দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হতে যাচ্ছে অদ্রি পরিচালিত বাংলা প্রমিত উচ্চারণে রিপোর্টিং, সংবাদপাঠ, উপস্থাপনা, আবৃত্তি ও বক্তৃতা বিষয়ে ৪৭তম প্রশিক্ষণ কর্মশালা। সাথে রয়েছে উচ্চারণ জড়তা দুর করা, তোতলামি ও আঞ্চলিকতা কাটাতে বিশেষ থেরাপি। একই সময়ে শুরু হচ্ছে শিশুদের প্রতি শুক্র/শনিবারের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
বাজারে এখন কাঁচা আমে সয়লাব। ভিটামিন সি, কে, এ, বি ৬, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামসহ বহুবিধ পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা আম। চিরচেনা কাঁচা আমের তিন রেসিপি দিয়েছেন বাংলাদেশ টেকনিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের কুকিংয়ের ট্রেইনার এবং অ্যাসেসর শেফ আলভী রহমান শোভন।
গ্রিন ম্যাঙ্গো সালসা
উপকরণ কাঁচা আম কিউব করে কাটা ২৫০ গ্রাম, টমেটো কিউব ৫০ গ্রাম, গাজর কিউব ২৫ গ্রাম, রেড ক্যাবেজ কুচি ১৫ গ্রাম, ভিনেগার ১০ মিলি, অলিভ অয়েল ৫ মিলি, লেবুর রস ৫ মিলি, মধু ২ মিলি, গোলমরিচ গুঁড়া ২ গ্রাম, পিংক সল্ট ১ চিমটি।
প্রণালি প্রথমে একটি বাটিতে ভিনেগার, অলিভ অয়েল, লেবুর রস, মধু, গোলমরিচ গুঁড়া এবং পিংক সল্ট একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। অন্য একটি বাটিতে কাঁচা আমসহ সব সবজি নিন। সালসা ড্রেসিং এতে ঢেলে ভালোভাবে মেশান। ডিশে ঢেলে পরিবেশন করুন।
ম্যাঙ্গো পান্না শটস
উপকরণ কাঁচা আম ২৫০ গ্রাম, গোলমরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, বিট লবণ ২ চা চামচ, চিনি ৫০ গ্রাম, জিরা গুঁড়া ২ চা চামচ, পাপরিকা পাউডার ১ চা চামচ, লেবুর রস ৪ চা চামচ।
প্রণালি আস্ত কাঁচা আম সেদ্ধ করে খোসা এবং বিচি ছাড়িয়ে চটকে নিন। একটি জারে চটকে নেওয়া আমের সঙ্গে একে একে গোলমরিচ গুঁড়া, বিট লবণ, চিনি, জিরা গুঁড়া এবং লেবুর রস মেশান। প্রয়োজনীয় ঠাণ্ডা পানি যুক্ত করুন। শটস গ্লাসের উপরের অংশে লেবুর রস দিয়ে তাতে পাপরিকা পাউডার গড়িয়ে সাজান। বানিয়ে রাখা আম পান্না ঢালুন। ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা পরিবেশন করুন।
আমের সনাতনী আচার
উপকরণ কাঁচা আম ৫০০ গ্রাম, পাঁচফোড়ন ৩০ গ্রাম, তেজপাতা ২-৩টি, শুকনো মরিচ ৫-৬টি, হলুদ গুঁড়া ১ চা চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, লবণ স্বাদমতো, সিরকা ১০০ মিলি, সরিষার তেল ১ লিটার।
প্রণালি কাঁচা আম ধুয়ে খোসাসহ ফালি করে কেটে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে কড়া রোদে একদিন রাখুন। একটি শুকনো প্যানে পাঁচফোড়ন, তেজপাতা এবং শুকনো মরিচ একসঙ্গে টেলে হালকা ঠাণ্ডা করে গুঁড়া করে নিন। রোদে শুকানো আমের সঙ্গে মসলার গুঁড়া মেশান। প্যানে সরিষার তেল গরম করে নিন। কিছুটা ঠাণ্ডা হলে মসলা মাখানো শুকনো আম দিন। সিরকা যুক্ত করুন। কাঁচের জারে ঢালুন। ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে বন্ধ করে কড়া রোদে কমপক্ষে পাঁচ দিন রাখুন।
গরমে ঘরে স্নিগ্ধ আমেজ ও পরিপাটি ভাব আনতে ঘরের দেয়ালের রং বড় ভূমিকা রাখে। অন্দরকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলতে ঘরের আকার, ধরন অনুযায়ী দেয়ালের রং করতে হবে। দেয়ালের রং যত হালকা হবে, ঘর তত প্রশস্ত দেখাবে। মন এবং ঘর শীতল রাখতে ঘরের দেয়ালের সাজও পরিবর্তন করে নিতে পারেন। সাদা, অফহোয়াইট, হালকা নীলের মতো উজ্জ্বল রং ঘরে স্নিগ্ধ আমেজ দেবে।
বসার ঘর বসার ঘরে পরিবারের সবার সঙ্গে বেশি সময় কাটানো হয়। তাই বসার ঘরে রুচিশীল রঙে রাঙানো জরুরি। বসার ঘরে সূর্যের আলো কম থাকলে কোনোভাবেই দেয়ালে গাঢ় রং করা যাবে না। এতে ঘর আরও অন্ধকার দেখাবে। এই ঘরের দেয়ালের জন্য সমুদ্রের নীলের মতো উজ্জ্বল, প্রাণবন্ত রং বেছে নিতে পারেন। এ ছাড়া গোলাপি, ওশান গ্রিন, ফ্রেঞ্চ ধূসর, বেগুনি, লেমন ইয়েলোর মতো উজ্জ্বল ও উষ্ণ রং ব্যবহার করলে ঘরে আনন্দময় পরিবেশের সৃষ্টি হবে। চাইলে ঘরের ছাদে ধূসর কিংবা সাদা রং ব্যবহার করতে পারেন।
খাবার ঘর খাবার ঘরের রং হবে উষ্ণ, তবে হালকা। হলুদ বা কমলার হালকা শেডগুলো এখানে ভালো মানাবে। খাবার ঘরের যেকোনো উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার সুন্দর অনুষঙ্গ হিসেবে কাজ করে। চাইলে ঘরের দেয়ালের রং নীলও রাখতে পারেন। যদি একটি দেয়াল কমলা, সানসেট অরেঞ্জ, ম্যাট রেড দিয়ে সাজাতে চান, তবে অন্য দেয়ালে নিউট্রাল শেড করিয়ে নিতে পারেন। এতে ঘরের স্যাঁতসেঁতে এবং মনমরা ভাব দূর হবে।
শোবার ঘর শোবার যেহেতু আরাম করার ঘর, তাই শান্তি ও স্নিগ্ধ আমেজ আনে এমন রং বেছে নেওয়া উচিত। ক্রিম রঙ হালকা শেডগুলো প্রশান্তি এনে দেয়। এ ছাড়া হালকা সবুজ, নীল এবং ল্যাভেন্ডার রং মনে আনে শান্তি আর স্বস্তি। তাই প্রশান্তির জন্য এই রংগুলো ব্যবহার করতে পারেন। শোবার ঘরের বেডশিট ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। লিনেন বা সুতির বেডশিট ব্যবহার করলে ভালো। সিল্ক বা যেকোনো মোটা ফেব্রিকের বেডশিট ব্যবহার আরাম নষ্ট করবে। রঙের ক্ষেত্রেও হালকা রং বেছে নিতে হবে। ঘরে লাগাতে পারেন দেয়ালের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে লম্বা পর্দা। দেখতে মন্দ লাগবে না। জানালার অর্ধেক অংশ জুড়ে নেটের পর্দা লাগাতে পারেন। এতে ঘর আলোকিত হবে।
শিশুর ঘরের রং শিশুর ঘরের দেয়ালের রং হালকা হলেও আসবাব এবং অন্দরসজ্জার অন্যান্য অনুষঙ্গ রঙিন হতে হবে। শিশুদের ঘরে রং করার আগে তার সঙ্গে কথা বলে পছন্দ বুঝে নেওয়া যেতে পারে। চাইলে সাদা, ক্রিম বা হালকা কোনো শেড বেছে নেওয়া যেতে পারে। ঘর আকর্ষণীয় করতে দেয়ালের রঙের সঙ্গে কার্টুন, স্টিকার, মাছ, গাছ ও চাঁদ-তারা দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। অরণ্য কিংবা সৌরজগতের মতো ‘থিম’ও ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া শিশুর পছন্দের কোনো চরিত্র থাকলে সেটা আঁকিয়ে নিতে পারেন।
রান্নাঘর রান্নাঘরে চুলা জ্বালানোর কারণে সবচেয়ে বেশি গরম হয়। তাই সাদা বা অফহোয়াইট রঙের বিকল্প নেই। এই রঙের দেয়ালে আলো প্রতিফলিত হয়ে ঘর বেশি আলোকিত হয়। আর সাদা ও অফহোয়াইট রং তাপ শোষণ করে ঘর ঠাণ্ডা রাখে। রান্নাঘরে গাঢ় রঙের ব্যবহার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো হবে।
আলোর সঙ্গে মিলিয়ে রং আলোর সঙ্গে মিলিয়ে রং বাছাই করলে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়। ঘরে আলো-বাতাস ঘরে প্রবেশ করে, তাহলে হালকা রং বেছে নেওয়া যেতে পারে। ঘরে যদি খুব বেশি দিনের আলো ঢুকতে না পারে, সে ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা উচিত। মূলত প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেয়ালের রং বাছাই করতে পারেন। চাইলে হলুদ লাইট বা সাদা লাইটের ব্যবহার দিয়েও রং নির্ধারণ করতে পারেন।
অনুষঙ্গ কুশন কভার, টেবিল ক্লথ, বিছানার চাদর, পর্দার রং বদলাতে পারেন। তাতে অন্দরে আসবে ভিন্ন রূপ। উৎসব-আয়োজনে এভাবেই সৃষ্টি হতে পারে বৈচিত্র্য। ঘরের রঙের সঙ্গে সঙ্গে মিল রেখে কুশন বেছে নিতে পারেন। বিভিন্ন হাতের ও স্ক্রিন প্রিন্টের কাজ করা কুশনও দেখতে ভালো লাগবে।
গরম অনেকে কাঁচা আম খেতে পছন্দ করেন। কাঁচা আমে শরবত পান করেন। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন তরকারি ও ডালে আম মিশিয়ে খাওয়া হয়। কিন্তু কাঁচা আম শুধু স্বাদেই ভালো নয়, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অবদান রাখে।
পুষ্টিগুণ কাঁচা আমে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, মিনারেল, ডায়েটারি ফাইবার এবং ক্যারোটিনয়েড। এ ছাড়া পটাসিয়াম, ফোলেট, ফোলেট ও ফাইবারের বড় উৎস।
উপকারিতা • কাঁচা আম পটাশিয়াম শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখতে কাজ করে। যার ফলে হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করে। ঘাম কম হয়। ক্লান্তিও কমে আসে। শরীরের সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে দারুণ কার্যকরী। • কাঁচা আম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে। কাঁচা আমে ক্যালরি কম, তাই এগুলো বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে।
• ওজন কমাতে বা শরীরের বাড়তি ক্যালরি খরচ করাতে কাঁচা আমের জুড়ি নেই। পাকা মিষ্টি আমের চেয়ে কাঁচা আমে চিনি কম থাকে বলে এটি ক্যালরি খরচে সহায়তা করে।
• কাঁচা আম ঘামাচি থেকে বাঁচতে সাহায্য করে। তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে।
• কাঁচা আম ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী। এর ভিটামিন এ এবং সি-এর মতো পুষ্টি উপাদান চুল ও ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
• কাঁচা আমে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন উপাদান চোখের রেটিনার জন্য খুবই উপকারী।
• কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যা দূর করে। নিশ্বাসের দুর্গন্ধ ও দাঁতের ক্ষয় রোধেও সহায়তা করে।
• কাঁচা আমে পাচক এনজাইম রয়েছ, যা অ্যামাইলেস নামে পরিচিত, এটি বড় খাদ্যের অণুগুলোকে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। এ ছাড়া জটিল কার্বোহাইড্রেটকে চিনিতে ভেঙে দিয়ে হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে।
• কাঁচা আমে পানি ও ফাইবার থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়ার মতো রোগকে দূর করে।
• কাঁচা আম হার্ট সুস্থ রাখে। ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম উপাদান রক্তপ্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি হার্টও সুস্থ রাখে। ভিটামিন ও খনিজগুলো রক্তনালি রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ ছাড়া প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গিফেরিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে, যা আমাদের হার্টের জন্য খুবই উপকারী।
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অনেকে অতিথি আপ্যায়নে শখের বশে ঘরে নান্দনিক মাটির বাসন-কোসন ব্যবহার করেন। এতে খাবারের টেবিলে প্রতিদিনের চেনা পরিবেশে ভিন্নমাত্রা যোগ হয়। বর্তমানে মাটি দিয়ে প্লেট, বাটি, কাপ, হাঁড়ি, কড়াই, চামচ, গ্লাস, জগ প্রতিদিনের ব্যবহৃত প্রায় সব ধরনের বাসনই তৈরি করছেন মৃৎশিল্পীরা। এ ছাড়া মাটির পাত্রে খাবার রান্না, খাওয়া ও সংরক্ষণের উপকারিতা রয়েছে। তাই দিনে দিনে এর ব্যবহার বেড়ে চলছে, বিশেষ করে গরমে।
মাটির পাত্র শতভাগ প্রাকৃতিক এবং বিষমুক্ত
মাটির পাত্রের উপকারিতা গরমে মাটির পাত্রে রান্না করা হলে খাবারের আসল স্বাদ ধরে রাখে, ফলে খাবার হয়ে উঠে সুস্বাদু। মাটির পাত্র শতভাগ প্রাকৃতিক এবং বিষমুক্ত। স্টিলের পাত্র তৈরিতে আয়রন, নিকেল, ক্রোমিয়াম, কার্বন ইত্যাদির মিশ্রণ ব্যবহৃত হয়, এই উপাদানগুলো কিডনি রোগ, লো প্রেশার, পেশি কম্পন, ক্যানসার ও ত্বকের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মেটাল, সিরামিক পাত্র বা কড়াইতে রান্না করলে বা খাবার রাখলে ক্রোমিয়াম, নিকেল, টাইটেনিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যাডমিয়াম অথবা রাসায়নিক ও সিসার মতো ধাতু খাবারে মিশে যায়। আর প্লাস্টিকের ব্যবহারে মাটি ও পরিবেশ দূষণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। মাটির পাত্র তাপে নিষ্ক্রিয় থাকায় খাবারের খনিজ ও পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে। মাটিতে অ্যালকালাইন গোত্রের হওয়ার কারণে মাটির পাত্রে রান্না করলে খাবারে আয়রন, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। খাবারের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন থাকে এবং স্বাদ ভালো থাকে। খুব কম তেল লাগে বলে, স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
মাটির পাত্রের চাহিদা অন্যান্য আসবাবের চেয়ে দামে কম, দেখতেও সুন্দর হওয়ায় এমন বাসনের চাহিদা বাড়ছে। স্বল্প খরচ, নান্দনিক এবং বাহারি নকশার কারণে ঘর সাজাতে মাটির তৈরি এসব বাসনের জুড়ি নেই। অন্য সবার চেয়ে একটু ভিন্নতা আনতেও কাজে দেয় মাটির বাসন। খাবার টেবিলে নান্দনিকতার ছোঁয়া রাখতে এ ধরনের পণ্যের ব্যবহার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মাটির পাত্র দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার সংরক্ষণের জন্য খুবই নিরাপদ। মাটির একটি শীতল প্রভাব রয়েছে এবং এটি দুধকে টক হতে বাধা দেয়। এ ছাড়া যখন মাখন এবং দইয়ের মতো খাবার মাটির পাত্রে রাখা হয়, তখন এটি একটি সুগন্ধ দেয়, যা তাদের সম্পূর্ণ তাজা করে তোলে। মাটির কাপে চা-কফি পান করতে পছন্দ করেন, কারণ এটি তাদের স্বাদকে অনন্য করে তোলে।গরমে মাটির পাত্রে পানি থাকে প্রাকৃতিকভাবে ঠাণ্ডা। ফলে দেহে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদানগুলো ঘাটতি হয় না।
উচ্চ তাপে মাটির পাত্র রাখলেও ভেঙে যায় না। মাটির পাত্রগুলো উচ্চতাপে পুড়িয়ে বানানো হয় বলে এটি অনেকটা তাপ প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। তা ছাড়া এটি তাপ প্রতিরোধী বলে খাবার রাখলে সেটি বেশ অনেকক্ষণ গরম থাকে তাই বারবার গরম করার কোনো সমস্যা থাকে না।
মাটির পাত্র মাইক্রোওয়েভেও ব্যবহার করা যায়। মাইক্রোওয়েভে মাটির পাত্র রাখলে উচ্চ তাপমাত্রার সংস্পর্শে এলে কোনো ক্ষতিকর গ্যাস বের হয় না, কিন্তু প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে ঘটে।
এ ছাড়া মাটির শো-পিস বা ফুলদানিসহ ঘর সাজানোর নানা উপকরণ ব্যাপক জনপ্রিয়। চাইলে সচেতনভাবেই মাটির তৈরি বাসন-কোসন বা আসবাব ব্যবহারে অভ্যস্ত হতে পারি। তাতে করে আমাদের খাবারটা স্বাস্থ্যকর তো হবেই, অর্থনৈতিকভাবেও সাশ্রয় হবে।
কোথায় পাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের উল্টো দিকে রয়েছে মাটির নানা পণ্যের দোকান। কলাবাগানের ফুটপাতে, ঢাকা কলেজের সামনের ফুটপাতে, মোহাম্মদপুর এলাকার বেশ কিছু দোকানে পাওয়া যায় মাটির তৈজসপত্র। এ ছাড়া বেশ কিছু দেশীয় ফ্যাশন হাউসে রয়েছে পোড়ামাটির সামগ্রী। এর মধ্যে যাত্রা, সানরাইজ প্লাজা, শাহবাগের আজিজ মার্কেটে আইডিয়াস কর্নারসহ বেশকিছু দোকান রয়েছে– যেগুলোয় মাটি বা কাঁসার জিনিসপত্র পাবেন।
ফটোগ্রাফিতে ব্যতিক্রমী অবদান রাখায় বর্ষসেরা ফটোগ্রাফারের পুরস্কার পেয়েছেন আখতার হামিদ খান। সম্প্রতি ঢাকার রাওয়া ক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তার হাতে এই আইকনিক অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ প্রদান করা হয়।
পুরস্কারটি তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবি টেলিভিশনের সিইও আকাশ রহমান। আর জে নীরবের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে পারফর্মিং আর্টসের বিভিন্ন শাখায় যারা পুরস্কৃত করা হন তাদের মধ্যে আছেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, ইমন, সাদিয়া জাহান প্রভা, নীরব হোসেন, সংগীত শিল্পী কনা ও অভিনেত্রী তানজিন তিশা প্রমুখ।