
মুসলমান ধর্মাবলম্বী নারীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ঈদে খুব বেশি জাঁকজমক সাজ যেমন মানানসই নয় তেমনি আড়ম্বরহীন, সাধারণ লুকেও হারায় ঈদের জৌলুস। ঈদে আভিজাত্য সাজে ফুটিয়ে তুলতে নারীরা পোশাকের সঙ্গে বেছে নেন রুচিশীল গহনা।
পোশাকের সঙ্গে গহনা মানানসই না হলে পুরো সাজই যেন বৃথা। তাই নিজের সংগ্রহে যতই গহনা থাকুক না কেন শৌখিন নারীদের ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন গহনা কেনাই লাগে। গরম ও আভিজাত্যের কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদে সালোয়ার কামিজ, শাড়ি ও ওয়েস্টার্ন পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে প্যাস্টেল এবং গাঢ় রং।
প্যাস্টেলের ভেতর দেখা গেছে পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার, মিন্ট গ্রিনের প্রাধান্য। এ ছাড়া লাল, গাঢ় সবুজ, মেরুন রং রয়েছে শীর্ষে। প্যাস্টেল রঙের প্রাধান্যের সঙ্গে মিলিয়ে এবার ঈদে ট্রেন্ডে রয়েছে রুপা, মুক্তা ও কুন্দনের গহনা। আবার গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে গোল্ডেন কপারের ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মিশেলে গহনা এনেছেন ডিজাইনাররা। এক্সপেরিমেন্টাল গহনা হিসেবে এবার প্রাধান্য পেয়েছে কড়ি, কাপড়, পাথর, রেজিন ও ক্লে দিয়ে তৈরি গহনা। মিনিমালিস্টিক এসব গহনার নান্দনিক ও নতুন ধারার উপস্থাপন নজর কেড়েছে তরুণ-মধ্যবয়স্ক সব বয়সী নারীদের।
.jpg)
ঈদের দিনের সকালে নারীরা সাধারণত স্নিগ্ধ সাজেই থাকতে ভালোবাসেন। সকালের সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিতে পারেন মুক্তার লকেট যুক্ত চিকন চেইন অথবা রুপার ছোট গহনা। এবারের ঈদে পেনডেন্ট, ব্রেসলেট জাতীয় গহনায় আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন ডিজাইনাররা। এক হাতে ব্রেসলেট কিংবা কানে আধুনিক ডিজাইনের লম্বা দুল পরলে গলায় গহনা না পরলেও ঈদের দিন সকালে দেখতে বেশ সতেজ লাগবে। ঈদ ও পরবর্তী কয়েকদিন দাওয়াত, পার্টি ও উৎসব আয়োজন থাকে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিতে পারেন সাবেকি ধাঁচের কিছুটা ভারী গহনা।
এক্ষেত্রে কপার গোল্ডেন চোকার, পার্লের লেয়ার যুক্ত নেকলেস, কুন্দনের গহনা বেশ মানানসই। আবার পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে জ্যামিতিক শেপের লম্বা দুল, রেজিনের তৈরি নেকলেস পরলে আর কিছু পরার প্রয়োজন পড়ে না। মিনিমাল গহনাতেই সাজে পরিপূর্ণতা আসে। গহনা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিন পোশাকের ছাট ও নিজের শারীরিক গড়নকেও। পোশাকে ভি শেপ যুক্ত গলার ডিজাইন হলে বেছে নিন চোকার জাতীয় ছোট আকারের গহনা। আবার গোল গলার লম্বা জামা হলে বেছে নিতে পারেন চেইনযুক্ত নেকলেস।
কোথায় পাবেন, কেমন দাম
একটা সময় ছিল ঈদের গহনা কিনতে বেশির ভাগ নারী ভিড় জমাতেন নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনি চক এলাকায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বড় হয়েছে গহনার দোকানের পরিসর। দোকান, মার্কেটের বদলে এখন অনেকেই বেছে নেন অনলাইন কেনাকাটা। সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক গহনার ব্র্যান্ড সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, গ্লুড টুগেদার, কারখানা তাদের নতুনত্ব ও বাহারি শৈলীর জন্য তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
বিভিন্ন অনলাইন ব্র্যান্ড এ সুযোগ থাকে নিজের প্রয়োজনমতো গহনার রং, পাথর ও আকার পরিবর্তন করে নেওয়ার। অনলাইনে ব্যতিক্রমী ধাঁচের এসব গহনার দাম কিছুটা বেশি। ঈদে পরার উপযোগী গহনার সেটগুলো কিনতে দাম পড়বে সাধারণত আড়াই থেকে ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মিনিমাল ডিজাইনের সোনা, রুপা, পার্ল ও কাপড়ের তৈরি বিভিন্ন গহনা নান্দনিক ও জনপ্রিয়।
ঈদকে উপলক্ষ করে বরাবরই নতুন শৈলীর গহনা তৈরি করা হয়। হাতে বেশ কিছুদিন সময় থাকলে চাঁদনি চকের গহনার দোকানগুলোতেও তৈরি করে নিতে পারবেন নিজের পছন্দের নকশা অনুযায়ী তামা ও রুপার সাবেকি ধাঁচের গহনা। এখানে গহনা কিনতে পারবেন তুলনামূলক সুলভ মূল্যে।
কলি