ঢাকা ২ শ্রাবণ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২

ঈদে ওজন নিয়ন্ত্রণের উপায়

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:৪৯ পিএম
ঈদে ওজন নিয়ন্ত্রণের উপায়
মডেল: চার্লি, ছবি: আদিব আহমেদ

কোরবানির ঈদ মানেই খাওয়া-দাওয়ার বিশাল সমারোহ। এক বা দুদিন নয় বরং এই ঈদে ৮ থেকে ১০ দিন ধরে চলে মাংস, মিষ্টান্নের হরেক পদের রান্না। যারা খেতে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই ঈদ একই সঙ্গে আনন্দ ও দুশ্চিন্তার কারণ। একদিকে খানাপিনার উৎসব। অন্যদিকে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ, ছুটি কাটিয়ে ওজন বাড়ার ভয়। তাই ঈদে ওজন নিয়ন্ত্রণে মানতে হবে কিছু বিশেষ নিয়ম।

ঈদের দিনই হোক ‘ট্রিট মিল’
বলাবাহুল্য, ঈদের দিন কিছুটা বেহিসেবি খাওয়া-দাওয়াই হবে। অনেকে এক সপ্তাহ পর্যন্ত ঈদের ভূরিভোজ করেন। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। বরং যারা ডায়েটে আছেন তারাও নিজের পেট ও মনকে পুরোপুরি গুরুত্ব দিয়েই ঈদ উদযাপন করুন। তবে ঈদের এই খানাপিনাকে ‘ট্রিট মিল’ হিসেবে গণনা করুন। অর্থাৎ শুধু ঈদের দিন উপলক্ষেই আহারে এই বিশেষ ছাড়। ঈদ-পরবর্তী দিন থেকেই ফিরে যেতে হবে সাধারণ খাবার রুটিনে।

প্রতিবেলায় মাংস নয়
ঈদের পর বেশ কিছুদিন বাড়িতে মাংসের কোনো না কোনো পদ রান্না করাই থাকে। অনেকের বাড়িতে টানা সাত থেকে আট দিন পর্যন্ত চলে মাংস খাওয়া। এর পরিবর্তে এক দুই দিন পরপর মাংস খান। প্রতিদিন খেলেও শুধু একবেলাই পাতে মাংস রাখুন। অন্যান্য বেলায় কম ক্যালরিযুক্ত হালকা খাবার খান।

তেল, চর্বি ও মসলা বাদ
আমাদের ঐতিহ্যবাহী গরু, খাসির মাংসের প্রায় সব পদেই সাধারণত প্রচুর তেল-মসলা ব্যবহার করা হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত তেল, মসলাযুক্ত খাবার। এজন্য করতে পারেন মাংসের নানা পদের এক্সপেরিমেন্ট। প্রতিবার মসলাযুক্ত মাংসের তরকারি রান্না না করে তৈরি করতে পারেন কমমসলা যুক্ত বিভিন্ন বিদেশি রেসিপি। তা ছাড়া মাংসের গায়ে লেগে থাকা চর্বিই শরীরে বেশি ফ্যাট তৈরি করে। রান্নার আগেই মাংস থেকে চর্বির অংশ কেটে ফেলে দিন। কিংবা রান্নার পর তেলের ওপর ভেসে থাকা চর্বি চামচ দিয়ে সরিয়ে ফেলুন।

মিষ্টান্ন, কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন
ঈদ মানেই মুখমিষ্টির আয়োজন। তবে খেয়াল রাখবেন এই ঈদে এমনিতেই মাংস তুলনামূলক বেশি খাওয়া হয়। এর সঙ্গে চিনিযুক্ত খাবার যোগ হলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। স্থূলতা এড়াতে ঈদের খাবার তালিকা থেকে ডিজার্ট আইটেম একেবারেই বাদ রাখুন। আবার পোলাও, মাংস খাবার খাওয়ার পর কমবেশি সবাই কোমল পানীয় পান করতে পছন্দ করেন। খাবার হজম করে এতে সাময়িক স্বস্তি মিললেও এগুলো স্বাস্থ্য ও ডায়েটের জন্য বেশ ক্ষতিকর। পরিবর্তে খাবার হজম করতে টক দই, ঘরে তৈরি সোডা ইত্যাদি পান করুন।

বেশি পানি পান করুন
ঈদে ভারী খাবার খাওয়ার আগে প্রতিবার এক থেকে দুই গ্লাস পানি পান করুন। তাহলে ক্ষুধাভাব অনেকটাই কমে যাবে। ফলে বেশি খাবার খেয়ে ফেলার সুযোগ থাকবে না। আবার মাংস জাতীয় খাবার হজম করতেও পাকস্থলীর বেশি সময় লাগে। পানি খাবার হজমে সহায়তা করে ও পাকস্থলী পরিষ্কার রাখে। 

সালাদ, ফলমূল হোক সঙ্গী
খাবার প্লেটে মাংসের পাশাপাশি নিয়মিত সালাদ ও ফলমূল রাখুন। প্লেটের অন্তত অর্ধেক সবজি, সালাদ, ফলমূল দিয়ে পূর্ণ করার চেষ্টা করুন। তাহলে খুব বেশি পরিমাণে মাংস খাওয়ার সুযোগ পাবেন না। বাড়িতে তৈরি শসা, লেবু, পেঁয়াজ দিয়ে মাখানো নিতান্তই সাধারণ সালাদও ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে। টক দই ড্রেসিং করে তৈরি করতে পারেন বাহারি বিদেশি সালাদ। এ ছাড়া লেবু, কমলা, আঙুরজাতীয় সাইট্রাস ফল শরীরে মেদ কমাতে সাহায্য করে।

হাঁটার অভ্যাস করুন
ঈদের ছুটি সাধারণত শুয়ে-বসে আত্মীয়দের বাসায় বেড়িয়ে কাটানো হয়। অন্য সময়ের চেয়ে বেশি খাওয়া-দাওয়া উপরন্তু কাজ কম করার ফলে সহজেই ওজন বেড়ে যায়। এ সময় শরীরচর্চা বা বাইরে কাজকর্ম না করা হলেও নিয়মিত ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন।

কলি

ডিসকোর্স বাই দ্য শোর-এর আর্কিটেক্টস সামিট অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩৯ পিএম
ডিসকোর্স বাই দ্য শোর-এর আর্কিটেক্টস সামিট অনুষ্ঠিত
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের প্যাঁচার দ্বীপে অবস্থিত পরিবেশবান্ধব মারমেইড বিচ রিসোর্ট-এ অনুষ্ঠিত এই দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে ৬০ এর অধিক স্থপতিঅংশগ্রহণ করেন। তাঁরা ইকো-ট্যুরিজম, জলবায়ু সহনশীল পর্যটন উন্নয়ন, এবং এই অঞ্চলের ভবিষ্যৎ তৈরিতে স্থাপত্যের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতনামা স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম এর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এই সম্মেলনে মূলত টেকসই পর্যটন এবং জলবায়ু-সহনশীল ডিজাইন নিয়ে আলোচনা করা হয়, যা বিশেষভাবে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক। সম্মেলনটি ইকো-ট্যুরিজমের গুরুত্ব এবং এর ভূমিকা তুলে ধরে, যা পরিবেশ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় সহায়তা করে। 

সম্মেলনের প্রথম দিন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম বক্তৃতায় বলেন, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক পরিবেশ, যা ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে, ধীরে ধীরে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এবং পর্যটকদের জন্য নতুন কোনও মানসম্পন্ন অভিজ্ঞতা তৈরি হচ্ছে না। তিনি ইকো-ট্যুরিজমএর গুরুত্ব তুলে ধরেন, যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি পরিবেশ এবং ঐতিহ্য রক্ষায় সাহায্য করে। 

সম্মেলনে স্থপতি এহসান খান, যিনি কক্সবাজারের মাস্টার প্ল্যান তৈরির দায়িত্বে আছেন, তাঁর পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি জানান কিভাবে কক্সবাজারের নির্মাণের সাথে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা করা যায় এবং স্থাপত্যের মাধ্যমে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করা সম্ভব।
সম্মেলনটি “ইকো-ট্যুরিজম এবং স্থাপত্য চর্চায় টেকসইতা” শীর্ষক প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে শুরু হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম, স্থপতি খন্দকার হাসিবুল কবির, স্থপতি এহসান খান, এবং অন্যান্য বিশিষ্ট স্থপতিরা।

বিকেলে সাতজন স্থপতি তাঁদের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন, তারপর একটি গাইডেড সানসেট মেডিটেশন হয়, যা প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে নকশা সচেতনতা গঠনে সহায়তা করে। দ্বিতীয় দিনে আরও দশজন স্থপতি তাঁদের কাজ উপস্থাপন করেন, এবং সম্মেলনটি শেষ হয় একটি ওপেন-ফ্লোর প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে, যা পরিচালনা করেন স্থপতি নাহাস আহমেদ খালিল, এবং স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম এর সমাপনী বক্তব্য দিয়ে।
সম্মেলনের একটি আকর্ষণীয় অংশ ছিল বাংলাদেশের বিখ্যাত স্থপতিদের আধুনিক কাজের প্রদর্শনী, যা দেশের স্থাপত্য দৃশ্যের জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। 

এ. এম. জিয়া উদ্দিন খান পাবলো, স্থপতি এবং মারমেইড বিচ রিসোর্টের এর চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা যেমন স্থপতিরা শুধু বর্তমানের জন্য নয়, বরং একটি টেকসই ভবিষ্যতের জন্য নকশা করার দায়িত্বে আছি, এই সম্মেলন একটি মুহূর্ত, যেখানে স্থাপত্যের উদ্ভাবনী চিন্তা এবং পরিবেশ সংরক্ষণ একসঙ্গে একীভূত হয়েছে।” 

আনিসুল হক চৌধুরী সোহাগ, মারমেইড বিচ রিসোর্ট এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বলেন, “আমরা খুব খুশি যে, এই সম্মেলনে আর্কিটেকচারের সকল মাস্টারমাইন্ডরা অংশগ্রহণ করেছেন এবং তাদের চিন্তাভাবনা শেয়ার করেছেন, যা কক্সবাজার এবং আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় ভূমিকা রাখবে।” 

“ডিসকোর্স বাই দ্য শোর” - আর্কিটেক্টস সামিট ২০২৫ কক্সবাজারের টেকসই উন্নয়নে স্থাপত্যের ভূমিকা পুনঃনির্মাণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, এবং ভবিষ্যতে ইকো-ট্যুরিজম এবং টেকসই স্থাপত্য বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা ও সহযোগিতার পথ খুলে দিয়েছে। 

এই সম্মেলন বাংলাদেশকে ইকো-ট্যুরিজম, টেকসই ডিজাইন, এবংজলবায়ু-সহনশীল স্থাপত্য ক্ষেত্রে বৈশ্বিক নেতৃত্বে স্থান করে দিয়েছে, যার ধারণাগুলি ভবিষ্যতের কক্সবাজার এবং অন্যান্য উন্নয়নে প্রভাব ফেলবে। এছাড়া স্থাপত্য এবং টেকসই পর্যটন উন্নয়ন ক্ষেত্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক এ সম্মেলন। 

সম্মেলনের আয়োজনে ছিলেন স্থপতি সাইকা ইকবাল মেঘনা, স্থপতিদিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া, স্থপতি সুব্রত সোভন চৌধুরী, স্থপতি রাশেদ হাসান চৌধুরী, স্থপতি খন্দকার আসিফুজ্জামান রাজন, এবং স্থপতিতাবাসসুম জারিন তিথি। 

/এমএস  

ত্বকের ক্লান্তি লুকাতে মেকআপ করবেন যেভাবে

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৫ এএম
ত্বকের ক্লান্তি লুকাতে মেকআপ করবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

অফিসে দীর্ঘ সময় কাটানো কিংবা নানা ধরনের মানসিক চাপের কারণে কমে যায় অনেকেই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে পারেন না। তখন এই ছাপ ফুটে ওঠে ত্বকে। এমন ক্লান্ত চেহারা নিয়ে বাইরে কিংবা অফিসে যাওয়া বেশ বিব্রতকর। সহজ কিছু মেকআপ কৌশলের মাধ্যমে ক্লান্ত চেহারা করতে পারেন সহজেই প্রাণবন্ত। 

•    আপনার ত্বকের সঙ্গে মেলে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার লাগান ত্বকে। ভিটামিন-ই, সিয়া বাটার এবং এই জাতীয় আরও হাইড্রেটিং উপাদানে সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ত্বক নমনীয় করবে। এটি উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার দ্রুততম উপায়।
•    চোখ হাইলাইট করতে সাদা আইলাইনার বা ন্যুড আই পেন্সিল লাগান। চোখ হাইলাইট করার পাশাপাশি তাদের আরও বড় ও সুন্দর দেখাতে এটি একটি দুর্দান্ত কৌশল।
•    আই-ক্রিম ব্যবহার করুন। চোখের নিচের বলিরেখা ও ফোলাভাব দূর করতে সাহায্য করে এই প্রসাধনী। ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন এই ক্রিম।
•    ত্বকের ব্রণের দাগ, কালচে দাগ এবং ডার্ক সার্কেল লুকাতে অত্যন্ত কার্যকরী হচ্ছে কনসিলার। ফোলা চোখ, কালো বৃত্ত এবং নিস্তেজ ত্বক অনেকাংশে ঢেকে দেবে এই প্রসাধনী।
•    চোখের ক্লান্তি ঢাকতে চোখের পাপড়ি হাইলাইট করুন। একটি নরম আইশ্যাডো দিয়ে তাদের কনট্যুর করুন এবং চোখের ভেতরের কোণে এটি ব্যবহার করুন।
•    ব্লাশ ব্যবহার করুন গালে। হালকা স্ট্রোকের সাহায্যে প্রাকৃতিক রঙে রাঙান গাল।
•    মাস্কারা লাগানোর আগে চোখের পাপড়ি কার্ল করে নিন। সতেজ দেখাবে আপনাকে।
•    ব্রাইটনিং পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। ট্রান্সলুসেন্ট বিউটি পাউডার ব্যবহার নিস্তেজ ত্বকে উজ্জ্বলতা যোগ করে। তবে অতিরিক্ত যেন না হয় সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
•    ভ্রু এঁকে নিন পেন্সিল দিয়ে। তবে প্রাকৃতিক ভাব বজায় রাখবেন। হাইলাইটার ব্যবহার করতে পারেন।
•    লিপস্টিকের রং হিসেবে উজ্জ্বল রং বেছে নিন। এতে আপনাকে দেখাবে প্রাণবন্ত। 

/আবরার জাহিন

পরিপাটি রান্নাঘর

প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৫ এএম
পরিপাটি রান্নাঘর
ছবি: সংগৃহীত

বাড়িতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রান্নাঘর। কারণ এ ঘরে যা রান্না করা হয় তার পরিচ্ছন্নতা ও ভেজালহীনতার ওপর নির্ভর করে পরিবারের সবার স্বাস্থ্য। তাই রান্নাঘরে কাজ করার সময় কিছু বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে, তাহলে রান্নাঘর থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। সুন্দর আর গোছানো রান্নাঘরের কিছু পরামর্শ জেনে নিন আজকের আয়োজনে।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সব সময় কর্মব্যস্ত থাকতে রান্নাঘরে। এত ঝামেলার মধ্যেও আপনাকে থাকতে হবে রিফ্রেশ। এ জন্য দরকার রান্নাঘরের প্ল্যানিং। রান্নাঘরের জিনিসপত্র একটু কমিয়ে ফেলুন। এখানে অনেক কিছুই থাকে যা আপনার এখন প্রয়োজন নেই। খুব দরকারি তৈজসপত্র হাতের কাছেই রাখুন। আলাদা মেন্যুর উপকরণগুলো একসঙ্গে গুছিয়ে রাখুন। ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত জিনিসপত্র কোনটা কোথায় রাখবেন আগে থেকে ঠিক করুন। 

জায়গার সঠিক ব্যবহার
রান্নার সময় সহজেই হাতের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়ার জন্য ছোটখাটো কিছু অদলবদল করে নিন নিজের সুবিধামতো। অ্যারেঞ্জমেন্ট খুবই জরুরি রান্নাঘরের রকমারি জিনিসপত্র মেইনটেন করার জন্য।

ক্যাবিনেট
ক্যাবিনেটগুলো একেকটা বাসনের মাপ অনুযায়ী একেক রকম সাইজে বানিয়ে নিন। যেমন- বোল বা প্যানগুলোর জন্য নির্দিষ্ট ক্যাবিনেটের চেয়ে আরেকটু লম্বা হবে ট্রে রাখার ক্যাবিনেট। প্রতিটি ক্যাবিনেটের দরজার ভেতরের দিকে নানা মাপের খুন্তা, হাতা, বড় চামচ ইত্যাদি ঝুলিয়ে রাখার আংটা রাখুন। জায়গাজুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু কিছু কিচেন ফার্নিচার বাতিল করে ফাঁকা ওয়ালস্পেসে কিছু হ্যাঙ্গিং ক্যাবিনেট ও শেলফ বানিয়ে নিন। এতে করে দেখতেও সুন্দর লাগবে আবার চলাফেরার জন্য স্পেস বাড়বে।

বাসনপত্র
প্রতিটি ছোটখাটো বাসনও নির্দিষ্ট ক্যাবিনেটে রাখার ব্যবস্থা করুন। প্রতিদিন ব্যবহারের যেসব বাসন, যেমন- লাঞ্চ বা ডিনারের সেট, গ্লাস ও কাপ, চায়ের কাপ-পিরিচ, ছুরি, চামচ; এগুলো খাবার ঘরের সাইড-বোর্ডে রাখার ব্যবস্থা করুন। তাহলে রান্নাঘরে অন্য জিনিস স্টোরেজের জায়গা বের হবে। বাসনপত্র ধোয়ার পর, ভালো করে মুছে তার পর তুলে রাখুন। বাসন মোছার জন্য সবসময় পেপার টাওয়েল ব্যবহার করুন। সিঙ্ক ও গ্যাসের চুলা- যদি সম্ভব হয় গ্যাসস্টোভের সামনের দেয়ালে জানালার মতো চারকোণা খোপ কেটে নিতে পারেন। আবার এ খোপের তলার অংশটি তাকের মতো ব্যবহার করে রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম রাখতে পারেন। তাহলে রান্নার সময় এ ক্যাবিনেট থেকে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বের করে হাতের কাছে নিতে পারবেন। সিঙ্কের নিচের ফাঁকা জায়গায় শেলফ বানিয়ে নিন। সেখানে বাসন ধোয়ার সাবান, স্ক্র্যাবার, বাসুন মোছার ন্যাপকিনস গুছিয়ে রাখুন।

রান্নাঘরে অবশ্যই একটি ঢাকনা দেওয়া নোংরা ফেলার বালতি রাখবেন। মেঝে কখনোই অপরিষ্কার রাখবেন না। হাতের কাছে মোছার জন্য কাপড় বা ডাস্টার রাখুন। গ্যাসের পাইপের ওপরে গরম খাবার ফেলবেন না। টুকটাক সব দাগ পরিষ্কার করার জন্য লবণ, সোডা ও ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায়, গ্যাস ওভেনের চারপাশে ছলকে পড়ে শক্ত হয়ে যায়। এটা পরিষ্কার করতে এক চামচ লবণ আর গরম পানি দিয়ে ভালো করে ঘষে নিলে দাগ ও তেলতেলে ভাব দুটিই চলে যাবে। ওভেনের ভেতর পরিষ্কার করার জন্য বেকিং সোডা ছড়িয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন। ফ্রিজের ভেতরের স্যাঁতসেঁতে গন্ধ কমানোর জন্যও বেকিং সোডা ব্যবহার করতে পারেন। চিনামাটির কাপ, প্লেট থেকে কড়া দাগ পরিষ্কার করার জন্য ভিনেগারে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তার পর স্ক্র্যাবার প্যাডে সামান্য লবণ দিয়ে ঘষুন। দেখবেন দাগ উঠে যাবে। এভাবে রান্নাঘরে আনতে পারেন ভিন্নতা।

/আবরার জাহিন

খাদ্যগুণ অ্যালোভেরা

প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৯:০৫ এএম
খাদ্যগুণ অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি ভেষজ ওষুধি গাছ। ছবি: সংগৃহীত

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী একটি ভেষজ ওষুধি গাছ। ঘৃতকুমারী বহুজীবী ভেষজ উদ্ভিদ এবং দেখতে অনেকটা আনারস গাছের মতো। এর পাতাগুলো পুরু, দুধারে করাতের মতো কাঁটা এবং ভেতরে লালার মতো পিচ্ছিল শাঁস থাকে। ঘৃত কুমারী বা অ্যালোভেরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও ত্বকের সমস্যায় বেশ কার্যকর ওষুধ। এ ছাড়া চুলের সমস্যাতেও অ্যালোভেরা খুবই কার্যকরী সমাধান। আসুন জেনে নেওয়া যাক অ্যালোভেরার কী কী স্বাস্থ্য উপকারিতা।

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খেলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। অ্যালোভেরা শ্বেত রক্তকণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া অ্যালোভেরায় প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা থেকে শরীরকে মুক্ত করে। অ্যালোভেরা বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যাও কমিয়ে দেয়।

ত্বক ভালো রাখে
বিভিন্ন প্রসাধনীর মূল উপাদান হলো অ্যালোভেরা। ত্বকের জন্য খুবই উপকারী এ ভেষজ উদ্ভিদটি। অ্যালোভেরায় আছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়া উপাদান। তাই কোথাও কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে অ্যালোভেরার রস লাগালে বেশ আরাম পাওয়া যায় এবং দ্রুত ভালো হয়ে যায়। এ ছাড়া অ্যালোভেরা ব্রন ও ব্রনের দাগ দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

হজমে সহায়তা করে
অনেকেরই হজমের সমস্যা থাকে। যা কিছুই খাক না কেন সবকিছুতেই হজমে সমস্যা হয়। হজম প্রক্রিয়া সচল রাখতে অ্যালোভেরা বেশ কার্যকর একটি ভেষজ উপাদান। অ্যালোভেরার একটি মজার বৈশিষ্ট্য হলো এটা ডায়রিয়া এবং কোষ্টকাঠিন্য দুটির জন্যই উপকারী। এ ছাড়া হজমের সমস্যার জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতেও অ্যালোভেরা ভূমিকা রাখে।

শরীরকে বিষমুক্ত করে
অ্যালোভেরা হলো জিলেটিনাস জাতীয় উদ্ভিজ খাবার। জিলেটিনাস জাতীয় উদ্ভিজ খাবারগুলো শরীরের বিষাক্ত উপাদানগুলো শুষে নেয় এবং শরীর থেকে এগুলোকে বের করে দিতে সহায়তা করে। শরীরের এসব বিষাক্ত পদার্থ মলত্যাগের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। তাই শরীরকে ক্ষতিকারক বিভিন্ন উপাদানমুক্ত রাখতে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়া উপকারী।

হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে
কিছু কিছু গবেষণায় জানা গেছে, অ্যালোভেরার রস খেলে তা রক্তের সঙ্গে মিশে রক্তে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ২০০০ সালে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয় যে, অ্যালোভেরা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমে।

/আবরার জাহিন

কতটুকু পানি পান করবেন প্রতিদিন

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
কতটুকু পানি পান করবেন প্রতিদিন
ছবি: সংগৃহীত

অনেকে মনে করেন শীতে পানি কম পান করা উচিত। এটা ঠিক নয়। প্রতিদিন ন্যূনতম ৮ গ্লাস পানি পান করতে হবে। ঠাণ্ডা পানি পান করার ক্ষেত্রে অসুবিধা মনে হলে গরম পানিতে লেবু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। শীতে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে ওঠে। তাই শীতে পানি খাওয়ার পরিমাণ উলটো আরও বাড়িয়ে দেওয়া উচিত, যেন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখা যায়। শীতকাল এলেই আমাদের পানি পান করতে ভালো লাগে না। পানি পান না করার কারণে আমরা নানা ধরনের রোগে পড়ি। যেমন- হাত ও পায়ে ব্যথা, বদহজম, মাথাব্যথাসহ নানা সমস্যা। তাই শীতের সময়ও দরকার আমাদের প্রচুর পানি পান করা। পানি পান করার উপকারিতা নিয়ে লিখেছেন আহসান রনি

কতটা পানি খাবেন তার কোনো নির্দিষ্ট মাপ নেই। কারণ আপনার স্বাস্থ্য, দৈনিক কার্যাবলির ওপর নির্ভর করে কতটা পানি আপনার উপযুক্ত। সাধারণ অবস্থায় পুরুষের দৈনিক ৩ লিটার বা ১০ থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা দরকার। প্রতি ১৫-২০ মিনিট ব্যায়াম করার পর ১ গ্লাস পানি পান করা দরকার। প্রেগনেন্সির সময় ডিহাইড্রেশনের আশঙ্কা বেশি থাকে, তাই দিনে অন্তত ২.৫ লিটার বা ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। শরীরের প্রয়োজনীয় পানির ২০ শতাংশ আসে খাবারের সঙ্গে, বাকিটা পানি পান করে পূরণ করতে হবে। 

পানি কেন পান করবেন
•    কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
•    হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে।
•    কিডনিতে স্টোন হওয়ার আশঙ্কা কমাতে।
•    ত্বক ভালো রাখতে।
•    মেটাবলিজম বাড়াতে।
•    এনার্জি লেভেল ঠিক রাখতে।
•    গিঁটে ব্যথা কমাতে।
•    শরীর থেকে টক্সিক জাতীয় পদার্থ বের করে দিতে।
•    হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

পানি না খেলে কী কী হতে পারে
•    পানির অভাবে ডিপ্রেশন বা ক্রনিক কেটিস সিনড্রম দেখা যেতে পারে।
•    শরীরে পানির অভাব মাইগ্রেনের একটা বড় কারণ।
•    শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে আমাদের মস্তিষ্কে তৈরি হওয়া এনর্জির মাত্রা বেশ কিছুটা হ্রাস পায়।
•    হজমের জন্য পানি খুবই জরুরি, তাই কোনো শক্ত খাবারের সঙ্গে বেশ খানিকটা পানি পান করা উচিত।
•    গ্যাস্ট্রাইটিস, আলসারের ব্যথা, বুকজ্বালা থেকে অনেকটা রেহাই পেতে পানি খাওয়া দরকার প্রচুর।
•    পানি আমাদের ফুসফুসকে আর্দ্র করে নিশ্বাস-প্রশ্বাসের আনাগোনা সহজ করে তোলে।
•    পানি আমাদের শরীরের গিঁটগুলোতে লুব্রিকেন্টের কাজ করে, বিশেষত যখন আমরা নড়াচড়া করি।
•    পানির সাহায্য নিয়ে কিডনি আমাদের শরীরের বর্জ্য ইউরিক অ্যাসিড, ইউরিয়া আর ল্যাস্টিক অ্যাসিড সরিয়ে দেয়। পানির অভাবে এসব বর্জ্য পদার্থ জমে জমে কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় বেশি পানি খেতে হবে
•    গর্ভাবস্থায় পানির সাহায্য নিয়েই খাদ্য এবং পুষ্টি রক্তের মধ্য দিয়ে ভ্রুণের শরীরে পৌঁছায়।
•    পানিশূন্যতার জন্য ডেলিভারির সময় কনট্র্যাকশন বেশি হতে পারে এবং লেবার পেনও তাড়াতাড়ি শুরু হয়ে যেতে পারে।
•    ইউটেরাসে অ্যামনিয়টিক ফ্লুইড সারা দিন ধরেই বদল হয়। সেজন্যই গর্ভাবস্থায় বেশি পানি পান করা দরকার।
•    বুকের দুধ তৈরি হওয়ার জন্যও প্রচুর পানি খেতে হবে।

/আবরার জাহিন