ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

ঈদের ছুটি যেভাবে কাটাবেন

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ১০:০০ এএম
ঈদের ছুটি যেভাবে কাটাবেন
ছবি: সংগৃহীত

ঈদ উপলক্ষ্যে ছুটি প্রায় চলে এসেছে। ঈদের ছুটিতে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, আত্মীয় স্বজনদের বাসায় যাওয়া তো চলবে কয়েকদিন। লম্বা সময়ে ঘরে বসে কাটাতে হবে বেশ অনেকটা সময়। চাইলে বিভিন্ন ভাবে এই ছুটিও উপভোগ করে দিনগুলোকে বিশেষ করে তুলতে পারেন।

পরিবারকে সময় দিন
বছরের ব্যস্ততা থাকা কারণে অনেকেরই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয় না। ঈদের ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে একত্রে কিছু আনন্দঘন মুহূর্ত কাটানোর পরিকল্পনা করতে পারেন। ঈদের নামাজে যাওয়া, একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করা, ছোটদের নিয়ে খেলাধুলা কিংবা গল্প করে ঘরোয়া আয়োজনের মাধ্যমে কিংবা কাছের কোনো স্থানে পিকনিক বা ডে-ট্যুর করতে পারেন। এতে পারিবারিক  সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ় করে তুলবে।

আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করুন
ঈদের ছুটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিকট আত্মীয়দের দেখা করুন। পরিবারের ছোট সদস্যদের সঙ্গে  আত্মীয় স্বজনের পরিচয় করিয়ে দিন । এতে তারা  আত্মীয়দের সম্মান করতেশিখবে। এছাড়া সবার সাথে শুভেচ্ছা এবং উপহার বিনিময় করুন। সবাইকে দাওয়াত করে বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় বারবিকিউ-র ব্যবস্থা করতে পারেন।

নিজেকে সময় দিন
ঈদের ছুটিতে নিজেকে সময় দিতে পারেন। বই পড়ুন, গান শুনুন, সৃজনশীল কিছু করুন। হয়তো লিখতে ভালোবাসেন, আঁকতে চান বা নতুন কোনো রেসিপি ট্রাই করতে চান সেটা করুন। মেডিটেশন বা ইবাদতের মাধ্যমেও আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করুন।

প্রকৃতির সঙ্গে  থাকুন
মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকুন কিছু সময়। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান, বাগান করুন, পাখির ডাক শুনুন। বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় বসে সন্ধ্যার চা উপভোগ করুন। প্রিয়জনের সঙ্গে আড্ডা দিন গল্পে গল্পে, ফোনে নয়—চোখের সামনে।

নতুন ভাষা শিখুন
এই সময়ে চাইলে নতুন ভাষা শেখা শুরু করতে পারেন। প্লে-স্টোরে নতুন ভাষা শেখার বেশ কিছু ভালো অ্যাপস পাওয়া যায়। পছন্দানুযায়ী ভাষা শেখার অ্যাপ ইন্সটল করে ভাষা শেখা শুরু করতে পারেন এই অবসরে। দুই কিংবা তিনদিনে ভিনদেশী ভাষা শিখে ফেলা সম্ভব নয়। তবে নতুন ভাষা শেখা শুরু করাটাই অনেক বড় একটি ধাপ। পরবর্তীতে আগ্রহের ফলে নিজ থেকেই আগ্রহ জন্মাবে।

ফিটনেস চর্চা করুন
ফিটনেস চর্চা শুরু  করতে পারেন। ব্যস্ত জীবনে সময় না পেলেও এই সময়টাতে ইয়োগা, ব্যায়াম বা স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন শুরু করতে পারেন, যা পরবর্তী সময়ে অভ্যাসে পরিণত হবে।

অন্যের জন্য কিছু সময় 
ছুটির দিনগুলোয় এলাকায় ছোটদের পড়াতে পারেন, বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে একটু গল্প করে আসতে পারেন বা যেকোনো সমাজসেবামূলক কাজে অংশ নিতে পারেন। এতে অন্য মানুষও উপকৃত হবেন আর আপনিও আত্মতৃপ্তি পাবেন।

দেখা হোক ভালো কিছু
রুটিনমাফিক জীবনাচরণের কারণে হয়তো আপনার বিখ্যাত ও শিক্ষণীয় কিছু মুভি দেখা হয়নি, দেখা হয়নি প্রয়োজনীয় ও শিক্ষণীয় ডকুমেন্টারি। এ ছাড়া জীবনে অনুপ্রেরণার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ী ভিডিও দেখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই ছুটির দিনগুলোয় এগুলো আপনি দেখে নিতে পারেন। একদিকে বিনোদনও পাবেন, অন্যদিকে সমৃদ্ধও হবেন।

 কলি

 

ত্বক থাকুক উজ্জ্বল

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
ত্বক থাকুক উজ্জ্বল
অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম। ছবি: সংগৃহীত

বর্ষাকাল মানেই প্রকৃতিতে এক অন্য রকম সৌন্দর্যের ছোঁয়া। তবে এই সময়ে ত্বকের সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কেননা আর্দ্র পরিবেশ, অতিরিক্ত আর্দ্রতা ও ধুলোময় আবহাওয়া ত্বকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই সময়ে ত্বকের যত্নে কী করবেন, তার পরামর্শ নিয়ে এবারের আয়োজন। লিখেছেন মেরিনা আহমেদ

মুখ ধোয়া
বর্ষা মানেই বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়া। তাই ঘাম, তেল সারা দিন ধরে মুখে জমতেই থাকে। আর বর্ষাকালে ওই অতিরিক্ত ঘাম, তেল থেকে হওয়া ব্রণের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে প্রতিদিন অন্তত তিনবার মুখ ধুয়ে নিন। এ ক্ষেত্রে পছন্দের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন।

স্ক্র্যাবের ব্যবহার
ত্বকে মরা কোষ আর তেল থাকলে এমনিতেই বাজে দেখা যায়। তাই প্রতিদিন ফ্রেশ থাকতে স্ক্র্যাব করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ঘরোয়া স্ক্র্যাব হতে পারে বেস্ট অপশন। বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন চালের গুঁড়া আর গোলাপ জলের স্ক্র্যাব। মুখ পরিষ্কার করতে এটা দারুণ কার্যকর।

সানস্ক্রিন ব্যবহার
বছরের সারাটা সময়ই ত্বকের সুরক্ষায় সানস্ক্রিন ব্যবহার জরুরি। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা কোনো সময়ই সানস্ক্রিন ক্রিম ব্যবহার বন্ধ করা উচিত নয়। রোদের ক্ষতিকারক সূর্যরশ্মি কম সময় থাকলেও তা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই সঠিক এবং ভালো মানের সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ওয়াটারবেজড সানস্ক্রিন বেস্ট। সানস্ক্রিনের এসপিএফ অবশ্যই ৩০ মাত্রার অধিক ব্যবহার করবেন। শুষ্ক ও রুক্ষ ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। এ ক্ষেত্রে এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন বেছে নিতে পারেন। স্বাভাবিক ত্বকের অধিকারীরা ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।

টিপস

  • বর্ষার এই সময়ে যতটা সম্ভব মেকআপ এড়িয়ে চলুন।
  • ফলমূল ও শাকসবজি বেশি করে খান। ফল, গাজর এবং শাকসবজি ত্বকের জন্য অনেক উপকারী।
  • আর্দ্রতা থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
  • পর্যাপ্ত ঘুম ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
  • বৃষ্টিতে ভিজে গেলে বাড়ি ফিরেই অ্যান্টিসেপটিক লিক্যুইড দিয়ে গোসল করে নিন।
  • বর্ষায় ত্বকের আর্দ্রতা বেড়ে যায়। ফলে নানা ফাঙ্গাল ইনফেকশন, র্যাশ, ব্রণও দেখা দেয়। তাই এই সময় বিশেষ কয়েকটি প্রোডাক্ট ছাড়া অন্য কিছু না মাখাই ভালো।
  • ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। হালকাজাতীয় ময়েশ্চারাইজার লাগান দিনে দুবার।
  • সপ্তাহে একবার অন্তত নিমপাতার পানি দিয়ে গোসল করার চেষ্টা করুন।
  • স্ট্রেস ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। তাই, স্ট্রেস কমানোর জন্য মেডিটেশন বা ইয়োগা করতে পারেন।

বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমির প্রথম বর্ষর্পূতি উদযাপন

প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমির প্রথম বর্ষর্পূতি উদযাপন
ছবি: সংগৃহীত

দেশের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন, বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং সফল উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিতেই বিশ্বরঙ-এর কর্ণধার ফ্যাশন ডিজাইনার বিপ্লব সাহার নেতৃত্বে ২০২৪ সালের ২৯ জুন পথ চলা শুরু করে ‘বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি’।

পথ চলতে চলতে উদ্যোক্তা ভূমি গত ২৯ জুন ১ বছর পূর্ণ করল। সে আনন্দের উৎফুল্লতায় বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি-এর সদস্যগণ রাজধানীর একটি রেষ্টুরেন্ট প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে। 

প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর এই আড়ম্বরতায় উদ্যোক্তাদের অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত করতে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী ও ফাহমিদা নবী, পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী এবং বিশ্বরঙ-এর র্কণধার ও উদ্যোক্তা ভূমির সভাপতি বিপ্লব সাহাসহ মিডিয়া অঙ্গনের জনপ্রিয় মডেল ও তারকারা। 

‘বিশ্বরঙ উদ্যোক্তা ভূমি’-এর সদস্যগণ সবাই একসাথে হয়ে প্রথম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর দিনটাকে আনন্দমুখর পরিবেশে হাসি, ঠাট্টা, গান আর স্মৃতিচারণের মাধ্যমে স্মরনীয় করে রাখেন। 

/এমএস  

সুন্দর থাকুক আপন ঘর

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ০১:১১ পিএম
সুন্দর থাকুক আপন ঘর
ছবি: আদিব আহমেদ

আমাদের দেশে বর্ষাকালে ঘরে বা বাইরে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, অতি আর্দ্রতায় ঘরের ইন্টেরিয়রের ক্ষতি, মশা, পোকামাকড়সহ বিভিন্ন সমস্যা লেগেই থাকে। তাই বর্ষাকালে অবশ্যই একটু বাড়তি কাজকর্মের প্রয়োজন পড়ে, বিশেষ করে ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে অন্যান্য যত কাজ রয়েছে সেদিকে বিশেষ নজর রাখতে হয়। 

কাঠের আসবাবপত্র
আসবাব পরিষ্কারের ক্ষেত্রে ভেজা কাপড় এড়িয়ে চলতে হবে। বর্ষায় আসবাবের কোনো জায়গা দীর্ঘসময় ভেজা রাখা উচিত নয়। এতে ভেজা জায়গায় দ্রুত বংশবিস্তার করবে ছত্রাক। এ ছাড়া অনেক সময় কাঠ ফুলে যায়। ফার্নিচারকে বর্ষায় নতুন বার্নিশ দিতে পারেন যেন সেগুলো সুরক্ষিত থাকে।
    
ঘরের দেয়াল
বর্ষায় ঘরের দেয়াল ড্যাম্প হয়ে যেতে পারে। বৃষ্টিতে পুরোনো বাড়ির ছাদ, দেয়াল ও মেঝেতে ড্যাম্প হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ভালো করে পরীক্ষা করতে হবে। এসব স্থানে কোনো ত্রুটি থাকলে সেটা দ্রুত সারিয়ে নিতে হবে। বাড়ির সানশেড এবং ছাদে যাতে পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে। এ ছাড়া ঘরে কোথাও কোনো ফাটল আছে কি না দেখে নিতে হবে। যদি ফাটল বা ফুটো থেকে থাকে, তবে দ্রুত তা মেরামতের ব্যবস্থা করতে হবে। নইলে বাড়ির অন্যান্য অংশের দেয়াল এবং ঘরে এর প্রভাব পড়তে পারে।

ভারী কার্পেট ও পর্দা ব্যবহার না করা 
অধিক বর্ষণে ভারী পাপোশ, কার্পেট ও পর্দা সহজে খারাপ হয়ে যেতে পারে। কার্পেট আর্দ্রতা শোষণ করে এবং সহজে ময়লা হয়। তাই বর্ষাকালে কার্পেট ব্যবহার না করাই ভালো। যাতে ফাঙ্গাস না ধরে তার জন্য পলিথিনে মুড়িয়ে রাখতে হবে। পর্দা ব্যবহারের ক্ষেত্রে হালকা কাপড় ও সহজে পরিষ্কার করা যায় এমন পর্দা ব্যবহার ঘরে আরামদায়ক অনুভূতি আনবে। বর্ষাকালে ঘরে উজ্জ্বলতা আনতে আলো শোষণ করে এমন গাঢ় রঙের চাদর, পর্দা ব্যবহার না করাই ভালো। আলো প্রতিফলন করে এমন হালকা রঙের যেমন গোলাপি, আকাশি, হলুদ বেশি ব্যবহার করা উচিত।

প্রয়োজনীয় ম্যাটের ব্যবহার 
বাথরুমের সামনে ম্যাট রাখতে হবে। জানালা বা দরজা দিয়ে বর্ষার পানি ভেতরে ঢোকার আশঙ্কা থাকলে পুরোনো কাপড় মোটা করে ভাঁজ করে পেতে রাখতে পারেন। প্রতিবার বৃষ্টি শেষে ভেজা জায়গাগুলো শুকনা করে মুছে নিতে হবে। ঘর মোছার পর অবশ্যই জোরে ফ্যান চালিয়ে দেওয়া দিতে হবে। এতে ঘর তাড়াতাড়ি শুকাবে।

ঘরের সজীবতায় 
বাড়ি সজীব ও সুরভিত রাখতে দোলনচাঁপা, বেলি, কামিনী বর্ষার ফুলগুলো রাখা যেতে পারে। আলমারি, ওয়ার্ডরোবের মতো জায়গায় ভ্যাপসা গন্ধ হলে ন্যাপথলিন, রুম ফ্রেশনার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা লবঙ্গ, নিমপাতা একসঙ্গে হালকা ভেজে নিয়ে কাগজে মুড়ে আলমারির কোণে রাখলে ভ্যাপসা গন্ধ দূর হবে। আলমারিতে পোকার উপদ্রব থাকলে আলমারির এক কোণে শুকনা মরিচ রেখে দিন। ভালো শাড়ির সঙ্গে কাপড়ের পুঁটুলিতে মুড়ে কয়েকটি লবঙ্গ রাখুন। পোকামাকড় ঘেঁষবে না। আলমারির ভেতর চকের ছোট টুকরা রাখলে ভেজাভাব দূর হবে। 
 
বর্ষায় বারান্দা 
বাড়ির ব্যালকনিতে রাখা ফুলের টবগুলো সঠিক জায়গায় রাখতে হবে। অনেক সময় বারান্দায় বৃষ্টির ছাঁটে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হতে পারে। তাই ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখতে হবে। টবে পানি জমে মশা এবং পোকার আক্রমণ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বর্ষার দিনে প্রচণ্ড বাতাসে বারান্দায় ঝুলে থাকা বা ছাদের রেলিংয়ে রাখা টবগুলো ভেঙে কিংবা ওপর থেকে পড়ে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই টবগুলোকে এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে আলো-বাতাস নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।

এ ছাড়া বর্তমানে অনেকেই ব্যালকনি বা ছাদে আর্টিফিশিয়াল ঘাসের কার্পেট ব্যবহার করে থাকেন, যাতে ভারী বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। অনেক বাসায় যেমন জানালা বা বারান্দায় পুরোটাই গ্রিল দেওয়া থাকে কিংবা নেটিং করা থাকে। আবার অনেক বাসার বারান্দায় শুধুই রেলিং থাকে। গ্রিলের সঙ্গে ওয়াটারপ্রুফ ম্যাটেরিয়ালের ব্লাইন্ডস বা শাটার ব্যবহার করুন, যা বেশ টেকসই। ট্র্যাডিশনাল উপায়ে অনেকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে করা ব্লাইন্ড বারান্দায় দিয়ে থাকেন।

 কলি 

 

বর্ষায় শিশুর যত্ন

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ০৫:০৫ পিএম
বর্ষায় শিশুর যত্ন
মডেল: তাসনিম ও জাইন। ছবি: আদিব আহমেদ

আমাদের দেশে বর্ষায় ভ্যাপসা গরম থাকে। এই সময়ের স্যাঁতসেঁতে পরিবেশের কারণে শিশুরা অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। শিশুর পরিচ্ছন্নতা, পোশাকের ধরন, খাদ্যাভ্যাস- সব কিছুর যত্নের পাশাপাশি তার ব্যবহৃত কাপড়গুলোর দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এই মৌসুমে শিশুদের সুস্থতার দায়িত্ব বড়দের। 

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা
বর্ষায় শিশুর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। হঠাৎ পরিবেশ অনেক গরম হলে দীর্ঘসময় ধরে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করানো বা বৃষ্টি হচ্ছে পরিবেশ ঠাণ্ডা বলে একদমই গোসল করানো হলো না এটা ঠিক নয়। শিশুকে মোটামুটি ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার পানি দিয়ে ১০-১৫ মিনিট শরীর, মাথা, হাত-পা, চোখ ভালো করে ধোয়াতে হবে। শরীর ও মাথা ধোয়ানোর সময় সাবান বা স্যাভলন-জাতীয় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ব্যবহার করা আবশ্যক। বর্ষায় রোগজীবাণু বংশবিস্তার করে। আর বংশবিস্তারের স্থান হলো পানি। তাই স্বচ্ছ দেখা গেলেও পানিতে জীবাণু থাকতে পারে। এ ছাড়া ফুটন্ত পানি ঠাণ্ডা করে চোখ ও মুখমণ্ডল পরিষ্কার করা উত্তম। এতে চোখের কনজাংকটিভা জাতীয় রোগ থেকে শিশু সুরক্ষিত থাকবে। 

উপযুক্ত পোশাক
শিশুকে পাতলা সুতির কাপড় পরাতে হবে। বৃষ্টিতে পরিবেশ ঠাণ্ডা থাকলেও শিশুর দেহের একটা তাপমাত্রা আছে। ফেনিল বা উলের কাপড় পরিয়ে বর্ষার শীত থেকে শিশুকে রক্ষা করার কিছু নাই। এতে আরও তাদের দেহের তাপমাত্রা আটকে গিয়ে গরমে ঠাণ্ডা বা জ্বর বেঁধে যেতে পারে। প্রয়োজনে সুতি কাপড়ের জামাটা বড় হাতাযুক্ত বা সম্পূর্ণ দেহকে আবৃত করে এমন করে বানাতে হবে। 

খাবার ও পানি
শিশুকে নিরাপদ পানীয় জল সরবরাহ করতে হবে এবং যেহেতু বর্ষায় মাছি প্রজনন করে,  তারা নানাবিধ রোগ তাদের পাখা ও পায়ের মাধ্যমে খাদ্যে ছড়াতে পারে। তাই সবসময় খাবার ঢেকে রাখতে হবে। আর প্রতিবার খাদ্য পরিবেশন করার আগে ভালোভাবে গরম করে, ঠাণ্ডা করে কুসুম গরম অবস্থায় পরিবেশন করতে হবে। পানীয় জলের ফিল্টার পরিষ্কার রাখতে হবে অথবা পানি ফুটিয়ে জীবাণুমুক্ত করে শিশুকে খেতে দিতে হবে। না হলে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েডের মতো পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি থেকে যাবে।

শুষ্ক ডায়াপার
শিশু যদি ডায়াপার পরে, তা হলে সতর্ক নজর রাখতে হবে। দীর্ঘসময় ভেজা ডায়াপারে থাকলে সর্দি, জ্বর, ডায়াপার পরা স্থানে র‌্যাশ হতে পারে। ডায়াপার পরানোর আগে পাউডার দিয়ে ডায়াপার পরাতে হবে। আর প্রতি ছয় ঘণ্টা অন্তর শিশুর ডায়াপার পরিবর্তন করতে হবে। তবে শিশু যদি বেশি বেশি হিসু করে, তা হলে ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করার অবকাশ নেই। যখনই ডায়াপার ভিজে যাবে তখনই পরিবর্তন করে দিতে হবে। 

বৃষ্টিতে ভেজা থেকে বাঁচানো
শিশুরা সবসময়ই বৃষ্টি দেখলে আনন্দিত হয়। বৃষ্টিতে ভেজার অনুমতি না পেলেও জানালা গলিয়ে হাত বের করে একটু হাত-মুখ ভেজায়। আবার বৃষ্টি শেষে কোথাও পানি জমে থাকলে তাতে পা ভেজাতে চেষ্টা করে। তাই বাইরে গেলে শিশুকে ছাতার নিচে, সম্ভব হলে কোলে তুলে রাখতে হবে। যাতে বৃষ্টিতে ভিজে না যায়। বর্তমানে বায়ুদূষণের কারণে অ্যাসিড বৃষ্টি হয়, যা শিশুর ত্বকের সমস্যা তৈরি করতে পারে। 

মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা
বর্ষা মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় মশার রক্তের প্রয়োজন হয়। শিশুরা যেহেতু প্রতিরোধ করতে পারে না, তাই মশা তাদের আক্রমণ করে বেশি। এ ছাড়াও বর্ষার স্বচ্ছ পানি এডিস মশার আবাসস্থল। ফলে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া রোগেরও আশঙ্কা থাকে। তাই মশার কামড় থেকে শিশুকে রক্ষা করতে মশারি এবং মশা তাড়ানোর স্প্রে ব্যবহার করুন। বাইরে খেলতে গেলে শিশুকে মস্কুইটো রিপেলেন্ট ক্রিম লাগিয়ে দেবেন, যাতে মশা কামড়াতে না পারে। 

ঘরের পরিবেশ
বর্ষায় এমনিতেই ঘরের পরিবেশ স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। ঘর মুছলে সহজে শুকাতে চায় না। ঘরের যেসব দরজা, জানালা দিয়ে আলো-বাতাস প্রবেশ করে, সেগুলো খুলে রেখে ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করুন। তবে বৃষ্টির ছাঁট যাতে প্রবেশ না করে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। 

রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
শিশুর রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার দিন। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত প্রোটিন, শর্করা ও চর্বিজাতীয় খাবার নিশ্চিত করতে হবে। খাদ্যতালিকায় প্রচুর শাকসবজি এবং অন্তত একটা ফল রাখতে হবে। সব ভিটামিন মিনারেলের ভারসাম্য নিশ্চিত করা যায় এমন সাপ্তাহিক খাদ্যতালিকা তৈরি করতে হবে। বাইরে আর্দ্রতার তারতম্য অনুযায়ী সুস্থ থাকতে পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করতে হবে। 

ত্বকের যত্ন
বর্ষায় শিশুর ত্বক ঘামে বেশি, আবার বৃষ্টি হলে শুষ্কও হয়ে যায়। এমতাবস্থায় শিশুর ত্বকে হালকা ময়েশ্চারাইজার ও পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ত্বক আর্দ্রতার কারণে বেশি ঘামবে না। আবার ময়েশ্চারাইজার ত্বককে ভালো রাখবে। 

ডাক্তারের পরামর্শ
বর্ষাকালে যেকোনো ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

 কলি

চমক ছড়াল মিলান ফ্যাশন উইক

প্রকাশ: ২৮ জুন ২০২৫, ০৩:৫৪ পিএম
চমক ছড়াল মিলান ফ্যাশন উইক
ব্রিটিশের বিলাসবহুল ফ্যাশন ব্র্যান্ড ডানহিলের পোশাকে মডেলরা

মিলান ফ্যাশন উইক মেনজ ২০২৫ শেষ হলো ২৪ জুন। বিশ্বের বিখ্যাত সব ফ্যাশন ব্র্যান্ড এই ফ্যাশন সপ্তাহ উপলক্ষে সেজেছিল উৎসবের রঙে। সব ব্র্যান্ড তাদের ইউনিক পোশাকের কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছিল। ২০ জুন শুরু হওয়া এই আয়োজনে বিখ্যাত সব মডেল বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পোশাকে র‌্যাম্প মাতিয়েছেন।

ডলস অ্যান্ড গাব্বানা
কিংবদন্তি ডিজাইনার জুটি ডলচে ও গাব্বানা এবারের মিলান ফ্যাশন উইকে বসন্ত-গ্রীষ্ম ২০২৬ সালের পুরুষদের পোশাকে ঢিলেঢালা ডোরাকাটা পায়জামা সেট প্রদর্শন  করেছে। নব্বইয়ের দশকে স্লিপওয়্যার ক্লাসিক পোশাকটিকে নতুন আঙ্গিকে ফ্যাশন উইকে প্রকাশ করেছে। এবারের সংগ্রহে নানা ডিজাইনের প্যান্টের ওপরে কনট্রাস্ট-রঙের বক্সার-শর্টগুলো বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। যা কোমরবন্ধের সঙ্গে স্টাইল করা যাবে। এ ছাড়া লেপার্ড প্রিন্টের স্যুট, চামড়ার বারমুডা শর্টসের ওপর পুঁতির কাজ করে নতুন মাত্রা যোগ করা হয়েছে। তবে পোশাকগুলোকে আকর্ষণীয় করার জন্য কিছু পোশাকে হীরার নকশা এবং ফুলের নকশায় পুঁতির কাজ করা হয়েছে।

এম্পোরিও আরমানি
ইতালীয় ফ্যাশন  ব্র্যান্ড এম্পোরিও আরমানি ২০২৫-২৬ বসন্ত-গ্রীষ্মকালীন পুরুষদের পোশাক উপস্থাপন করেছে। এবার আধুনিক যাযাবরদের থিমে  পোশাক ডিজাইন করা হয়েছে। হালকা ওজনের টিউনিক, স্কার্ফ-কলার জ্যাকেট যা সহজে পরে আরাম পাওয়া যাবে। মরোক্কানদের থেকে অনুপ্রাণিত প্রিন্ট এবং আরামদায়ক প্রাকৃতিক কাপড় বেছে নেওয়া নিয়েছে তারা। যা ভ্রমণের জন্য উপযোগী।

প্রাডা 
ইতালিয়ান ব্র্যান্ড প্রাডা বসন্ত-গ্রীষ্মকালীন পুরুষদের সংগ্রহে বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছে। ডিজাইনার মিউকিয়া প্রাডা এবং রাফ সিমন্স তাদের ডিজাইন করা পোশাকের মাধ্যমে দর্শকদের বিমোহিত করেছেন। প্রাডার এবার ‘এ চেঞ্জ অব টোন’ শিরোনামে পোশাক প্রদর্শনী করেছে। তাদের সংগ্রহে ক্রপড ট্রাউজার্স এবং রোলনেক বেস লেয়ারের সঙ্গে পরা চামড়ার ব্লেজার বেশ প্রশংসা পেয়েছে।  এ ছাড়া ন্যারো-কাট ট্র্যাকস্যুটগুলোর পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ডিজাইনের কোটের সমাহার নিয়ে এসেছে। রঙের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রঙের পোশাকগুলো বেশ নজর কেড়েছে। 

পল স্মিথ
ব্রিটিশ ডিজাইনার পল স্মিথ মিলানে আত্মপ্রকাশ করেছেন। কায়রো স্ট্রিট ফটোগ্রাফির পুরোনো বই সংগ্রহই এবারের পোশাকের ডিজাইনে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। পলের তোলা ছবিগুলো একত্রিত করে বোল্ড প্রিন্টের মাধ্যমে শার্টসহ বিভিন্ন পোশাক ডিজাইন করা হয়েছে। সেলাই ও বোল্ড কোলাজ প্রিন্টগুলোও পোশাকে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে আধুনিক করা হয়েছে। যার মধ্যে ম্যাচিং শার্ট এবং টাই বিশেষভাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল।

ভিভিয়েন ওয়েস্টউড
ব্রিটিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড ভিভিয়েন ওয়েস্টউড আট বছরের বিরতির পর মিলান ফ্যাশন সপ্তাহে ফিরেছে। ব্রিটিশ ড্যান্ডিজমের সঙ্গে ইতালীয় মোড় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে সংগ্রহটি সাজিয়েছে। পাঙ্ক থেকে নতুন ধারার ফ্যাশনের পোশাক ডিজাইনে তারা বেশ পারদর্শী। তাদের সাহসী নকশা, ভিন্নধারার শৈলী এবং বিলাসবহুল উপাদানে তৈরি পোশাকগুলো সবার নজর কেড়েছে। বৈচিত্র্যময় জুতা ডিজাইন করতে ভুলে যায়নি। তাদের পোশাকের সেলাইয়ের কাজে ছিল ভিন্নতা। ট্রাউজার স্যুটে চিতাবাঘের ছাপের নকল পশম কোটটি ছিল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

ডানহিল
ব্রিটিশ বিলাসবহুল ফ্যাশন ব্র্যান্ড ডানহিল এবারের মিলান ফ্যাশন উইকে ইংরেজ অভিজাতদের পোশাকের ধরন এবং বিদ্রোহী লুচ ব্রিটিশ রক আইকনদের প্রভাব থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে পোশাকের ডিজাইন করেছে। ক্লাসিক ডিজাইনের পোশাকে মার্জিত নকশা এবং চমৎকার কারুকার্য ফুটিয়ে তুলেছে। নরম চামড়া কোট সোয়েড, লিনেন এবং সুতি-সিল্ক কাপড়ের ওপরে ক্লাসিক নকশা করে পোশাকগুলোতে একটি আভিজাত্যের ভাব নিয়ে এসেছে।

কাসিমি
আরব ব্র্যান্ড কাসিমি মিলান ফ্যাশন উইকে বেশ চমক দেখিয়েছে। সৃজনশীল পরিচালক হুর আল-কাসিমি তার ভাই প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা খালিদ আল কাসিমির কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এই সংগ্রহটি সাজিয়েছেন। পোশাকে   সুতা এবং ডুডল সেলাইয়ের সূচিকর্মে লন্ডনভিত্তিক লেবানিজ শিল্পী ডালা নাসেরের প্রভাব প্রতিফলিত হয়েছে। যা প্রাচীন লেবানিজ স্থানগুলো বিভিন্নভাবে ফুটে উঠেছে।  ফ্যাব্রিক  এমনভাবে বেছে নেওয়া  হয়েছে যা পোশাকের টেক্সচারে যোগ করে। বেইজ রঙের প্যালেটের শার্ট এবং বোম্বার জ্যাকেটগুলোতে পাথর এবং বোতাম দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে।

সাউল ন্যাশ
লন্ডনের ব্র্যান্ড খেলাধুলার পোশাকের বাইরেও পুরুষদের বিভিন্ন পোশাক নিয়ে মিলান ফ্যাশন সপ্তাহে পোশাক নিয়ে হাজির হয়েছে। হলুদ, বেগুনি, ধূসর এবং নীল রঙের রঙের স্মার্ট ক্যাজুয়াল আউটফিটের দৃষ্টিনন্দন কালেকশন অবাক করেছে সবাইকে। স্ট্রেচি হেনলি শার্ট, হুডযুক্ত স্পোর্টস জার্সি এবং সামরিক বাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত জ্যাকেট, বোতামযুক্ত ট্রাউজার্স নজর কেড়েছে সবার।

কলি