প্রেম কর?
প্রশ্নটা শুনেই হকচকিয়ে গেল সুবর্ণা। পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বলল, জি না।
আজহার মাহমুদ অবাক কণ্ঠে বললেন, সত্যি তুমি প্রেম কর না?
সুবর্ণা আবার একই কথা বলল, জি না।
আজহার মাহমুদ জোর দিয়ে বললেন, তুমি মিথ্যা বলতেছ কেন? তোমার শরীর দেখে মনে হচ্ছে তুমি প্রেম কর।
সুবর্ণা এবার আরও বিব্রত হলো। কোনো নারীর শরীর দেখে কি বোঝার উপায় আছে, সে প্রেম করে কি করে না। আজহার মাহমুদ তো দেখি মানুষ হিসেবে সুবিধার না। লুচ্চা টাইপের মানুষ। তিনি কি সুবর্ণার শরীর স্ক্যান করতে শুরু করেছেন। সুবর্ণার শরীরে কোনো কাপড় নেই। সুবর্ণা উলঙ্গ... ছি ছি, এসব কী ভাবছে সুবর্ণা।
তার মনে হলো আজহার মাহমুদ লোলুপ দৃষ্টি নিয়ে সুবর্ণার বুকের দিকে লম্পটের মতো তাকিয়ে আছেন।
আজহার মাহমুদ মৃদু হেসে বললেন, তুমি এখন কী ভাবতেছ বলব?
সুবর্ণা হ্যাঁ না কিছুই বলল না।
আজহার মাহমুদ বললেন, আমাকে তুমি লুচ্চা টাইপের মানুষ ভাবতেছ। মনে মনে আমার ওপর অনেক রুষ্ট তুমি। কথা সত্যি কিনা বল।
হ্যাঁ। মাথা নাড়ল সুবর্ণা।
আজহার মাহমুদ খুশি হয়ে বললেন, তোমার সাহস দেখে আমি মুগ্ধ। এবার আসল কথাটা বলি। আমি কীভাবে বুঝলাম তুমি প্রেম কর? শুনবে?
সুবর্ণা কোনো কথা বলল না। তবে আজহার মাহমুদের প্রতি তার আগ্রহ বেড়ে গেল। একটা মেয়ে প্রেম করে কি করে না, সেটা কি তার শরীর দেখে বলে দেওয়া সম্ভব?
আজহার মাহমুদ বললেন- শোনো সুবর্ণা, তোমাকে একটা কথা বলি। প্রেম করতে গিয়ে মেয়েরা প্রথম যে ভুলটা করে, প্রেমিকের কাছে শরীর বিলিয়ে দেয়। প্রেমিকার সঙ্গে দেখা হলেই প্রেমিক যে কাজটা করে, ছলে বলে কৌশলে প্রেমিকার স্তনে হাত দেওয়ার সুযোগ খোঁজে। দলাই মতলাই করে। এভাবেই তার সর্বনাশ শুরু হয়। বিয়ের আগেই স্তন ঝুলে যায়। তোমাকে সর্বনাশের একটা গল্প বলি। আমার এক পরিচিত লোক, বাসর রাতেই বউয়ের সঙ্গে তুমুল ঝগড়া শুরু করে। কথায় আছে বিড়াল প্রথম রাতেই মারতে হয়। এখানে বিড়াল নামটা কেন ইউজ করলাম নিশ্চয়ই বুঝতে পারতেছ? তো বিড়াল মারতে যাবে। স্ত্রী তার শরীর থেকে শাড়ি, ব্লাউজ, ব্রা খুলে ফেলেছে। হঠাৎ স্বামী চিৎকার দিয়ে উঠল। কী সর্বনাশ। অ্যাই তোমার ‘দুধ’ এমনে ঝ্যালঝ্যালা কেন?
স্ত্রী ‘দুধ’ শব্দটা প্রথমে বুঝতে পারেনি। তাই অবাক হয়ে জানতে চাইল- ‘দুধ’ মানে কী?
‘দুধ’ মানে বুঝ নাই? দুধ মানে স্তন। তোমার স্তন এত ঝ্যালঝ্যালা কেন? নিশ্চয়ই কোনো পুরুষের হাত পড়েছে। অ্যাই তুমি কি কারও সঙ্গে প্রেম করতা? সত্য কথা বল। সত্য কথা বললে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিব। এই পর্যন্ত বলে সুবর্ণার দিকে তাকালেন আজহার মাহমুদ। ধারণা করে বল, ওদের বিয়েটা কী শেষ পর্যন্ত টিকেছিল?
আজহার মাহমুদের কথা শুনে লজ্জা, অপমানে চোখ তুলে তাকাতে পারছে না সুবর্ণা। প্রথম সাক্ষাতে কোনো পুরুষ কি একজন নারীর
সামনে এভাবে যৌনতা নিয়ে কথা বলে? নিশ্চয়ই এই লোকের মানসিক সমস্যা আছে।
আজহার মাহমুদ আবার একই প্রশ্ন করলেন- তোমার কী ধারণা, ওদের বিয়েটা টিকেছিল?
সুবর্ণা হ্যাঁ না কিছুই বলল না।
আজহার মাহমুদ মৃদু হেসে বলললেন, ওদের বিয়েটা টিকেছে। ওরা এখনো সুখে-শান্তিতে সংসার করছে। এটা কীভাবে সম্ভব হলো? সম্ভব হয়েছে বিশ্বাসের কারণে। সেদিন বাসর রাতে জীবনের সব কিছু খুলে বলেছিল স্ত্রী। এক তরুণের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দেখা হলেই স্তনে হাত দিতে চাইত। সুবর্ণা মাইন্ড কর না। আমার ধারণা তোমার কেসটাও একই রকম। তোমার প্রেমিক তোমার স্তনের প্রতিই বেশি অনুরক্ত। দেখা হলেই স্তন ধরে ঝুলে পড়তে চায়।
লজ্জা, অপমানে সুবর্ণার দুই কান রীতিমতো গরম হয়ে উঠেছে। না, এই লোকের সামনে আর একদণ্ডও বসে থাকা ঠিক হবে না। হঠাৎ চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল সুবর্ণা। সিদ্ধান্ত নিল এই অফিসে সে কাজ করবে না। অসম্ভব। আজহার মাহমুদের মতো লুচ্চাটাইপের মানুষের সঙ্গে একই অফিসে কাজ করা ঠিক হবে না। আজহার মাহমুদকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে হন হন করে তার রুম থেকে বেরিয়ে গেল সুবর্ণা।
বাসায় ফিরে নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিল সুবর্ণা। সুবর্ণার মা মিসেস সুরাইয়া মেয়ের জন্য দুপুরের খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। দুপুরের খাবার খেতে খেতে সুবর্ণার চাকরির প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা শুনবেন এমনটাই পরিকল্পনা ছিল সুরাইয়ার। কিন্তু সুবর্ণা এভাবে হন হন করে নিজের ঘরে ঢুকল কেন? অফিসে কি কিছু হয়েছে। কেউ কি তাকে অপমান করেছে? দরজায় টোকা দিলেন সুরাইয়া- সুবর্ণা? অ্যাই সুবর্ণা? কী হয়েছে? দরজা বন্ধ করলি কেন? দরজা খোল। সুবর্ণা।
ভেতর থেকে সুবর্ণা বলল, মা আমার কিছু হয়নি। আমি কিছুক্ষণ একা থাকব।
একা থাকবি মানে? তোর নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে। দরজা খোল মা। লক্ষ্মী মা আমার। দরজা খোল... সুবর্ণা!
সুবর্ণা আবার একই কথা বলল- মা বললাম তো আমার কিছু হয়নি। ঝামেলা কোরো না তো। আমি কিছুক্ষণ একা থাকব, প্লিজ মা...
সুবর্ণার মনে হলো গোসল করলে বোধ করি শরীর-মন দুটোই শান্ত হবে। বাথরুমে ঢুকে শরীরের সব কাপড় খুলে ফেলল সুবর্ণা। বাথরুমের আয়নায় তার নগ্ন শরীর দেখা যাচ্ছে। এর আগে বাথরুমের আয়নায় শরীর দেখার ইচ্ছে হয়নি। আজ হচ্ছে। বিশেষ করে নিজের স্তন দেখার আগ্রহ বেড়ে গেল। সুবর্ণার শরীর কাঁপছে। আজহার মাহমুদ ঝ্যালঝ্যালা স্তনের কথা বলেছেন। সুবর্ণার স্তনের তো একই অবস্থা। এতদিন সে খেয়াল করেনি। তার স্তন দেখলে যে কেউ ভাববে সুবর্ণা একাধিক সন্তানের মা। অথচ সুবর্ণার তো বিয়েই করেনি। ঝরনার কল ছেড়ে অনেকক্ষণ গোসল করল সুবর্ণা। স্তন দুটিকে বারবার উঁচিয়ে ধরে সুডৌল আকার দিতে চাইল। কিন্তু সেটা সম্ভব হলো না। বাথরুম থেকে বেরিয়ে অনেকক্ষণ বিছানায় নগ্ন শরীরে বসে রইল সুবর্ণা। তার কেবলই মনে হচ্ছে শরীর তার অথচ শরীরের নিয়ন্ত্রণ শপে দিয়েছে অন্য কাউকে। এটা ঠিক হয়নি। মারাত্মক ভুল করেছে সুবর্ণা।
মোবাইল ফোনে রিং হচ্ছে। রিমন ফোন দিয়েছে। সুবর্ণা ভাবল রিমনের সঙ্গে আজ একটা বোঝাপড়া করতেই হবে।
হ্যালো... কে? সুবর্ণা ইচ্ছে করেই কে শব্দটা উচ্চারণ করল।
রিমন অবাক হয়ে বলল, সুবর্ণা আমি? চিনতে পারছ না?
ও তুমি? বল!
চাকরির প্রথম দিন কেমন গেল?
ভালো না।
কেন?
সাক্ষাতে বলব।
কণ্ঠে উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে রিমন বলল, এখনই বল। অফিসে কোনো ঝামেলা হয়েছে?
হ্যাঁ।
কী ধরনের ঝামেলা?
বললাম তো সাক্ষাতে বলব।
তুমি কি চাকরি ছেড়ে দিয়েছ?
হ্যাঁ।
কেন?
ফোনে এতকিছু বলতে পারব না। রিমন...?
বলো।
তুমি কি এখন ফ্রি? সিরিয়াস কিছু কথা বলব?
বলো। আমি ফ্রি।
আমার কথা শুনে হুট করে কোনো ডিসিশন দেবে না। ভেবে ডিসিশন দেবে।
ঠিক আছে বল।
তুমি আমাদের রিলেশনের ব্যাপারে কী ভাবছ?
কী ভাবছি মানে? কথা ক্লিয়ার করো।
আমরা বিয়ে করছি কবে?
বিয়ে? ভূত দেখার মতো চমকে উঠল রিমন। সুবর্ণা অবাক হয়ে বলল, বিয়ের কথা শুনে তুমি এভাবে চমকালে কেন? তার মানে আমাদের বিয়ের ব্যাপারে তুমি সিরিয়াস না?
রিমন ইতস্তত করে বলল, হঠাৎ বিয়ের কথা উঠছে কেন? আমাদের মধ্যে কি এমন কোনো ডিসিশন হয়েছে।
সুবর্ণার মনে হলো তার মাথার ওপর আকাশ ভেঙে পড়ছে। তারই নগ্ন শরীর বিদ্রূপ করছে তাকে। কত করে বলেছিলাম এভাবে শরীর খুলিস না। বিপদে পড়বি। বিছানার চাদর টেনে নিয়ে শরীর ঢাকতে ঢাকতে সুবর্ণা বলল, রিমন তুমি কি বুঝেশুনে আমার সঙ্গে কথা বলছ?
রিমন এতটুকু বিচলিত না হয়ে স্বাভাবিক কণ্ঠে বলল, হ্যাঁ আমি বুঝেশুনেই কথা বলছি।
তার মানে আমরা বিয়ে করছি না?
না। এখনই আমি বিয়ের কথা ভাবছি না।
এখন না ভাব, ভবিষ্যতে...
ভবিষ্যতের কথাও বলতে পারব না।
তার মানে তোমার কাছে আমাদের বিয়ের কোনো পরিকল্পনা নেই?
রিমন কোনো উত্তর দিল না।
ফোন কেটে দিল সুবর্ণা।
কিছুদিন পরের ঘটনা। অফিস কক্ষে সহকর্মীদের সঙ্গে একটি নতুন অনুষ্ঠান বিষয়ে আলাপ করছিলেন আজহার মাহমুদ। হঠাৎ সুবর্ণা এসে হাজির। আজহার মাহমুদ তো অবাক। তার সঙ্গে অন্যরাও অবাক। তবে আজহার মাহমুদ সুবর্ণাকে কিছু বুঝতে দিলেন না।
তুমি সুবর্ণা না? চেনা মানুষকে অচেনা প্রশ্ন করলেন।
সুবর্ণা মৃদু হেসে বলল- হ্যাঁ আমি সুবর্ণা। আমাকে আপনারা এভাবেই ভুলে গেছেন? সুবর্ণার কণ্ঠে একটু যেন অভিমান। আজহার মাহমুদ বললেন- তোমাকে আমরা মনে রাখব কোন কারণে? বল? তোমাকে কেন্দ্র করে আমরা আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলের জন্য একটা অনুষ্ঠান সাজালাম, প্রথম পর্বে উপস্থাপক হিসেবে ভালোই করলে। তার পর বলা নেই, কওয়া নেই তুমি হঠাৎ উধাও হয়ে গেলে। এটা তো ভাই কাজের কথা হলো না।
সুবর্ণা একটু বিব্রত। চোখ তুলে কথা বলার সাহস পাচ্ছে না। আজহার মাহমুদ ছাড়া আর যারা অফিস কক্ষে এতক্ষণ কথা বলছিল তারা সবাই চলে গেল। এবার যেন সাহস পেল সুবর্ণা। আজহার মাহমুদের চোখের দিকে তাকিয়ে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে বলল, ভাই আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।
ক্ষমা, কেন?
আপনাকে আমি কষ্ট দিয়েছি।
কষ্ট তুমি দাওনি। আমি দিয়েছি। তবে সেদিনের কথাটা পরিষ্কার হওয়া দরকার। তুমি প্রেম করো কিনা- এই প্রশ্ন কেন জিজ্ঞেস করেছিলাম জানো? তুমি অফিসের কাজে কতটা মনোযোগ দিতে পারবে সেটা যাচাই করার জন্য। তরুণী মেয়েদের প্রেমিক থাকলে ওরা অফিসের কাজে মনোযোগ দিতে পারে না। ব্যাপারটা সিওর হতে চেয়েছিলাম। তবে তোমার বুক নিয়ে যে কথাগুলো বলেছিলাম ওটা ছিল প্রেডিকশন। তোমার সহ্যক্ষমতা যাচাই করতে চেয়েছিলাম। এবার বল, হঠাৎ কী মনে করে? প্রেম ঠিক আছে তো, নাকি?
সুবর্ণা হঠাৎ মাথা নিচু করে কেঁদে ফেলল। আজহার মাহমুদ অস্থির হয়ে বললেন- অ্যাই মেয়ে, তুমি কাঁদতেছ কেন? ছ্যাঁকা খাইছ?
সুবর্ণা কোনো উত্তর দিল না। মাথা নিচু করে হেচকি তুলে কাঁদতে থাকল।
অনেকক্ষণ কাঁদল, তার পর যাওয়ার সময় মুখ তুলে আজহার উদ্দিনকে বলল, আমি যদি মাঝে মাঝে আপনার সঙ্গে দেখা করতে আসি তাহলে আপনি কি বিরক্ত হবেন? মাইন্ড করবেন?
আজহার মাহমুদ মৃদু হেসে বললেন, না মাইন্ড করব না। তুমি এলে আমার ভালোই লাগবে।
এর পর অনেকদিন সুবর্ণার সঙ্গে দেখা হয়নি আজহার মাহমুদের। মাস ছয়েক পর হঠাৎ একদিন সকালে আজহার মাহমুদের মিরপুরের বাসায় হাজির সুবর্ণা। কাজের মেয়ে ময়না দরজা খুলে দিয়েছে।
কাকে চান?
আজহার ভাই আছেন?
আছেন। ঘুমাচ্ছেন।
আমি একটু ড্রয়িংরুমে বসি। উনার ঘুম ভাঙলে বলবেন মালিবাগ থেকে সুবর্ণা এসেছে।
নাম বললেই চিনবে?
হ্যাঁ চিনবে।
আপনি বসেন। সুবর্ণাকে ড্রয়িং রুমে বসতে দিয়ে পাশের রুমের দিকে পা বাড়াল ময়না। কয়েক মিনিট পর হন্তদন্ত হয়ে ড্রয়িং রুমে ঢুকলেন আজহার মাহমুদ। তাকে দেখে সুবর্ণা শোফা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বলল- স্লামালেকুম।
ওয়ালাইকুম সালাম। তুমি হঠাৎ? আমার বাসা খুঁজে পেলে কীভাবে? দাঁড়িয়ে আছ কেন? বসো।
সুবর্ণা বলল- বসব না। আমার সঙ্গে আপনাকে এক জায়গায় যেতে হবে।
এক জায়গায় যেতে হবে মানে? অবাক বিস্ময়ে প্রশ্ন করলেন আজহার মাহমুদ।
সুবর্ণা দমভরে কয়েকবার নিঃশ্বাস নিয়ে সাহস সঞ্চয় করে বলল, আমার পরিচিত একজন ডাক্তার আছেন। আমি আপনাকে তার কাছে নিয়ে যাব।
ডাক্তারে কাছে আমাকে? কেন?
আপনার চিকিৎসা করাব।
আমার চিকিৎসা? আমার কী হয়েছে?
সুবর্ণা হঠাৎ কাঁদতে কাঁদতে বলল, আমি শুনেছি আপনি নাকি শারীরিকভাবে অক্ষম। এটা আমি মেনে নিতে পারছি না। আমার পরিচিত ডাক্তার বলেছেন চিকিৎসা করলে অক্ষম পুরুষও সক্ষম হয়ে ওঠে। আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই। প্রমাণ করতে চাই আপনি অক্ষম নন। প্লিজ আপনি আমাকে সহায়তা করুন। আমাকে ফিরিয়ে দেবেন না। আজহার মাহমুদকে জড়িয়ে ধরল সুবর্ণা। উভয় সংকটে পড়ে গেলেন আজহার মাহমুদ।
বিশেষ একটি কারণে তার বিয়েভীতি আছে। বাসর রাতে তার বড় ভাইয়ের বিয়ে ভেঙে যায়। শারীরিক অক্ষমতাকে দায়ী করে প্রথমে রাতেই স্বামীকে তালাক দেয় নববধূ। বড় ভাই আর বিয়ে করেননি। বড় ভাইয়ের ঘটনাটা আজহার মাহমুদের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে। তাই বিয়ের চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলেছেন। আজহার মাহমুদের মেয়েবন্ধুর সংখ্যা অনেক। মেয়েরা তার সান্নিধ্য খোঁজে। এদের মধ্যে বিবাহিত আছে কয়েকজন।
শারমিন নামে একজন কোটিপতির বউ আজহার মাহমুদকে অফার করেছিল- আসেন একদিন লড়াই করি। আপনার বিয়েভীতি দূর হয়ে যাবে। রাজি হননি আজহার মাহমুদ। কিন্তু সুবর্ণাকে ফিরিয়ে দিতে মন চাইছে না। সুবর্ণা পরম মমতায় আজহার মাহমুদকে জড়িয়ে ধরে আছে। কাঁদছে সুবর্ণা। ‘আমি আপনার অপমান সইতে পারছি না। আমার ওপর বিশ্বাস রাখেন। সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমি সব কিছু ঠিক করে দেব।’
সুবর্ণাকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করছে আজহার মাহমুদের। তার মনে হলো ভয় কেটে যাচ্ছে... ।