ঢাকা ১৮ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২

ঘরে কয়েল-অ্যারোসলের ব্যবহার কতটা নিরাপদ

প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫২ পিএম
ঘরে কয়েল-অ্যারোসলের ব্যবহার কতটা নিরাপদ
ছবি: সংগৃহীত

মশা কিংবা অন্যান্য পোকামাকড় থেকে বাঁচতে আমরা অনেক সময় ঘরে অ্যারোসল, কয়েলসহ নানা ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করি। এই কয়েল বা অ্যারোসল স্বাস্থ্যসম্মত নয়।  এতে ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান আমাদের শরীরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এগুলো ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। 

মশার কয়েলের প্রধান উপাদান হচ্ছে পাইরোফ্রয়েড। এর আসল সক্রিয় উপাদান হচ্ছে কীটনাশক ডিডিটি বা ক্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন। কয়েলের ধোঁয়ায় ফরমালডিহাইড, হাইড্রোকার্বনসহ আরও কিছু উপাদান থাকে, যেগুলো আমাদের ফুসফুসের ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘরে কয়েল জ্বালিয়ে রাখলে ১৪০টি সিগারেটের ধোঁয়া উৎপন্ন করে যা হার্ট, ফুসফুস এবং শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত করতে থাকে। বিশেষ করে ছোট শিশুদের, হাঁপানি রোগীদের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এছাড়া অ্যারোসল স্প্রেতে পাইরিথোয়েড নামের রাসায়নিক উপাদান থাকে, যা খুব বেশি ক্ষতিকর না হলেও হাঁপানি, ব্রংকাইটিস রোগীদের শ্বাসকষ্ট বাড়াতে পারে। কখনো কখনো চোখ জ্বালা করতে পারে, মাথা ব্যথারও কারণ হতে পারে। আবার কারও অ্যালার্জির সমস্যা হয়।

কয়েলের ধোঁয়ায় থাকা রাসায়নিক পদার্থ দীর্ঘমেয়াদে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। অ্যারোসলের বিষাক্ত কণা স্নায়ুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, যা স্নায়বিক ব্যাধি সৃষ্টি করতে পারে।

সতর্কতা

ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে স্প্রে করুন এবং ঘর থেকে বেরিয়ে যান। স্প্রে করার সময় এবং পরপরই ঘরে শিশুদের থাকতে দেবেন না। অন্তত দু-এক ঘণ্টা পর ঘরে প্রবেশ করুন এবং ফ্যানের হাওয়ায় ভাসমান কণাগুলোকে বেরিয়ে যেতে দিন।

লেবেলবিহীন কিংবা অখ্যাত কোম্পানির তৈরি মশা মারার ওষুধ ব্যবহার করবেন না। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে, শুধু এমন পণ্যই ব্যবহার করুন। প্যাকেটের গায়ে লেখা ব্যবহারবিধি আগে ভালোভাবে পড়ে নিন।
ঘরে অ্যারোসল স্প্রে করা অবস্থায় কিংবা কয়েল জ্বালানো অবস্থায় কিছু খাবেন না। অ্যারোসল বা কয়েল ব্যবহারের সময় খাবার ঢেকে রাখুন।

টেবিলের ওপরের অংশ, বিছানা, চেয়ার এগুলোর ওপর কীটনাশক ছিটাবেন না বা স্প্রে করবেন না। 

প্রাকৃতিকভাবে মশা দূর করার কিছু উপায় 
কর্পূরের গন্ধে মশা দূর হয়। তাই ৫০ গ্রাম কর্পূরের ট্যাবলেট পানিতে মিশিয়ে ঘরে রেখে দিন, মশা কমে যাবে।

মাঝ বরাবর কেটে ভেতরের অংশে বেশ কয়েকটি লবঙ্গ গেঁথে দিন। এরপর লেবু জানালার গ্রিলে ও ঘরের কোণায় রাখুন। ঘরে মশা তাড়াতে প্রাকৃতিকভাবে  এটি বেশকার্যকর। 

ঘরের ভেতরে টব থাকলে সেখানে থাই লেমন গ্রাস রাখতে পারেন। থাই লেমন গ্রাসে যে সাইট্রোনেলা অয়েল আছে, এর স্ট্রং স্মেলের কারণে মশা ঘর থেকে বের হয়ে যায়। কিচেনে, ডাইনিং টেবিলের সাইডে থাই লেমন গ্রাস রাখলে মশার উৎপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

/ কলি

 

আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৮ পিএম
আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস
ছবি: সংগৃহীত

আজ ৩০ এপ্রিল ‘আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস’। প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষ বুধবার দিবসটি পালিত হয়। রক্ষিত শ্রবণ সুরক্ষিত জীবন এই প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশে আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘সেন্টার ফর হেয়ারিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন’ ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে উচ্চ শব্দ নিয়ে বৈশ্বিক প্রচারণা শুরু করে। এরপর থেকে দিবসটির সূচনা হয়। শব্দদূষণ, শব্দদূষণের ক্ষতিকারক দিকসমূহ, শব্দদূষণ রোধে করণীয় সম্পর্কে জনসাধারণকে সচেতন করা এবং সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য তুলে ধরা এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য।  

শব্দদূষণ একটি নীরব ঘাতক। ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কে নির্ধারিত গ্রণহযোগ্য মাত্রার চেয়ে প্রায় দুই থেকে তিনগুণ বেশি শব্দদূষণ হচ্ছে। শুধু ঢাকা শহর নয় বিভাগীয়, জেলা এমনকি উপজেলা শহরেও নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে শব্দের দূষণ হচ্ছে।

শব্দদূষণের প্রধান উৎস যানবাহনের হর্ন। এ ছাড়া ইঞ্জিন, কলকারখানা, নির্মাণকাজ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক অনুষ্ঠানও শব্দদূষণের বড় উৎস। শব্দদূষণের প্রভাব ব্যাপক।

শব্দদূষণের কারণে শ্রবণশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা, ঘুমের ব্যাঘাত, মানসিক অবসাদসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত, শিশুরা বিশেষভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে কারণ তাদের উপর শব্দদূষণের প্রভাব স্থায়ী হতে পারে। গর্ভবতী নারীরা অতিরিক্ত শব্দদূষণের শিকার হলে সন্তানদের বধির হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়।

১৯৯৭ সালের পরিবেশ ও বন সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সরকার নির্ধারিত কিছু প্রতিষ্ঠান থেকে ১০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত নীরব এলাকা। স্থান এবং এর গুরুত্বের বিবেচনায় রেখে দিন ও রাত্রির ভেদে নীরব, আবাসিক, বাণিজ্যিক, মিশ্র ও শিল্প এলাকার শব্দের সহনীয় মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

শব্দদূষণের বিরুদ্ধে আইন ও শাস্তির বিধান আছে-এটা যানবাহনের অনেক চালকও জানেন না। আর জানলেও বেশিরভাগ চালক মানেন না।

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগের বিকল্প নেই। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে সচেতনতা বাড়বে- এতে কোনো সন্দেহ নেই। চালক ও সাধারণ মানুষকে আইনটা জানাতে হবে। । তাহলে সাধারণ মানুষ সচেতন হয়ে প্রতিকার চাইতে পারবে। ভুক্তভোগীকে আইনের প্রতিকার চাওয়ার পথটা তৈরি করে দিতে হবে। অনেকে হয়রানির ভয়ে প্রতিকার চাইতে ভয় পায়।

তবে ঢাকা শহরে শব্দদূষণের আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিধিমালায় সীমাবদ্ধতা থাকলে সেটাও দূর করতে হবে। রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহর কিংবা ঢাকার সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের জন্য এক আইন, জেলা ও উপজেলা শহরের জন্য কিছুটা ভিন্নতা রেখে যথাযথ ও বাস্তসম্মত আইনের কথা ভাবা যেতে পারে।

  কলি

 

 

কফি পানের ভালো-মন্দ

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
কফি পানের ভালো-মন্দ

সারা বিশ্বেই কফি অন্যতম জনপ্রিয় পানীয়। কফি প্রেমী এমন অনেকেই আছেন যাদের দিনে অন্তত ৭ থেকে ৮ কাপ কফি না হলে চলেই না। কফি পানের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। আবার অতিরিক্ত কফি পানের অভ্যাস হতে পারে ক্ষতির কারণ। কফির ভালো ও মন্দ দিক জেনে নিন আজকের লেখায়।

কফি পানের ভালো দিক

• কফিতে থাকা প্রাকৃতিক উত্তেজক উপাদান ক্যাফেইন এর কথা আমরা সবাই জানি। মন সতেজ করতে ও মস্তিষ্কে তাৎক্ষণিক উদ্দীপনা, মনোযোগ বৃদ্ধি করতে এই ক্যাফেইন বেশ কার্যকরী। তাই দীর্ঘক্ষণ কাজের আগে এক কাপ কফি পান করার চিন্তা মন্দ নয়।

• কফি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পানীয়। তাই নিয়মিত কফি পান কোষের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।সেই সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও বার্ধক্য কমাতে সাহায্য করে।

• গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কফি পান করলে টাইপ ২ ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমে। এছাড়া মস্তিষ্কের রোগ পারকিনসন, আলঝাইমার প্রতিরোধেও কফি কার্যকরী।

• ক্যান্সার প্রতিরোধেও কফি উপকারি বন্ধু। বিশেষত যারা নিয়মিত কফি পান করেন তাদের স্তন, প্রোস্টেট ও কোলন ক্যান্সার এর ঝুঁকি অনেকটাই কম।

• দুধ, চিনি মুক্ত ব্ল্যাক কফি ক্যালরি মুক্ত পানীয়। ব্ল্যাক কফি পান করলে অনেক্ষণ ক্ষুধামুক্ত থাকা যায় ও শরীরে শক্তি অনুভব করা যায়। যারা ডায়েট করেন তাদের জন্য ওজন কমাতে এটি আদর্শ পানীয়।

• কফিতে রয়েছে ক্লোরোজেনিক এসিড নামক উপাদান। এটি শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে এবং লিভার সুস্থ রাখে।

যেভাবে ক্ষতির কারণ

• আমাদের শরীর প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করতে সক্ষম। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এর বেশি কফি পান করলে অর্থাৎ অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ করলে হতে পারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। সবচেয়ে ভালো একদিনে ২ কাপের বেশি কফি পান না করা।

• কফিতে থাকা ক্যাফেইন মস্তিষ্কে উদ্দীপনা তৈরি করে ঘুম নষ্ট করে দিতে পারে। রাতে কফি পান করলে সাধারণত ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। যারা অনিদ্রা সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কফি আরও ক্ষতিকর।

• যারা নিয়মিত কফি পান করেন তাদের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় ক্ষয় রোগ অন্যদের তুলনায় বেশি থাকে। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণ আমাদের হাড়কে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

• গর্ভবতী নারীদের জন্য কফি পান ঝুঁকিপূর্ণ। এসময় কফি পানের অভ্যাস থাকলে কম ওজনের শিশু জন্মগ্রহণ এমনকি গর্ভপাতের সম্ভাবনাও থাকে।

 

আজ বিশ্ব বাবল টি দিবস

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
আজ বিশ্ব বাবল টি দিবস
ছবি: সংগৃহীত

পানীয়র তালিকায় চা, কফি, কোল্ড ড্রিংকের পাশাপাশি বাবল টিও বেশ জনপ্রিয়। এটি বোবা টি বা ব্ল্যাক পার্ল টি নামেও পরিচিত। আশির দশক থেকেই চা ঘরানার এই পানীয় পূর্ব এশিয়া ও আমেরিকার তরুণ সম্প্রদায়ের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় এই পানীয়ের যাত্রা শুরু হয়েছিল তাইওয়ানে। তাইওয়ানে ‘রিফ্রেশমেন্ট ড্রিংক’ হিসেবে বাবল টি-এর জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। ৩০ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হয় আন্তর্জাতিক বাবল টি দিবস, যা জনপ্রিয় ‘বাবল টি’। ২০১৮ সাল থেকে দিবসটি পালিত হচ্ছে। 

বাবল টি প্রস্তুত করার সময় ঝাঁকানো হয়, তখন প্রচুর বুদবুদ দেখা যায়। এই কারণে বাবল টি নাম দেওয়া হয়েছে। আরেকটা কারণ হচ্ছে ‘ট্যাপিওকা।’ স্বচ্ছ গ্লাসে একটি মোটা স্ট্র দিয়ে পরিবেশন করা হয় বাবল টি। এই স্ট্র দিয়ে সহজেই বাবলের মতো ট্যাপিওকা টেনে মুখে পুরে নিতে হয়। বাবল টির ইতিহাস খুব বেশি প্রাচীন নয়। ১৯৮৬ সালে টু সং নামের একজন তাইওয়ানীয় শিল্পী এবং উদ্যোক্তা রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি, প্রায় ৪০ লাখ তাইওয়ানিজ ডলার লোকসান হয় তার। এই অবস্থায় তিনি চায়ের দোকান দেওয়ার চিন্তা করেন। তবে গতানুগতিক দোকান না দিয়ে ভিন্ন কিছু করার কথা ভাবেন তিনি। চায়ের সঙ্গে যোগ করে বসেন ট্যাপিওকা পার্ল, যা এক ধরনের সাগুদানা জাতীয় খাদ্য আর বরফ। সেই যে শুরু, তাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

এই চায়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো ট্যাপিওকা পার্লগুলো চিবিয়ে খাওয়া। পরে তিনি বিশেষভাবে মোটা স্ট্র তৈরির ব্যবস্থা করেন। প্রথম বাবল টি প্রস্তুতকারী রেস্তোরাঁর যাত্রা শুরু ১৯৮৬ সালের অক্টোবরে। ‘হানলিন’ নামে ওই রেস্তোরাঁয় চায়ের এমন চমৎকার স্বাদের কথা দ্রুতই ছড়িয়ে পড়তে থাকে শহরজুড়ে। এরপর তাইওয়ানের অন্য শহরগুলোতে অসংখ্য বাবল টি শপ গড়ে ওঠে। প্রথম দিকে অভিজাত রেস্তোরাঁয় থাকলেও একসময় একেবারে সাধারণ স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোতেও বাবল টি জায়গা করে নেয়। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে রাতের বেলা বাবল টির দ্বারস্থ হন তাইওয়ানবাসী।

বর্তমানে বাবল টির জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে। সারা বিশ্বে হানলিনের প্রায় ৮০টি শাখা গড়ে উঠেছে। পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে এই পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। দিনে দিনে এই চমৎকার স্বাদের পানীয়ের চাহিদা বাড়ছে।বাংলাদেশেও বাবল টি-এর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে দারুণ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন শহরে অসংখ্য বোবা টি ক্যাফে ও দোকান গড়ে উঠেছে। ৩০০-৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় বিভিন্ন সাইজ ও ফ্লেভারের বোবা ড্রিংকস।

বাবল টি তৈরির পদ্ধতি আলাদা। এখানে শুরুতেই দুধে চা পাতা দিয়ে পাত্র চুলোয় চড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর চা হয়ে গেলে সেটিতে সাগু দানাজাতীয় খাবার ‘ট্যাপিওকা’ যোগ করা হয়। তবে চুলায় দুধ এবং চা পাতা চড়িয়ে দেওয়ার আগেই সাগু দানাগুলো পানিতে সেদ্ধ করে নিয়ে ঠাণ্ডা করা হয়। এরপর চিনির সিরায় প্রায় আধা ঘণ্টার মতো ডুবিয়ে রাখা হয় সেগুলো। সাধারণত দুধে আগে থেকেই চিনি দেওয়া থাকে। এরপর কিছু বরফের টুকরো ঢেলে দেওয়া হয়। তবে এটা হচ্ছে সাধারণ বাবল টি তৈরির পদ্ধতি। প্রায় সময়ই দুধের সঙ্গে বিভিন্ন ফলের রস বা ‘ফ্লেভার’ যুক্ত করে স্বাদ বাড়ানো হয়।

  কলি 

পরিবেশ রক্ষায় গ্রামীণ ডানোনের অভিনব উদ্যোগ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
পরিবেশ রক্ষায় গ্রামীণ ডানোনের অভিনব উদ্যোগ
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে জটিল সমস্যার একটি প্লাস্টিক বর্জ্য। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ব্যবহারের পর প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ প্লাস্টিকসামগ্রী মানুষ ফেলে দেয়। এসব বর্জ্যের বেশিরভাগই নদী, সমুদ্র বা জমিতে চলে যায়। এই প্লাস্টিক কখনোই হারায় না অর্থাৎ মাটির সঙ্গে মেশে না। এটি শত শত বছর পরিবেশে থেকে যায়, প্রকৃতির বিরূপ পরিবর্তন ঘটায় এবং পশুপাখির ক্ষতি করে। এই সমস্যা সমাধানের একটা উপায় রিসাইক্লিং বা প্লাস্টিককে পুনঃব্যবহার উপযোগী করে তোলা। এর মাধ্যমে ব্যবহৃত প্লাস্টিক সংগ্রহের পর নতুন পণ্যে রূপান্তরিত হয়।

পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে গভীরভাবে সচেতন গ্রামীণ ডানোন ফুডস লিমিটেড। তারা শক্তি দইয়ের প্লাস্টিক কাপগুলো  সংগ্রহ করে পুনঃব্যবহার উপযোগী চামচ বানাবেন।

প্রাথমিকভাবে এটি একটি ছোট প্রয়াস। কিন্তু সবুজ ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কাপগুলো বর্জ্য হিসেবে ফেলে না দিয়ে গ্রামীণ ডানোন তাদের নতুন রূপ দিচ্ছে। এই প্রক্রিয়াটি সহজ এবং কার্যকর। এর মাধ্যমে প্রথমে ব্যবহৃত কাপগুলো সংগ্রহ করা হয় এবং রিসাইক্লিং সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে প্লাস্টিকগুলো পরিষ্কার করা হয় এবং গলিয়ে নতুন করে চামচ বানানো হয়। এই চামচগুলো পুনঃব্যবহার করা যায় যা নতুন প্লাস্টিক উৎপাদনের প্রয়োজন কমিয়ে দেয়।

গ্রামীণ ডানোনের এই উদ্যোগ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)-১২ সমর্থন করে যেটি পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদনের কথা বলে, যা পরিবেশ সংরক্ষণে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে। ব্যবহৃত প্লাস্টিককে দরকারি পণ্যে রূপান্তরিত করার মাধ্যমে গ্রামীণ ডানোন এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা শুধু বর্জ্য এবং পরিবেশ দূষণই কমায় না, বরং অন্যান্য ব্যবসাগুলো ও ব্যক্তিদের ইকো-ফ্রেন্ডলি সিদ্ধান্ত নিতে অনুপ্রেরণা জোগায়। গ্রামীণ ডানোন প্রমাণ করছে ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর পাশাপাশি পরিবেশের যত্ন নেওয়া সম্ভব।

আর এমন প্রচেষ্টার মাধ্যমে গ্রামীণ ডানোন কেবল প্লাস্টিক বর্জ্য কমাচ্ছে না, বরং অন্য কোম্পানিগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্তও স্থাপন করছে। প্রতিষ্ঠানটি প্রমাণ করছে, পরিবেশ রক্ষায় এমন উদ্যোগ ব্যবসার প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত করে না। বরং এটি মানুষকে আরও সচেতন করে কীভাবে রিসাইক্লিং আমাদের পৃথিবীকে পরিষ্কার ও নিরাপদ রাখতে সাহায্য করতে পারে।

বাংলাদেশে প্লাস্টিক দূষণ একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যা। দেশে প্রতিবছর ৮ লক্ষ টনের বেশি প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়, কিন্তু এর সামান্যই পুনঃব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয়। এখনো অনেক মানুষ জানে না প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে কি করতে হবে এবং সব বর্জ্য রিসাইক্লিংয়ের জন্য যথেষ্ট প্ল্যাটফর্মও নেই। সরকার এবং বিভিন্ন সংস্থাগুলো এই পরিস্থিতি উন্নত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু যেকোনো পরিবর্তন আনতে সময় লাগে।

ঠিক এ কারণেই গ্রামীণ ডানোনের এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রমাণ করে শুধু একটি প্রতিষ্ঠান হয়েও পার্থক্য তৈরি করা যায়। এভাবে  অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোও যদি তাদের অনুসরণ করে তাহলে বাংলাদেশ আরও টেকসই হয়ে উঠত। গ্রামীণ ডানোন প্লাস্টিক বর্জ্যকে শুধু একটি সমস্যা হিসেবে দেখে না বরং সৃজনশীল সমাধানের সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করেছে, যা বাকিদের বর্জ্য ও সবুজ উন্নয়ন সম্পর্কে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করছে। একটি কাপ, একটি চামচ পুনঃব্যবহার উপযোগী করে প্রতিষ্ঠানটি প্রমাণ করেছে ছোট ছোট প্রয়াস বড় আকারের পরিবর্তন আনতে পারে।

 কলি

কাঁচা আমের তিন পদ

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
কাঁচা আমের তিন পদ
ছবি:আলভী রহমান শোভন

বাজারে এখন কাঁচা আমে সয়লাব। ভিটামিন সি, কে, এ, বি ৬, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামসহ বহুবিধ পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা আম। চিরচেনা কাঁচা আমের তিন রেসিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের কুকিংয়ের ট্রেইনার এবং অ্যাসেসর শেফ আলভী রহমান শোভন।
 

গ্রিন ম্যাঙ্গো সালসা

উপকরণ
কাঁচা আম কিউব করে কাটা ২৫০ গ্রাম, টমেটো কিউব ৫০ গ্রাম, গাজর কিউব ২৫ গ্রাম, রেড ক্যাবেজ কুচি ১৫ গ্রাম, ভিনেগার ১০ মিলি, অলিভ অয়েল ৫ মিলি, লেবুর রস ৫ মিলি, মধু ২ মিলি, গোলমরিচ গুঁড়া ২ গ্রাম, পিংক সল্ট ১ চিমটি। 

প্রণালি
প্রথমে একটি বাটিতে ভিনেগার, অলিভ অয়েল, লেবুর রস, মধু, গোলমরিচ গুঁড়া এবং পিংক সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি বাটিতে কাঁচা আমসহ সব সবজি নিন। সালসা ড্রেসিং এতে ঢেলে ভালোভাবে মেশান। ডিশে ঢেলে পরিবেশন করুন।

ম্যাঙ্গো পান্না শটস 

উপকরণ
কাঁচা আম ২৫০ গ্রাম, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, বিট লবণ ২ চা চামচ, চিনি ৫০ গ্রাম, জিরা গুঁড়া ২ চা চামচ, পাপরিকা পাউডার ১ চা চামচ, লেবুর রস ৪ চা চামচ। 

প্রণালি
আস্ত কাঁচা আম সেদ্ধ করে খোসা এবং বিচি ছাড়িয়ে চটকে নিন। একটি জারে চটকে নেওয়া আমের সঙ্গে একে একে গোলমরিচ গুঁড়া, বিট লবণ, চিনি, জিরা গুঁড়া এবং লেবুর রস মেশান। প্রয়োজনীয় ঠাণ্ডা পানি যুক্ত করুন। শটস গ্লাসের উপরের অংশে লেবুর রস দিয়ে তাতে পাপরিকা পাউডার গড়িয়ে সাজান। বানিয়ে রাখা আম পান্না ঢালুন। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।

আমের সনাতনী আচার 

উপকরণ
কাঁচা আম ৫০০ গ্রাম, পাঁচফোড়ন ৩০ গ্রাম, তেজপাতা ২-৩টি, শুকনো মরিচ ৫-৬টি, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সিরকা ১০০ মিলি, সরিষার তেল ১ লিটার। 

প্রণালি
কাঁচা আম ধুয়ে খোসাসহ ফালি করে কেটে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে কড়া রোদে একদিন রাখুন। একটি শুকনো প্যানে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা এবং শুকনো মরিচ একসঙ্গে টেলে হালকা ঠাণ্ডা করে গুঁড়া করে নিন। রোদে শুকানো আমের সঙ্গে মসলার গুঁড়া মেশান। প্যানে সরিষার তেল গরম করে নিন। কিছুটা ঠাণ্ডা হলে মসলা মাখানো শুকনো আম দিন। সিরকা যুক্ত করুন। কাঁচের জারে ঢালুন। ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে বন্ধ করে কড়া রোদে কমপক্ষে পাঁচ দিন রাখুন।

 কলি