ঢাকা ২৭ আষাঢ় ১৪৩২, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
English
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২

ঈদের আগে রূপচর্চা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:১১ পিএম
ঈদের আগে রূপচর্চা
মডেল: জুঁই

ঈদুল আজহার আগে প্রচুর ব্যস্ত থাকতে হয়। কাজের চাপে চেহারায় চলে আসে ক্লান্তির ছাপ। তাই ঈদের আগেই শুরু করতে হবে ত্বকের যত্ন। অন্তত এক সপ্তাহ আগ থেকে একটু সচেতন থাকলেই ত্বক হয়ে উঠতে পারে মসৃণ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। এতে ঈদের সাজে থাকবে পূর্ণতা।

ত্বকের যত্ন 
প্রত্যেকেরই ত্বকের ধরন আলাদা হয়ে থাকে, যেমন- শুষ্ক, তৈলাক্ত, স্বাভাবিক বা মিশ্র। ত্বকের ধরন অনুযায়ী তাই পরিচর্যাও হবে ভিন্ন ধরনের। দিনের শুরুতেই সব ধরনের ত্বকের অধিকারীদের অবশ্যই মুখ ভালো করে পরিষ্কার করতে হবে। শুষ্ক ত্বক পরিষ্কারে একটি ময়েশ্চারাইজিং ফেসওয়াশ ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য জেল বেসড ফেসওয়াশ ভালো হবে। মুখ পরিষ্কার করার কিছু সময় অপেক্ষা করে মুখে ও গলায় কোনো ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে হালকা হাতে পুরো মুখে একটু ম্যাসাজ করতে পারেন। ত্বককে সতেজ রাখতে ময়েশ্চারাইজারের ভূমিকা অনেক। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারের আগে চাইলে টোনার হিসেবে গোলাপ জল তুলায় ভিজিয়ে মুখে লাগাতে পারেন।

বাইরে এখন প্রচুর রোদ থাকে। তাই বাইরে বের হওয়ার মিনিট ১৫ থেকে ২০ আগেই সানস্ক্রিন পরিমাণমতো লাগিয়ে নিন। দিনের শেষে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালো কোনো ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে পছন্দসই নাইট ক্রিম লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন।

সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন ত্বককে গভীর থেকে পরিষ্কার করার জন্য স্ক্রাবিং ভালো ফলাফল দেয়। এতে ত্বকের মরা কোষগুলো দূর হয়। বাজারে থেকে ভালো মানের কোনো স্ক্রাবার কিনে ব্যবহার করতে পারেন আবার চাইলে চালের গুঁড়া, দই ও সামান্য মধু মিশিয়ে ঘরে স্ক্রাবার তৈরি করে ত্বকে লাগাতে পারেন, এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে। পাকা কলা চটকে নিয়ে এর সঙ্গে ২ টেবিল চামচ মধু, ২ টেবিল চামচ গ্লিসারিন, একটা ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন। ১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া আপেল সামান্য সেদ্ধ করে তাতে গ্লিসারিন, লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি বেশ কার্যকরী।
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা মুলতানি মাটির সঙ্গে সামান্য গোলাপ জল ও টমেটোর রস মিশিয়ে মুখে, গলায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এত ত্বক বেশ নরম ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

পার্লারের ট্রিটমেন্ট
এক সপ্তাহ আগে পার্লারে গিয়ে স্পা, হেয়ার স্পা, হেয়ার কাট, পেডিকিউর, মেনিকিউর, ফেসিয়াল অতি প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো করে নিতে পারেন। এতে করে আপনার সময় বাঁচবে আর আপনাকে প্রাণবন্ত লাগবে। নিজেকে পরিপূর্ণ লুক দিতে চাইলে রূপবিশেষজ্ঞের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। 

চোখের যত্ন 
চোখে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা থাকলে শসা স্লাইস করে চোখের ওপর রেখে অপেক্ষা করুন ১০-১৫ মিনিট। আবার রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েল নিয়ে ম্যাসাজ করুন। এটি ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করবে।

চুলের যত্ন 
চুল নারীর সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ। গরমে চুলের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন নতুবা চুলের গোড়া ঘেমে ময়লা জমে হেয়ার ফল বেড়ে যেতে পারে। ঈদের মতো বিশেষ দিন চুল ঝলমলে সুন্দর দেখাতে চাইলে নিয়মিত যত্ন করতে হবে। সম্ভব হলে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন চুলে তেল লাগাতে হবে। নারকেল তেলের সঙ্গে আমন্ড অয়েল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন।

প্রতিদিন চুলে শ্যাম্পু করা উচিত নয় এরকম ধারণা অনেকেরই। তবে এটি ভুল ধারণা। বরং চুল ভালো রাখতে প্রতিদিন মাথার ত্বকের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত। এতে চুলের গোড়া পরিষ্কার থাকে, খুশকিও কমে যায়। সঙ্গে চুল পড়াও কমে। 

হাত-পায়ের যত্ন 
ঈদের আগে একটু সময় নিয়ে হাত-পায়ের যত্ন নিতে হবে। এতে করে ক্লান্তিও কমবে আর দেখতেও সুন্দর লাগবে। হালকা গরম পানিতে শ্যাম্পু ও লেবুর রস মিশিয়ে তাতে হাত-পা ১০ থেকে ১৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। পায়ের গোড়ালি ঘষে মরা কোষ তুলে ফেলুন। নরম ব্রাশ দিয়ে হাত-পায়ের ত্বক ঘষলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সপ্তাহে এক দিন মুলতানি মাটি ও হলুদ গুঁড়ার পেস্ট হাত-পায়ে ব্যবহার করতে পারেন।

কলি

লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড সারা’র পোশাকে ৩০ শতাংশ ছাড়

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড সারা’র পোশাকে ৩০ শতাংশ ছাড়
ছবি: সারা’র সৌজন্যে

দেশের অন্যতম লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’ তাদের প্রায় দুই লাখ পণ্যের উপর ৩০ শতাংশ মূল্য ছাড় দিচ্ছে। এই অফারে ক্রেতারা ঢাকা ও ঢাকার বাইরে মোট ১৫টি আউটলেট, ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে পণ্য কিনতে পারবেন।

সাশ্রয়ী মূল্যে পোশাক সরবরাহকারী আধুনিক এ ব্র্যান্ডটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই অফারটি চলাকালীন অন্যান্য সকল অফার বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র মূল্যহ্রাসের এই অফারে ক্রেতারা পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। এর আওতায় থাকছে মেনজ, উমেনস, বয়েজ ও গার্লস ক্যাটাগরির পণ্য। 

পুরুষদের পোশাকের মধ্যে ক্যাজুয়াল শার্ট, ডেনিম শার্ট, ফরমাল শার্ট, বোটম, পাঞ্জাবি, কটি, পলো ও টিশার্টে মিলছে অফারটি। 

উমেন্স ক্যাটাগরিতে মিলছে টুপিস, থ্রিপিস বোটম, ক্যাজুয়াল শার্ট, ক্রপ টপ, নাইট ওয়্যার, শাড়ি, ওড়না, পার্টি ওয়্যার, সিঙ্গেল পিস, টি শার্টসহ আরও কিছু পণ্য।

বয়েজ ক্যাটাগরিতে ছাড় থাকছে ক্যাজুয়াল শার্ট, ডেনিম শার্ট, জাম্পসুট, টু পিস, বোটম, কাবলি, কাতুয়া, পাঞ্জাবি ও পোলোতে। 

/এমএস  

কাজের চাপেও নিজেকে শান্ত রাখবেন যেভাবে

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
কাজের চাপেও নিজেকে শান্ত রাখবেন যেভাবে
ছবি: সংগৃহীত

অফিসে কাজের চাপ, মানসিক চাপ সবই থাকে। কাজের চাপের মধ্যেও নিজেকে সতেজ রাখতে চেষ্টা করতে হবে। চাপ সামলে নিজেকে সতেজ না রাখতে পারলে কর্মদক্ষতাও কমে যায়। নিজের প্রতি যত্নের একটা অংশ হলো অফিসেও নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া। কাজের চাপেও অফিসে শান্ত থাকার কৌশল জানাচ্ছেন দিলরুবা ইয়াসমিন 

রাতে পর্যাপ্ত ঘুম

সুস্থ মানুষের প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। তাই রাতে মোবাইল চালিয়ে বেশি রাত না জেগে পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করুন। মাঝে মাঝে ঘুম না এলে আলো জ্বেলে বা মোবাইলের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে না থেকে সব আলো বন্ধ করে দিয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকতে হবে। এতে শরীর ও ব্রেইন বিশ্রাম পায়। পর্যাপ্ত ঘুম হলে দিনে শরীর ঝরঝরে থাকে কাজকর্মে উদ্দীপনা পাওয়া যায়।

পূর্ণাঙ্গ নাশতা করা

আমাদের দেশের প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, সকালে হালকা খাবার খেতে হয়। অনেকে তো সকালের নাশতাই খান না। কিন্তু সকালে নাশতা না করলে কাজের মনোযোগও পাওয়া যায় না আবার ১১টা ১২টার দিকে খিদে লেগে যায়, এতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। আর দুপুরের খাবার প্রয়োজনের চেয়ে অধিক খাওয়া হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া সকালের নাশতা না খেলে শরীরে মিনারেল ও ভিটামিনের অভাব হতে পারে, বুক ধরফর, ঝিমুনিও হতে পারে। তাই অফিসে কাজের চাপ সামলাতে এবং নিজেকে সতেজ রাখতে ভালো একটা নাশতা করে দিন শুরু করতে হবে। নাশতায় রুটি, সবজি, ডিম খেতে পারেন অথবা ভারী খাবার ভাতও খেতে পারেন। 

বেশি বেশি পানি পান করা

প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে প্রতিদিন ২/২.৫ লিটার পানি প্রয়োজন। অনেকে অফিসে গিয়ে পানিও কম পান করেন, ওয়াশরুমেও যান না। এতে শরীরের স্বাভাবিক মেটাবলিজম কমে যায়। শরীরের ক্রিয়েটিনিন ও ইউরিক অ্যাসিডও বেড়ে যায়, যা শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তাই প্রতি ঘণ্টায় এক গ্লাস করে পানি পান করতে হবে। শুধু পানি পান করতে অনাগ্রহ হলে লেবু চিয়া সিড দিয়ে ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে খেতে পারেন। এ ছাড়া স্যালাইন বা লেবু মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে পারেন। 

হাঁটা

সকালে উঠে ১ ঘণ্টা হাঁটাচলার মাধ্যমে ব্যায়াম করা যেতে পারে। এ ছাড়া টানা ৮ ঘণ্টা নিজের টেবিলে বসে কাজ না করে মাঝে মাঝে উঠে আশপাশে একটু হাঁটা। এতে কাজের মনোযোগ বাড়ে। টানা বসে থাকলে মাথায় অক্সিজেনের ঘাটতি হয়, এতে ঝিমুনি হয়। তাই উঠে হাঁটাচলা করলে মাথা সচল হয়।

দুপুরের খাবার

দুপুরে হালকা হলেও খাবার খেতে হবে। কাজের চাপ, বসের চোখ রাঙানির ভয়ে দুপুরের খাবার বাদ দেওয়া যাবে না। একটা দীর্ঘ সময় ধরে দুপুরের খাবার বাদ দিয়ে থাকলে গ্যাস্ট্রিক, আলসারের মতো রোগ হতে পারে। আর বেশি ভারী খাবার খেলেও ঘুম ঘুম ভাব আসতে পারে তাই দুপুরে হালকা খাবার খেতে হবে। 

চা-কফি কমান

যদিও চা-কফি সতেজ থাকতে সাহায্য করে। তাই বলে ঘন ঘন চা-কফি শরীরের জন্য ভালো নয়। চা-কফির ক্যাফেনাইন ডাইহাইড্রোইউরিটিক পদার্থ শরীরের পানিকে ইউরিন হিসেবে বের করে দেয়। এতে শরীরের পানিশূন্যতা হয়। এ ছাড়া চায়ের ট্যানিক অ্যাসিড অ্যাসিডিটি তৈরি করে। তাই চাপ কমাতে বা ঝিমঝিম ভাব কমাতে চা পান করলেও অতিরিক্ত চা-কফি বাদ দিতে পারলে ভালো। 

জাঙ্কফুড বাদ দেওয়া

অফিসে বাসার খাবার বহন করে নিয়ে যাওয়া একটা সমস্যা, তাই অনেকে অফিস সময়ে বার্গার, পিজ্জা বা এ-জাতীয় খাবার খেয়ে কাটিয়ে দেন। এসব খাবারে অতিরিক্ত তেল, মসলা আর সস ম্যায়োনিজ ব্যবহার করা হয়, যা স্থুলতা বৃদ্ধি করে। এ ছাড়া গ্যাস্ট্রিক, আলসারও হতে পারে। সুতরাং, কষ্ট হোক বা লজ্জা লাগুক বাইরের খাবার বাদ দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। 

সাপ্লিমেন্টারি খাবার

অফিসে শারীরিক, মানসিক পরিশ্রম হয় অনেক। তাই খেজুর বাদামের মতো সাপ্লিমেন্টারি খাবার সঙ্গে রাখা ভালো। এগুলো ভিটামিন, মিনারেলের ভালো উৎস। এ ছাড়া দু-এক প্রকার মৌসুমি ফল কেটে বক্সে করে নিয়ে আসা যায়, যা কাজের ফাঁকে ফাঁকে খাওয়া যেতে পারে। 

হাইড্রেট থাকুন

টানা অফিসে থাকতে হলে শুধু পানি পান যথেষ্ট নয়। মাঝে মাঝে হাতমুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এতে শরীরের এসব অংশ হাইড্রেট হয় এবং মাথা ঠাণ্ডা হয়। শরীরেও ফ্রেশ অনুভূতি হয়।

হাসিখুশি থাকুন

আনন্দিত থাকলে শরীরে ডোপামিন তৈরি হয়। ডোপামিন মানসিক চাপ কমায়, বয়স বৃদ্ধির গতি হ্রাস করে কর্মউদ্দীপনা বাড়ায়। তাই নিজেকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করুন। অফিস শেষে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটান। নিজের পছন্দের কাজ করুন। 

নিজের যত্ন নিলে শুধু যে আপনি একা ভালো থাকবেন তা নয়, আপনার পরিবার ভালো থাকবে। বেশি বেশি কাজ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে পারবেন। 

/এমএস  

ত্বক থাকুক উজ্জ্বল

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
ত্বক থাকুক উজ্জ্বল
অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: সংগৃহীত

বর্ষাকাল মানেই প্রকৃতিতে এক অন্য রকম সৌন্দর্যের ছোঁয়া। তবে এই সময়ে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা আর্দ্র পরিবেশ, অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও ধুলোময় আবহাওয়া ত্বকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে ত্বকের যত্নে কী করবেন, তার পরামর্শ নিয়ে এবারের আয়োজন। লিখেছেন মেরিনা আহমেদ

মুখ ধোয়া
বর্ষা মানেই বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়া। তাই ঘাম, তেল সারা দিন ধরে মুখে জমতেই থাকে। আর বর্ষাকালে ওই অতিরিক্ত ঘাম, তেল থেকে হওয়া ব্রণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন অন্তত তিনবার মুখ ধুয়ে নিন। এ ক্ষেত্রে পছন্দের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।

স্ক্র্যাবের ব্যবহার
ত্বকে মরা কোষ আর তেল থাকলে এমনিতেই বাজে দেখা যায়। তাই প্রতিদিন ফ্রেশ থাকতে স্ক্র্যাব করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঘরোয়া স্ক্র্যাব হতে পারে বেস্ট অপশন। বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন চালের গুঁড়া আর গোলাপ জলের স্ক্র্যাব। মুখ পরিষ্কার করতে এটা দারুণ কার্যকর।

সানস্ক্রিন ব্যবহার
বছরের সারাটা সময়ই ত্বকের সুরক্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার জরুরি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনো সময়ই সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করা উচিত নয়। রোদের ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি কম সময় থাকলেও তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সঠিক এবং ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ওয়াটারবেজড সানস্ক্রিন বেস্ট। সানস্ক্রিনের এসপিএফ অবশ্যই ৩০ মাত্রার অধিক ব্যবহার করবেন। শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন বেছে নিতে পারেন। স্বাভাবিক ত্বকের অধিকারীরা ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

টিপস

  • বর্ষার এই সময়ে যতটা সম্ভব মেকআপ এড়িয়ে চলুন।
  • ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খান। ফল, গাজর এবং শাকসবজি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
  • আর্দ্রতা থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরেই অ্যান্টিসেপটিক লিক্যুইড দিয়ে গোসল করে নিন।
  • বর্ষায় ত্বকের আর্দ্রতা বেড়ে যায়। ফলে নানা ফাঙ্গাল ইনফেকশন, র্যাশ, ব্রণও দেখা দেয়। তাই এই সময় বিশেষ কয়েকটি প্রোডাক্ট ছাড়া অন্য কিছু না মাখাই ভালো।
  • ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। হালকাজাতীয় ময়েশ্চারাইজার লাগান দিনে দুবার।
  • সপ্তাহে একবার অন্তত নিমপাতার পানি দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করুন।
  • স্ট্রেস ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই, স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন বা ইয়োগা করতে পারেন।

বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমির প্রথম বর্ষর্পূতি উদযাপন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমির প্রথম বর্ষর্পূতি উদযাপন
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতেই বিশ্বরঙ-এর কর্ণধার ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ২৯ জুন পথ চলা শুরু করে ‘বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি’।

পথ চলতে চলতে উদ্যোক্তা ভূমি গত ২৯ জুন ১ বছর পূর্ণ করল। সে আনন্দের উৎফুল্লতায় বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি-এর সদস্যগণ রাজধানীর একটি রেষ্টুরেন্ট প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে। 

প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই আড়ম্বরতায় উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত করতে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী, পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী এবং বিশ্বরঙ-এর র্কণধার ও উদ্যোক্তা ভূমির সভাপতি বিপ্লব সাহাসহ মিডিয়া অঙ্গনের জনপ্রিয় মডেল ও তারকারা। 

‘বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি’-এর সদস্যগণ সবাই একসাথে হয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনটাকে আনন্দমুখর পরিবেশে হাসি, ঠাট্টা, গান আর স্মৃতিচারণের মাধ্যমে স্মরনীয় করে রাখেন। 

/এমএস  

সুন্দর থাকুক আপন ঘর

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ০১:১১ পিএম
সুন্দর থাকুক আপন ঘর
ছবি: আদিব আহমেদ

আমাদের দেশে বর্ষাকালে ঘরে বা বাইরে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, অতি আর্দ্রতায় ঘরের ইন্টেরিয়রের ক্ষতি, মশা, পোকামাকড়সহ বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তাই বর্ষাকালে অবশ্যই একটু বাড়তি কাজকর্মের প্রয়োজন পড়ে, বিশেষ করে ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য যত কাজ রয়েছে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। 

কাঠের আসবাবপত্র
আসবাব পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলতে হবে। বর্ষায় আসবাবের কোনো জায়গা দীর্ঘসময় ভেজা রাখা উচিত নয়। এতে ভেজা জায়গায় দ্রুত বংশবিস্তার করবে ছত্রাক। এ ছাড়া অনেক সময় কাঠ ফুলে যায়। ফার্নিচারকে বর্ষায় নতুন বার্নিশ দিতে পারেন যেন সেগুলো সুরক্ষিত থাকে।
    
ঘরের দেয়াল
বর্ষায় ঘরের দেয়াল ড্যাম্প হয়ে যেতে পারে। বৃষ্টিতে পুরোনো বাড়ির ছাদ, দেয়াল ও মেঝেতে ড্যাম্প হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভালো করে পরীক্ষা করতে হবে। এসব স্থানে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটা দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে। বাড়ির সানশেড এবং ছাদে যাতে পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। এ ছাড়া ঘরে কোথাও কোনো ফাটল আছে কি না দেখে নিতে হবে। যদি ফাটল বা ফুটো থেকে থাকে, তবে দ্রুত তা মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে বাড়ির অন্যান্য অংশের দেয়াল এবং ঘরে এর প্রভাব পড়তে পারে।

ভারী কার্পেট ও পর্দা ব্যবহার না করা 
অধিক বর্ষণে ভারী পাপোশ, কার্পেট ও পর্দা সহজে খারাপ হয়ে যেতে পারে। কার্পেট আর্দ্রতা শোষণ করে এবং সহজে ময়লা হয়। তাই বর্ষাকালে কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো। যাতে ফাঙ্গাস না ধরে তার জন্য পলিথিনে মুড়িয়ে রাখতে হবে। পর্দা ব্যবহারের ক্ষেত্রে হালকা কাপড় ও সহজে পরিষ্কার করা যায় এমন পর্দা ব্যবহার ঘরে আরামদায়ক অনুভূতি আনবে। বর্ষাকালে ঘরে উজ্জ্বলতা আনতে আলো শোষণ করে এমন গাঢ় রঙের চাদর, পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো। আলো প্রতিফলন করে এমন হালকা রঙের যেমন গোলাপি, আকাশি, হলুদ বেশি ব্যবহার করা উচিত।

প্রয়োজনীয় ম্যাটের ব্যবহার 
বাথরুমের সামনে ম্যাট রাখতে হবে। জানালা বা দরজা দিয়ে বর্ষার পানি ভেতরে ঢোকার আশঙ্কা থাকলে পুরোনো কাপড় মোটা করে ভাঁজ করে পেতে রাখতে পারেন। প্রতিবার বৃষ্টি শেষে ভেজা জায়গাগুলো শুকনা করে মুছে নিতে হবে। ঘর মোছার পর অবশ্যই জোরে ফ্যান চালিয়ে দেওয়া দিতে হবে। এতে ঘর তাড়াতাড়ি শুকাবে।

ঘরের সজীবতায় 
বাড়ি সজীব ও সুরভিত রাখতে দোলনচাঁপা, বেলি, কামিনী বর্ষার ফুলগুলো রাখা যেতে পারে। আলমারি, ওয়ার্ডরোবের মতো জায়গায় ভ্যাপসা গন্ধ হলে ন্যাপথলিন, রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা লবঙ্গ, নিমপাতা একসঙ্গে হালকা ভেজে নিয়ে কাগজে মুড়ে আলমারির কোণে রাখলে ভ্যাপসা গন্ধ দূর হবে। আলমারিতে পোকার উপদ্রব থাকলে আলমারির এক কোণে শুকনা মরিচ রেখে দিন। ভালো শাড়ির সঙ্গে কাপড়ের পুঁটুলিতে মুড়ে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন। পোকামাকড় ঘেঁষবে না। আলমারির ভেতর চকের ছোট টুকরা রাখলে ভেজাভাব দূর হবে। 
 
বর্ষায় বারান্দা 
বাড়ির ব্যালকনিতে রাখা ফুলের টবগুলো সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অনেক সময় বারান্দায় বৃষ্টির ছাঁটে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখতে হবে। টবে পানি জমে মশা এবং পোকার আক্রমণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্ষার দিনে প্রচণ্ড বাতাসে বারান্দায় ঝুলে থাকা বা ছাদের রেলিংয়ে রাখা টবগুলো ভেঙে কিংবা ওপর থেকে পড়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই টবগুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে আলো-বাতাস নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

এ ছাড়া বর্তমানে অনেকেই ব্যালকনি বা ছাদে আর্টিফিশিয়াল ঘাসের কার্পেট ব্যবহার করে থাকেন, যাতে ভারী বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। অনেক বাসায় যেমন জানালা বা বারান্দায় পুরোটাই গ্রিল দেওয়া থাকে কিংবা নেটিং করা থাকে। আবার অনেক বাসার বারান্দায় শুধুই রেলিং থাকে। গ্রিলের সঙ্গে ওয়াটারপ্রুফ ম্যাটেরিয়ালের ব্লাইন্ডস বা শাটার ব্যবহার করুন, যা বেশ টেকসই। ট্র্যাডিশনাল উপায়ে অনেকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে করা ব্লাইন্ড বারান্দায় দিয়ে থাকেন।

 কলি