
ঈদের কেনাকাটায় নতুন পোশাকের পাশাপাশি এক জোড়া নতুন জুতা ছাড়া সাজ অসম্পূর্ণ। পোশাকের সঙ্গে অবশ্যই মানানসই ও ফ্যাশনেবল জুতা পরতে হবে। স্টাইলিশ জুতার ব্যবহার মানুষকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। জুতার ব্র্যান্ডগুলোতে ঈদ উপলক্ষে থাকে নানান ডিজাইনের জুতার সমাহার। ছেলে-মেয়ে সবার জন্যই নিয়ে আসে নানা স্টাইলের জুতা।
মেয়েদের জুতা
ঈদের জন্য মানানসই জুতা পরা রুচিশীলের প্রকাশ। পোশাকের ডিজাইন বুঝে জুতা পরার চেষ্টা করতে হবে। জুতা এমন বেছে নিতে হবে শাড়ি, কামিজ বা ওয়েস্টার্ন যাই পরুন না কেন চলাচলে সহজ হয়। পোশাকের রং একই হলে অনেক সময় পোশাকের সঙ্গে বেমানান লাগতে পারে। পোশাকটি কিনে তারপর জুতা মেলানোই ভালো। স্বাচ্ছন্দ্যর কথা ভেবে পড়তে পারেন স্লিপারও। দিনের বেলা ঘুরাঘুরির জন্য স্লিপার বা ব্যালেরিনা পড়লে আরাম পাবেন। রাতের দাওয়াতে কালো ভারী কাজের শাড়ির সঙ্গে হিলযুক্ত জুতা পরতে পারেন। আবার হালকা সুতি শাড়ির সঙ্গে কালো রঙের ফ্ল্যাট জুতা পরা যায়।
ওয়েস্টার্ন ড্রেসের সঙ্গে বক্স বা পেনসিল হিল পরতে পারেন। হাইহিলের সঙ্গে ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতে পারেন। ঢিলেঢালা পোশাকের সঙ্গে সু বা স্যান্ডেল সু, সয়াযুক্ত জুতা, দুই ফিতার জুতা পরা যায়। গাউনের সঙ্গে হাইহিল, বক্সহিল জুতা পরলে ভালো দেখাবে। আবার মাঝারি দৈর্ঘ্যরে গাউনের সঙ্গে খোলা জুতা ভালো মানায়। স্টাইলিশ অথচ আরামদায়ক পোশাকের জন্য কটন, লিনেন, কিংবা হালকা সিল্কের পোশাক বেছে নেওয়া যেতে পারে। তবে পোশাকের সাথে মিলিয়ে জুতা নির্বাচন করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
ফরমাল কিংবা ট্র্যাডিশনাল পোশাকের সাথে মানানসই জুতা বেছে নেওয়া ঈদের সাজকে আরও পরিপূর্ণ করে তুলবে। উত্সবের জুতাগুলোর ডিজাইন একটু জমকালো করার প্রয়াস চালায় সব ব্র্যান্ড। এ জন্য লাল, হলুদ, কমলা, গোলাপি কিংবা হালকা বেগুনি রং বেছে নেওয়া হয়েছে মেয়েদের জুতায়। রংচঙা এসব জুতায় ব্যবহার করা হয়েছে বাহারি নকশা। কয়েক বছর ধরেই মেয়েদের জুতায় চুমকি, পুঁতির কাজ বেশ জনপ্রিয়। আগে জুতার ফিতায় এগুলো বসানো থাকলেও এবার তা নেমে এসেছে সোলেও। বৈচিত্র্য আনতে বিভিন্ন ধাতব উপকরণও ব্যবহার করা হয়েছে।
ছেলেদের জুতা
ঈদের দিনে সকালে ছেলেরা পাঞ্জাবি-পাজামা পরেন। বিকেলের সাজ আবার অন্যরকম হয়। বিকেলে তারা সাধারণত শার্ট-প্যান্ট পরে থাকেন। সেক্ষেত্রে পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে জুতা পরতে হবে। রঙের ক্ষেত্রেও একেকজনের পছন্দ একেক রকম হয়। কারো পছন্দ কালো রঙের জুতা আবার কেউ ঘি রঙের জুতা পছন্দ করেন। তবে, যে রঙের জুতা পরেন না তা যেন অবশ্যই পোশাকে সঙ্গে মানানসই হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে কলাপুরি জুতাও পছন্দ করেন।
এছাড়া, পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে স্নিকার্স ধরনের শু পরতে পারেন। ছেলেদের জুতা-স্যান্ডেলে রঙের ব্যবহার একটু কমই দেখা যায়। কালো, বাদামি, অ্যাশ, নীলচে রঙের ব্যবহার বেশি হয়েছে। ব্র্যান্ডগুলোয় পাঞ্জাবির সঙ্গে পরার জন্য মানানসই স্যান্ডেল পাওয়া যাবে তেমনি রয়েছে পার্টি ও অফিস উপযোগী শাইনি শু, ফ্রি টাইম শু, ক্যাজুয়াল শু, লোফার, স্নিকার। বর্তমানে ক্রেতারা জুতার সৌন্দর্যের পাশাপাশি আরাম, টেকসই মান, ট্রেন্ডি ফ্যাশন এবং সাশ্রয়ী মূল্যকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। বিশেষ করে রমজান ও ঈদের সময় ফ্যাশন ও স্বাচ্ছন্দ্যের সমন্বয়ে তৈরি জুতাই গ্রাহকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে।
কলি