্তর্ভুক্ত। বাবা-মা, দাদা-দাদি, নানা-নানি এমনকি কোনো আত্মীয় যদি ভালোভাবে আদর করে বা চুমু দেয় যেটা তার ভালো লাগে এবং কমফোর্ট ফিল করে সেটি গুড টাচ। শিশু কাকে কাকে আদর করতে পারবে এটাও শিখাতে হবে। বাসায় সে তার পরিবারের সদস্যকে যেভাবে ট্রিট করে বাইরে যেন এমনটি না করে জানিয়ে রাখুন এ বিষয়েও।

  • কোনো সংস্পর্শে শিশু যদি ভয় বা ব্যথা পায় এবং অস্বস্তি বোধ করে বা কেউ অকারণে তার প্রাইভেট পার্টসে হাত রাখে সেটা ব্যাড টাচ।
  • কেউ যদি আপনার শিশুকে চকলেট বা অন্য কিছুর লোভ দেখিয়ে আলাদা রুমে বা কেউ নেই এমন জায়গায় নিয়ে যায়, তাহলে বলে রাখুন সে যেন না যায়।
  • শিশু মানা করার সত্ত্বেও যদি বারবার তাকে স্পর্শ করে এটাও ব্যাড টাচ।
  • এসব ঘটনার সম্মুখীন হলে সে যেন কাউকে বলে অথবা জোরে চিৎকার করে সে ব্যাপারে তাকে শিক্ষা দিন।
  • পরিবারের কোন কোন সদস্য শিশুকে গোসল করানো, টয়লেট করানো বা কাপড় বদলিয়ে দিতে পারবে তা বুঝিয়ে বলুন।
  • গুড টাচ ও ব্যাড টাচ নিয়ে এখন প্রচুর বই ও ভিডিও পাওয়া যায়। বই পড়ে গল্পের ছলে, ছবি এঁকে অথবা একসঙ্গে বসে ভিডিও দেখে প্র্যাক্টিক্যালি তাকে বুঝিয়ে বলতে পারেন। এতে শিশুও ধীরে ধীরে টাচ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবে।
  • খেলার ছলে পরিবারের সদস্যরা প্রাইভেট পার্টসে হাত দেবেন না। এতে শিশু বিষয়টি স্বাভাবিক মনে করবে এবং এ জাতীয় ঘটনা কারও সঙ্গে শেয়ার করবে না। 

কী কী করণীয়
শিশুকে গুড টাচ ও ব্যাড টাচ সম্পর্কে শিখানোর সঙ্গে সঙ্গে কিছু দায়িত্বও আপনাকে পালন করতে হবে। যেমন-

শিশুকে পর্যবেক্ষণ করুন
আপনার শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে ভালোভাবে লক্ষ করুন। সে লাজুক, রাগী, সেনসিটিভ নাকি হাসিখুশি খেয়াল করুন। সব শিশুকে এই বিষয়ে একভাবে বোঝানো যাবে না। তাই তার মতো করেই তাকে সেভাবে শিক্ষা দিন। অনেক শিশু যেকোনো পরিবেশে সহজেই মিশে যায়। তাই তাকে তার সার্কেল সম্পর্কে অবহিত করুন। কারণ, এসব শিশুকে যে কেউ কোনো কিছুর প্রলোভন দেখিয়ে তার ক্ষতি করতে পারে। যে শিশুটি চুপচাপ থাকে তার সঙ্গে কিছু ঘটলে হতে পারে সে তা নাও বলতে পারে। তাই আপনার শিশুর মনোভাব অনুযায়ী গুড টাচ ও ব্যাড টাচের শিক্ষা দিন।

অতিরিক্ত ভরসা করা থেকে বিরত থাকুন
শিশুরা খুব কাছের মানুষ মাধ্যমেও অ্যাবিউজের শিকার হতে পারে। সে এসে হয়তো তার সম্পর্কে আপনাকে জানাল। আর সেই ব্যক্তিকে আপনি ভরসা করেন বলে উল্টো শিশুকে বকা দিলেন মিথ্যা বলার জন্য। এতে কিন্তু তার ওপর বিরূপ একটি প্রভাব পড়বে। এমনটি একদমই করবেন না। আপনার সন্তান কার কার সঙ্গে মিশছে, কার সঙ্গে কথা বলছে, কার আচরণ কেমন এ ব্যাপারে সতর্ক হোন।

শিশুর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন
অনেক সময় কাজের চাপে বা যেকোনো কারণে বাবা-মা শিশুকে বুঝে উঠতে পারেন না। অনেক বাবা-মা অল্পতেই রেগে যান। আপনার শিশু কী বলতে চায় সেটা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। তার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক তৈরি করুন, যেন মন খুলে সে যেকোনো কিছু শেয়ার করতে পারে। আপনিই যদি তাকে কো-অপারেট না করেন, তাহলে শিশু কোনো অপ্রস্তুত ঘটনার শিকার হলেও বলতে চাইবে না।

শিশুকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলুন
শিশুদের সেলফ কনফিডেন্স শিখানো ভীষণ জরুরি। এতে যেকোনো খারাপ সময় সে ফাইট ব্যাক করতে পারবে। তাকে বোঝান, তার শরীর একান্তই তার। কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে সে যেন না ভাবে যে তার ভুল। ভয় পেয়ে যেন সে দূরে সরে না যায়। এই আত্মবিশ্বাস যদি শিশুর মাঝে গড়ে ওঠে তাহলে যেকোনো পরিস্থিতিতে সে নিজেকে সামলে নিতে পারবে।

লজ্জা না পেয়ে রুখে দাঁড়ান
অনেক সময় শিশুর চেয়ে মা-বাবাই এসব বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা পান। উল্টো শিশুকেই চুপ করিয়ে দেন লোকে কী বলবে এটা ভেবে। জেনে রাখুন, এতে আপনি নিজের অজান্তেই শিশুকে অনেক বড় দুর্ঘটনার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। শিশুর পাশাপাশি আপনাকেও প্রতিবাদ করতে হবে এই বিষয়ে। লজ্জা পেয়ে বা সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে এই ভেবে এখন যদি কিছু না বলেন, তাহলে একদিন হয়তো পরিস্থিতি আর হাতের মুঠোয় থাকবে না। তাই এসব পরিস্থিতিতে সন্তানের পাশে দাঁড়ান এবং অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।

যে বিষয়গুলো দেখলে সাবধান হতে হবে
বাচ্চারা অনেক কিছু শেয়ার করতে পারে না বা বলতে চায় না। সেক্ষেত্রে কিছু লক্ষণ দেখলে বুঝতে হবে সে কোনো অপ্রীতিকর সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কি না। যে লক্ষণগুলো দেখলে আপনাকে সাবধান হতে হবে এবং শিশুর সঙ্গে কথা বলতে হবে-

ঘুমের মাঝে শিশু চিৎকার করলে
ভয়ে রাতে বিছানা ভিজিয়ে ফেললে
চঞ্চলতা কমে গিয়ে একদম চুপচাপ হয়ে গেলে
কাজে অমনোযোগী হয়ে গেলে
সব সময় নার্ভাস হলে বা ভয়ে ভয়ে থাকলে

সন্তানের সুস্থ সুন্দরভাবে বেড়ে উঠা নিশ্চিত করতে হলে অভিভাবক হিসেবে আপনাকে একটু সচেতন হতে হবে। একটি সুস্থ প্রজন্মের জন্য মানসিকভাবে সুস্থ শিশু আবশ্যক।

 কলি

রং বাহারি চিকেন

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০২ পিএম
রং বাহারি চিকেন
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

চিকেন অনেকেই পছন্দ করেন। যেকোন দাওয়াতে চিকেন এবং সবজি দিয়ে হতে পারে আদর্শ পদ। রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

উপকরণ
চিকেন স্লাইস ১ কাপ, ফুলকপি ১ কাপ, গাজর ১ কাপ, ক্যাপসিকাপ ১ কাপ, টমেটো ১ কাপ, পেঁয়াজ কলি ১ কাপ, পেঁয়াজ লেয়ার আধা কাপ, কাঁচা মরিচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ লবণ স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ২ কাপ গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, সাদা গোল মরিচ গুঁড়া ২ চা চামচ।

প্রণালি
গাজর ও ফুলকপি ফুটন্ত পানিতে ৫ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। চিকেন মোটা স্লাইস করে কেটে ধুয়ে নিন। তারপর সব সবজি কিউব করে কেটে নিন। একটি বাটিতে চিকেন আদা ও রসুন বাটা, কাশ্মীরি মরিচ, ধনে ও জিরা গুঁড়া, সয়া সস, চিনি, লবণ, গরম মসলা গুঁড়াসহ সব উপকরণ মাখিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রেখে দিন। এবার কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম করে মেরিনেট করা চিকেন দিয়ে সামান্য নাড়ুন, তারপর সব সবজি দিয়ে আবার নেড়ে পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ, ঘি, গোলমরিচ গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল রং বাহারি চিকেন।

 কলি 

 

আজ গ্যালেন্টাইন ডে নারী বন্ধুত্ব উদযাপনের বিশেষ দিন

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৪৬ পিএম
নারী বন্ধুত্ব উদযাপনের বিশেষ দিন
ছবি: খবরের কাগজ

ক্যালেন্ডারের পাতায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো দিবস থাকে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি মাস মানেই অদ্ভুত, মজার দিবসের মাস। আজ গ্যালেন্টাইন ডে। শব্দটি আপনি ঠিকই পড়ছেন ‘গ্যালেন্টাইন’। প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি গ্যালেন্টাইন ডে পালন করা হয়। গ্যালেন্টাইন ডে অনেকটা ভ্যালেন্টাইনের মতো। এদিনটি মূলত নারীরা উদযাপন করেন। ‘গার্লস’ ও ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’র সংমিশ্রণে গ্যালেন্টাইন ডে।

মার্কিন কৌতুকাভিনেতা অ্যামি পোহলার প্রথম গ্যালেন্টাইন ডে’র ধারণা দেন। তাই তাকে গ্যালেন্টাইন ডে’র স্রষ্টা বলা হয়। পার্কস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন নামে একটি কমেডি শো করতেন। ওই শোর কাল্পনিক চরিত্র লেসলি নোপ ২০১০ সালে একটি সিজনে গ্যালেনটাইনস শব্দটি সামনে আনেন। পর্বটি প্রচারিত হওয়ার গ্যালেন্টাইন ডে নারীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলে। ধীরে ধীরে অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আমাদের দেশে পরিচিত নয়।

গ্যালেনটাইন ডে বিশ্বব্যাপী মূলত নারীদের বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে উদযাপন করা হয়। নারীরা তাদের নারী বন্ধুদের বিপদে পাশে দাঁড়াতে পারে, সেই বার্তা নিয়ে এই দিনটি পালিত হয়। পুরোনো বান্ধবীদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ করে দেয়।

আপনি চাইলে এই দিনটিতে নারীদের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন। বোন, মা, দাদি, নানি, বান্ধবী যে কেউ হতে পারে। যদিও তাদের প্রতিদিন শুভেচ্ছা জানানো যায়, এ জন্য নির্দিষ্ট দিন লাগে না। তারপরও তাদের উৎসর্গ করে একটি দিন আছে, তাই উদযাপন করতেই পারেন। নারীরা স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বান্ধবীদের বা আত্মীয়দের সঙ্গে আড্ডা দিতে চাইলে বাড়িতে একটি পার্টির আয়োজন করতে পারেন। তারপর সেখানে বান্ধবী বা অফিস কলিগদের আমন্ত্রণ জানান এবং সবাই মিলে গ্যালেন্টাইন ডে উদযাপন করতে পারেন।

সংসার, চাকরির চাপে যাদের সঙ্গে দেখা করতে পারছিলেন না, এই সুযোগে তাদের সঙ্গে দেখাও হয়ে যাবে। এ ছাড়া তাদের পছন্দের উপহার দিতে পারেন। সিনেমা দেখা, প্রিয় খাবার খেয়ে আনন্দময় সময় কাটাতে পারেন। সবাই একই রঙের শাড়ি পরতে পারেন।  বিশেষ দিনটি ক্যামেরাবন্দি করে ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখতে পারেন।

 কলি

ঘরেও বসন্তের ছোঁয়া

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:১৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৬ পিএম
ঘরেও বসন্তের ছোঁয়া
ছবি: সংগৃহীত

নানা বৈচিত্র্য নিয়ে আসা বসন্ত ঋতুকে বরণ করে নেওয়ার ব্যাপারে বাঙালিদের জুড়ি নেই। উৎসব উপলক্ষে ঘরটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে পারলে নিজেরও ভালো লাগবে। তা ছাড়া প্রতি উৎসবে ঘর সাজানো যেন বাঙালির এক ধরনের ঐতিহ্যে। বসন্তের আগমনের সঙ্গে পরিবেশের তাপমাত্রায়ও পরিবর্তন আসে। এই সময়ে ঘরকে রঙিন রঙে সাজাতে পারেন। 

ফুল ও ফুলদানি 
বসন্ত মানেই রংবেরঙের ফুল দিয়ে ঘর সাজানো। কাঁচা ফুলের সুন্দর ঘ্রাণ, রং মনকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এই সময়ে লিভিং রুম বা ড্রইং রুমে সতেজ ফুল দিয়ে সাজাতে পারেন। বাসন্তী ফুলের সৌন্দর্য-সৌরভে ঘর ভরিয়ে দিতে কিন্তু ছোট একটি ফুলদানিই যথেষ্ট। কারুকার্যপূর্ণ ও রুচিসম্মত ফুলদানি ব্যবহার করতে পারেন। এটির একটি আলাদা সৌন্দর্য আছে। কাচের বা সিরামিকের ফুলদানিতে চম্পা, চামেলি, রজনিগন্ধ্যা ছাড়াও বিভিন্ন রঙের গোলাপ ফুল দিয়ে রাখতে পারেন। বারান্দায় টবে ছোট ছোট ফুলের গাছ রাখলে দেখতে বেশ সুন্দর লাগবে। শুধু ঘর নয়, সিঁড়ির ধাপে ধাপে মাটির ফুলদানিতে গাছ বা পাতাবাহার রাখতে পারেন। এমন ফুলদানিতে ফুল রাখতে পারেন বাড়ির বারান্দায়ও। প্রাকৃতিক বা কৃত্রিম, যে ফুলই ব্যবহার করুন না কেন, ফুলদানিটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। প্রাকৃতিক ফুলের ক্ষেত্রে প্রতিদিন পানি পরিবর্তন করতে হবে। কৃত্রিম ফুল মাসে একবার ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে পরিষ্কার করুন। ঘরের পরিবেশের সঙ্গে মানানসই বাহারি নকশার ফুলদানি পছন্দ করুন। এজন্য সাদা বা ক্রিম রঙের দেয়াল বেশি মানানসই হয়। এ ধরনের দেয়ালে ফুলের রং বেশি ফুটে উঠবে।

পর্দার ব্যবহার
ঘরের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয় ঘরের পর্দা। এই দিনে অতিথিদের আনাগোনা থাকে তাই ঘরে ও জানালায় নতুন পর্দা লাগিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলতে পারেন। বসন্তের জন্য উজ্জ্বল এবং গাঢ় রং ব্যবহার করতে পারেন। এক রঙের পর্দা না লাগিয়ে ঘরের রঙের সঙ্গে মিল রেখে পর্দা লাগাতে পারেন। পর্দার ডিজাইন ফুলের হলে ভালো হয়। আবহাওয়ার উপযোগী জানালায় হলুদ, আকাশি, নীল রংকে প্রাধান্য দিয়ে হালকা কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ পর্দায় সূর্যের আলোকরশ্মি পড়ে পুরো ঘর আলোকিত হয়ে উঠবে।

ঘরের রং 
বসন্তে ঘর হয়ে উঠবে রঙিন। অন্দরমহল রঙ করার প্রয়োজন হলে বসন্তের প্রাকৃতিক রঙগুলো ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া বারান্দা বা বাড়ির বাইরে উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার মন্দ হবে না। দরজা-জানালায় উজ্জ্বল রঙ করেও ঘরে নিয়ে আসতে পারেন বসন্তের ছাপ।

দেশীয় উপাদান 
বসার ঘরে দেশি আসবাবের সঙ্গে ঘরের রাখতে পারেন বেত অথবা বাঁশের ল্যাম্পশেড। বারান্দায় রাখতে পারেন বেতের আরামদায়ক চেয়ার। দেয়ালে টাঙাতে পারেন মাথাল, বিভিন্ন ওয়ালম্যাট, কাগজের তৈরি ফুল ইত্যাদি। ঘরে দেশীয় আমেজ ফুটিয়ে তুলতে খাবারের টেবিলে রাখা যেতে পারে মাটির তৈরি থালা, বাটি, গ্লাস এবং মগ। এ ছাড়া ঘরের মেঝেকে আকর্ষণীয় করতে মাদুর, শীতলপাটি কিংবা শতরঞ্জি ব্যবহার করতে পারেন। এসব সামগ্রীতে বাসন্তী রং থাকলে ভালো হয়।

দেয়াল ও কর্নার 
বর্তমান সময় বাসা বাড়িগুলো একটু ছোট ধাঁচের হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে খুব বেশি আসবাব রাখা সব সময় সম্ভব হয় না। তবে চাইলেই ঘরের দেয়াল বা ঘরের কর্নারগুলোর দিকে একটু বিশেষ নজর দেওয়া যায়। ঘরের দেয়ালগুলো যদি অন্যরকমভাবে সাজানো যায় এবং যা দেখতে আকর্ষণীয় লাগবে। দেয়ালে রঙিন নকশা জাতীয় ফ্রেম বোহো আর্ট, রিকশা আর্ট, ম্যান্ডেলা আর্ট ও নানা আলোকচিত্র ফ্রেমবন্দি করে সেগুলো দেয়ালে লাগানো যায়। ঘরের একটি কর্নারে ওয়াটারফল রাখা যেতে পারে কিংবা নানা রঙের মোড়া এবং তার ওপরে কিছু গল্পের বই, লণ্ঠন ও মোমবাতি এসব দিয়ে ঘরের কর্নারগুলো সাজানো যেতে পারে।

বালিশ ও বিছানা
শোবার ঘরের বালিশ ও বিছানার চাদরের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রং পছন্দে রাখতে পারেন। বিছানাকে নকশিকাঁথা দিয়েও সাজাতে পারেন। সুন্দর কারুকার্য খচিত বিছানার চাদর ও ব্লক নকশার কুশন পুরোপুরি গ্রামবাংলার ছোঁয়া এনে দেবে। ঘরে বসন্তের ছোঁয়া আরও বৃদ্ধি করার জন্য সোফা ও কুশনে পরিবর্তন করলে ভালো দেখাবে। এ ছাড়া হলুদ রঙের কুশন ঘরের সৌন্দর্যে বসন্তের আবেশ এনে দেবে।

 কলি

প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার উপকারিতা

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
প্রিয়জনকে আলিঙ্গন করার উপকারিতা
ছবি: সংগৃহীত

আজ ১২ ফেব্রুয়ারি, হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস। একটু উষ্ণ আলিঙ্গনের মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসার আদান-প্রদান ঘটে। আলিঙ্গনে শরীর আর মন দুই ভালো থাকে। জীবনের পথে এগিয়ে চলার পাথেয়ও হয়ে উঠতে পারে প্রিয়জনের একটি আলিঙ্গন। শুধু ভালোবাসার মানুষের ক্ষেত্রেই নয়; পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব সবার সঙ্গেই আলিঙ্গন করা উচিত। কারণ আলিঙ্গেনের কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারও রয়েছে। 

মানসিক চাপ কমায়
বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিবারের কোনো সদস্যকে যদি আপনি বেদনাদায়ক বা অস্বস্তিকর কোনো পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যেতে দেখেন, তাহলে বুকে জড়িয়ে নিন। উষ্ণ আলিঙ্গনে আবদ্ধ করুন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে আলিঙ্গন করলে মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে। এটা তার জন্য বড় ধরনের ‘সাপোর্ট’ হতে পারে। এর ফলে মানসিক চাপ কমে যেতে পারে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
কাউকে আলিঙ্গন করা হলে তখন ব্রেস্টবোনের উপর চাপ সৃষ্টি হয়, যা মনকে আবেগপূর্ণ করে তোলে। এটি প্লেক্সাস চক্রকেও সক্রিয় করে, যা থাইমাস গ্রন্থির কার্যকারিতাকে উদ্দীপিত করে। এই গ্রন্থি শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে
আলিঙ্গন হৃৎপিণ্ড ভালো রাখার দারুণ একটি উপায়। ভালোবাসার মানুষকে কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরলে শরীর থেকে অক্সিটোসিন নির্গত হয়। অক্সিটোসিনকে ভালোবাসার হরমোন বলে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই হরমোন শরীরকে রিল্যাক্স করায় এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। গবেষণা অনুসারে বলা যেতে পারে, একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত আলিঙ্গন করা জরুরি।

ভালো ঘুমে সহায়তা করে
আপনার যদি রাতে ভালো ঘুম না হয়ে তবে আলিঙ্গন ভালো সমাধান হতে পারে। অক্সিটোসিন নিঃসরণ শুধুমাত্র স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে না বরং শিথিলতাও বাড়ায়। এই প্রশান্তির অনুভূতি শান্তিপূর্ণ এবং আরামদায়ক রাতের ঘুমে সাহায্য করতে পারে। সুতরাং, ভালো ঘুমের জন্য আপনার ঘুমের রুটিনে একটি আলিঙ্গন যুক্ত করার কথা ভেবে দেখুন!

মেজাজ ভালো থাকে 
আলিঙ্গন করলে শরীর থেকে উত্তেজনা কমে যায়। এর ফলে শরীর থেকে সেরোটোনিন হরমোন ভালোভাবে নিঃসৃত হয়। এর ফলে মেজাজকে উন্নত হয়।

একাকিত্ব দূর করে
কাছের মানুষদের থেকে যত দূরে সরে যাবেন, নিজেকে তত বেশি একা ও নিঃসঙ্গ লাগবে। আলিঙ্গন মনে করিয়ে দেয় যে আমরা নিরাপদ, অন্যের কাছে প্রিয় এবং একা নই। তাই একাকিত্ব দূর করতে আলিঙ্গনের বেশ ভালো কাজ করে।

ভয় দূর করতে সাহায্য করে
আলিঙ্গন মৃত্যুর উদ্বেগ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আলিঙ্গন মানুষের মন থেকে অস্তিত্বের ভয় দূর করতেও সহায়তা করে। তাই একাকিত্বের সময় একটি টেডি বিয়ারকে আলিঙ্গন করেলেও নিরাপত্তার অনুভূতি হয়।

ব্যথা দূর করে
শুধু মনের ব্যথা নয়, শরীরের ব্যথাও দূর করে আলিঙ্গন। এটি আপনার শরীরের ব্যথার বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে। যে কারণ শরীরের উত্তেজনা হ্রাস হয়, যা উত্তেজনাপূর্ণ পেশীগুলোকে শিথিল করে। 

 

কলি

ফাগুন দিনের সাজ

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
ফাগুন দিনের সাজ
মডেল: রাজ, আঁখি, লিয়ানা ও অনামিকা।পোশাক: অঞ্জন’স, ছবি: সাগর হিমু

বছর ঘুরে  এল আরেক ফাল্গুন। বাঙালির একান্ত এ উৎসবে সাজটাও হওয়া চাই মনমতো। বসন্তকে বরণ করতে প্রকৃতিতে যেমন লাগছে রঙের ছোঁয়া ঠিক তেমনি বসন্ত বরণে কী পরবেন, কেমন সাজবেন এমন পরিকল্পনাও ঘুরছে অনেকের মনে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কেমন হতে পারে পহেলা ফাল্গুনের সাজসজ্জা। 

ফাল্গুনে মেকআপ
বসন্তের শুরুর দিনটাতে মেকআপটা খুব ভারী করা ঠিক নয়। যেহেতু গাঢ় পোশাক পরা হয় তাই মেকআপ করার সময় হালকা মেকআপ করাই শ্রেয়। মেকআপ নেওয়ার আগে অবশ্যই মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নেবেন। এরপর সানস্ক্রিন লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। এরপর মুখে লাগাবেন ম্যাট ফাউন্ডেশন। হালকাভাবে লাগাতে পারেন খানিকটা ফেস পাউডার। আর সব সময় মনে রাখবেন পোশাকের রং অনুযায়ী হবে মেকআপের রং। চোখের সাজের ক্ষেত্রে চোখে গাঢ় করে কাজলের রেখা টেনে দিয়ে ঠোঁট রাঙাতে পারেন লাল লিপস্টিকে। কাজল, আইলাইনার, আইশ্যাডো, গ্লিটার- যেটাই ব্যবহার করুন না কেন, সব যেন হয় একই রঙের। এরপর কপালে টিপ আর হাতে পরুন কাচের চুড়ি। আর বসন্তের সাজে ফুলের কোনো না কোনো অনুষঙ্গ তো রাখতেই হবে। হোক তা চুলে, হাতে কিংবা ভিন্ন কোনো গহনা হিসেবে।

 বসন্তে যেহেতু গাঢ় পোশাক পরা হয় তাই মেকআপ করার সময় হালকা মেকআপ করাই শ্রেয়।

চুলের সাজ
ফাগুন দিনে চুলের সাজে নানা রঙের তাজা ফুলের ব্যবহার নারীকে করে তোলে অনন্যা। আগে নারীরা ফাল্গুনে যেমন খোঁপার এক পাশে দু-একটি ফুল গুঁজে দিত, এখন সেই স্টাইল অনেকটাই চলে গেছে। ফুলের গহনা ও ফুল লাগানোর ধরনে এসেছে অনেক পরিবর্তন। খুব ছিমছাম গহনা পরে মাথায় একটি বড় ফুলের রিং পরার প্রচলনটাই বেশি এখন। কয়েক বছর ধরেই এই প্রচলনটা বেশি দেখা যাচ্ছে। তরুণীরা শাড়ি, সালোয়ার কামিজ কিংবা ফতুয়ার সঙ্গে মাথায় এই ফুলের রিংগুলো পরতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন। সব ধরনের সাজের সঙ্গেই মানিয়ে যায় এই ফুলের রিংগুলো। এই ফুলের রিংগুলো সাজে আনে ভিন্নতা ও আভিজাত্য।

কেউ চাইলে খোঁপা বা বেণি করে চুলে যেকোনো ফুলের মালা পেঁচিয়ে নিতে পারেন। আবার কেউ যদি চুল ছেড়ে রাখতে চান তাহলে একপাশে গুঁজে নিতে পারেন গোলাপ বা পছন্দের অন্য প্রকারের ফুল। যখন বড় ফুল পরবেন, তখন গলা ও কানের গহনা খানিকটা হালকা বেছে নেবেন। মেরুন, হলুদ, সাদা, নীল রঙের চন্দ্রমল্লিকা, ক্যালেনডুলা ফুলগুলোও বেছে নিতে পারেন গাঁদা, গোলাপের বিকল্প হিসেবে।

ফাগুনে পোশাকের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ফুলকে বেছে নিতে পারেন

ফাগুনের গহনা
পহেলা ফাগুনে নানা ধরনের ফুলের গহনায় সাজতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ফাগুনে পোশাকের সঙ্গে অলংকার হিসেবে ফুলকে বেছে নিতে পারেন। তবে যারা ফুল পছন্দ করেন না, তারা চাইলে ফাগুনের ফুলের গহনা বাদে অলংকারের তালিকায় বেছে নিতে পারেন মাটির, কাঠের বা মোমের জুয়েলারি কিংবা মেটালের সেট। এ ছাড়া আদিবাসী গহনা, আফগানি জুয়েলারিও রাখতে পারেন সাজের তালিকায়। 

ফাগুনে চুড়ি
বাঙালিদের কাছে কাচের চুড়ির একটা বিশেষ আবেদন আছে। বিশেষত পহেলা বৈশাখের মতো অনুষ্ঠানে এর কদর যেন আরও বেড়ে যায়। তাই বসন্তে বিশেষ করে যারা শাড়ি পরবেন তারা চাইলে হাত ভর্তি কাচের চুরি পরতে পারেন। বাজারে এখন অনেক ধরনের চুরি পাওয়া যায়। যেমন- সুতার চুরি, কাচের চুরি, মেটাল কিংবা মাটির চুরি ইত্যাদি। পোশাকের সঙ্গে ম্যাচ করে কিনতে পারেন আপনার পছন্দসই চুরির সেট। তবে কাচের চুরি পরলে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করবেন। যাতে ভেঙে গিয়ে আপনার শরীরে কোনো ক্ষতি না হয়। 

ম্যাচিং পোশাক পরতে পারেন। 

ফাল্গুনে জুতা
ফাল্গুনের সাজসজ্জার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে আরও একটি জরুরি বিষয়ে। আর তা হলো সারা দিনের হাঁটাহাঁটির কথা মাথায় রেখে হিল না পরে ফ্ল্যাট জুতা পরাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এ ছাড়া যাদের জুতা পরতে সমস্যা হয় তারা স্লিপার পরতে পারেন। বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের স্লিপার পাওয়া যায়। তাই মনমতো বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের জোড়া।

 কলি