
জীবনের প্রত্যেকটি ধাপে আমাদের নানান ভাবে নানা মানুষ উপকার করেছে, যা সামান্য হলেও আমাদের হৃদয় প্রশান্তির সৃষ্টি করে। তাদের ছোট ছোট সহযোগিতায় জীবন সুন্দর হয়, আনন্দের হয়। সেই মানুষটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা উচিত। কারও প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকালে ধন্যবাদ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। ধন্যবাদ একটি জাদুকরী শব্দ। এটি মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়, তেমনি মানুষটির সঙ্গেও সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ে। যেকোনো সম্পর্ক সুন্দরভাবে ধরে রাখার ক্ষেত্রে ধন্যবাদ শব্দটির মহত্ব কিন্তু বিশাল। কারও প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশকালে ধন্যবাদ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এছাড়া কৃতজ্ঞতাবোধ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা কমায়।
প্রিয় মানুষসহ বন্ধু, মা-বাবা, আত্নীয়-স্বজন কিংবা অফিসের সহকর্মীকে ধন্যবাদ প্রকাশ করুন। কারণ, আজ সবাইকে ১১ জানুয়ারি, 'থ্যাঙ্ক ইউ ডে' বা ‘আপনাকে ধন্যবাদ’ জানানোর দিন। যদিও বেশিরভাগ মানুষ শব্দের ইংরেজিই বেশি ব্যবহার করেন অর্থাৎ ‘থ্যাংক ইউ’ বলার চল বেশি।যে ব্যক্তি সামান্য অবদানের মাধ্যমেও আপনার জীবনকে সুন্দর করে তুলেছে তাঁকে আজ মন খুলে জানিয়ে দিন ‘থ্যাঙ্ক ইউ’।
প্রতিবছর জানুয়ারির ১১ তারিখে এ দিবসটি পালন করা হয়। কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য আদ্রিয়েন সু কুপারস্মিথ নামের যুক্তরাষ্ট্রের অধিবাসীর উদ্যোগে দিনটির চল হয়। ১৯৯৪ সালে তাঁর ব্লগে ‘ধন্যবাদ দিবস’ পালনের ধারণা তুলে ধরেছিলেন তিনি। তবে প্রাচীনকাল থেকেই সমাজের মানুষ একে অপরের সঙ্গে নানাভাবে যোগাযোগের জন্য মিশরীয়রা প্যাপিরাস শিটে লিখতেন এবং চীনারা কাগজে লিখতেন। তারা বন্ধুদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতেন। 'ধন্যবাদ' শব্দটির উৎপত্তি ৪৫০ থেকে ১১০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বলে মনে করা হয়। ১৪০০-এর দশকে ইউরোপীয়রা পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে শুভেচ্ছা কার্ড বিনিময় শুরু করেন।
ধারণা করা হয় তখন এসব কার্ডে 'ধন্যবাদ' বা 'থ্যাঙ্কস' লেখার প্রচলন শুরু হয়েছিল। এছাড়া ইউরোপীয় অভিবাদন কার্ড ব্যবহার শুরু করার অনেক পরে, ১৮৭৩ সালে জার্মান লুই প্রাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন করেন। তিনিই ১৮৭৪ সালে ম্যাসাচুসেটসের বোস্টনে তার ঘাঁটি থেকে ইউরোপীয় বাজারে অভিবাদন কার্ড তৈরি ও বিক্রি করেছিলেন। তারপর থেকে ক্রিসমাস ও ধন্যবাদ কার্ড উভয়েরই চাহিদা ছিল বছরের পর বছর। আর এভাবেই প্রাচীনকাল থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশে থ্যাংক ইউ ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। বর্তমানে আমেরিকাতে অনেকে জানুয়ারির ১১-১৮ অর্থাৎ পুরো সপ্তাহজুড়ে এই দিবসটি পালন করে থাকেন।
কলি