
এই সময়ের কিশোর- কিশোরী মূলত জেন জি। তারা তাদের ফ্যাশন নিয়ে বেশ সচেতন। কোন নিদিষ্ট পোশাকের মধ্যে তারা নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখতে নারাজ। ঈদে কিশোর -কিশোরীর চায় তার নিজস্ব স্টাইল অনুযায়ী পোশাক পরতে। পোশাক নির্বাচনে নির্দিষ্ট ট্রেন্ডের পাশাপাশি স্বাচ্ছন্দ্য ও ব্যক্তিগত পছন্দকেও প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাঁরা। তাদের পোশাক নিয়ে লিখেছেন তামান্না মুন
জেন-জির মাধ্যমে ফ্যাশনশিল্প পরিবর্তিত হয়েছে। তারা ফ্যাশনে সব সময় নিজের স্বাচ্ছন্দ্যকে সবেচেয়ে প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তারা টাইট বডিকন পোশাক নয়, ছিমছাম পোশাকই পরতে পছন্দ করেন। ঢিলেঢালা আরামদায়ক পোশাক পরতে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এই প্রজন্মের প্রভাবে ডিজাইনাররা নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করছে। বৈচিত্র্যময় নকশা আর কাটছাঁটের ভিন্নতা দেখা গেল তাদের পোশাকে। কামিজের ঘেরেও রয়েছে বৈচিত্র্য। ঈদপোশাকে এবার ডিজিটাল প্রিন্টের ব্যবহার করা হয়েছে।
এবার কিশোরীদের জন্য রয়েছে ফ্রক, টপ প্যান্ট, কাফতান, স্কার্ট, জাম্পস্যুট, মিডি-ড্রেস, কো-অর্ড সেট। এ ছাড়া দেশীয় ঘরানার কামিজ ও কুর্তিতেও রয়েছে ভিন্নতা। ফতুয়া বা কুর্তায় থাকছে জ্যামিতিক কাট। ঈদ ফ্যাশনে ঘের একধরনের লম্বা পোশাকের আয়োজন। কামিজ আর টপের লম্বা হাতায় থাকছে লেস।জিন্স সব সময়ই পছন্দের পোশাক, নানা রকম ছাপা নকশার প্যান্ট ডিজাইন করা হয়েছে। এ ছাড়া পালাজ্জো তো আছেই। এসব পোশাকে করা হয়েছে কারচুপি, জারদৌসি, গোটাপাত্তি ও সুতার কাজ।
কিশোরীদের পোশাকের হাতা নিয়ে করা হয়েছে নিরীক্ষাধর্মী কাজ। সুতি, মসলিন, জয়শ্রী সিল্ক, অ্যান্ডি সিল্কের কাপড়ে তৈরি পোশাকে থাকছে নকশি কাঁথা, লোকজ মোটিফে ব্লকপ্রিন্টের কাজ। দুই পাশে পকেটসহ শার্ট নকশার কিছু পোশাকের আয়োজনও থাকছে। কিশোরীদের জন্য পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যাগ, জুতা ডিজাইন করা হয়েছে। ঈদে কিশোরদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের প্রিন্ট ও এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি এনেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।
পাশাপাশি রয়েছে ক্যাজুয়াল শার্ট, পলো শার্ট, টি-শার্ট ও হাফ শার্ট। সাদামাটা রঙের বাইরে গিয়ে এবার বেশ উজ্জ্বল ও গাঢ় রঙের ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। এ ছাড়া কালো ট্রাউজার আর ঢিলেঢালা ম্যাচিং টি-শার্ট পরতে পছন্দ করেন। লুজ-ফিটিং জর্জেট ফেব্রিকের টেরাকোটা রঙের শার্ট এবং সাদা রঙের ফুলহাতা ক্রপ টপ সঙ্গে আশি-নব্বইয়ের দশকের হাই ওয়েস্ট মম জিনস পরতে দেখা যাচ্ছে। কিশোরদের মধ্যে স্নিকার্স ও হাই নেক কেডস এবার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। অনুষঙ্গ হিসেবে তাঁরা বেছে নিচ্ছে রোদচশমা ও স্মার্ট ওয়াচ। শুধু ঈদের দিনই নয়, সারা বছরই যাতে টিনএজরা পরতে পারে, এই বিষয়টি মাথায় রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন ডিজাইনাররা ডিজাইন করেছেন।
পোশাকের রঙ
তাদের পোশাকে রঙের ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হয় না। সব ধরনের রঙের পোশাক তাদের পরতে দেখা যায়। এখন তারা যা পরবে তাই ট্রেন্ডি। তবে এবার কিশোরীদের পোশাকে পোশাকে যেমন উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার হয়েছে, তেমনি হালকা রঙের মধ্যে চমৎকার নকশা করা হয়েছে। রঙের প্রাধান্য পেয়েছে লাল, সাদা, নীল, খয়েরি, কমলা, কালো, ছাই, হালকা সবুজ, বেগুনি, পিচ পিংক, বেবি পিংক, বেবি ব্লু, আইস ব্লু, গ্রাস গ্রিনসহ বিভিন্ন রং। পোশাকের মোটিফও বাছাই করা হয়েছে কিশোর কিশোরীদের পছন্দমাফিক। আছে বাহারি ফুলের নকশার পোশাক ।
/ফারজানা ফাহমি