ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

ঈদে পছন্দের পাঞ্জাবি

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
ঈদে পছন্দের  পাঞ্জাবি
পোশাক ও ছবি: বালুচর

উৎসবপ্রিয় বাঙালির ঈদে নতুন পাঞ্জাবি চাই-ই চাই। শিশু থেকে বৃদ্ধ- সব বয়সী পুরুষের ঈদ নতুন পাঞ্জাবি ছাড়া অসম্পূর্ণ। ঈদে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাইকে সুন্দর ও পরিপাটি করে গড়ে তুলতে ফ্যাশন হাউসগুলো আয়োজনের শেষ নেই। এবার ঈদের পাঞ্জাবিতে এসেছে বৈচিত্র্য, বেশি গুরুত্ব কাপড়ে, আরামে। তাই পাঞ্জাবি যেন হয়ে উঠেছে হরেক ডিজাইনারের রং করা ক্যানভাস। 

নানা আয়োজনে 
টি-শার্ট, জিনস পরলেও তরুণরা ঈদে পাঞ্জাবি পরেন। ঈদের দিন সকালটা থাকে পাঞ্জাবির দখলে। আর এই পাঞ্জাবি প্রতি বছর আসে ভিন্ন ভিন্ন ধারা নিয়ে। কখনো সেটা লম্বা, কখনো খাটো, একবার দেখা যায় ভারী কাজ, আবার হালকা কাজ। তাই পাঞ্জাবি কেনার আগে ট্রেন্ডটা জানা জরুরি। ঈদ উপলক্ষে বর্ণিল নকশার পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছে ছোট-বড় সব ফ্যাশন হাউস। বৈচিত্র্যময় পাঞ্জাবিতে নকশা, রঙে এবং কাটছাঁটে রয়েছে বিভিন্নতা। শর্ট আর সেমি লং পাঞ্জাবি দেখা যাচ্ছে। পাঞ্জাবিতে রয়েছে নানা নকশার সমাহার। আর ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল তো রয়েছেই।

যেমন হবে গলা 
কয়েক বছর ধরে ব্যান্ড কলারের পাঞ্জাবি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই পাঞ্জাবির কলারে বেশি বৈচিত্র্যতা দেখা যায়। ব্যান্ড কলারের সঙ্গে এমব্রয়ডারি, জারদৌসি কাঁথাস্টিচ, ক্রুশিকাঁটার কারুকাজ করে ভিন্নতা আনা হয়েছে। যারা ব্যান্ড কলারের পরতে চান না তাদের জন্য কলারবিহীন বা গোলগলা, স্যাট কলার, কাবলি, হাইনেক, শাহি কলার পাঞ্জাবিও রয়েছে ফ্যাশন হাউসগুলোর ঈদ সংগ্রহে। এ ছাড়া কাফ বা হাতায় নকশায়ও এসেছে ভিন্নতা। হাতায় সূক্ষ্ম এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি ঈদকে জমকালো করে তোলা হয়েছে।

কাপড় এবং রং ছাপিয়ে পাঞ্জাবির কাটেও থাকছে বৈচিত্র্য

বাহারি রং 
ঈদের সকালের জন্য হালকা রঙের পাঞ্জাবি কিনতে পারেন। হালকা কমলা, পিচ, লাইট পিংক, অ্যাকুয়া গ্রিন রংগুলো সকালে স্নিগ্ধতা ছড়াবে। রাতের পাঞ্জাবি হোক গাঢ় রঙের। রাতের আলো-আঁধারিতে উজ্জ্বল রংগুলো আপনাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। কমলা, লাল, হলুদ, গোলাপি, নীল, ধূসর, বাদামি, সবুজ, জলপাই, বেগুনি, ল্যাভেন্ডার ইত্যাদি রং এবং এর বিভিন্ন শেড খুব সহজেই দৃষ্টি কাড়বে।  

নানা নকশায় 
কাপড় এবং রং ছাপিয়ে পাঞ্জাবির কাটেও থাকছে বৈচিত্র্য। আরামদায়ক ম্যাটেরিয়াল, বৈচিত্র্যময় কাটের পরই নকশার প্রতি মনোযোগ দিয়েছেন ডিজাইনাররা। একেক হাউস একেক রকম নকশা প্রাধান্য দিয়েছে পাঞ্জাবিতে। ফ্যাশন হাউস সারা লাইফস্টাইলের ডিজাইনার শামীম রহমান জানালেন, ঈদের পাঞ্জাবিতে উৎসবের ছোঁয়া দিতে এমব্রয়ডারি ও সুই-সুতার কাজ যেমন করা হয়েছে, অন্যদিকে আলাদা কাপড় জোড়া দিয়েও আনা হয়েছে নতুনত্ব। কলার, বাটন প্লেটে কাজ করা হয়েছে। ফুল, লতাপাতাসহ জ্যামিতিক নানা ফর্ম, আন্তর্জাতিক নানা ট্রেন্ড থাকে নকশার মূল উপজীব্য হিসেবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ধর্মীয় আবহের দিকটাও প্রাধান্য পেয়েছে পাঞ্জাবির নকশায়। প্রিন্টের ডিজাইনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ধারা থেকে নেওয়া হয়। এবারের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে টাইডাইয়ের দাপট দেখাচ্ছে। এই রঙিন নকশাটাই তরুণদের বেশি আমাদের দেশীয় হাউসগুলো ঈদের পাঞ্জাবিতে নিয়ে এসেছে টাইডাইয়ের বিভিন্ন নকশার পাঞ্জাবি। ফিউশনধর্মী পাঞ্জাবিতেও রয়েছে ডিজাইনে নতুনত্ব।

গরমে আরাম
গ্রীষ্মে ঈদ, তাই আরামের বিষয়টা প্রাধান্য দিয়ে পাঞ্জাবিতে সুতি কাপড়ের চাহিদাই বেশি। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্ক, মসলিন, জামেবর, জ্যাকার্ড, রাজশাহী সিল্ক, ভিসকস কাপড়। তালিকায় আরও আছে লিনেন, টিস্যু, জর্জেট, ধুপিয়ান সিল্ক, হাফ সিল্ক, সামু সিল্ক ইত্যাদি। ঈদের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলতে ছেলেদের জন্য এবারের ঈদে বাহারি ডিজাইনের পাঞ্জাবি নিয়ে এসেছে ‘বালুচর’। ছেলেদের পাঞ্জাবি সম্পর্কে বালুচরের কর্ণধার ও ফ্যাশন ডিজাইনার শাহীন চৌধুরী জানান দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পাশ্চাত্য হাল ফ্যাশনের ফিউশন ঘটিয়ে ‘বালুচর’ নিজস্ব ধারায় পাঞ্জাবি তৈরি করছে। রেগুলার, স্লিম ও ফিট উভয় ধরনের পাঞ্জাবির সংগ্রহ রয়েছে। তাতে থাকছে কাট ও প্যাটার্নে বৈচিত্র্য। আছে এক্সক্লুসিভ পাঞ্জাবিও। বাবা-ছেলের স্পেশাল পাঞ্জাবির বিশাল কম্বো রয়েছে। সেখান থেকে  পছন্দের পাঞ্জাবির  পাশাপাশি কুর্তা, পায়জামা, কটি, ফরমাল ও ক্যাজুয়াল শার্ট ডিজাইন করা হয়েছে। 

যেখানে পাবেন
ফ্যাশন হাউস বালুচর, লুবনান, আর্টিস্টি, ইনফিনিটি, যাত্রা, ইজি, একস্ট্যাসি, রঙ বাংলাদেশ, অঞ্জন’স  বিশ্বরঙসহ দেশি দশের সব শোরুমে পেয়ে যাবেন পছন্দের পাঞ্জাবি। এ ছাড়া আজিজ সুপার মার্কেট, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, পল্টন, গুলিস্তান, পিংক সিটি, রাপা প্লাজা, প্লাজা এআর, মৌচাক মার্কেট, বঙ্গবাজারসহ প্রায় সব মার্কেটেই মিলবে পাঞ্জাবি।

 কলি

বৈশাখী সাজে

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
বৈশাখী সাজে
মডেল: পূর্ণিমা বৃষ্টি, পোশাক রঙ বাংলাদেশ , ছবি: মুস্তাকিম

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উৎসব ঘিরে বাঙালি সবার মাঝেই লক্ষ করা যায় ভিন্ন ধাঁচের সাজসজ্জার আয়োজন। বাঙালিরা বাঙালিয়ানায় কোনো কমতি রাখেন না এই দিনটিতে। বিশেষ করে সবাই নিজেকে প্রাণবন্ত ও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন। 

বৈশাখে স্নিগ্ধ মেকআপ 
বৈশাখে কেমন সাজ দেবেন তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকেই। কীভাবে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা যায় তা নিয়ে মনে অনেক কিছু ঘুরপাক খেতে থাকে। পহেলা বৈশাখে কেমন পোশাক পরবেন তার ওপর ভিত্তি করে আপনাকে সাজতে হবে। মেকআপ করার আগে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিতে পারেন। সাজকে দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। বেস মেকআপ হালকা করতে চাইলে শুধু বিবি/সিসি ক্রিম ব্যবহার করুন। আবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পর শুধু কনসিলার দিয়েও ত্বকের দাগছোপগুলো ঢেকে নিতে পারেন। এর পর হালকাভাবে কম্প্যাক্ট বা প্রেসড পাউডার বুলিয়ে নিতে পারেন। ত্বকের স্বাভাবিক রং বজায় রেখে মেকআপের বেস  করলে ভালো দেখাবে। চোখের সাজে ও রাখতে পারেন ব্রাউন শেড ও আইলাইনার। শাড়ি পরলে গাঢ় টানা কাজল ও আইলাইনারেও সাজাতে পারেন নিজেকে।

 শাড়ির সঙ্গে বেণি বা চুল খোলা রাখতে পারেন। চুল স্ট্রেইট করলে ভালো লাগবে।

শেষে চোখের পাপড়িতে কয়েক পরত মাশকারা লাগিয়ে নিতে পারেন। শাড়ির গাঢ় রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। কপালে বড় একটি টিপ পরলে খারাপ লাগবে না। চুলের সাজে আবহাওয়া গরম তাই শাড়ির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুলে খোঁপা করতে পারেন। সালোয়ার-কামিজ বা অন্য কোনো পোশাকের সঙ্গে টেনে খোঁপা করলে ভালো দেখাবে না। এর বদলে বেণি বা চুল খোলা রাখতে পারেন। চুল স্ট্রেইট করলে ভালো লাগবে। চুলে ফুল ব্যবহার করতে চাইলে মাঝখানে বা কিনারে সিঁথি করে দু-তিনটি ফুল আটকে দিতে পারেন। বেণি করলে কানের পাশে ছোট যেকোনো ফুলের সঙ্গে জিপসি ফুল দিয়ে মিলিয়ে সাজালে ভালো লাগবে। 

বৈশাখের গহনা
পোশাকের অনুষঙ্গ হিসেবে গহনার আবেদন সব সময়ই অন্যরকম। পয়লা বৈশাখের পোশাক, সাজের পাশাপাশি গয়না  গুরত্ব অনেক। দেশীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি বৈশাখের গয়নায় নিয়ে আসা হয় আলাদা একটি ধারা।একটি নান্দনিক গহনা সবার মাঝে করবে আলাদা। হাতে তৈরি ও হাতে আঁকা গহনা প্রাধান্য পায় নারী পছন্দের তালিকায়। গহনা তৈরির উপাদান হিসেবে কোন মাধ্যমটি মানানসই হবে, সেটা সম্পূর্ণই নির্ভর করবে পোশাকের ধরন ও নিজস্ব পছন্দের ওপর। প্যাচওয়ার্কের গয়নার সঙ্গে বাঁশ, কাঠ, কড়ি বা ঝিনুক মিলিয়ে তৈরি করা হয়। এতে আসে নজকাড়া বৈচিত্র্য। বৈশাখে মাটির গহনার প্রচলন বেশি থাকে। দেশীয় সাজকে মাটির গহনা বেশি ইউনিক করে তোলে।

বৈশাখে সাজে মাটির গহনা বেশ ভালো মানায় 

 মাটির গহনার পাশাপাশি মুক্তা বা তামা ও এন্টিকের গয়না বেছে নিতে পারেন। বাজারে অনেক ধরনের আর্টিফিশিয়াল ফুলের মালা ও দুলের সেট পাওয়া যায়। এছাড়া গলায়, কানে ঝিনুকের গয়না হাতে পাট বা কাপড়ের চুড়ি হতে পারে বৈশাখের পরিপূর্ণ সাজ। নূপুর পরতে কম দেখা গেলেও পায়েল পরতে কম-বেশি সব নারীকেই দেখা যায়। এই উৎসবেও নারীরা পায়েল পরতে পছন্দ করে। রুপার নূপুরের পাশাপাশি নারীরা পুঁতির ও বিডসের তৈরি পায়েল পরছে। বৈশাখে কাচের চুড়ি ছাড়া নারীর সাজ পূর্ণ হয় না। কাচের চুড়ি পরলে উৎসবের আকর্ষণের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

কোথায় পাবেন
টিএসসির মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের পাশে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চারুকলার সামনে কাঠ, মাটির গয়না আর কাচের চুড়ি পাওয়া যায়। এ ছাড়া দোয়েল চত্বর, আজিজ সুপার মার্কেট, কলাবাগানসহ ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের পাশে গড়ে উঠেছে চুড়ি, দুল, গলার মালার এক বড় বাজার। এ ছাড়াও বিভিন্ন বুটিক হাউস ও অনলাইনেও ব্যতিক্রমধর্মী ডিজাইনের গহনা পাওয়া যাবে।

 কলি

বৈশাখের প্রিয় খাবার

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
বৈশাখের প্রিয় খাবার
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

পহেলা বৈশাখে  খাবারে থাকে নানা চমক। পান্তা যেমন থাকে, তেমনি থাকে বৈচিত্র্যময় নানা পদ। বাঙালির সেই রকম পছন্দের কয়েকটি খাবারের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

আম দিয়ে রুই মাছের দোপেঁয়াজা

উপকরণ
রুই মাছ ১টি, আম (কাঁচা) ১টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা ও মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ১/৩ কাপ লেবুর রস ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি।

প্রণালি
রুই মাছ রিং পিস করে কেটে ধুয়ে নিন। পরে লবণ, হলুদ, লেবুর রস মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে সোনালি করে ভেজে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ মরিচ, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে অল্প পানি দিন। ফুটে উঠলে কাঁচা আম, কাঁচা মরিচ, ভাজা মাছ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল আম দিয়ে রুই মাছের দোপেঁয়াজা।

মুড়ি ঘন্ট

উপকরণ
মুগ ডাল ২৫০ গ্রাম, রুই মাছের মাথা ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টা, তেজপাতা ২টা।

প্রণালি 
মুগ ডাল ভেজে সেদ্ধ করে নিন। পরে কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে সামান্য পানি দিন। এবার আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে মাছের মাথা আবারও ৩-৪ মিনিট রান্না করে মুগ ডাল সেদ্ধ হতে দিন। পরিমাণমতো পানি দিয়ে নেড়ে রান্না করুন। হয়ে আসলে ঘি কাঁচা মরিচ, জিরা গুঁড়া দিয়ে আবারও নেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

 

করলা দিয়ে পোয়া মাছের রসা

উপকরণ 
পোয়া মাছ ১টি, ডাঁটা ৪টি (বড়), কলা ১০০ গ্রাম (৪টা), আলু ১০০ গ্রাম (২টি), পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি।

প্রণালি
ডাঁটা, আলু কেটে ধুয়ে ৩-৪ মিনিট ফুটন্ত পানিতে সেদ্ধ করে, পানি ঝরিয়ে নিন। করলা লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ সামান্য ভেজে অল্প পানি দিন। পরে আদা রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার ডাঁটা দিয়ে আবারও কষিয়ে ঝোলের জন্য পরিমাণমতো পানি দিন। ফুটে উঠলে কাঁচা মাছ, করলা, কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে ৭-৮ মিনিট ঢাকনা ছাড়া রান্না করুন। পরে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল করলা দিয়ে পোয়া মাছের রসা।

বৈশাখী থালা

ভাত: ভাত রাতে রান্না করে ৮-১০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

আলু ভর্তা 
উপকরণ: আলু সেদ্ধ ৩টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, শুকনো মরিচ ভাজা ৫-৬টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ। 
প্রণালি: বাটিতে শুকনো মরিচ, লবণ দিয়ে চটকিয়ে পেঁয়াজ, ধনে পাতা আলু, দিয়ে মাখিয়ে সরিষার তেল দিয়ে নিন। 
বেগুন ভর্তা
বেগুন সরিষার তেল মাখিয়ে চুলায় পুরে নিন। এবার শুকনো মরিচ লবণ, চটকিয়ে পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি মাখিয়ে বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো কেটে মরিচ মাখার সঙ্গে মিলিয়ে সরিষা তেল দিয়ে আবার মাখিয়ে নিন। 
টমেটো ভর্তা
টমেটো কেটে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, ধনেপাতা লবণ দিয়ে চটকিয়ে সেদ্ধ টমেটো আর সরিষার তেল মাখিয়ে নিন।
কালোজিরা ভর্তা
কালোজিরা সামান্য ভেজে নিন। এবার পাটায় শুকনো মরিচ, লবণ মিহি করে বেটে নিন। পরে কালোজিরা মিহি করে বেটে পেঁয়াজ বাটুন। শেষে সরিষার তেল মিলিয়ে নিন।
শুঁটকি ভর্তা
পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, রসুন, লবণ একসঙ্গে বেটে নিন। পরে চেপা শুঁটকি ধুয়ে বেটে নিন। এবার কড়াইতে পেঁয়াজ কুচি, তেজপাতা তেলে সোনালি ভেজে বাটা মিশ্রণ দিয়ে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন। তেল ভেসে আসলে নামিয়ে নিন। 
ইলিশ ভাজা
ইলিশ মাছ লবণ, হলুদ, লেবুর রস মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হলে সোনালি করে ভেজে নিন।
সাজানো
মাটির থালায় ছয় রকমের ভর্তা, ভাজা ইলিশ, বোম মরিচ, কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে পরিবেশন করুন। রেডি বৈশাখী থালা।

 

ইলিশ মাছের জালি কাবাব

উপকরণ
ইলিশ মাছ সেদ্ধ ১ কাপ, আলু সেদ্ধ ১ কাপ (গ্রেড করা), মিহি পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ২ চা চামচ ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ধনে ও পুদিনা পাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল, লেবুর রস ১ চা চামচ।

প্রণালি
ইলিশ মাছ, লবণ, পানি দিয়ে সেদ্ধ করে কাঁটা ছাড়িয়ে নিন। আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে গ্রেড করে নিন। এবার একটি পাত্রে ডিম ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভর্তার মতো বানিয়ে নিন। হাতে তেল লাগিয়ে কাবাব তৈরি করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর একটি পাত্রে ডিম ফাটিয়ে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে পেস্ট করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে কাবাব ডিমে চুবিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। সার্ভিং ডিশে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল ইলিশ মাছের জালি কাবাব।

 কলি

বৈশাখে অঞ্জন’স

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
বৈশাখে অঞ্জন’স
ছবি: অঞ্জন’স

বাংলা নববর্ষকে উদযাপনের জন্য আমরা বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকি । বছরের প্রথমদিন পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ মেতে উঠে বিভিন্ন উৎসবে। আর এই দিনটিকে আরও সুন্দরভাবে উদযাপনের জন্য অঞ্জন’স প্রতিবছরের মতো এবারও সাজিয়েছে বৈশাখী সাজে। উৎসবকে রঙিন ও প্রাণবন্ত করতে পোশাকগুলো করা হয়েছে রঙিন, পাশাপাশি কার্টিং, ডিজাইন, প্যাটার্নেও এসেছে নতুনত্ব।

এবারও লাল ও সাদা রঙ প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া লাল,সাদা,কমলা সহ বিভিন্ন রঙের ব্যবহার রয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের জন্য কটন ও ভয়েল কাপড় দিয়েই বেশিরভাগ পোশাক করা হয়েছে। কটন ও ভয়েল ছাড়া এন্ডিকটন, সিল্ক, লিনেন কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে । 

সব বয়সীদের জন্য এবারের আয়োজনে,মেয়েদের জন্য থাকছে শাড়ি,সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া,ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি,শার্ট, টি-শার্ট এবং শিশু-কিশোরদের জন্য পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি ও ফ্রক।

পোশাকগুলো অঞ্জন’স এর সকল শাখায় পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনে কিনতে চাইলে ভিজিট করুন 

কলি

সেইলরের জমজমাট বৈশাখ আয়োজন

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
সেইলরের জমজমাট বৈশাখ আয়োজন
ছবি: সংগৃহীত

বৈশাখ মানেই বাঙালির কাছে নতুন বছরের নতুন উৎসব। বৈশাখের এই আনন্দ ও উৎসব সকল নারী, পুরুষ ও শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সেইলর নিয়ে এসেছে বৈচিত্র্যময় বৈশাখ কালেকশন। সেইলরের বৈশাখ কালেকশনে রয়েছে পুরুষের পাঞ্জাবি, পাঞ্জাবি সেট। নারীদের জন্য এসেছে সালোয়ার স্যুট, টু পিস ও কুর্তি এবং শিশুদের জন্য রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, মেয়েদের জন্য রয়েছে থ্রি পিস, টু পিস ও নানা রঙের কুর্তি কালেকশন। 

বৈশাখের গরম আবহাওয়ায় আরামের জন্য পুরুষদের পাঞ্জাবিতে সুনিপুণ ডিজাইনের সেইলর রেয়ন পপলিন, সেইলর ভয়েল, লুম জ্যাকার্ড এবং সেইলর গ্রিড লাক্সারি এর মত নানান প্রিমিয়াম ফ্যাব্রিক বেছে নেওয়া হয়েছে। নারীদের পোশাকেও সেইলর রেয়ন পপলিন, সেইলর রেয়ন জ্যাকার্ড ব্লেন্ডেড স্লিক, শিফন সহ সবচেয়ে আরামদায়ক ফ্যাব্রিকের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বৈচিত্র্যময় রঙ নির্বাচন করার পাশাপাশি নিখুঁতভাবে এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে ট্রেন্ডি সকল ডিজাইনে বৈশাখের কালেকশন সাজিয়েছে সেইলর।

পরিবারের সব সদস্যের সাথে নিয়ে বৈশাখ পালন করতে সেইলরে নিয়ে এসেছে কাপল, বাবা-ছেলে এবং মা-মেয়ে সহ আরো বিভিন্ন কম্বো কালেকশন।

বাংলা নতুন বছরের নতুন ডিজাইনের বৈশাখের সকল কালেকশন পাওয়া যাচ্ছে দেশব্যাপী সেইলরের সকল আউটলেট ও অনলাইনে।

 /রিয়াজ

অন্দরে বৈশাখের ছোঁয়া

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
অন্দরে বৈশাখের ছোঁয়া
ছবি: সংগৃহীত

বর্ষবরণ সামনে রেখে সারা দেশ মেতে ওঠে নানা আয়োজনে। ঘর ছোট হোক বা বড়, সাজে থাকা চাই রুচি ও আভিজাত্যের প্রকাশ। উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ঘরের প্রতিটি কোণে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে। বিশেষ এ দিনটি উপলক্ষে ঘর সাজিয়ে তুলতে পারেন বাঙালিয়ানায়।

প্রবেশপথে
বৈশাখের সাজ শুরু করতে পারেন বাড়ির দরজা থেকে। প্রবেশপথে দুই-তিনটা মাটির পাত্র রাখতে পারেন। এসব পাত্রে পানি ভরে ওপরে গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় ঘরে অনুষ্ঠান থাকলে পানির ওপর ভাসমান মোমবাতি বসিয়ে দিলে ভালো লাগবে। ঘরের দেয়াল প্রশস্ত হলে ছোট-বড় নানা আকৃতির মুখোশ ঝুলিয়ে দিলেও সুন্দর দেখাবে। লন্ঠন ঝুলিয়ে ঘরে আনতে পারেন দেশীয় আমেজ।

বসার ঘর
বৈশাখে বসার ঘরের সোফা, পর্দা ও কুশনের কাপড় বাছাইয়ের সময় উজ্জ্বল রংকেই প্রাধান্য দিতে পারেন। এতে ঘরে আসবে স্নিগ্ধ আবহ। দেশীয় আবহে ঘর সাজানোর সময় বেছে নিন দেশীয় মোটিফের ডিজাইন করা কাপড় বা ফ্লোরাল কোনো প্রিন্ট। সোফার পাশে খালি জায়গা থাকলে শতরঞ্জি, শীতলপাটি কিংবা নকশিকাঁথা বিছিয়ে দিতে পারেন। বসার ঘরের টেবিলে মাটির ফুলদানিতে রাখতে পারেন বেশ কিছু তাজা ফুল। তাজা ফুল ঘরে আনবে সজীবতা। এ ছাড়া বিভিন্ন আকৃতির ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন। গাছের ফাঁকে ফাঁকে মাটির শোপিস রাখলে ভালো দেখাবে। এছাড়া বসার ঘরের দেয়ালে বাঁশের বাঁশি, একতারা কিংবা মাথাল সাজিয়ে নিতে পারেন। ঘরের কোণায় একটা মাটির পাত্রে পানি দিয়ে তাতে কিছু কচুরিপানা দিলে ঘরের পুরো পরিবেশই অন্যরকম লাগবে।

খাবার ঘর
বৈশাখে খাবার টেবিলটিকে সাজিয়ে তুলুন দেশীয় জিনিসপত্র দিয়ে। অতিথি আপ্যায়নের জন্য রঙিন সুতার কাজ করা বা কুরুশ কাঁটায় তৈরি টেবিল ম্যাট বা রানার বেছে নিতে পারেন। রানারের ওপর খাবারের পাত্রগুলো সাজিয়ে রাখুন। টেবিলে নতুনত্ব আনতে মাটির তৈজসপত্র, থালা-বাসন, বাঁশ বা বেতের তৈরি ট্রে রাখতে পারেন। মাটির মোমদানি, বাঁশের গ্লাস স্ট্যান্ড দিয়ে সাজালে খাবার টেবিলের চেহারাই বদলে যাবে। এ ছাড়া দেয়ালে ঝুলাতে পারেন নকশা করা দেশীয় কোন আর্ট।

শোবার ঘর
বৈশাখে শোবার ঘরটি দৃষ্টিনন্দন এবং পরিপাটিভাবে সাজাতে শোবার ঘরে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। শোবার ঘরে চাদরের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দার রং নির্বাচন করতে পারেন।কাপড়ের ওপর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, লোকশিল্পের নানা মোটিফ থাকতে পারে। জানালা বা দরজায় দুদিকে দুটি লাল পর্দা এবং মাঝে একটি হলুদ, একটি কমলা পর্দা দিয়ে সাজাতে পারেন। এ ছাড়া হালকা সবুজ, হালকা নীল, সি গ্রিন ইত্যাদি মাল্টিকালার ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগবে। বিছানায় চাদর ক্রিম, অফ হোয়াইট রঙের হলে ভালো হয়। কেউ চাইলে নকশিকাঁথা স্টিচ করা বিছানার চাদর, ব্লক-বাটিকের চাদর, বালিশের কাভার ব্যবহার করতে পারেন। দেয়ালে বাঁধানো নকশিকাঁথা দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন।

নানা অনুষঙ্গ 
অন্দরের সাজে দেশীয় জিনিসের ব্যবহার করে আনতে পারেন নান্দনিকতা। মাটির পুতুল, রঙিন হাড়ি দিয়ে সাজাতে পারেন। মাটির পুতুল হতে পারে ঘর সাজানোর অন্যতম প্রধান একটা অনুষঙ্গ। পুতুল ছাড়াও অনেক রকম শোপিস দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। তালপাতার পাখা, মুখোশ- এগুলো আপনার ঘরের দেয়ালের শোভা বাড়াবে।

কোথায় পাবেন
দোয়েল চত্বর, মিরপুর-২, মিরপুর-১০ বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় ঘর সাজানো জিনিস পত্র কিনতে পাওয়া যায়। শাহবাগ ফুলের মার্কেট থেকে তাজা ফুল কিনে নিতে পারেন। গ্রামীণ চেক, হোমটেক্স ব্র্যান্ডের দোকান থেকে বিছানার চাদর, বালিশের কাভার, পর্দা, চেয়ার কাভার, রানার, ম্যাট পাওয়া যাবে। হাতে তৈরি নানা রকম মুখোশ, পেইন্টিং, শোপিসগুলো সাধারণত নববর্ষের ১০-১৫ দিন আগে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পাওয়া যায়। এছাড়া মাটির তৈরি বাসনকোসন ও মালসা পাবেন নানা দেশি ব্র্যান্ডের শোরুমে।

 কলি