ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

আর্কা ফ্যাশন উইক আয়োজকদের মিডিয়াবান্ধব হতে হবে

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৫ পিএম
আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৮ পিএম
আর্কা ফ্যাশন উইক আয়োজকদের মিডিয়াবান্ধব হতে হবে
ছবি: সংগৃহীত

‘সবার জন্য ফ্যাশন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রাজধানীর আলোকি কনভেনশন সেন্টারে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হলো আর্কা ফ্যাশন উইকের বর্ণিল আসর। তৈরি পোশাকশিল্পের পণ্য বিপণন থেকে রপ্তানি, সেখান থেকে ফ্যাশন ব্র্যান্ডের পোশাকের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে উপস্থাপন, ক্রেতাদের আকর্ষণ করা ও দেশীয় ঐতিহ্যবাহী পণ্যকে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত করাই ছিল ‘আর্কা ফ্যাশন উইকের’ মূল লক্ষ্য। এবারের আয়োজনে ছিল ফ্ল্যাশ রানওয়ে শো, মাস্টারক্লাস, শীর্ষ ডিজাইনার ও ব্র্যান্ডের পোশাক নিয়ে ফ্যাশন শো। গত ১৬ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এই আসর।

তৃতীয় এই আসরে প্রতিদিন ছিল একেকটি থিম। প্রথম দিন ডেনিম, দ্বিতীয় দিন ‘মডার্ন কনটেম্পোরারি’, তৃতীয় দিন ফিউশন এবং আর সমাপনী দিনে ছিল ‘সাস্টেইনেবিলিটি’। এই বিষয়গুলো কেবল আয়োজনের বৈচিত্র্যময়তাকে তুলে ধরে না। এর মাধ্যমে দেশীয় ঐতিহ্য, অভিনবত্ব, পরিবেশের প্রতি অনুরাগও প্রকাশ করেছে। যার জন্য আয়োজকরা প্রশংসার দাবিদার।

অন্যান্য আসরের মতো এবারও গ্লাসহাউসে ছিল ডিজাইন ল্যাব। যেখানে নিজের পছন্দমতো একটি প্লেইন টি-শার্ট, টোট ব্যাগ, স্কার্ফ ও হ্যাট কিনে নিজের পছন্দমতো ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডপেইন্ট, প্যাচওয়ার্ক করানো গেছে বিনামূল্যে। এ ছাড়া অতিথিদের জন্য ফেসপেইন্টিং, হেয়ার ব্রেইডিং ও পোর্ট্রেট আঁকার ব্যবস্থাও ছিল। এসব কাজে ডিজাইন ল্যাবে মোট ১৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউএফটি)-এর ১১ জন এবং শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির চারজন শিক্ষার্থী।

মার্কেট প্লেসে ছোট-বড় মিলে মোট আউটলেট ছিল ৫০টি। স্পেসের ওপর ভিত্তি করে আউটলেটগুলোর ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ২২ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।

ফ্যাশন উইকের চার দিনে বিভিন্ন আউটলেটগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কেউই সেরকম ব্যবসা করতে পারেননি। যে ভাড়ায় তারা আউটলেট নিয়েছেন সেই টাকাই তাদের ওঠেনি। তবে তৃতীয় ও সমাপনী দিনে দু-একটি আউটলেটে ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। কেউ কেউ কেনাকাটাও করেছেন। একই অবস্থা ছিল ডিজাইন ল্যাবেও। সেখানে ১৩টি আউটলেট দেখা গেছে। প্রতিটি আউটলেটের ভাড়া ছিল ১০ হাজার টাকা। সেখানেও বিক্রেতা তেমন সাড়া পাননি বলে জানিয়েছেন।

আয়োজকদের মতে, আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের বিশেষ আকর্ষণ মাস্টার ক্লাসের ব্যবস্থা। ফ্যাশন শিক্ষার মাধ্যমে নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে এই মাস্টারক্লাসের আয়োজন করা হয়েছে। ফ্যাশনবিষয়ক এই ওয়ার্কশপে প্রতিটি সেশনে থাকবেন একজন বিশেষজ্ঞ ও একজন তরুণ ডিজাইনার। তবে এখানেও হতাশ হয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। ফি অনুযায়ী ক্লাসের শিক্ষার মান ভালো ছিল না। আবার ক্লাসে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যাও ছিল কম। এমনকি একটা প্রশিক্ষণের পর যে অংশগ্রহণকারীকে সম্মানপূর্বক সার্টিফিকেট দেওয়া প্রয়োজন, সেটাও আয়োজকদের ভাবনায় ছিল না।

এবারের আয়োজনে সবচেয়ে বেশি যে জিনিসটি দৃষ্টিকটু লেগেছে, তা হলো-আয়োজকরা মিডিয়াবান্ধব নয়। ফ্যাশন উইক উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ফ্যাশন উইকটি মিডিয়াবান্ধব করার জন্য উপস্থিত সাংবাদিকরা আয়োজকদের অনুরোধ করেছিলেন। তবে তারা সেই অনুরোধটি সেভাবে আমলে নেননি। যদিও এবার সাংবাদিকদের অনুরোধে নামমাত্র মিডিয়া সেন্টার রেখেছিলেন। সেন্টারে ছোট একটি টেবিল ও দুটি চেয়ার পাওয়া গেছে। তবে সাংবাদিকদের প্রয়োজনে আয়োজকদের সেখানে কাউকেই দেখা যায়নি। আবার ফ্যাশন উইকজুড়ে সাংবাদিকদের খোঁজ নেওয়ার জন্য কেউ ছিলেন না। এমনকি চা-কফি তো দূরের কথা, সাংবাদিকদের জন্য খাবার পানির ব্যবস্থাও করা হয়নি।

আবার অনেক পত্রিকার সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিকরা আয়োজকদের ফোন করেও মিডিয়া কার্ড বা পাস পাননি। আয়োজকদের অব্যবস্থাপনার কারণে আর্কা ফ্যাশন উইকের তৃতীয় আসরের সংবাদও পরিবেশন করেননি দেশের বেশির ভাগ পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল। হাতেগোনা দু-একটি পত্রিকায় সংবাদ ছাপা হয়েছে। এমনকি এই আসরে যারা মিডিয়া পার্টনার তাদেরও নিয়মিত সংবাদ প্রকাশ করতে দেখা যায়নি। এতেই বোঝা যায়, আয়োজকদের সঙ্গে মিডিয়ার সম্পর্কটা কতটা মধুর! আসলে আয়োজকরা ফ্যাশন উইকের জন্য মিডিয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনেই করেন না।

 তারা নিজেদের কিছুটা উচ্চ অবস্থানে চিন্তা করেন হয়তো! তাদের ভাবটা এমন-আমরা ফ্যাশন উইকের আয়োজন করব, সাংবাদিকরা আসলে আসবেন না আসলে আসবেন না। কিন্তু এখানে বলতেই হয় যে, এত বড় আয়োজনের সংবাদ যদি দেশের মানুষ না জানেন বা না পড়েন, তাহলে তাদের সেই বৃহৎ আয়োজনের মূল্য কোথায়?

লেখক ফিচার সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

কলি

অনলাইনে ঈদের পোশাক কোথায় কিনবেন

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
অনলাইনে ঈদের পোশাক কোথায় কিনবেন
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ আনন্দের বড় একটি অংশ জুড়ে থাকে নতুন পোশাক কেনাকাটা। ঈদের নতুন সব আয়োজন নিয়ে এসেছে আমাদের দেশীয় ফ্যাশনহাউজগুলো। বর্তমানে অনলাইন মাধ্যমেও ঈদের কেনাকাটা চলছে। শাড়ি থেকে জুতা, গয়না থেকে কসমেটিকস—সবই পাওয়া যাচ্ছে ভার্চ্যুয়াল শপে। অনেকে এখন ঝক্কিঝামেলা এড়াতে অনলাইনেই কেনাকাটা সারছেন। বিভিন্ন পোশাক ও বাহারি বিজ্ঞাপন আর অফারে ঘরে বসেই অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে পারেন পছন্দের পোশাকটি।

সারা লাইফস্টাইল
প্রতিবছর ঈদকে সামনে রেখে বাহারি ডিজাইনের পোশাকের আয়োজন থাকে ফ্যাশন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ তে। সারা লাইফস্টাইল তাদের ওয়েবসাইটে রেখেছে মেয়েদের জন্য পার্টি ওয়্যার সিঙ্গেল পিস, পার্টি ওয়্যার থ্রি-পিস, এক্সক্লুসিভ শাড়ি, প্রিন্টেড শাড়ি, কুর্তি, প্রিন্টেড থ্রি-পিস, ফ্যাশন টপস এবং ডেনিম। সারার এ আয়োজনে ছেলেদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবি, ক্যাজুয়াল শার্ট, ফরমাল শার্ট, টি-শার্ট, পোলো শার্ট, চিনো প্যান্ট, জগার্স, কার্গো প্যান্ট, ডেনিম প্যান্ট, পায়জামা। অনলাইনে সারা’র নিজস্ব ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সারা’র পেজ থেকে পণ্য অর্ডার  করতে পারবেন। ওয়েবসাইট লিঙ্ক 

অঞ্জন’স 
ঈদকে আরও বেশি উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত করতে দেশের ফ্যাশন হাউজের অন্যতম অঞ্জন’স প্রতি বছর পোশাক নিয়ে বিশেষ আয়োজন করে থাকে। ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেলে সমসাময়িক ট্রেন্ড নিয়ে এবারের ঈদ আয়োজন। ইসলামিক, জামদানি, কাঁথা, কলকা, ফুলকারিসহ বিভিন্ন ধরনের জিওমেট্রিক ও ফ্লোরাল মোটিফ নিয়ে এবারের আয়োজন। পোশাক প্যার্টানে চলমান ট্রেন্ড অনুসরণ করেই করা হয়েছে।  ঢাকায় অঞ্জন’স-এর শাখা আছে উত্তরা, বেইলি রোড, মালিবাগ, বনানী, মিরপুর, ধানমন্ডি, এবং ওয়ারিতে। ওয়েবসাইট লিঙ্ক 

টুয়েলভ ক্লদিং  
এবারের ঈদ ও গ্রীষ্মের কালেকশনকে আলাদাভাবে পরিচয় করিয়ে দিতেই নিজেদের সম্ভার নতুন করে সাজিয়েছে টুয়েলভ ক্লদিং। এথনিক ও ওয়েস্টার্ন– এই দুই ভাগে। পোশাকের ডিজাইনে রয়েছে একটু রাজকীয় স্টাইলিশ ঢংয়ের ছোঁয়া। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সাইটের এআই (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ফিচার। এর মাধ্যমে যে কোনও পোশাকের পেজে ঢুকে নিজের ছবি আপলোড করে ভার্চুয়াল ট্রায়াল দেওয়া যাবে। এছাড়াও রয়েছে কাঙ্ক্ষিত ড্রেসটির তুলনামূলক যাচাইয়ের সুবিধা। বেইলি রোড, বনশ্রী, খিলগাঁও, মিরপুর, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, ওয়ারি, উত্তরা, এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা, এবং গুলশান সব শাখায় পেয়ে যাবেন এবারের ঈদের পোশাক। ওয়েবসাইট লিঙ্ক

বিশ্বরঙ
ঈদে ফ্যাশনসচেতন ব্যক্তিদের জন্য নিয়ে বিশ্বরঙ নিয়ে এসেছে নতুন সব ট্রেন্ডি ডিজাইনের পোশাক। দেশীয় ঐতিহ্যের সঙ্গে আন্তর্জাতিক চলের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাহারি নকশা ও বৈচিত্রময়তায় উপস্থাপন করেছে ঈদ আয়োজনে। পোশাকের প্যাটার্নে এসেছে ভিন্নতা। ঘরে বসেই শোরুমের সব সামগ্রী কেনাকাটা করতে পারবেন অনলাইনে। ওয়েবসাইট লিঙ্ক

কে ক্র্যাফট 
ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী ক্রেতা, শুভানুধ্যায়ীদের নতুন কিছু দেওয়ার জন্য কে-ক্র্যাফট ইতোমধ্যে নানা ধরনের পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছে। মোটিফের সঙ্গে মিলিয়ে নানা রঙের ফেব্রিক ও স্টাইলের সমন্বয় করেছে কে-ক্র্যাফট এবারের ঈদ আয়োজনে।আয়োজনে রয়েছে নানা প্যাটার্নের সালোয়ার-কামিজ, ডাবল লেয়ারড সালোয়ার-কামিজ, লং-কুর্তি, রেগুলার কুর্তি, টপস্, ডাবল লেয়ারড কুর্তি, টিউনিক, গাউন, কাফতান, প্যান্টসহ টপস, টপস-স্কার্ট। ছেলেদের জন্য রয়েছে রেগুলার, কাট বেইজড ও ফিটেড পাঞ্জাবি। ওয়েবসাইট লিঙ্ক

রঙ বাংলাদেশ 
প্রতিবারের মতো এবারও রঙ বাংলাদেশ থিম ভিত্তিক কালেশনের দিকেই মনোযোগ দিয়েছে। এবারের থিম ‘আল হামরা মসজিদ’,‘টি’নালক উইভিং’ও ‘ডিলাইট ইন ডিজাইন - ইন্ডিয়ান সিলভার ফর দ্য রাজ’,থিমগুলো নিয়ে  কাজ করেছেন । রাজধানী জুড়ে রঙ বাংলাদেশ এর বর্ণীল অবস্থিতি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে। শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সকলের জন্য পোশাক রয়েছে।  রঙ বাংলাদেশ এর ঢাকা ও ঢাকার বাহিরের সকল আউটলেটেই পাওয়া যাবে এই ঈদ আয়োজনের সামগ্রী। এছাড়া ঈদ আয়োজনের সকল পণ্যই পাবেন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে। ওয়েবসাইট লিঙ্ক 

সেইলর
এবারের ঈদে সেইলরের কিডস এবং নিউবর্ন কালেকশনে বেশ কিছু নতুনত্ব আনা হয়েছে। ফ্যামিলি কালেকশন এবং সিবেলিং কালেকশনের সাথে মিল রেখে ফ্যাশনেবল প্যাটার্নে থ্রি-পিস,টু-পিস কুর্তি, ঘাগরা চোলি নানা ধরনের পোশাক আনা হয়েছে।  পোশাকগুলোতে উচ্চমানের সেইলর সিফন জ্যাকার্ড,সেইলর ব্লেন্ডেড গ্লো, সেইলর সিফন ফ্যাব্রিক  ব্যবহার করা হয়েছে।  পোশাক কিনতে যেতে পারেন ব্র্যান্ডটির যেকোন আউটলেটে। ওয়েবসাইট লিঙ্ক

 কলি

ঈদে পরিপাটি ঘর

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
ঈদে পরিপাটি ঘর
ছবি: সংগৃহীত

ঈদের সময় অনেকেই ঘরের সাজে পরিবর্তন আনেন। অল্প খরচে টুকটাক কিছু জিনিস যোগ-বিয়োগ করেই ঘরে আনা যায় নতুনত্ব। মনের হাওয়া বদল নির্ভর করে ঘরবাড়ির সৌন্দর্যের ওপর। কাজেই ঈদের পবিত্র দিনটিতে বাড়ি সুন্দর থাকুক, সেই সঙ্গে মনও থাকুক ভালো। 

ঘর পরিষ্কার 
ঈদ উপলক্ষে গৃহসজ্জার শুরুটা হতে পারে ঘরের পরিচ্ছন্নতা দিয়ে। আসবাবের ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ফার্নিচার ক্লিনার। সুপারশপে এখন লিকুইড ফার্নিচার ক্লিনার পাওয়া যায়। আর আসবাব বেশি পুরোনো হলে ঈদ উপলক্ষে আরেকবার পলিশ করে নিতে পারেন। ঘরের ইনডোর প্ল্যান্টসগুলো দু-চার দিন আগেই ধুয়ে বা মুছে পরিষ্কার করে নিন। বেসিনে সাবানের পরিবর্তে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন। অবশ্যই একটি পরিষ্কার তোয়ালে রাখতে ভুলবেন না। 

ঘরে সুগন্ধি ব্যবহার করুন
বাড়িতে আনন্দদায়ক পরিবেশ আনতে সুগন্ধ দিয়ে ভরে ফেলুন। গোলাপ, জুঁই বা চন্দনের মতো সুগন্ধি বেছে নিন। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার না করে ব্যবহার করতে পারেন আর্টিফিশিয়াল ক্যান্ডেল। সুগন্ধযুক্ত ক্যান্ডেল ব্যবহারে ঘরজুড়ে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে।

ড্রয়িং রুম
ঈদের দিনে অতিথিরা অন্য ঘরের তুলনায় বসার ঘরেই বেশি সময় থাকেন। তাই অন্দরসজ্জায় বসার ঘরকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ঈদের দিন ড্রয়িং রুমের টেবিলে একটি বড় ক্রিস্টালের পাত্রে পানি রেখে তাজা ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। এর সঙ্গে ফ্লোটিং ক্যান্ডেল রাখতে পারেন। বসার ঘর উজ্জ্বল ও হালকা রঙের মিশেলে সাজাতে পারেন। রুমে চমক আনতে বদলে নিন আপনার সোফার কুশন কভারগুলো। সোফার গদির রং হালকা হলে কুশন কভারের রং গাঢ় নিতে পারেন।

সিকুইনের কুশনের ব্যবহার করতে পারেন। চাঁদ, তারা বা মিনারের ডিজাইন করা কুশন কভার পাওয়া যায়। বাড়ির সব রুমের সব পর্দা একই রকম না করে কয়েকটি প্যাস্টেল শেড মিলিয়ে সাজাতে পারেন। এতে নরম ও কোমল ভাব আসবে। এ ছাড়া রুমে নতুন রূপ দিতে ডেকোরেটিভ লাইট ঝুলিয়ে দিতে পারেন। কর্নারে শেলফে বা শো কেসে নতুন শোপিস যোগ করুন।

বড় অ্যাকুরিয়াম যদি দেখাশোনা করতে ঝামেলা হয়, তাহলে ছোট গ্লাসের জারে দু-একটি মাছ রাখতে পারেন। কিংবা সুন্দর কোনো জারে একটু পানি দিয়ে ভাসিয়ে রাখতে পারেন কৃত্রিম পদ্মফুল। কয়েকটি গাছ এনে রাখতে পারেন রুমে। বাথরুমের সামনে রাখা পাপোশ পরিবর্তন করতে পারেন। 

শোবারঘর 
বেডরুম সাজাতে আসবাবপত্র একটু এদিক-ওদিক সরিয়ে নতুনভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন। বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভার ইত্যাদি পরিবর্তন করে নিলে আপনার শোবার ঘরটি হয়ে উঠবে বেশ আকর্ষণীয়। বিছানার পাশের সাইড টেবিলে কিছু তাজা ফুল রেখে দিলে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে ঘরজুড়ে। ঘরে ঢুকলে সবার প্রথমেই যে জিনিসটা চোখে পড়ে তা হলো বিছানার চাদর। তাই বিছানার চাদরটি যদি হয় আপনার ঘর, ঘরের আসবাব, বিছানা সবকিছুর সঙ্গে মানানসই এবং রুচিসম্মত তাহলে দেখবেন ঘরে ঢুকলেই সুন্দর এক অনুভূতি হবে।

বিছানায় হালকা ও চোখের আরাম দেবে, এমন রঙের চাদর ভালো লাগবে। আবার গাঢ় রং ব্যবহারে আসে উৎসবের ভাব। শোবার ঘরের বিছানার চাদরগুলোয় সুতি কাপড়ের প্রাধান্য দিন, এতে নতুনত্বের পাশাপাশি স্বস্তি ও আরাম পাবেন। ঈদের আগেই আপনার বেড রুমের জন্য বিছানার চাদরের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দা কিনে ফেলতে পারেন। অথবা এক রুমের পর্দা আরেক রুমে দিয়েও পুরো বাসার চেহারায় নতুনত্ব আনা যায়।

দেয়াল
ঘরের দেয়ালে রং বদলে ফেলতে পারেন। এজন্য হালকা রংকে প্রাধান্য দিন। আপনার ঘরের রং যদি সাদা হয়, তাহলে তো খুবই ভালো। তা ছাড়া ঈদের সাজে ঘরের দেয়ালেও আনতে পারেন ভিন্নতা। ওয়ালপেপার দিয়ে মুড়ে দিতে পারেন আপনার পুরোনো দেয়াল। তবে পুরো ঘর ওয়াল পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়াটা ভালো দেখাবে না। ঈদের আগে বসার ঘর, সামনের রুমের দেয়াল টেক্সচার কিংবা এম্বোস জাতীয় ওয়ালপেপার দিয়ে মুড়ে দিতে পারেন। দেয়ালে টাঙান প্রাকৃতিক কোনো ছবি, পছন্দসই ওয়ালমেট, কারুকাজ করা কোনো নকশিকাঁথা অথবা এরকম কোনো ভাস্কর্য।

 এ ছাড়া ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ঘরের দেয়ালের এক কোণায় নিজেদের ফ্যামিলি ছবির ফ্রেম দিয়ে ছবির গ্যালারি তৈরি করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যা-ই করেন না কেন সেটা যেন আপনার রুচি আর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়।

ডাইনিং রুম
ঈদের দিন শুধু খাবার পরিবেশনই নয়, আশপাশের আয়োজনও করতে হয় আকর্ষণীয়। খাবার ঘরের পর্দা হালকা সবুজ রং খুব ভালো মানায়। খাবার টেবিলে বিছিয়ে দিন টেবিল রানার, টেবিল ম্যাট এবং ম্যাচিং ন্যাপকিন। আর টেবিলের মাঝখানে রেখে দিতে পারেন আকর্ষণীয় ফলের ঝুড়িতে কিছু তাজা কিছু ফল। প্লেট, গ্লাসসহ যাবতীয় তৈজসপত্রে রাখুন নান্দনিকতার ছোঁয়া। ঈদের আমেজ ধরে রাখতে বেছে নিতে পারেন মোগল ও পারস্যের নকশা করা তৈজসপত্র। বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্নের তৈজসপত্রও ইদানীং বেশ চলছে।

আর আপনি যদি হন দেশীয় পণ্য প্রিয় বাঙালি, তবে প্রাচীন ঐতিহ্য টেরাকোটার তৈজসপত্রে ভিন্ন আঙ্গিকে অতিথিদের খাবার পরিবেশন করুন। টেরাকোটার তৈজসপত্র বেশ পরিবেশবান্ধব।

নানা ঢংয়ের আলো 
ডাইনিং টেবিলের ওপরে পেন্ড্যান্ট কিংবা শ্যান্ডেলেয়ার ধরনের লাইট ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ট্রেন্ডি ডেকোর হচ্ছে ফেইরি লাইট। মাল্টি কালার লাইটের সঙ্গে সাদা এবং হলুদ ওয়ার্ম লাইট ব্যবহার করতে পারেন। রুমকে ঈদে স্পেশাল লুক দিতে একটি বোতলে কর্ক ফেইরি লাইট দিয়ে রেখে দিতে পারেন একটা সাইড টেবিলে, কিংবা সেন্টার টেবিলে অথবা ডাইনিং টেবিলে।

এ ছাড়া চাঁদ ও তারা আকারের ফেইরি লাইট জানালার সঙ্গে টাঙিয়ে দিতে পারেন। ছোট ইরানি ঝাড়বাতি বা টার্কিশ লাইট দিয়ে বসার ঘর বা খাবার ঘর সাজাতে পারেন। বাজেট কম হলে হ্যান্ডপেইন্ট করা লাইট ও বাঁশ দিয়ে তৈরি টেবিল ল্যাম্পে ঘরের আবহ পরিবর্তন করতে পারেন।

কলি

ঈদে সেইলরের কিডস কালেকশনে নতুন মাত্রা

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:১৪ পিএম
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩২ পিএম
ঈদে সেইলরের কিডস কালেকশনে নতুন মাত্রা
ছবিঃ সেইলর

এবারের ঈদে সেইলরের কিডস এবং নিউবর্ন কালেকশনে বেশ কিছু নতুনত্ব আনা হয়েছে। ফ্যামিলি কালেকশন এবং সিবেলিং কালেকশনের সাথে মিল রেখে ফ্যাশনেবল প্যাটার্নে থ্রি-পিস,টু-পিস কুর্তি, ঘাগরা চোলি নানা ধরনের পোশাক আনা হয়েছে।  পোশাকগুলোতে উচ্চমানের সেইলর সিফন জ্যাকার্ড,সেইলর ব্লেন্ডেড গ্লো, সেইলর সিফন ফ্যাব্রিক  ব্যবহার করা হয়েছে । 

এছাড়াও ভিসকস ফ্যাব্রিক, রেয়ন, রেয়ন জ্যাকার্ড, সেইলর ক্রাফটেড ব্লেন্ডেড কালেকশনের শর্ট টপস,পাঞ্জাবি ও আধুনিক প্যাটার্নের শার্ট রয়েছে।

ঈদে পার্টিসাজে সাজাতে শিশুদের জন্য পার্টি ফ্রক ও টিনএজদের জন্য পার্টি স্যুটের কালেকশন রয়েছে। সেইসঙ্গে ডেকোরেটিভ নেট, প্রিন্টেড কটন সাটিন, সেইলর প্রিমিয়াম জ্যাকার্ড, কটন রেয়ন জ্যাকার্ড, সেইলর গ্রিড লাক্সারিয়াস, সেইলর লুম জ্যাকার্ড, সেইলর মিলাঞ্জ ব্লেন্ড ব্লিস, থ্রিডি এপ্লিক ফ্লাওয়ার নেট এবং সিকুয়েন্স নেট ফ্যাব্রিক পার্টি কালেকশন, যুক্ত করেছে নতুন মাত্রা। 

এই ফ্যাব্রিকগুলো শিশুদের ঈদসাজে দিবে ট্রেন্ডিলুক। আরাম এবং স্থায়ীত্বের নিশ্চয়তা সাথে থাকছে গুণগত মান আর স্টাইলের পরিপূর্ণতা। সেইলরের ঈদের সকল কিডস এবং নিউবর্ন কালেকশন পাওয়া যাচ্ছে দেশব্যাপী সেইলরের সকল আউটলেটে ও অনলাইনে।

/ফারজানা ফাহমি

ঈদের কেনাকাটায় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
ঈদের কেনাকাটায় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন
ছবি: খবরের কাগজ

ঈদ আনন্দের একটি বড় অংশ হলো শপিং করা। তাই মার্কেটগুলোতে এখন উপচে পড়া ভিড়। রোজা রেখে এ সময় তড়িঘড়ি ঘরে ঈদ শপিং করা বেশ ঝক্কির কাজ। ঈদ আনন্দের সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিয়ে অনেকেরই ছোটখাটো ভুল হয়ে যায়। তাই কেনাকাটার সময় ছোটখাটো কিছু বিষয় সম্পর্কে খেয়াল রাখাতে পারলে ঝামেলাহীন ঈদের কেনাকাটা করা সম্ভব।

বাজেট তৈরি করুন
কেনাকাটার জন্য কত বাজেট রাখবেন, সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করুন। নয়তো পরে দেখা যাবে, অনেক অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়ে গেছে, কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য আর টাকা নেই। তখন সমস্যায় পড়তে হবে। বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা করলে সামর্থ্যের মধ্যেই সেরাটা কেনার সুযোগ হতে পারে। আবার কারও বাদ পড়ারও ভয় থাকবে না। তাই ঈদের কেনাকাটা করতে যাওয়ার আগে অবশ্যই বাজেট তৈরি করে নিন।

কতটুকু প্রয়োজন
জিনিস কেনার আগে তার প্রয়োজনীয়তা চিন্তা করে নিন। ঈদে উপহার দেওয়ার আগে অবশ্যই খেয়াল করুন যাকে দিচ্ছেন তার জন্য সেই জিনিসটি কতটুকু প্রয়োজন। যে ধরনের পোশাক বছরে একবারও পরা হয় না, সে ধরনের পোশাক না কেনাই ভালো। এর বদলে মাঝে মাঝেই ব্যবহার করা যায় এমন পোশাক কিনলে কাজে লাগবে। এ ছাড়া প্রয়োজনের বাইরে কেনাকাটা করা থেকেও বিরত থাকুন। এক গাদা কেনাকাটার পর দেখা যাবে তার বেশির ভাগই আর কোনো কাজে লাগবে না।

অতিরিক্ত দামে কিনবেন না
পছন্দ হয়েছে বলেই কোনো জিনিস অতিরিক্ত দামে কিনে আনবেন না। যে জিনিসটি কিনছেন সেটির বাজারমূল্য সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। পছন্দ, বাজেট এবং জিনিসটির মূল্যে সামঞ্জস্য হলেই কেবল কিনুন। অতিরিক্ত দামে কোনোকিছু কেনার মানে হলো অপচয়। 

ভিন্ন ভিন্ন তালিকা করুন
ঈদে খরচ থাকে অনেক বেশি। ব্যক্তিগত কেনাকাটা, খাবারদাবার, ঘরের জিনিস, পরিবারের সব সদস্যের কেনাকাটা, প্রিয়জনের জন্য উপহারসহ অনেক কিছু রয়েছে। তাই প্রতিটি খাতের, আলাদা তালিকা বানিয়ে নিন। এতে কেনাকাটা করতে সুবিধা হবে, আর পরিচিত কেউ বাদ পড়বে না। 

কেনাকাটার জায়গা নির্ধারণ
কোথায় কেনাকাটা করতে যাবেন তা আগেই সিদ্ধান্ত নিন। এতে আপনার সময় বাঁচবে। এ ছাড়া নিজের বাজেট অনুযায়ীও কিনতে পারবেন। এ ছাড়া যেকোনো দোকানে একটি জিনিসের দরদাম হয়ে গেলে, সেটা পরিবর্তন করে অন্যটা নিতে যাবেন না। তাহলে আগের পণ্যের চেয়ে এটার দাম বেশি চেয়ে বসবে। তাই প্রয়োজনে দরদাম সম্পন্ন করার আগে  ভেবে নিন।

যাচাই করে কেনা
বাজারে এখন চড়া দাম। তাই দেখেশুনে কেনাকাটা করুন। কয়েকটি দোকান যাচাই করে কেনাকাটা করুন। যেকোনো জিনিস কেনার সময় রসিদ সংগ্রহ করতে হবে। যাতে ঠিকঠাক জিনিস কেনা যায় কিংবা প্রয়োজনে বদলানো যায়। এই সুযোগ থাকলে আপনার পোশাক কিনে ঠকে যাওয়ার ভয় থাকবে না। এ ছাড়া দোকানমালিকরা এ সময় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। পণ্য কেনার আগে যাচাই-বাছাইয়ে সতর্ক থাকুন।

শেষমুহূর্তে কেনাকাটা 
শেষ মুহূর্তের কেনাকাটার জন্য বাড়ির আশপাশের মার্কেট বা শপিং কমপ্লেক্স বেছে নিন। তাহলে খুব দ্রুত আর ঝামেলাহীন শপিং করতে পারবেন। শপিংয়ে যাওয়ার সময় সঙ্গে বন্ধু বা পরিবারের কাউকে নিয়ে যান। তাহলে দ্রুত শপিং সম্পন্ন করতে পারবেন, আবার শপিং ব্যাগগুলো ধরার জন্যও কাউকে পাবেন। এতে আপনি বিভিন্ন পণ্য ভালোভাবে দেখে ও বুঝে কিনতে পারবেন। সঙ্গে একজন থাকলে শপিংয়ের সময় নানা ধরনের বুদ্ধি বা পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করতে পারেন।

 কলি

খেজুর যেভাবে খেলে উপকার পাবেন

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:০০ পিএম
খেজুর যেভাবে খেলে উপকার পাবেন
ছবি: সংগৃহীত

আমাদের দেশে রমজান মাসে খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙার চল আছে। তবে সারা বছরই আপনি নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই ফল। খেজুর শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর স্বাস্থ্যগত উপকারিতাও অনেক। স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের কাছে খেজুর সুপারফুড। চিকিৎসকরা সুস্থ থাকতে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন। খেজুরে রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। এতে থাকে ভিটামিন, খনিজ এবং ভিটামিন বি ৬, আয়রন, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো নানা পুষ্টিকর উপাদান। খেজুরের সঙ্গে আরও কিছু জিনিস মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে শরীর বেশি পুষ্টি পাবে। 

খেজুর যেভাবে খাবেন
সকালে খালি পেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ব্লাড সুগারের মাত্রা। তাই ডায়াবেটিস থাকলে পানিতে ভিজিয়ে রাখা খেজুর খেতে পারেন খালি পেটে। ইফতারে খেজুর, দই, বাদাম দিয়ে স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। এটা আপনার শরীরে শক্তি জোগাবে। 
অনেকেই দই দিয়ে ওটস খেয়ে থাকেন। ওটসের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে নিতে পারেন। স্বাদেও মিষ্টি হবে এবং শরীরও পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে। ওটস এবং খেজুর দুটোই স্বাস্থ্যকর উপাদান।

ডার্ক চকলেটে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই ডার্ক চকলেটের সঙ্গে খেজুর খেতে পারেন, উপকার পাবেন।

ঘুমানোর আগে খেজুর খেতে পারেন। এটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে হজমের সমস্যা থাকলে ভারী খাবার খাওয়ার পরপরই খাবেন না। ডায়রিয়া অথবা পেট খারাপ থাকলে এড়িয়ে চলুন।

এ ছাড়া সারা রাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে খেলে বেশ উপকার পাবেন। রমজান মাসে সাহরিতে খেজুর রাখতে পারেন।
যারা ওজন বাড়াতে চান তারা শসা দিয়ে খেজুর খেতে পারেন।

একমুঠো খেজুর নিন। বীজগুলো ফেলে দিয়ে একটি বড় প্যানে পানি ফুটিয়ে খেজুরগুলো দিয়ে কয়েক মিনিট সেদ্ধ করুন। এরপর খেজুর সেদ্ধ করা পানি ঘরের তাপমাত্রায় কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা রেখে দিন। ঠাণ্ডা বা গরম উভয়ভাবেই পান করতে পারবেন।

খেজুর ওজন কমায়। খেজুরে থাকা ভিটামিন ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত ড্রাই ফ্রুটস হিসেবে খেতে পারেন।

খেজুরের উপকারিতা
খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কষ্টকর রোগ রয়েছে তারাও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।

খেজুরে রয়েছে শরীরের জন্য উপকারী বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। বিশেষ করে এতে ই-১, ই-২, ই-৩, ই-৫ ও ভিটামিন সি রয়েছে। খেজুর দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। সেই সঙ্গে রাতকানা রোগ প্রতিরোধেও খেজুর অত্যন্ত কার্যকর।

খেজুরে যে ফাইবার থাকে সেটি ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়াতেও কার্যকর। এতে আমাদের অন্ত্রের কার্যপ্রণালি ঠিক থাকে। এতে উপস্থিত ফেনোলিক অ্যাসিড, ক্যারোটিনয়েড, ফ্ল্যাভোনয়েডসহ নানা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট স্ট্রেস এবং প্রদাহজনিত জ্বালা কমায়। কিন্তু খেজুর খেতে হবে সঠিক পরিমাণে। প্রতিদিন তিন থেকে চারটি খেজুর খাওয়া উচিত।

খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রকে সঠিকভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো কষ্টকর রোগ রয়েছে তারাও নিয়মিত খেজুর খেতে পারেন।

খেজুরে রয়েছে অত্যন্ত কার্যকরী পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদানগুলো আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং হাড় মজবুত রাখতে অত্যন্ত কার্যকর।

 কলি