ঢাকা ১০ চৈত্র ১৪৩১, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
English

বসন্তে ফুলেল পোশাক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
বসন্তে ফুলেল পোশাক
মডেল: সাদিয়া ইসলাম মৌ, পোশাক: বিশ্বরঙ,ছবি: জি এম সুজন


বিগত কয়েক বছরে বসন্তের সাজ-ফ্যাশনে বেশ পরিবর্তন এসেছে। পাশ্চাত্যর মতো আমাদের দেশে বসন্তকালে পরার জন্য তৈরি পোশাকগুলোর মোটিফে ঘুরে ফিরে এসেছে ফুল। ফুলেল ছাপার পোশাক এবারের বসন্ত সংগ্রহে দেখা যাচ্ছে। বৈচিত্র্য রয়েছে পোশাকের মোটিফ ও ডিজাইনে। বাহারি রঙের পোশাকেও বসন্তবরণ করা হচ্ছে।

যেমন হবে পোশাক 
বসন্তবরণ মানেই বর্ণিল পোশাক। এই দিনটিতে নারীদের বেশির ভাগই শাড়ি বেছে নেন। তবে সালোয়ার কামিজ, কুর্তা, স্কার্ট-টপস অথবা পাশ্চাত্য ঘরানার পোশাকও মানিয়ে যায় বসন্তের আবহের সঙ্গে। শাড়ি পরলে ব্লাউজে আনতে পারেন নতুনত্ব। সুতি, কোটা, জর্জেট ও সিল্কের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। শাড়ির জমিনের কোথাও আছে এক থোকা ফুল বা কোথাও একগুচ্ছ পাতা। আবার কোথাও কবিতা বা গানের লাইন এঁকে শাড়িতে আনা হয়েছে বাংলা প্রকৃতির আদল। বাংলাদেশের প্রকৃতি ও ঐতিহ্য এত সমৃদ্ধ যে, প্রতিটি ঋতুতেই আলাদা আলাদা মোটিফে কাজ করার সুযোগ থাকে। তাই অনেকে হলুদ জমিন শাড়ির ওপর ছোট ছোট সাদা ফুলের কাজ করে। সাদা কাপড়ের ওপর হলুদ রঙের ফুলও বসন্তের বার্তা দেয়।

শাড়ির জমিনের কোথাও আছে এক থোকা ফুল বা কোথাও একগুচ্ছ পাতা

অনেকগুলো রং দিয়ে শাড়িতে স্ট্রাইপের নকশা করেছে। এ ছাড়া এই সময়ে ঢিলেঢালা কামিজ, কুর্তি, টিউনিক, টপস পরেন অনেকে। ফুলহাতা না পরে হাফহাতা বা স্লিভলেস পোশাক পরতে পারেন। বটম হিসেবে পালাজ্জো, ধুতি সালোয়ার, ওয়াইড লেগড জিনস বা গ্যাবার্ডিনের প্যান্ট, লম্বা স্কার্ট পরলে ভালো লাগবে। ট্রেন্ড হিসেবে মিডি ও ম্যাক্সি ড্রেসের জনপ্রিয়তা অনেক। 

চাইলে এগুলো দর্জির কাছ দিয়ে সুতি বা লিনেন ফেব্রিকে বানিয়ে নিতে পারেন। বসন্তে বর্ণিল পোশাক এনেছে ফ্যাশন হাউসগুলো। বসন্ত কালেকশনে রয়েছে মেয়েদের জন্য শাড়ি, থ্রি-পিস, কেপ টপ, কাফতান, কুর্তি, শর্ট টপ। ছেলেরা অন্য সময় ফুলেল মোটিফ এড়িয়ে চললেও এ সময়ে বেশ পছন্দ করে। পাঞ্জাবিতেও জায়গা করে নিয়েছে ফুলেল নকশা। ছেলেদের পাঞ্জাবির পাশাপাশি ক্যাজুয়াল শার্ট, কুর্তা, পলো, টি-শার্ট, ডাই শার্ট রয়েছে। ছোটদের কালেকশনে টি-শার্ট, স্কার্ট টপ, ফ্রক, টপস, প্যান্ট টপ, জাম্প স্যুট, ক্যাজুয়াল শার্ট, কুর্তা, পলো, টি-শার্ট, টুইন টপসহ আরও নানা স্টাইলিশ পোশাক।

পোশাকের কাপড় 
ঋতুর তাপমাত্রার কথা মাথায় রেখে ক্রেতাদের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে আরামদায়ক শিফন ও কটন ফেব্রিক। এমন আবহাওয়ায় সবচেয়ে ভালো সুতি কাপড়ের পোশাক। সুতি কাপড়ের ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে। এ ছাড়া এর ঘাম শোষণক্ষমতাও বেশি। সুতির পরই আরামদায়ক কাপড়ের দৌড়ে এগিয়ে নরম লিনেন। এ ছাড়া বেছে নিতে পারেন খাদি, ভিসকস, ধুপিয়ান, শিফন, সিল্কের পোশাক।

ফুলের নকশা 
জমিনের রং, কাপড়ের ধরন, পোশাকের ডিজাইন সবকিছুই আপনার শারীরিক অবয়বে প্রভাব ফেলতে পারে। পাতলা গড়নের মেয়েদের যেকোনো ছাপা নকশাতেই মানাবে। ভারী গড়নের মেয়েরা আজকাল ফ্রকের মতো চারদিকে ছড়ানো পোশাক বেশি পছন্দ করছেন। ঢোলা কিন্তু কলার দেওয়া কুর্তা, বড় টপের সঙ্গে মেঝেছোঁয়া স্কার্ট কিংবা লম্বা কোটির মতো দুই পরত দেওয়া কামিজ পরছেন অনেকে। ঘন ফুলের নকশা বা ফুলের মোটিফের পোশাক ভালো লাগে। এ ছাড়া মাল্টিকালার প্রিন্টের পাশাপাশি ফ্লোরাল প্রিন্টে ওয়াটার প্রিন্ট ইফেক্ট ব্যবহার করে অনেকে পোশাক ডিজাইন করছেন।

সালোয়ার-কামিজ, স্কার্ট, টপস, গাউনে রং মেলেছে ছোট বড় উজ্জ্বল বিভিন্ন ফুলের পোশাক। এ ছাড়া লিনেন, কটন, সিল্ক, হাফসিল্ক, ভয়েল, টু-টোন কাপড়ে তৈরি পোশাকগুলোতে নকশা ফুটিয়ে তুলতে হাতের কাজ, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট এবং টাই-ডাইয়ের ব্যবহার হয়েছে।

পোশাকে প্রকৃতির রং
ফাল্গুনের প্রথম দিনটিতে চারদিক প্রকৃতির রংগুলোতে সেজে উঠে। নতুন পাতার কচি সবুজ রং কিংবা গাঁদা ফুলের হলুদ-কমলা রং- বসন্তবরণের সাজে প্রকৃতির এই রংগুলোতেই সেজে উঠতে পছন্দ করে সবাই। বসন্তের চিরায়ত রং বাসন্তীর পাশাপাশি লাল, কমলা, সবুজসহ অনেক রং দেখা যায়। সাদার ওপরেও বিভিন্ন রঙের নকশা করা কাপড় জড়িয়ে নিতে পারেন গায়ে। যে রঙেরই হোক না কেন, বসন্তে ফুলেল নকশা দারুণ মানিয়ে যায়। এ ছাড়া সব উজ্জ্বল রঙের ফুটে উঠেছে ফুলের প্রিন্টগুলো। লাল, গোলাপি, হলুদ, নীল, পিচ, বেগুনি, কমলা, চকলেট আর সবুজের সব কটি শেড ফুটে দেখতে পাবেন ফুলেল ছাপার যেকোনো কাপড়ে।

কাপড়ের কাটছাঁট
ফুলের আকৃতি আর কাপড়ের ধরন বুঝে পোশাক কাট ঠিক করা হয়। অনেক ফ্যাশন হাউস ঝলমলে কাপড়ে আধুনিক ছাঁট পোশাক ডিজাইন করেছে, আরামদায়ক কাপড় সুতিতে চেনা কাটের পাশাপাশি ফুলেল ছাপায় কাটিং, প্যাটার্ন ট্রেন্ডি অনুসরণ করেছে।

টপসে সেমি বোট নেক, রাউন্ড নেক, রাউন্ড উইথ ফল, ব্র্যান্ড কলার পোশাক বসন্তে বেশ মানানসই। গাউন, কামিজ, টরসোর মতো ড্রেসে ফ্লোরাল প্রিন্টের ব্যবহার করে আলাদা ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়া কিছু কিছু ফ্যাশন হাউস উৎসবের মোটিফে ডিজাইন না করে, সব জায়গায় সব আয়োজনে পরা যায় এমন পোশাক ডিজাইন করেছে। বেন কলার দেওয়া লুজ ফিটিংয়ের শার্ট, স্লিভলেস, স্লিভসহ তুর্তি। ভি নেক, নচ বা কোট কলার ও সাইড বেল্ট দিয়ে ভিন্ন লুক আনা হয়েছে, যা পরা যাবে উৎসব থেকে শুরু করে যেকোনো আয়োজনে। 

কলি

 

ঈদে কে ক্র্যাফট-এর সালোয়ার কামিজ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
ঈদে কে ক্র্যাফট-এর সালোয়ার কামিজ
কে ক্র্যাফটের সালোয়ার কামিজ। ছবিঃসংগৃহীত।

আনন্দের সহযাত্রী হয়ে আসবে ঈদ। আর তাই ঈদকে সামনে রেখে থেমে থাকবে না পোশাক নিয়ে ভাবনা। এ ক্ষেত্রে মেয়েরাই একটু এগিয়ে থাকবে। এবারের ঈদে দেশের অন্যতম প্রধান ফ্যাশন হাউস কে ক্র্যাফট সালোয়ার কামিজ এর বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজাইনের ব্যাপক আয়োজন করেছে।

এই আয়োজনে প্রধানত জোর দেয়া হয়েছে ভিন্ন আমেজের ডিজাইনে, কাট-প্যাটার্ন এবং ফ্যাব্রিক নির্বাচনে। নিজস্ব ডিজাইনে মোটিফের ব্যবহার, রঙ নির্বাচন, ভ্যালু অ্যাডিশনে নানা মিডিয়ার ব্যবহার সকলেরই ভালো লাগবে।   

ঈদ আসতে আসতে গরমও চলে আসবে, আর তাই সময় ও পরিবেশকে চিন্তায় রেখে ফ্যাশনের পাশাপাশি আরামদায়ক এবং স্বস্তিতে থাকতে দিনের বেলায় প্যাস্টেল শেড ও অন্যান্য হালকা রঙ এবং রাতের পার্টিতে আভিজাত্য নিয়ে আসবে এমন গাঢ় রঙে কটন, জ্যাকার্ড কটন, স্ল্যাব কটন, নীব কটন, টুটোন, লিনেন, জর্জেট, সিল্ক, জয়শ্রী সিল্ক, অরগাঞ্জা ফ্যাব্রিকে করা হয়েছে সালোয়ার কামিজ। 

এ-লাইন, বেসিক, প্রিন্সেস লাইন, গোর, লং এবং সেমি লং প্যাটার্নকেই মূলত প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কামিজের ইয়কে স্ক্রিন প্রিন্টের সাথে হাতের কাজ আবার এমব্রয়ডারির সমন্বয়, এমব্রয়ডারির সাথে কারচুপি আর সিকুইন এর সমন্বয়। এবারের সালোয়ারের কাটেও থাকছে ভিন্নতর পরিবর্তন। স্ক্রীন প্রিন্ট এবং লেস এর ব্যবহারে স্ট্রেইট প্যান্ট, ডিভাইডার, পালাজো স্টাইলের এর বোটম ওয়্যার রয়েছে এবারের কালেকশনে।   

মোটিফ এবং অলঙ্করনে ভিন্নতা থাকবে। জামদানী, ফ্লোরাল, ইক্কত, পার্সিয়ান, আলাম, জিওমেট্রিক মোঘল, মান্ডালা, গ্রীক, টার্কিশ, ট্র্যাডিশনাল পেইসলে এর মতো বিভিন্ন মোটিফকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কাপড়ের ধরন ও অলংকরনে পরিমিতিবোধ বজায় রাখা হয়েছে। রঙ হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে ম্যাজেন্টা, নেভী, পার্পল, মেরুন, মভ পিঙ্ক, বার্গান্ডি, জাভা গ্রীন, ব্ল্যাক, মেটালিক গোল্ড ছাড়াও ল্যাভেন্ডার, হোয়াইট, পার্ল হোয়াইট, পীচ, ভায়োলেট, পিঙ্ক, ফরেস্ট গ্রীন, অরেঞ্জ রঙের মধ্যে বেশিরভাগ পোশাক। 

কে ক্র্যাফট এর সকল আউটলেট এবং অনলাইন শপ kaykraft.com থেকে এবারের ঈদের সালওয়ার কামিজগুলো কিনতে পাবেন ৩ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকার মধ্যে।

/ফারজানা ফাহমি 

ঈদের দিনের রেসিপি

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:১৮ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:২০ পিএম
ঈদের দিনের রেসিপি
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ মানেই আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি। ঈদের  সময় অতিথি আপ্যায়নে কিংবা পরিবারের সদস্যদের জন্য নানা পদের রান্নার আয়োজন থাকে। 

চিকেন সালাদ 

উপকরণ
শসা ২ কাপ, গাজর ১ কাপ, টমেটো ১ কাপ, ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ টেবিল চামচ, চাট মসলা ১ চা চামচ, চিনা বাদাম আধা কাপ, লবণ ও বিট লবণ আধা চা চামচ করে, চিকেন ভাজা ১ কাপ, লেবুর রস ১ চা চামচ, চিনি আধা চা চামচ। 

চিকেনের জন্য 
জুলিয়ান কাট চিকেন ১ কাপ, আদাও রসুন বাটা ১ চা চামচ, সয়াসস ২ টেবিল চামচ, কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ চা চামচ, গোল মরিচ গুঁড়া আধা চামচ, কাশ্মীরি মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, ডিম অর্ধেকটা, সয়াবিন তেল ভাজার জন্য।

ভাজার প্রণালি 
ডিম, কর্নফ্লাওয়ার ছাড়া বাকি সব উপকরণ একসঙ্গে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। পরে ডিম, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে আবারও হালকা করে মাখিয়ে গরম তেলে একটা একটা ছেড়ে সব একসাথে ভেজে নিন। হয়ে গেল চিকেন ভাজা।

প্রণালি
সব সবজি জুলিয়ান কাট করে কেটে নিন। পরে সবজি, লবণ, চিনি লেবুর রস, বাকি মসলা, চিকেন ভাজা, চাট মসলা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল চিকেন দিয়ে সালাদ মাখা।

বাদাম, খেজুর ভরা দুধ সেমাই

উপকরণ 
দুধ ২ লিটার, চিনি দেড় কাপ, চিকন হলুদ সেমাই ১ কাপ, এলাচ ও দারুচিনি ৩-৪ টা করে, জাফরান সামান্য, কাঠ বাদাম ৪ টেবিল চামচ, খেজুর ৪টি, পেস্তা বাদাম ২ টেবিল চামচ, কাজু বাদাম ৪ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ। 

প্রণালি
হাঁড়িতে দুধ ফুটে উঠলে চিনি দিন। পরে এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন। কড়াইয়ে চিকন হলুদ সেমাই ভেজে ধুয়ে নিন। পরে গরম দুধে সেমাই দিয়ে নেড়ে রান্না করুন ঘন হওয়ার আগ পর্যন্ত। তারপর ঘি, বাদাম, জাফরান দিয়ে আরও ৫ মিনিট রান্না করুন। এবার সার্ভিং ডিশে রেখে খেজুর, বাদাম, জাফরান ছড়িয়ে নরমাল ফ্রিজে রাখুন। তৈরি হয়ে গেল বাদাম, খেজুর ভরা দুধ সেমাই।

বোরহানি

উপকরণ
টক দই ১ কেজি, ধনে ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, জিরা ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, পোস্তদানা ভাজা গুঁড়া ১ চা চামচ, সাদা গোলমরিচ গুঁড়া আধা চা চামচ, বিট লবণ আধা চা চামচ, পুদিনা পাতা বাটা ২ টেবিল চামচ, ধনেপাতা বাটা ১ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ বাটা ১ টেবিল চামচ, চিনি ১/৪ কাপ, লবণ, স্বাদ মতো পানি, ২ কাপ বরফ কুচি ১ কাপ। 

প্রণালি
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর পাতলা কাপড় দিয়ে চেলে নিন। এবার বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন।

ঈদে মানানসই গহনা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
ঈদে মানানসই গহনা
মডেল: দিশা, ছবি: আদিব আহমেদ

মুসলমান ধর্মাবলম্বী নারীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ঈদে খুব বেশি জাঁকজমক সাজ যেমন মানানসই নয় তেমনি আড়ম্বরহীন, সাধারণ লুকেও হারায় ঈদের জৌলুস। ঈদে আভিজাত্য সাজে ফুটিয়ে তুলতে নারীরা পোশাকের সঙ্গে বেছে নেন রুচিশীল গহনা। 

পোশাকের সঙ্গে গহনা মানানসই না হলে পুরো সাজই যেন বৃথা। তাই নিজের সংগ্রহে যতই গহনা থাকুক না কেন শৌখিন নারীদের ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন গহনা কেনাই লাগে। গরম ও আভিজাত্যের কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদে সালোয়ার কামিজ, শাড়ি ও ওয়েস্টার্ন পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে প্যাস্টেল এবং গাঢ় রং।

প্যাস্টেলের ভেতর দেখা গেছে পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার, মিন্ট গ্রিনের প্রাধান্য। এ ছাড়া লাল, গাঢ় সবুজ, মেরুন রং রয়েছে শীর্ষে। প্যাস্টেল রঙের প্রাধান্যের সঙ্গে মিলিয়ে এবার ঈদে ট্রেন্ডে রয়েছে রুপা, মুক্তা ও কুন্দনের গহনা। আবার গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে গোল্ডেন কপারের ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মিশেলে গহনা এনেছেন ডিজাইনাররা। এক্সপেরিমেন্টাল গহনা হিসেবে এবার প্রাধান্য পেয়েছে কড়ি, কাপড়, পাথর, রেজিন ও ক্লে দিয়ে তৈরি গহনা। মিনিমালিস্টিক এসব গহনার নান্দনিক ও নতুন ধারার উপস্থাপন নজর কেড়েছে তরুণ-মধ্যবয়স্ক সব বয়সী নারীদের।

এবারের ঈদে পেনডেন্ট, ব্রেসলেট জাতীয় গহনায় আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন ডিজাইনাররা

ঈদের দিনের সকালে নারীরা সাধারণত স্নিগ্ধ সাজেই থাকতে ভালোবাসেন। সকালের সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিতে পারেন মুক্তার লকেট যুক্ত চিকন চেইন অথবা রুপার ছোট গহনা। এবারের ঈদে পেনডেন্ট, ব্রেসলেট জাতীয় গহনায় আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন ডিজাইনাররা। এক হাতে ব্রেসলেট কিংবা কানে আধুনিক ডিজাইনের লম্বা দুল পরলে গলায় গহনা না পরলেও ঈদের দিন সকালে দেখতে বেশ সতেজ লাগবে। ঈদ ও পরবর্তী কয়েকদিন দাওয়াত, পার্টি ও উৎসব আয়োজন থাকে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিতে পারেন সাবেকি ধাঁচের কিছুটা ভারী গহনা।

এক্ষেত্রে কপার গোল্ডেন চোকার, পার্লের লেয়ার যুক্ত নেকলেস, কুন্দনের গহনা বেশ মানানসই। আবার পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে জ্যামিতিক শেপের লম্বা দুল, রেজিনের তৈরি নেকলেস পরলে আর কিছু পরার প্রয়োজন পড়ে না। মিনিমাল গহনাতেই সাজে পরিপূর্ণতা আসে। গহনা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিন পোশাকের ছাট ও নিজের শারীরিক গড়নকেও। পোশাকে ভি শেপ যুক্ত গলার ডিজাইন হলে বেছে নিন চোকার জাতীয় ছোট আকারের গহনা। আবার গোল গলার লম্বা জামা হলে বেছে নিতে পারেন চেইনযুক্ত নেকলেস।

কোথায় পাবেন, কেমন দাম
একটা সময় ছিল ঈদের গহনা কিনতে বেশির ভাগ নারী ভিড় জমাতেন নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনি চক এলাকায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বড় হয়েছে গহনার দোকানের পরিসর। দোকান, মার্কেটের বদলে এখন অনেকেই বেছে নেন অনলাইন কেনাকাটা। সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক গহনার ব্র্যান্ড সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, গ্লুড টুগেদার, কারখানা তাদের  নতুনত্ব ও বাহারি শৈলীর জন্য তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

বিভিন্ন অনলাইন ব্র্যান্ড এ সুযোগ থাকে নিজের প্রয়োজনমতো গহনার রং, পাথর ও আকার পরিবর্তন করে নেওয়ার। অনলাইনে ব্যতিক্রমী ধাঁচের এসব গহনার দাম কিছুটা বেশি। ঈদে পরার উপযোগী গহনার সেটগুলো কিনতে দাম পড়বে সাধারণত আড়াই থেকে ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মিনিমাল ডিজাইনের সোনা, রুপা, পার্ল ও কাপড়ের তৈরি বিভিন্ন গহনা নান্দনিক ও জনপ্রিয়।

ঈদকে উপলক্ষ করে বরাবরই নতুন শৈলীর গহনা তৈরি করা হয়। হাতে বেশ কিছুদিন সময় থাকলে চাঁদনি চকের গহনার দোকানগুলোতেও তৈরি করে নিতে পারবেন নিজের পছন্দের নকশা অনুযায়ী তামা ও রুপার সাবেকি ধাঁচের গহনা। এখানে গহনা কিনতে পারবেন তুলনামূলক সুলভ মূল্যে।

 কলি

শিশুদের ঈদের সাজ

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৬ পিএম
শিশুদের ঈদের সাজ
ছবি ও পোশাক: সেইলর

ঈদের খুশি বড়দের তুলনায় ছোটদের একটু বেশিই থাকে। শুধু প্রজাপতির মতো ডানা মেলে ছুটে চলা। কাজের কোনো তাড়া নেই, সুন্দর পোশাক পরে ঘোরাঘুরি আর খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু শিশুদের ভালো লাগা ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপনের জন্য বাবা-মা সর্বদাই ব্যস্ত থাকেন। ঈদের উৎসবে বাসার ছোট সদস্যদের সাজসজ্জা ও পোশাকের ক্ষেত্রে থাকে বাড়তি সতর্কতা। 

শিশুর পরিপাটি পোশাক 
শিশুর পোশাক আরামদায়ক হতে হবে। শিশুরা খুব চঞ্চল হয় বলে তাদের খুব লম্বা অথবা খুব ছোট পোশাক না পরানোই ভালো। শিশুদের পোশাক এবং জুতো অবশ্যই মাপমতো কিনতে হবে। মাপে বড় বা ছোট হলে তা শিশুদের জন্য অস্বস্তির কারণ হবে। পোশাকের ক্ষেত্রে বাতাস চলাচল করতে পারে- এমন ঢিলেঢালা পোশাকের সঙ্গে সুতি বা লিনেনের ফ্রক, শার্ট, টি-শার্ট, টপস ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন। হালকা সুতা, পুঁতি বা সিকুইন কাজের বাহারি ডিজাইন করা পোশাক শিশুদের ভালো মানায়।

এ ছাড়া নানা কাটের গাউন, টপ ও শর্ট স্কার্ট, ব্লক ও এমব্রয়ডারি করা সালোয়ার-কামিজ ও লং-স্কার্ট মানানসই। ঈদের দিনে ছোট-বড় সব বয়সী ছেলেদের কাছে পাঞ্জাবি প্রথম পছন্দ। ছোট শিশুর জন্য আরামদায়ক কাপড়ের পাঞ্জাবি বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া সুতি আর ভিসকস কাপড়ের ফুলহাতা শার্ট, হাফহাতা শার্ট, টি-শার্ট আর পোলো শার্ট পরাতে পারেন। পাঞ্জাবির সঙ্গে স্লিপার, স্যান্ডেল সু, ক্যাজুয়াল সু আর কেডস পরলে ভালো দেখাবে। স্লিপার, বেল্ট ও বেল্টহীন স্যান্ডেল বেশ মানায় শিশুদের পায়ে।


 
নানা অনুষঙ্গ
শিশুরা এমনিতেই সুন্দর। সুন্দর বর্ণিল জামা-জুতা তাদের আরও উজ্জ্বল করে তোলে। মেয়েশিশুদের নতুন জামা-জুতার পাশাপাশি চুলের ক্লিপ, রাবার ব্যান্ড, চুড়ি, মালা আংটিসহ সাজসজ্জার নানা অনুষঙ্গ রাখতে হয়। অনেকেই শিশুদের চুড়ি পরাতে পছন্দ করেন।  শিশুর হাতে কাচের চুড়ি না পরানো ভালো। হাত কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। স্বর্ণ, রুপা বা ডায়মন্ডের মতো দামি কোনো কিছু পরানো থেকে বিরত থাকতে হবে। মেটালের চুড়ি পরাতে পারেন। রঙিন হালকা পুঁতির মালা বেছে নিতে পারেন। ছোট ছেলেদের ক্ষেত্রে ঘড়ি আর চশমা দিয়ে ষোলোকলা পূর্ণ করতে পারেন। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে জুতা ও ব্যাগ রাখতেই হয়। বিভিন্ন ধরনের পুতুল, কার্টুনের ছবি আছে এমন ব্যাগ শিশুদের সঙ্গে দিতে পারেন, তাকে সুন্দর লাগবে।

শিশুর সাজ 
শিশুরা বড়দের সাজতে দেখে নিজেও সাজার বায়না করে। শিশুর সাজের ক্ষেত্রে তার সুস্থতা এবং নিরাপত্তার দিকটি অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। বড়দের প্রসাধনী ব্যবহার করা শিশুদের স্পর্শকাতর ত্বক ও চুলের জন্য ক্ষতিকর। সাজতে চাইলে মেকআপ ছাড়াই শিশুকে সুন্দরভাবে সাজানো যায়। শিশুদের ত্বকে ফাউন্ডেশন, আইলাইনার, মাশকারা ব্যবহার করা যাবে না। শিশুকে খুশি রাখতে ছোট কিছু পরিবর্তনই যথেষ্ট। শিশুর উপযোগী ময়েশ্চারাইজার ও বেবি পাউডার লাগিয়ে দিতে পারেন। খুব বেশি বায়না করলে গালে হালকা ব্লাশঅন লাগিয়ে নিতে পারেন। নেলপলিশে তেমন কোনো ক্ষতি হয় না বলে নখ রাঙাতে বাধা নেই শিশুদের। ঠোঁটে চাইলে একদমই হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন। এতে শিশুদের দেখতে সুন্দর লাগবে। শিশুর চোখে অনেকে কাজল পরিয়ে থাকেন। এসবে কোনো ক্ষতি নেই। তবে কারও কারও কাজলে অস্বস্তি হতে পারে। তাদের ক্ষেত্রে কাজল ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।

চুলের সাজ 
চুলের জন্য পোশাকের সঙ্গে মানায় এমন হেয়ারস্টাইল বেছে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, শিশুর চুলে যেন টান না লাগে। তাতে ব্যথা লাগবেই, চুলও ছিঁড়ে আসবে। বড় চুলে পনিটেল বা বেণি বা ঝুঁটি করে দিতে পারেন। এ ছাড়া চুল খোলা রেখে রাউন্ড ব্যান্ডও ব্যবহার করতে পারেন। একটু অন্যরকম করে চুল আঁচড়ে দিতে পারেন। যাদের লম্বা চুল, তাদের সামনের চুলগুলো পেঁচিয়ে বা নানারকম বেণির বুনন করে ছোট ছোট ক্লিপ দিয়ে বাঁধা যায়। যাদের ছোট চুল বাঁধা যায় না, তারা প্লাস্টিক, ধাতব কিংবা কাপড়ের তৈরি ক্লিপ বা রাউন্ড ব্যান্ড ব্যবহার করতে পারেন। ছেলেদের ক্ষেত্রে ঈদের আগে চুলে একটি সুন্দর কাট দিতে পারেন। 

 কলি

 

আতর-টুপি পাবেন যেখানে

প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
আতর-টুপি পাবেন যেখানে
ছবি: আদিব আহমেদ

ঈদের দিনে শুধু নতুন পাঞ্জাবি-পায়জামা নয়, সঙ্গে সুগন্ধি আতর ও বাহারি রঙের টুপি না হলে ঈদ ঠিকমতো জমে না। নতুন পোশাক কেনার পর সবাই ভিড় জমায় টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে। বিভিন্ন এলাকায় টুপি, জায়নামাজের পসরা নিয়ে বসেন বিক্রেতারা। এ ছাড়া বিভিন্ন অভিজাত বিপণিবিতানে চলে আতর, টুপি ও তসবিহর বেচাকেনা। ঈদের দিন নতুন পোশাকের সঙ্গে মাথার টুপি এবং শরীরের সুবাস না থাকলে সাজে পূর্ণতা আসে না। তাই নতুন কাপড়ের পাশাপাশি মাহে রমজানের শুরু থেকে বিক্রি বেড়েছে আতর-সুগন্ধি, টুপির।

আতর 
ঈদের নতুন কাপড়ের ঘ্রাণটাকে আরও তীব্র করে তুলতে সবার কাছে অ্যালকোহলমুক্ত, হালাল সুগন্ধি আতরের বিকল্প যেন শুধুই আতর। দেশি আতরের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এমনকি ভারত ও পাকিস্তানের আতর বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ দোকানে ৩ মিলির ছোট বোতলে ভরে আতর বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মিলির দাম ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা। সবচেয়ে দামি আতর কস্তুরির প্রতি তোলার (১২ মিলি) দাম ২০ হাজার টাকা। বাংলাদেশে আতর বিক্রির বড় কেন্দ্র রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট। সেখানে আতরের কয়েক ডজন দোকান আছে। তার বাইরে আতর বিক্রি হয় কাঁটাবন মসজিদ মার্কেটে, হাতিরপুলে, চকবাজারে।

পুরান ঢাকার মিটফোর্ডে আতর আর পারফিউমের বড় পাইকারি বাজার গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া রাজধানীর নিউমার্কেট, চকবাজার, কাকরাইল মসজিদ মার্কেট, চাঁদনী চক, এলিফ্যান্ট রোড, মৌচাক মার্কেটসহ বিভিন্ন ফুটপাতের সুগন্ধির দোকানগুলোর ভিড় চোখে পড়ার মতো। মানভেদে একেক জায়গায় আতরের দাম একেক রকম হয়ে থাকে। ফুটপাতের দোকানগুলোয় ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে ছোট আকারের বোতলে বিভিন্ন রকমের আতর পাওয়া যায়। দেশীয় আতরের মধ্যে গোলাপ, বেলি, হাসনাহেনা ও রজনীগন্ধার চাহিদা কিছুটা বেশি। আর একটু ভালো মানের আতর কম দামে নিতে চাইলে যাওয়া যেতে পারে বায়তুল মোকাররমের সামনে। সেখানে দেশীয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি রয়েছে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ডের আতর। যেমন- আম্বার, হুগোবস, গুচি, রোমান্স, সিলভার, মেশক আম্বার, জান্নাতুল ফেরদৌস ইত্যাদি। আর যারা দামি আতর কিনতে চান তারা ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে আতর পেয়ে যাবেন এসব মার্কেটে।

টুপি 
ঈদের দিনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো নতুন পাঞ্জাবির সঙ্গে নতুন টুপি। সারা বছর টুপি ব্যবহার করলেও ঈদের দিনে নতুন জামা কাপড়ের সঙ্গে নতুন টুপি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন সবাই। আতরের মতো রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটেই টুপি পাওয়া যায়। মার্কেটে নানা নামের ও দামের টুপি বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে আছে ব্রুনেই টুপি, রুমি টুপি, ওমানি টুপি, সৌদি টুপি, পাগড়ি টুপি, আফগান টুপি, ইন্দোনেশিয়ান টুপি, পাকিস্তানি সিন্ধি টুপি, মিসরীয় টুপি। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে জরির কাজ করা তুর্কি টুপি। ফেব্রিক্স, ডিজাইন, নানা ধরন ও মানের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন দামের টুপি পাওয়া যায়। দেশে তৈরি টুপিগুলো পাবেন ৫০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। এ ছাড়া বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে নানা ধরনের বিদেশি টুপিও পাওয়া যায়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি, আফগান, চীনা, তুর্কি, ভারতীয় ও দুবাইয়ের টুপি। কম দামে বৈচিত্র্যময় ডিজাইনের টুপির চাহিদা বেশি। কাপড় ভেদে ৫০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা দামের টুপি পাওয়া যায়। এ ছাড়া বসুন্ধরা, যমুনা ফিউচার পার্ক থেকে গুলিস্তান, নিউমার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে বাহারি রকমের টুপি।

জায়নামাজ
বাজারে দেশি জায়নামাজের পাশাপাশি তুরস্ক, পাকিস্তান, ভারত ও বেলজিয়ামে তৈরি জায়নামাজ পাওয়া যায়। বৈচিত্র্যময় নকশার জায়নামাজ নিজের পছন্দমতো কিনে নিতে পারেন। জায়নামাজের বুনন, কোমলতা ও নকশার ওপর ভিত্তি করে দাম নির্ধারণ করা হয়। দেশীয় জায়নামাজ কিনতে চাইলে ৫০০ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা দাম পড়বে। তুরস্কের জায়নামাজ ৪৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা, পাকিস্তানি জায়নামাজ ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বেলজিয়ামে তৈরি জায়নামাজ পাবেন ৮০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়, ভারতে তৈরি জায়নামাজ পাবেন ৪ হাজার টাকার মধ্যে।

 কলি