ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

ঈদে পরিপাটি ঘর

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
ঈদে পরিপাটি ঘর
ছবি: সংগৃহীত

ঈদের সময় অনেকেই ঘরের সাজে পরিবর্তন আনেন। অল্প খরচে টুকটাক কিছু জিনিস যোগ-বিয়োগ করেই ঘরে আনা যায় নতুনত্ব। মনের হাওয়া বদল নির্ভর করে ঘরবাড়ির সৌন্দর্যের ওপর। কাজেই ঈদের পবিত্র দিনটিতে বাড়ি সুন্দর থাকুক, সেই সঙ্গে মনও থাকুক ভালো। 

ঘর পরিষ্কার 
ঈদ উপলক্ষে গৃহসজ্জার শুরুটা হতে পারে ঘরের পরিচ্ছন্নতা দিয়ে। আসবাবের ধুলোবালি পরিষ্কারের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ফার্নিচার ক্লিনার। সুপারশপে এখন লিকুইড ফার্নিচার ক্লিনার পাওয়া যায়। আর আসবাব বেশি পুরোনো হলে ঈদ উপলক্ষে আরেকবার পলিশ করে নিতে পারেন। ঘরের ইনডোর প্ল্যান্টসগুলো দু-চার দিন আগেই ধুয়ে বা মুছে পরিষ্কার করে নিন। বেসিনে সাবানের পরিবর্তে লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন। অবশ্যই একটি পরিষ্কার তোয়ালে রাখতে ভুলবেন না। 

ঘরে সুগন্ধি ব্যবহার করুন
বাড়িতে আনন্দদায়ক পরিবেশ আনতে সুগন্ধ দিয়ে ভরে ফেলুন। গোলাপ, জুঁই বা চন্দনের মতো সুগন্ধি বেছে নিন। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে সুগন্ধি মোমবাতি ব্যবহার না করে ব্যবহার করতে পারেন আর্টিফিশিয়াল ক্যান্ডেল। সুগন্ধযুক্ত ক্যান্ডেল ব্যবহারে ঘরজুড়ে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে।

ড্রয়িং রুম
ঈদের দিনে অতিথিরা অন্য ঘরের তুলনায় বসার ঘরেই বেশি সময় থাকেন। তাই অন্দরসজ্জায় বসার ঘরকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। ঈদের দিন ড্রয়িং রুমের টেবিলে একটি বড় ক্রিস্টালের পাত্রে পানি রেখে তাজা ফুলের পাপড়ি ছড়িয়ে দিন। এর সঙ্গে ফ্লোটিং ক্যান্ডেল রাখতে পারেন। বসার ঘর উজ্জ্বল ও হালকা রঙের মিশেলে সাজাতে পারেন। রুমে চমক আনতে বদলে নিন আপনার সোফার কুশন কভারগুলো। সোফার গদির রং হালকা হলে কুশন কভারের রং গাঢ় নিতে পারেন।

সিকুইনের কুশনের ব্যবহার করতে পারেন। চাঁদ, তারা বা মিনারের ডিজাইন করা কুশন কভার পাওয়া যায়। বাড়ির সব রুমের সব পর্দা একই রকম না করে কয়েকটি প্যাস্টেল শেড মিলিয়ে সাজাতে পারেন। এতে নরম ও কোমল ভাব আসবে। এ ছাড়া রুমে নতুন রূপ দিতে ডেকোরেটিভ লাইট ঝুলিয়ে দিতে পারেন। কর্নারে শেলফে বা শো কেসে নতুন শোপিস যোগ করুন।

বড় অ্যাকুরিয়াম যদি দেখাশোনা করতে ঝামেলা হয়, তাহলে ছোট গ্লাসের জারে দু-একটি মাছ রাখতে পারেন। কিংবা সুন্দর কোনো জারে একটু পানি দিয়ে ভাসিয়ে রাখতে পারেন কৃত্রিম পদ্মফুল। কয়েকটি গাছ এনে রাখতে পারেন রুমে। বাথরুমের সামনে রাখা পাপোশ পরিবর্তন করতে পারেন। 

শোবারঘর 
বেডরুম সাজাতে আসবাবপত্র একটু এদিক-ওদিক সরিয়ে নতুনভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন। বিছানার চাদর, পর্দা, কুশন কভার ইত্যাদি পরিবর্তন করে নিলে আপনার শোবার ঘরটি হয়ে উঠবে বেশ আকর্ষণীয়। বিছানার পাশের সাইড টেবিলে কিছু তাজা ফুল রেখে দিলে সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে ঘরজুড়ে। ঘরে ঢুকলে সবার প্রথমেই যে জিনিসটা চোখে পড়ে তা হলো বিছানার চাদর। তাই বিছানার চাদরটি যদি হয় আপনার ঘর, ঘরের আসবাব, বিছানা সবকিছুর সঙ্গে মানানসই এবং রুচিসম্মত তাহলে দেখবেন ঘরে ঢুকলেই সুন্দর এক অনুভূতি হবে।

বিছানায় হালকা ও চোখের আরাম দেবে, এমন রঙের চাদর ভালো লাগবে। আবার গাঢ় রং ব্যবহারে আসে উৎসবের ভাব। শোবার ঘরের বিছানার চাদরগুলোয় সুতি কাপড়ের প্রাধান্য দিন, এতে নতুনত্বের পাশাপাশি স্বস্তি ও আরাম পাবেন। ঈদের আগেই আপনার বেড রুমের জন্য বিছানার চাদরের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দা কিনে ফেলতে পারেন। অথবা এক রুমের পর্দা আরেক রুমে দিয়েও পুরো বাসার চেহারায় নতুনত্ব আনা যায়।

দেয়াল
ঘরের দেয়ালে রং বদলে ফেলতে পারেন। এজন্য হালকা রংকে প্রাধান্য দিন। আপনার ঘরের রং যদি সাদা হয়, তাহলে তো খুবই ভালো। তা ছাড়া ঈদের সাজে ঘরের দেয়ালেও আনতে পারেন ভিন্নতা। ওয়ালপেপার দিয়ে মুড়ে দিতে পারেন আপনার পুরোনো দেয়াল। তবে পুরো ঘর ওয়াল পেপার দিয়ে ঢেকে দেওয়াটা ভালো দেখাবে না। ঈদের আগে বসার ঘর, সামনের রুমের দেয়াল টেক্সচার কিংবা এম্বোস জাতীয় ওয়ালপেপার দিয়ে মুড়ে দিতে পারেন। দেয়ালে টাঙান প্রাকৃতিক কোনো ছবি, পছন্দসই ওয়ালমেট, কারুকাজ করা কোনো নকশিকাঁথা অথবা এরকম কোনো ভাস্কর্য।

 এ ছাড়া ঘরকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ঘরের দেয়ালের এক কোণায় নিজেদের ফ্যামিলি ছবির ফ্রেম দিয়ে ছবির গ্যালারি তৈরি করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন যা-ই করেন না কেন সেটা যেন আপনার রুচি আর ব্যক্তিত্বের সঙ্গে মানানসই হয়।

ডাইনিং রুম
ঈদের দিন শুধু খাবার পরিবেশনই নয়, আশপাশের আয়োজনও করতে হয় আকর্ষণীয়। খাবার ঘরের পর্দা হালকা সবুজ রং খুব ভালো মানায়। খাবার টেবিলে বিছিয়ে দিন টেবিল রানার, টেবিল ম্যাট এবং ম্যাচিং ন্যাপকিন। আর টেবিলের মাঝখানে রেখে দিতে পারেন আকর্ষণীয় ফলের ঝুড়িতে কিছু তাজা কিছু ফল। প্লেট, গ্লাসসহ যাবতীয় তৈজসপত্রে রাখুন নান্দনিকতার ছোঁয়া। ঈদের আমেজ ধরে রাখতে বেছে নিতে পারেন মোগল ও পারস্যের নকশা করা তৈজসপত্র। বিভিন্ন জ্যামিতিক প্যাটার্নের তৈজসপত্রও ইদানীং বেশ চলছে।

আর আপনি যদি হন দেশীয় পণ্য প্রিয় বাঙালি, তবে প্রাচীন ঐতিহ্য টেরাকোটার তৈজসপত্রে ভিন্ন আঙ্গিকে অতিথিদের খাবার পরিবেশন করুন। টেরাকোটার তৈজসপত্র বেশ পরিবেশবান্ধব।

নানা ঢংয়ের আলো 
ডাইনিং টেবিলের ওপরে পেন্ড্যান্ট কিংবা শ্যান্ডেলেয়ার ধরনের লাইট ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ট্রেন্ডি ডেকোর হচ্ছে ফেইরি লাইট। মাল্টি কালার লাইটের সঙ্গে সাদা এবং হলুদ ওয়ার্ম লাইট ব্যবহার করতে পারেন। রুমকে ঈদে স্পেশাল লুক দিতে একটি বোতলে কর্ক ফেইরি লাইট দিয়ে রেখে দিতে পারেন একটা সাইড টেবিলে, কিংবা সেন্টার টেবিলে অথবা ডাইনিং টেবিলে।

এ ছাড়া চাঁদ ও তারা আকারের ফেইরি লাইট জানালার সঙ্গে টাঙিয়ে দিতে পারেন। ছোট ইরানি ঝাড়বাতি বা টার্কিশ লাইট দিয়ে বসার ঘর বা খাবার ঘর সাজাতে পারেন। বাজেট কম হলে হ্যান্ডপেইন্ট করা লাইট ও বাঁশ দিয়ে তৈরি টেবিল ল্যাম্পে ঘরের আবহ পরিবর্তন করতে পারেন।

কলি

বৈশাখী সাজে

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
বৈশাখী সাজে
মডেল: পূর্ণিমা বৃষ্টি, পোশাক রঙ বাংলাদেশ , ছবি: মুস্তাকিম

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। এ উৎসব ঘিরে বাঙালি সবার মাঝেই লক্ষ করা যায় ভিন্ন ধাঁচের সাজসজ্জার আয়োজন। বাঙালিরা বাঙালিয়ানায় কোনো কমতি রাখেন না এই দিনটিতে। বিশেষ করে সবাই নিজেকে প্রাণবন্ত ও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলেন। 

বৈশাখে স্নিগ্ধ মেকআপ 
বৈশাখে কেমন সাজ দেবেন তা নিয়ে দ্বিধায় থাকেন অনেকেই। কীভাবে নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করা যায় তা নিয়ে মনে অনেক কিছু ঘুরপাক খেতে থাকে। পহেলা বৈশাখে কেমন পোশাক পরবেন তার ওপর ভিত্তি করে আপনাকে সাজতে হবে। মেকআপ করার আগে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে নিতে পারেন। সাজকে দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। বেস মেকআপ হালকা করতে চাইলে শুধু বিবি/সিসি ক্রিম ব্যবহার করুন। আবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের পর শুধু কনসিলার দিয়েও ত্বকের দাগছোপগুলো ঢেকে নিতে পারেন। এর পর হালকাভাবে কম্প্যাক্ট বা প্রেসড পাউডার বুলিয়ে নিতে পারেন। ত্বকের স্বাভাবিক রং বজায় রেখে মেকআপের বেস  করলে ভালো দেখাবে। চোখের সাজে ও রাখতে পারেন ব্রাউন শেড ও আইলাইনার। শাড়ি পরলে গাঢ় টানা কাজল ও আইলাইনারেও সাজাতে পারেন নিজেকে।

 শাড়ির সঙ্গে বেণি বা চুল খোলা রাখতে পারেন। চুল স্ট্রেইট করলে ভালো লাগবে।

শেষে চোখের পাপড়িতে কয়েক পরত মাশকারা লাগিয়ে নিতে পারেন। শাড়ির গাঢ় রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ঠোঁটে হালকা রঙের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। কপালে বড় একটি টিপ পরলে খারাপ লাগবে না। চুলের সাজে আবহাওয়া গরম তাই শাড়ির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চুলে খোঁপা করতে পারেন। সালোয়ার-কামিজ বা অন্য কোনো পোশাকের সঙ্গে টেনে খোঁপা করলে ভালো দেখাবে না। এর বদলে বেণি বা চুল খোলা রাখতে পারেন। চুল স্ট্রেইট করলে ভালো লাগবে। চুলে ফুল ব্যবহার করতে চাইলে মাঝখানে বা কিনারে সিঁথি করে দু-তিনটি ফুল আটকে দিতে পারেন। বেণি করলে কানের পাশে ছোট যেকোনো ফুলের সঙ্গে জিপসি ফুল দিয়ে মিলিয়ে সাজালে ভালো লাগবে। 

বৈশাখের গহনা
পোশাকের অনুষঙ্গ হিসেবে গহনার আবেদন সব সময়ই অন্যরকম। পয়লা বৈশাখের পোশাক, সাজের পাশাপাশি গয়না  গুরত্ব অনেক। দেশীয় উপকরণ দিয়ে তৈরি বৈশাখের গয়নায় নিয়ে আসা হয় আলাদা একটি ধারা।একটি নান্দনিক গহনা সবার মাঝে করবে আলাদা। হাতে তৈরি ও হাতে আঁকা গহনা প্রাধান্য পায় নারী পছন্দের তালিকায়। গহনা তৈরির উপাদান হিসেবে কোন মাধ্যমটি মানানসই হবে, সেটা সম্পূর্ণই নির্ভর করবে পোশাকের ধরন ও নিজস্ব পছন্দের ওপর। প্যাচওয়ার্কের গয়নার সঙ্গে বাঁশ, কাঠ, কড়ি বা ঝিনুক মিলিয়ে তৈরি করা হয়। এতে আসে নজকাড়া বৈচিত্র্য। বৈশাখে মাটির গহনার প্রচলন বেশি থাকে। দেশীয় সাজকে মাটির গহনা বেশি ইউনিক করে তোলে।

বৈশাখে সাজে মাটির গহনা বেশ ভালো মানায় 

 মাটির গহনার পাশাপাশি মুক্তা বা তামা ও এন্টিকের গয়না বেছে নিতে পারেন। বাজারে অনেক ধরনের আর্টিফিশিয়াল ফুলের মালা ও দুলের সেট পাওয়া যায়। এছাড়া গলায়, কানে ঝিনুকের গয়না হাতে পাট বা কাপড়ের চুড়ি হতে পারে বৈশাখের পরিপূর্ণ সাজ। নূপুর পরতে কম দেখা গেলেও পায়েল পরতে কম-বেশি সব নারীকেই দেখা যায়। এই উৎসবেও নারীরা পায়েল পরতে পছন্দ করে। রুপার নূপুরের পাশাপাশি নারীরা পুঁতির ও বিডসের তৈরি পায়েল পরছে। বৈশাখে কাচের চুড়ি ছাড়া নারীর সাজ পূর্ণ হয় না। কাচের চুড়ি পরলে উৎসবের আকর্ষণের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

কোথায় পাবেন
টিএসসির মোড়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি ভবনের পাশে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চারুকলার সামনে কাঠ, মাটির গয়না আর কাচের চুড়ি পাওয়া যায়। এ ছাড়া দোয়েল চত্বর, আজিজ সুপার মার্কেট, কলাবাগানসহ ইডেন কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের পাশে গড়ে উঠেছে চুড়ি, দুল, গলার মালার এক বড় বাজার। এ ছাড়াও বিভিন্ন বুটিক হাউস ও অনলাইনেও ব্যতিক্রমধর্মী ডিজাইনের গহনা পাওয়া যাবে।

 কলি

বৈশাখের প্রিয় খাবার

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
বৈশাখের প্রিয় খাবার
ছবি: আফরোজা খানম মুক্তা

পহেলা বৈশাখে  খাবারে থাকে নানা চমক। পান্তা যেমন থাকে, তেমনি থাকে বৈচিত্র্যময় নানা পদ। বাঙালির সেই রকম পছন্দের কয়েকটি খাবারের রেসিপি দিয়েছেন রন্ধনশিল্পী আফরোজা খানম মুক্তা

আম দিয়ে রুই মাছের দোপেঁয়াজা

উপকরণ
রুই মাছ ১টি, আম (কাঁচা) ১টি, পেঁয়াজ কুচি আধা কাপ, আদা ও মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল ১/৩ কাপ লেবুর রস ১ চা চামচ, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি।

প্রণালি
রুই মাছ রিং পিস করে কেটে ধুয়ে নিন। পরে লবণ, হলুদ, লেবুর রস মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে সোনালি করে ভেজে নিন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে আদা ও রসুন বাটা, হলুদ মরিচ, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে অল্প পানি দিন। ফুটে উঠলে কাঁচা আম, কাঁচা মরিচ, ভাজা মাছ দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল আম দিয়ে রুই মাছের দোপেঁয়াজা।

মুড়ি ঘন্ট

উপকরণ
মুগ ডাল ২৫০ গ্রাম, রুই মাছের মাথা ১টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, জিরা গুঁড়া আধা চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সয়াবিন তেল ৪ টেবিল চামচ, ঘি ২ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ ৫-৬টা, তেজপাতা ২টা।

প্রণালি 
মুগ ডাল ভেজে সেদ্ধ করে নিন। পরে কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি হালকা ভেজে সামান্য পানি দিন। এবার আদা ও রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া, লবণ দিয়ে কষিয়ে মাছের মাথা আবারও ৩-৪ মিনিট রান্না করে মুগ ডাল সেদ্ধ হতে দিন। পরিমাণমতো পানি দিয়ে নেড়ে রান্না করুন। হয়ে আসলে ঘি কাঁচা মরিচ, জিরা গুঁড়া দিয়ে আবারও নেড়ে লবণ দেখে নামিয়ে নিন।

 

করলা দিয়ে পোয়া মাছের রসা

উপকরণ 
পোয়া মাছ ১টি, ডাঁটা ৪টি (বড়), কলা ১০০ গ্রাম (৪টা), আলু ১০০ গ্রাম (২টি), পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ১ চা চামচ, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া ১ চা চামচ করে, লবণ স্বাদমতো, কাঁচা মরিচ ফালি ৫-৬টি।

প্রণালি
ডাঁটা, আলু কেটে ধুয়ে ৩-৪ মিনিট ফুটন্ত পানিতে সেদ্ধ করে, পানি ঝরিয়ে নিন। করলা লম্বা করে কেটে ধুয়ে রাখুন। কড়াইতে সয়াবিন তেল গরম হলে পেঁয়াজ সামান্য ভেজে অল্প পানি দিন। পরে আদা রসুন বাটা, হলুদ, মরিচ, ধনে গুঁড়া লবণ দিয়ে কষিয়ে নিন। এবার ডাঁটা দিয়ে আবারও কষিয়ে ঝোলের জন্য পরিমাণমতো পানি দিন। ফুটে উঠলে কাঁচা মাছ, করলা, কাঁচা মরিচ ফালি দিয়ে ৭-৮ মিনিট ঢাকনা ছাড়া রান্না করুন। পরে লবণ দেখে নামিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল করলা দিয়ে পোয়া মাছের রসা।

বৈশাখী থালা

ভাত: ভাত রাতে রান্না করে ৮-১০ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন।

আলু ভর্তা 
উপকরণ: আলু সেদ্ধ ৩টি, পেঁয়াজ কুচি ২টি, শুকনো মরিচ ভাজা ৫-৬টি, ধনেপাতা কুচি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ। 
প্রণালি: বাটিতে শুকনো মরিচ, লবণ দিয়ে চটকিয়ে পেঁয়াজ, ধনে পাতা আলু, দিয়ে মাখিয়ে সরিষার তেল দিয়ে নিন। 
বেগুন ভর্তা
বেগুন সরিষার তেল মাখিয়ে চুলায় পুরে নিন। এবার শুকনো মরিচ লবণ, চটকিয়ে পেঁয়াজ, ধনেপাতা কুচি মাখিয়ে বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে টুকরো কেটে মরিচ মাখার সঙ্গে মিলিয়ে সরিষা তেল দিয়ে আবার মাখিয়ে নিন। 
টমেটো ভর্তা
টমেটো কেটে লবণ দিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এবার শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, ধনেপাতা লবণ দিয়ে চটকিয়ে সেদ্ধ টমেটো আর সরিষার তেল মাখিয়ে নিন।
কালোজিরা ভর্তা
কালোজিরা সামান্য ভেজে নিন। এবার পাটায় শুকনো মরিচ, লবণ মিহি করে বেটে নিন। পরে কালোজিরা মিহি করে বেটে পেঁয়াজ বাটুন। শেষে সরিষার তেল মিলিয়ে নিন।
শুঁটকি ভর্তা
পেঁয়াজ, শুকনো মরিচ, রসুন, লবণ একসঙ্গে বেটে নিন। পরে চেপা শুঁটকি ধুয়ে বেটে নিন। এবার কড়াইতে পেঁয়াজ কুচি, তেজপাতা তেলে সোনালি ভেজে বাটা মিশ্রণ দিয়ে ৫-৭ মিনিট রান্না করুন। তেল ভেসে আসলে নামিয়ে নিন। 
ইলিশ ভাজা
ইলিশ মাছ লবণ, হলুদ, লেবুর রস মাখিয়ে ফ্রাইপ্যানে তেল গরম হলে সোনালি করে ভেজে নিন।
সাজানো
মাটির থালায় ছয় রকমের ভর্তা, ভাজা ইলিশ, বোম মরিচ, কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে পরিবেশন করুন। রেডি বৈশাখী থালা।

 

ইলিশ মাছের জালি কাবাব

উপকরণ
ইলিশ মাছ সেদ্ধ ১ কাপ, আলু সেদ্ধ ১ কাপ (গ্রেড করা), মিহি পেঁয়াজ কুচি ৪ টেবিল চামচ, আদা ও রসুন বাটা ২ চা চামচ ধনে ও জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ করে, লবণ ও চিনি স্বাদমতো, ধনে ও পুদিনা পাতা কুচি ৪ টেবিল চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ২ টেবিল চামচ, টমেটো সস ২ টেবিল চামচ, ডিম ১টি কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ, সয়াবিন তেল, লেবুর রস ১ চা চামচ।

প্রণালি
ইলিশ মাছ, লবণ, পানি দিয়ে সেদ্ধ করে কাঁটা ছাড়িয়ে নিন। আলু সেদ্ধ করে খোসা ফেলে গ্রেড করে নিন। এবার একটি পাত্রে ডিম ছাড়া বাকি সব উপকরণ দিয়ে ভর্তার মতো বানিয়ে নিন। হাতে তেল লাগিয়ে কাবাব তৈরি করে ৩০ মিনিট রেখে দিন। তারপর একটি পাত্রে ডিম ফাটিয়ে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে পেস্ট করে নিন। কড়াইয়ে তেল গরম হলে কাবাব ডিমে চুবিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। সার্ভিং ডিশে পরিবেশন করুন। তৈরি হয়ে গেল ইলিশ মাছের জালি কাবাব।

 কলি

বৈশাখে অঞ্জন’স

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
বৈশাখে অঞ্জন’স
ছবি: অঞ্জন’স

বাংলা নববর্ষকে উদযাপনের জন্য আমরা বছরজুড়ে অপেক্ষায় থাকি । বছরের প্রথমদিন পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশ মেতে উঠে বিভিন্ন উৎসবে। আর এই দিনটিকে আরও সুন্দরভাবে উদযাপনের জন্য অঞ্জন’স প্রতিবছরের মতো এবারও সাজিয়েছে বৈশাখী সাজে। উৎসবকে রঙিন ও প্রাণবন্ত করতে পোশাকগুলো করা হয়েছে রঙিন, পাশাপাশি কার্টিং, ডিজাইন, প্যাটার্নেও এসেছে নতুনত্ব।

এবারও লাল ও সাদা রঙ প্রাধান্য পেয়েছে। এছাড়া লাল,সাদা,কমলা সহ বিভিন্ন রঙের ব্যবহার রয়েছে। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের জন্য কটন ও ভয়েল কাপড় দিয়েই বেশিরভাগ পোশাক করা হয়েছে। কটন ও ভয়েল ছাড়া এন্ডিকটন, সিল্ক, লিনেন কাপড় ব্যবহার করা হয়েছে । 

সব বয়সীদের জন্য এবারের আয়োজনে,মেয়েদের জন্য থাকছে শাড়ি,সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া,ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি,শার্ট, টি-শার্ট এবং শিশু-কিশোরদের জন্য পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট, সালোয়ার কামিজ, শাড়ি ও ফ্রক।

পোশাকগুলো অঞ্জন’স এর সকল শাখায় পাওয়া যাচ্ছে। অনলাইনে কিনতে চাইলে ভিজিট করুন 

কলি

সেইলরের জমজমাট বৈশাখ আয়োজন

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
সেইলরের জমজমাট বৈশাখ আয়োজন
ছবি: সংগৃহীত

বৈশাখ মানেই বাঙালির কাছে নতুন বছরের নতুন উৎসব। বৈশাখের এই আনন্দ ও উৎসব সকল নারী, পুরুষ ও শিশুদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সেইলর নিয়ে এসেছে বৈচিত্র্যময় বৈশাখ কালেকশন। সেইলরের বৈশাখ কালেকশনে রয়েছে পুরুষের পাঞ্জাবি, পাঞ্জাবি সেট। নারীদের জন্য এসেছে সালোয়ার স্যুট, টু পিস ও কুর্তি এবং শিশুদের জন্য রয়েছে ছেলেদের পাঞ্জাবি, মেয়েদের জন্য রয়েছে থ্রি পিস, টু পিস ও নানা রঙের কুর্তি কালেকশন। 

বৈশাখের গরম আবহাওয়ায় আরামের জন্য পুরুষদের পাঞ্জাবিতে সুনিপুণ ডিজাইনের সেইলর রেয়ন পপলিন, সেইলর ভয়েল, লুম জ্যাকার্ড এবং সেইলর গ্রিড লাক্সারি এর মত নানান প্রিমিয়াম ফ্যাব্রিক বেছে নেওয়া হয়েছে। নারীদের পোশাকেও সেইলর রেয়ন পপলিন, সেইলর রেয়ন জ্যাকার্ড ব্লেন্ডেড স্লিক, শিফন সহ সবচেয়ে আরামদায়ক ফ্যাব্রিকের প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বৈচিত্র্যময় রঙ নির্বাচন করার পাশাপাশি নিখুঁতভাবে এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট, ডিজিটাল প্রিন্ট মিডিয়া ইত্যাদির মাধ্যমে ট্রেন্ডি সকল ডিজাইনে বৈশাখের কালেকশন সাজিয়েছে সেইলর।

পরিবারের সব সদস্যের সাথে নিয়ে বৈশাখ পালন করতে সেইলরে নিয়ে এসেছে কাপল, বাবা-ছেলে এবং মা-মেয়ে সহ আরো বিভিন্ন কম্বো কালেকশন।

বাংলা নতুন বছরের নতুন ডিজাইনের বৈশাখের সকল কালেকশন পাওয়া যাচ্ছে দেশব্যাপী সেইলরের সকল আউটলেট ও অনলাইনে।

 /রিয়াজ

অন্দরে বৈশাখের ছোঁয়া

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪১ পিএম
অন্দরে বৈশাখের ছোঁয়া
ছবি: সংগৃহীত

বর্ষবরণ সামনে রেখে সারা দেশ মেতে ওঠে নানা আয়োজনে। ঘর ছোট হোক বা বড়, সাজে থাকা চাই রুচি ও আভিজাত্যের প্রকাশ। উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ঘরের প্রতিটি কোণে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনা যেতে পারে। বিশেষ এ দিনটি উপলক্ষে ঘর সাজিয়ে তুলতে পারেন বাঙালিয়ানায়।

প্রবেশপথে
বৈশাখের সাজ শুরু করতে পারেন বাড়ির দরজা থেকে। প্রবেশপথে দুই-তিনটা মাটির পাত্র রাখতে পারেন। এসব পাত্রে পানি ভরে ওপরে গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে দিতে পারেন। সন্ধ্যায় ঘরে অনুষ্ঠান থাকলে পানির ওপর ভাসমান মোমবাতি বসিয়ে দিলে ভালো লাগবে। ঘরের দেয়াল প্রশস্ত হলে ছোট-বড় নানা আকৃতির মুখোশ ঝুলিয়ে দিলেও সুন্দর দেখাবে। লন্ঠন ঝুলিয়ে ঘরে আনতে পারেন দেশীয় আমেজ।

বসার ঘর
বৈশাখে বসার ঘরের সোফা, পর্দা ও কুশনের কাপড় বাছাইয়ের সময় উজ্জ্বল রংকেই প্রাধান্য দিতে পারেন। এতে ঘরে আসবে স্নিগ্ধ আবহ। দেশীয় আবহে ঘর সাজানোর সময় বেছে নিন দেশীয় মোটিফের ডিজাইন করা কাপড় বা ফ্লোরাল কোনো প্রিন্ট। সোফার পাশে খালি জায়গা থাকলে শতরঞ্জি, শীতলপাটি কিংবা নকশিকাঁথা বিছিয়ে দিতে পারেন। বসার ঘরের টেবিলে মাটির ফুলদানিতে রাখতে পারেন বেশ কিছু তাজা ফুল। তাজা ফুল ঘরে আনবে সজীবতা। এ ছাড়া বিভিন্ন আকৃতির ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন। গাছের ফাঁকে ফাঁকে মাটির শোপিস রাখলে ভালো দেখাবে। এছাড়া বসার ঘরের দেয়ালে বাঁশের বাঁশি, একতারা কিংবা মাথাল সাজিয়ে নিতে পারেন। ঘরের কোণায় একটা মাটির পাত্রে পানি দিয়ে তাতে কিছু কচুরিপানা দিলে ঘরের পুরো পরিবেশই অন্যরকম লাগবে।

খাবার ঘর
বৈশাখে খাবার টেবিলটিকে সাজিয়ে তুলুন দেশীয় জিনিসপত্র দিয়ে। অতিথি আপ্যায়নের জন্য রঙিন সুতার কাজ করা বা কুরুশ কাঁটায় তৈরি টেবিল ম্যাট বা রানার বেছে নিতে পারেন। রানারের ওপর খাবারের পাত্রগুলো সাজিয়ে রাখুন। টেবিলে নতুনত্ব আনতে মাটির তৈজসপত্র, থালা-বাসন, বাঁশ বা বেতের তৈরি ট্রে রাখতে পারেন। মাটির মোমদানি, বাঁশের গ্লাস স্ট্যান্ড দিয়ে সাজালে খাবার টেবিলের চেহারাই বদলে যাবে। এ ছাড়া দেয়ালে ঝুলাতে পারেন নকশা করা দেশীয় কোন আর্ট।

শোবার ঘর
বৈশাখে শোবার ঘরটি দৃষ্টিনন্দন এবং পরিপাটিভাবে সাজাতে শোবার ঘরে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। শোবার ঘরে চাদরের সঙ্গে মিলিয়ে পর্দার রং নির্বাচন করতে পারেন।কাপড়ের ওপর ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, লোকশিল্পের নানা মোটিফ থাকতে পারে। জানালা বা দরজায় দুদিকে দুটি লাল পর্দা এবং মাঝে একটি হলুদ, একটি কমলা পর্দা দিয়ে সাজাতে পারেন। এ ছাড়া হালকা সবুজ, হালকা নীল, সি গ্রিন ইত্যাদি মাল্টিকালার ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগবে। বিছানায় চাদর ক্রিম, অফ হোয়াইট রঙের হলে ভালো হয়। কেউ চাইলে নকশিকাঁথা স্টিচ করা বিছানার চাদর, ব্লক-বাটিকের চাদর, বালিশের কাভার ব্যবহার করতে পারেন। দেয়ালে বাঁধানো নকশিকাঁথা দিয়ে সাজিয়ে রাখতে পারেন।

নানা অনুষঙ্গ 
অন্দরের সাজে দেশীয় জিনিসের ব্যবহার করে আনতে পারেন নান্দনিকতা। মাটির পুতুল, রঙিন হাড়ি দিয়ে সাজাতে পারেন। মাটির পুতুল হতে পারে ঘর সাজানোর অন্যতম প্রধান একটা অনুষঙ্গ। পুতুল ছাড়াও অনেক রকম শোপিস দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন। তালপাতার পাখা, মুখোশ- এগুলো আপনার ঘরের দেয়ালের শোভা বাড়াবে।

কোথায় পাবেন
দোয়েল চত্বর, মিরপুর-২, মিরপুর-১০ বিভিন্ন জায়গায় দেশীয় ঘর সাজানো জিনিস পত্র কিনতে পাওয়া যায়। শাহবাগ ফুলের মার্কেট থেকে তাজা ফুল কিনে নিতে পারেন। গ্রামীণ চেক, হোমটেক্স ব্র্যান্ডের দোকান থেকে বিছানার চাদর, বালিশের কাভার, পর্দা, চেয়ার কাভার, রানার, ম্যাট পাওয়া যাবে। হাতে তৈরি নানা রকম মুখোশ, পেইন্টিং, শোপিসগুলো সাধারণত নববর্ষের ১০-১৫ দিন আগে থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে পাওয়া যায়। এছাড়া মাটির তৈরি বাসনকোসন ও মালসা পাবেন নানা দেশি ব্র্যান্ডের শোরুমে।

 কলি