রূপা চলে গেছে। রূপা আমার স্ত্রী। কোথায় গেছে বলে যায়নি। একটা চিঠিও লিখে যায়নি।
ছ’বছর আমাদের বিয়ে হয়েছে। কোনোদিন এমনটা হয়নি। বরং উল্টোটাই হয়েছে। আমিই কোথাও চলে গেছি ওকে কিছু না বলে। আবার হঠাৎ করেই একদিন ফিরে এসেছি। রূপা কোনোদিন কিছু বলেনি।
রূপাকে প্রথম দেখেছিলাম শুভদৃষ্টির সময়। তার আগে কখনো ওকে দেখার প্রয়োজন হয়নি। রূপা আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। আমিও ওর নিষ্পলক চোখ দুটো দেখছিলাম। তার পর কীভাবে যেন ছয় বছর পার হয়ে গেল।
ছ’ছ-টা বসন্ত পেরিয়ে গেল রূপার সঙ্গে। অথচ আমাদের কোনো ছেলেমেয়ে নেই। রূপার এ ব্যাপারেও কোনো ক্ষোভ নেই আমার বিরুদ্ধে। রূপা কখনো বলেনি, চলো একবার ডাক্তারবাবুর সঙ্গে দেখা করে আসি। আমিও বলিনি কখনো।
ঘরে রান্নার কিছু নেই, বাজারে যেতে হবে, রূপা কখনো ধমক দিয়ে আমার হাতে বাজারের ব্যাগটা ধরিয়ে দেয়নি। বলেনি, ‘ঝটপট বাজারটা নিয়ে এসো তো। সঙ্গে একটু মাছও এনো। অনেকদিন ইলিশ খাওয়া হয় না। শুনেছি এখন দামটা একটু কমেছে।’
বরং রূপা নিজেই সবকিছু করে। বাজার-হাট সবকিছু। আমাকে কিছুই করতে হয় না।
রূপার মতন একটা মেয়ে পেয়েছি বলেই হয়তো আমি এতটা নিশ্চিন্ত! কিন্তু কোথায় যেতে পারে রূপা? রূপার তো কেউ নেই আমি ছাড়া!
ছোটবেলা ওর মা মারা গেছে। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে আলাদা সংসার পেতেছে। রূপার মামারাও রূপাকে তেমন ভালোবাসে না। এ ছাড়া তো রূপার আর কেউ নেই! আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব কেউ না!
সকালবেলা ঘুম ভাঙতেই চা নিয়ে হাজির হতো রূপা। লাল পাড় সাদা শাড়ি পরে আসত। পাশেই ঠাকুর ঘর থেকে ধুপের গন্ধটা ভেসে আসত। আমি চোখ বুজে একবার সেই গন্ধটা নিতাম। তার পর রূপার হাতে বানানো চায়ে চুমুক দিতাম। ততক্ষণে বারান্দার জানালাগুলো খুলে দিত রূপা। সকালের নরম রোদের আলো বারান্দা পেরিয়ে এ ঘরে ঢুকত। সেই সঙ্গে প্রচুর টাটকা অক্সিজেন। আমার গোটা শরীর সকালের মিষ্টি হওয়ায় কেঁপে উঠত। রূপা সেটা বুঝতে পারত। তাই প্রিয় নীল শালটা কখন যে আলতো করে জড়িয়ে দিত আমার গায়ে।
আমাদের বিয়ের পর প্রথমবার রূপার সঙ্গে যখন দার্জিলিং গিয়েছিলাম। তখনই রূপা পছন্দ করে আমার জন্য শালটা কিনেছিল। রূপার পছন্দের অনেককিছুই আমার সঙ্গে মিলে যায়। যেমন- নীল রংটা আমার ভীষণ পছন্দের। রূপা নীল রঙের শাল কিনল। সঙ্গে একটা সোয়েটার আর মাফলার। সেটাও নীল রঙের। সব আমার জন্য। রূপা বলেছিল, ওগুলো পরলে নাকি আমাকে ভালো মানাবে। বুঝেছিলাম, রূপা আমাকে নিয়ে সারাক্ষণ ভাবে।
বাড়ি ফিরে এসে হঠাৎ খেয়াল হলো, আরে, রূপার জন্য তো কিছুই কেনা হলো না?
রূপা এরকমই। কখনো নিজের জন্য কিছু ভাবে না। কোনোকিছু মুখ ফুটে চায়ও না। যেন আমার কাছে ওর কোনো দাবি নেই!
আজ সকালে ঘুম ভাঙতেই দেখি রূপা নেই। আমি বিছানা ছেড়ে উঠে বসেছি। কিন্তু চা দেওয়ার কেউ নেই। সারা রাত ঘরটা বন্ধ থাকায় বাতাসগুলো ভারী হয়ে উঠেছে। অক্সিজেনের অভাবে কেমন যেন দম আটকে আসছে। অথচ দরজাগুলো খুলে দেওয়ার কেউ নেই। এতক্ষণে বোধহয় বাইরে রোদ উঠে পড়েছে। সকালের টাটকা বাতাসকে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ঢোকার জন্য ছটফট করছে। তবু পর্দা সরিয়ে জানালা খুলে দেওয়ার কেউ নেই। ঠাকুর ঘর থেকে আজ কোনো ধুপের গন্ধ আসছে না।
কোথায় যে গেল রূপা? এত সকালে তো না বলে কোথাও বেরোয় না ও!
বিছানা ছেড়ে ঠাকুর ঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম। রূপা নেই। তাহলে কি ফুল তুলতে গিয়ে এত দেরি হচ্ছে?
পর্দা সরিয়ে বারান্দার জানালাগুলো খুলে দিলাম। এই প্রথম আমি একা নিজের হাতে জানালাগুলো খুললাম। সঙ্গে সঙ্গেই একটা ঠাণ্ডা বাতাস ঘরে এসে ঢুকল। সকালের মিষ্টি বাতাস গোটা শরীরে দোলা দিয়ে গেল। সেই সঙ্গে অল্প অল্প শীত অনুভবও হলো। গায়ে কিছু একটা জড়ানো দরকার। কিন্তু আমার নীল শালটা কোথায়? সেটাও তো রূপা জানে। আমি তো ওসব নিয়ে ভাবিনা কখনো!
সেই সময়ই মাথাটা ধরে এল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চা খাওয়ার অভ্যেস বরাবরের। কিন্তু আজ রূপা নেই। তাই চা খাওয়াও হয়নি। মাথাটা যেন জাঁকিয়ে কামড়ে ধরছে।
একবার ভাবলাম বাইরে দোকান থেকে গিয়ে চা খেয়ে আসি। কিন্তু রূপার কথা মনে পড়ল আবার। দোকানের চা একদম পছন্দ করে না রূপা। জানলে রাগ করবে ভীষণ। যদিও রূপাকে কখনো রেগে যেতে দেখিনি আমি। রূপা আমার সঙ্গে কখনো রেগে কথা বলেনি কোনোদিন!
এই প্রথম রান্নাঘরে ঢুকলাম আমি। রূপার সবকিছুই সাজানো-গোছানো। চায়ের কেটলি, চিনি, চা-পাতা সব হাতের কাছেই রাখা ছিল। রূপাই হয়তো সব রেখে গেছে গুছিয়ে। আমি গ্যাস জ্বালিয়ে জল বসিয়ে দিলাম। দোকানে বসে বেশ কয়েকবার রতনকে চা বানাতে দেখেছি।
এককাপ চা হাতে নিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ালাম। বাইরে বেলা বাড়ছে। সেই সঙ্গে রোদের তাপও চড়া হচ্ছে ক্রমশ। এতো দেরি করছে কেন রূপা?
চায়ে চুমুক দিতে গিয়ে নাক-মুখ থেকে জল বের করে ফেললাম। চিনি হয়নি, লিকারটাও বেশি পড়ে গেছে। প্রথমবার নিজের হাতে চা বানিয়ে খাচ্ছি। ভুল তো একটু হতেই পারে! মনকে সান্ত্বনা দিলাম। তার পর প্রায় চোখ বন্ধ করেই বাধ্য ছেলের মতো বাকিটা গিললাম।
ঘড়ি ধরে ঠিক নয়টায় স্নান সারলাম। নীল পাঞ্জাবিটা চেয়ারের ওপরেই রাখা ছিল। পরে নিলাম। এই পাঞ্জাবিটাও রূপার দেওয়া। আমাদের প্রথম বিবাহবার্ষিকীতে।
মনে আছে, সেদিন অনেক রাত করে বাড়ি ফিরেছিলাম। দেখি বারান্দার একপাশে দাঁড়িয়ে রূপা আমার জন্য অপেক্ষা করছে। রূপা নীল রঙের একটা শাড়ি পরেছে। নীল রঙের শাড়ি পরলে রূপাকে অন্যরকম দেখায়। কেমন যেন অন্য মেয়েদের থেকে কিছুটা আলাদা। ওকে দেখে হঠাৎ খেয়াল হয়েছিল, আজ তো তাড়াতাড়ি ফিরব বলে কথা দিয়েছিলাম রূপাকে। বলেছিলাম, সন্ধ্যাটা দুজনে একসঙ্গে কাটাব। বাইরে কোথাও ঘুরব-ফিরব, খাওয়া-দাওয়া করব। সব বেমালুম ভুলে বসে আছি। মনটা খারাপ হয়ে গেল রূপার জন্য। কিন্তু আশ্চর্য, রূপা আমার কাছে বিন্দুমাত্র অভিযোগ জানাল না। জানতে চাইল না, কেন ফিরতে এতো দেরি হলো? কেন কথা দিয়েও ওকে অপেক্ষায় রাখলাম এতক্ষণ?
রূপা শুধু আমাকে নীল পাঞ্জাবিটা ধরিয়ে দিয়ে বলেছিল, ফ্রেস হয়ে পরে নাও। তার পর রান্না ঘরে ফিরে গেছিল নিজের মতো করে।
আজ সেই নীল পাঞ্জারিটা পরেছি। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে একবার তাকাই। খুব কি খারাপ লাগছে? জানি না। রূপা থাকলে হয়তো বলতে পারত।
চোখ গেল টেবিলের ওপরে রাখা আমার আর রূপার ছবিটার দিকে। ওটাও সেবার দার্জিলিংয়ে তোলা। ম্যালে। রূপাই জোর করে পাশে দাঁড়িয়ে তুলেছিল। সেই প্রথম আমরা দুজনে ক্যামেরার সামনে। তার পর আর কোনো ছবি তুলিনি ওর সঙ্গে। রূপাও আবদার করেনি কখনো। আমিও না।
ঠিক দশটায় কলিংবেলটা বেজে উঠল। ছুটে গেলাম বারান্দার দিকে। ভাবলাম, রূপা এসেছে নিশ্চই। দরজা খুলে দেখলাম রূপা কোথায়, অল্প বয়সী ছেলেটা দুধের প্যাকেট নিয়ে দাঁড়িয়ে। আমি অবাক হলাম। ছেলেটি বোধহয় আরও বেশি। মনে মনে ভাবলাম, এই রোজ দুধ দিয়ে যায় এ বাড়িতে? ছেলেটি চলে যেতেই ফিরে এলাম ঘরে।
সকাল থেকে এখন এত বেলা হয়ে গেছে পেটে কিছুই পড়েনি। খিদেয় ভেতরে ভতরে বিদ্রোহ শুরু হয়ে গেছে। মনে হলো, খিদে পেলে এতটা কষ্ট হয় আগে কখনো তো অনুভব করিনি! রূপা কখনো সেই সুযোগই দেয়নি। এতক্ষণে ঠিক গুণে গুণে তিনটে রুটি, সবজি, আর একটা ডিম সিদ্ধ বানিয়ে এনে দিত।
এত দেরি করছে কেন রূপা? তবে কি ফুল তুলে বাজারে গেছে? একবারে বাজারটা সেরে বাড়ি ফিরবে?
রূপার কাছে কোনো ফোন নেই। তাই ওর সঙ্গে যোগাযোগের কোনো উপায়ও নেই। এ ব্যাপারেও অবশ্য রূপার কোনো অভিযোগ নেই। রূপা কখনো মোবাইল চায়নি। আমিও কিনে দিইনি ওকে।
আচ্ছা, কোন বাজারটায় যায় রূপা? চৌমাথার রাস্তা পেরিয়ে সেই সকালের বাজারটায়? নাকি স্টেশনের ওদিকের সবজি বাজার? আজ কী বার? রূপা কি একবারে বাজার করে বিকেলের হাট সেরে তবে বাড়ি ফিরবে? কিন্তু কাল রাতেও তো রূপা তেমনটা কিছু জানায়নি। আমারও অবশ্য কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি।
একবার মনে হলো, এগিয়ে দেখি। খুঁজে আনি রূপাকে। আবার মনে হলো, কোন বাজারে খুঁজব ওকে? যদি বাজারে না গিয়ে অন্য কোনো কাজে? আর আমি খুঁজতে বেরিয়ে, এদিকে যদি রূপা ফিরে আসে। তাহলে তো ব্যাপারটা আরও খারাপ হবে। আমাকে না পেয়ে তো আরও দুশ্চিন্তায় পড়বে রূপা।
এসব সাত-পাঁচ ভাবছি, তখনই কী খেয়াল, একবার ফ্রিজটা খুলে দেখলাম। রূপা হয়তো কিছু খাবার রেখে গেছে আমার জন্য। খিদেটাকে আর বাগে আনতে পারছি না। মাথাটাও ধরে আসছে। শরীরটাও কেমন জানি ছেড়ে দিচ্ছি ভেতর থেকে।
ফ্রিজ খুলে সত্যি সত্যি কিছু খাবার পেয়ে গেলাম। সত্যি রূপা সব গুছিয়ে রেখে গেছে আমার জন্য। একদম তৈরি খাবার। গোগ্রাসে সেগুলো গিললাম। খিদের আগুন নিভল। মনে মনে ভাবলাম, যাক এবেলা তো পেরিয়ে গেল। ওবেলায় না হয় কিছু একটা ব্যবস্থা হবে ঠিক। এর মধ্যে নিশ্চয়ই রূপা ফিরে আসবে কাজ সেরে।
দুপুরের পর হঠাৎ করেই ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামল। চারদিক কালো করে আবহাওয়াটা হঠাৎ বেশ খারাপ হয়ে গেল। ঠিক তখনই রূপার কথা মনে পড়ল আবার। রূপা কি ছাতা নিয়ে বেরিয়েছে? বৃষ্টির জল ওর একদম সহ্য হয় না। অল্পতেই ঠাণ্ডা-জ্বর-সর্দি। রূপা নিশ্চয়ই বৃষ্টিতে ভিজবে না। ও খুব বুদ্ধিমান। হয়তো কোথাও দাঁড়িয়ে থাকবে। অপেক্ষা করবে। তার পর বৃষ্টি কমলে ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরবে।
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে রইলাম। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে। আমার চোখ তখন সেই বৃষ্টি ছাপিয়ে বকুল গাছটার দিকে। কেমন থমকে গেলাম হঠাৎ। দুটো শালিক পাশাপাশি বসে আছে। বৃষ্টিতে ভিজছে। আবার একে অপরের গায়ে ঠোঁট দিয়ে জল সরিয়ে দিচ্ছে। ওরা নিশ্চই প্রেমিক-প্রেমিকা। কত সুখ ওদের!
হঠাৎ রূপার জন্য মনটা কেমন করে উঠল। এই প্রথম খুব একা একা লাগল। মনে হলো, একা থাকতে একদম ভালো লাগছে না। এখনই এক দৌড়ে ছুটে যাই রূপার কাছে। তার পর দুজনে সারা দিন পাশাপাশি বসে বৃষ্টি দেখি। একসঙ্গে বৃষ্টিতে ভিজে হাঁটি।
একটা ঝোড়ো হাওয়া এসে আমার সারা শরীরে জল ছিটিয়ে দিয়ে গেল। কেঁপে উঠলাম। হঠাৎ শরীরটা খারাপ লাগল। গা-টাও বেশ গরম গরম হয়ে আসছে। মনে হলো জ্বর আসবে।
বারান্দা থেকে ঘরে ফিরে এলাম। হাতের কাছে কিছু না পেয়ে বিছানার চাদরটাই গায়ে জড়িয়ে নিলাম। ততক্ষণে শীতে আমার শরীর ভীষণ কাঁপছে। কিছুতেই যেন কাঁপুনিটাকে থামাতে পারছি না। বিছানার সঙ্গে নিজেকে জাপটে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করলাম।
রূপা থাকলে নিশ্চয়ই এতক্ষণে আমাকে মোটা চাদরে জড়িয়ে নিত। তাতেও কাঁপুনি না থামলে আমাকে ওর নিজের শরীর দিয়ে জড়িয়ে নিত। কাঁপুনি একটু থামলে নিশ্চয়ই ডাক্তারখানা নিয়ে যাওয়ার জন্য পীড়াপীড়ি করত।
রূপা নেই। আমি অসহায়ের মতো বিছানায় পড়ে রইলাম। আমার জ্বর বাড়ছে। সেই সঙ্গে কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে চলে যাচ্ছি। আমার মাথাটা ক্রমশ ভারী হয়ে আসছে। চোখটাও ঝাপসা হয়ে জড়িয়ে যাচ্ছে।
ঠিক কখন যে ঘুম থেকে উঠেছি মনে নেই। হুঁশ ফিরতেই দেখি বিছানায় শুয়ে আছি। আমার গায়ে মোটা চাদর। এখন আর জ্বর নেই। মাথাটাও বেশ হালকা লাগছে।
পাশ ফিরে জানালা দিয়ে বাইরে চোখ রাখলাম। বৃষ্টি কখন যে থেমে গেছে। মেঘ সরে বাইরে এখন রোদ ঝলমল করছে। বকুল গাছটা থেকে দুটো শালিক উড়ে গেল এই মাত্র।
তখনই রূপা এল। হাতে এককাপ চা নিয়ে। কাপটা টেবিলে রেখে আমার গা-ঘেঁষে বসল। তার পর ওর হাতটা আমার কপালে রাখল। রূপার হাতটা ভীষণ নরম। ওর নরম হাত দিয়ে আমার মাথাটা বুলিয়ে দিল।
রূপাকে কাছে পেয়ে আর জানতে চাওয়া হলো না, ‘কোথায় গিয়েছিলে? ফিরতে এত দেরি হলো কেন?’