ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

ঈদে মানানসই গহনা

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম
ঈদে মানানসই গহনা
মডেল: দিশা, ছবি: আদিব আহমেদ

মুসলমান ধর্মাবলম্বী নারীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ। ঈদে খুব বেশি জাঁকজমক সাজ যেমন মানানসই নয় তেমনি আড়ম্বরহীন, সাধারণ লুকেও হারায় ঈদের জৌলুস। ঈদে আভিজাত্য সাজে ফুটিয়ে তুলতে নারীরা পোশাকের সঙ্গে বেছে নেন রুচিশীল গহনা। 

পোশাকের সঙ্গে গহনা মানানসই না হলে পুরো সাজই যেন বৃথা। তাই নিজের সংগ্রহে যতই গহনা থাকুক না কেন শৌখিন নারীদের ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন গহনা কেনাই লাগে। গরম ও আভিজাত্যের কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদে সালোয়ার কামিজ, শাড়ি ও ওয়েস্টার্ন পোশাকে প্রাধান্য পেয়েছে প্যাস্টেল এবং গাঢ় রং।

প্যাস্টেলের ভেতর দেখা গেছে পাউডার ব্লু, ব্লাশ পিংক, ল্যাভেন্ডার, মিন্ট গ্রিনের প্রাধান্য। এ ছাড়া লাল, গাঢ় সবুজ, মেরুন রং রয়েছে শীর্ষে। প্যাস্টেল রঙের প্রাধান্যের সঙ্গে মিলিয়ে এবার ঈদে ট্রেন্ডে রয়েছে রুপা, মুক্তা ও কুন্দনের গহনা। আবার গাঢ় রঙের পোশাকের সঙ্গে গোল্ডেন কপারের ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিকতার মিশেলে গহনা এনেছেন ডিজাইনাররা। এক্সপেরিমেন্টাল গহনা হিসেবে এবার প্রাধান্য পেয়েছে কড়ি, কাপড়, পাথর, রেজিন ও ক্লে দিয়ে তৈরি গহনা। মিনিমালিস্টিক এসব গহনার নান্দনিক ও নতুন ধারার উপস্থাপন নজর কেড়েছে তরুণ-মধ্যবয়স্ক সব বয়সী নারীদের।

এবারের ঈদে পেনডেন্ট, ব্রেসলেট জাতীয় গহনায় আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন ডিজাইনাররা

ঈদের দিনের সকালে নারীরা সাধারণত স্নিগ্ধ সাজেই থাকতে ভালোবাসেন। সকালের সাজের অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিতে পারেন মুক্তার লকেট যুক্ত চিকন চেইন অথবা রুপার ছোট গহনা। এবারের ঈদে পেনডেন্ট, ব্রেসলেট জাতীয় গহনায় আলাদা গুরুত্ব দিয়েছেন ডিজাইনাররা। এক হাতে ব্রেসলেট কিংবা কানে আধুনিক ডিজাইনের লম্বা দুল পরলে গলায় গহনা না পরলেও ঈদের দিন সকালে দেখতে বেশ সতেজ লাগবে। ঈদ ও পরবর্তী কয়েকদিন দাওয়াত, পার্টি ও উৎসব আয়োজন থাকে। এসব অনুষ্ঠানের জন্য বেছে নিতে পারেন সাবেকি ধাঁচের কিছুটা ভারী গহনা।

এক্ষেত্রে কপার গোল্ডেন চোকার, পার্লের লেয়ার যুক্ত নেকলেস, কুন্দনের গহনা বেশ মানানসই। আবার পাশ্চাত্য ধাঁচের পোশাকের সঙ্গে জ্যামিতিক শেপের লম্বা দুল, রেজিনের তৈরি নেকলেস পরলে আর কিছু পরার প্রয়োজন পড়ে না। মিনিমাল গহনাতেই সাজে পরিপূর্ণতা আসে। গহনা নির্বাচনের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিন পোশাকের ছাট ও নিজের শারীরিক গড়নকেও। পোশাকে ভি শেপ যুক্ত গলার ডিজাইন হলে বেছে নিন চোকার জাতীয় ছোট আকারের গহনা। আবার গোল গলার লম্বা জামা হলে বেছে নিতে পারেন চেইনযুক্ত নেকলেস।

কোথায় পাবেন, কেমন দাম
একটা সময় ছিল ঈদের গহনা কিনতে বেশির ভাগ নারী ভিড় জমাতেন নিউমার্কেট, গাউছিয়া ও চাঁদনি চক এলাকায়। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বড় হয়েছে গহনার দোকানের পরিসর। দোকান, মার্কেটের বদলে এখন অনেকেই বেছে নেন অনলাইন কেনাকাটা। সম্পূর্ণ অনলাইনভিত্তিক গহনার ব্র্যান্ড সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, গ্লুড টুগেদার, কারখানা তাদের  নতুনত্ব ও বাহারি শৈলীর জন্য তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

বিভিন্ন অনলাইন ব্র্যান্ড এ সুযোগ থাকে নিজের প্রয়োজনমতো গহনার রং, পাথর ও আকার পরিবর্তন করে নেওয়ার। অনলাইনে ব্যতিক্রমী ধাঁচের এসব গহনার দাম কিছুটা বেশি। ঈদে পরার উপযোগী গহনার সেটগুলো কিনতে দাম পড়বে সাধারণত আড়াই থেকে ৫ হাজার টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মিনিমাল ডিজাইনের সোনা, রুপা, পার্ল ও কাপড়ের তৈরি বিভিন্ন গহনা নান্দনিক ও জনপ্রিয়।

ঈদকে উপলক্ষ করে বরাবরই নতুন শৈলীর গহনা তৈরি করা হয়। হাতে বেশ কিছুদিন সময় থাকলে চাঁদনি চকের গহনার দোকানগুলোতেও তৈরি করে নিতে পারবেন নিজের পছন্দের নকশা অনুযায়ী তামা ও রুপার সাবেকি ধাঁচের গহনা। এখানে গহনা কিনতে পারবেন তুলনামূলক সুলভ মূল্যে।

 কলি

কে ক্র্যাফট এর ফরমাল পোশাকের নতুন কালেকশন

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
কে ক্র্যাফট এর ফরমাল পোশাকের নতুন কালেকশন
ছবি: কে ক্র্যাফট

কে ক্র্যাফট নিয়ে এসেছে ওয়ার্কওয়্যার বা অফিস উপযোগী পোশাকের নতুন কালেকশন। অফিস, মিটিং কিংবা প্রেজেন্টেশনে গ্রহণযোগ্য লুক পেতে ফরমাল পোশাক নির্বাচনে আরামে থাকা আর পরিবেশকে মাথায় রাখতে হয়। এছাড়া  আবহাওয়া উপযোগী হওয়ার পাশাপাশি ভালো রুচিরও পরিচয় দিতে হবে। অফিসে দিনভর রিলেক্সড থাকা যাবে এমন পোশাকই হওয়া চাই, যা আপনার আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে তুলবে। প্রিমিয়াম ফ্যাব্রিকে তৈরি কে ক্র্যাফট এর ফরমাল পোশাকের নতুন কালেকশন থেকে মিলবে কাঙ্ক্ষিত পোশাক।  

নতুন ওয়ার্কওয়্যার কালেকশনে প্রত্যেকের জন্যই রয়েছে ফরমাল পোশাক। ছেলেদের জন্য স্ট্রাইপ, চেক ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন মার্জিত রঙের/শেডের ফরমাল শার্ট এবং এই ডিজাইনগুলো গাঢ় এবং হালকা উভয় শেডের ফরমাল প্যান্ট বা চিনোসের সাথে এমন কি ডেনিমের সাথেও মিলিয়ে পরা যাবে। ছেলেদের পোশাকের পাশাপাশি মেয়েদের জন্যেও রয়েছে এথনিক ডিজাইনের ফরমাল পোশাক। 

এছাড়াও মেয়েদের জন্য রয়েছে ট্রেন্ডি কুর্তি, সালোয়ার কামিজ এবং শাড়ি। এথনিক ডিজাইনের পোশাকটি  ক্লাসিক  হয়েও ফরমাল দেখানোর জন্য ডিজাইনাররা চমৎকার অলঙ্করণ, স্ক্রিন প্রিন্টিং এবং পরিমিত হ্যান্ড এমব্রয়ডারি যোগ করা হয়েছে। সকল বয়সের মেয়েরাই তাদের দৈনন্দিন অফিসের জন্য উপযোগী পোশাক পাবেন এই নতুন কালেকশন থেকে।    

 কে ক্র্যাফটের সকল শো-রুম ছাড়াও অনলাইন শপ থেকে অর্ডার করা যাবে।
   

কলি

 

ঈদ কেনাকাটায় সারা’র র‌্যাফেল ড্র বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
ঈদ কেনাকাটায় সারা’র র‌্যাফেল ড্র বিজয়ীদের নাম ঘোষণা
ছবি: সারা লাইফস্টাইল

ঈদ উল ফিতর ২০২৫ উপলক্ষ্যে দেশের জনপ্রিয় ফ্যাশন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ আয়োজন করে বিশেষ র‌্যাফেল ড্র। প্রথম পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী পেয়েছেন একটি রয়েল এনফিল্ড বাইক, যা ছিল র‍্যাফেল ড্র’টির মূল আকর্ষণ।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় সারা’র নারায়ণগঞ্জের আউটলেটে আয়োজিত ফেসবুক লাইভে ‘গিভ অ্যাওয়ে’র মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন উপস্থাপিকা মৌসুমি মৌ। র‍্যাফেল ড্রটিতে প্রথম পুরস্কার রয়েল এনফিল্ড জিতেছেন মো. মজিবর রহমান। দ্বিতীয় পুরস্কার হিসেবে একটি ডাবল ডোর ফ্রিজ পেয়েছেন মো. মোশফিকুর রহামান। আর তৃতীয় বিজয়ী হয়েছেন এস এম আবু সায়েম। তিনি ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা আসা যাওয়ার একটি কাপল টিকিট পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঈদ উল ফিতর ঘিরে ‘সারা’ লাইফস্টাইল থকে ন্যূনতম  চার হাজার টাকার পণ্য কিনলে একটি কুপন দেওয়া হয়। সেই কুপনে ক্রেতার নাম ও মোবাইল নম্বর লিখে জমা দিয়েছেন ক্রেতারা। গ্রাহকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর অংশ হিসেবে এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ‘সারা’ লাইফস্টাইল।

 কলি

 

গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম
গরমে ঘর ঠাণ্ডা রাখার উপায়
ছবি: সংগৃহীত

ঘর মানে আরাম ও প্রশান্তির জায়গা। কিন্তু গ্রীষ্মের দাবদাহে বাইরের মতো উত্তপ্ত হয়ে উঠে ঘরের পরিবেশ। মাথার ওপর ঘুরতে থাকা ফ্যানে তখন স্বস্তি মেলা দায়। আবার এসি ব্যবহার অনেকের সামর্থ্যের বাইরে। তা ছাড়া পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করেও এসি এড়িয়ে চলাই ভালো। 

হালকা সাজসজ্জায় প্রাধান্য দিন
নিজের আবাসস্থলকে অভিজাত, কিছুটা জাঁকজমকভাবে সাজাতে ভালোবাসেন অনেকে। তবে আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঘরের সাজসজ্জায় কিছুটা পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। শীতকালে ভারী পর্দা ব্যবহার করলেও গরমের জন্য হালকা সুতি পর্দাই মানানসই। এতে বাতাস চলাচলে সুবিধা হয়। এ সময় শোবার ঘরের চাদর, সোফার কুশন, খাবার ঘরের সাজসজ্জা সবকিছুতে হালকা রং প্রাধান্য দিন। পাশাপাশি মিনিমাম আসবাবপত্রে ঘর সাজিয়ে তুললে গরমে হালকা বোধ হবে।

জানালা খুলুন সময় বুঝে
অনেকে গরমের সময় ঘর ঠাণ্ডা রাখতে প্রায় সবসময় জানালা খুলে রাখেন। তবে আমাদের দেশের আবহাওয়া ও তাপমাত্রা স্বাস্থ্য উপযোগী নয়। দুপুরের তীব্র গরমে ঘরের জানালা তাই খোলা রাখবেন না। এতে করে রাতেও ভেতরের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে থাকে। গরমে জানালা খোলার সবচেয়ে ভালো সময় ভোর থেকে সকাল এগারোটা পর্যন্ত। এরপর আবার সন্ধ্যার পর জানালা খোলা রাখতে পারেন। এতে ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা থাকবে।

ছাদে ও অন্দরে গাছ লাগান
শহরের উঁচু দালানের তাপ অনেকটাই বহন করে ছাদ। পরিবেশ শীতল রাখতে ছাদবাগান বেশ কার্যকরী পদ্ধতি। এ ছাড়া ঘরের পরিবেশ ঠাণ্ডা রাখতে বসার ঘরে, বারান্দায়, শোবার ঘরে রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট। গাছকে বলা হয় প্রাকৃতিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র। গাছ বাতাসে জলীয় বাষ্প ছড়িয়ে দেয় এবং প্রকৃতি শীতল করে। বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্টের রয়েছে আর্দ্রতা ধরে রাখার ক্ষমতা। তাই ঘরের ভেতর বিভিন্ন জায়গায় গাছ লাগালে যেমন তাপমাত্রার ভারসাম্য রক্ষা হবে তেমনি ঘরের নান্দনিকতাও বাড়বে।

বরফ ব্যবহার করুন
সিলিং ফ্যানের পাখা ঘরের ভেতরে থাকা বাতাস নিচের দিকে টেনে শীতল অনুভূতি সৃষ্টি করে। তবে ঘরের ভেতরের তাপমাত্রাই যদি গরম হয় তবে ফ্যানের বাতাসেও গরম লাগা স্বাভাবিক। ঘর ঠাণ্ডা করতে ফ্যানের ঠিক নিচ বরাবর একটি বড় পাত্রে বরফ রাখতে পারেন। ফ্যান ঘুরার সময় বরফ জলীয় বাষ্প আকারে বাতাসে মিশতে থাকবে। এতে করে সারা ঘরেই ঠাণ্ডা অনুভূত হবে।

আলো ব্যবহারে সতর্কতা
ঘরে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক বাতি থেকে তাপ উৎপন্ন হয়। এক-দুটি বাতি হয়তো তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তন করে না। তবে গরমের সময় শখ কিংবা সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য অতিরিক্ত বাতি ব্যবহার পরিহার করুন। হলুদ বা বিভিন্ন রঙের বাতি ঘরের তাপমাত্রা আরও বাড়িয়ে তোলে। তাই সাদা ও হালকা আলোর বাতি ব্যবহার করুন।

ঘরের মেঝে মুছে রাখুন
যারা একা বা ব্যাচেলর থাকেন তারা অনেকেই নিয়মিত ঘর মুছার অভ্যাস করেন না। তবে গরমের সময় আরামে থাকতে চাইলে নিয়মিত ঘরের মেঝে মুছে রাখুন। তা ছাড়া ঘর পরিচ্ছন্ন থাকলে গুমোট ভাব তৈরি হবে না। এতে করে ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।

 /কলি

 

 

 

হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
হিমোগ্লোবিন বাড়ে যেসব খাবারে
ছবি: সংগৃহীত

হিমোগ্লোবিন মূলত আমাদের রক্তের ভেতরে থাকা লৌহসমৃদ্ধ প্রোটিন। এটি রক্তের মাধ্যমে সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে। একজন পুরুষের রক্তে ন্যূনতম ১৩ গ্রাম ও নারীদের শরীরে ১২ গ্রাম হিমোগ্লোবিন থাকা প্রয়োজন। এর ঘাটতি হলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো, বমি ভাব, অ্যানিমিয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। আয়রন, ভিটামিন বি১২, ফলিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়ে।

মাংস
লাল মাংস আয়রনের অন্যতম উৎস। তাই রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে খাবার তালিকায় নির্দিষ্ট পরিমাণে গরু কিংবা খাসির মাংস রাখুন। পাশাপাশি গরুর কলিজা রক্তে আয়রন-এর পরিমাণ বাড়াতে বিশেষভাবে কার্যকরী। নারীদের প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে অনেক রক্ত বেরিয়ে যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা নারীদের খাবারে কলিজা রাখতে বলেন। এ ছাড়া হাঁস, টার্কি ও মুরগির মাংসও আয়রনের উৎস।

দুধ
দুধ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও প্রোটিন যোগাতে সাহায্য করে। দুধে খুব বেশি পরিমাণে আয়রন না থাকলেও এতে প্রায় সব রকমের ভিটামিন আছে। এ ছাড়াও দুধে আছে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়াম। এই খাদ্য উপাদানগুলো রক্তের হিমোগ্লোবিন বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে।

সামুদ্রিক মাছ
সামুদ্রিক মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও খনিজ পদার্থ রয়েছে। আমাদের বাজারে সার্ডিন, স্যামন, টুনা ইত্যাদি সামুদ্রিক মাছ সহজলভ্য। রক্তে আয়রনের পরিমাণ বাড়াতে এ জাতীয় মাছ খেতে পারেন।

শস্যদানা
রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে নিয়মিত মুগ কিংবা মসুর ডাল খেতে পারেন। ডালে পর্যাপ্ত প্রোটিন, আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। এ ছাড়া সয়াবিনও প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। প্রোটিন রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। ওটস, গম এর তৈরি খাবার খেলেও হিমোগ্লোবিন বাড়ে।

ডার্ক চকোলেট
হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি কমাতে পারে ডার্ক চকোলেট। মিল্ক চকোলেটে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। এমন চকোলেট বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ডার্ক চকোলেটে সেই ঝুঁকি নেই। বরং এটা খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি কমবে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে আয়রনসমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট বেশি করে খেতে পারেন। 

ফলমূল
সাইট্রাস বা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার রক্তে আয়রন শোষণ করে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। ডালিম, কমলা, লেবু, আমলকি, স্ট্রবেরি, কিউই এগুলো ভিটামিন সিসমৃদ্ধ ফল। হিমোগ্লোবিন বাড়াতে এই জাতীয় ফল খেতে পারেন।

বিট
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে বিটের রস খেতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর আয়রন, ফলিক অ্যাসিড, ফাইবার ও পটাশিয়াম। এর পুষ্টিমান শরীরের লাল রক্তকণিকা বাড়ায়।

সবুজ শাকসবজি
পালং, মেথি ও কচুশাক আয়রন ও ফলিক অ্যাসিডের অন্যতম উৎস। এগুলো মাছ, মাংসের তুলনায় যোগান ও দামেও সহজলভ্য। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে প্রতিদিন খাবারে আয়রনযুক্ত সবুজ শাকসবজি রাখুন।

ডিম
শরীরে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ডিম খেতে পারেন। এতে থাকা আয়রন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান শরীরের জন্য নানাভাবে উপকার করে। ডিমের কুসুমে থাকে প্রচুর ভিটামিন ও খনিজ। শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সেদ্ধ ডিম বেশ উপকারী।

ফলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার
হিমোগ্লোবিন বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ফলিক অ্যাসিডের অন্যতম উৎস বিভিন্ন নিরামিষ খাবার। এর মধ্যে মাশরুম, বাদাম ও আখরোট উল্লেখযোগ্য।

মধু
মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস। আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার ও ম্যাঙ্গানিজ আছে। এই উপাদানগুলো শরীরে হিমোগ্লোবিন প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। রক্তশূন্যতা দূর করতে প্রতিদিন ১ চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন।

এ ছাড়া হিমোগ্লোবিন বাড়াতে আয়রন শোষণ বাড়ানোর জন্য শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করা, নিয়মিত শারীরিক কার্যকলাপ এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গরমে ত্বক ভালো রাখবেন যেভাবে

প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪৮ পিএম
গরমে ত্বক ভালো রাখবেন যেভাবে
মডেল: এ্যানি, ছবি: আদিব আহমেদ

গরমের সময় তাপে আমাদের ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই সময়ে ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন। অতিরিক্ত গরম, ধুলোবালি ও ঘামের কারণে ত্বক রুক্ষ, নিস্তেজ হয়ে পড়ে ও ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সঠিক যত্নের মাধ্যমে ত্বককে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্যকর রাখা সম্ভব। 

ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে
গরমে ঘাম, ধুলোবালি ও দূষিত পরিবেশের কারণে ত্বকে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই সময়ে সঠিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি। এই গরমে ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্লিনজার ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুতে হবে। তৈলাক্ত ত্বক এই গরমে আরও বেশি তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। এই জমে থাকা তেল দূর করার জন্য ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়া প্রয়োজন। এতে ত্বক পরিষ্কার থাকবে।

আর্দ্র রাখতে হবে 
পানি পানে শরীর ভেতর থেকে যেমন আর্দ্র থাকে তেমনি বাইরে থেকে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে। গরমে যদিও ত্বকে তৈলাক্তভাব হয় তারপরও ময়েশ্চারাইজার মাখা জরুরি। গরম পাতলা বা হালকাধর্মী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হয়।

মুখ ধোয়া
ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পানি দিয়ে মুখ ধোয়া ভালো। বারবার পানির ঝাপটা দিলে ত্বকের উপরিভাগে জমা তেল, ধুলোবালি সহজেই পরিষ্কার হয়ে যায়। তবে বেশি মুখ ধুলে ত্বকের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়তেই পারে। তাই নির্দিষ্ট সময় পরপর মুখে পানির ঝাপটা দিতে হবে। 

সানস্ক্রিনের ব্যবহার 
ত্বক সুন্দর, তরতাজা, উজ্জ্বল রাখতে অতিবেগুনি রশ্মি এড়িয়ে চলতে হবে। গরমে সূর্যের প্রখরতা অনেক বেশি থাকে। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সানস্ক্রিনের বিকল্প নেই। বাসা থেকে বের হওয়ার আগে মুখ, হাত-পা ও শরীরের অন্য খোলা অংশে এসপিএফ যুক্ত ভালো দেখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

সিরাম ব্যবহার
গরমের সময়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ক্রিম বা সিরাম ব্যবহার করতে হবে। সিরাম গরমে ত্বক সুন্দর রাখতে সাহায্য করবে। এ সময় লাইট স্কিন কেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হবে না। ত্বক ভারী বোধ হবে না। 

ম্যাসাজ করুন 
নিয়মিত ম্যাসাজ ত্বকে পানি ধরে রাখে। ম্যাসাজের ফলে ত্বক নরম ও কোমল হয়। ফেস ম্যাসাজ ত্বকের টক্সিন দূর করতে পারে। এ ছাড়া অনেকের ত্বক ঝুলে যায়, সেই সমস্যাও দূর হবে।

বরফের ব্যবহার
বাইরে থেকে আসার পর ত্বকে বরফ লাগালে একটা আরাম ভাব আসবে। গরমে বরফের ঠাণ্ডা ভাব ত্বকের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। সকালে বরফ নিয়ে কয়েকবার ত্বকে ঘষে নিতে পারেন। তবে বরফ সরাসরি মুখে ব্যবহার না করে পাতলা কাপড় দিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। বরফের জায়গায় আইসড এলোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন, এতে ভালো উপকার পাওয়া যাবে। 

মেকআপ এড়িয়ে চলুন
গরমে ত্বকে মেকআপ কম করা ভালো। এই সময়ে বেশি মেকআপ করলে ঘাম বেশি হওয়ার কারণে তা লেপ্টে যেতে পারে। এ ছাড়া লোমছিদ্র বন্ধ হয়ে মুখে ব্রণ বেড়ে যেতে পারে। মেকআপ করলে তা ভালোভাবে তুলেও ফেলতে হবে। যদি মেকআপ ব্যবহার করতেই হয় তবে হালকাভাবে করুন। মেকআপ করলে তা ভালোভাবে তুলেও ফেলতে হবে।

ত্বক অনুযায়ী প্যাক ব্যবহার 
ত্বক ভালো রাখতে ঘরোয়া প্যাক লাগাতে পারেন। সূর্যের অতিরিক্ত তাপে এই সময় ত্বকে ট্যান পড়ে যায়। সেক্ষেত্রে এক্সফোলিয়েশন ব্যবহার করতে পারেন। ঘরে তৈরি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল, গুঁড়া চিনি ও মধু মিশিয়ে বানাতে পারেন প্যাক। কিছুক্ষণ মুখে স্ক্রাবিং করে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক অতিরিক্ত অয়েলি হলে এর পরিবর্তে মুলতানি মাটি ও গ্রেট করা শসা মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। এ ছাড়া ত্বক অনুযায়ী নানা ধরনের প্যাক লাগাতে পারেন। 

শাওয়ার জেল ব্যবহার
গরমকালে অনেকেই বারবার গোসল করেন। বারবার গোসলের সময়ে সাবান ব্যবহার করলে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। তাই সাবানের বদলে গোসলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি তরল সাবান বা শাওয়ার জেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা ও তৈলাক্ত পদার্থ, সুগন্ধও ছড়াবে।

সিনথেটিক কাপড় পরা এড়িয়ে চলুন
গরমে অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে সিনথেটিক কাপড় না পরাই ভালো। সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক পরলে রোদে বেরোনোর পর ঘাম, ত্বকে র‌্যাশ ও অস্বস্তি হয়। গরমে আরামের জন্য সুতির জামা-কাপড় বেছে নিন। সুতির পোশাকের মধ্য দিয়ে সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে। এর ফলে ত্বকে ঘাম, ফুসকুড়ি এবং চুলকানি প্রতিরোধ করা সহজ হয়।

কলি